মিঠা রোদ পর্ব ৫৮

0
2415

#মিঠা_রোদ
#পর্ব:৫৮
#লেখা:সামিয়া_খান_প্রিয়া

“মানুষ যতো রঙের কথাও বলে ততো রঙের তাইনা?বাহিরে বের হওয়া যায়না মানুষ তোশাকে নিয়ে বলে।মানসম্মান সব শেষ হয়ে গেলো।”

তাহিয়া নিজ ভাবী পাখির দিকে নির্বিকার দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো।তিনবেলা সেই একই কথা তে মুখটা তেঁতো হয়ে গিয়েছে তার।

“কয়েকদিন বোরখা পরে বাহিরে বের হও ভাবী।সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।”

“কেন?আমি কী দো’ষী নাকী?উল্টো যে মেয়েকে নিয়ে এসব সেই তো সেজেগুজে ভার্সিটিতে চলে গেলো।”

“তোশা ভার্সিটিতে গিয়েছে?”

“বাহ!মেয়ের খবর ঠিকঠাক এখনও রাখো না?এতো কিছুতেও শিক্ষা হয়নি?”

তাহিয়া জবাব দিলো না।গতকাল রাতে খাদ্য মন্ত্রীর বাড়ীতে বড় একটি ইভেন্ট ছিল।সেই অর্গানাইজ করেছিলো।সেসব গুছিয়ে আসতে আসতে সকাল দশটা বেজে গিয়েছে।তোশার খবর নেওয়া হয়নি।সোফায় বসে তৎক্ষনাৎ ফোন বের তাতে মেয়ের নাম্বারে ডায়াল করলো।

“কোথায় তুমি তোশা?ভার্সিটিতে যাবে আমাকে বলেছিলে?এখুনি বাসায় আসবে।”

তোশাকে কোনোকিছু বলতে না দিয়ে ফোন রেখে দিলো তাহিয়া।বড় ক্লান্ত শরীর তার।কিন্তু মেয়ে না ফিরে আসা অবধি জায়গা থেকে একটু ও নড়লো না।তোশা এক ঘন্টার মাথায় বাসায় ফিরে এলো।বড় ধীর পায়ে।বিশ বছরের কিশোরীর চঞ্চলতা নেই।সকালে খেয়েছে কীনা কে জানে?তাহিয়াকে দেখেও কিছু বলল না।

“রুমে যাও তোশা।আমি আসছি।”

মেয়ের পিছনে পিছনে তাহিয়া তার রুমে এলো।শক্ত কণ্ঠে বলল,

“এরপর আমার অনুমতি ছাড়া বাহিরে যাবে না তুমি।”

তোশা অবাক হয়ে শুধালো,

“কেন?”

“তোমাকে কৈফয়ত দিতে হবে কেন না করলাম?”

তোশা অনেকক্ষণ মায়ের মুখটার দিকে তাঁকিয়ে থেকে বলল,

“হ্যাঁ।দিতে হবে আম্মু।”

“মুখে বড় বড় কথা।এতোকিছুর পরেও…।”

“তোমার আসলে কবীর শাহ এর সাথে সমস্যা কী আম্মু?সে বয়সে বড় নাকী তোমাদের বন্ধু।”

“এখানে কবীর আসছে কোথা থেকে?”

“তুমি এনেছো।বলো কী নিয়ে সমস্যা।”

“দুটোই।আমি কেন আমার মেয়েকে বয়সের দুই গুণ লোকের কাছে বিয়ে দিবো?বয়স হতে গিয়ে দেখা যাবে জা’ন শে’ষ।অল্প বয়সে আমার মেয়েকে বিধবা হতে দিবো না।”

“মৃ’ত্যু মা বলা যায়?আমি যদি আগে চলে যাই?”

“এসব উদ্ভট বিতর্ক আসলে বৃথা তোশা।আর রইলো বন্ধুর কথা।হ্যাঁ সমাজ সহ ব্যাপারটা আমার ভালো লাগেনা।শুধু শুধু তর্ক করো না।”

“না আম্মু কখনো তোমার সাথে এই বিষয় নিয়ে বলিনি।কিন্তু আজ বলবো।ছোট বেলা থেকে তুমি সব আমাকে দিয়েছো।আমি তা মানি।এবং আমি সেই সব সন্তানদের মতোন না যারা বাবা-মায়ের প্রতিদান ভুলে যায়।তবে একটা কথা বলো মনের উপর কারো জোর আছে?তুমি নিজ জীবনে যা খেতে পারো না।তা জোর করে কেউ খাওয়ালে শেষে বমি করা ছাড়া উপায় থাকবে?থাকবেনা তো।আমার সঙ্গে এখন যা করছো সেই বিষয়ের সামিল।একটা মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য জরুরি নাকী তার ভেতরের?কবীর শাহ কে বিয়ে করতে আমার ধর্ম আঁটকাবে?অনুমতি দেয়নি তা বলতে পারবে কখনো?বলবে সমাজের কথা।সেই সমাজ যাদের নিজ চরিত্রের ঠিক নেই এবং অন্যকে জাজ করে?সেই সমাজ যারা অন্যায় করতে করতে এতোটা খারাপ পরিস্থিতিতে চলে গিয়েছে যে মানুষের বেঁচে থাকা দায়।ধরো আমি সমাজের চোখে পাপী।তাহলে তোমার বড় মামা?আমি তো জানি তিনি এমন একজনকে বিয়ে করেছে যে দূর-সম্পর্কে তার ভাতিজি।এটা নিয়ে নানুরা মুখ টিপে হাসে।গ্রামে গঞ্জে সহ পৃথিবীর অনেক জায়গায় এমন বিয়ে হয়।আরে সেই দিক থেকে কবীর শাহ তোমাদের র’ক্তের কেউ নেই।সমস্যা সত্যি করে হচ্ছে আমি ও কবীর শাহ ভালোবাসি দুজনকে।এবং বড়দের সম্মান করে তাদের কথা মেনে এক হতে চাই।যদি উত্তরঞ্চলের নদী ভাঙনের স্বীকার কোনো গরীব ঘরের মেয়ে হতাম।আর বাবা বড় মুখ করে বিদেশে থাকা নতুন টিনের বাড়ীর চল্লিশ বছরের কবীর শাহ এর কাছে বিয়ে দিতো যাকে আমার বাবা ভাই বলে ডাকে তখন তোমাদের মনে হতো না সব ঠিক আছে।মেয়ে সুখী বলে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে।কিন্ত না বাস্তবে তোশা হচ্ছে ঢাকার অভিজাত ধনী পরিবারের মেয়ে এবং কবীর শাহ হচ্ছে ঈগল পাখি।যার আশেপাশে যাওয়া মানে সুগার বেবী হওয়া।আজকে সমাজ,বয়স,পরিবারের দোহাই দিয়ে দুটো মানুষকে শেষ করে দাও।মে’রে ফেলো।আর কী বললে সেদিন?আমি গর্ভে ম’রে গেলে ভালো হতো?না মা এটা বলা উচিত না।বাবা-মা দুনিয়াতে আনার সিদ্ধান্ত নিবে।এরপর সেই সন্তানের কাছে জন্মের প্রতিদান চাইবে?এই বিষয় না ভেবে সে আদৌও কী চায়?মা তোমাকে আমি কখনো বলতে পারিনি তোমার সেই পছন্দের জাম ফল আমার পছন্দ না।তবুও তোমার দিকে তাঁকিয়ে খাই।নিজ হাতে খেতে আমার ভালো লাগে।কিন্তু তাও তোমার শান্তির জন্য তোমার হাতে খাই।এতো পড়াশোনা ভালো লাগেনা।তবুও বেস্ট হতে হবে আমাকে।মায়ের মতে বেস্ট হতে হবে।সারাজীবন তোমার কথা মতোন বেস্ট,গুড সবথেকে সেরা মেয়ে হয়ে এসেছি।আজ যখন নিজের জীবনের জন্য কিছু চেয়ে বসলাম।তাহলে খারাপ?বলো মা।তুমি আমার জন্য যা করেছো এজন্য প্রতিদানে বাবার কাছ থেকে ভালো কথা শুনলে না।তুমি সারাজীবন আমার জন্য যা করেছো তা কী শুধুমাত্র বাবার কাছ থেকে ভালোর সার্টিফিকেট পেতে?তাহলে মনে করে দেখো আমার নামে যতোগুলো ভালো কথা।তুমি অনেক ভালো মা।অনেক ভালো।কিন্তু আমি ভালো মেয়ে না।খুব খারাপ।”

অনেকগুলো কথা।এতো জলদি বলতে গিয়ে তোশার শ্বাস উঠে গিয়েছে।মুখটা লাল হয়ে গিয়েছে।তাহিয়া অবাক হয়ে মেয়েকে দেখছে।বস্তুত পক্ষে তোশাও নিজের জায়গাতে সঠিক।এবং তাহিয়া নিজেও।কেমন উইন-উইন পরিস্থিতি সবকিছুতে।

“জানো মা সেদিন রাতে এসব কেন সকলের সামনে বলিনি?কারণ আমি চাইনি সবার সামনে মা কে এসব বলতে।কবীর শাহ ও চায়না।সেই মানুষটা কীভাবে খারাপ হয়?যাকে আমি পেতে পারবো না।”

শেষের কথা বলতে গিয়ে কাঁপতে কাঁপতে মেঝেতে বসে পড়লো তোশা।শরীর জ্ব’লে যাচ্ছে তার।ভেতরটাতে চাপ দিচ্ছে।

“তোশা?তোশা তোমার কী হচ্ছে?”

তাহিয়া গিয়ে জাপটে ধরলো তোশাকে।মেয়েটির গা কেমন ঠান্ডা।শুধু দূর্বল কণ্ঠে বলতে লাগলো,

“আম্মু গত আট চল্লিশ ঘন্টা ধরে ঘুমাইনি আমি।তাই ঘুমের ঔষধ নিয়েছি তিনবেলায় দুটো করে।তাও ঘুম আসেনি।কিন্তু হঠাৎ আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।আম্মু সব শেষ হয়ে যাচ্ছে মনে হয়।এই কথা গুলোর বলার জন্য এতোক্ষণ সাহস ছিলো।আম্মু ওই মানুষটা আমার কোনোদিন হবেনা তাইনা?”

“তুমি পাগল তোশা?এই মেয়ে।চোখ খুলো।বাবা, বাবা।কল্লোল কে আছো?তাড়াতাড়ি এসো।তোশা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে।”

তাহিয়ার গা কাঁপছে।গলা শুকিয়ে আসছে।তবুও মেয়েকে ডেকে চলেছে।

(***)

দরজা খোলার শব্দে তাহিয়া মাথা উঠালো।রাত এখন গভীর একটা।হসপিটালের গন্ধে মনটা কেমন ভয়ে মিশে আছে।আসিফকে এমন সময় দেখে মটেও চমকায়নি তাহিয়া।বরং শান্তভাবে শুধালো,

“আপনি তো জাপানে ছিলেন।কবে এলেন?”

আসিফের কাঠখোট্টা জবাব,

“কবে থেকে আমার খোঁজ রাখা শুরু করলে?”

বেডের কাছাকাছি এসে ঘুমন্ত তোশার মায়াময় মুখটার দিকে তাঁকালো।মেয়েটার মুখের আদল হুট করে কেমন যেন বদলে গিয়েছে।আগে মনে হতো তাহিয়ার চেহারা পাবে।কিন্তু এখন অনন্য সৌন্দর্যে মন্ডিত।যা বর্ণনা করা যায়না।আসিফ মৃদু হেসে তোশার কপালে হাত বুলিয়ে বলল,

“নিজেকে নিয়ে এতোটা ব্যস্ত ছিলে যে খেয়াল করো নি ও ঘুমের ঔষধ নিচ্ছে তবুও ঘুমাতে পারছেনা।মানুষ যখন নির্ঘুম রাত কাঁটায় তখন কতো ধরণের চিন্তা করে।ভাগ্য ভালো মেয়েটা নিজেকে শে’ষ করে দেয়নি।”

“আপনি সব জানতেন আসিফ ভাইয়া?”

“হ্যাঁ।”

“তবুও আস্কারা দিলেন?মানে বুঝেন নি কেমন খারাপ বিষয়টা?”

তাহিয়ার উপর পূর্ণ দৃষ্টি ফেললো আসিফ।বয়স তার পঞ্চাশের কাছাকাছি।চেহারার জৌলুসতা যদিও সাদা পাঞ্জাবী ও পরিপাটি গোছানো রুপের জন্য বেড়েছে।

“তাহিয়া কারো মনের উপর কখনো অন্য কেউ খবরদারি করতে পারেনা।যদি সেটা সম্ভব হতো তাহলে আজ তুমি আমার স্ত্রী এবং তোশা একমাত্র আমার সন্তান হতো।শুনো ব্রোকেন ফ্যামিলির বাচ্চাদের মাইন্ড না অনেক ক্রিটিক্যাল হয়।বাবা-মায়ের বিচ্ছেদে এমন কোন সন্তান কষ্ট পায়না?তখন সেই সন্তানেরা ভিন্ন পথ খুঁজে নেয় ভালো থাকার।”

“কী বলতে চাচ্ছেন আমি তোশাকে কম ভালোবেসেছি?”

“No,I didn’t said that.But you have to admit it there is a difference between a mother’s love and a man’s love.”

“That’s not the issue.এই পুরো দুনিয়াতে তোশা সেই কবীরকে ভালোবাসার জন্য পেয়েছে?মায়ের ভালোবাসা ও পুরুষের ভালোবাসা দুটো ভিন্ন জিনিস মানলাম।ওর কবীরের সঙ্গে মিলে যাওয়া আমার জন্য কোনো বেনিফিট নিয়ে আসবে যা আবশ্যক।এবং এটা তাদের মিলনই সম্ভব। তা তো নয়।”

“কোনো ক্ষতিও তো নিয়ে আসছেনা।ও কী বলেছে যে তোমাকে ছেড়ে দিবে?কথাটা হলো আমি চিনি তাহিয়াকে।সে এটা ভেবে ভয় পাচ্ছে আসলে কবীর মায়ানের বন্ধু।এবং লোকটা নিজেও বিচ্ছেদের পর তোশাকে পেয়েছে।সত্যিটা এখানে তাহিয়া।তোমার বন্ধু ও বয়সে বড় এসব জিনিসকে তোমার মন ২০% এর বেশী তোয়াক্কা করেনা।কারণ তুমি জানো কবীর বা তোশা কেউ মৃ’ত্যু দন্ডের আসামী নয়।বরং তারা চাচ্ছে কবীরকে দেখো একজন মানুষ হিসেবে।একটা কথা বলো তাহিয়া।কবীর ক্রিমি’নাল?”

“না।”

“তাহলে এতো কেন ভাবছো?”

তাহিয়া শুকনো ঢোক গিললো।এমন না কবীরকে সে চিনেনা।একজন পার্ফেক্ট মানুষ সে।কিন্তু যদি সময় রুপ ভিন্ন হতো তাহলে?আসিফ দীর্ঘ শ্বাস ফেললো।গলা পরিষ্কার করে বলল,

“কবীর করিডোরে দাঁড়িয়ে আছে।ভেতরে আসতে চাচ্ছে।কিন্তু তোমার অনুমতি চায়।উহু,ওকে মটেও দূর্বল ভাববেনা।কারণ জানো কবীর শাহ এসব মেনে চলতো না।যদি ওর অন্য কোনো বন্ধুর মেয়ে হতো এতোদিনে তুমি বা আমি সেজেগুজে যেতাম বিয়ের দাওয়াত খেতে।ও তোমাকে নিশ্চিতভাবে অন্য রকম সম্মান করে।তবে অনুভূতির উপর ও নিজেও কিছু করতে পারিনি।দেখা করতে দাও কবীরকে।”

তাহিয়া অপ্রস্তুত মাথা দুলালো।কিছুটা অনিশ্চিত সুরে বলল,

“আমাকে আজ তোশা নিজের মনের কথাগুলো বলেছে।আমি সেগুলো আপনাকে বলতে চাই।শুনবেন?”

“শুনবো।কিন্তু ওয়াদা করতে হবে তুমি একপাক্ষিক বা সমাজের দৃষ্টিতে নয় বরং মন থেকে দেখবে।তোশা সারাজীবন তোমার মাথা উঁচুতে রেখেছে।আজও নিচু করেনি কারণ জীবনসঙ্গী হিসেবে অসাধারণ এবং ব্যক্তিত্ববান মানুষকে বেছে নিয়েছে।এসো আমার সঙ্গে।”

তাহিয়াকে নিয়ে বের হয়ে এলো আসিফ।করিডোরের মাথায় কবীর দাঁড়িয়ে আছে।মুখ তুলে তাহিয়াকে দেখলো।আসিফ চিল্লিয়ে বলল,

“যাও কবীর।বাট তোমার কাছে অল্প সময় আছে।”

কবীর মাথা দুলিয়ে সম্মতি দিলো।তামাটে পুরুষটির মুখের রঙ আরো যেন কয়েক ধাপ নিচে নেমে গেছে।তাহিয়ার দিকে অর্থহীন দৃষ্টি দিলো।যার অর্থ এবার তুমি কেন খেয়াল রাখলে না মেয়েটির?

কবীর দরজাটি আঁটকে ধীর পায়ে মেয়েটির কাছে এসে দাঁড়ালো।তোশা ঘুমন্ত অবস্থাতে কিছু টের পেলো যেন।নাক দিয়ে সুগন্ধ খোঁজার চেষ্টা করছে।কবীর বলে দিতে পারছে মেয়েটা স্বপ্ন আর বাস্তবের মাঝে বন্দী হয়ে আছে এখন।ধীরে ধীরে ছোট্ট বেডে তোশার পাশটা দখল করে নিলো কবীর।উষ্ণ স্পর্শ পেয়ে তোশা চোখ খুললো ধীরে ধীরে।বড় দূর্বল কণ্ঠে বলল,

“I am sorry.”

“আমি তোমাকে কখনো আজকের মুহুর্তের জন্য ক্ষমা করবো না বেলাডোনা।নিজেকে কষ্ট দিয়েছো।আর তুমি আমার।আমার মানুষকে কষ্ট দেওয়ার অধিকার নেই।”

দূর্বল তবে স্বস্তিতে ফিচেল হেসে তোশা শুধালো,

“এতো ভয়ং’কর প্রেমিক হলেন কবে থেকে?”

“শুরু থেকে।তোমার দৃষ্টি তা দেখেনি এতে আমি দোষী নই।”

“আপনি দোষী।সব দো’ষ আপনার।হিটলার আপনার থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে যু’দ্ধে নেমেছিল।”

“মাথা গিয়েছে?কীসব বলছো?”

“জানিনা।”

তোশা আদুরে বিড়াল ছানার মতো কবীরের বুকের ভেতরে ঢুকে গেলো।ফিসফিস করে বলল,

“কী সুন্দর স্বপ্ন।”

চলবে।
এডিট ছাড়া পর্ব।সকল পাঠক সুন্দরমতো রেসপন্স করবেন।

আচ্ছা আমাকে কথা বলেন তো আপনারা জানেন এই উপন্যাসের নায়ক বাবার বন্ধু।তাও পড়ছেন। ভালো তা।কিন্তু কিছু মন্তব্য তে এটা মনে হয় আপনাদের জোর করে পড়ানো হচ্ছে।আমি বলছি তোশা,কবীর ও তাহিয়া তিন জন নিজ জায়গায় সঠিক।এদেশ কেন সমাজে এমন বিয়ে অহরহ হয়।হবে এবং হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here