বিষাদময়_প্রহর পর্ব ০৬

0
914

#বিষাদময়_প্রহর
#লাবিবা_ওয়াহিদ
|| পর্ব ০৬ ||

আজ ভার্সিটিতে সবার মুখে এক কথাই শুনলাম, কিছু সিনিয়রকে নাকি নিহান ভাই একেকটাকে মেরে হসপিটালের বেডে ফেলে রেখেছে মেয়েদের সম্মান না দেয়ার কারণে।
এই কথায় আমি বিষম খেলাম।
নিহান ভাই এদের মারবে কেন?
এ তো ভার্সিটির ব্যাপার।
মাথাটা কি পুরোই গেছে ওনার?
আশ্চর্য!
হুট করে মাথায় এলো গতকালের ছেলেগুলোর কথা যেগুলো আমাকে “লম্বা চুলওয়ালি সুন্দরী” বলেছিলো।
তখন তো আমার সাথে হিদও ছিলো।
এর মানে কি সেই ছেলেগুলোকেই মেরেছে নিহান ভাইয়া আর হিদ-ই কি নিহান ভাইয়ার কানে এসব লাগিয়েছে?
মুহূর্তে মেজাজ গরম হয়ে গেলো।
আজ একবার হিদ আসুক তারপর ওকে মজা বোঝাচ্ছি।
শিউলি তলায় দাঁড়িয়ে এসব ভেবে চলেছি ওমনি দূর থেকে হিদকে দেখতে পেলাম।
কিন্তু অবাক করার বিষয় হিদ আমার দিকে না এসে অন্যদিকে যাচ্ছে।
আমি কয়েক পা এগোলেই পেছন থেকে কেউ আমার মুখ চেপে ধরে এক ফাঁকা ক্লাসে নিয়ে এলো।
আমার তো জান যায় যায় অবস্থা।
কে আবার আমাকে এদিকে নিয়ে এসেছে?
আমার কোনো ক্ষতি করবে না তো?
ভাবতেই আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে।
আপ্রাণ চেষ্টা করছি এই অচেনা মানুষটার থেকে নিজেকে ছাড়ানোর।
এক মিনিট! কেমন পরিচিত পারফিউমের ঘ্রাণ পাচ্ছি।
লোকটি আমার মুখ থেকে হাত সরাতেই আমি জলদি জলদি পিছে ফিরে দুই পা পিছিয়ে গেলাম।
লোকটির মুখ দেখা যাচ্ছে না কারণ সে একটি কালো মাস্ক আর মাথায় একটা কালো ক্যাপ পরেছে।
গায়ের রঙ আর তার বাদামী চোখ দেখে চিনতে অসুবিধা হলো না যে এটা নিহান ভাইয়া।
আমি সরে আসতেই উনি তার মাস্ক খুলে প্যান্টের পকেটে পুরলো।
ক্যাপটা খুলে বামসাইডের বেঞ্চিতে রেখে চুলগুলো হালকা পেছনের দিকে নিলো।
এইসব ফিল্মি স্টাইল যে উনার মধ্যে কই থেকে আসে বুঝি না বাপু।
কিছুটা অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে বলে উঠলাম,

—“নি..নি..নিহান ভাই! আপনি ভার্সিটিতে, আর আমাকে এই ফাঁকা ক্লাসে নিয়ে আসার মানে কি!!”

মুহূর্তেই নিহান ভাইয়ার কপালের রগ ফুলে উঠলো।
সে ধপাধপ পা আমার দিকে এগিয়ে আসছে।
আমি পালাতে নিতেই ওনার এক হাত দিয়ে এমন জোরে মুখ চেপে ধরলো যে ব্যথায় চোখের কোণে পানি জমা হলো।
নিহান ভাইয়া কিছুটা রাগি সরে বলে উঠে,

—“তোরে আমি এতোবার করে বললাম, মাথায় কাপড় দিয়ে বাসা থেকে বের হবি, কানে শুনতে পাস না? তোর এইসব ঢলাঢলির জন্যই তো ছেলেরা তোকে উল্টোপাল্টা কিছু বলার সুযোগ ছাড়ে না। খুব ভালো লাগে না এসব শুনতে?”

ব্যথায় আমার গলা দিয়ে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না।
তার উপর যেভাবে ধরেছে মনে হচ্ছে আমার দুই গালের একদম হাড্ডি গুড়া হয়ে যাচ্ছে।
ভাইয়া আরও জোরে চেপে ধরে চিল্লিয়ে বলে,
—“কি হলো চুপ কেন কথা বল!”

নিহান ভাইয়ার চেঁচানোতে ভয়ে আমার আত্মা কেঁপে উঠলো।
আমার চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পরলো।
আমার চোখের জল দেখে ভাইয়া আমাকে ছেড়ে কিছুটা দূরে সরে দাঁড়ালো।
এক হাত চুলের মাঝে ডুবিয়ে আরেক হাত কোমড়ে রেখে উনি রাগ কান্ট্রোল করার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
সফল হতে না পেরে “আয়ায়া” করে এক চেয়ারে জোরে লাথি মারতেই সেই চেয়ার ছিটকে গিয়ে কিছু অংশ ভেঙ্গে গেলো।
ভাইয়ার এমন ভয়ংকর রূপ দেখে আমার কান্নার শব্দ বেড়ে গেলো।
আমার কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে উনি আবার তেড়ে আসলো আমার দিকে এবং ধমক দিয়ে বলে,

—“এই চুপ! একদম চুপ! একদম ন্যাকা কান্না কাঁদবি না, তোর কান্না দেখে আমার গা দ্বিগুণ হারে জ্বলে উঠে। এই এই এই! শুনিস নি কি বললাম? কান্না থামা!”

ভাইয়ার ধমকে আমি একদম চুপ হয়ে গেলাম।
আমার দিকে তাকিয়ে আবার বলে,

—“ফের যদি দেখি ঢং করতে তোরেও ওইসব ছেলেগুলার সাথে আছাড় মারবো! এই নিহান কি জিনিস তোরে ভালো করে বুঝায় দিবো।”

বলেই ক্যাপটা নিয়ে ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
আমি কিছুক্ষণ ক্লাসে থেকে চোখমুখ ভালো করে মুছে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলাম।
আজ আর ক্লাসে যেতে মন সায় দিলো না।
তাই কাঁধে থাকা ব্যাগটা নিয়ে তৎক্ষনাৎ বেরিয়ে গেলাম।
মাঠে যেতেই দেখলাম পার্কিংলোটে নিহান ভাইয়া নিজের গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে কার নিয়ে চলে যাচ্ছে।
মন খারাপটা মুহূর্তেই রাগে রূপান্তরিত হলো।
বজ্জাত, ইতর, খচ্চর নেতা!
তোর সাহস কম না এতক্ষণ আমাকে ধমকিয়েছিস!
কেন রে আমি কি তোর টাকায় খাই নাকি পড়ি যে তোর কথামতো চলবো?
আমার লাইফ, আমার ফ্রিডম!
বান্দর পোলা। নিশ্চয়ই কালকের কথা ওই শালী হিদ এই বান্দরের কানে লাগাইসে।
এইজন্য আজ আমার এই নাজেহাল হলো।
তোরা দুই ভাইবোনই এক, তোদের মাঝে কোনো তফাৎ নাই।
একটায় পারে ধমকাইতে আরেকটায় পারে কথা লাগাইতে যত্তসব!!

এইসব ভেবেই ভার্সিটি থেকে কিছুটা দূরের একটা পার্কে আনমনে হেঁটে চলেছি।
জায়গাটা বেশ লাগে আমার কাছে।
এখানকার পরিবেশ এবং প্রকৃতি সম্পূর্ণ ভিন্নরকম।
পুরো জায়গাটার মাটিতে কার্পেটের মতো সবুজ ঘাস আর গাছগাছালি।
মাঝে মাঝে দু’একটা বসার জন্য বেঞ্চিও রয়েছে।
ভার্সিটির অনেক স্টুডেন্ট ভার্সিটি মিস দিয়ে এখানে প্রেম করে।
আজও কিছু কাপল দেখতে পারছি।
হাঁটতে হাঁটতে হুট করে এক গাছের শেঁকড়ের সাথে হোচঁট খেয়ে পরে গেলাম।
পায়ে ব্যথা পেতেই চোখমুখ কুচকে ফেললাম।
হুট করে “মিয়াও” শুনলাম।
হাতে ভরে দিয়ে মাথা উঠিয়ে পিছে ফিরলাম।
পিছে ফিরতেই যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম।
আনন্দে আমার চোখ-মুখে আনন্দে ঝলঝল করে উঠলো।
মুহূর্তেই ব্যথা ভুলে উঠে বসলাম।
আমার এতো খুশির একটাই কারণ, সেটা হলো একটা বিড়াল।
বিড়ালটির গায়ের রঙ সাদা এবং ধূসর রঙে মিশ্রিত।
বিড়ালটাকে দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছে বিড়ালটি খাবার পায় না।
আমি অতি যত্নে বিড়ালটাকে কোলে নিয়ে অজস্র আদর দিতে লাগলাম।
বিড়ালটা আবেশে চোখ বুজলেও কেমন যেন ফোসফোস করে শ্বাস নিচ্ছে।
বিড়ালটি ক্ষুধার্ত ভেবে আমি জলদি বিড়ালটাকে কোলে নিয়ে পার্ক থেকে বেরিয়ে গেলাম।
একটা টঙয়ের সামনে এসে এক পা দুধ আর কিছু নরম কেক নিলাম।
জানিনা এগুলো খাবে কি না তবে এতোটুকুই আপাতত কম সময়ের মধ্যে পেলাম।
বিড়ালটাকে একটা গাছের নিচে বসিয়ে একটা কাগজে কেকগুলো দিয়ে দিলাম।
সে কিছুটা নাক দিয়ে শুকে খসখস করে খেতে লাগলো।
আমি বিড়ালটার সামনে হাটুগেড়ে বসে তৃপ্তির দৃষ্টিতে বিড়ালটাকে দেখছি।
কি সুন্দর কিউট এই বিড়ালটা, একদম আমার মনের মতো।
বিড়ালটার খাবার দেখতে দেখতে হঠাৎ হাতে থাকা দুধের প্যাকেটটার দিকে খেয়াল গেলো।
এই দুধ তাকে কিসে করে দিবো?
ভাবতে ভাবতেই আশেপাশে তাকালাম।
কোনোরকমে একটা ছোট বাটি ম্যানেজ করে বিড়ালটার সামনে রাখলাম।
এরপর দুধের প্যাকেটটা দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে সেটায় দুধ ঢেলে দিলাম।
বিড়ালটা যেন দুধ দেখে অনেক খুশি হলো।
তার খুশিতে আমিও এক প্রশান্তি অনুভব করছি।
বিড়ালটার খাওয়া দেখতে দেখতেই সিদ্ধান্ত নিলাম এখন থেকে এই বিড়ালটাকে আমি আমার কাছে রাখবো।
একে একা রেখে আমি কিছুতেই এখান থেকে যেতে পারবো না।
কিন্তু এই বিড়ালটার নাম কি দেয়া যায়? উম.. ভাবতে হবে।
এর আচরণে বোঝা যাচ্ছে এটা ছেলে বিড়াল।
আচ্ছা “ইনু” কেমন হবে?
নিজের অজান্তেই বিড়ালটাকে ইনু বলে ডাকলাম।
কিন্তু না ওনার কোনো সাড়াশব্দ নেই, সে আপাতত তার খাওয়ায় ব্যস্ত।
খাওয়ার ধরণে বোঝা যাচ্ছে সে অনেকদিন কিছু খায়নি।
আহারে বেচারা, ভাগ্যিস আমার কবলে পরেছিলো।

—“এখন থেকে তোকে রাজা করে রাখবো ইনু। তুই আমার মিষ্টি ইনু।”

ইনু আমার দিকে তাকালো।
আমি সাথে সাথে হিহি করে হেসে দিলাম।

—“মিয়াও।”

সেদিনই ইনুকে আমার সাথে নিয়ে এসেছি।
মায়ের ঝাড়ি অবশ্য অনেকবার খেয়েছি কিন্তু কি করার?
আমি আমার ইনুকে নিজের কাছে রাখবোই ব্যাস!
একসময় মাও আমার জেদের কাছে হেরে গেলো।
ইনুকে আমি বেশ যত্নে রেখেছি।
ইনুর সাথে অনেক মিশার ফলে তার এবং আমার বেশ ভাব হয়েছে যাকে বলে গলায় গলায় ভাব।
জিনিয়াও বেশ পছন্দ করে।
ইনু অনেক কিউট তাই পছন্দ করারই কথা।
যতোই হোক আমার পছন্দ বলে কথা।
আমি আর জিনিয়া ওকে নিয়েই বেশি সময় মেতে থাকি।
মা ইনুকে সহ্য করতে পারে না দেখে মাকে ইনু নানানভাবে ভয় দেখায়, এতে মা আর ইনু একপ্রকার দৌড়াদৌড়ি করে।
আমি থাকলে ইনু আমার কাছেই থাকবে, যখন আমি বাসায় থাকবো না সেদিন মাকে জ্বালানোর বর্ণনা হারে হারে বুঝিয়ে দেয়।
সেদিন বাসায় এসে দেখি ইনু ছুটছে মায়ের পিছে, জিনিয়া অদূরে দাঁড়িয়ে ওদের কান্ড দেখে হাসছিলো।
মা আমাকে দেখতে পেতেই দ্রুত আমার পিছে লুকিয়ে বলে,

—“এই ফাজিল বেড়ালকে বের কর আমার বাড়ি থেকে। এ তো সুযোগ পেলেই আমাকে কামড় বসাতে আসে। আর যদি আমার পিছে ছুটতে আসে এরে আমি ঝাটাপেটা করে বের করবো নাফি, এই আমি বলে দিলাম।”

আমি অসহায়ের মতো মুখ করে ইনুর দিকে তাকালাম।
ইনু বসে আছে আর বারংবার লেজ নাড়ছে, এর ভাবগতি দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছে এ মাকে জ্বালিয়ে বেশ আনন্দ পায়।
আমি ইনুকে নিয়ে আমার ঘরে এসে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলাম নইলে মা তাকে বের করে দিবে।
ইনু আমার কথায় কি বুঝলো জানিনা তবে সে মুখটা কেমন করে শুধু “মিয়াও” বললো।
আমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ভাবছি এই ইনু আমার ভাষা কি বুঝে?

ইনুকে আনার পর থেকে সেই প্রহরের আর চিঠি পাইনি।
যাক গে ওই প্রহরকে নিয়ে আমার ভাবার সময় নেই।
নিহান ভাইয়াকেও তেমন দেখা যায়না, শুনেছি ওনার নাকি ইলেকশন চলছে, তাই নেতাসাহেব বহুত বিজি মানুষ আপাতত।
ভালো হইসে আমিও আর নিহান ভাইয়ের সামনে যাবো না।
ওইদিনের অপমান আমি ভুলিনি হু!
বাসার যতো চিঠি ছিলো সেগুলো নিয়ে একদিন ইনুর সাথে বসেছিলাম সাথে জিনিয়াও ছিলো।
ইনু কাগজ পেতেই হামলা চালানো এগুলার উপর।
একেকটা কাগজকে টুকরো টুকরো করে ফেললো ২ ঘন্টার মাঝে।
জিনিয়া আর আমি রীতিমতো গড়াগড়ি খাচ্ছি হাসতে হাসতে।
শেষে কিনা এই ইনু ওই বিষাদের চিঠির বারোটা বাজিয়ে দিলো?
বেশ হয়েছে, এই নাহলে আমার ইনু!
মা ঘুম থেকে ওঠার আগে আগে আমি আর জিনিয়া মিলে সমস্ত মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাগজের টুকরা ঝেড়ে পরিষ্কার করে ফেললাম।
ব্যাস! কাম তামাম।

ঘুম থেকে উঠে চোখ কচলাতে কচলাতে লিভিংরুমের দিকে গেলাম।
আজ ছুটিরদিন হওয়ায় বেশ দেরী করেই উঠেছি।
জিনিয়া এখনো মরার মতো ঘুমোচ্ছে।
লিভিংরুমে ঢুকতে নিবো তার আগেই মা টেনে আমাকে সরিয়ে আনলো।
আমি বিরক্তির সুরে বললাম,
—“উফফ কি হলো টেনে আনলে কেন?”

—“নিজের দিকে তাকিয়েছিস? প্লাজো আর টিশার্ট পরে নিহান বাবার সামনে যাবি?”

মায়ের কথায় নিজের দিকে একবার তাকিয়ে লিভিংরুমে উঁকি দিলাম।
নিহান ভাইয়া সোফায় স্টাইল মেরে বসে ফোন টিপছে।
আল্লাহ!
এই লোক এই সকালবেলায় আমার বাড়িতে কি করছে?
ভাগ্যিস মা এসেছিলো নয়তো আমার মান-সম্মানের ফালুদা হয়ে যেত।
দৌড় দিয়ে নিজের ঘরে চলে এলাম।
ওয়াশরুম থেকে জামা চেঞ্জ করে এবং ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে শুনি নিহান ভাইয়া চলে গেছে।
আজব ছেলে তো! এতোই যখন চলে যাওয়ার কথা তাহলে কে আসতে বলেছিলো?
তবে এটা ঠিক আজ অনেকদিন পর দেখলাম তাকে।

ওনাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতেই রুমের বাইরে এসে দেখতে পেলাম মা একপ্রকার দৌড়াদৌড়ি করছে।
কিন্তু কেন?
মায়ের পেছনে ইনুকে খুঁজলাম, নাহ ইনু তো নেই।
আর ইনু থাকবে কি করে? সে তো আমার বালিশের উপর চুপটি মেরে আরামের ঘুম দিয়েছে।
তাহলে মায়ের ছোটাছুটির মানে কি?

—“আম্মু এভাবে ছোটাছুটি করছো কেন?”

—“ছুটছি কি আর স্বাধে? তোর ফুপি আসছে, তাই সব কাজ সামলাতে হচ্ছে। নাস্তা খেয়ে আমার কাজে হাত লাগা।”

মায়ের কথায় আমি নাথা নাড়িয়ে খেতে বসলাম।
বিরক্ত লাগছে এই ফুপির উপর।
ফুপি তো এক মহাঝামেলা।
সবসময় আমাদের হেনস্তা করার জন্য যেন দুই ধাপ এগিয়ে থাকে, কুটনি মহিলা কোথাকার।
ফুপাতো এক বোনও আছে, সেও কম যান না যাকে বলে মা কি বেটি।
এরা আসার পর কি যে করবো তা ভাবতে ভাবতেই নাস্তা শেষ করলাম।

চলবে!!!

বিঃদ্রঃ ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গঠনমূলক মন্তব্যের প্রত্যাশায় রইলাম। আসসালামু আলাইকুম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here