#বৃষ্টি_ভেজা_গোলাপ
#পর্ব_৫
#নবনী_নীলা
” পড়ে যাওয়াটা কি তোমার বাই বর্ন ট্যালেন্ট?”, ঠাট্টা করে বললো আহান। রুহি এই অদ্ভুত অনুভূতি থেকে বেড়িয়ে আসতে চোখ বন্ধ করে না সূচক মাথা নাড়তে লাগলো।
রুহির এমন ঘন ঘন মাথা নাড়ানো দেখে আহান তাকিয়ে আছে। এই মেয়েটা এতো অদ্ভুদ কেনো? তারপর এদিকে ওদিকে তাকিয়ে রুহিকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে সাহায্য করলো।
তারপর দুই হাত বুকের কাছে ভাজ করে স্থির দৃষ্টিতে জিজ্ঞেস করলো,” এবার বলো আমার ফোন বিছনায় ছুড়ে মারলে কেনো? তোমার সাহসটা বেশি বেড়ে গেছে বলে মনে হয় না তোমার?”
রুহি নিজেও জানে না তার সাথেই কেনো এসব হয়। সকালে ভেবেছিলো পানি ফেলে প্রতিশোধ নিবে উল্টো নিজেই পরে গেছে, তারপর ভাবলো আজ আর কোনো ঝামেলায় পড়বে না। পড়েছে পড়েছে একেবারে ঝামেলার বাহুতেই পড়তে হলো। এর থেকে মেঝেতে ধপাস করে পরে গেলেও ভালো ছিলো এতো প্রশ্নের মুখোমুখি হতেই হতো না তার। রুহি সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে একটা ঢোক গিললো তারপর কি বলবে সেটা সিলিংয়ের দিকে তাঁকিয়ে ভাবতে লাগলো।
” আমি আপনার ফোন ছুড়ে মেরেছি? হতেই পারে না। আমি এমন কাজ করতেই পারি না। আপ..পনি! ভুল দেখেছেন।”, কোনো রকমে কথাগুলো বললো রুহি। তারপর ঠোঁটের চামড়া কামড়াতে লাগলো টেনশনে।
” তোমার কি মাথা পুরো নষ্ট হয়েগেছে? অবশ্য ভালো ছিলোই বা কবে।”, বিরক্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললো আহান।
রুহি আহানের দিকে আড় চোখে তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নিলো। আহান ফ্রেশ হয়ে অফিসের যাবার জন্য শার্ট নিতে কাবাডের সামনে এসে দাড়ালো। কাবাড খুলতে যাবে এমন সময় রুহি দৌড়ে গিয়ে দুহাত মেলে কাবাডের সামনে দাড়িয়ে পড়লো।
” আবার কি চাও? এভাবে সামনে এসে দাড়িয়ে পরলে কেনো?”, ভীষণ বিরক্ত হয়ে বলল আহান।
রুহি কাবাডের সাথে ঘেঁষে দাড়িয়ে দুই হাত উপর নীচ করতে লাগলো। কি বলে সামাল দিবে রুহি কিছুই বুঝছে না।
আহানের বিরক্তির মাত্রা এবার বেড়ে গেলো। রুহি হাত নাড়ানো বন্ধ করলো না। আহান দুই হাত দিয়ে রুহির হাত ধরে, হাত দুটো নিচে নামিয়ে ধরে রাখলো তারপর রেগে বললো।
” শুনো ফ্রী হ্যান্ড এ্সারসাইজ করতে হলে তুমি ওদিকে গিয়ে করো। আমাকে রাগাবে না বলে দিচ্ছি। আমি রেগে গেলে কি হবে বুঝতে পারছো তো।”, রক্তিম চোখে বললো আহান।
” আপনি কথায় কথায় এভাবে রেগে যান কেনো? এটা তো স্বাস্থের পক্ষে হানিদায়ক না মানে ক্ষতিকারক।”, ভয়ে একটা ঢোক গিলে বললো রুহি।
” আমার স্বাস্থ্য নিয়ে তোমায় ভাবতে হবে না। তুমি জাস্ট সরো এখান থেকে।”, বলে সরিয়ে দিতে গেলো রুহি সরছে না।
” বলছিলাম… আমি থাকতে আপনি কেনো এসব ছোটোখাটো কাজ করবেন। আপনি আমার সাত মাসের জন্য বর আপনার সেবা করা আমার দায়িত্ব। এতে আমার পূণ্য হবে।”, ভয়ে ভয়ে বললো রুহি।
আহান ধমকের শুরে বললো,”জাস্ট শাট আপ। তোমার মনে হচ্ছে না তুমি বাড়াবাড়ি করে ফেলছো। সরো বলছি নইলে তুলে নিয়ে একদম সুইমিং পুলে ফেলে দিয়ে আসবো।”
এই লোকটার উপর রুহির একদম ভরসা নেই যেই লোক সকাল বেলা একটা মেয়েকে পানি ঢেলে ঘুম থেকে জাগাতে পারে তার কাছে তুলে নিয়ে সুইমিং পুলে ফেলে দেওয়া কোনো কঠিন বিষয় না। পানিতে কুমির আর ডাঙায় বাঘ, রুহির হয়েছে সেই অবস্থা। রক্ষা পাবার উপায় নেই।
রুহি কিছু বলার আগে আহানের ফোন আবার বেজে উঠলো। আহান বিছানার উপর পরে থাকা ফোনটার দিকে তাকালো। এই সুযোগে রুহি সাহস করে বললো,” অনেক্ষন ধরে কে জানি কল করছে। আপনি গিয়ে ধরুন আমি বললাম তো আমি বের করে দিচ্ছি আপনার শার্ট প্যান্ট।”
” একদম আমার জামা কাপড়ে হাত দিতে যাবে না।”, শাসিয়ে বলে কল ধরতে গেলো আহান।
রুহি এই ফাঁকে নিজের শাড়িগুলো সরিয়ে ফেললে বাঁচে। কাবাড খুলে যেই নিজের শাড়িতে হাত দিবে ওমনি পাশে তাকিয়ে দেখে আহান ফোন কানে দাড়িয়ে আছে। রুহি একটা ঢোক গিললো। আবার মনে হয় তাকে সত্যি সত্যি সুইমিং পুলে ফেলে দেওয়া হবে। ভেবেই চোখে মুখে হতাশা তার।
আহান চোখ মুখ শক্ত করে রুহির দিকে তাকিয়ে রইলো। আহানের জিনিসপত্র তার অনুমতি ছাড়া ধরা সে একদম পছন্দ করে না। আহান ফোনটা কান থেকে নামিয়ে কল কেটে দিলো। আহানের চোখ মুখের ভাব দেখে রুহি নিজেরই ইচ্ছে করছে চুপ চাপ সুমিং পুলে গিয়ে একটা লাফ দিয়ে দেয়। এর হাত থেকে তো রক্ষা পাওয়া যাবে।
আহান এগিয়ে এসে রুহির হাত ধরে টেনে নিয়ে দেওয়ালের সাথে দাড় করলো। তারপর রাগী গলায় বললো,” এসব তুমি করেছো তাই না। হাউ ডেয়ার ইউ? এতো সাহস হয় কি করে তোমার? নিজের লিমিট জানো না? সামিরার ফোন তুমি ধরেছিলে? অ্যাম আই রাইট? তোমার সাহস কি করে হয় আমার ফোন ধরার? আর আমার জামা কাপড় সেগুলো তুমি সরিয়ে নিজের গুলো রেখেছো তাই না।
নিজেকে কি আমার ওয়াইফ ভাবা শুরু করেছো নাকি?
লিসেন আমার পার্সোনাল স্পেস থেকে তুমি দূরে থাকো আই অ্যাম ওয়ার্নিং ইউ।”
” একদম আমকে রাগ দেখাবেন না। আপনার জামা কাপড় আমি সরায়নি, দিদা সরিয়ে দিয়ে বলেছে যাতে আমি আমার জিনিষ পত্র এখানে রাখি। আর রইলো আপনার পার্সোনাল স্পেস? আমার বয়েই গেছে আপনার পার্সোনাল স্পেসে যেতে। আমার তো আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই না?”, রুহিও রাগ দেখিয়ে বললো।
“দিদা রেখেছে মানে? দিদা আমার ঘরে এসেছিলো?”, সন্দেহের দৃষ্টিতে বললো আহান।
” আপনাকে কেনো বলবো? একদম আমার পার্সোনাল স্পেসে আসার চেষ্টা করবে না। আর এতো কাছে ঘেষে দাড়িয়ে আছেন কেনো আপনি? সরুন।” আহান কে রাগ দেখিয়ে বললো রুহি।
” আমাকে রাগ দেখাচ্ছো তুমি?”, রুহির দুপাশের দেওয়ালে হাত রেখে বললো। তারপর আরো বললো,” সরবো না দেখি কি করতে পারো।”
” মানে?”, চোখ দুটো রসগোল্লার মতোন করে বললো রুহি।
” মানে বুঝতে পারছো না? নাকি আরেকটু কাছে এসে বোঝাবো?”, বোলে আরেকটু এগিয়ে এসে রুহির দিকে ঝুঁকে এলো।
” দেখুন একদম আমার কাছে আসবেন না। আমি কিন্তু চিৎকার করবো।”, শাসিয়ে বললো রুহি।
” করো চিৎকার। আমি তো সেটাই চাই। সবাই তোমার চিৎকার শুনে এখানে এসে আমাদের এভাবে কাছাকাছি দেখবে ব্যাপারটা আমাদের জন্য ভালো না?। করো চিৎকার। তাহলে আমি ওয়ান, টু, থ্রি কাউন্ট করি।”, সিরিয়াস হয়ে বললো আহান।
” দেখুন একদম মজা করবেন না।”, ভয়ে ভয়ে বললো রুহি। আহানের চোখের দিকেও তাকাতে পারছে না সে বুকের ভিতরটা কেমন করে উঠে। নিজেকে রুহির বগা মনে হচ্ছে। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে। তার হয়েছে সেই দশা।
” সে কি তোমার মজা মনে হচ্ছে এসব?”, রুহির কানের কাছে মুখ এগিয়ে নিতেই রুহির ধুকপুকানি বেড়ে যায়। তারপর কানে কানে বললো,” এবার সত্যি মনে হচ্ছে?”, সিরিয়াস কন্ঠে বললো আহান। রুহির সাড়া শরীরে কাটা দিয়ে উঠলো।
সেই মুহুর্তে দিদা রুমে চলে এলো। দরজা তো খোলাই ছিলো। এসে এদের এভাবে দেখে উনি ভেবেছে এরা প্রেম করছে। মুচকি মুচকি হেসে চলে গেলো। চলে যাবার সময় রুহি দিদাকে দেখে ফেললো। চোখ বড় বড় করে ফেললো সে। তারপর বিস্ময় নিয়ে আহানের দিকে তাকালো আহান তার একদম মুখের সামনে। তারপর ঢোক গিলে বললো,” দিদা।” এতটুকু বোলেই সে চুপ করে দরজার দিকে তাকিয়ে রইলো। আহান ঘাড় ঘুরাতেই দেখলো দিদা চলে যাচ্ছে।
তারপর রুহি আহানকে ঠেলতে লাগলো। শেষে উপায় না পেয়ে হাতের নিচে দিয়ে বেড়িয়ে বাহিরে দিলো এক দৌড়। হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতো আরেকটু হলেই। এই কুম্ভকর্ণের কোনো লজ্জা নেই সাত মাস পর যে এর বউ হবে তার কপালে না জানি কি আছে।
???
আহান অফিসের কাজে একটা পাহাড়ি এলাকায় যেতে হবে সেখানে একটা প্রজেক্টের কাজের ডিজাইনগুলো করতে হবে। আর জায়গাটায় নিজে না গিয়ে ডিজাইনগুলো করা সম্ভব নয়। সেই কথা বলতে দিদার কাছে গিয়েছিলো দিদা যা করেছে সেটা জানলে আহান এই যাওয়াটাই ক্যান্সেল করে দিতো।
সঙ্গে রুহিকে দিয়ে দিয়েছে। ব্যাস এই মেয়ে থাকলে যে ঝামেলা কমবে না বরং বাড়বে সেটা এ কয়দিনে আহানের বোঝা হয়ে গেছে। অফিস থেকে চারজন আর আহানের যাওয়ার কথা এখন সঙ্গে আরেকজন জুটেছে। যদিও রুহির ঘুরতে যাওয়া হচ্ছে বলে রুহি বেশ খুশী।
আজ যাবার দিন আহান গাড়ির সামনে রুহির জন্য দাড়িয়ে অপেক্ষা করছে। সে মেয়ের আসার নাম নেই। অবশেষে সে বেড়িয়ে এলো। তবে আজ অন্যরকম লাগছে তাকে। রুহি আজ শাড়ি পড়েনি। সব সময়ের মত একটা খোপা বা বেণী করেনি। আহানের চোখ আটকে আছে তার দিকে। জিন্স প্যান্টের উপর একটা কামিজ। রুহির খোলা চুলগুলো বাতাসে উড়ছে। রুহি আহানের পাশে এসে না দাড়ানো পর্যন্ত আহান তাকিয়েই থাকলো। রুহি আহানের পাশে এসে দাড়িয়ে বললো,” আহ্ কি শান্তি লাগছে এখন, শাড়ি পরে উষ্টা খেয়ে খেয়ে আমার কি যে অবস্থা হয়েছিলো। এখন আমি দৌড়াতেও পারবো।”
আহান রুহির পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে বললো,” চলো তাহলে দৌড়াতে দৌড়াতে যাই।”
” আপনি ভালো কথা বলতে পারেন না?”, ভ্রূ কুটি করে বললো রুহি।
আহান রুহির ডান হাতটা ধরে উপরে তুলে বললো ” হাতে এটা কি বেধে রেখেছো?” রুহির হাতে কালো রঙের একটা কাপড়ের রুমাল বাঁধা।
” এটা রুহির স্টাইল আপনি বুঝবেন না।”, ভাব দেখিয়ে বললো রুহি।
আহান তাচ্ছিল্যের সঙ্গে হাসলো তারপর গাড়ির দরজা খুলে বললো,” চলো দেরী হয়ে যাচ্ছে।”
আহান গাড়ীতে বসে নিজের সিটবেল্ট বাঁধলো তারপর সরু চোখে রুহির দিকে তাকালো। কিছু বুঝতে না পেরে রুহিও আহানের দিকে তাকিয়ে বললো,” কিছু বলবেন?”
আহান দৃষ্টি সামনে রেখে বললো,” সিটবেল্ট পরো।”
রুহি ভুলেই গেছিলো সিটবেল্টের কথা তাই মুখ দিয়ে ওহ আওয়াজ করে সিটবেল্ট বাধতে বাধতে বললো,” আমি কি মনো বিশেষজ্ঞ নাকি? এভাবে তাকিয়ে থাকলে কিভাবে বুঝবো? কথা বলতে কি আপনার কষ্ট হয়?”
আহান গাড়ীর ড্রয়ার থেকে ইয়ারপড নিয়ে দুটো কানে দিলো। এ মেয়ের যন্ত্রণায় গাড়িও চালানো যাবে না। রুহি কিছুক্ষণ আড় চোখে তাকিয়ে মুখ বাকিয়ে বললো,” কুম্ভকর্ণ একটা।”
আহানের দৃষ্টি রাস্তার দিকে স্থির।
জায়গাটায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর গড়ালো। অফিসের চারজন আগেই পৌঁছে গেছে। যেই কোটেজে তারা থাকবে সেটা বিশাল বড়ো। যেহেতু পাহাড় আছে আশে পাশে তাই এদিক সেদিক তাকালেই ট্যুরিস্ট দেখতে পাওয়া যায়। সবচেয়ে উচু জায়গার কোটেজ এইটা। আগে থেকেই বুকিং দেওয়া আছে। রুহি তাড়াহুড়ো করে গাড়ি থেকে নামলো। অপূর্ব জায়গাটা, মনে হচ্ছে আকাশের খুব কাছে দাড়িয়ে আছে সে। নীল আকাশে সাদা সাদা মেঘ চোখ সরাতে ইচ্ছে করে না। চারিদিকে সবুজে ঘেরা। এখানকার বাতাসে অদ্ভুত এক সিগ্ধতা আছে। আহান গাড়ি থেকে নামতেই ওর অ্যাসিস্ট্যান্ট নীলিমা এগিয়ে এলো।
” গুড আফটার নুন মিস্টার আহান।”, নীলিমা এগিয়ে এসে আহানের হাতে ওদের রূমের চাবিটা দিলো। আহান রুহির দিকে নজর রাখছে কারণ আসার পর থেকেই সে অদ্ভুত ভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে স্থির হয়ে। আহানের চোখ সেদিকেই। বড়ো কোনো ঝড়ের আগে পরিবেশ এমনই নিস্তব্ধ হয়ে যায়। এ মেয়ে আবার কি করবে।
দৃষ্টি রুহির দিকে রেখে আহান চাবিটা হাতে নিলো। তারপর জিজ্ঞেস করলো,” সবাই ঠিক মতো এসেছে?”
” জ্বি সবাই এসে পড়েছে আধ ঘন্টা আগে। আপনারা গিয়ে রেস্ট নিন। আর মিস্টার ফাহাদ ও এসে গেছে উনি বিকালে মিট করছেন।”
” মিস্টার ফাহাদের আসাটা দরকার ছিলো। যেহেতু সে এই প্রজেক্টে ইনভেস্ট করছে তার দেখার দরকার আছে। ভালোই হয়েছে। এখন তোমরা সবাই যাও রেস্ট নাও।”, বলে চাবি হাতে রুহির দিকে এগিয়ে এলো।
” এখানে দাড়িয়ে আছো কেনো?”, আহানের কন্ঠে বামদিকে মাথা ঘুরালো তারপর বললো,” আকাশটা কি সুন্দর! দেখুন।”
আহান পকেটে হাত ভরে আকাশের দিকে তাকালো তারপর বললো,” হয়েছে এবার চলো।”
রুহি রুমে এলো। কি সুন্দর কাঠের তৈরি কটেজটা আর বারান্দাটা থেকে অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়। আকাশের মেঘ গুলোকে যেনো সে এক্ষুনি ছুঁতে পারবে। বারান্দা থেকে রুমে এসে রুহির ভ্রু কুঁচকে গেল।
” একি এখানে একটা বেড ? তাও এতো ছোটো।”, বোলেই আহানের দিকে তাকালো।
আহান বিছনায় গা হেলিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়লো তারপর বলল,” কিছু করার নেই এইখানে সব রুমেই এমন বেড। আর এই দুদিন আমাদের বেডটা শেয়ার করতে হবে।”
রুহি আশে পাশে তাকিয়ে দেখলো কোনো সোফা জাতীয় কিছুই নেই। দেখেই রুহির চোখ কপালে উঠে গেলো।
[ চলবে। ]