#ভালোবাসি_বলে_দাও
#আরিশ❤আরু
#Suraiya_Aayat
18.
সারাটা রাস্তা আমি নিরবতা মেনে এলাম। উনিও আমার সাথে কথা বলেননি বিন্দুমাত্র। ওনার গাড়ি চালানোর গতি দেখে আমি বুঝলাম উনি রেগে আছেন ভীষনরকম। ওনার বাসার সামনে গাড়ি থামিয়ে উনি নিজে নামলেন। আমি গাড়ির মধ্যে চুপচাপ বসে আছি, ভয়ে নামবো কি নামবোনা বুঝতে পারছি না। উনি আমার দরজার সামনে এসে দাঁড়ালেন। ধমকের সুরে বললেন,
‘আপনাকে কি নিমন্ত্রণ করে গাড়ি থেকে নামাতে হবে?’
আমি ওনার কথা শুনে চটজলদি গাড়ি থেকে নেমে গেলাম। আমি গাড়ি থেকে নামা মাত্রই উনি আমার হাত ধরে টানতে টানতে বাসার ভিতর নিয়ে যেতে লাগলেন। আমি হাতে বেশ ব্যাথা পাচ্ছি। তারওপর সারা দিন কিছু না খাওয়াই শরীরটা দূর্বল লাগছে। সেই সকাল এগারোটার দিকে একবার খেয়েছিলাম আর সেখান থেকে এখন ফিরতে ফিরতে এখন সাড়ে সাতটা বাজে প্রায়। আমি হাতে ব্যাথা পেলাম বেশ, মাঝ রাস্তায় আমি থেমে গেলাম। আমার চোখ এর কোনে বিন্দু বিন্দু জল জমে এলো। ধরা গলায় মিনতির সুরে ওনাকে বললাম,
‘আরিশ ভাইয়া হাতটা ছাড়ুন আমার লাগছে। ‘
আমার মুখে এমন কথা শুনে হাতটা ধরে ওনার কাছে আমাকে টেনে নিলেন, ওনার আর আমার মাঝের দূরত্ব টা মিটে গেল। উনি দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,
‘বিয়ে করার যখন এতোই শখ ছিলো তখন আগেই বলতে বাল্য বিবাহ করিয়ে নিতাম তোমাকে। ‘
ওনার মুখ থেকে এমন কথা শুনে আমি মাথা নীচু করে নিলাম। আমি আমার ভুলটা বুঝতে পারছি না, আর কারনটাও জানতে পারছি না যে উনি আমার সাথে এমন ব্যাবহার করছেন কেন?
আমি চুপ করে গেলাম এক নিমেষেই। উনি আমাকে চুপ থাকতে দেখে এবার নিজেই আমার হাত ছেড়ে দিলেন আর নিজে হাটতে হাটতে চলে গেলেন বাসার ভিতরে। আমি চোখটা মুছে ওনাকে অনুসরন করলাম।
বাসায় ঢুকতেই ফুপি আর সানকে দেখলাম মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন, ওনাকে কোথাও দেখলাম না, গোটা বাড়িটা কেমন নিস্তব্ধতায় ছমছম করছে। আমাকে গুটীগুটি পায়ে ঢুকতে দেখে ফুপি এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। ফুপি আমাকে জড়িয়ে ধরতেই আমি হাওহাউ করে কেঁদে দিলাম। ফুপি আমাকে শান্তনা দিতে লাগলেন। আমাকে নিয়ে সোফার বসাতেই সানা এক গ্লাস জল এনে আমার সামনে ধরে বললেন,
‘ এই নাও ভাবী তোমার পানি। ‘
সানার মুখে ভাবী ডাকটা শুনে আমি বেশ চমকে গেলাম। পাশ থেকে ফুপি যে মুখ চেপে হাসছেন তা আর বুঝতে বাকি রইলো না। তাদের মাঝে আমার নিজেকে এলিয়েন লাগছে। আমি লজ্জায় পড়ে গেলাম, আর কোন কথা না বলে জলটা খেয়ে নিতেই ফুপি বললেন,
‘ গালটা লাল হয়ে গেছে তো। আঙুলের ছাপ যে। আরিশ তোকে মেরেছে? ‘
আমি কিছু বললাম না, ফুপির কাছে আমি বরাবরই বড্ড আল্হাদী। ফুপির মুখে এমন কথা শুনে আমি কেঁদে উঠলাম আবার। পাশ থেকে সানা বলে উঠলো,
‘তোমার ছেলেটা এমন হিটলার কেন? বিয়ের প্রথম দিন কেও এভাবে মারে! আহারে আমার কিউট ভাবীটা। ‘
ফুপি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। একটা পর্যায়ে গিয়ে আমার কান্না বন্ধ হতেই ফুপি আমার চোখ মুছিয়ে দিয়ে বললেন,
‘ আজ আরিশের একদিন কি আমার একদিন। চল তো।’
ফুপি আমার হাত ধরে ওনার ঘরের দিকে নিয়ে যেতে নিলেই আমি ফুপিকে আটকালাম।
‘না ফুপি আমি ওনার ঘরে যাবো না। গেলে উনি আবার আমাকে মারবেন। ‘
ফুপি আশ্বাস দিয়ে বললেন,
‘আমার মেয়েকে মারে ওর সাহস কতো। তাছাড়া সে তার ঘরে যাওয়ার আগে বলে গেছে তোকে সোজা তার ঘরে পাঠাতে। তুই না গেলে ও আরও রেগে যাবে, চল আমি ওকে বুঝিয়ে বলছি। ‘
ফুপির কথাতে আমি আর না করতে পারলাম না। ফুপি আমার হাত ধরে ওনার ঘরের সামনে নিয়ে গেলেন। আমি এখনো কিন্তু কিন্তু করছি, বুকের ভিতরটা কেমন টিমটিম করছে। উনি যদি এবারও কিছু বলেন।
ফুপি দরজা খুলতেই দেখলাম উনি রুমের মধ্যে নেই। যার অর্থ উনি শাওয়ার নিচ্ছেন। ফুপি আমাকে বিছানায় বসতে বলে ওনাকে ডাক দিলেন।
‘আরিশ তুই ওয়াশরুমে? ‘
উনি শুধু জবাব দিলেন ‘হমম। ‘
আমি ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গেছি। ইশারায় ফুপিকে বলতে লাগলাম যেন আমাকে একা ফেলে সে না যায়। ফুপি আমার কথা রাখতে ওনাকে বললেন,
‘ আমি তাহলে আরুকে নিয়ে যায় এখন। ‘
উনি শুধু একটাই জবাব দিলেন,
‘তুমি খাবার বাড়ো টেবিলে, আমি ওকে নিয়ে আসছি। ‘
‘আমি ওকে নিয়ে আসছি’ কথাটা শুনে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে এলো, আমি মুখ কাঁচুমাচু করে ফুপিকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে আমি এখানে থাকবো না কোনমতেই।
ফুপিও যে তার ছেলেকে ভয় পান একটু হলেও তা আমি বুঝি। ফুপি আমাকে আশ্বাস দিয়ে বেরিয়ে এলেন যার যাওয়ার আগে বলে গেলেন যেন উনি আর আমাকে কোন প্রকার বকা ঝকা না করেন, নাহলে ফুপি ওনার খবর খারাপ করে ছাড়বেন।
আমি বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ালাম। সেখান থেকে পালানোর প্রস্তুতি নেবো এমনটা ভাবছি তখনই উনি ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলেন। আমি ওনার দিকে ভুলেও তাকাবো না, করলাম ও তাই। আমি ওনার বিপরীত দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছি। আমার হাত কাঁপছে, ওনার এমন রুপ সচরাচর দেখা যায় না। উনি ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে রুক্ষ কন্ঠে বললেন,
‘ওখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন তুমি? ‘
আমি ওনার এমন কথা শুনে গুটিগুটি পায়ে ওনার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। উনি আমার সামনে থেকে সরে গিয়ে কিছু একটা আনলেন আর কঠিন শব্দে বললেন,
‘দেখি, ডানদিকে ফেরো।’
উনি কি এবার বলে কয়ে চড় মারার পরিকল্পনা করছেন? কথাটা ভাবতেই আমি কয়েক পা পিছিয়ে গেলাম, আমি ভয়ে বলে উঠলাম,
‘প্লিজ আমাকে আর চড় মারবেন না। আমার ব্যাথা লাগে। ‘
আমার কথা শোনার পর উনি আমার কাছে এগিয়ে এসে আমার মুখটা ধরে সামন্য ঘুরিয়ে ডান গালে কিছু একটা ঠান্ডা জাতীয় ক্রিম লাগিয়ে ছিলেন। ভয়ে আমি চোখ মুখ কুঁচকে নিলাম। উনি মলম লাগাতে লাগাতে বললেন,
‘তোমাকে আমি বলেছিলাম না যেতে তারপরও তুমি আমার কথা শোনার প্রয়োজন বোধ করোনি। আর আমার কানের কাছে সারাদিন রাগ দেখিয়ে এটা বলো ওটা বলো কই তারা যখন তোমার সাথে এমন একটা জোরজবরদস্তি করতে যাচ্ছিল তখন তুমি একটাবার ও প্রতিবাদ করোনি কেন? কি বিয়ে করার শখ জাগছিল খুব? সঠিক জায়গায় গলার জোর দেখাতে শেখো, নাহলে সবাই এমন ভাবে ব্যাভিচার করে চলে যাবে তুমি কিছ্ছু করতে পারবে না। ‘
আমি কেঁদে দিলাম ওনার কথাগুলো শুনে। উনি গালে মলম লাগাচ্ছেন, আমার চোখের জল গড়িয়ে ওনার আঙুলকে স্পর্শ করছে। আমি বুঝতে পারলাম উনি কিসের জন্য আমাকে চড় মারলেন।
আসলে ভুলটা যে আমারই তা আমি অস্বীকার করতে চাইছিলাম এতখন। সত্যিই তো আমি চাইলেই প্রতিবাদ করতে পারতাম কিন্তু সে মুহূর্তে আমি কিছু বলিনি। আর ওনার না প্রকাশ করা অভিমানটাও আমি ধরতে পারলাম নিমেষেই। আমি ওনাকে একটি বারের জন্য ফোন করে জানায়নি বলে বোধহয় উনি আরও বেশি রেগে গেছেন। উনি মলম লাগিয়ে সরে গেলেন। আমি চোখটা মুছে মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে আছি। উনি আর একটাও কথা বাড়ালেন না, কিছু না বলেই নীচে চলে গেলেন। আমি সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলাম কিছুখন আর সবকিছু ভাবতে লাগলাম পুনরায়।
ওনার কাছে কি এখন আমার ক্ষমা চাওয়া উচিত?
/
উনি ডিনার করে নিজের ঘরে চলে এসেছেন। টেবিলে বসে পুরোনো কোন কথা উনি আলোচনা করেননি। তবে সানা আর ফুপির থেকে জানতে পারলাম যে আমি নানা ভাইয়ের বাসায় চলে যাওয়ার পরপরই উনি আর ফুপি আমার বাসায় গিয়েছিলেন। গিয়ে বাবাকে সরাসরি জানান যে উনি আমাকে বিয়ে করতে চান। বিষয়টা আমার হজম না হলেও তা সত্য।
উনি বাবাকে বলে উঠলেন,
‘ মামা আমি আরুপাখিকে বিয়ে করতে চাই। আশা করি আপনাদের কোন অমত নেই। ‘
ওনার কথা শুনে আম্মু সম্মতি দিয়ে বললেন,
‘ আমার কোন অমত নেই। আমি আর অনিকা দুজনেই সেই তোমাদের ছোট বেলা থেকে চায় যে তোমাদের দুজনের বিয়ে হোক, আর আমাদের মাঝের সম্পর্কটা আরও মজবুত হোক। ‘
বাবা কিন্তু কিন্তু করে বললেন,
‘ কিন্তু দেখো আরিশ যেভাবে ভাবছো এই সম্পর্ক টা নিয়ে , আমি কখনোই সেভাবে ভাবিনি। আমি তো আমার বন্ধুর ছেলের সাথে। ‘
বাবার কথা থামিয়ে ফুপি বললেন,
‘ ভাইয়া আমি চাই না আরু অন্য কারোর বাসায় বউ হয়ে যাক। আমি নিজেও ওকে সানার মতোই ভালোবাসি। ‘
ফুপির কথা থামিয়ে উনি কথার মাঝে বলে উঠলেন,
‘আমি আরুকে ভালোবাসি। ‘
খাওয়ার টেবিলে এই কথাটা শোনামাত্রই আমি যে কতো বার বিষম খেয়েছি বলার মতো না। না পেরে ফুপি সব কিছু বর্ননা করায় বন্ধ করে দিয়েছে। ফুপি বলেছে যে বাকিটা অন্যদিন বলবেন। এমনিতেও এটুকু কথা হজম করতে যে আমার কবছর সময় লাগবে হিসাব নেই।।
ফুপা আজ বাসায় নেই তবে খবরটা শোনার পর থেকে কতো বার যে কল করেছেন হিসাব নেই। আমি ফুপিকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছি আর এসব ভাবছি। তাহলে ওনার মায়াবতী টা কি আমিই?
কথাটা ভাবতে গেলেও আমার কেমন অদ্ভুত লাগছে মন মানতে চাইছে না। ফুপিও এখনো ঘুমাননি, আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। হঠাৎ দরজায় টোকা পড়তেই ফুপি বলে উঠলো ‘কে?’
ওপাশ থেকে উনি উত্তর দিতেই আমি জড়ো হয়ে গেলাম। ফুপি গিয়ে দরজা খুলতেই দেখলাম উনি একটা সাদা পাঞ্জাবী পরে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি ওনাকে দেখে ঘুমের ভান করতেই হাতে নাতে ধরা খেলাম। উনি আমার নাম ধরে ডেকে বললেন,
‘ উঠে এসো।’
ফুপি প্রশ্ন করলেন,
‘কেন কি হয়েছে? থাক না ঘুমাক এখানেই। ‘
উনি ইশারা করে আসতে বললেন আমাকে। আমি আর কিছু বললাম না, ফুপিও ইশারা করলেন আসার জন্য। আমি ওনার পাশে এসে দাঁড়াতে উনি ফুপিকে বললেন,
‘ও আজ থেকে আমার সাথে থাকবে। ‘
কথাটা শুনতেই আমি ঘরে ঢুকে যেতে নিলেই উনি হাত ধরে নিলেন আমার। ওনার কথা শুনে ফুপি আনন্দে আত্মহারা। উনি আমার হাত ধরে ওনার রুমে এনে দাঁড় করিয়ে দরজা লক করতেই আমি বললাম,
‘ দরজাটা খোলা রাখেন না, বাতাস আসবে ভালো। ‘
উনি কথা না বাড়িয়ে এসির পয়েন্ট টা বাড়িয়ে দিলেন। উনি বললেন যে ওযু করে আসতে, দুজন একসাথে নফল নামাজ পড়বো। আমি অবাক হলাম। আসলেই তো বিয়ের রাতে স্বামী স্ত্রীর নফল নামাজ পড়া উচিত। তবে উনিও যে এটা মনে করে পালন করবেন বিষয়টা আমি মাথাতেও আনিনি। আমরা দুজনেই নামাজের পাটিতে দাঁড়ালাম, এখন আর ভয় লাগছে না আমার মনের মাঝে প্রশান্তি ছেয়ে যাচ্ছে। নামাজ শেষ করে আমি জায়নামাজ রেখে গুটিগুটি পায়ে দরজার দিকে পা বাড়াতে নিলেই উনি ধমক দিলেন,
‘ এই মেয়ে ও দিকে কোথায় যাচ্ছো? বিছানা কি এদিকে? ‘
ওনার কথা শুনে আমি বিছানায় ঝটপট করে শুয়ে পড়লাম। গরমেও গায়ে কম্বল টেনে নিলাম। উনি এসে আমার পাশে বসলেন আর একনিমেষে আমার গা থেকে কম্বলটা ফেলে দিলেন। উনি আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বললেন,
‘ এটা যেন আর ভাল্লুকের মতো গায়ে জড়াতে না দেখি। ‘
আমি মাথা নাড়িয়ে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম। উনি এবার রেগে গিয়ে বললেন,
‘এদিকে ঘোরো।’
আমি ওনার দিকে না তাকিয়ে বললাম,
‘ আমার দেওয়ালের দিকে না তাকালে ঘুম আসে না। ‘
আমার এমন লজিকলেস কথা শুনে উনি ধমক দিয়ে বললেন,
‘ তাহলে আমিই এমন কিছু করি যাতে তুমি সারারাত ঘুমাতে না পারো, এখন তো সবকিছুই জায়েজ তাই না। ‘
ওনার মুখে এসব কথা শুনে আমি তিড়িং করে উঠে বসলাম। ওনার দিকে তাকিয়ে বললাম,
‘ এই না না, আমার ঘুম আসে। খুব ঘুম আসে। আপনার কিছু করার দরকার নাই। ‘
উনি আর কথা বাড়ালেন না। আমি শুয়ে পড়লাম, আর উনিও। আমাদের মাঝে প্রায় একহাত সমান দূরত্ব। আমি চোখ বন্ধ করলাম। উনি আমার দিকে তাকাচ্ছেন না তবুও আমার অসস্তি লাগছে। আমি ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। একটা সময় আমার চোখে ঘুম ঢলে এলো তারপর শুরু হলো আরিশ ভাইয়ার নিদ্রাহীনতা আর তার নিদ্রা হরনকারী তার আরুপাখি। উনি যে সারারাত আমার দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে ছিলেন তা হয়তো আমি কখনোই জানতেও পারবো না।
ওনার মায়াবতীকে দেখার তৃষ্ণা ওনার কখনোই মিটবে না, কখনোই না।
#চলবে,,,,
এবার দেখেন খালি কি কি হয়?