#মিশে_আছো_মুগ্ধতায়
#লেখনীঃতানিশা_আহিয়াদ_তিশা
#পর্বঃ29
রাত:12:30….
শূনশান রাস্তার মধ্যে ফোন হাতে দাড়িয়ে আছে মেঘ। A.k. আর A.k. এর টিম মেম্বারেরা আজকে মেঘদের অফিসে এসেছিলো। তাদের সাথে প্রজেক্টের বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতে করতে কখন যে অনেকটা রাত হয়ে গেছে সেটা মেঘ টেড়ই পায়নি। A.k. লোকটা একটু গম্ভীর স্বভারের হলেও ওর টিম মেম্বারেরা সবাই যথেষ্ট মিশুকে। মাএ কয়েক ঘন্টার পরিচয়ে সবার সাথে মেঘের বেশ ভালো করে ফ্রেন্ডশিপ হয়ে গেছে। A.k. কে শুরুতে মেঘের অপছন্দ হলেও লোকটার বিজনেস আইডিয়া গুলো শুনে মেঘ শুধু অবাকের পর অবাকই হয়ে গেছে। মেঘ ভাবতেই পারেনি কোনো মানুষ এতোটা জিনিয়্যাস হতে পারে। আজ সন্ধ্যা পযর্ন্তও মেঘের A.k. এর এই প্রজেক্টটা করার কোনো ইচ্ছেই ছিলো না। কিন্তু এখন ওর মনে হচ্ছে A.k. এর সাথে কাজ করলে, ‘ও’ A.k. এর থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে।
মেঘের এই মুহূর্তে আহির আর মিহিরের উপর ভীষন রাগ হচ্ছে। মিটিং শেষ হতে না হতেই দুজন দুটো গাড়ি নিয়ে লাফাতে লাফাতে লং ড্রাইভে চলে গেছে। আর মেঘ একা একা সব ফাইল পএ গুছিয়ে সবার শেষে অফিস থেকে বের হয়েছে। মেঘ নিজের গাড়ি নিয়ে বাড়ির দিকেই যাচ্ছিলো। হঠাৎ মাঝ রাস্তায় আসতেই ওর মনে হলো গাড়িটা ওর কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই ‘ও’ দ্রুত গাড়িটা ব্রেক করে গাড়ি থেকে নেমে বাইরে আসলো। বাইরে আসতেই মেঘের চোখ জোড়া বড় বড় হয়ে গেলো। কেউ ওর গাড়ির চাকায় পেরেক ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাই সব গুলো চাকা থেকে হাওয়া বের হয়ে গেছে। মেঘ হেল্প চাওয়ার জন্যে ঘাড় ঘুড়িয়ে আশে পাশে তাকালো। কিন্তু এতো রাতে এই মাঝ রাস্তায় ওকে হেল্প করার মতো আপাততো কেউই নেই। তাই বাধ্য হয়ে মেঘ গাড়ির মধ্যে থাকা ওর ব্যাগ থেকে নিজের সেলফ ফোন বের করে ওদের অন্য ড্রাইভারদের ফোন করতে লাগলো। কিন্তু কেউই মেঘের ফোন রিসিভ করলো না। মেঘ বুঝতে পারলো সবাই হয়তো এখন ঘুমাচ্ছে তাই কেউই ওর ফোন রিসিভ করার মতো অবস্থায় নেই। ‘ও’ আর কোনো উপায় না পেয়ে একটা ক্যাব বুক করে নিলো। তারপর নিজের ফাইলগুলো হাতে নিয়ে গাড়িটা ভালো করে লক করে রাস্তার পাশেই দাড়িয়ে রইলো।
মেঘ বারবার নিজের হাত ঘড়িতে সময় দেখছে আর রাস্তার পাশেই পায়চারী করছে। দাড়িয়ে থাকতে থাকতে ওর পায়ের মধ্যেও অসম্ভব ব্যাথা করছে। হঠাৎ অনেক গুলো তীক্ষ্ম লাইটের আলো চোখে এসে পড়তেই মেঘ চোখ খিচে বন্ধ করে ফেললো। চোখ বন্ধ করা অবস্থায় ওর কানে অনেক গুলো বাইকের একসাথে হর্ন বাজানোর শব্দ ভেষে এলো। মেঘ শব্দের উৎস খুজতে কপাল কুচকে পিটপিট করে সামনে তাকালো। সামনে তাকাতেই ওর হাত থেকে ফাইলগুলো ঠাস করে মাটিতে পড়ে গেলো। ওর চোখে মুখে স্পষ্ট ভয় এবং আতঙ্কের ছাপ ফুটে উঠলো। পুরনো কিছু স্মৃতিরা মাথা চারা দিয়ে উঠলো। ওর হাত-পা সব অবশ হয়ে যেতে লাগলো। মেঘের সামনে অনেক গুলো বাইক দাড়িয়ে আছে। বাইকের উপরে বসে থাকা ছেলেগুলো সবাই মাথায় হেলমেট পড়ে আছে। মেঘের মনে হচ্ছে ওর সাথে আবার সেই পুরনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। ওর হাত-পা থরথর করে কাপছে। ছেলেগুলো বাইক থেকে নেমে মেঘের দিকে এগিয়ে আসছে। ছেলে গুলোকে এগিয়ে আসতে দেখে মেঘ একপা একপা করে পিছিয়ে যাচ্ছে। পিছিয়ে যেতে যেতে মেঘ চোখ বন্ধ করে বিরবির করে বলে উঠলো
“তুমি কোথায় আহান? তোমার মেঘ খুব বিপদে আছে। তুমি কি আজও তোমার মেঘকে বাচাতে আসবে না?”
কথাটা বলতেই মেঘের কানে কিছু বিকৃত উচ্চস্বরের হাসির শব্দ ভেষে এলো। মেঘ ফট করে চোখ খুলে সামনে তাকালো। তাকিয়ে দেখলো ছেলেগুলো ওকে চারপাশ থেকে ঘিড়ে ফেলেছে। মেঘ কি করবে বুঝতে না পেরে একটা ছেলেকে জোড়ে ধাক্কা দিয়ে সামনে থেকে সরিয়ে দৌড় দিলো। মেঘের এমন কান্ডের জন্যে ছেলে গুলো মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। তাই ওরা বোকার মতো কিছুক্ষন একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ই করে সবাই মেঘকে ধরার জন্যে ওর পিছনে ছুটলো।
মেঘ প্রানপনে ছুটছে! আসে পাশে কি হচ্ছে সেদিকে ওর বিন্দুমাত্রও খেয়াল নেই। ‘ও’ শুধু নিজেকে বাচানোর জন্যে সামনের দিকে দৌড়ে যাচ্ছে। দৌড়াতে দৌড়াতে কোথায় যাচ্ছে সেটাও মেঘের জানা নেই। ওর মাথাটা কেমন খালি খালি লাগছে। চোখের সামনে দু-বছর আগের সমস্ত স্মৃতি গুলো একে একে ভেষে আসছে। হঠাৎ মেঘের শরীর একদম অশার হয়ে যেতে লাগলো। ‘ও’ আর দৌড়াতে না পেরে মাঝ রাস্তায়ই দাড়িয়ে গেলো। ঠিক সেই মূহুর্তে দ্রুত বেগের একটা গাড়ি এসে মেঘের সামনে হার্ড ব্রেক করলো। একটুর জন্যে মেঘ অ্যাক্সিডেন্টের হাত থেকে বেচে গেলো ঠিকই। কিন্তু ছেলে গুলো মেঘের কাছাকাছি এসে ওর দিকে তাকিয়ে পৈশাচিক হাসি দিলো। মেঘ পিছনে ঘুড়ে নিভু নিভু চোখে ছেলে গুলোর দিকে এক পলক তাকিয়ে থেকে সেন্সলেস হয়ে গেলো। কিন্তু মাটিতে পড়ার আগেই একজোড়া শক্ত হাত এসে মেঘকে নিজের বাহু বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেললো।
________________________
রাত:2:15
হসপিটালের কড়িডোরে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে আছে আহির আর মিহির। ওদের সামনের বিপরীত পাশের বেঞ্চে বসে আছে A.k. আর ওনার পার্সনাল অ্যাসিটেন্ট । সবার মধ্যেই কেমন একটা গুমোট ভাব। কারো মুখেই কোনো কথা নেই। নিরবতা কাটিয়ে হঠাৎ মিহির ভ্রু কুচকে A.k. কে উদ্দ্যেশ্য করে বললো
“এতো রাতে আপনি ওখানে কি করছিলেন মিঃ A.k.? আমরা সবাই মিটিং শেষে এক সাথেই তো অফিস থেকে বের হয়ে ছিলাম। কিন্তু আপনি নিজের ফ্লাটে না গিয়ে মাঝ রাস্তায় কিভাবে আসলেন?”
মিহিরের প্রশ্ন শুনে A.k. গম্ভীর কন্ঠে বললো
“এই মুহূর্তে এটা জানা ইম্পরটেন্ট নয় যে আমি ওখানে কি করছিলাম! বরং এটা জানা ইম্পরটেন্ট যে এতো সাহসী একটা মেয়ে হাতে গোনা মাএ ওই কয়েকটা ছেলেকে দেখে ভয়ে প্যানিক অ্যাটাক কিভাবে করলো? ওনাকে দেখে তো এতোটাও ভিতু মনে হয় না। উনি যথেষ্ট স্ট্রং পার্সনালিটির একজন মানুষ। তাহলে উনি ছেলে গুলোকে দেখে ওভাবে দৌড়ে পালাচ্ছিলেন কেনো?”
মিহির একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভরাট কন্ঠে বললো
“ইউ নো হোয়াট মিঃ A.k., মানুষের লাইফে এমন কিছু তিক্ত স্মৃতি থাকে যেগুলো সারা জিবন মানুষকে তাড়া করে বেড়ায়। মানুষ চাইলেও সেই তিক্ত স্মৃতি গুলো থেকে কখনো ওভারকাম করতে পারে না। যতোবার ওই স্মৃতি গুলোর পুনরাবৃত্তি হয়, ততোবার মানুষ দূর্বল হয়ে পরে। যতোই সাহসী হোক না কেনো, ওই মুহূর্তে সমস্ত সাহস উধাও হয়ে গিয়ে মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক বাসা বাধে।”
মিহিরের কথা শুনে A.k. মিহিরের দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো
“মানে?”
মিহির এগিয়ে এসে A.k. এর মুখোমুখি থাকা বেঞ্চটাতে বসে পড়লো। তারপর ফ্লোরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে লম্বা একটা নিশ্বাস নিয়ে বলা শুরু করলো
“প্রায় দুই বছর আগের একটা বিষাক্ত রাত আমাদের জিবনে এসে আমাদের সবার জিবনের মোড়টাকেই ঘুড়িয়ে দিয়েছিলো। ওইদিন আমার কাজিন আহান খানের সাথে মেঘের বিয়ে হয়েছিলো। আমি আর আহির বাসায় বসে ওদের আসার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমার ফোনে অভি ভাইয়ার একটা কল আসে। ভাইয়া বলে, আহান ব্রো নাকি নিজের ইম্পরটেন্ট কাজের জন্যে কোথাও একটা চলে গেছে, আর মেঘ নাকি মাঝ রাস্তায় একা একা দাড়িয়ে আছে। অভি ব্রো’ই মেঘকে পিক করার জন্যে যাচ্ছিলো, কিন্তু মাঝ রাস্তায় নাকি ওর গাড়িটাও খারাপ হয়ে গেছে। তাই ব্রো আমাদের মেঘের লোকেশন দিয়ে ওকে নিয়ে আসার জন্যে বলেছিলো। আমরাও ব্রো’র কথা মতো দ্রুত গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। যতোটা সম্ভব হাই স্পিডে গাড়ি চালিয়ে অভি ব্রো’র বলা লোকেশনে পৌছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ওখানে গিয়ে মেঘের চিৎকার শুনে আমরা যখন রাস্তার পাশের ঝোপের দিকে গিয়ে পৌছালাম তখন আমাদের পা গুলো থমকে গিয়েছিলো। কারন আমাদের থেকে কিছুটা দূরের ঝোপের মধ্যে মেঘের রক্তাক্ত শরীরটা মাটিতে পড়ে ছিলো। আর কতোগুলো জানোয়ার মিলে আমার বোনটাকে রেপড করার চেষ্টা করছিলো।”
মিহিরের কথাটা শুনে A.k. আৎকে উঠে মিহিরের দিকে তাকালো। কিন্তু মিহিরের মধ্যে কোনো ভাবান্তর হলো না। ‘ও’ আগের মতো করেই বলতে লাগলো
“আমরা পৌছে যাওয়ায় ছেলেগুলো মেঘকে রেপ করতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু মেঘ ওদের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্যে অতিরিক্ত ছটফট করায়, ওরা মেঘের মাথা থেকে ওর স্টিলের হেয়ার পিন খুলে মেঘের ডান কাধের কিছুটা নিচে বুক বরাবর পিনটা ঢুকিয়ে দিয়েছিলো। আর আমার বোনটা আমার চোখের সামনেই মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছিলো। ওর রক্তে আমার শার্ট’টা ভিজে চুবচুবে হয়ে গিয়েছিলো। ওকে যখন কোলে করে হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছিলাম তখন ‘ও’ আমার হাত’টা শক্ত করে আকড়ে ধরেছিলো। ব্যাথায় ছটফট করতে করতে বলেছিলো, “আমার আহানও কি আমাকে একা ফেলে চলে গেছে ভাইয়া?” আমি সেদিন ওর প্রশ্নের কোনো অ্যান্সার দিতে পারিনি। শুধু ফ্যালফ্যাল করে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।”
কথাগুলো বলতে বলতে মিহিরের গলা’টা ধরে এলো। ওর চোখ থেকে টুপ করে এক ফোটা পানি গরিয়ে পড়লো। কেউ দেখার আগেই মিহির খুব সাবধানে সেই চোখের পানিটুকু মুছে ফেললো। আহির হাটু ভাজ করে দেয়াল ঘেশে ফ্লোরে বসে পড়লো। সেই রাতের কথা মনে পড়লে এখনো আহিরের হাত-পা অবশ হয়ে যায়। কান্না গুলো গলার মধ্যে দলা পাকিয়ে যায়। A.k. খুব শান্ত কন্ঠে মিহিরকে উদ্দ্যেশ্য করে জিজ্ঞেস করলো
“সেই ছেলে গুলো এখন কোথায়?”
মিহির নির্লিপ্ত কন্ঠে বললো
“জানিনা!”
মিহিরের “জানিনা” শব্দটা A.k. এর একদমই পছন্দ হলো না। তাই ‘ও’ কড়া গলায় মিহিরকে উদ্দ্যেশ্য করে বললো
“জানেন না মানে? আপনার একবারও মনে হয়নি, যারা আপনার বোনকে এতোটা কষ্ট দিয়েছে তাদেরকে আপনার কঠিন একটা শাস্তি দেওয়া উচিৎ।”
মিহির শক্ত কন্ঠে বললো
“কঠিন শাস্তি না, সেদিন যদি আমার সাধ্য থাকতো তাহলে ওদের প্রত্যেক’কে আমি খু*ন করে ফেলতাম। কিন্তু কাহিনির শেষটা তো এখানেই ছিলো না। মেঘের নিস্তেজ শরীরটা নিয়ে হসপিটালে যাওয়ার পর ওকে যখন ওটিতে নিয়ে গিয়েছিলো, তখন আমি আর আহির ওয়েটিং রুমে বসে মেঘের অপারেশন শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে ওয়েটিং রুমের টিভির স্কিনে আরেকটা রক্তাক্ত দেহের ছবি আমাদের চোখের সামনে ভেষে উঠেছিলো। আর আমরা দুজন শুধু হতবিহ্বল হয়ে টিভির স্কিনের দিকেই তাকিয়ে ছিলাম।”
A.k. প্রশ্নবোধক চাহনিতে মিহিরের দিকে তাকালো। মিহির মলিন কন্ঠে বললো
“সমস্ত নিউজ চ্যানেলে একটাই নিউজ দেখাচ্ছিলো। বিজনেস ম্যান আজম রহমানের ভাতিজা অভি রহমানকে কেউ শুট করে রাস্তার মাঝখানে ফেলে গেছে। কিছুক্ষন আগেই পুলিশ ওনার রক্তাক্ত দেহটা একটা শূনশান রাস্তা থেকে উদ্ধার করেছে। এটা দেখার পর আহির আর আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমাদের মাথা কেমন খালি খালি লাগছিলো। দুজন এটা ভেবে, ভেবে পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম যে এখন আমরা মেঘের কাছে থাকবো নাকি অভি ভাইয়ার কাছে যাবো! অনেক ভেবে চিন্তে আহির হসপিটাল থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে অভি ভাইয়ার কাছে চলে গেলো। আর আমি মেঘের অপারেশন শেষ হওয়া অবদি ওর জন্যে ওখানেই বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষনের মধ্যেই পুলিশেরা অভি ভাইয়াকে নিয়ে ওই হসপিটালে চলে আসলো।ওনাদের সাথে আহিরও আসলো। অভি ভাইয়াকে ইমাজেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হলো। আমরা আবারও অসহায়ের মতো বসে একটু আশার আলোর জন্যে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিন্তু কথায় আছে না, বিপদ যখন হয়, তখন সব বিপদ এক সাথেই হয়। আমাদের অবস্থাটা সেদিন এই প্রবাদ বাক্যটার সাথে মিলে গিয়েছিলো। কে জানতো আমাদের জন্যে আশার আলো নয়, অন্ধকার আচ্ছন্ন ছায়া অপেক্ষা করছে।”
#চলবে