শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
Part..19
#Maishara_Jahan
রিমান রাগে রুহির বাহু দুটো চাপ দিয়ে ধরে। রুহি ব্যাথা অনুভব করে বলে,,,,,, হাতের চাপটা হঠাৎ বাড়িয়ে দিলেন যে, আপনার হিংসে হওয়ার তো কোনো কারন নেয়। আর আপনার হাতটা সরান পিল্জ আমারকে অন্য কেও টাচ করোক আমি তা চাই না।
অন্য কারো আসার আওয়াজ পেয়ে রিমান রুহিকে ছেড়ে একটু দূরে গিয়ে দাড়ায়। একটু পরে মেরিন রুমে প্রবেশ করে। মেরিনকে দেখে দুজনেই অভাক। রুহি ভেবেছে রিমান মেরিনকে ডেকেছে। রুহির চোখে হালকা পানি এসে পড়ে।
মেরিন এসেই রিমানকে জরিয়ে ধরে বলে,,,,,আমি তোমাকে কতো মিস করছি জানো।
রুহির চোখের পানি গড়িয়ে পড়ে যায়, রুহি তাড়াতাড়ি করে চোখের পানি মুছে পিছনে ফিরে যায়।রিমান রুহির দিকে তাকিয়ে আছে। রিমান মেরিনকে ছুটায়।
মেরিন,,,,,,,,আরে রুহি তুমি লজ্জায় পিছনে ফিরে গেলে নাকি। শুধু জরিয়েই ধরেছি অন্য কিছু না। আর এতে এতো লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই। এটা তো নরমাল।এদিকে তাকাও।
রুহি নিজেকে সামলে নিয়ে তাদের দিকে তাকায়। রিমান রুহুি থেকে চোখ সরিয়ে মেরিন এর দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,,,, তুমি এখানে।
মেরিন,,,,,,,, আমি তো একদিনের জন্য একটু বাহিরে গিয়েছিলাম আর এখানে এসে তোমাকে ফোন এ পাচ্ছি না, জানতে পারলাম তুমি এখানে তাই এসো পড়লাম।তাছাড়া রুহিকেও দেখতে আসার ইচ্ছে ছিলো। রুহি তুমি এখন কেমন আছো।
রুহি,,,,,,,,, অনেক ভালো আছি,, এই তো কিছু দিন পরে আমার আর সৌরভের বিয়ে, হয়তো তোমাদের আগে হবে, দাওয়াতটা সবার আগে তোমাকেই দিলাম, রিমান ভাইয়ার হবু বউ বলে কথা (রিমানের দিকে তাকিয়ে)
মেরিন,,,,,,, ওহহ ওয়াও,, কংগ্রেসের।
রুহি,,,,,,থেংস।
মেরিন,,,,,,,,,ডোন্ট মাইন্ড,, আমি কি রিমানকে নিয়ে যেতে পারি।
রুহি,,,,,,,,, আমাকে কেনো জিজ্ঞেস করছো, তোমার হবু হাসবেন্ড তোমার মানুষ তুমি নিয়ে যাবে, এতে আমি কেনো মাইন্ড করবো, আমার হাসবেন্ডকে তো আর নিয়ে যাচ্ছো না। আর তাছাড়া তোমরা গেলে আমি সৌরভের সাথে কথা বলতে পারবো।
রিমান রাগে রুহির দিকে তাকায়।
মেরিন,,,,,,,ওহহ এই জন্য আমাদের যেতে বলছো হবু বরের সাথে মিটি মিটি কথা বলবা।অবশ্য আমরাও এর জন্যই যাচ্ছে, একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে প্রেম করবো, কি বলো রিমান।
রিমান,,,,,,,,,, (এমন ভাবে বলছে যেনো প্রেম না লুডু খেলবে)
রুহি,,,,,,,,, ওহহ ভালো তাহলে যাও।
মেরিন রিমানকে হাতে ধরে নিয়ে যেতে থাকে, রিমান এক হ্রাস বিরক্তি নিয়ে মেরিনের সাথে যেতে থাকে। আহান আর রুহি দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলো। মেরিন রিমানকে নিয়ে চলে যায়। রুহি অনেক কষ্টে নিজের চোখের পানি আটকে রাখে।
আহান রুহির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ওর মাথায় হাত রাখতেই রুহি আহানকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে। রুহি জোরে জোরে কান্না করছে, আহান রুহিকে ধরে সান্ত্বনা দেয়, আর দিয়া এসে তাদের পাশে দাঁড়ায়।
রুহি কান্না করতে করতে বলে,,,,,,,,, ভাইয়া রিমান এমন কেনো করলো আমার সাথে। সেই ছোট থেকে ভালোবাসি আমি ওকে। আমার সব স্বপ্ন ওকে নিয়েই ছিলো। ওকে অন্য কারো হতে আমি দেখতে পারবো না। এটা সহ্য করতে পারবো না ভাইয়া,, আমি মরে যাবো ভাইয়া রিমানকে না পেলে। আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। (জোরে কান্না করে বলছে)
আহান,,,,,,,,,রুহি কান্না থামা বোন,, রিমানকে কি দিয়ে বুঝাবো এটাই বুঝছি না।
রুহি,,,,,,,,, আমি এমন কি করছি যার জন্য ও আমাকে এভাবে শাস্তি দিচ্ছে।
আহান,,,,,,,, না চাইতেও তুই একটা ভুল তো করে ফেলেছিস।
রুহি আহানের বুক থেকে মাথাটা তুলে বলে,,,,,,,,, কি ভুল করেছি আমি। আমাকে এখনি বলো। আমি শুনতে চাই কি এমন দোষ করেছি যেটা আমি জানি না।
আহান,,,,,, তোর যখন চার বছর বয়স তখন আমরা সবাই একটা ফার্ম হাউজে বেরাতে যায়। তোকে অনেক মানা করা সর্তেও তুই এদিক সেদিক ছুটো ছুটি করছিলি। হাউজে কারেন্টের সমস্যা হওয়ায় রিমানের বাবা ঠিক করছিলো আর আন্টি ওনাকে সাহায্য করছিলো।
তুই দুষ্টমি করতে করতে মেইন সুইচ অন করে দিয়েছিলি আর আংকেলকে সেখানে কারেন্ট এ ধরে, আন্টি আংকেলকে বাঁচাতে গিয়ে ওনিও এর শিকার হয়। কারেন্ট অনেক তীব্র ছিলো তাই দুজনে ছিটকে পড়ে যায়, আর আমরা কিছুই করতে পারনি। এাব কিছু রিমানের সামনে হয়। ঐ দিনি রিমান একা হয়ে যায়।
রুহি দুম মেরে দাঁড়িয়ে থাকে, মুখে কোনো কথা নেয়, শুধু চোখে নোনা জল। দিয়া রুহিকে গিয়ে ধরে।
রুহি,,,,,,,,, মানে আমার কারনে রিমানের মা বাবা মারা গেছে, ওর জীবন আমার কারনে এতো কঠিন হয়ে গেছে।
দিয়া,,,,,,,, কিন্তু এতে তোর কোনো দোষ ছিলো না, এটা ভুলে হয়ে গেছে। তুই তখন অভুজ বাচ্চা ছিলি।
রুহি,,,,,,,,কিন্তু এটা তো রিমান বুঝবে না,, এতোই যখন ঘৃনা করে তাহলে এতো সামলে রাখতো কেনো আমাকে, আগের মতোই খারাপ ব্যবহার করতো।
আহান,,,,,কারন আমি রিমানকে আমার কছম দিয়ে বলেছিলাম তোর খেয়াল রাখতে তোর পাশে থাকতে।
রুহি,,,,,,ওহহ আর এটাকে আমি ভালোবাসা মনে করতাম ওয়াও।
দিয়া,,,,,,,, ভালো তো তোকে রিমান বাসে কিন্তু মানতে চাই না।
রুহি,,,,,,,, আমি জানি না কি করবো, কি করা উচিত। আমি এখন রিমানের সামনে গিয়ে দাঁড়াবো কিভাবে। রিমান কোনো দিন আমাকে বুঝবে না৷ আমাকে দেখলে ওর মা বাবা মৃত্যুর কথা মনে পড়বে তাহলে কিভাবে আমাকে মেনে নিবে। আমি দুজনের হত্যাকারী।
আহান,,,,,,,আমার বোন জেনে শুনে কাওকে মারতে পারে না,এটা তাদের নিয়তি ছিলো যেটা কোনো না কোনো ভাবে হতো। আর এতে তোর কোনো দোষ নেয়। নিজেকে হত্যাকারী ভাবা বন্ধ কর। আমাদের এখন যেতে হবে তুই এসব না ভেবে চুপচাপ শুয়ে পড়। আর কান্না তো করাই যাবে না। (চোখের পানি মুছে দিয়ে)
রুহি,,,,,,,,, আমার জন্য চিন্তা করো না, তোমরা সাবধানে যাও।
দিয়া,,,,, ঠিক আছে, আর তুই ও তোর ভবিষ্যত নিয়ে ভাব অতীত নিয়ে নয় ওকে।
রুহি,,,,,, হুমম
আহান,,,,,,,, তাহলে কাল দেখা হচ্ছে,, চল দিয়া।
দিয়া,,,,, হুমম।
আহান আর দিয়া রুহির রুম থেকে বেরিয়ে হল রুমে যায়। সেখানে তার মা বাবা বসে আছে। আহান দাঁড়িয়ে দিয়াকে বলছে,,,,,,,দিয়া কাওকে বলে দে, আমি তো চলে যাচ্ছে তাই আমার বোনের যেনো ভালো করে খেয়াল রাখা হয়, রুহি এখন অনেক মন খারাপ তাই ওর খোঁজ নিতে।
বলে চলে যায়, দিয়া মাঝখানে দাঁড়িয়ে যায় যায় করছে,, একবার আাহনের যাওয়া দেখছে একবার খালু খালা মনিকে দেখছে, এখন কিছু বলবে নাকি বলবে না সেটা ভাবছে।
আহান পিছনে ফিরে দিয়ার দিকে তাকায়, আর দিয়া আর কোনো কথা না বলে সোজা আহানের কাছে চলে যায়। আহান আর দিয়া গাড়িতে বসে যেতে থাকে।
,,,,,,,,,
রুহির বাবা রুহির রুমে যায়, গিয়ে দেখে রুহি কান্না করছে। তার বাবা তাড়াতাড়ি ভিতরে যায়।
বাবা,,,,,,,,কি হয়ছে রুহি মা (রুহির পাশে বসে)
রুহি বাবা বলে কান্না করে তার বাবাকে জরিয়ে ধরে।
বাবা,,,,,,,,কি হয়েছে মা বলো, কেও কিছু বলে থাকলে এখনি বলো তাকে আমি ছাড়বো না।
রুহি শুধু কান্না করে যাচ্ছে, কোনো কথা বলতে পারছে না।
বাবা,,,,,,,,, মা তুই এভাবে কান্না করিস না, তুই শুধু বল কি হয়েছে।
রুহি,,,,,,, আমি দুজনের হত্যাকারী এটা জানার পর কান্না করবো না।
,,,,,, মানে,, তুমি আবার কাকে মেরেছো,, এটা তো হতেই পারে না৷
,,,,,,,,ছোট বেলায় আমি রিমানের মা বাবাকে মেরে ফেলেছি এটা আমাকে কেনো আগে বলোনি।
,,,,,,,,, কে বলেছে এটা তোকে।
,,,,,,,, যেই বলে থাকুক মেরেছি তো আমি নাকি। আমিই তো বেশি দুষ্টমি করতে গিয়ে সুইচ অন করে দেওয়ার কারনে রিমানের মা বাবা মারা গেছে।
,,,,,,,,,, অর্ধেক সত্যি কারো জন্য ভালো না। তোমার কারনে কিছু হয়নি। তুমি যেই সুইচে চাপ দিয়েছো সেটা নষ্ট ছিলো। রিমানের বাবা যখন ঠিক করছিলো, তখন সে দেখতে পায়নি যে একটা তার ছিড়া ছিলো, সে সেখানে হাত দিয়ে দেয়, আর ঠিক সে সময় তুমিও সুইচে চাপ দেও, তাই এমন মনে হয়েছে।
রুহি তার বাবার বুক থেকে লাফ দিয়ে উঠে বলে,,,,,,,,হেহহ তার মানে আমার হাতে ওরা মরে নি।
বাবা,,,,,,,, না।
রুহি খুশিতে উঠে একটা লাফ দিয়ে বলে,,,,,,,,তার মানে আমার কোনো দোষ নেয়, সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
রুহি তার চোখ মুছে নেংড়াতে নেংড়াতে সামনে যেতে থাকে।
বাবা,,,,,,,কোথায় যাস এখন।
,,,,,,,আরে বাবা অনেক জরুরি কাজ আছে,, আমি এখনি আসছি, পিল্জ আমাকে আটকানোর চেষ্টা করবে না।
বলে ভাঙা পা নিয়ে জোরে জোরে যেতে থাকে। গাড়িতে বসে গাড়ি স্টাট করে। কিছু ক্ষন পর একটা রেস্টুরেন্ট এ এসে পৌঁছায়। রুহি খুশি হয়ে যেতে থাকে, রেস্টুরেন্টের ভিতরে গিয়ে আশেপাশে খুঁজতে থাকে, রুহি উল্টো দিকে তাকাতেই থম মেরে দাঁড়িয়ে যায়। চোখ দিয়ে পানি নিজের অজানতেই পড়ে যায়।
মেরিন রিমানকে কিস করছে, মেরিন রিমানের গালে কিস করছে উল্টো পাশে দাঁড়িয়ে থাকার কারনে রুহি মনে করেছে ঠোঁটে কিস করছে। এটা দেখার পরে রুহির আর সেখানে থাকার ক্ষমতা নেয় সে চলে যায়।
,,,,,,,,
রিমান রুহিকে ধাক্কা দিয়ে বলে,,,,,,,, মেরিন কি করছো।
মেরিন,,,,,,,, কেনো তোমার ভালো লাগেনি।
,,,,,,,,, আমার এসব ভালো লাগে না, তাছাড়া আমাদের এখনো বিয়ে হয়নি (রাগে বলে)
,,,,,,,,, সরি,, তোমার খারাপ ছিলো, চুপচাপ বসে ছিলা তাই ভাবলাম হয়তো তোমার ভালো লাগবে।
,,,,,,,,,,পিল্জ রুহি (বলে চুপ হয়ে যায়)
,,,,,,,,, রুহি??
,,,,,,,,মানে মেরিন,, আমার না একটুও ভালো লাগছে না, পিল্জ আমি চলে যাচ্ছি, কাল দেখা হবে তোমার সাথে।
,,,,,,,, আমি যাবো কিভাবে, আমাকে ছেড়ে তো দিয়ে আসো।
,,,,,,,,তুমি আমার গাড়ি নিয়ে যাও,, (গাড়ির চাবি দিয়ে)
,,,,,,তাহলে তুমি যাবে কিভাবে।
,,,,,,তুমি চিন্তা করো না, আমি পারবো।
দুজনে বেরিয়ে আসে, মেরিন গাড়ি নিয়ে চলে যায়। রিমান রাস্তায় হাঁটছে, মনটা বেশ খারাপ। কিছু একটা গভীর চিন্তা করছে আর হাটছে। একটু পর তার চোখের সামনে একটা গাড়ি দেখা যায়।
রিমান,,,,,,,, গাড়িটা চিনা চিনা লাগছে, রুহির গাড়ি না এটা।
রিমান যায় গিয়ে দেখে রুহি বসে ঝিমুচ্ছে। রিমান রুহিকে কয়েক বার ডাক দেয়। রুহি ঘুম ঘুম চোখে গাড়ির দরজা খুলে।
রিমান,,,,,,, তুই এখানে কি করছিস, আর এমন করছিস কেনো।
রুহি,,,,,,,,,, আপনি আমার সাথে কথা বলবেন নান,,যাননএখান থেকে।
রিমান,,,,,,,, দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক ঘুম পেয়েছে, তা তোকে কি ঘর থেকে বের করে দিছে নাকি যে, রাস্তায় ঘুমাতে এসেছিস।
,,,,,,,,, আমি বাসায় যাবো, সরেন আপনি।
,,,,,,,এই অবস্থায় গাড়ি চালালে আর বাসায় ফিরতে পরবি না সোজা উপরে।
,,,,,,,,আমি মারা গেলে আপনার কি। আমি এখনি মরবো।
,,,,,,,,একটা থাপ্পড় মেরে তোর গাল লাল করে দিবো। নাম গাড়ি থেকে।
রিমান রুহিকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে, পাশে রাস্তার সাইডে বেঞ্চে নিয়ে যায়। গিয়ে জোর করে বসায়।
রিমান,,,,,,,, কি হয়েছে তোর তুই এমন করছিস কেনো।
,,,,,,,, চিন্তা করার কোনো দরকার নেয়, আমার ঔষধে স্ট্রং ঘুমের ঔষধ আছে, যেটা আমি খেয়েছি তাই অনেক ঘুম ধরছে।
,,,,,,,,কোন ধরনের ঘুমের ঔষধ (চিন্তার স্বরে)
,,,,,,,,, কি ভেবেছেন,ঘুমের ঔষধ খেয়ে মরে যাওয়ার চেষ্টা করবো, একদমি না৷ কিছু দিন ধরে ঘুম আসে না, তাই খাবারের পর পরেই ঘুমের ঔষধ খেয়েছিলাম।
,,,,,,,,তাহলে বাসা থেকে বের হলি কেনো।
,,,,,,সেটা বলতেই এসেছিলাম কিন্তু এখন আর না। ছাড়েন আমাকে আমি যেতে পারবো।
রুহি উঠতে নেয় রিমান জোর করে বসিয়ে দেয়।
রিমান,,,,,,, কিছু ক্ষন বসে থাক পড়ে যা, না হলে যেতে দিবো না, আর আমি যা বলি তাই করি কিন্তু।
রুহি,,,,,,, আমার সাথে বসে আর কি করবেন।
দুজন কিছু ক্ষন চুপচাপ বসে থাকে, রুহি রিমানের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে। রিমান রুহির দিকে তাকিয়ে থাকে, রিমানের চোখেও হালকা পানি এসে জমে যায়।
রিমান,,,,,,,,(আমি জানি তুই কেনো এসেছিস,আর তোর চোখের পানি বলে দিচ্ছে তুই কতোটা কষ্ট পেয়েছিস, মেরিন আমাকে কিস করার সময় আবার দেখে ফেলেনি তো, হয়তো বা)
চলবে,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।