বোনু Part_26

0
564

বোনু
Part_26
#Writer_NOVA

গাড়িতে মাথা হেলান দিয়ে বসে আছে উষা।জিবরান ড্রাইভারের সিটে বসে গাড়ি চালাচ্ছে। কিছু সময় পর পর উষার দিকে তাকাচ্ছে। মিষ্টি বাতাসে উষার চুলগুলো উড়ে এসে জিবরান মুখে বারি খাচ্ছে।

জিবরানঃ চুল সামলে রাখো।তোমার চুলের কারণে আমি চোখে কিছু দেখছি না।চুলের ঘ্রাণে আমি পাগল হয়ে যাবো।
উষাঃ ওহ সরি।আমি সামলে রাখছি।তারপরও চুলগুলো অবাধ্য হয়ে আপনার কাছে ছুটে যাচ্ছে।
জিবরানঃ

“তোমার এই খোলা চুলের ঘ্রানে,
হারিয়ে যাবো বহুদূরের অরণ্যে।
তুমি কি যাবে সখী আমার সনে?
দূর দূরান্তের সেই অজানা বনে।
হাত দুটি মেলে খোলা আকাশ পানে,
হারাবো দূজন অচীন গহীনে।
থাকবো দুজনে একিসনে,
রাজী থাকলে বলো গোপনে।
জানে না যেনো কেউ এ কথা,
আমার সঙ্গে গেলে দোষ কি তা??”
(লেখনীতেঃ নোভা)

(বিঃদ্রঃএটা কোন কবিতা হলো??আমার এই উল্টো পাল্টা কবিতা পরে, কেউ আবার আমাকে বকা দিয়েন না।জীবনে কোন দিন কবিতা লিখি নাই।কি দিয়ে কি বানাইছি নিজেও জানি না।??)

উষা মুগ্ধ হয়ে জিবরানের কবিতা আবৃত্তি করা শুনছিলো।কথা বলার ধরণটা খুব সুন্দর। গুছিয়ে কথা বলতে পারে ছেলেটা।
উষাঃ বাহ্ খুব সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করতে পারেন তো আপনি।তা এই কবিতার রচিয়তা কে?
জিবরানঃ আমি নিজে।হঠাৎ মনে এলো বানিয়ে ফেললাম।তোমার পছন্দ হয়নি?
উষাঃ চলে মন্দ নয়। তবে মনে হঠাৎ কবি কবি ভাব দেখা দিলো কেন?
জিবরানঃ ভালবাসার মানুষটা কাছে থাকলে এমনি এমনি কবি কবি ভাবটা চলে আসে।কাউকে তৈরি করে দিতে হয় না।
উষাঃ আমারতো জানা ছিলো না।আজকাল মি.জেব্রা একটু বেশিই রোমান্টিক হয়ে পরছেন?(ভ্রু নাঁচিয়ে)
জিবরানঃ সবে তো শুরু। আরো কত কিছু বাকি আছে। সেটার জন্য এখন অপেক্ষা।
উষাঃ আপনি কি বুঝাতে চাইছেন বলুন তো?
জিবরানঃ এই তুমি কি নেগেটিভ মাইন্ডে নিয়েছো কথাটা।আমি কিন্তু পজিটিভ মাইন্ডে বলেছি।
উষাঃ আপনার ঐ নেগেটিভ, পজেটিভ আমাকে বুঝতে হবে না। আপনাকে এতো কবিও হতে হবে না।
জিবরানঃ কেন?
উষাঃ আপনি এখন এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে কবিতা আবৃত্তি করলে কিছু সময় পর আমরা দুজন হসপিটালে ভর্তি হবো।
জিবরানঃ কবিতা আবৃত্তির সাথে হসপিটালে ভর্তি হওয়ার কি কানেকশন?
উষাঃ আপনাকে এত বড় টপ বিজনেস ম্যান কোন বেকুবে বানিয়েছে বলেন তো।আপনি যেমন বেকুব নিশ্চয়ই আপনাকে যে টপ বিজনেস ম্যান বানিয়েছে সেও বেকুব।নয়তো এই সামান্য ব্যাপারটা আপনি বুঝলেন না।আপনি যদি আমার দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালান তাহলে কিছু সময়ের মধ্যে গাড়ি এক্সিডেন্ট করবে আর আমরা দুজন হয় ওপরে শিফট হবো নয়তো হসপিটালে ভর্তি হবো।
জিবরানঃ খবরদার এক্সিডেন্টের কথা বলো না।আমার ভীষণ ভয় করে।মনে হয় তোমাকে আবার হারিয়ে ফেলবো।
উষাঃ কথা না বলে চুপচাপ গাড়ি চালান।তাহলে আর আমাকে হারানোর ভয় পেতে হবে না।
জিবরানঃ যথা আঙ্গা মহারাণী।আপানার আদেশ শিরধার্য।আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো।
উষাঃ পাগল ছেলে।
জিবরানঃ হুম তোমার।
উষাঃ হয়েছে আর ভালবাসা দেখাতে হবে না।

দুজন চুপ হয়ে গেল।অনেক দিন না কম বলা হলো অনেক মাস ধরে একাসাথে থাকা হয় না।জিবরানও সময় পায় না।আর উষাতো যেই চাপে ছিলো সেটা আমরা সবাই জানি।জিবরানের পরনে আজ কালো টি-শার্ট, হালকা ঘিয়া কালার প্যান্ট।হাতে কালো ওয়াচ,কালো বেল্টের জুতো।সিল্কি চুলগুলো একপাশে সেট করা।বাতাসে চুল কপালে মৃদু বারি খাচ্ছে।হঠাৎ একটা ফুচকার স্টল দেখে উষা চিৎকার করে উঠলো।
উষাঃ মি.জেব্রা গাড়ি থামান।গাড়ি থামান।
জিবরানঃ কি হয়েছে? এভাবে চিৎকার করলে কেন?
উষাঃ আরে জেব্রা গাড়িটাতো থামাবেন।
জোরে গাড়ির ব্রেক কষলো জিবরান।
জিবরানঃ এভাবে চিৎকার করছো কেন?
উষাঃ ফুচকা—
জিবরানঃ আশ্চর্য ফুচকার জন্য কি কেউ এভাবে চিৎকার করে?
উষাঃ আপনি জানেন ফুচকা আমার কত পছন্দের।আই লাভ ফুচকা।চলুন না ফুচকা খাবো।
জিবরানঃ তুমি যাও আমি গাড়িটা পার্ক করে আসছি।
উষাঃ অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি আজ পেট ভরে ফুচকা খাবো।

উষা গাড়ি থেকে দৌড়ে নেমে ফুচকার স্টলে গেলো।জিবরান গাড়ি পার্ক করে স্টলে ঢুকে পরলো। একটা ফাঁকা টেবিল দেখে বসে পরলো দুজন।
জিবরানঃ মামা দুই প্লেট ফুচকা দেন তো।
উষাঃ আপনিও খাবেন??
জিবরানঃ কেন খেতে পারি না।স্টলের ওপরে কি লেখা আছে শুধু মেয়েরা ফুচকা খেতে পারবে। ছেলেরা খেতে পারবে না।
উষাঃ না তা লেখা নেই। জেব্রা যে ফুচকা খায় তা আমার জানা ছিলো না।
জিবরানঃ এখন থেকে জেনে রাখো।
উষাঃ আচ্ছা আমি যে আপনাকে জেব্রা বলি আপনি রাগ করেন না।
জিবরানঃ না, রাগ হয় না।
উষাঃ গুড বয়।

ফুচকা খেয়ে দুজনে আইসক্রিম হাতে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে লাগলো। শহর থেকে অনেকটা দূরে গ্রাম সাইডে এসে পরেছে।দুজন কথা বলছে একসাথে পথ চলছে।ছায়া ঢাকা,নিরব,নির্জন জায়গাটা দুজনেরি ভীষণ ভালো লাগছে। অনেক সময় একসাথে কাটিয়ে রাতে বাড়ি ফিরলো দুজন।জিবরান উষাকে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি চলে গেল।

???

সকালে…….

বারান্দায় দাঁড়িয়ে অরূপ কফির মগে চুমুক দিলো। আকাশটা অনেকটা মেঘলা।ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির দিন আগে অরূপের ভালো লাগতো না।তবে সেদিনের পর থেকে বৃষ্টির দিনটা যেনো খুব ভালো লাগে। এরকম এক বর্ষণমুখর দিনে দেখা হয়েছিলো রাহীর সাথে। ভাবতেই পারেনি প্রথম দেখায় কোন মেয়েকে এতটা ভালো লেগে যাবে।আজও বৃষ্টির দিনে রাহীকে মনে পরে যায়।

ফ্লাসবেক…..

ভারী বর্ষণে কিছু দেখা যাচ্ছে না। গাড়িটা পার্কিং লটে রেখে, অফিসের কিছু কাজ ছিলো সেগুলো সেরে নিলো।এতটা দেরী হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি।ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে কিছু দেখা যাচ্ছে না। গাড়ি পার্কিং লট থেকে আনতে গেলে পুরো চুপচুপে ভিজে যাবে।তাই দৌড়ে একটা দোকানের ছাউনিতে দাঁড়িয়ে পরলো।হাত দিয়ে গায়ের পানি ঝারতে লাগলো।হঠাৎ একটা মিষ্টি কন্ঠের মেয়ের আওয়াজ পেলো।মেয়েটা বেশ কড়া কন্ঠে একটা ছোকরা দেখতে ছেলের সাথে কোমড় বেঁধে ঝগড়া করছে।

রাহীঃ চোখ কি আসমানে রাখেন?মেয়ে দেখলে গায়ে পরতে মন চায়।ইচ্ছে করছে ঠাটিয়ে একটা চড় মারতে।বেয়াদব ছেলে কোথাকার?আজকাল জেনারেশনের ছেলেদের পাখা গজিয়ে উঠেছে। সিনিয়র আপুর সাথে কি করে কথা বলতে হয় সেটাও জানে না।বেশি বড় হয়ে গেছো।সাহস কত বড় আমার বান্ধবীর ওপরে এসে পরে।

রাহীর কথা শুনে ছোকরাটা বলল

—আপনি শুধুই আমাকে বকছেন।রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকলে আমরা চলবো কিভাবে?পুরো রাস্তাতো আপনারাই আটকে রেখেছেন।
রাহীঃ আবার মুখে মুখে তর্ক করছে।পুরো রাস্তা কোথায় আটকে রেখেছি।বৃষ্টি হচ্ছে চোখে দেখছিস।আমরা যদি সাইড না হয়ে দাঁড়াতাম তাহলে তো ভিজে যেতাম।মেয়ে দেখলে মাথা ঠিক থাকে না সেটা বলিস না কেন?তোদের মতো ছেলেদের আমি হারে হারে চিনি।আমার সাথে পাঙ্গা নিতে আসিস না বলে দিচ্ছি। এক হাত কেটে আরেক হাতে ধরিয়ে দিবো।নয়তো আমার নামও রাহী নয়।

অরূপঃ রাহী বাহ্ খুব সুন্দর নাম তো।আমার বেশ পছন্দ হয়েছে নামটা।তবে মানুষটাকেও খারাপ লাগেনি।একেবারে ধানি লঙ্কা।মেয়েরা এতো তেজ পায় কোথায়?কে জানে?অবশ্য পাবে না কেন?দেশটাতো এখন মেয়েদেরই।(মনে মনে)

রাহী ছোকরাটার সাথে ঝগড়া করেই যাচ্ছে। ওর বান্ধবী নিসা ওকে থামাতেই পারছে না।অবশ্য রাহীর এটা নিত্য দিনের কাজ এটা। কাউকে ছেরে কথা বলে না।ভীষণ জিদ্দি ও পাঁজি মেয়ে। সবাই ওর থেকে দূরেই থাকে।

অরূপঃ গায়ের রংটা চাপা ফর্সা।চোখ দুটো টানা টানা।নাকটা হালকা বোঁচা। দেখতে খারাপ লাগে না। চেহারাটা যথেষ্ট মায়াবী। আমার সাথে মানাবে।হাইট ও আমার সাথে পারফেক্ট। এখন যদি বোনুর ভাইদের পছন্দ হয় তাহলে সোজা বউ করে ঘরে তুলবো।বিয়ের আগে কোন প্রেম ভালবাসা নয়।বিয়ের পর করবো।তবে সবার আগে বোনুকে ওর ছবি দেখাবো।যদি বোনুর পছন্দ হয় তারপর ভাইদের দেখাবো।এই আমি কি পাগল হয়ে গেলাম।কত দূর পর্যন্ত ভেবে ফেলেছি আমি।অরূপ এই মেয়েকে দেখে তোর মাথা গেছে।এক কাজ করি কয়েকটা ছবি তুলে নেই।

মোবাইল বের করে রাহীর কয়েকটা ছবি তুলে নিলো।ছবি তোলার শেষ পর্যায় রাহী দেখে ফেললো।রাগী চোখে ওর দিকে তাকিয়ে তেড়ে এলো।

রাহীঃ এই যে মি. আপনি আমার ছবি তুললেন কেন?
অরূপঃ আমি আপনার ছবি তুলেছি?(অবাক হয়ে)
রাহীঃ আমি মাত্র দেখলাম আপনি আমার ছবি তুললেন।
অরূপঃ আমি আমার ছবি তুলছিলাম।আপনার ছবি কেন তুলবো?
রাহীঃ বিশ্বাস করি না।আপনার মোবাইলটা দেন তো।
অরূপঃ আমি অচেনা মানুষকে আমার মোবাইল কেন দিবো।আপনি তো মোবাইল চোরও হতে পারেন।আমার মোবাইল দেখার কথা বলে যদি নিয়ে দৌড় দেন।তখন আমি কি করবো?
রাহীঃ কি বললেন আমি মোবাইল চোর?আপনার এত বড় সাহস।আমাকে চোর বলেন।
অরূপঃ ওহ সরি।আপনি তো চোর নন আপনি হলেন চুন্নি। মোবাইল চুন্নি।
রাহীঃ নিসা ও নিসান্নি।জলদী এদিকে আয় তো।এই ব্যাটার সাহস দেখছিস। আমাকে চুন্নি বলে।(রেগে)
নিসাঃ রাহী প্লিজ আর ঝামেলা করিস না।
রাহীঃ চুপ কর তুই। আমার ছবি তুলছিলো আর আমি ওকে ছেড়ে দিবো।এই রাহী কাউকে ছাড় দেয় না।

বৃষ্টিতে ভিজে রাহীর কপালের বেবি চুলগুলো ভিজে লেপ্টে আছে।এতো যেনো রাহীকে আরো সুন্দর লাগছে। অরূপকে এত এত কথা শুনচ্ছে কিন্তু ওর কান দিয়ে কোন কথা ঢুকছে না। সে তো মুগ্ধ নয়নে রাহীকে দেখছে।
রাহীঃ হ্যালো মিস্টার।আমি আপনাকে বলছি।
অরূপঃ আমিও জানি।নিন দেখুন আমার মোবাইল। আমার মোবাইলে যদি একটা ছবিও আপনার পান তাহলে যা করার করবেন।
নিসাঃ রাহী করছিস টা কি?
রাহীঃ চুপ কর তুই। দিন মোবাইলটা।

মোবাইল নিয়ে সারা গ্যালারী ঘুটেও রাহী তার নিজের ছবি পেলো না।বরং অরূপের অনেকগুলো ছবি পেলো।যেটা সে মাত্রই তুলেছে।রাহী মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললো।
রাহীঃ সরি মিস্টার। মাফ করে দেবেন।কি থেকে কি বলে ফেলেছি।
অরূপঃ ইটস ওকে ম্যাডাম।তবে পরেরবার না জেনে কাউকে এভাবে দোষারোপ করবেন না।
নিসাঃ তোর একটাই দোষ তুই একটু বেশি বুঝিস।
রাহীঃ চুপ চল এখান থেকে।(অরূপের দিকে তাকিয়ে) সরি মাফ করে দেবেন প্লিজ।
অরূপঃ হুম নিশ্চয়ই।

রাহী নিজের কৃতকর্মের জন্য নিজেই লজ্জা পেয়ে মাথায় হালকা করে মাথায় চাপর মারলো।রাহী ও নিসা উল্টো দিকে চলে গেলো।তারপর ইশারায় পিছন দিকে ঘুরে একবার কান ধরে সরি বললো।বৃষ্টি কমে গিয়েছে। অরূপ মুচকি হেসে রাহীর ছবি দেখতে দেখতে গাড়ির দিকে রওনা দিলো।অরূপ রাহীর ছবিগুলো হাইড করে রেখেছিলো।যার কারণে রাহী সারা ফোন ঘেটেও ওর ছবি পায়নি।

ফ্লাসবেক এন্ড……

সেদিনের কথা মনে করে আপন মনে হেসে উঠলো অরূপ।তখনি ওর ফোনে একটা আননোন নাম্বার থেকে কল এলো।
অরূপঃ আসসালামু আলাইকুম। কে বলছেন?
—-হ্যালো অরূপ বাবা।আমি তোমগো বাড়ির দারোয়ান কইতাছি।
অরূপঃজ্বি দারোয়ান চাচা বলুন।কোন সমস্যা হয়েছে কি?হঠাৎ আমাকে ফোন করলেন যে।
—–বাবা কারা জানি আইসা সাহেবগো আর উষা মায়রে তুইল্লা নিয়া গেলো।কাউরে চিনি না আমি।সবার মুখে মুখোশ আছিলো।আর পরনে কালা পোশাক।আমি বাঁধা দিতে গেলে আমারে ধাক্কা মাইরা ফালাইয়া কপাল ফাডাই ফালাইছে।
অরূপঃ কোন দিকে গেছে?
—-কোন দিইকে গেছে হে কইতে পারুম না।তয় তাগোরে পূর্ব দিকের রাস্তায় গাড়ি লইয়া যাইতে দেখছি।
অরূপঃ কতজন এসে ছিলো?
—৩০/৪০ জনের মতো হইবো।নইলে কি অর্ণব বাবাগো উঠায় নিতে পারতো নি।
অরূপঃ আচ্ছা চাচা। আপনি কোন চিন্তা করেন না।আমি থাকতে ভাইদের ও বোনুর কিছু হবে না।
—হো বাবা তাই জানি হয়।আল্লাহ ভালোয় ভালোয় সবাইরে জানি ফিরায় আনে।

অরূপ কলটা কেটে ভাবনায় পরে গেলো।হঠাৎ করে কি থেকে কি হয়ে গেলো।ওর হাত পা অলরেডি কাঁপছে। ও বেঁচে থাকতে কারো কিছু হতে দিবে না।

#চলবে

(আমার কোন দোষ নেই। আমি আরো আগেই গল্প দিয়ে দিতাম।কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে গল্প দিতে দেরী হলো।)

#Part_25
https://www.facebook.com/groups/2401232686772136/permalink/2961164297445636/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here