শাপলা ও সেতুর গল্প পর্ব ১২

0
251

#শাপলা_ও_সেতুর_গল্প
#প্রভা_আফরিন
[পর্ব-১২]

সকাল থেকে রুনির শরীর হালকা গরম। গতকাল রাতে একগাদা আইসক্রিম খাওয়ার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ কথা বলার সময় হালকা গলা ব্যাথাও করছে। সে গুটিগুটি পায়ে মায়ের কাছে এসে ওনার হাতটা নিজের কপালে ঠেকিয়ে বললো,
“আমার বোধহয় জ্বর এসেছে, মা। গলাও ব্যাথা করছে।”

জাহানারা হাতের এপিঠ ওপিঠ মেলে তাপ মেপে বুঝলেন আসলেই শরীর গরম লাগছে। তিনি বাঁকা স্বরে বললেন,
“আমাকে বলছিস কেনো? যার কাছে আবদার করে অসুখ ডেকে এনেছিস তার কাছে যা। তোর গুনধর ভাইকে গিয়ে বল অসুখ নিয়ে আহ্লাদ করতে।”

“তুমি বকছো? অসুস্থ মানুষকে কেউ বকে?”

“তো তুমি আহ্লাদ চাইতে এসেছো? বকার মতো কাজ করলে বকাই খেতে হবে। দুইদিন পর মা হবে, এখনো কান্ডজ্ঞান হয়নি। আমি তো অনাগত বাচ্চাটার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় আছি।”

রুনি আসলেই মায়ের মনোযোগ ও আহ্লাদ চাইতে এসেছিলো। সে আহত গলায় বললো,
“তুমি আমার সাথে এভাবে কেনো কথা বলো? ডাক্তার বলে এই সময় বেশি বেশি যত্ন নিতে, হাসি খুশি থাকতে। কিন্তু তুমি আমাকে দেখলেই খেকিয়ে ওঠো। সত্যি করে বলোতো, তুমি কি আমার সৎ মা? আমার ভোলাভালা বাবার কপালে কিভাবে এসে জুটলে?”

জাহানারা ভাত বাড়ার বড় চামচটা নিয়ে তেড়ে আসার আগেই রুনি ছুটে পালালো। তিনি পেছন থেকে ধমকে বললেন,
“আস্তে হাট, এভাবে কেউ দৌড়ায়?”

রুনি সে কথার তোয়াক্কা না করে ভাইয়ের ঘরে ঢুকলো। এখন সে জনে জনে অসুখের কথা বলবে। রুনির চারমাস চলছে। যদিও হালকা মেদযুক্ত দেহের আবরণে উদরের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় না। রুনি রাসিফকে ঘুম থেকে ডেকে তুললো। ঘুমের মাঝে ব্যাঘাত ঘটায় রাসিফ বিরক্ত হলো। আপার ধাক্কায় ঢুলুঢুলু চোখে উঠে বসলো সে। বললো,
“কি শুরু করলে আপা? ঘুমাতে দেবে তো?”

“আমার অসুখ করেছে ভাই। আর তোরা সবাই আরাম করে ঘুমাচ্ছিস?”

রাসিফ ভালো করে চোখ মেললো। রুনি ওর হাত নিজের কপালে ঠেকিয়ে বললো,
“আমার জ্বর হয়েছে। গলা ব্যাথা করছে, রুচি চলে যাচ্ছে।”

“সন্ধ্যায় গায়ে বৃষ্টি লাগিয়েছো। রাত বারোটায় আমাকে দিয়ে আইসক্রিম আনিয়ে খেয়েছো। এতবার মানা করলাম তবুও শুনলে না। বাধালে তো ঠান্ডা-জ্বর! এবার ভুগো।”

“তুইও মায়ের মতো আচরণ করছিস? কোথায় রুচি চলে যাচ্ছে শুনে ভালোমন্দ খাবার কিনে আনবি তা না। কেউ ভালোবাসে না আমায়। চলে যাবো, আর থাকবো না তোদের ঘাড়ে।”

রুনি উঠে যেতে নিলে রাসিফ হাত টেনে ধরলো। আপার হাত মুঠোয় নিয়ে নরম গলায় বললো,
“আমার আপাকে ঘাড়ে নয়, মাথায় তুলে রাখবো। ঘাড়ে থাকবে আমার ভাগ্নে-ভাগ্নী।”
রুনিকে মুখ ফিরিয়ে বললো,
“সবাই তো আর তোর মতো বোঝে না।”
“মা বকেছে?”
“হু।”
“মন খারাপ করো না। মা তো তোমার ভালোই চায় বলো। তুমি কেনো নিজের খেয়াল রাখো না বলোতো? আমার আপাকে কেউ কথা শোনালে আমারও খারাপ লাগে। নিজের দায়িত্বটুকু তো নাও।”

রুনি মুখ ঘুরিয়ে চমৎকার হাসে। রাসিফের কাধে মাথা রেখে বলে,
“খেয়াল রাখার জন্য তোরা আছিস তো। এত দায়িত্বশীল, চিন্তাশীল হয়ে বাঁচতে পারবো না আমি। আমার পাশে যতদিন তোরা আছিস আমি কোনো দায়িত্বের কথা ভাবতেই চাই না।”

_____________

কিছুদিন পর নিলীমার মেয়ের পঞ্চম তম জন্মদিন। নবীনের ধারণা ভাগ্নীর জন্মদিনের দায়িত্ব তার ঘাড়েই পড়বে। নিলীমার এবার বাবারবাড়ি আসার কারণটাও হয়তো তাই। সকালে অফিসে আসার সময় ভাগ্নী গলা জড়িয়ে ধরে জন্মদিনে পড়ার জন্য একটা প্রিন্সেস ড্রেসের আবদার করেছে। বাচ্চা মেয়েটাকে ফেরানোর সাহস নবীনের হয়নি। হাসিমুখে সায় দিয়ে বেড়িয়ে এলেও মনে মনে বেতনের টাকার বন্টন করে চলেছে।

লিখি ও নবীন অফিসে ঢুকলো একসাথে। নবীনের ভোতা মুখ দেখে লিখি বললো,
“কি ব্যাপার নবীন ভাই, আজ বেশ চিন্তিত লাগছে আপনাকে।”
“তেমন কিছু নয়।”
লিখি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে রইলো। মুখ দেখে বোঝা গেলো সে এমন উত্তরে খুশি হয়নি। নবীন প্রসঙ্গ বদলে বললো,
“আচ্ছা একটা পরামর্শ দাও।”

“কোন বিষয়ে?”

“আমার কাছে টাকা থাকলে আমি কখনো ভিক্ষুকদের ফিরাই না। কিন্তু মাস শেষে যখন পকেটে টান পড়ে তখন যদি ফকির এসে হাত পাতে কিভাবে ফিরাই?”

লিখি শব্দ করে হেসে উঠলো। বললো,
“মাসের শেষে আমার কাছেও অনেক সময় টাকা থাকে না। তখন ভিক্ষুকদের দেখলে এই ভেবে শান্তি পাই যে পৃথিবীতে আমার চেয়েও গরীব আছে। আপনিও চাইলে এভাবে ভাবতে পারেন।”

নবীন মলিন হাসি দেয়। এই মেয়েটাকে তার পছন্দ।অফিসে এত এত মানুষের মাঝে এই একটা মেয়েকেই সে স্নেহ করে। মাঝে মাঝে টুকটাক মনের জমানো কথাও বিনিময় করে। আর যা বিনিময় করতে পারে না লিখি বুঝে নেয়। বুঝে নিতে পারে বলেই বয়সের বিস্তর তফাৎ থাকা সত্ত্বেও লিখি নবীনের ওপর ঠাট্টা, তাচ্ছিল্য কিংবা রাগ ঝাড়লেও সে কিছু মনে করে না। শুধু মাঝে মাঝে আফসোস হয়। ইশ! যদি নিলী, নিধিরাও এভাবে একটু ওকে বুঝতো! পরিবারের এই বুঝতে না পারার দায়টাও নবীন নিজের কাধে তুলে নিয়েছে। হয়তো সেই বোঝাতে সক্ষম নয়।

বাইরে তখন রৌদ্রস্নাত দিন। তাপের তীক্ষ্ণতা চোখ দিয়েই অনুমান করা যায়। লিখি হঠাৎ চনমনে গলায় বললো,
“নবীন ভাই, আপনাকে আমি উকিল বাবা বানাবো ভাবছি।”
“কি?” নবীন আঁতকে উঠলো।
“আমার বিয়েতে আপনি উকিল বাবা হবেন।”
“ধ্যাৎ! সবসময় কেনো ঠাট্টা করো আমার সাথে?”
“আমি সত্যি বলছি।”
“অসম্ভব।”
“উহু, এটাই ফাইনাল।”

লিখি ঠোঁট টিপে হেসে চলে গেলো। নবীনের মন খারাপ হলো। সারাটা দিন সে আর কাজে মন বসাতে পারলো না। বারকয়েক ভুলও করে ফেললো। এরমাঝে লিখির সাথে আর একবারও কথা হলো না। বিকেলে লিখি অনেকটা আগেই দরকার আছে বলে অফিস ছেড়েছে। বিধ্বস্ত দিনের শেষে নবীন যখন বাসার পথে রওনা হলো লিখি কল দিলো। বললো,
“আপনার একটা সাহায্য চাই।”
“কি সাহায্য?”
“মুনিয়া আপুকে শপিংয়ে ডেকেছিলাম। ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা গড়াবে ভাবিনি। আপুকে একটু বাড়ি পৌঁছে দিতে পারবেন? জানেন তো পথটা সুনসান, ভালো না। আপুকে একা ছাড়তে চাইছি না। আমার উল্টোপথ হয় বলে আপনাকে জানালাম আরকি। ব্যস্ত থাকলে সমস্যা নেই।”
লিখি ফোন রাখার আগে নবীন জানালো,
“অপেক্ষা করো, আমি আসছি।”

লিখির থেকে বিদায় নিয়ে মুনিয়া ও নবীন একই রিক্সায় উঠলো। লিখির মাধ্যমে ওদের দুজনের আগে পরিচয় হয়েছে। দেখাও হয়েছে বেশ কয়েকবার। তবুও দুজনের মাঝে বেশ জড়তা আছে। পাশাপাশি বসে নিজের মেদবহুল দেহের জন্য মুনিয়ার বারবার মনে হচ্ছিলো তার বোধহয় যায়গা বেশি লাগছে, লোকটা হয়তো ঠিকমতো বসতে পারছে না। তাই বারবার সরে গিয়ে চেপে বসছিলো। নবীন তা বুঝতে পেরে বললো,
“এদিকে এত যায়গা থাকতে এভাবে সরে বসছো কেনো, মুনিয়া? পড়ে যাবে তো।”
মুনিয়া ইতস্তত করে বললো,
“আমি ঠিক আছি।”
“আমার গা থেকে কি গন্ধ আসছে? আসলে অফিসের ঘামা পোষাকেই চলে এসেছি তো। একটু মানিয়ে নাও।”

এ কথায় কাজ হলো। মুনিয়া নবীনের দিকে একটু সরে এসে বসলো। চলন্ত রিক্সায় সাঁ সাঁ করে বাতাসের ঝাপটা লাগছে। মুনিয়ার কানের পিঠে গুজে রাখা একগাছি অগছালো চুল হাওয়ার ছন্দে ছন্দে নবীনের ঘাড় স্পর্শ করছে। নবীন বললো,
“ওড়নার আঁচলটা সাবধানে রেখো। চাকায় যেন না যায়। আজকাল কিন্তু জামাকাপড় চাকায় ঢুকে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে।”
মুনিয়া গোছানো আঁচল আরেকবার ঘুছিয়ে কোলে রাখলো। রুদ্ধস্বর ভেঙে বললো,
“আপনাকে কষ্ট দিচ্ছি। এইটুকু পথ একাই যেতে পারতাম। আসলে লিখির কথা শুনে বিকেলে শপিংয়ে এসে আমারই ভুল হয়েছে। মেয়েটা শুধু শুধু আপনাকে ডেকে আনলো।”

মুনিয়া কথা বলার সময় নবীন ওর দিকে তাকিয়ে দেখছিলো। সন্ধ্যার অস্তিত্বহীন আবছা আলোয় কৃষ্ণ বর্ণের মুখে মেয়েটার মনের সব জড়তা, ইতস্ততভাব, লজ্জা স্পষ্ট ফুটে উঠছিলো। কথা শেষে মুনিয়া একপলক নবীনের দিকে তাকালো। দৃষ্টিতে দৃষ্টি মিলতেই মুনিয়ার চিবুক নত হলো। নবীন ক্রমশ ঘন হওয়া আধারে চোখ মেলে বললো,
“ভাগ্যিস ডাকলো। অনেকদিন পর আলো আধারের দোদুল্যমান সন্ধ্যাটুকু উপভোগ করছি।”

এরপর দুজনের তেমন কথা হলো না। বিশাল আকাশে জোনাকির মতো টিমটিমে তারা জ্বলছে। লজ্জাবতী চাঁদ মেঘের আড়ালে নিজেকে মুড়িয়ে নিয়েছে। আধারে নিমজ্জিত পৃথিবীতে ডুবতে ডুবতে নবীন আবিষ্কার করলো আধারেরও একটা রূপ আছে। চোখ জুড়ানো, মন হারানো রূপ। যে রূপের নিজস্ব ভাষা আছে। সেই ভাষা খুব গোপনে নবীনের কানে ফিসফিস করে কিছু বলে যাচ্ছে। হয়তো মুনিয়াকেও বলছে।

রিক্সা গন্তব্যে পৌঁছাতে মুনিয়া নেমে পড়লো। ধন্যবাদ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ালে নবীন পিছু ডেকে বললো,
“লিখি কে বলে দিয়ো আমি তার বিয়েতে উকিল বাবা হতে রাজি নই।”

_____________

রাসিফ-লিখির বিয়ের তারিখ ঠিক হয়ে গেছে। রাসিফ ধানাইপানাই করেও মাকে বুঝ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ওর কাছে বিয়ে ভাঙার জোড়ালো কোনো কারণ না থাকায় জাহানারা নিজের মতে অটুট ছিলেন। রাসিফ ভেবেছিলো লিখি যে করেই হোক বিয়েটা ভাঙবে। কিন্তু আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো মেয়েটার মাঝে তেমন কোনো লক্ষণই দেখা গেলো না। আর না কোনো চেষ্টা। বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ার পর রাসিফ একেবারেই হাল ছেড়ে দিলো। তবুও মনের কোথাও ক্ষীণ আশা পুষে রাখলো লিখি হয়তো শেষ মুহূর্তে এসে বিয়েটা ভাঙবে।

বর-কনের বিয়ের শপিং করতে দুই পরিবার একত্রে বের হয়েছিলো আজ। যথারীতি সেখানেও লিখিকে বেশ ঠান্ডাই দেখা গেলো। হেসে হেসে সবার সাথে কথা বললো। তবে রিথী ঠিকই সুযোগ বুঝে রাসিফকে ভেঙচি কাটলো। বিপরীতে রাসিফও ক্ষ্যাপাতে ছাড়লো না। শপিং শেষে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে সকলের জোড়াজুড়িতে রাসিফ ও লিখিকে আলাদা বসতে হলো। রাসিফ বললো,
“আপনি কি সত্যিই বিয়েটা করছেন?”
লিখি স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বললো,
“কোনো সন্দেহ আছে? অবশ্য আপনি ভাঙলে বিয়েটা নাও হতে পারে।”

রাসিফ উত্তর দিলো না। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ডেজার্টে মুখ মিষ্টি করে রাসিফ চেয়ারে হেলান দিয়ে বসলো। লিখির দিকে তাকিয়ে বললো,
“বিয়েটা যখন হচ্ছেই বিয়ের পর কিন্তু আমার কথা আপনাকে মানতেই হবে।”
“কি কথা?” লিখি ভ্রু কুচকায়।
“বিয়ের পর আপনি চাকরি করতে পারবেন না।”
“আর?”
“আমাদের বাড়িতে কাজের লোক নেই। যদিও এখন নানি আছে বলে ওনার সহযোগীকে পাওয়া যাবে। কিন্তু সেটা সাময়িক। সুতরাং ঘরের কাজ আপনাকেই সব করতে হবে।”
“আর?”
“ভাবছি একটা গরু এবং কয়েকটা ছাগল পালবো। আমার অনেকদিনের শখ গরু-ছাগল পালন করার। আমার বউ হিসেবে আপনাকেই গরু, ছাগলের মল-মুত্র পরিষ্কার করতে হবে। দুইবেলা খেতে দিতে হবে। মাঝে মাঝে দুয়েকটা গুতোও সইতে হতে পারে।”
“আর কিছু?”
“মনে হলে বলবো।”
“আচ্ছা।”
“আপনি মানতে পারবেন তো সব?”

রাসিফের ধারণা এসব শুনে লিখি সামান্য হলেও চিন্তিত হবে। বিয়েটা করবে কিনা ভাববে। লিখি মুচকি হাসলো। খানিক পেস্ট্রি মুখে পুরে বললো,
“আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে একটি অসহায়, সম্বলহীন মেয়েকে বিয়ে করে উদ্ধার করছেন। যার ফলে মেয়েটা আপনার প্রতি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে। সব কথা অক্ষরে অক্ষরে মানবে। আপনার কথা মানা না মানা তো সময়ের ব্যাপার। বিয়ের পর কে কার অধীনস্থ হয় সেটা সময়ই বলবে।”
লিখি উঠে চলে গেলো। রাসিফ তন্ময় হয়ে ভাবে সে লিখিকে দ্বিধায় ফেলতে পারলো নাকি মেয়েটা তাকে উল্টো দ্বিধায় ফেলে গেলো!

রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে দুই পরিবার বিদায় নিয়ে গাড়িতে উঠতে লাগলো। লিখি মেইনরোডের সাথে দাঁড়িয়ে ছিলো। রাসিফ পাশে এসে হাসি হাসি মুখে বললো,
“একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন? আজকে কিন্তু আমাদের সাক্ষাতে কোনো বিপদ আসেনি।”

কথাটা মুখ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই রাসিফের পায়ের ওপর দিয়ে যাত্রীহীন চলন্ত রিক্সা ছুটে গেলো। রাসিফ স্তম্ভিত হয়ে রিক্সার গমনপথে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। রুনি ছুটে এসে বললো,
“ভাই, তুই ঠিক আছিস? কোথায় লেগেছে?”

লিখি ঠোঁট টিপে হাসি আটকিয়ে বললো,
“চিন্তা করবেন না আপা। আপনার ভাইয়ের কিছুই হয়নি। বরং ওনার কো’দালের মতো পা আর কু’ড়ালের মতো পায়ের আঙুলের ওপর দিয়ে যাওয়ার ফলে রিক্সার চাকাই বোধহয় আহত হয়েছে। দেখুন রিক্সাটা কেমন কাঁপতে কাঁপতে যাচ্ছে।”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here