বেসামাল প্রেম পর্ব ১৮

0
3169

#বেসামাল_প্রেম
#লেখা_জান্নাতুল_নাঈমা
#পর্ব_১৮
মেয়েটা ভীষণ সুন্দরী। চোখ ধাঁধানো সুন্দরী বলতে লোকেদের এমন মেয়েকেই বলতে শুনেছি। ফাস্ট ইয়ারে পড়ে। নাম, সুমনা। নামটাও ভীষণ সুন্দর। সুন্দর মনের অধিকারীও হতে পারে। তার বিষয়ে খুব একটা জানি না। সত্যি বলতে কখনো জানতে চাইনি। কারণ তার প্রতি আমার ভীষণ রকম রাগ আছে। এমন সুন্দরী মেয়ে হয়ে তার পছন্দ এত জঘন্য হয় কী করে? সবচেয়ে বড়ো কথা সাহস হলো কী করে রুদ্র শেখকে ভালোবাসার আবেদন করার? হ্যাঁ মেয়েটা আজ আমাকে চিঠির মাধ্যমে প্রপোজ করেছে। চিঠির উত্তর পাওয়ার আশায় চাতকিনীর মতো ক্লাসরুমের সামনের বারান্দায় দাঁড়িয়েও ছিল। আমি তাকাইনি একবারের জন্যও তাকাইনি। কারণ আমি ভালোবাসাকে ঘৃণা করি। যে ভালোবাসা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে থাকে, যে ভালোবাসা কিশোর – কিশোরীদের চিত্ত চঞ্চল করে, যুবক, যুবতীদের একে অপরের মধ্যে অদৃশ্য টান সৃষ্টি করে সেই ভালোবাসাকে আমি ঘৃণা করি। আজীবন ঘৃণা করে যেতে চাই, ঘৃণা করে যেতে চাই সেই নারীকে যে নারী আমার হৃদয়ে স্থান পেতে চায়। ঘৃণা করি আমি সুমনাকে।
তারিখ ০৬-০৬-২০১৭.

আবিরের কাছে শুনলাম আমি যখন চলে এলাম, সে আই মিন সুমনা নাকি আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। একবারের জন্যও পলক ফেলেনি। তিনতলার বারান্দা থেকে গেট পরোতে যতক্ষণ সময় আমাকে দেখা যাচ্ছিল ঠিক ততক্ষণই তাকিয়ে ছিল। যখন আমি গেটের বাইরে আড়াল হয়ে গেছি ওড়না মুখে চেপে হুহু করে কেঁদেছে। সে মুহুর্তে তাকে সামলেছে তার গুটিকয়েক বান্ধবী। সুমনা কেন কাঁদল? আমি তাকে রিজেক্ট করেছি তাই? এত সিম্পল একটা বিষয়ে কাঁদার কী আছে? একজন রিজেক্ট করেছে বলে পৃথিবী শুদ্ধ সবাই তাকে রিজেক্ট করবে নাকি? আবিরকে যখন এ প্রশ্ন করেছি ও ভীষণ রেগে গেল। চোখ রাঙিয়ে বলল, আমি একটা হৃদয়হীন। আমার হৃদয়ে সৃষ্টিকর্তা মায়া, ভালোবাসা দেয়নি। আমি স্মিত হেসে জাবাব দিলাম, ” ঠিক বলেছিস। পাঁচ বছরের ছোট্ট ছেলেটা যখন তার বাবার অবর্তমানে মায়ের ঘরে বড়ো চাচাকে রাত কাটাতে দেখেছে। তখন হয়তো সে তেমন কিছু বুঝতো না। শুধু বুঝতো তার মা চুরি করছে। তার বাবার পাওয়া আদর, ভালোবাসা চুরি করে অন্যকে দিচ্ছে। জানালার ফাঁক দিয়ে বড়োচাচাকে চুমু খেতে দেখেছিল ছোট্ট ছেলেটা। ওটা তো আদর ছিল, তার আদর, তার দু’বছরের ছোট্ট বোনের আদর আর তাদের বাবার আদর। মায়ের সব আদর বড়ো চাচা পেয়ে নিল ইস!
মানুষ যখন ভালোবাসার সঙ্গে বেইমানি করে, ভালোবাসা চুরি করে তখন মানুষ কী আর মানুষ থাকে? ঐ মানুষের শরীরে কী হৃদয় নামক যন্ত্রটা থাকে? থাকলে নিশ্চয়ই এমনটা করতে পারতো না। অমন হৃদয়হীন নারীর সন্তান সে। তাহলে তার তো হৃদয়ই নেই। সেখানে প্রেম, ভালোবাসারা জায়গা কী করে হয় হু?
তারিখঃ ১০-০৬-২০১৭.
আজ কথার ছলে সূচনা বলল, তার ভাবি প্রয়োজন। আর কয়েক বছর মাত্র আমার পড়াশোনা শেষ। দাদিন আর বোন এখন থেকেই পাত্রী খুঁজতে শুরু করবে। এসব শুনে মাথা গরম করে বোনকে ধমক দিয়েছি। দাদিন বলল, কষ্ট পেয়ে ও রাতে খায়নি। লিখা শেষ করেই ওকে খাওয়াতে যাব। পাশাপাশি বোঝাবো তার ভাই কখনো বিয়ে করবে না। তার ভাইয়ের কোন সঙ্গীর প্রয়োজন নেই। যে হৃদয়ে ভালোবাসা নেই সেই হৃদয়ে কোন নারীই টিকে থাকে না। তারা ঠিক অন্যত্র হৃদয় খুঁজে কেটে পড়ে। আমার এমন কথায় একদিন যুক্তিসরূপ আবির বলল,
” ভালোবাসা না থাকলেই তো কেটে পড়ে। ভালোবাসা থাকলে নিশ্চয়ই কেটে পড়বে না। ”

আমি ম্লান হেসে বলেছি ” আমার বাবা আমার জন্মদাত্রীকে এখনো অনেক ভালোবাসে। এজন্য সকলের চাওয়া সত্ত্বেও তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে রাজি হয়নি। মুখে হয়তো বোঝায় সে তার প্রাক্তন স্ত্রীকে, তার দু’সন্তানের জন্মদাত্রীকে অনেক ঘৃণা করে। কিন্তু ছেলে হয়ে বাবার চোখের ভাষা, মনের ব্যথা বোঝার ক্ষমতা যে এখন আমার হয়েছে তা তিনি জানেন না। আমার বাবাও তো ভালোবেসেছিল ঐ মহিলাকে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানেই সবটাকে তুচ্ছ করে দিল! বাবা তো কথা দিয়েছিল উনাকে সহ আমাদের ভাই, বোনকেও ওদেশে নিয়ে যাবে। শুধু কিছুদিন মাত্র অপেক্ষা। উনি অপেক্ষা করতে পারেননি। দুটো সংসার ভেঙে দিয়েছেন। কোন লোভে উনি এমনটা করেছেন তা পূর্বে না বুঝলেও এখন বুঝতে পারি। ছেলে হয়ে ভাবতেই ঘৃণা লাগে ছিঃ। আমি কখনো বিয়ে করব না, কক্ষনো না। ”

এসব শুনে আবির তর্ক করল,
” শুধু তোর মা নয় তোর বড়ো চাচাও সমান দোষী। ”

আমি বললাম,
” সেটা আমি অস্বীকার করি না। তার জন্য আজ বড়ো চাচি একা, নিঃসঙ্গ। বড়ো ভাই, সাদমান পিতৃহারা। নারীতে নারীতে অনেক পার্থক্য থাকে। বড়ো চাচির মতো নারী সবার ভাগ্যে জুটে না। আমি কোনো রিস্ক নিতে চাই না। ”

এরপর আর আবির তর্কে যায়নি।
হে সৃষ্টিকর্তা,
তুমি আমার ভাগ্যে কী লিখেছ জানি না। কিন্তু বিশ্বাস করো, ঘর বাঁধার স্বপ্ন আমি দেখি না। আর না আশা করি কেউ আমাকে ভালোবাসুক। তবুও যদি তুমি চাও। জীবদ্দশায় কারো সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়াতে হয়৷ তাহলে কিন্তু আমার সঙ্গে জড়ানো নারীটা কখনো মাতৃত্বের সাধ পাবে না৷ কারণ, আমি আমার জীবনকে রিস্কে রাখলেও আমার অংশকে রিস্কে রাখতে পারব না। যে দুর্বিষহ যন্ত্রণা আমরা দু’ভাইবোন ভোগ করছি তা যেন আর কেউ না করে। অন্তত আমার আপনজনদের মধ্যে কেউ। সহ্য করা যায় না। এই একটা যন্ত্রণা আমার শিশুকাল ধ্বংস করেছে, আমার কৈশোর, যৌবন সবটা ধ্বংস করে দিয়েছে। সূচনা ভীষণ ইন্ট্রভার্ট। ও প্রকাশ না করলেও বুঝতে পারি৷ প্রতিদিন মনের সঙ্গে, সমাজের সঙ্গে, সহপাঠীদের সঙ্গে কতটা যুদ্ধ করে চলতে হয় ওকে।

আমি তো সেই দৃশ্য টা আজো ভুলতে পারিনি। সূচনা তখন চৌদ্দ বছরের। আমি ঊনিশে পা দিয়েছি। ওর স্কুল বান্ধবী সীমার সঙ্গে ঝগরা লেগেছিল। ঝগরাতে ওকে হারাতে সীমা নাকি বলেছিল,
” তোর আম্মু তো খারাপ তোর বড়ো চাচাকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেছে। আমার আম্মু বলেছে তোর সঙ্গে কম মিশতে। মেয়েরা মায়ের স্বভাব পায়। তুইও ক’দিন পর মায়ের স্বভাবে চলে যাবি। তোর নামের পিছনেও চরিত্রহীন ট্যাগ লেগে থাকবে। যেমনটা তোর মায়ের নামের পিছনে রয়েছে! ”

বোন আমার সেদিন বিধ্বস্ত মুখে বাড়ি ফিরল। দরজা বন্ধ করে চিৎকার করে কাঁদল। সারাদিন আমাকে মুখ দেখালো না। দরজা ভেঙে যখন রুমে গেলাম ওকে পেলাম সেন্স লেস অবস্থায়। জ্ঞান ফেরার পর আমার বুকে মাথা রেখে যখন, ফুঁপাতে ফুঁপাতে প্রশ্ন করল, ” ভাইয়া ক’দিন পর আমার নামের পিছনেও লোকে চরিত্রহীন ট্যাগ বসাবে? ” তৎক্ষণাৎ আমার কলিজাটা ছিঁড়ে গেল! বুকের গভীরে হাহাকার করে ওঠল, আমাদের কী দোষ? কেন শাস্তি পাচ্ছি আমরা? আমাদের কেন পৃথিবীতে আনা হলো কেন? এই নরক যন্ত্রণা কেন ভুগ করছি আমরা দু’জন? ( রুদ্র )
তারিখঃ ১০-০৭-২০১৭.

ডায়ারির এর পরের কিছু পৃষ্ঠা ফাঁকা। একে একে শেষ দু পৃষ্ঠায় অল্প কিছু লেখা দেখা গেল। লেখাগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে এগুলো সদ্য লেখা। আগের পাতাগুলোর লেখা বেশ ক’বছরের পুরোনো বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু শেষ পাতার লেখাগুলো খুব একটা পুরনো নয়৷ এ ব্যাপারে সিয়র হলো লেখাগুলো পড়ার পর। কারণ সে লেখাগুলো তাকে নিয়েই। অর্থাৎ হৈমীকে নিয়েই।
.
আজ একটি ঘটনা ঘটেছে। স্টুপিড ধরনের একটা মেয়ে আমাকে প্রেমপত্র পাঠিয়েছে। মেয়েটার নাম হৈমন্তিকা হৈমী। বয়স একেবারেই অল্প কিন্তু সাহস অনেক। সুমনার মতো মেয়েকে রিজেক্ট করে শেষে এই অল্পবয়সী, স্টুপিড, বাচাল ধরনের মেয়ের প্রপোজ একসেপ্ট করব? উহুম মোটেই তেমন কিছু হবে না। এ মেয়ে আবার মাহেরের বোন। যার সঙ্গে আমার বোনের বিয়ের কথাবার্তা চলছে…
.
আজ আরো একটি ঘটনা ঘটে গেল! কিন্তু সেটা আমি লিখতে পারব না। হয়তো বলতেও পারব না।
.
তোতাপাখিটাকে চেয়েছিলাম। পেলাম না। কারণ আমি বখাটে। বখাটেদের জীবনে তোতাপাখিদের আসতে মানা।
.
সে কী আমার জেদ হয়ে দাঁড়াল? তাকে পেতেই হবে এমন অনুভূতি কেন হচ্ছে? আমি ভালোবাসতে পারি না। তাকে কী করে ভালোবাসাহীন হৃদয়ে স্থান দেব?
.
বিয়ে করব। বউও বানাবো। শুধু কথা ছাড়া সে কিছুই পারে না। যা বুঝলাম, মাথায় বুদ্ধিশুদ্ধিও তেমন নেই। শুনেছি ভীষণ ভীতু। ভুতে ভয় পায়, রক্ত ভয় পায়, মানুষের কষ্টকে ভয় পায়, নিজে কষ্ট পেতে ভয় পায়৷ মজার ব্যাপার হলো, রান্না করতেও ভয় পায়। তেল ছিঁটে আসার ভয়। একেবারেই পারফেক্ট। এমন ভয় পাওয়া মেয়ে নিশ্চয়ই মা হতেও ভয় পাবে? জীবদ্দশায় বিয়ে যদি করতেই হয় একেই করি, যদি কখনো ফেলে চলে যেতে চায় মেরেধরে কষ্ট দিয়ে রেখে দিব, আঁটকে দিব। কিন্তু বাচ্চার রিস্ক নিব না। মেরেধরেও যদি না রাখতে পারি তাহলে সমস্যা হয়ে যাবে বিরাট সমস্যা।
____
ডায়ারি তে লেখা একেকটা শব্দ পড়তে পড়তে হাত, পায়ে কম্পন শুরু হয় হৈমীর। পুরো লেখার সমাপ্তি হতেই ডায়ারি বন্ধ করে যথা স্থানে রেখে দিল সে। এরপর গুটিগুটি পায়ে এসে পা তুলে বসল বিছানায়। দু’হাতে মুখ চেপে ডুকরে ওঠল মুহুর্তেই। তার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে, বুকের ভিতরটা অদ্ভুত এক কষ্টে জর্জরিত হয়ে আছে। ছোটোবেলা থেকেই তার মন বড়ো সরলতায় ঘেরা৷ পাশাপাশি খুবই নরম মনের অধিকারী। কারো কষ্ট দেখলেই মন কেঁদে ওঠে৷ চোখের সামনে কাউকে কাঁদতেও দেখতে পারে না৷ টিভিতে নায়ক, নায়িকার কষ্ট দেখলেও এই মেয়েটা ফ্যাচফ্যাচ করে কাঁদে। আজ সতেরো বছরের কিশোরী সে। তবুও স্বভাব আঁটকে আছে ঠিক সাত বছরে। এ পৃথিবীতে অনেক মানুষ থাকে যারা বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও নির্দিষ্ট একটা বয়সে তাদের মন, মানসিকতাকে আঁটকে রাখে। হৈমী সেই মানুষদের তালিকাতেই পড়ে গেছে। ঘনমেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রুদ্রের শৈশব, কৈশোর, যৌবন ধ্বংসের বৃত্তান্ত শুনে তার মন কাঁদছে ভীষণ কাঁদছে। এই কান্না আজ আর থামবে না। একটুর জন্যও বোধহয় থামবে না।

দরজা খোলার শব্দে চমকে ওঠল হৈমী। রুমে ঢুকে চট করে দরজা লক করে দিল রুদ্র। আকস্মাৎ বিছানায় হৈমীকে গুটিশুটি হয়ে বসে কাঁদতে দেখে থমকে গেল। ক্ষীণ স্বরে প্রশ্ন করল,
-” রুমেই তো আঁটকে গেছি এভাবে কাঁদছ কেন? ”

কথাটা বলেই প্রচণ্ড গম্ভীর হয়ে গেল। ধীরপায়ে এসে দাঁড়াল হৈমীর সামনে। বিরক্তি সুরে আবারও জিজ্ঞেস করল,
-” এ আবার কী নাটক? এভাবে কেন কাঁদছ ? ”

কিঞ্চিৎ কান্না থামিয়ে আলগোছে নেমে দাঁড়াল হৈমী। তার ক্রন্দনরত মুখের দিকে তাকিয়ে রুদ্র কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই সে তার বলিষ্ঠ বক্ষপটে মাথা রেখে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। ক্রন্দনরত গলায় ভেঙে ভেঙে বলল,
-” আমি কক্ষনো আপনাকে ছেড়ে যাব না। কক্ষনো ভালোবাসা চুরি করব না। সারাজীবন আপনাকে খুব খুব খুব ভালোবাসবো। আপনার সব দুঃখ মুছে দিব বিশ্বাস করুন।”

রুদ্রর মাথায় যেন বাজ পড়ল। না পারে ছোট্ট দেহখানি ছুঁড়ে ফেলে। নিজেকে কোনক্রমে নিয়ন্ত্রণ করে রোবটের ন্যায় ঠাঁই দাঁড়িয়ে কাঠখোট্টা স্বরে বলল,
-” কোন সাহসে আমার ব্যক্তিগত জিনিসে হাত দিয়েছ। এটুকু ম্যানার্স কী তোমার ভাই শেখায়নি? ”

হৈমীর কান্নার বেগ বেড়ে গেল। ভাঙা আওয়াজে বার বার বলতে লাগল,
-” আমার খুব কষ্ট হচ্ছে বিশ্বাস করুন। আমি কারো একটু কষ্টও সহ্য করতে পারিনা। সেখানে আপনার এত বেশি কষ্টের কথা পড়ে আমার অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে। আমি মনে হয় আপনাকে বেশি ভালোবেসে ফেলেছি। আমি মনে হয় আপনাকে বেশি ভালো না বেসে থাকতে পারব না। ”

হাত বাড়িয়ে হৈমীকে ধরল না রুদ্র। হৈমীও রুদ্রর কথায় কান দিল না। নিজের মতো করে নিজের অনুভূতি প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তাই রুদ্র ভয়াবহ একটি প্রশ্ন করে বসল,
-” মেয়েরা মায়ের জাত, তুমি পারবে তোমার মাতৃসত্তা ত্যাগ করতে? ”
চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here