#যদিও_অসময়ে_এসেছো_তুমি
#লেখিকা-সুমাইয়া_সেহরিন_সুইটি
পর্ব-২
আতিয়া রহমান মেয়ের রুমে এসে দেখলেন মেয়ে এখনো ঘুমাচ্ছে বেলা বাজে ১১ঃ৩০ এখনো স্নিগ্ধা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। স্নিগ্ধার বাবা মারা গিয়েছে ২বছর হচ্ছে।তারপর থেকেই স্নিগ্ধা ও তার মায়ের একা একা জীবন চলা।মাঝে মাঝে আতিয়া রহমানের কাছে এই জগত সংসার একদম শূন্য শূন্য লাগে। মেয়ের জন্যেই তার এই পৃথিবীতে বাচার ইচ্ছা হয়।স্নিগ্ধার বাবার স্বপ্ন ছিলো স্নিগ্ধা বড় হয়ে যেন নামকরা একজন ডাক্তার হয়।কিন্তু স্নিগ্ধার পড়ালেখার প্রতি একটুও মনোযোগ নেই।আতিয়া রহমান জানেন এই বয়সে মেয়েরা একটু এমনই হয়।কিন্ত স্নিগ্ধার তো বুঝতে হবে অন্য আর দশটা পরিবারের মতো না স্নিগ্ধার পরিবার।মেয়েটা যে কবে বুঝবে।আতিয়া রহমান মেয়েকে ডেকে উঠায়।
–এই স্নিগ্ধা উঠ,আর কতো ঘুমাবি।সব জালা আমার হয়েছে।তোর বাবা তো উপরে বসে বলছে কী শিক্ষা দিচ্ছি মেয়েকে,,,১২ টা বাজছে এখনো পরে ঘুমাচ্ছে,,,
—উহু মা,কি শুরু করছো সকাল সকাল,,,
—সকাল সকাল না,বেলা কয়টা বাজে চোখটা খুলে দেখ একটু,,,
—মা,,,
—এই উঠ,সাফরান এসেছে দেখ,,,
স্নিগ্ধা সাফরানের কথায় চোখ মেলে তাকালো তারপর লাফ দিয়ে বিছানায় উঠে বসলো
—সাফরান ভাইয়া এসেছে?
আতিয়া রহমান এবার হেসে বললো “না আসে নাই,আমি একটু মিথ্যা বলেছি নাহয় আপনাকে আজ আর উঠানো যেতো না”
স্নিগ্ধা মায়ের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বলে “মা তুমিও মিথ্যা বলো ”
—তাছাড়া আর উপায় দেখছি না,আর শুনো তোমার কোচিং এ মাস থেকে বন্ধ করে দিয়েছে সাফরান। তোমাকে একটা মহিলা শিক্ষক এসে পরাবে।
কোচিং বন্ধের কথা শুনে স্নিগ্ধা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে।তারপর আতিয়া রহমানের কোলে শুয়ে পরে,,,
—কী রে করছিস কী উঠ,,,আবারো শুয়ে পরলি যে,,,
—ভালো লাগছে না আমার।
—কেনো কী হয়েছে,,?
—মা সাফরান ভাইয়া কেনো আমাকে এতো শাসন করে?কেনো এতো জালায় আমাকে বলোতো?
—বা’রে এ কেমন কথা,তোর বড় ভাই হয় তোকে শাসন করবে না।তাছাড়া তোর বাবা মারা যাওয়ার আগেই সাফরান আর সাফরানের বাবা’কে আমাদের দুজনের দায়িত্ব দিয়ে গেছে। অথচ দেখ তোর চাচাদের একটা বারও কী আমাদের খোজ খবর নেয়?তোর বাবা মানুষ চিনতো আর এজন্যই তোর মামা আর তোর সাফরান ভাইকে আমাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়।
—কী দরকার ছিলো বাবার,,,একটুও নিজের মতো করে থাকতে পারি না ওই রোবট লাল চোখ ওয়ালা ভাইয়ার জন্যে।
—কী যা তা বলচিস আমার সাফরান’কে নিয়ে,,
—হ্যা তোমার সাফরান।আর আমি তো পরের মেয়ে।
—তর্ক করিস না।তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে পড়তে বস। আমি নাস্তা নিয়ে আসছি।
আতিয়া রহমান রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।স্নিগ্ধা মাথায় হাত দিয়ে চিন্তা করতে থাকলো।কোচিং যাওয়া বন্ধ। আর টিচার রেখেছে মহিলা টিচার।যেন আমি পুরুষ টিচার রাখলে পালিয়ে যাবো।
——————————————–
রাগলে সাফরানের চোখ অসম্ভব রকমের লাল হয়ে যায়।আজোও সাফরান রেগে আছে।রাগের কারণ সাফরানের ছোট ভাই সাহিল।সাফরান দাতে দাত চিবিয়ে বলে,,
—অনেক বার বেরেছো তুমি সাহিল,মহল্লার ছেলেদের সাথে আড্ডা দাও,সিগারেট, ও খাও নাকি আজকাল শুনছি?
—-কসম ভাইয়া এসব মিথ্যা কথা,,
—চুপ।আজকের পর থেকে আমি ওই বাজে ছেলেদের সাথে দেখলে মেরে ওখানেই পুতে রেখে দিবো।যাও এখন পড়তে বসো।
সাহিল ভাইয়ের মেজাজ দেখে তাড়াতাড়ি কেটে পরলো।
সাফরান কী করবে বুঝতে পারছে না।এতো সব দায়িত্ব পালন করতে করতে সাফরান ক্লান্ত।কিন্তু তাও যদি সফল হতে পারতো।সব কয়টা তো এখন বিপথে চলে যাচ্ছে।সাফরান রেডি হয়ে দোকানের উদ্দেশ্যে বের হলো।সাফরানের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় এখন বিজনেস,বাড়ির সবার দায়িত্ব এখন সাফরানের কাধে এসে পড়েছে।তাছাড়া সাফরানের পড়ালেখাও শেষ। এখন অন্যের চাকরি না করে নিজের বাবার ব্যবসায় দেখাশোনা করাই উত্তম।শহরে চারটা বাইকের শো-রুম আছে সাফরানের বাবার।এখন সাফরানই সব দেখা শোনা করে।
সাফরান বাইকে স্টার্ট দিতেই সাফরানের মা ডাক দিলো।
—কী’রে টেবিলে খাবার দিয়েছে,খেয়ে যা,,,
—না মা,ক্ষিদা নেই।তোমার ছেলেকে দেখে রাখিও আমি দোকানে যাচ্ছি।
সাফরান বাইক উড়িয়ে চলে যায়।হঠাৎ বাইকের সামনে ফাহিমা এসে দাঁড়ায়।
—-ভাইয়া দাড়াও,,,
—হ্যা বল,,
—কোথায় যাচ্ছো?
—কাজে।
—কী কাজে?
—তোর জেনে কাজ নেই।
—আমার জেনে কাজ আছে।
–কী কাজ শুনি?
—না এখন বলবো না।
—তাহলে সড়ে দাড়া সামনে থেকে আমার এখন তাড়া আছে,,,
ফাহিমা সাফরান কে কিছু বলতে যাবে।তার আগেই সাফরান বাইক পাশ কাটিয়ে চলে গেলো।
ফাহিমা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সাফরানের যাওয়া দেখতে থাকলো।ফাহিমা সাফরান’কে পছন্দ করে।কে পছন্দ করবে না সাফরান কে।কত্তো হেন্ডসাম দেখতে,একদম নায়কদের মতো দেখতে।চেহারায় রাগী রাগী ভাব’টা আরো বেশি ভালো লাগে ফাহিমার।আর রাগলে যখন চোখ দুটো লাল হয়ে যায়। তখন আরো জোস লাগে।ফাহিমা কথাগুলো নিজের মনে মনে বলে হেসে উঠলো।
——————————
দোকানে এসে সাফরানের মন বসছে না। সাফরানের ফুপি আতিয়া রহমানের সাথে কথা বলেছে সাফরান।স্নিধা কী করছে পড়তে বসছে কিনা এসব।কিন্তু একটা দিন সাফরান স্নিগ্ধা কে না দেখে থাকতে পারে না।সাফরান ক্যাশে বসে মোবাইল বের করে স্নিগ্ধার ছবি দেখতে লাগলো।এই মায়াবী চেহারা’টা দেখলে সাফরান সব ভুলে যায়।মনের মাঝে একটা অন্যরকম প্রশান্তি খুজে পায় সাফরান। যদি স্নিগ্ধা তার ফুপাতো বোন না হতো।যদি স্নিগ্ধার বাবা সাফরান কে তাদের দায়িত্ব না দিতো।তাহলে হয়তো সাফরান এতোদিন স্নিগ্ধা কে জানিয়ে দিতো।সাফরান স্নিগ্ধাকে পছন্দ করে।নিজের মনে কথা গুলো ভেবেই সাফরান চমকে উঠে। কী ভাবছে এসব সাফরান। না সাফরান কিছুতেই এসব ভাবতে পারে না।স্নিগ্ধা শুধুই সাফরানের ফুপাতো বোন। আর সাফরান যা করছে তা কেবলই দায়িত্ব থেকেই করছে।দোকানে কাস্টমার আসতেই সাফরান মোবাইল পকেটে রেখে দিলো।
স্নিগ্ধা তার বান্ধুবী ফারজানার সাথে আজ রাতের প্ল্যান করতে লাগলো।তুই তাহলে সাইফ এর সাথে পালিয়ে বিয়ে করতে চাচ্ছিস।
—-পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই স্নিগ্ধা। বাবা বিয়ে ঠিক করে রেখেছে আর সাইফের সাথে বাবা কখনো বিয়ে দিবে না।
—ভেবে দেখ,তুই যা করবি আমি তোকে সাপোর্ট করবো।কিন্তু তারপরও ভাব।
—আমি অনেক ভেবেছি স্নিগ্ধা। সাইফকে ছাড়া আমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবো না। সাইফ বলছে আমাকে রেডি হয়ে থাকতে রাত ১টার দিকে ও ব্রীজের নিচে চরে আসবে।আমাকে অপেক্ষা করতে বলছে।
—ঠিকাছে তুই যাওয়ার সময় আমাকে ফোন দিস।তুই আমার বেস্টু তোর পাশে আমি সব সময় আছি।
খুশিতে ফারজানা স্নিগ্ধা কে জড়িয়ে ধরলো।
—তোকে অনেক মিস করবো রে স্নিগ্ধা।
————————————–
বিছানায় শুয়ে সাফরান এপাশ ওপাশ করছে।কিছুতেই সাফরানের চোখে ঘুম আসছে না।এমনতো হয় না কখনো। দোকান থেকে এসে খাওয়া দাওয়া করে বিছানায় শুয়ে পরলেই সাফরান গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়।কিন্তু না আজ বুকে কেমন চিনচিন ব্যাথা হচ্ছে।সাফরান বিছানা থেকে উঠে গ্লাসে পানি ঢেলে পান করলো।রুমের মধ্যে পায়চারি করলো কিছুক্ষণ। না তারপরও চিনচিন ব্যাথা রয়েই গেছে।সাফরান দোকানের হিসাবের খাতা নিয়ে বসলো।কিন্তু তাতেও মন বসলো না।মোবাইল বের করে সাফরান স্নিগ্ধার মোবাইলে কল দিলো।স্নিগ্ধা মোবাইল রিসিভ করছে না।সাফরান জানে স্নিগ্ধা অনেক রাত করে ঘুমায়।কিন্তু আজ কী স্নিগ্ধা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েছে।রাত ১২ঃ৩০ বাজে স্নিগ্ধা ফোন রিসিভ কেনো করছে না।সাফরান জ্যাকেট নিয়ে তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেলো।স্নিগ্ধার বাড়ির উদ্দেশ্যে। আরো কয়েকবার স্নিগ্ধা কে ফোন দিলো সাফরান।এবারো রিসিভ করছে না।ব্রীজের পাশ দিয়ে বাইকটা চালানোর সময় দুইটা নারী মূর্তি কে দেখতে পেলো ব্রীজের নিচে বালুচরে। কিন্তু সাফরান ওতটা পাত্তা দিলো না।এতো রাতে মেয়ে গুলা এখানে কী করে,যদিও চেহারা দেখে নাই।যুগ খারাপ হয়ে যাচ্ছে।এদের সাহস দেখে আমার নিজের ই ভয় হচ্ছে। কথাগুলো মনে মনে বলে সাফরান বাইক চালাচ্ছে।কিছুক্ষণের মধ্যে সাফরান স্নিগ্ধা’দের বাড়ির সামনে চলে আসলো।বাইক থেকে নেমে স্নিগ্ধার ব্যল্কনির দিকে তাকালো।এই ব্যাল্কনি দিয়েই উঠতে হবে স্নিগ্ধার রুমে।হঠাৎ একটা দমকা বাতাসে স্নিগ্ধাদের বাড়ির সদর দরজা খুলে গেলো।সাফরান বিষ্ময় চোখে দরজার সামনে দাড়িয়ে রইলো।এতো রাতে স্নিগ্ধার বাড়ির দরজা খোলা কেনো?সাফরান বাড়ির ভেতর গেলো।তারপর স্নিগ্ধার আম্মুর রুমে গিয়ে দেখলো আতিয়া রহমান ঘুমাচ্ছে।অত:পর সাফরান স্নিগ্ধার রুমে গেলো।রুমের দরজা খোলা আর স্নিগ্ধা রুমে নেই।সাফরান মাথায় হাত দিয়ে বসে পরলো।এতো রাতে স্নিগ্ধা কোথায় গেছে।সাফরান বুঝতে পারলো স্নিগ্ধা বাড়িতে নেই।সাফরান তাড়াতাড়ি বাইরে এসে বাইকে নিয়ে আবারো ব্রীজের দিকে রওনা দিলো।কেনো জানি মনে হচ্ছে স্নিগ্ধা ব্রীজের নিচের সেই বালুচরেই আছে।সাফরানের মাথায় খুন চেপে গেছে এতো রাতে স্নিগ্ধা বাড়ির বাইরে এ যেন সাফরান কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।বাইকের গতি বাড়িয়ে সাফরান কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসলো ব্রিজের কাছে,দূর থেকেই সাফরান স্নিগ্ধার চিৎকার শুনছে পাচ্ছিলো।সাফরানের বুকের ব্যাথা’টা আবারো বেড়ে গেলো।সাফরান ব্রীজের নিচে এসে দেখলো একটা মাতাল ধরনের ছেলে ফারজানার গলায় ছুড়ি ধরে রেখেছে।আর স্নিগ্ধা হাতে একটা ব্যাগ নিয়ে চিৎকার করছে।সাফরান ফারজানা কে চিনে।স্নিগ্ধার ক্লাসমেট ফারজানা। স্নিগ্ধাদের বাড়ির পাশেই ফারজানা দের বাড়ি।সাফরান বাইক’টা আগেই সাইডে রেখে এসেছে।এখনো কেউ সাফরান কে দেখে নাই।
—-স্নিগ্ধা পাগলামি করিস না।তাড়াতাড়ি তোর হাতের ব্যাগ’টা আমাকে দিয়ে দে।নাহয় তোর বেস্ট ফ্রেন্ডের গলায় এখনি চাকু চালিয়ে দিবো।
—প্লীজ সাইফ ছেড়ে দে ফারজানা কে,তুই না ফারজানা কে ভালোবাসিস?
—-হাহাহহাহা,,আমি মাতাল ছেলে আমার আবার ভালোবাসা তাড়াতাড়ি ব্যাগ দে, ওই ব্যাগে সোনা দানা আর নগদ টাকা আছে,ফারজানা আমার জন্য নিয়ে এসেছে।
—না স্নিগ্ধা দিবি না,ওখানে আমার আম্মুর শেষ সম্বল আছে।যা আমি এই বেঈমানের জন্য নিয়ে এসেছি।দিস না আমার জীবন চলে গেলেও দিস না,,,
—-এই চুপ,একদম চুপ।মরার ইচ্ছা জেগেছে, তাহলে মর,,,
সাইফ চাকু’টা ফারজানার গলার একদম কাছে নিয়ে গেলো।
স্নিগ্ধা চিৎকার দিয়ে উঠলো আর তখনি সাইফ একটা আর্তনাদ করে উঠলো। পিছন থেকে কেউ সাইফের মাথায় আঘাত করেছে।সাইফ চাকু ফেলে দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ফারজানা দৌড় দিয়ে স্নিগ্ধার কাছে যায়। দুজনে সাফরান কে দেখে অবাক হয়ে আছে।এদিকে সাইফ মাথায় হাত দিয়ে উঠে দাঁড়ায় তারপর সাফরান কে আক্রমণ করে।সাফরান সাইফের হাত ধরে সাইফের হাত মুচড়ে দেয়।ব্যাথায় চিৎকার করে উঠে সাইফ।সাফরান সাইফের মুখে ক্রমাগত ঘুষি দিতে থাকে।সাইফের নাক ও মুখ থেকে রক্ত চলে আসে।উপায়ন্তর না দেখে সাইফ দৌড়ে পালায়। সাফরান এবার ফারজানা ও স্নিগ্ধার দিকে এগিয়ে আসে।ভয়ে স্নিগ্ধা ফারজানার পিছনে লুকায়।আজ সাফরান ভাই থেকে তাকে কেউ বাচাতে পারবে না।মনে মনে স্নিগ্ধা আল্লাহ’কে ডাকতে থাকে।এবারের যাত্রায় বাচলে এমন ভুল আর কখনো করবে না স্নিগ্ধা,,,
—তোমরা এখানে কী করছিলি এতো রাতে?
সাফরান দুজনকে চুপ করে থাকতে দেখে আবারো গর্জন করে উঠলো।
–Answer me damn। what were you doing here?
সাফরানের কথায় স্নিগ্ধা কেপে উঠলো। স্নিগ্ধার মনে হলো শুধু স্নিগ্ধা না।এই ব্রীজ’টা সহো যেন কেপে উঠেছে। সাফরান ভাইয়ার চোখের দিকে তাকাতে পারছে না স্নিগ্ধা লাল আগুনের মতো ফুল্কি বের হচ্ছে দুচোখ থেকে।
—ভা,,ই,,ইয়া,,, আ,আমরা
—চুপ।
স্নিগ্ধা আমতা আমতা করছে কিন্ত গুছিয়ে কিছু বলতে পারছে না।
——let me know clearly কী করছিলি এতো রাতে এখানে?
ভয়ে স্নিগ্ধা কান্না করে দিলো
—এই চুপ একদম চুপ।ন্যাকা কান্না এগুলা করবি না।এই ফারজানা তুমি বলো কী হয়েছে এতো রাতে এখানে কেনো এসেছো?আর একটু আগে যে ছেলেটা তোমাকে মারার চেষ্টা করেছে ও কে?
ফারজানা ভয়ে ভয়ে সাফরান কে সব বলতে লাগলো ” আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে আসছি,আর একটু আগে যে আমাকে মারার চেষ্টা করছিলো ও আমার বয়ফ্রেন্ড,আমাদের কথা ছিলো আমরা আজ পালিয়ে যাবো,কিন্তু ও আমাকে ঠকিয়েছে।
ফারজানা আর কথা বলতে পারলো না।কান্নায় ভেঙে পরলো।সাফরান বুঝতে পেরেছে ব্যপার’টা।সাফরানের অনেক রাগ উঠে আছে মাথায়।কিন্তু সাফরান ফারজানার কষ্ট’টা বুঝতে পেরেছে আর তাই কিছু বলে নাই।
—তোমাকে আর কী বলবো ফারজানা। কারণ তুমি নিজেই শিক্ষা পেয়েছো।আমি জানি এমন ভুল আর কখনো করবে না তুমি।শুধু একটা কথা বলে রাখি মা বাবার অবাধ্য হয়ে,তাদের কষ্ট দিয়ে তুমি কখনো সুখী হতে পারবে না।ভালো থাকতে পারবে না।
সাফরান,ফারজানা আর স্নিগ্ধা’কে বাইকে বসিয়ে স্নিগ্ধা’দের বাড়ির দিকে গেলো।
(চলবে)
দুঃখিত অসুস্থতার জন্য গল্প’টা পোস্ট করতে পারছি না।গল্পটা কেমন লাগছে সবার কাছে কমেন্টস করে জানাবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।আর আমার ভৌতিক গল্পের পাঠক’দের বলছি,আমি ভূতের গল্প লেখা ছেড়ে দিই নাই।একটু ফ্রী হয়ে নেই।খুব শীগ্রই নতুন ভৌতিক গল্প পাবেন।