#যদিও_অসময়ে_এসেছো_তুমি
#লেখিকা_সুমাইয়া_সেহরিন_সুইটি
#পর্ব-১০
কলেজ গেটে এসে থমকে দাঁড়ায় স্নিগ্ধা আজকে যে ক্লাস হবে সেই ক্লাসের বই গুলোয় তো আনে নি।বই ছাড়া ক্লাসে গেলে স্যার সবার সামনে বের করে দিবে।স্নিগ্ধা পিছনে ফিরে আবার বাড়ির দিকে যাবে তখনি দেখে সাফরান বাইক নিয়ে তার দিকেই আসে।তারপর স্নিগ্ধার হাতে দুইটা বই দিয়ে বলে
—সাজগোছ করতে করতে রুটিন অনুযায়ী বই নিতেই ভুলে গেছিস।পড়ালেখা মনে হচ্ছে না তোর দ্বারা হবে।
—আর তোমার দ্বারা ভালো কথা বলা হবে না কখনো। সব সময় নেগেটিভ কথা।
—বা’রে এসেছিলাম নায়ক হতে,এখন আমাকেই ভিলেন বানিয়ে দিলো।
সাফরান স্নিগ্ধার মাথায় একটা টোকা দিয়ে বললো,যা ক্লাসে যা।মন দিয়ে পড়ালেখা করিস।আমি ক্লাস শেষে নিতে আসবো।
—ঠিক আছে ভাইয়া।
সাফরান বাইক ঘুড়িয়ে চলে গেলো।স্নিগ্ধা সেদিকে তাকিয়ে আপন মনে হাসছে।সাফরানের এই ছোট ছোট কেয়ার গুলো স্নিগ্ধার অনেক ভালো লাগে।স্নিগ্ধা ক্লাসের দিকে এগিয়ে গেলো।এখনো সবাই আসে নাই ক্লাসে।ক্লাসে রাহাত’কে দেখে স্নিগ্ধা ফের ক্লাস থেকে বেরোতে যাবে তখনি রাহাত বলে উঠলো
—এখনো রেগে আছো?মাফ করতে পারোনি আমাকে?
স্নিগ্ধা রাহাতের দিকে ফিরে চোখে মুখে হাসি ফুটিয়ে বলে “রাগ তো তাদের উপর করে,যাদের ভালোবাসা যায়,কিন্তু তোমাকে তো আমি ভালোবাসি না।আর তাই মাফ করা না করার প্রশ্নই আসে না।
—তাহলে সেই মূহুর্ত গুলো কী ছিলো?যা তুমি আমার সাথে কাটিয়েছো?
–ওগুলো শুধুই দুঃস্বপ্ন ছিলো।কারণ তোমার মতো মানুষের সাথে থাকাটা কখনো,ভালো স্বপ্ন বা ভালো সময়ের মধ্যেই পরে না। let me clear one things আমি তোমাকে ভালোবাসিনি কখনো,তোমার সাথে যা ছিলো তা ভালোবাসা নামক মরিচীকা।যার বাস্তবতা ছিলো শুধুই আলাদা হওয়া।
—সামলে নিয়েছো নিজেকে?
—অনেক ভালোভাবেই।কারণ আমি একা নেই
—জানি।তোমার সাথে তোমার কাজিন সাফরান আছে যে।
—কী বলতে চাইছো?
—এই যে যেটা তোমার ও তোমার সাফরান ভাইয়ার চোখে দেখতে পাচ্ছি।
—এসবে তোমার কিছু যায় আসার কথা না।তুমি তোমার তিন বছরের সম্পর্ক নিয়ে ভালো থাকো।নেক্সট টাইম আমার সাথে কথা বলার চেষ্টা ও করবে না।
—আমরা কী বন্ধু হয়েও থাকতে পারি না।
—বন্ধু তারা’ই হয় যাকে বিশ্বাস করা যায়। আই’ম সো সরি,বাট আই ডোন্ট বিলিভ ইউ anymore.
ক্লাসের সবাই চলে আসায় রাহাত স্নিগ্ধা কে আর কিছু বললো না।স্নিগ্ধা তার বান্ধবিদের সাথে কথা বলায় ব্যস্ত হয়ে গেলো।
——————–
সাফরান বাড়ি ফিরে এসে নিজের রুমে বসে দোকানের হিসাব দেখছিলো।ঠিক সেই সময়ে সাফরানের মা রাফিয়া আহমেদ আসলো।
—কী করছিস বাবা,
—কিছু না মা,আসো ভিতরে,,
—তোর সাথে আমার কিছু কথা ছিলো,
—বলো মা,কী বলবে।শরীর খারাপ নাকি তোমার?
—আরেহ না ঠিক আছি আমি।আমি এসেছি তোর বিয়ের কথা বলতে।
—তাহলে আমি ব্যস্ত আছি মা।এসব আজাইরা কথা শুনবো না এখন আমি।
—আরেহ কথা না শুনেই রাগ করছিস কেনো।হয়েছিস একদম বাপ’টার মতো। আমার বয়স হয়েছে, এখনই উপযুক্ত সময় এই ব্যাপারে কথা বলার।
—কোথায় বয়স হয়েছে।তুমি আমার কাছে এভার গ্রীন।
—হাহা হা পাগল’টা আমার।আচ্ছা তোর কাছে স্নিগ্ধা কে কেমন লাগে?
—কেমন আর তারছিড়া,মাথা পাগল,বান্দর আর অটিস্টিক লাগে।
—আমার স্নিগ্ধার নামে এতো কিছু,আমার সামনে বলছিস।
রাফিয়া আহমেদ সাফরানের কান মলে দেয় তারপর বলে” আমি আর তোর বাবা দুজনে চিন্তা করছি স্নিগ্ধা কে এ বাড়ির বউ করে নিয়ে আসবো”
সাফরান রাফিয়া আহমেদের কথা শুনে বিষ্ময়ে চোখ বড় করে তাকায়। তা দেখে রাফিয়া আহমেদ বলে,তোর কী মত আছে।তোদের এক সাথে কিন্তু অনেক ভালো লাগে।
সাফরান মায়ের কথায় বেশ লজ্জা পেয়ে যায়। তারপর বলে “মা আমি স্নিগ্ধাকে আনতে কলেজে যাচ্ছি,সাহিল’কে চোখে চোখে রেখো” কথা’টা বলে সাফরান দ্রুত রুমে থেকে বেড়িয়ে যায়।রাফিয়া আহমেদ ছেলের হাবভাব ঠিকই বুঝতে পারে।এবার স্নিগ্ধার থেকে মতামত নিয়ে তারপরেই স্নিগ্ধার মা’কে জানাবে।
————————————
সাফরান স্নিগ্ধার কলেজের সামনে দাড়িয়ে। স্নিগ্ধার জন্য ওয়েট করছে।কিছুক্ষণ পর স্নিগ্ধা বান্ধবীদের থেকে বিদায় নিয়ে আসে।তারপর সাফরানের বাইকের পিছনে বসতেই কলেজের এক সিনিয়র বড় ভাই,তাদের দেখে বলে “মেয়েটা কে ভালো মনে করছিলাম,আমি প্রপোজাল দেওয়ায় এক্সেপ্ট করে নাই,তারপর রাহাতের সাথে রিলেশনে গেলো আর এখন অন্য একজনের সাথে,চরিত্রেই দোষ মেয়েটার”
সাফরান ছেলেটার এমন মন্তব্যে রাগে ফুশে উঠলো বাইক থেকে নেমে ছেলেটার কলার ধরে ক্রমাগত ঘুষি দিতে লাগলো।স্নিগ্ধা সাফরানকে বাধা দিতে গিয়েও ব্যার্থ হলো। এদিকে ছেলেটার সাঙোপাঙোরা সবাই লাঠি হাতে ছুটে আসছে।কলেজের বড় ভাই।তার উপর পলিটিক্স করে মুহূর্তেই অনেক অনেক ছেলে চলে আসলো।এক সাথে এতো জনকে দেখে স্নিগ্ধা বেশ ঘাবড়ে গেলো।কিন্তু সাফরান মোটেও ভয় পেলো না।এক এক করে সবাই সাফরান কে আক্রমণ করছে।আর সাফরান খালি হাতেই সবাইকে প্রতিহত করছে।কারো মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে তো কারো হাত,মাথা মুছড়ে দিচ্ছে কয়েকজনকে ঘুষি দিয়েই অজ্ঞান করে দিয়েছে।স্নিগ্ধা চোখ বড় বড় করে সাফরানের ফাইট দেখছে।এক এক করে সবাই মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি করতে লাগলো।আর যে সিনিয়র ছেলেটা স্নিগ্ধাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করছে তার চুল ধরে সাফরান বললো “আর একবার স্নিগ্ধাকে নিয়ে খারাপ কথা বলবি তো জায়গায় মেরে ফেলবো,আজ ছেড়ে দিলাম,কলেজের অন্যান্য স্টুডেন্টস রা দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছিলো,রাহাত ও ভীড় ঠেলে দাঁড়ায়। সবার উদ্দেশ্যে সাফরান বললো ” স্নিগ্ধার দিকে কেউ তাকালে তার চোখ তুলে ফেলবো আর কেউ খারাপ কথা বললে,জবান টেনে ছিড়ে ফেলবো,এখানে আসছো পড়ার জন্যে পড়া নিয়ে থাকো,কোনো মেয়েকে টিজ করা,খারাপ কথা বলা তোমাদের দায়িত্ব, কত্বব্য, বা লক্ষ্যের মধ্যে পড়ে না।
সাফরান সকলের সামনে স্নিগ্ধাকে বাইকে বসিয়ে নিয়ে গেলো।সাফরানের দিকে মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে আছে স্নিগ্ধা, অনেক ইচ্ছা হচ্ছে সাফরানকে জড়িয়ে ধরার। কিন্তু পারছে না।জড়তা কাটিয়ে স্নিগ্ধা জিজ্ঞেস করলো ” কী দরকার ছিলো ওদের সাথে মারামারি করার”
—তুই বুঝবি না,,,
—বুঝিয়ে বল্লেই তো বুঝবো।
—তোর নামে কেউ বাজে কথা বলুক এটা আমার সহ্য হবে না।আমি শুনতেও চাই না।
—কেনো ভাইয়া আমি কী হই তোমার?
—তুই আমার ফুপাতো বোন।
—শুধুই ফুপাতো বোন?
—হ্যা।
—আর কিছু না?
—আর কী?
স্নিগ্ধা চুপ করে থাকে।স্নিগ্ধার অনেক জানতে ইচ্ছা করে।সাফরান স্নিগ্ধার জন্যে এতোকিছু শুধুই কী দায়িত্ব থেকেই করে নাকি অন্য কোনো কারণ,,,,,ধীরে ধীরে সাফরান স্নিগ্ধার অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে।স্নিগ্ধা জানে কেউ অভ্যাসের সাথে জড়িয়ে গেলে তাকে ছাড়া একটা দিন ও থাকা যায় না।
——————
স্নিগ্ধাকে বাড়িতে দিয়ে সাফরান দোকানে চলে গেলো।যাওয়ার পথে সাফরান ফাহিমাদের বাড়িতে আসলো।ফাহিমা ছাদ থেকে সাফরান’কে দেখে রুমের মধ্যে যেয়ে কাদতে লাগলো।সাফরান বাড়ির ভেতর এসে ফাহিমা’কে ডাকতে লাগলো। কিন্ত অনেক্ক্ষণ ডাকার পরও যখন কেউ আসলো না সাফরান চলে যেতে লাগলো আর তখনি ফাহিমার রুমের জানালা থেকে দেখলো ফাহিমা টেবিলে মাথা রেখে কান্না করছে।সাফরান দ্রুত ফাহিমার রুমে গেলো।
—কি’রে কী হয়েছে তোর?কাদছিস কেনো?
—কাদবো না তো কি করবো।
—কী হয়েছে খুলে বল আমাকে।
—ছেলে পক্ষ আমাকে দেখে গেছে কথা ও পাকাপাকি হয়ে গেছে সামনে সপ্তাহে বিয়ে আমার
—কী বলিস এতো কিছু হয়ে গেলো চাচা আমাকে একটু জানালো ও না।
—বাবা কাউকে কিছু জানায় নাই।তুমি কিছু করো ভাইয়া নাহয় আমি কিন্তু সুইসাইড করবো।
—চুপ একদম!জীবনে অনেক কিছুই ঘটতে পারে,তাই বলে কি আমরা হার মেনে নিবো?না ধৈর্য্য ধরে জীবনের শেষ অবধি দেখতে হবে।তাহলেই ভালো কিছুর দেখা পাবো। চাচা,চাচী কোথায় এখন।
—দোকানে গেছে।আর আম্মু রিয়ানদের বাসায়।
—তুই কাদিস না।আমি বলছি তো তোর বিয়েতে মত না থাকলে এ বিয়ে হবে না হতে দিবো না।আর তোর পছন্দ থাকলে আমাকে বল,আমি নিজ হাতে তোদের বিয়ে দিবো।
—আগে এই বিয়েটা ভেঙে দাও তারপর বলবো।
—আচ্ছা আর কাদিস না।আমি চাচার দোকানে যাচ্ছি কথা বলতে।
———
স্নিগ্ধা অনেক এক্সাইটেড। অনেকদিন পর আজ একটু সেজেগুজে বেরোবে।তাও আবার শাড়ি। এই প্রথম শাড়ি পড়বে স্নিগ্ধা। কিন্ত স্নিগ্ধা শাড়ি পড়তে জানে না।মামিও নেই বাসায়।তার মায়ের বাসায় গেছে।স্নিগ্ধা ভাবলো ফাহিমার থেকে হেল্প নিবে শাড়ি পড়ার জন্যে।সাফরান ভাইয়া থেকে অনুমতি ও নিতে হবে।স্নিগ্ধা সাফরানের রুমের সামনে এসে দাড়ালো। সাফরান মোবাইলে কথা বলছে।স্নিগ্ধা কে দেখে ফোন রেখে বললো “কিছু বলবি?”
— হ্যা আমি একটু বেড়োবো?
—কোথায়?কখন
—হ্যাপি টুগেদার কনভেনশন সেন্টারে যাবো।সন্ধ্যা বেলায়।
—দরকার নেই।
—তোমার দরকার নেই জানি।যাবো তো আমি আমার দরকার আছে।
“বলছি না যাওয়ার দরকার নেই” সাফরানের ধমকে স্নিগ্ধা কেপে উঠলো। সাফরান স্নিগ্ধার হাত চেপে ধরে বললো ” i said,no need to go there.”
স্নিগ্ধা ভয়ে ভয়ে বলো,”কিন্ত আমার অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ডের বিয়ে”
সাফরান স্নিগ্ধার মন খারাপ দেখে বললো “আচ্ছা ঠিক আছে যাবি”
স্নিগ্ধা খুশিতে লাফিয়ে উঠলো।
—থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।You’re so sweet of you.
—yes that’s me কিন্তু আমিও যাবো সাথে।
স্নিগ্ধা সাফরানের এমন কথায় আবারো চুপসে গেলো সাফরান গেলে স্নিগ্ধা এনজয় কিভাবে করবে।
—তুমি কেনো যাবে?তোমাকে তো দাওয়াত দেয়নি।
—তোকে তো দিয়েছে।
—আমি আর তুমি এক নাকি?
—হ্যা এক’। কী পড়ে যাবি?
স্নিগ্ধা মুখ কাচুমাচু করে বললো ” শাড়ি পড়বো”
সাফরান ভ্রু নাচিয়ে বললো “বাহ,সাথে হিজাব ও পরবি,মেয়ে মানুষ পেত্নির মতো চুল খোলা রেখে গেলে চুলে একশো একটা শয়তান চুলের সাথে করে আসবে,পরে আমাদের সহো জীবন হুমকির মধ্যে পড়বে,তাই তুই হিজাব করেই যাবি”
স্নিগ্ধা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো। তারপর নিজের রুমের দিকে চললো।
সাফরান সেদিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো স্নিগ্ধা কে শাড়ি পড়া অবস্থায় সাফরানের ও দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে,নিজের মনেই কল্পনা করে নিলো শাড়ি পড়া স্নিগ্ধা কে।বিকালের মধ্যেই সাফরান রেডি হয়ে নিলো।স্নিগ্ধার রুমের সামনে বার কয়েক গেলো স্নিগ্ধা বের হয় কিনা দেখার জন্যে। কিন্তু স্নিগ্ধার কোনো খবর নেই।পাগলী’টা রেডি হতে অনেক সময় নেয়।বাড়িতে বাবা ছাড়া আর কেউ নেই।সাহিল মা’কে নিয়ে নানু বাড়ি গেছে।নানুর শরীর’টা ভালো না।এর মধ্যে চলে আসবে।
সাফরান স্নিগ্ধার রুমের সামনে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে রইলো।এদিকে স্নিগ্ধা ইউটিউব দেখেও শাড়ি পড়ার আগা মাথা বুঝলো না।শাড়ি হাতে নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় দাঁড়িয়ে বিড়বিড় করছে,,,
” তুই আসলেই অপদার্থ একটা, সামান্য শাড়িই পড়তে পারছিস না,আর আশা রাখিস ডাক্তার হবি,কচু হবি কচু,ফাহিমা আপুকে ডাকলেই তো এতোক্ষণ রেডি হয়ে বসে থাকতি,না তা না করে নিজে নিজে ইউটিউব দেখে শাড়ি পরতে গেছে”
স্নিগ্ধা ভাবলো ফাহিমা কে যেয়ে ডেকে আনবে।যেই ভাবা সেই কাজ।ব্লাউজ আর পেডিকোটের উপর একটা ওড়না জড়িয়ে রুমের দরজা খুললো,
রুমের দরজা খুলে যেই বাইরে আসবে ওমনি সাফরান’কে দেখে চমকে উঠে,,,
—কীরে তুই তো এখনো রেডি হতে পারিস নাই।
স্নিগ্ধা মুখ কাচুমাচু করে বললো ” শাড়ি পরতে পারি না”
—পারিস টা কী বল তো?আমায় জ্বালাতন করতে?
—হ্যা তা খুব পারি।
সাফরান স্নিগ্ধা কে রুমের মধ্যে নিয়ে গেলো তারপর বললো শাড়িটা দে।
স্নিগ্ধা আশ্চর্য দৃষ্টিতে শাড়ি’টা এগিয়ে দিলো।সাফরান শাড়ির আচল’টা স্নিগ্ধার বুকে দিয়ে নিজ হাতে স্নিগ্ধা কে শাড়ি পড়িয়ে দিতে লাগলো।স্নিগ্ধার মুখে কোনো কথা নাই।বিষ্ময়ে চোখ অস্বাভাবিক ভাবে বড় হয়ে আছে।সাফরান কুচি ঠিক করে স্নিগ্ধার হাত দিয়ে বললো এই কুচি’টা পেডিকোটের সাথে ভালো করে এডজাস্ট করে দিতে, স্নিগ্ধা কুচি গুলো নিয়ে নাভির নিচে গুযে দিলো।সাফরান অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলো।সাফরানের নিজেরই অনেক লজ্জা লাগছে।সাফরান এবার আচল’টা পিন দিয়ে আটকে দিলো।তারপর নিচু হয়ে স্নিগ্ধার কুচি গুলো ঠিক করে দিলো। সাফরানের সব কিছু স্নিগ্ধা মুগ্ধ হয়ে দেখছিলো।আর কতো মুগ্ধ করবে সাফরান স্নিগ্ধাকে।স্নিগ্ধার শাড়ি পরানো হয়ে গেছে সাফরান স্নিগ্ধা’কে মিররে তাকাতে বললো।সাফরান স্নিগ্ধার সৌন্দর্যে অনেক আগেই ঘায়েল হয়ে আছে।চোখ যেন সরছেই না। দুধে আলতা গায়ের রঙ তার উপর সোনালী রঙের ব্লাউজ গোলাপী রঙের শাড়ি স্নিগ্ধাকে স্বর্গের অস্পরীর মতো লাগছে।সাফরনা চায় না স্নিগ্ধা কে এই সাজে কেউ দেখুক।সাফরান স্নিগ্ধা কে হিজাব পড়তে বলে রুম থেকে বেরিয়ে আসল
(চলবে)
সবার কাছে গল্পটা কেমন লাগছে কমেন্টস করে জানাবেন।সবার গঠনমূলক মন্তব্য আশা করবো। গল্প কপি করা সম্পূর্ণ নিষেধ।ধন্যবাদ সবাইকে??