মেঘের আড়ালে রোদ পর্ব ৩৯

0
46

#মেঘের_আড়ালে_রোদ
#পর্ব_৩৯
লেখিকা #Sabihatul_Sabha

সকাল সকাল বাড়িতে পুলিশ দেখে চমকে যায় সবাই।

আফজাল রাগী দৃষ্টিতে পুলিশের দিকে তাকিয়ে আছে।

সবাই নাস্তা করছিল ঠিক সেই সময় দারোয়ান এসে বললো বাড়িতে পুলিশ আসছে। গেইটের বাহিরে প্রচুর সাংবাদিক।

পুলিশের সামনে মেঘলা আর ফাহিম এসেছে।

আমেনা বেগম ভয় পেয়ে গেলেন ছেলের বউ বুঝি কিছু করে বসলো!..??

পুলিশ দেখে আমেনা বেগম মেঘলার কাছে গিয়ে হাত ধরে সাইডে নিয়ে আড়াল করলেন মেঘলা বেশ অবাক হলো শাশুড়ীর আচরণে।
মেঘলাঃ কি হয়েছে আন্টি.?
আমেনা বেগমঃ ভয় পেয়ো না আমরা আছি। কি করেছো.? পুলিশ কেনো তোমাকে ধরতে এসেছে.?
মেঘলাঃ আন্টি তেমন কিছুই নয়।
আমেনা বেগমঃ চুপচাপ এখানে দাঁড়িয়ে থাকো আমি দেখছি পুলিশের সামনে তুমি আসবে না একদম।
মেঘলা বাধ্য মেয়ের মতো মাথা নাড়লো।

আমেনা বেগম মেঘলাকে রেখে আসলেন।

ইতিমধ্যে বাড়ির সব সদস্য বাড়িতেই ছিলো সবাই ড্রয়িং রুমে এসে দাঁড়ালো।

পুলিশ আফজাল সাহেবের দিয়ে তাকিয়ে একজন পুলিশ কে ইশারা করলো ধরে নিয়ে আসো।

আফজাল রেগে বলে উঠলো, ‘ আমার দোষ!.???’
পুলিশঃ তা তো মামা শশুর বাড়িতে গেলেই বুঝতে পারবেন। এই উনাকে নিয়ে চলো।

আমেনা বেগম অবাক হয়ে বলে উঠলেন,’ আপনারা প্রমাণ ছাড়া, কারণ ছাড়া উনাকে নিয়ে যেতে পারেন না।’

পুলিশঃ ম্যাডাম আমরা সব প্রমাণ নিয়েই উনাকে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সব প্রমাণ সিআইডি মেঘ চৌধুরীর কাছে আছে।
আমেনা বেগমঃ উনাকে বলুন আসতে।

স্বামী ছেলের দিকে তাকিয়ে বললো,’ আপনারা কিছু বলছেন না কেনো.??’
পুলিশঃ সিআইডি অফিসার মেঘ চৌধুরী আপনাদের বাড়িতেই আছে জিজ্ঞেস করে নিন। আমাদের কাজ আমাদের করতে দিন।

আমেনা বেগম আরও অবাক হলেন। হালিমা বেগম এসে আমেনা বেগম কে সাইডে নিয়ে গেলো।

পুলিশ আফজাল কে নিয়ে বাসা থেকে বের হতেই আফজাল হাত দিয়ে মুখ ডাকতে শুরু করলো। গেইটের বাহির প্রচুর সাংবাদিক। সবাই ভিডিও করছে , আগামীকাল পাওয়া মেয়েদের কথা জিজ্ঞেস করছে। কালো জগতের লিডার আফজাল সাহেব কি না.?

নিরুপমা শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে সব দেখলো, ধীর পায়ে নিজের রুমে চলে গেলো। নিরুপমার পেছন পেছন ছোঁয়া দৌড়ে মায়ের কাছে গেল।

মহুয়া গিয়ে দাঁড়ালো মেঘলার পাশে।

আমেনা বেগম মহুয়ার সামনে এসে বলে উঠলো, ‘ তুমি সিআইডি..? ‘
মহুয়া অবাক হয়ে বললো,’ না, না আন্টি।’
আমেনা বেগমঃ তাহলে মেঘ কে.?
আজাদ চৌধুরী আমেনা নিয়ে সোফায় বসালেন।

শ্রাবণ, আহনাফ চুপচাপ বসে আছে। নির্জন অফিসে সে নিজে আসেনি।

ফাহিম মেঘলার পাশে দাঁড়িয়ে বলে উঠলো, ‘ ম্যাডাম আপনি এখন অফিসে যেতে হবে।’
মেঘলাঃ তুমি যাও আমি আসছি।

মেঘলা আমেনা বেগমের সামনে এসে বলে উঠলো, ‘ আমিই মেঘ। সিআইডি অফিসার মেঘ চৌধুরী।

আমেনা বেগম অবিশ্বাস্য চোখে তাকালেন।

মেঘলা সবার দিকে তাকিয়ে শ্রাবণের দিকে তাকালো। শ্রাবণ চুপচাপ শান্ত দৃষ্টিতে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে।

মেঘলা আবার বলতে শুরু করলো, ‘ আমি এক বছর ধরে চেষ্টা করছিলাম কিভাবে এই কেইসের সব তথ্য বের করবো। কিভাবে আসল ক্রিমিনাল কে ধরবো। বস্তিতে বখাটে মেয়েদের আসর করি নিজেকে সবার সামনে বখাটে মেয়ে হিসেবে তুলে ধরি তখনি রনি এসে প্রস্তাব দেয় AF কোম্পানির মালিকের ছেলের গার্লফ্রেন্ড হওয়ার অভিনয় করতে। আমি অনেক ভাবলাম শুধু তো অভিনয় পাঁচ মিনিটের অভিনয় যদি আমি সব চেয়ে বড় ক্রিমিনাল কে ধরতে পারি তাহলে সমস্যা কি!.? প্রথমে সব ঠিক ছিলো তারপর তো সব এলোমেলো হয়ে গেল। আমি মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ছিলাম জেনো কেউ আমাকে চিনতে না পারে সন্দেহ না করতে পারে।

ইন্সপেক্টর মিরাজ চৌধুরী প্রথম দেখেই আমাকে চিনে ফেলে ছিলেন কিন্তু আমার অনুরোধে কাউকে কিছু বলেননি। আমি আজ মন থেকে দুঃখিত আপনাদের মিথ্যা বলার জন্য।

মেঘলা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললো, ‘ আমাকে এখন আসতে হবে। আফজাল সাহেবের বিষয় কোনো প্রশ্ন থাকলে আজাদ চৌধুরী কে জিজ্ঞেস করে নিবেন।

আজাদ চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে মেঘলা বের হয়ে গেল।

আমেনা বেগম ছাড়া সবার মুখ স্বাভাবিক জেনো এইসব সবাই আগে থেকেই জানতো।

___________

ইতি মধ্যে সব টিভি চ্যানেল গুলোতে বলতে শুরু করেছে আফজাল সাহেবের অপকর্মের কথা।

আফজাল রেগে নির্জনের দিকে তাকিয়ে আছে। নির্জন হেঁসে বললো,’ ওয়েলকাম শশুর মশাই। ‘
আফজাল চাইলেও মুখে কিছু বলতে পারছে না তবে মনে মনে কয়েকটা বিশ্রী গালি দিয়ে বসলো নির্জন কে।

মেঘলা এসে বললো,’ এখন সব স্বাভাবিক করো সাংবাদিক যেতে বলো। ‘
নির্জনঃ বাড়িতে কি অবস্থা.?
মেঘলাঃ জানিনা।
নির্জনঃ তোমার বিষয় সবাই জেনে গেছে.?
মেঘলাঃ জানার বিষয় আর কতো গোপন রাখবো?
নির্জনঃ হুম তাও ঠিক।
মেঘলাঃ তোমার শশুর কে একটু বেশি ভালো ভাবে যত্ন নিবে।
নির্জনঃ জিজ্ঞাসা বাদ আপনি করবেন।

_____________

বাহিরের সব কাজ শেষ করে আসতে আসতে রাত হয়ে গেছে।

মেঘলা বাড়িতে এসে দেখলো সব নিরব হয়ে আছে।

আমেনা বেগম মেঘলা কে দেখে চুপচাপ নিজের রুমে চলে গেলেন।

মেঘলা আজাদ চৌধুরীর পাশে বসলেন।
আজাদ চৌধুরীঃ সব বলেছে.?
মেঘলাঃ রাতের মধ্যে সব শেষ হয়ে যাবে।
আজাদ চৌধুরীঃ ওর ফাঁসি চাই।

মেঘলা হাসলো। ফাঁসি!.? কম হয়ে যায় না.?

মেঘলা টুকটাক কথা বলে উপরে চলে আসলো।

নিজের রুমে এসে দেখলো শ্রাবণ নেই হয়তো অফিসে।

মেঘলা ক্লান্ত শরীর নিয়ে শুয়ে পড়লো। দুই চোখে ঘুম এসে ভীড় করলো।

__________

মহুয়া ব্যাগ গুছিয়ে রাখলো।
ছোঁয়াঃ ব্যাগ কেনো গুছিয়ে রাখছিস.?
মহুয়াঃ আমি চলে যেতে চাই ছোঁয়া।
ছোঁয়াঃ বাড়িতে কারো মন ভালো নেই এখন.? ভাই মে’রে ফেলবে।
মহুয়াঃ কিছু হবে না।
ছোঁয়াঃ ভেবে দেখ ভালো করে।
মহুয়াঃ বাদ দে এইসব তোর মন খারাপ…
ছোঁয়াঃ উঁহু।
মহুয়াঃ চল গল্প করি মন হাল্কা হবে।
ছোঁয়ার মনে পড়ে গেল কাল নির্জনের বলা ” আজ গল্প করবোশ নিজের অজান্তেই মুখে হাসি চলে আসলো। কিছু একটা মনে করার মতো করে এক দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে নির্জনের রুমে গেল।

মহুয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। এই মেয়ের আবার হঠাৎ কি হলো.??

ছোঁয়া বের হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আহনাফ রুমে এসে বললো,’ ছাঁদে চলো।’
মহুয়াঃ আপনি.?
আহনাফঃ হুম চলো।

ছাঁদে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে আহনাফ মহুয়া।

আহনাফ মহুয়ার বাহু শক্ত করে চেপে ধরে রাগে বলে উঠলো, ‘ তুমি চলে যাবে.? এতো বড় সাহস.?
মহুয়াঃ দেখুন আহনাফ..
আহনাফঃ কি দেখবো আমি.?? যাওয়ার কথাও যদি মাথায় এনেছো আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না। হাত পা ভেঙে ঘরে সাজিয়ে রাখবো।মহুয়া তুমি আমার রাগ সম্পর্কে জানো না আমার কথা না শুনলে আমি যা বলি তাই করি।
মহুয়াঃ আহনাফ পাগলামি করবেন না।
আহনাফঃ এটা তোমার কাছে পাগলামি মনে হচ্ছে!.?? হ্যাঁ তাহলে এমন পাগলামি আমি সারাজীবন করবো। আমি কাল বাসায় জানাচ্ছি সব কিছু।
মহুয়াঃ এমনটা করবেন না আপনি।
আহনাফঃ আজ থেকে তুমি আমার কথায় চলবে। নিজের সিদ্ধান্ত নিজের নেওয়া বন্ধ।
মহুয়াঃ আহনাফ…
আহনাফঃ চুপপপপপপপ

আহনাফ রাগে অন্য দিকে ফিরলো মহুয়া ভয় পেয়ে আছে আহনাফ কিভাবে জানলো.? এতোটা রেগে আছে!! ভয় লাগছে কিছু বলতে।

মহুয়া ভয়ে ভয়ে হাত রাখলো আহনাফের কাঁধে।
আহনাফঃ আমাকে তুমি ভয় পাও মহুয়া! কিন্তু কেনো.?? আমি তোমার মধ্যে, চোখে ভয় নয় একটু ভালোবাসা চাই। তুমি আমার এখানেই থাকতে হবে মহুয়া তোমার শেষ ঠিকানা আমার বুক। তুমি চাইলেও থাকতে হবে না চাইলেও।

_____________

নির্জন রুমে এসেই থমকে গেলো পর মুহূর্তে মুখে হাসি টেনে বলে উঠলো, ‘ হাতে ফুলের বদলে ঝাড়ু কেনো ছোঁয়া রাণী!.?’

ছোঁয়া রেগে নির্জনের দিকে তেড়ে গেলে নির্জন দুই পা পেছনে গিয়ে ছোঁয়ার হাত ধরে সামনের দিকে ঘুরিয়ে নেয়। ছোঁয়ার হাত নির্জনের হাতের মুঠোয়, পিঠ নির্জনের বুকে।
ছোঁয়াঃ ছাড় আমাকে।
নির্জনঃ আগে বল কি হয়েছে.???
ছোঁয়াঃ তোর মতো লুচু ছেলেকে ঝাড়ু পিটা করা উচিত।
নির্জনঃ যাহ্ বাবাহ্ এখনো লুচুগিরি কিছুই করলাম না তাও নাম দিয়ে দিলি! এটা ঠিক না ছোঁয়া এতে করে তুই আমাকে লুচু হতে বাধ্য করছিস।

ছোঁয়া এক ঝটকায় নির্জন কে দূরে সরিয়ে সামনে কোমরে হাত রেখে তাকালো। একটা ডাইরী বের করে নির্জনের সামনে ধরতেই টান দিয়ে নির্জন ডায়রীটা নিয়ে নিলো।

ছোঁয়াঃ প্রেমিকা কে নিয়ে ডায়রীও লেখা হয়।
নির্জনঃ তাতে তোর কি.? রুম থেকে বের হ। তোকে না বললাম আমার অনুমতি ছাড়া আমার রুমে আসবি না।

ছোঁয়া ছলছল চোখে তাকালো নির্জনের দিকে।
নির্জন ছোঁয়ার গালে হাত রাখতে গেলে ছোয়া এক ঝটকায় হাত সরিয়ে দিলো।
ছোঁয়াঃ নির্জন তুই এমন কেনো.? সর আমার সামনে আসবি না।
নির্জনঃ ছোঁয়া আমি ক্লান্ত প্লিজ একটু ঠান্ডা পানি খাওয়া।

ছোঁয়া কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ এই মুহূর্তে পানি না চেয়ে বিষ চাইলে খুশি হতাম।’

নির্জন হেঁসে বলে উঠলো, ‘ জেলাস.? ছোঁয়া তুই জেলাস.?
ছোঁয়া কিছু না বলে রুম থেকে বের হয়ে গেলো। আসলেই সে ভীষণ জেলাস সেই মেয়ের উপর। যার কথা ডায়রীর প্রতিটি পাতায় লেখা আছে কিন্তু নাম লেখা নেয়। মনে মনে বলে উঠলো, ‘ আমার ভাগ্য এমন কেন!.?? ‘

_____________

শ্রাবণ অনেক রাত করে বাসায় আসলো। নিজের কাছে চাবি আছে খুব সহজেই বাসায় ঢুকে গেলো৷

রুমে এসে দেখে মেঘলা ঘুমাচ্ছে । কিছু সময় ঘুমন্ত মেঘলার দিকে তাকিয়ে রইলো। ধীর পায়ে কাছে গিয়ে চুল সরিয়ে কপালে ঠোঁট ছোঁয়ালো৷ মেঘলা নড়ে উঠতেই সরে গেল।

ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে খাবার গরম করে প্লেটে নিয়ে রুমে আসলো।

মেঘলা কে ডাক দিতেই মেঘলা চোখ পিটপিট করে তাকালো।
শ্রাবণ কে দেখে চোখ ঢলে উঠে বসলো।

শ্রাবণঃ মুখ ধুয়ে আসো।
মেঘলাঃ কেনো.?
শ্রাবণঃ আমার খিদে পেয়েছে তাই।
মেঘলাঃ আমি খাবার গরম করে আনছি আপনি বসুন।
শ্রাবণঃ প্রয়োজন নেই আমি গরম করে নিয়েছি।একা একা খেতে ইচ্ছে করছে না।
মেঘলা মুখ ধুয়ে এসে বসলো।

শ্রাবণ খাবার সামনে রাখলো।
মেঘলাঃ আপনি রেগে নেই তো.?
শ্রাবণঃ কিসের জন্য.?
মেঘলাঃ আমি যে মিথ্যা বলেছি আপনাদের।
শ্রাবণ চুপ করে রইলো। মনে মনে হাসলো সে তো প্রথম থেকেই জানতো মেঘলার পরিচয়। বিয়ের পর প্রথম প্রথম সন্দেহ হতো মেঘলার আচরণ সাথে ভিন্ন ভিন্ন বই দেখে।বেশি কষ্ট করতে হয়নি এসিস্ট্যান্টের মাধ্যমেই জেনে গিয়ে ছিলো মেঘলার পরিচয় কিন্তু এতোদিন না জানার মতো ছিল কি দরকার যেখানে মেঘলা নিজে চাচ্ছে না সেখানে নিজ থেকে আগবাড়িয়ে বলার।

মেঘলাঃ কি হলো.?
শ্রাবণঃ তোমার ইচ্ছে ছিলো না তাই জানাওনি। মেঘলা তুমি যেমন তেমন দেখে তোমাকে বিয়ে করিনি। পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল। শুধু আম্মু কষ্ট পেয়েছে তবে ঠিক হয়ে যাবে। খেয়ে নাও।

মেঘলা কথা বাড়ালো না পেটে ভীষণ খিদে। রাতে খাওয়া হয়নি ক্লান্ত ছিল এসেই ঘুমিয়ে পড়েছে।

______________

জেল থেকে বের হয়ে আসেপাশে তাকালো। সব পুলিশ গভীর ঘুমে।

আফজালকে খুব গোপনে পালাতে সাহায্য করছে চারজন পুলিশ সাথে কিছু আফজালের লোকও আছে যারা কালো কাপড় দিয়ে মুখ ডেকে আছে।

আফজাল মনে মনে বলে উঠে শুধু এখান থেকে বের হই একটাকেও ছাড়বো না।

আফজাল গিয়ে গাড়িতে বসতেই গাড়ি চলতে শুরু করে। আফজালের সেই দিকে খেয়াল নেই ওরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে।?? সে তো ভেবেছে সব তার লোক। সে ভাবতেও পারছে না সামনে ওর জন্য কি অপেক্ষা করছে।

চলবে,
ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here