সন্ধি হৃদয়ে হৃদয়ে পর্ব ৪

0
1712

#সন্ধি_হৃদয়ে_হৃদয়ে
#লেখিকাঃ আসরিফা সুলতানা জেবা
#পর্ব___৪

‘ এসব তোকে কে বলেছে?আমরা কেন সুযোগ নিতে যাবো বল?ভুল বুঝছিস তুই। পুরো পরিবার তোকে ঠিক কতটা ভালোবাসে এটা তোর অজানা নই ভাই৷ ‘

আয়ুশের কাঁপা কাঁপা কন্ঠ কটাক্ষ করে তূর্য বলে উঠল,
‘ তাহলে তুই বলছিস বিয়ে টা মিথ্যে? আমি মিথ্যে শুনেছি?’
‘ এসব কে বলেছে তোকে?’– আয়ুশের চিন্তাগ্রস্ত স্বর।

তূর্যর অধর কার্নিশ জুড়ে বাঁকা হাসি। নিরলস ভঙ্গিতে বললো,

‘ তোর কি এখনও আমাকে চেনা বাকি আছে?যেই তূর্য জীবনের একেকটা হিসেব সঠিক রাখে,সে তার জীবনের অনেকগুলো বছর অজ্ঞাত,ভারসাম্যহীন কাটিয়েছে, সেই অবস্থায় কি করেছে কিংবা জীবনে কি ঘটে গিয়েছে তার খবর জানবে না?জানতে চেষ্টা করবে না বিন্দুমাত্র?মস্তিষ্ক হতে কয়েকটা বছরের স্মৃতি মুছে গিয়েছে কিন্তু আমার স্বভাব,চরিত্র পাল্টে যায় নি। কোনো খবর জানা আমার কাছে খুব বড় কিছু না। তবে সবাই লুকিয়ে রেখে বেশ ভালো অভিনয় করেছিস। সবার অভিব্যক্তি এমন যেন আমার জীবনে কিছুই পরিবর্তন হয় নি। ধোঁ’কা’য় রাখলি আমাকে। সত্য কোনোদিন গোপন থাকে না আয়ুশ। কেন আনলি তোরা আমার জীবনে আরো একটা স্বার্থ/পর? ‘

আয়ুশ সূক্ষ্ম ব্যাথা অনুভব করলো। ক্ষীণ স্বরে আওড়ালো,

‘ সবাই অহমিকা নই ভাই। সময় মানুষের জীবনের মোর পাল্টে দেয়। পরিস্থিতি পদক্ষেপ ফেলতে বাধ্য করে। কখনও কখনও সাত রংধনুর রঙের মতোন জীবন রঙিন করতে চাইলেও সেই সাদামাটা, শুভ্র থেকে যায়। সবই সময়ের খেল। নয়ত একটা বার ভেবে দেখ,যেই অহমিকা একদিন তোর হৃদয় ক্ষ*তবি*ক্ষত করেছিল, সেই মেয়েই আজ তোর ক্ষতে মলম লাগিয়েছে। সুস্থ করে তুলেছে তোকে। সবাইকে স্বার্থপর ভাবিস না। এক পাল্লায়ও মাপিস না। ‘

‘ স্বামী পাগল বলেই তো মেয়েটা পালিয়ে গিয়েছিল তাই না?’
‘ হয়ত কারণ টা ভিন্ন। ‘
তূর্য ম্লান হাসল। চায়ের কাপটা রেখে সোফায় গা এলিয়ে বলে,

‘ ভিন্ন নয়। মেয়েটা বড়লোক বাড়ির ছেলে শুনে বিয়েতে রাজি হয়েছিল। যেই না জানল স্বামী পাগল পালিয়ে চলে গেল। সুন্দর হাসবেন্ড চাইছিল। পাগলের সাথে সেক্রিফাইস করে সংসার করার মতোন মেয়ে আদৌ আছে?পৃথিবীর সবাই নিজের স্বার্থ বুঝে। এই ধর মা আমাকে এত চোখে হারায় কিন্তু কেন?এইখানে আমার মা’য়েরও স্বার্থ নিহিত। ভালোবাসার স্বার্থ। তেমনই অহমিকা ও ওই মেয়েটাও নিজের স্বার্থ বুঝেছে। মেয়েটা পাগলের সঙ্গে থেকে ধুকে ধুকে ম’র’তে চায় নি। আর অহমিকার ফিরে আসা?ও শুধু মানসিক রোগীর ডাক্তার হিসেবে আমার চিকিৎসা করেছে। এখন আমার প্রতি কনসার্ন এসব কেবল আমাকে পাওয়ার জন্য। ভালোবাসে নি কখনও আমাকে,বাসলে ছেড়ে যাওয়া টা কঠিন হতো। অন্যমুখো হতে তার বিবেকে বাঁধত। এখন যখন নদীতে তরী ডুবেছে আমার সান্নিধ্যে পাওয়ার জন্য ছটফট করছে। আমি ওর করুণা নেই নি। আমার জানা মতে আমার ট্রিটমেন্টের জন্য ফুল পেমেন্ট করা হয়েছে। এন্ড ফারদার ওই মেয়ের নাম নিবি না। ‘

এটুকু বলে তূর্য চুপ হয়ে গেল। সুঠাম দেহখানি সোজা করে সামনের দিকে অল্প ঝুঁকে বসল। ফকফকা সাদা মেঝেতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে গম্ভীর স্বরে বলে উঠল,

‘এখন আমি জাস্ট আমার বউকে চাই। সংসার করবো না, যে মেয়ে নিজ স্বার্থে পালিয়ে গিয়েছিল তার সাথে আমার সংসার হবে না। মনে মনে ঘৃণা জন্মেছে তার প্রতি। ভালোবাসায় কনভার্ট হওয়ার নো চান্স। শুধু চিনে রাখতে চাই,দেখতে চাই। আই ওয়ান্ট টু সি হার। তুই ওকে দেখেছিস না?চিনিস নিশ্চয়ই? ‘

আয়ুশ কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। কল্পনায়ও আসে নি তূর্য এত জলদি বিয়ের কথাটা জেনে যাবে। আয়ুশ লুকিয়েছে তার কারণ আছে। তাছাড়া মেহরিমা চৌধুরী বাড়ির সবাইকে বলে দিয়েছে বিয়ের কথাটা যেন চিরতরে মন, মস্তিষ্ক থেকে মুছে ফেলে সবাই। বিয়ে নামক বিষয়টা কখনও তূর্যর কান অব্দি না পৌঁছে তাতে ক’ড়া আদেশ জারি করেছেন। তাহলে কেমন করে জানল?কে বলল?তূর্য সুস্থ মস্তিষ্কে থাকলে শ্রেয়সীর মতো মেয়েকে কখনও বিয়ে করত না। মেহরিমা চৌধুরীও চায় নি শ্রেয়সীকে পুত্রবধূ করে আনতে। শুধুমাত্র ফাতেমা চৌধুরীর চাপে পড়ে এমনটা হয়েছে। এখন স্বয়ং ফাতেমা চৌধুরীও শ্রেয়ার নামটা পর্যন্ত শুনতে চায় না। যেখানে মেয়েটাকে সকলে ঘৃণা করে কি লাভ তাকে অতীতের কাঠগড়ায় টেনে এনে আবারও কষ্ট দিতে!আয়ুশ চাই না শ্রেয়সী কষ্ট পাক। বিয়েটাতে ঘোর অমত ছিল ওর। কোনো এক সময় এই মেয়েই কেঁড়েছিল তার রাতের ঘুম। তৎপরে কিছুদিন ভেবে চিন্তে সেই ভালো লাগার অনুভূতি মাটি চাপা দিয়ে দেয়। শ্রেয়ার সুখী জীবন চায় সে, জল ভরা চক্ষু অবলোকন করতে চায় না কোনো কালে। আবার ভাইয়ের সুন্দর জীবনও তার প্রত্যাশা। এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। এতে হয়ত কারো কারো চক্ষুশূল হবে ও। তবুও যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতেই অনড়,অটল থাকবে। তূর্য কে আর অপেক্ষা করালো না। ক্রমাগত অস্থির কন্ঠে বলে উঠল,

‘ আমি জানিনা ভাই৷ ওই মেয়ের ব্যাপারে কিছুই জানি না৷ এক দেখায় কে কাকে মনে রাখে?আমার মেমোরাইজিং এতো ভালো নয় যে একবার দেখেই তোর বউয়ের চেহারা সারাজীবন চোখের পাতায় ভাসমান থাকবে। ভার্সিটি থেকে এসেছি,খুবই টায়ার্ড। রাখছি। ‘

এক প্রকার কথা কাটিয়ে ফোন রেখে দিল আয়ুশ। তূর্য মোবাইলের স্ক্রিনে চেয়ে থাকল কিয়ৎক্ষণ, কয়েক সেকেন্ড। কল লিস্টে ঢুকে একটা নাম্বারে ডায়াল করলো। রিসিভ হতেই সোজাসাপ্টা প্রশ্ন তার,

‘ মাদার ইনফরমেশন দিয়েছেন? ‘
‘ দিতে বাধ্য স্যার। আপনাদের এতিমখানা। তবে,,
তূর্যর মুখভঙ্গির পরিবর্তন ঘটলো। কপালে বলিরেখার ভাঁজ স্পষ্টত। বিরক্ত প্রকাশ করে বললো,
‘ তবে?’
‘ মেয়েটার ব্যাপারে যা তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা ছিল সব আপনার মা মানে মেহরিমা ম্যাম নষ্ট করে ফেলেছেন। ‘
‘ হোয়াট?মা কেন এমন করলো?জাহানারা খাতুন মানে মাদার নেই? ওনি সব জানবেন৷ ‘

‘ মাদার গত হয়েছেন বছর ফুরিয়ে এসেছে স্যার। তবে মেয়েটার একটা ছবি পেয়েছি। ছবিটা ছোট বেলার। বয়স আট নয় হবে তখনকার। এছাড়া আর কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করি নি। নতুন যেই মাদার এসেছেন তিনি সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না। আপনার বলা হুমায়রা নামেই খোঁজ করেছি। আপনি বললে এতিমখানার অন্যান্য লোক কিংবা বাচ্চাদের জিজ্ঞেস করে দেখি?’

‘ তার আর প্রয়োজন নেই। পিকটা সেন্ড করো। ঢাকা গিয়ে বাকিটা দেখব আমি। অনেক হিসেব-নিকেশ রয়ে গেল সবার সাথে। বাই। ‘

ফোন টা কাটতেই ম্যাসেজ টিউন বেজে উঠে। দ্রুত হাত চালিয়ে হোয়াটস অ্যাপে ঢুকল তূর্য। চক্ষু আরশিতে ভেসে উঠল একটা বাচ্চা মেয়ের মুখশ্রী। মাথায় তালগাছ। ছোটবেলায় এক ঝুটি দেখলেই সেটা তালগাছ বলে অভিহিত করে তূর্য। আয়ুশীকে কত জ্বালিয়েছে। বলত,তোর মাথায় তালগাছ উঠেছে। মেয়েটা তখন কেঁদে কেঁদে সব ভাসিয়ে দিতে উদ্যত হতো। তূর্যর বুকে এসে জড়িয়ে ধরে বলত- ভাই এসব বলো না, আমার দুঃখ লাগে। বোনকে আজ বড্ড দেখতে ইচ্ছে করছে তূর্যর। বড় হয়ে আয়ুশী একদম নিশ্চুপ স্বভাবের হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজন ব্যাতীত কথা-ই বলে না।

তূর্য ছবিটা বড় করে চোখ গুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখল। মনের পাতায় আঁকল। ভীষণ চেনা চেনা লাগছে ওর। আরেকটু গভীর চক্ষে চাইতেই মুগ্ধতা ফুটে উঠল নেত্রদ্বয়ে। মস্তিষ্কের বিরোধিতা করে মনকে জিতিয়ে দিল কিঞ্চিৎ সময়ের জন্য। আনমনে বলে উঠল,

‘ আমার পিচ্চি বউ। অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে দেখছি আপনাকে এক পলক দেখার নিমিত্তে। পাগল বলে ছেড়ে চলে গেলেন? একটু থেকে সঙ্গ দেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ছিল বুঝি?’
____________

এপার্টমেন্টের ছাদে হইচই। তীব্র,প্রকটভাবে গানের শব্দ কর্ণকুহরে হনহন করে ঢুকছে। শ্রেয়া কতক্ষণ কপালে হাত রেখে বসে রইল। গত দু’দিন ধরে তার জীবনটা আবার এলোমেলো,অবিন্যস্ত। কিছুই ভালো হচ্ছে না৷ ওই তূর্য লেকচারার আসার পর মনে হচ্ছে তিক্ততা,বিষাদ শব্দগুলো কেবল ওর জন্য প্রযোজ্য। আজও লোকটা ওকে ক্লাসে অপমান করেছে। মুখের ওপর ঝামটা মে’রে দিয়েছে একদম। একটা বিক্রিয়া লিখতেই তো ভুল করেছিল সেকি তিক্ত বান মেরেছে! পুরো ক্লাসের সামনে নিজের চিরাচরিত গম্ভীর স্বরে বললো-‘ বিক্রিয়া গুলে খাবেন,নয়ত কেমিস্ট্রি নিয়ে পড়া ছেড়ে দিন। ‘ একটু আকটু ভুল হতেই পারে। এই লোক ওকে সহ্যই করতে পারে না যেন।

‘ শ্রেয়া দেখ তোর জন্য লাল শাড়ি এনেছি। ঝটপট রেডি হ বোন,নয়ত রিয়া আবার এসে ডেকে যাবে। তুই কি চাস বেচারি নিজের হলুদ ফেলে তোকে ডাকতে আসুক?’

শ্রেয়া অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো। প্রিয়ুর হাতে লাল শাড়ি দেখে ভিতর জ্বলে উঠল। শাড়ি!তিন বছর আগে যে শাড়ি পড়েছিল সেটাই ছিল শেষ পড়া। বধূবেশে টকটকে লাল শড়িতেই তো প্রতীক্ষায় ছিল মানুষটার। শ্বাস ফেলতে কষ্ট হচ্ছে শ্রেয়ার। ধরা কন্ঠে শুধালো,
‘ আমি যাবো না প্রিয়ু। তুই যা। ‘
সন্দিহান দৃষ্টিতে চেয়ে রইল প্রিয়ু। জহুরির ন্যায় পরখ করে বললো,
‘ কি হয়েছে শ্রেয়া?এত বছর ধরে এখানে আছি। রিয়ার সাথে কত আড্ডা দিয়েছি। এখন যদি না যাই ওর খারাপ লাগবে। একটা বার দেখা দিয়ে আয়। আর অবশ্যই শাড়ি পড়ে। সবাই সুন্দর করে সেজেগুজে যাবে,তুইও যাবি। ব্যাস!’

আপত্তি করলো না আর শ্রেয়া। শাড়ি হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল। বুকে জড়িয়ে ডুকরে কেঁদে উঠলো মেয়েটা। নিমেষে ফর্সা মুখে লালের আভা ছড়িয়ে পড়ে। বাধাহীন ঝরতে থাকে অশ্রুকণারা। কি হতো সেদিন মেহরিমা চৌধুরী ওকে ফিরিয়ে নিলে?ভুল কি মানুষের হয় না?ও তো চেয়েছিল ফিরে যেতে। নিজের অনুভূতিদের ঠুনকো হতে দিতে চায় নি। বিধস্ত চেহারায় দাঁড়িয়েছিল পুনর্বার চৌধুরী বাড়ির বিশাল গেটের সামনে কিন্তু ফিরিয়ে দিল ওকে সেই বাড়ির কর্ত্রী। শক্ত কন্ঠে বলেছিলেন –‘ যে মেয়ে আমার ছেলেকে ফেলে একবার চলে গিয়েছে তুচ্ছ করে,তার পদধূলি এই বাড়িতে কখনও পড়তে দিব না আমি। ‘
_________

শ্রেয়া দরজায় তালা লাগিয়ে সিঁড়ির কাছে এলো। শাড়ি পড়ে হাঁটতে অভ্যস্ত নয় ও। সেই কবে পড়েছিল। প্রিয়ু ওকে আসতে বলে ছাদে চলে গিয়েছে। ওখানেই গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। আরম্ভ হয়ে গিয়েছে ইতমধ্যে। রাত তো আর কম হয় নি। যখন ঘর হতে বেরিয়ে আসছিল তখনই আখিঁদ্বয়ে আটকায় ঘড়ির কাটা দশের ঘরে। তন্মধ্যে একবার রিয়ার ছোট ভাই মিহান এসে ডেকে গিয়েছে। শ্রেয়া আর দেরি করলো না। দ্রুত পায়ে সিঁড়ির দিকে অগ্রসর হলো ও। দু-এক সিঁড়ি পেরোতেই আকস্মিক শাড়িতে পা বেজিয়ে দেহ হেলে গেল পিছনের দিক। ভয়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাটা দিয়ে উঠল তাৎক্ষণিক। কন্ঠ রোধ হয়ে এলো। তখনই ওর ভয়ের মাত্রা কমিয়ে দুটো বলিষ্ঠ, পেশিবহুল হাত কোমর জরিয়ে ধরে। বুকের অতি নিকটস্থে টেনে নেয় সমগ্র কায়া। ভারী,গাঢ় নিঃশ্বাস অবলীলায় ছুঁয়ে দিচ্ছে শ্রেয়ার গলা,ঘাড়। নিঃশ্বাসের গভীর ছোঁয়ায় হৃদস্পন্দন চক্রাকারে বৃদ্ধি পেয়ে যায়। কেঁপে কেঁপে উঠে অজ্ঞাত ব্যাক্তির স্পর্শে সমস্ত দেহ,মন। জাগতিক চিন্তা, দুশ্চিন্তা ভুলে গিয়ে শ্রেয়া পড়ে থাকে উন্মুক্ত কোমরে বন্দী দু’হাতের মালিকের প্রশস্ত, শক্তপোক্ত বক্ষে। ভেতর-বাহির উভয় দিক হতেই এ মুহুর্তে প্রচন্ড ভীত সে। নিমিষেই ওর সকল ভয়,কল্পনা বিলুপ্ত করে দিয়ে ওকে টেনে হিঁচড়ে বাস্তবে নিয়ে এলো বুকে ঠাঁই দেওয়া লোকটার বিরক্তিকর কন্ঠস্বর। শ্রবণগ্রন্থির অত্যন্ত নিকটে মুখ এনে মানুষ টা বলে উঠল,

‘ এত তর্ক করতে পারো অথচ শাড়ি পড়ে হাঁটতে পারো না?’

#চলবে,,!
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজ খুব তাড়াহুড়ায় লিখেছি।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here