ভালোবাসি_প্রিয়_সিজন_টু পর্ব_৩০

0
1049

ভালোবাসি_প্রিয়_সিজন_টু
পর্ব_৩০
#সুলতানা_সিমা

প্রায় বিশ মিনিট পরে গাড়ি থামলো এসে একটা গেটের সামনে। অরিন গাড়ি থেকে নামতেই গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যায়। অরিন অবাক হয়ে গাড়ির দিকে তাকালো। এ ড্রাইভার তাকে কোথায় রেখে চলে গেলো? অরিন চারদিকে তাকিয়ে দেখলো কেউ নেই। ভয়ে অরিন শুকনো ঢোক গিললো। চিরকুট পেয়েই এভাবে চলে আসা কি তাঁর ঠিক হয়েছে? সাথে ফোনটাও আনেনি। আকাশের চাঁদও নেই। আছে তবে বিলিন হওয়া চাঁদ আজ আবার নতুন করে উঠেছে তাই মাত্র এক চিমটি তাঁর আকার। গেটের ভেতর থেকে কারো গলা শুনা যাচ্ছে অরিন ভাবলো ভেতরে হয়তো তার জন্য অপেক্ষায় আছে কেউ। দ্বিতীয়বারের মতো বোকামি করে অরিন। সে গেটের ভেতর ঢুকে যায়। গেটের পাশে কিছু জায়গা ছাড়া বাকি সব অন্ধকার। শুধু অন্ধকার নয়। ঘুটঘুটে অন্ধকার। টাস করে গেট লাগার শব্দ হলো। অরিন তৎক্ষণাৎ পিছন ঘুরে তাকিয়ে দেখলো কেউ নাই। তাহলে এই গেট লাগালো কে? ভয়ে অরিনের আত্মা কেঁপে উঠলো। ভয়ে পা পিছিয়ে পিছিয়ে অন্ধকারের দিকে যেতে লাগলো। জানা নেই তাঁর এই অন্ধকারে কি আছে। শুধু জানে কেউ তো আছে যে গেট লাগিয়েছিলো। আর এই ভয়েই সে পিছাচ্ছে। যত পিছাচ্ছে তত অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে। একটা সময় অন্ধকার সাগরে ডুবে যায় সে৷ গেটের অনেক দূর চলে এসেছে খেয়ালই করনি। এখন আর কোনো আলো দেখা যাচ্ছে না। চারদিকটা কেমন ঘুটঘুটে অন্ধকার। অরিন জোরে ডাক দেয়”,হেল্প। কেউ আছেন?”

অরিনের ডাকে কারো সাড়া পেলো। কিছু একটা শব্দ আসছে। মনে হচ্ছে ঝোপঝাড় নাড়ানোর শব্দ। অরিনের ভয় আরো বেড়ে গেলো। ভাবতে লাগলো সে জঙলে চলে এসেছে। ভয়ে হাত পা অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপতে লাগলো। একটা গাছের ডাল নাড়ার শব্দ এলো। অরিন তৎক্ষণাৎ শব্দ অনুসরণ করে বামে তাকালো। কিছু দেখা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে একটা দৈত্য সামনে দাঁড়িয়ে আছে। অরিন কাঁপা ঠোঁটে দোয়া ইউনুস পরতে লাগলো, কিন্তু চোখের দৃষ্টি সরালো না। তাকিয়ে থাকলো সেদিকে। তাকাতে তাকাতে বোধ করলো এটা একটা বিশাল আকারের গাছ। তাঁর মধ্যে ছোট ছোট কি যেন ঝুলে আছে। অরিনের কাছে মনে হচ্ছে এগুলা বাচ্চা। এতো ছোট ছোট বাচ্চা গাছে ঝুলানো। কিন্তু কেন? এটা চোখের ভুল নয়তো? ভয়ে দু’পা পিছাতে গিয়ে কিছু একটার সাথে ধাক্কা খেয়ে পরে যাচ্ছিলো একটা হাত তাকে ধরে আটকায়। ভয়ে অরিন চিৎকার দিয়ে উঠে। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলে,” ক্ক ক্ক ক্ক কে? ক কে?” কোনো সাড়া শব্দ নেই। ভয়ে অরিনের হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসলো। তার দুদিকে দুইটা বিশাল আকারের উঁচু কিছু দাঁড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে এগুলাই দৈত্য। অরিনের গলা শুকিয়ে যায়। একের পর এক শুকনো ঢোক গিলে গলা ভিজাতে চায়,কিন্তু গলা ভিজেনা। তাঁর গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে। অরিনের খুব পিপাসা পাচ্ছে শুকিয়ে যাওয়া নদীর মতো গলা শুকিয়ে আছে। নিঃশ্বাস ভারি হয়ে এসেছে। দ্রুত শ্বাস ফেলছে সে। হাতড়ে হাতড়ে গেটের রাস্তা খুঁজলো। একটু সামনে একটা জায়গায় কিঞ্চিৎ আলো দেখা যাচ্ছে। অরিন দৌড়ে সেদিকে যায়।

আলো আসা জায়গাটায় এসে অরিন থমকে গেলো। ছোট ছোট কাঠের টুকরো। খুব সুন্দর করে দাঁড় করিয়ে গুল করে O বানানো। তবে এটাকে O বলা যায়না। কারণ পুরোটা কাঠ দিয়ে বানানো নয়। দেখে মনে হচ্ছে C। এই C এর ফাঁক জায়গায়টায় প্রদীপ রাখা। আর এই প্রদীপের কারণে C টা O তে পরিনত হয়েছে। তবে C হোক বা O হোক দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে একটা কাঠ টাচ করলে সবটা পরে যাবে। একমূহুর্তের জন্য অরিনের ভয় সব উড়ে গেলো। নিজের মনে জেগে উঠা ইচ্ছে দমিয়ে রাখতে না পেরে বসে একটা কাঠে টাচ করলো। সত্যি সত্যি একটা একটা করে সব কাঠ পরে গেলো। শেষের কাঠ প্রদীপে পড়তেই কাঠগুলোতে আগুন ধরে গেলো। আগুন দেখে অরিন লাফ দিয়ে উঠে পিছিয়ে যায়। এখন এটাকে C মনে হচ্ছে না। এখন পুরোপুরি O লাগছে। O এর পরে আরেকটা অক্ষর জ্বলে উঠলো সেটা R অরিন অবাক হয়ে তাকালো। এটাতো আগে দেখা গেলো না। এভাবে জ্বলতে জ্বলতে আগুনে জ্বলে উঠলো অরিনের নাম। অরিন উচ্চ মাত্রার একটা ঝাটকা খেলো। চোখ বড় বড় করে হা করে তাকালো। এটা কি দেখছে সে? Orin? অরিনের মনের ভয় সাথে সাথে কেটে গেলো। শুকিয়ে যাওয়া গলা আর শুকনো মনে হচ্ছে-না। পিপাসাটা চলে গেছে। অরিন চারদিকে তাকিয়ে খুঁজলো কে এই নাম লিখেছে। তাঁর নামে জ্বলে উঠা আগুনের আলোয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যে উঁচু কিছু একটাকে দৈত্য ভাবছিলো। ওগুলা দৈত্য নয় অন্যকিছু। কালো পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা কিছু। অরিন এগিয়ে গিয়ে একটা পর্দায় ধরে টান দিলো। কাঁচের গ্লাসের চতুরকোণের আকারে ছোট উচ্চতায় লম্বা একটা ঘর। সেই ঘর ভর্তি শত শত জোনাক পোকা। রাতের জন্য কাঁচ দেখা যাচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে খুলা জায়গায় জোনাকির আড্ডা চলছে। অরিন অবাক হয়ে তাকালো। কাঁচের উপর হাত রেখে জোনাকি ছোঁয়ার বৃথা চেষ্টা করলো। এতো এতো জোনাকিপোকার আলোয় চারদিকটা সবুজ রঙে রাঙিয়ে উঠছে। অরিন দ্বিতীয় পর্দাটা সরালো। তাঁর চোখে আবারও মুগ্ধতা নেমে আসলো। আগের কাঁচের ঘরের থেকে এই ঘরটা আরো বেশি সুন্দর। রঙ বেরঙের শত শত প্রজাপতির ঘর। একটা সাদা বাতি মাঝখানে ঝুলানো। সেই বাতির আলোয় প্রজাপতি গুলার রঙিন ডানার সৌন্দর্য আরো বেড়ে উঠেছে। অরিনের ইচ্ছে করলো কাঁচ ভেঙে প্রজাপতি গুলো বের করে হাতে নিতে। এতো সৌন্দর্য দেখে উত্তেজনায় তাঁর নিঃশ্বাস বেড়ে গেছে। একবার ডানে তাকাচ্ছে একবার বামে। এতো সুন্দর দুটো ঘর কোনটা রেখে কোনটা দেখবে বুঝতে পারছে না। এতো সুন্দর লাগছে যে বলে বুঝাতে পারবেনা কাউকে। একদিকে শত শত জোনাক পোকা উড়ে বেড়াচ্ছে একদিকে শত শত প্রজাপতি।

দুটি কাঁচের ঘরের আলোতে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে চারিদিক। সেই আলোতে দেখা যাচ্ছে অরিন তিনতলার ডুপ্লেক্স একটা বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বিল্ডিংয়ের দিকে তাকাতেই লাল নীল হলুদ সবুজ রঙের ঝুলানো মরিচবাতি জ্বলে উঠলো। সাথে সাথে জ্বলে উঠলো গাছে ঝুলানো হারিকেন গুলোও। হারিকেনের ভেতর বৈদ্যুতিক বাল্ব। গাছের হারিকেন গুলো মনে হচ্ছে মাত্র ফুটে উঠা গোলাপ। চারদিকটা জ্বলজ্বল করছে। রাত বলে আর মনে হচ্ছে না। যেন সূর্যের আলোয় সব আলোকিত হয়ে আছে। না এটাকে সূর্যের আলোও বলা যায়না। সূর্যের তো এক রঙ থাকে। এখানে তো রঙের মেলা বসানো মনে হচ্ছে। এতো এতো সৌন্দর্য দেখে অরিনের হার্টএট্যাক হওয়ার অতিক্রম। বিল্ডিংয়ের ডান পাশে তাকাতেই অরিন দ্বিতীয় ধফা ঝাটকা খেলো। তবে এই ঝাটকাটা অনেক বড়। জমিন থেকে ২০ ফুট উপরে অক্ষরের লাইটিং করা। সুন্দর করে লিখা “Happy Birthday Bowpakhi”! অরিনের নিশ্বাসের গতি আরো বেড়ে যায়। বউপাখি মানে? দিহান এসব করেছে? অরিনের মুখে হাসি ফুটে উঠলো। দিহান তাঁকে সারপ্রাইজ দিচ্ছে? দিহান রাগ করেনি? দিহান জানে আজ অরিনের বার্থডে? খুশিতে অরিনের কান্না চলে আসে। পাগলের মতো এদিক ওদিক ছুটে দিহানকে খুঁজতে লাগে। কোথাও নেই দিহান। অরিন দিহানকে ডাক দেয়, ” দিহান। কই আপনি? প্লিজ সামনে আসুন।” দিহানের কোনো সাড়া নেই। অরিন চারদিকে খুঁজতে লাগলো। এদিক ওদিক সবদিকে খুঁজে অথচ দিহানকে পায়না। হতাশ হয়ে অরিন তাঁর নামে লেখা আগুনের সামনে বসে পরে। আগুন নিবে গেছে কাঠের ধোঁয়া উড়ছে। অরিন নড়লো না তাঁর খুব কান্না পাচ্ছে। দিহান এসব করেছে এটা নিশ্চিত। বউপাখি বলে দিহান ছাড়া আর কে ডাকবে তাঁকে? কিন্তু দিহান সামনে কেন আসছে না? অভিমানে চোখ ফেটে জল বেরিয়ে আসে। হঠাৎ গিটারের আওয়াজ কানে এলো৷ অরিন উঠে দাঁড়ায়। চিরচেনা সেই মধুর স্বরে গেয়ে উঠলো,,

with you no matter what beings tomorrow
keep loving you everyday
no more sorrows be up now
there’s a better place you have to be
i have my heart come get lean on
love crashing down to my veins
no more sorrow be up now

সুরটা বিল্ডিয়ের ভেতর থেকে আসছে। অরিন বিল্ডিংয়ের ভেতরে যায়। সুর অনুসরণ করে করে উপরে যেতে লাগে।

there’s no one but you Heart is falling
there’s no one but you I’ll be loving this to you
i promise this to us
I’ll do my best for you
with you I’m in love
I’m falling in love
with you in love

ছাদে পা রাখাতেই গান থেমে হয়ে যায়। গিটারের সুরটাও আর নেই। গানের সাথে অরিনও থমকে গেলো। এতো সুন্দর করে ছাদ সাজানো মনে হচ্ছে এটা তাঁর কল্পনায় আঁকা রাজ্য। ছাদের ঠিক মাঝখানটায় একটা বেড রাখা আছে। সাদা রংয়ের বেডশিট। সাদা রংয়ের পর্দা দিয়ে খাটের সামনের দিকটা সুন্দর করে সাজানো। পর্দার সাথে মরিচবাতি লাগানো। বেডের মাঝখানে কয়েকটা গুলাপের পাপড়ি দিয়ে গুল করে সাজানো যার মাঝখানে আছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচের আবরণের মধ্যে স্থাপিত, কাঁচের আবরণটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ। বেডের ডান পাশে একটা সুইমিংপুল আছে। সুইমিংপুলের জলের উপর প্রদীপ ভেসে ভেসে যাচ্ছে। এতো এতো প্রদীপ রাখা দেখে মনে হচ্ছে একটা বিশাল বিলের মধ্যে পদ্ম ফুটেছে। আর সেই পদ্মের আলোয় জল চিকচিক করছে। ছাদের বাম দিকে একটা স্টেজ সাজানো। পুরোটাই ফুলের। একটা ফুলও অন্য রঙের নয়। সবটা সাদা রংয়ে সাজানো। ফুলের সাথে সব রংয়ের মরিচবাতি পেছিয়ে পেছিয়ে লাগানো। স্টেজের সামনে একটা টেবিল রাখা টেবিলের উপর বড় একটা কেক। কেকের চারপাশে গ্লাসের আবরণে প্রদীপ। টেবিলের এক কোণে ফুলের তুরা রাখা। সব ফুল সাদা গোলাপ। রেলিঙের উপরেও প্রদীপ রাখা। একটা সাদা গোলাপ একটা প্রদীপ। চারদিকে এতো এতো প্রদীপ যে সূর্যের আলোর ন্যায় সব কিছু আলোকিত হয়ে উঠেছে। সাদা রংয়ের সবকিছু হওয়ায় আরো বেশি আলোকিত লাগছে। শুধু বেডে রাখা গোলাপের কয়েকটা পাপড়ি ছাড়া সব কিছুই সাদা।

অরিন দিহানকে ডাক দিলো,”দিহান কই আপনি? প্লিজ সামনে আসুন না।” দিহানের সাড়া নেই।
_প্লিজ সামনে আসুন। দেখুন আমি কিন্তু এবার কেঁদে দিবো। আমি জানি আপনি ইচ্ছে করে সামনে আসছেন না।” এবারও দিহানের সাড়া নেই। অরিনের মুখটা কালো হয়ে যায়। ঠোঁট ভেঙে কেঁদে দেয় সে। মাথা নিচু করে হাতের উল্টো পিঠে চোখে মুছে। তখনই গিটারের সুর বেজে উঠল। অরিন মুখ তুলে সামনে তাকায়। স্টেজের পিছনে একটা ছায়া দেখা যাচ্ছে। আবারও সেই মধুর স্বরে গেয়ে উঠলো,

girl i love you so much
Feeling so emotional
With you
Tonight gotta hold you tight
With you
Tonight gotta hold you tight
Girl i want you so much
Feeling so emotional
I’m in love with you
Tonight tonight tonight
There’s no one but you heart is falling
There’s no one but you I’ll be loving
I promise this to you
I promise this to us
I’ll do my best for you
with you I’m in love
I’m falling in love
with you in love

গান শেষ করেই দিহান স্টেজের সামনে এসে দাঁড়ালো। ব্লাক শার্ট ব্লাক জিন্স হাতে ব্লাক ওয়াচ। তাঁর ঘন চিল্কি চুল গুলা খাড়া খাড়া। দাঁড়ি কাট করেছে মনে হয়। এতো সুন্দর লাগছে যে অরিন হা হয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত তাকায়। দিহান এমনিতেই সুন্দর এখন যেনো আরো সুন্দর হয়ে গেছে। তাঁর ফর্সা গায়ে কালো শার্ট। এই জ্বলজ্বল আলোতে দিহানের ত্বক চিকচিক করছে। দিহানের সৌন্দর্য দেখে অরিন মাঝে মাঝে ভাবে এই রকম একটা হ্যান্ডসাম ছেলে তাঁর মতো মেয়েকে কি দেখে ভালোবাসে। এখন তো দিহান আরো সুন্দর হয়ে গেছে। অরিন হা হয়ে দিহানের দিকে তাকিয়ে তাকলো। দিহান কাঁধ থেকে গিটারটা রেখে টেবিলের উপর রাখা গোলাপের তুরা নিয়ে অরিনের সামনে এসে হাঁটু গেড়ে বসলো। অরিন এখনো তাকিয়ে আছে। সে কি রকম প্রতিক্রিয়া দিবে বুঝতেছে না। দিহান ফুলের তুরাটা বারিয়ে বলল,

যখন তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিলো, তখন ভেবেছিলাম তুমি একটা সাধারণ মেয়ে।
যখন তোমায় চিনলাম, তখন মনে হলো তুমি একটা অসাধারণ মেয়ে।
যখন তোমার সাথে ভালোবাসায় আবদ্ধ হলাম,তখন বুঝলাম তুমি আমার ভালোবাসা।
কিন্তু এখন বোধ করি এসব সাধারণ,অসাধারণ, ভালোবাসা কিছুই নয় তুমি। তুমি হচ্ছ আমার হার্ট। যাকে ছাড়া বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। যেটা না থাকলে ভালোবাসা অনুভব করা যায়না। সাধারণ অসাধারণ যাচাই করা যায়না। তুমি হচ্ছ আমার সমস্ত কিছু। আমার নিজেস্ব পৃথিবী। যাকে আমি নিজের মতো সাজাই। যার পুরোটা জুড়ে আমার বসবাস। যেখানে স্বাধীন ভাবে চলতে পারি। যার সবটা জুড়ে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। তুমি হচ্ছো আমার রাজ্যের রানি। যে রাজ্য আমার বুকের ভিতর স্থাপন করা। যে রাজ্যে এক রাজা এক রানি ছাড়া অন্যকারো আনাগোনা নেই। তবে খুব শীঘ্রই আসবে সে রাজ্যের রাজকন্যা/রাজকুমার। আর তাঁদের আনতে এতো কষ্ট করার জন্য তোমায় ধন্যবাদ। ধন্যবাদ উপরওয়ালাকেও তিনি তোমাকে আমায় দিয়েছেন। আমার জন্য তোমায় বানিয়েছেন। পাঠিয়েছেন এই ভুবনে এই দিনে এই সময়ে। হ্যাপি বার্থডে বউপাখি। সারাটা জীবন আমার হয়ে থাকো। ইহকালে যেমন তুমি আমার পরকালেও যেন উপরওয়ালা তোমায় আমার রাখে।”

অরিনের কাছে সব কিছু স্বপ্নের মতো লাগছে। এতো খুশি লাগছে এতো খুশি লাগছে যে খুশিতে তাঁর মনের সাগরের বাদ ভেঙে গেছে। সেই বাদ ভাঙা জোয়ার চোখে জল হয়ে বেরিয়ে আসছে। অরিন কেঁদে কেঁদে হেসে উঠলো। খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছে সে। ফুলের তুরা হাতে নিতে গেলে দিহান তাঁর হাত পিছিয়ে নিয়ে বলে,”উঁহু। আগে রিং নাও।” অরিন তাকিয়ে দেখলো মাঝখানের গোলাপের উপর তিনটা রিং রাখা। তিনটাই ডায়মন্ডের। তিনটার ডিজাইন তিন রকম। অরিন সব থেকে simple একটা রিং হাতে নিলো। দিহান অরিনের হাতে ফুলের তুরা দিয়ে রিংটা অরিনকে পড়িয়ে দিয়ে বলল,”এটা তোমার পছন্দ। যেটাকে গিফট বলা যায়না।” আরেকটা রিং নিয়ে ওটা পরিয়ে বলল,”এটা তোমার জন্মদিনের গিফট। প্রতি জন্মদিনে নতুন গিফট পাবে কিন্তু এটা আমার দেওয়া তোমার প্রথম জন্মদিনের গিফট তাই এটা যত্নে রাখবে।” দিহান সব শেষের রিংটা হাতে নিয়ে অরিনকে পড়িয়ে দিয়ে বলল ” এটা আমার বাবা হওয়ার খুশিতে দিয়েছি।বাবা হওয়ার সংবাদটা যে কত সুখের তা তোমায় বলে বুঝাতে পারবো না। এই সুখটা তুমি আমাকে দিয়েছো। আশা করি প্রতি বছর একবার এই সুখ দিবে।” বলেই চোখ মারলো। হেসে চোখ দিয়ে ধমক দিলো। দিহাম ঠোঁট কামড়ে হাসে। তারপর অরিনের কোমরের দুপাশে ধরে পেটে চুমু খেলো। অরিন কেঁপে ওঠলো। পরম আবেশে চোখ বন্ধ করে দিলো। দিহান দাঁড়িয়ে বলল,”বলেছিলাম না। দেখা হলে প্রথম চুমুটা পেটে দিবো।” অরিন দিহানের বুকে একটা কিল দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলো। দিহান হেসে অরিনকে জড়িয়ে ধরে বলল, “পাগলী কাঁদছো কেন?
_খুব পঁচা আপনি। খুব পঁচা। জানেন কতো কষ্ট পেয়েছি আমি? আর আপনি কিনা এসব করে বেড়াচ্ছিলেন? আপনাকে মিস করতে করতে দম বন্ধ হয়ে আসছিলো আমার।
_এসেছি তো ভালোবেসে কষ্ট দূর করে দিতে। কেঁদো না বউপাখি।
_আমি কাঁদবো আপনার কি?
_বাহ রে আমার বউ কাঁদবে আর আমার কিছুই না?
_এতোদিন যে কাঁদালেন?
_সেটার জন্য সরিইইইই।” অরিন দিহানকে মৃদু ধাক্কায় সরিয়ে দিয়ে হাতে হাত ভাঁজ করে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকলো। দিহান কান ধরে অরিনের সামনে দাঁড়িয়ে বলল,”বললাম তো বাবা সরি।” অরিন রাগি লুকে তাকালো। দিহান অভ্যাসগত ভাবে ঠোঁট কামড়ে হাসে। অরিন বলে,”চিরকুটটা কে দিয়েছিলো?
_এটা বলা যাবেনা সিক্রেট।”
_থাকেন আপনার সিক্রেট নিয়ে।” অরিন রাগ করে চলে যেতে লাগে। দিহান অরিনকে কোলে তুলে নিলো। অরিন চেঁচিয়ে বলল,”ছুঁবেন না আমায়। আপনি পঁচা।”
_তাহলে তুমিও পঁচার বউ।
_একদম আমার বর তুলে কথা বলবেন না। ছাড়ুন।
_ঠিক আছে বললাম না ছাড়লাম ও না।” অরিন ফিক করে হেসে দিলো। দিহান বলল, “এতো কষ্ট করে এতোকিছু করলাম আমার বউয়ের কিনা সারপ্রাইজটা ভাল লাগেনি।” অরিন দিহানের কলার খামচে বলে,”আমি বলেছি ভালো লাগেনি?” দিহান কিছু বলেনা। অরিন দিহানের কপালে চুমু এঁকে দিয়ে দিহানের গলা জড়িয়ে বলল,”আমার জীবনের প্রথম ও বেস্ট সারপ্রাইজ এটা।
_তোমার সত্যি ভালো লেগেছে?
_অন্নেক বেশি। এতো সুন্দর করে সারপ্রাইজ দিলে কার না ভালো লাগবে?” দিহান ছাদের কর্ণারে গিয়ে দাঁড়ালো। অরিন এখনো দিহানের গলা জড়িয়ে আছে। দিহান বলল,”বউপাখি সামনে তাকাও।” অরিন মাথা তুলে সামনে তাকায়। নিচ থেকে দাঁড়িয়ে নিচটা দেখে যতটা সুন্দর লাগছিলো। উপর থেকে তাঁর থেকে দ্বিগুণ সুন্দর লাগছে। জোনাকপোকা ও প্রজাপতির কাঁচের ঘর দুটো এতো সুন্দর লাগছে অরিনের ইচ্ছে করছে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে কাঁচের ঘরে ডুকে যাক। কিন্তু দেখে মোটেও মনে হচ্ছেনা এগুলা কাঁচের ঘরের ভেতর আছে। মনে হচ্ছে ওরা খুলা বাতাসে উড়ছে। যেন এই বিল্ডিংটা একটা প্রাসাদ। আর এই প্রাসাদের গেট দেয়া জোনাকিপোকা আর প্রজাপতি দিয়ে। গেটের ভেতর ঢুকলেই বিশাল গাছ। যে গাছটা হারিকেন প্রতীকে সাজানো। তাঁর ঠিক বিপরীত দিকে লাইটিং করে happy birthday bowpakhi লেখা। অরিন এতো সুন্দর দেখে বাকহারা হয়ে গেছে। ছাদ থেকে নিচ সুন্দর নাকি নিচ থেকে ছাদ সুন্দর বিচার করার মতো বোধশক্তি নেই তাঁর। আচ্ছা এতো এতো সাঁজ কে সাজালো। অরিন দিহানের দিকে তাকিয়ে বলল,”এসব আপনি একা করেছেন?” দিহান ঠোঁট কামড়ে হাসলো। কিছু না বলে অরিনকে নিয়ে স্টেজে আসলো। অরিনের হাতে ছুরিটা দিয়ে বলল,”কাটো।”অরিন মৃদু হেসে ছুরিটা হাতে নেয়। কেক কেটে আগে দিহানের মুখে দেয়। এক বাইট খেয়ে অরিনকে দেয়। অরিন একটু খেলো। দিহান চট করে অরিনকে কোলে তুলে নেয়। সুইমিংপুলের পারে বসিয়ে রেখে বেড থেকে প্রদীপটি হাতে নিয়ে এসে অরিনের পাশে বসলো। কাচেঁর ভেতর থেকে মোমবাতিটা বের করে জলে ভেসে চলা প্লাস্টিকের উপর রাখা প্রদীপের পাশে রেখে দিলো। দুটোর আগুন একসাথে হয়ে শা শা শব্দ করে আগুন কিছুটা উপরে উঠে আমার নিচে নেমে গেলো। অরিন শাড়ীটা একটু উপরে তুলে পা দুটো জলে ভিজালো। দিহানও জুতো খুলে তাঁর প্যান্ট ফোল্ড করে পা দুটো ভেজালো। পানির নিচে অরিনের একটা পা এনে তাঁর দুটো পা নিয়ে খেলতে লাগলো। এক হাতে অরিনের কোমর জড়িয়ে ধরে অন্য হাতে অরিনের কানের নিচে রেখে অরিনের মুখটা তুলে কপালে চুমু খেলো। অরিন দিহানের বাহু জড়িয়ে কাঁধে মাথা রেখে বললো,

“জানেন গায়ের রং চাপা বলে সবাই বলতো খালেদের মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে তাকে কত সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। গরীব ছিলাম বলে সমাজের লোকজন মানুষ বলে হয়তো মনেই করতো না। বিয়ের দিন স্বামী খুন হয়েছিলো বলে সমাজ আমাকে অলক্ষীর উপাধি দিয়েছিলো। আজ না এই সমাজ এই সমাজের মানুষগুলোকে আমার খুব বলতে ইচ্ছে করছে। তোমরা দেখে যাও আমার মতো সুখী তোমরা কেউ না। তোমাদের ভাগ্যেও আমার স্বামীর মতো একটা স্বামী নেই। আমি ভাগ্যবতী অলক্ষী নই।”শেষ কথাটা বলার সময় অরিনের গলা ধরে এলো। অরিনের কথাগুলা শুনে দিহানের বুকটা ধুক করে উঠলো। অরিনের চোখের পানি এসে দিহানের কাঁধে পরলো। অরিনের চোখটা মুছে মাথায় চুমু এঁকে বলল,”আজ যেটা অবহেলিত কাল সেটা দামী। এটাই যে দুনিয়ার নিয়ম। তুমি জানোনা বউপাখি তুমি কতটা দামী৷ আমার পৃথিবী জুড়ে যদি দামী বলে কোনো শব্দ থাকে সেটা হচ্ছে অরিন।
_জানেন আমাকে কেউ কখনো সারপ্রাইজ দেয়নি। সারপ্রাইজ পেলে কিরকম অনুভূতি হয় আমার জানা ছিলো না। সারপ্রাইজ শব্দটা শুধু শুনেছি আমি কখনো কেউ সারপ্রাইজ দেয়নি। আজ প্রথম সারপ্রাইজ পেলাম আর আজ প্রথম জানলাম কেমন অনুভূতি হয়। বিশ্বাস করেন আমার মনে হচ্ছে আমার মতো ভাগ্য কারো নেই। এরকম এতো সুন্দর সারপ্রাইজ পেতেও যে ভাগ্য লাগে।” দিহান অরিনের ঠোঁটের স্লাইড করে করে বলল,”তাই?” অরিন মাথা ঝাকিয়ে বলল,” হুম তাই। আমার জীবনের সব থেকে দামী দিনটি হলো আজ।
_এর থেকে দামী দিনও তোমার জীবনে আসবে।
_কখনো বদলে যাবেন না তো?
_উঁহু। কখনোই না।” অরিন দিহানের কানে চুমু দিলো। দিহান তাঁর পায়ে অরিনের পা নিয়ে খেলতে খেলতে আকাশের দিকে আঙুল তাক করে বলল,” ওই যে বাঁকা এক চিমটি চাঁদ দেখছো ওটা আজ পূর্ণ নয়। কেন জানো?
_কেন?
_কারণ ওটা জানে এই দিনটাতে তাঁর প্রয়োজন পরবে না।
_এটা কেন?
_কারণ এতো এতো আলোতে ওর থাকা না থাকা সমান। সাথে তো আমার রূপবতী বউটা আছেই।
_আমি রূপবতী?
_অফকোর্স। শুধু রূপবতী নয়। গুনবতী,লক্ষী,অভিমানী,সত্বী,বোকা আর।
_আর?” অরিনের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,”হট।”
_ছিইইই!” দিহান ঠোঁট কামড়ে হেসে উঠলো। অরিন লজ্জা পায়। প্রদীপের আলো এসে তাঁর মুখে পরছে। সেই আলোতে তাঁর লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া মুখটা আকর্ষণীয় লাগছে। দিহান অরিনের ঘাড়ে চুমু খেলো। অরিন কেঁপে ওঠে। দিহান উঠে অরিনকে কোলে নিয়ে বেডে এনে রাখলো। শাড়ীটা হাঁটুর নিচ পর্যন্ত রাখা। শাড়ীর আঁচল বিছানার একদিকে ছড়িয়ে আছে। দিহান অরিনের চুলের ক্লিপ খুলে দিলো। সাথে সাথে কোমর সমান চুল ঝরঝর করে পিঠ ছড়িয়ে পরে গিয়ে বিছানায় নেতিয়ে পরে।বিছানায় রাখা ফুলের পাপড়ী গুলো অরিনের ভেজা পায়ে লেগে আছে। দিহানের কাছে এই মূহুর্তে অরিনকে পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর নারী মনে হচ্ছে। নেশা ধরা চোখে অরিনের দিকে তাকিয়ে তাকাল। অরিন দিহানের চোখের দিকে তাকালো। এই দুটো চোখ অরিনকে ঘায়েল করে দেয়। কতো গভীর এই চোখের ভাষা। যেন বুঝতে গেলে অরিন গভীরে তলিয়ে যায়। দিহানের চোখে স্পষ্ট ভেসে উঠছে অরিনের প্রতি তৃষ্ণা। অরিনের পায়ের উপর একটা হাত রেখে ধীরে ধীরে অরিনের দিকে এগুলো। অরিন চোখ বন্ধ করে দেয়। দিহান কাছে যাওয়ার আগেই তাঁর নিঃশ্বাসের গতি বেড়ে যাচ্ছে। কাছে গেলে কি হবে? অরিন এক হাতে বিছানা খামচে ধরলো। দিহানের ওষ্ঠস্বাদ নিতে অরিন ব্যাকুল হয়ে আছে৷ মনে হচ্ছে যোগাযোগের পিপাসা তাঁর। দিহান অরিনের নাকের সাথে নাক লাগিয়ে ঘোর লাগা কণ্ঠে বলল, “আই লাভ ইউ বউপাখি।” অরিন কিছু বলল না। দিহানের নিশ্বাসের শিহরণে তাঁর শিরায় শিরায় ঠান্ডা স্রোত বয়ে চলছে। প্রতি পশম চাইছে দিহানের সাথে ডুবে যেতে। অরিন শুয়ে পরে। দিহান অরিনের মুখের উপর ঝুকলে অরিন দিহানের ঠোঁটে হাত দিয়ে বাঁধা দেয়। বলে,”কেউ চলে আসবে।” দিহান অরিনের হাত সরিয়ে বলল,”কেউ আসবে না।”বলেই দিহান অরিনের উপর ঝুকতে গেলে অরিন বলে,”ড্রাইভার ড্রাইভার ড্রাইভার।” দিহান লাফ দিয়ে উঠে বসে চারদিকে তাকায়। অরিনও উঠে বসে। দিহান রাগি চোখে তাকাল। অরিন ভয়ার্ত চোখে একবার তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নেয়। দিহান দাঁতে দাঁত চেপে বলে,”কই তোমার ড্রাইভার?
_এখন নেই কিন্তু চলে আসবে। এতো কিছু তো আপনি একা করেন নি তাইনা? কেউ না কেউ তো আপনার সাথে ছিলো। ওরা যদি কোথাও লুকিয়ে থাকে। আর ওই ড্রাইভার! ওই ড্রাইভারটা কে ছিলো?

দিহান একটা ব্যর্থ নিশ্বাস ছেড়ে কপাল চাপড়ালো। তারপর বলল, একটু আগে বলেছিলাম না তুমি বোকা? তুমি না আসলেই বোকা। তোমার মনে হয় আমি এমন কিছু করতে যাবো কেউ এখানে আছে জেনে? আর বলে দেই ওই ড্রাইভারটা মিহান ছিলো। আর আমার সাথে এইগুলোতে আমার সব ভাই আমায় হেল্প করেছে।” অরিনের মাঝে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। দিহান বলল,”ওকে ফাইন।” বলেই বেডের উপর দাঁড়িয়ে মুখের দুপাশে হাত রেখে চেঁচিয়ে ডাক দিলো,”জিহান।” অরিন লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,”ওই উনি না আপনার বড়?”
_হ্যাঁ বড় তো?”অরিন ভেংচি কেটে বসে গেলো। দিহাম আবারও চেঁচিয়ে ডাকতে লাগলো,” মিহানননন,নীইইইইল,শাওওওওন।” দিহান সবাইকে ডেকে অরিনকে বলল,”কই তোমার কেউ? আসলো না যে?” অরিন কিছু বলল না। দিহান অরিনকে শুয়ে বলল,”রোমান্সের বারোটা বাজানোর জন্য কোথাও পুরস্কার দিলে তোমার নামটা দিয়ে আসবো।” অরিন কিলকিল করে হেসে উঠে। দিহান অরিনের গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়। অরিনের হাতের আঙুলের ফাঁকে আঙুল ঢুকিয়ে হাতে মুঠি করে ধরলো। অরিনের হাসি থেমে যায়। দিহান অরিনের ওষ্ঠযুগল দখলে নেয়। অরিন দিহানকে আঁকড়ে ধরে। হারিয়ে যায় তাঁরা অতল সাগরে। যত সময় যেতে লাগে তত অরিনের হাতে মুঠি ধরা বাঁধন শক্ত হয়ে আসে।

চলবে,,,,,।

তারাহুরো করে লিখছি কি লিখিছি জানিনা। ভুল ক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here