#শ্রেয়সী
#পর্ব_১৬
#লেখনীতে_নাদিয়া_সিনহা
প্রিন্সিপাল স্যারের অফিসের বাইরে বিরাট বড় এক লাইন বেধে আছে। এখানে কেউ অপেক্ষা করছে নিজের কৌতূহল সম্পর্কে জানতে আর কেউ কেউ অপেক্ষা করছে প্রিন্সিপালের মতামত জানতে। তা নিয়েই বিরাট লাইন লেগে আছে। প্রায় দু’ঘন্টা হলো দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি কখন স্যার সহ ভিতরের লোক গুলো বাইরে বেরিয়ে আসবে। আমি, রোদ্দু, নুসু জড়োসড়ো হয়ে এক কোনে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের ঠিক সাম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে আরাবীরা। রোদ্দুর চোখে মুখে ভয়ংকর রাগ। যেনো এখনই সব না’শ করে দিবে। সাজ্জাদ ভাইয়ের দিকে তাকাতেই দেখলাম একই রক্ত চক্ষু নিয়ে তাকিয়ে আছে। রোদ্দু আর সাজ্জাদ ভাইয়ের চোখে চোখ পরতেই দুজন তেড়ে এসে চিৎকার করে বলে,
-“তোমার জন্য সব হইছে। বে’য়া’দ’ব মেয়ে কোথাকার।”
-“আপনি মহা অ’স’ভ্য লোক একটা। লজ্জা করে না মেয়েদের সাথে ঝগড়া করতে?”
-“আসছে আমার লজ্জাবতী লতা। যাও এখান থেকে।”
ভয়ার্ত কন্ঠে নুসু বলে,
-“রোদ্দু প্লিজ ছাড় না। আর কত ঝামেলা করবি? এবার থাম।”
-“তুই চুপ কর। তোর প্রেমিক পুরুষ বলে কি ছাড় দিব নাকি? উঁহু! নেভার এভার। আর এই তুই কি হ্যাঁ? কি করে এমন একটা বজ্জাত ছেলের সাথে প্রেম করতে গেলি বল তো?”
সাজ্জাদ ভাই রাগান্বিত কন্ঠে বলে,
-“মুখ সামলে কথা বলো। আর নুসু তুমি আর এর সাথে থাকবে না। আজ এখনই এখানেই সব সম্পর্ক শেষ করবে।”
নুসু অসহায় দৃষ্টিতে আমার পানে তাকায়। আমি দূরে দাড়িয়ে থেকে মাথায় হাত দিয়ে দেয়ালের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে সব শুনছি। বলার মতো কিছুই অবশিষ্ট নেই। আর রোদ্দু কে আটকাবই বা কি? যা কান্ড বাঁধিয়েছে আজ। একদম অভিভাবক এনে ছাড়িয়েছে। বর্তমানে প্রিন্সিপালের রুমেই সবাই অবস্থান করছে। আমি নুসুর দিকে তাকিয়ে সামনে এগিয়ে যাই আর বলি,
-“রোদ্দু আর ভাই আপনিও প্লিজ চুপ করুন। আর কত ঝগড়া করবেন? লজ্জা করছে না কারো? এই বুড়ো বয়সে ইউনিভার্সিটিতে অভিভাবক এনেছেন।”
-“দেখো বোন আমার কোনো দোষ নেই। তোমার পাগল, ওয়ারলেস, ম্যানারলেস বান্ধবী কে শিখাও যা শিখানোর।”
রোদ্দু চিৎকার করে বলে,
-“দেখলে শ্রেয়ু আমাকে কি বললো। একে তো আমি আজ দাঁড়া।”
দুজনই ঝগড়া করছে। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি থামানলর কিন্তু উল্টো আমারই মাথা গরম হয়ে যাছে। আমি নুসু দুজনই চেষ্টা করছি। তবে লাভ বিশেষ হচ্ছে না। হঠাৎ আরাবী পানে দৃষ্টি আবদ্ধ করতেই দেখি আমার পানেই তাকিয়ে৷ আমি দ্রুত আরাবী কাছে গিয়ে উত্তেজিত কন্ঠে বলি,
-“প্লিজ সাজ্জাদ ভাই কে থামান। আমি জানি আপনিই পারবেন এসব থামাতে।”
-“তুমি রোদ্দু কে থামাও। আমি জানি তুমিই পারবে ওকে থামাতে।”
-“চেষ্টা কি কম করেছি নাকি? থামার কোনো নাম গন্ধই নেই। আমি তো চেষ্টা করলাম এবার আপনি করুন প্লিজ।”
-“কোনে দরকার নেই ঝগড়া থামানোর। চুপ থাকো।”
আমি বিষ্ময় নিয়ে আরাবী পানে তাকাই। সে নিশ্চিন্তে ঝগড়া দেখছে। বিনাবাক্যে যেই না সম্মুখে এক কদম হাঁটা দেই ওমনি আরাবী আমার হাত ধরে আঁটকে দিয়ে নিজের পাশে এনে দাঁড় করায়। এতই শক্ত করে ধরে রেখেছে যে আমি হাত নাড়তেও পারছি না। হাত মোচড়াতে মোচড়াতে আরাবী কে বলি,
-“প্লিজ ছাড়ুন। পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগে সামলতে হবে।”
-“কে সামলাবে? তুমি?”
-“হ্যাঁ! আমি রোদ্দুকে নিয়ে চলে যাই। আর আপনারা এখানে থাকলে থাকুন আমি চলে যাব। ছাড়ুন আমার হাত।”
-“হুসসস!
আরাবী এক আঙ্গুল উচিয়ে আমার ওষ্ঠে চেপে ধরে। ব্যাস আমি সেখানেই চুপ হয়ে যাই। আরাবী আমার দিক থেকে দৃষ্টি সরাচ্ছে না। পলকহীন তাকিয়ে। নেশার দ্রুব্যের ন্যায় আরাবী দৃষ্টি। একবার তার দিকে দৃষ্টিপাত করতেই আটকা পরে যাই বারংবার।
-“আটকালেন কেনো আমায়?”
-“আটকাইনি! সামলে রাখছি।”
-“প্লিজ যেতে দিন।”
আরাবী আমার দিকে তাকিয়ে বলে,
-“ঝগড়াঝাটি মধ্যে তোমাকে যেতে হবে না। আর এখনই প্রিন্সিপাল বেরিয়ে আসবে।”
আরাবী কথার মাঝেই প্রিন্সিপাল স্যার সহ রোদ্দু আর সাজ্জাদ ভাইয়ের বাবা মা বেরিয়ে আসে। স্যার এসেই গর্জে উড়ে বলে,
-“কি হচ্ছে কি এসব এখানে?”
স্যারের গর্জন সকলে দৃষ্টি স্যার পানেই আবদ্ধ হয়। স্যারের পিছনে রোদ্দু আর সাজ্জাদ ভাইয়ের বাবা-মা দাড়িয়ে। আরাবী আমার হাতটা ছেড়ে ঠিক আমার পেছনে দাঁড়ায়। যেনো পেছন থেকে কেউ না দেখে ওমন করে। প্রিন্সিপাল স্যার সাজ্জাদ ভাইয়া কে উদ্দেশ্য করে বলে,
-“আ’ম টু মাচ ফ্রাস্ট্রেট সাজ্জাদ। তোমার থেকে অন্তত এটা আশা করিনি।”
-“স্যার ট্রাস্ট মি। আমি মোটেও ঝগড়া শুরু করিনি। আমি তো……”
-“কিপ ইউর মাউত্থ ক্লোজ সাজ্জাদ। আ’র ইউ থিংক আ’ম ব্লাইন্ড? মানলাম তুমি ঝগড়া শুরু করোনি। কিন্তু তুমিও সমান তাহলে নেচেছো। আমাদের কলেজে কত গেস্ট এসেছে তাদের সামনে তোমরা এমন একটা কাজ করবে আমি ভবতেও পারিনি। অন্তত তোমার থেকে এটা আশা করিনি আমি।”
সাজ্জাদ ভাই চুপ হয়ে যায়। রোদ্দু মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। আমি কিয়ৎ পর পর পেছন ফিরে আরাবী পানে তাকাচ্ছি। যতবারই তাকাচ্ছি ছেলেটা চোখ মারছে আর মুচকি হাসছে। এমন একটা পরিস্থিতে কেউ কি করে এতটা স্বাভাবিক থাকতে পারে? আরাবী কে যত দেখছি ততো অবাক হচ্ছি। তার এমন কান্ড আমাকে মাত্রাতিরিক্তে অস্বস্তি ফেলে দিচ্ছে। প্রিন্সিপাল স্যার রোদ্দুর মা-বাবা কে উদ্দেশ্য করে বলে,
-“কেমন মেয়ে আপনাদের? বড় দের তো সম্মান করেই না। উল্টো পুরো কলেজের সামনে কোমড় বেধে সমান তালে ঝগড়া করে। ম্যানারলেস ইনসিন্সিয়ার গার্ল।”
রোদ্দুর বাবা বলে,
-“স্যার প্লিজ আমি ওর হয়ে মাফ চাচ্ছি। এটা প্রথম এবং শেষ ভুল মনে করে মাফ করে দিন। আর কক্ষনো এমন হবে না।”
-“আমি রৌদ্রসীর নামে আরও অনেক অভিযোগ শুনেছি। সে কলেজে এসে ছোট বড় সবার সাথে ঝামেলা করে। এমন কি স্যারদের নিয়েও মজা করে। ছোট ভেবে দেখেও দেখিনি। এড়িয়ে গেছি। কিন্তু আজ সে যা করেছে তার পর আর কলেজে রাখব না।”
-“স্যার প্লিজ বোঝার চেষ্টা করুন। আমার মেয়েটার ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে।”
-“সেই খেয়াল আপনার মেয়ের থাকলে আজকের ঘটনাটা ঘটতোই না। এন্ড ইউ সাজ্জাদ তোমার থেকে তো এটা স্বপ্নেও আসা করিনি। তোমাকেও রাস্টিগেট করে দেওয়া হবে।”
সাজ্জাদ ভাই আরাবী দিকে তাকায়। তার দৃষ্টি অনুকরণ করে আমি আরাবী দিকেই তাকাই। আরাবী চোখের ইশারায় আস্বস্ত করে। সাজ্জাদ ভাইয়ের বাবা বলে,
-“দেখুন স্যার দোষটা আমার ছেলের উপর ফেলবেন না। আমি এখানে আমার ছেলের কোনো দোষই দেখছি না। ঝগড়া শুরু করেছে ওই মেয়েটা। যা শাস্তি দেওয়ার তাকেই দিন। শুধু শুধু আমার ছেলে কে টেনে আনার কি দরকার?”
-“মি.জামান তালি এক হাতে বাজে না। মানলাম আপনার ছেলে ঝামেলা শুরু করেনি কিন্তু সে চাইলে এটা থামাতে পারতো। কিন্তু না তাকেও ঝগড়া করে অস্কার আনতে হবে। আর শাস্তি দুজন কেই পেতে হবে। কারণ দুজনের জন্যই আমার কলেজের মান সম্মান নষ্ট হয়েছে।”
স্যার ভিতরে যেতে উদ্যত হলে আরাবী স্যার কে ডেকে বলে,
-“স্যার আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো। ইম্পর্ট্যান্ট!”
-“যা বলার এখানেই বলো আরাবী।”
-“নো স্যার৷ ইট’স পার্সোনাল।”
-“ওকে দেন কাম ইন্টু মাই রুম।”
স্যার নিজের রুমে চলে যান। আমি আরাবীর পানে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করি ‘কি বলবে?’ সে দুবার চোখের পলক ফেলে বিনাবাক্য প্রস্থার করে।
আরাবী যেতেই সাজ্জাদ ভাইয়ার বাবা তাকে বলে,
-“চিন্তা করো না। জানি আমার ছেলে ভুল করতেই পারে না।”
-“বাবা প্লিজ৷ তোমার ছেলে বলে কি আমার দোষ থাকতে পারে না? আমারও ভুল আছে। স্যার ঠিকি বলেছে এক হাতে তালি বাজে না।”
সাজ্জাদ ভাইয়ের কথা প্রতি উত্তরে তার বাবা কিছু একটা বলতে যাবেন সাজ্জাদ ভাই ওনা কে থামিয়ে বলে,
-“বাবা আর কোনো কথা হবে না এ বিষয়ে। প্লিজ!”
রোদ্দু বাবা ওকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে আছে। রোদ্দুর মা আমার সাম্মুখে এসে বলে,
-“আমাকে একটা কথা বল শ্রেয়ু। তোর জন্যই তো রোদ্দুকে এখানে পাঠালাম তাই না? তাহলে সব সময় ভুল রোদ্দুর কেনো হয় তোর ভুল হয় না? নাকি তোর সব ভুলই আমার মেয়েটা নিজের উপর নিয়ে নেয়।”
আমার বলার আগে রোদ্দু ওর মাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-“আহা! মা তুমি শ্রেয়ুকে কেনো টানছো। ওর কি দোষ এতে? ওর দোষ থাকলে আমি নিজেই ওকে সাইজ করে দিতাম।”
-“চুপ কর রোদ্দু। আমাকে বোঝাতে আসিস না। কি দরকার ছিলো তোর বিতর্কে যাওয়ার? আমরা সবাই এমন কি শ্রেয়ুও জানে তুই বিতর্কে গিয়ে ঝগড়া বাঁধিয়ে ফেলিস। তাহলে শ্রেয়ু কি করে তোকে বিতর্কে যেতে দিলো। ও নিজেও তো যায়নি। ”
আমি আন্টির দিকে তাকিয়ে বলি,
-“আসলে প্রতিযোগিতায় নাম গুলো সিনিয়রা দিয়েছে আর ওরাই ঠিক করেছে কে কোন সেকশনে থাকবে।”
-“তা তোকে বুঝি কোনো সেকশনে দেয়নি?”
-“না দিয়েছে। গানে কিন্তু আমার ঠান্ডা লেগে যাওয়ায় নাম কেটে দিয়েছে।”
-“তুই রোদ্দু কে আটকালি না কেনো?”
-“আমি…….”
এক হাত উচিয়ে আমার মুখশ্রীর সম্মুখে এনে আমাকে থামিয়ে দিয়ে আন্টি বলে,
-“থাক আর বলতে হবে না। তোর জন্য আমি আমার মেয়ে কে এখানে আসতে দিয়েছিলাম। ভেবেছি তুই অন্তত খেয়াল রাখবি। কিন্তু এখন আর রাখব না। আমার মেয়ে কে আমি নিয়ে যাব।”
এগিয়ে এসে রোদ্দু বলে,
-“আম্মু কি করছো এসব? শ্রেয়ুর কোনো দোষ নেই। আমি নিজের ইচ্ছায় এসেছি।”
-“তুই ছোট বোঝার ক্ষমতাও তেমন হয়নি। না হয় বুঝতি এই শ্রেয়সী তোকে ফাঁসিয়ে দিব্যি মজা নিচ্ছে।”
-“তেমন কিছুই না আম্মু৷ তুমি একটু বেশিই ভাবছো।”
-“আমি তোর মা আমাকে বলছিস আমি বেশি ভাবছি?”
দরজার খোলার আওয়াজে সবার ধ্যান সেদিকে চলে যায়। প্রিন্সিপাল স্যার বেরিয়ে এসছে তার পিছু আরাবীও। আমার অক্ষিদ্বয়ে নোনাজলের স্রোত বইছে যেনো। আরাবী বেরিয়েই আমার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। সাথে সাথে ওনার কপাল তিনটা ভাজ পরে যায়। আমার দিকে এগোতেই আমি চোখ ঘুরিয়ে নেই। এতে আরাবীও আশেপাশে তাকিয়ে থেমে যায়। প্রিন্সিপাল স্যার সবার উদ্দেশ্য বলে,
-“ওরা যা করেছে তার জন্য মাফ অন্তত করা যায় না। শাস্তি তো পেতেই হবে। এবং এতে ওদের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওদের এক সপ্তাহের জন্য কলেজ এবং ভার্সিটির কোথাও যেনো না দেখি। প্রয়োজনে আপনার আপনাদের ছেলে-মেয়ে কে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন।”
ভুল জায়গায় ভুল বাক্য উচ্চারণ করার মতো মহান কাজটা রোদ্দু আজ করেই ফেলেছে। স্যার বলার পরপরই উত্তেজিত হয়ে স্যার কে জিজ্ঞেস করে,
-“স্যার তার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি, শ্রেয়ু আর নুসু তিনজন মিলে প্রচুর ঘুরাঘুরি করব। স্যার আপনিও চাইলে আমাদের সাথে জয়েন হতে পারেন৷ কিরে শ্রেয়ু, নুসু তোরাও বল।”
তাৎক্ষণিক আমার মাথায় হাত চলে যায়। নুসু আমার দিলে অসহায় শিশু ন্যায় তাকিয়ে। উপস্থিত সকলে বিষ্ময়কর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রোদ্দুর পানে। রোদ্দু মা ওর কাঁধে চ’ড় মেরে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
-“এখানে থেকে দিন দিন অ’স’ভ্য হয়ে যাচ্ছো। বাড়ি চলো তারপর সব বেয়াদবির ভূত বের করছি আমি।”
রোদ্দু কিছু বলতে যাবে ওর বাবা ওকে থামিয়ে দেয়। প্রিন্সিপাল স্যার রোদ্দুর বাবা-মা কে উদ্দেশ্য করে বলে,
-“আই থিংক আপনার মেয়ের মাথায় সমস্যা আছে। সময় থাকতে ট্রিটমেন্ট করানো প্রয়োজন।”
কথাটা বলেই স্যার নিজের রুমে চলে যায়। অসহায় মুখ করে তাকিয়ে আছি আরাবীর পানে। আরাবী ইশারা করে চিন্তা না করতে। সে আছে সব ঠিক করে দিবে। যতই ঠিক হোক রোদ্দু যা করেছে ওর মা আমাকে ভুল বুঝেছে। আমাকে এখন আর আগের মতো দেখবে না। স্নেহও করবে না। তা বেশ বুঝতে পারছি। এই এক সপ্তাহ রোদ্দু আমার কাছে থাকবে না। একটা সপ্তাহ কি করে পার করব আমি?………
~চলবে……