বিয়ে পর্ব ৮

0
164

#বিয়ে
#লেখনীতে -ইসরাত জাহান ফারিয়া
#পর্ব-৮

ধ্রুব বিরক্ত হয়ে বলল,
— আমার ঘর এত নোংরা হয়ে থাকার কারণ কি? দু’জনে মিলে নাচানাচি করছিলে নাকি? আমি কিন্তু এসব একদম এলাও করবো না।
— আমরা তো গল্প করছিলাম, অন্যকিছু না।
ধ্রুব মুখ গোঁজ করে বলল,
— দ্রুত পরিষ্কার করো সবকিছু। ডিজগাস্টিং!
এরপর বেরিয়ে যেতে নিলেই অদ্রি হঠাৎ করে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। ধ্রুব হকচকিয়ে গেলো। হলো কি মেয়েটার? অদ্রি কিছুক্ষণ ওকে পর্যবেক্ষণ করে ঠোঁট উল্টালো। আনমনে বলল,
— উহুম! ঠকে যাইনি। তবে আহামরি এমন কিছুও
নেই আপনার মধ্যে।
ধ্রুব ওর এমন আচরণ দেখে কেশে ওঠলো! হার্টবিট দ্রুতগতিতে ছুটতে লাগলো। কপাল ঘেমে ওঠলো। ছয় ফিট উচ্চতার ধ্রুব’র কাছে পাঁচ ফিট দুই ইঞ্চির অদ্রি নিতান্তই একটা পুতুল লাগছে মাত্র। লাল হওয়া গাল, ঠোঁট উল্টানো, এলোমেলো চুল এদিকসেদিক ওড়াওড়ি করছে অদ্রির। এত কাছে এসে দাঁড়িয়েছে কেন মেয়েটা? এমনভাবে কথাই বা বলছে কেন? ও কি বুঝতে পারছে না ধ্রুব’র মনে এক অচেনা অনুভূতির আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে? যে আন্দোলনকে ও মারাত্মকভাবে এড়িয়ে চলতে চাইছে! ধ্রুব নিজেকে বহুকষ্টে সামলে নিয়ে জিজ্ঞেস করল,
— আহামরি কিছু নেই আমার মধ্যে? ঠকে যাওনি! এসব কি বলছো?
অদ্রি দু’হাত ভাঁজ করে বলল,,
— আসলে জরিনা আমাকে বলছিলো পুরো বাংলাদেশে আপনার মতো হ্যান্ডসাম ছেলে খুঁজে পাওয়া নাকি মুশকিল। সেটাই একটু পরখ করে দেখছিলাম আরকি!
— তা কি দেখলে?
— আমি কিন্তু সত্যিটাই বলবো। আপনি আবার ঝামেলা করবেন না।
ধ্রুব রুক্ষ স্বরে বলল,
— করবো না।
অদ্রি ভেতরে ভেতরে কথা সাজিয়ে নিলো। আরও একবার নজর বুলালো ধ্রুব’র প্রতি। তারপর এক এক করে বলল,
— প্রথমত, আহামরি কিছু নেই সেটাই দেখলাম। থাকার মধ্যে হাইট আর মাকাল ফলের মতো চেহারাটাই আছে। আর সেভাবে বলতে গেলে আপনার ব্যবহার খুব বাজে। এটা তো আপনিও মানবেন, তাই না?
ধ্রুব’র মনে এতক্ষণ ধরে অদ্রির প্রতি জমানো সব
অনুভূতি আচমকাই যেন ভেঙ্গে গেলো। অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো সে। শরীরের র’ক্ত যেন টগবগ করে ফুটতে লাগলো। ভেবেছিলো অদ্রি হয়তো ওর প্রশংসা করবে অন্য সবার মতো। কিন্তু না, মেয়েটা সুযোগ পেয়ে ওকে অপদস্ত করেই দিলো। এরকম হাইট, সুন্দর বডি, সবকিছু মিলিয়ে প্রথম সারির একজন হ্যান্ডসাম ম্যান সে। ছোট থেকে প্রশংসা শুনেই অভ্যস্ত। আর এইযে এখন সে অদ্রির সামনে কালো স্যুট-বুটে দাঁড়িয়ে আছে কত্ত হ্যান্ডসাম লাগছে সেটা আজ অফিসের সবাই জানিয়েছে ওকে। পিএ মেয়েটা তো ওর দিক থেকে চোখই সরাতেই পারছিলো না। ধ্রুব তো শেষপর্যন্ত ধমক দিয়ে বের করে দিয়েছিলো কেবিন থেকে।
আর দু’দিনের এই মেয়েটা নিজের বরকে দু’সেকেন্ড পরখ করেই মাকাল ফল তকমা দিয়ে দিলো? এটা কিভাবে মানবে সে? এটা কি ওর পুরুষত্বে আঘাত করা নয়?
ধ্রুব কাঠ কাঠ গলায় বলল,
— তুমি কি আমাকে অপমান করছো?
অদ্রি জিভ কাটলো। বলল,
— না। আমি শুধু সত্যিটাই বলেছি। আপনার কি খারাপ লেগেছে?
— সেটা বড় কথা নয়। তুমি কি আমাকে ভালো করে খেয়াল করেই এই কথাগুলো বলেছো?
অদ্রি বলল,
— হ্যাঁ। তবে মনে হচ্ছে অতোটাও ঠকে যাইনি। আপনার মধ্যে যা আছে বেশ ভালোই।
সান্ত্বনা! এত কথা শুনিয়ে এখন এতটুকু সান্ত্বনা দিতে এসেছে? ও কি জানে না ধ্রুব কারো সান্ত্বনা বা দয়া নেয় না? ওর প্রচন্ড রাগ হলো। বলল,
— জরি’র কথায় আমাকে পরখ করেছো। ঠকে যে যাওনি সেটাও বুঝেছো। কিন্তু নিজেকে পরখ করোনি? খারাপ ব্যবহার কিন্তু আমি করিনি। জাস্ট মাথা গরম করে দু-একটা কথা বলেছি। সেটা তুমিও বলেছো।
কি বলো নি?
ধ্রুব’র কথা শুনে অদ্রির চোখমুখ শক্ত হয়ে গেলো। ও তো কখনোই কারো সাথে মাথা গরম করে কথা বলেনি।শুধুমাত্র ওর কথার পিঠে উত্তর দিয়েছিলো। যেচে পড়ে ধ্রুব’র সাথে কথা বলেনি, খোঁচাও দেয় নি। তাহলে? অদ্রি স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে বলল,
— শুরুটা কিন্তু আপনি করেছিলেন। আমি শুধু কথার জবাব দিয়েছি। এটাকে অন্যকিছু ধরলে আমার কিছু করার নেই।
ধ্রুব চোখ বন্ধ করে ফেললো। রাগ তড়তড় করে মাথায় ওঠছে। নিজের রাগ ঠান্ডা করতে বলল,
— এরকম নোংরা ঘর যাতে না দেখি। এরপর থেকে আমার ঘরের কিছু ধরবে না। সারাদিন অফিসে ছিলাম কি না কি করেছো কে জানে!
অদ্রি কথাটায় আহত হলো। বলল,
— মনে থাকবে। আজকের ভুলের জন্য সত্যি স্যরি।
যাইহোক, আপনি যদি একটু স্পেস দিতেন তাহলে আমি ঘরটা পরিষ্কার করে দিতাম।

ধ্রুব হনহনিয়ে চলে গেলো। মেয়েটা ওকে একফোঁটাও কেয়ার করে না। আচ্ছা ধ্রুব না হয় বিয়েটা নিয়ে চেঁচামেচি-বাড়াবাড়ি করেছে। কিন্তু এখন তো
এসব করা কমিয়ে দিয়েছে। একটু প্রশংসা তো আশা করতেই পারে। ডিরেক্ট কিভাবে বলে ফেললো ও একটা মাকাল ফল? নাহ! ওর আদুরে মুখ দেখে যতোটা অনুভূতি মনে নাড়া দিয়েছিলো সেটা আর একফোঁটাও বাড়তে দেবে না ধ্রুব৷ এরকম কাঠখোট্টা মেয়েরা নিজেকেই মহান ভাবে। উফ! মনের ভেতর মেয়েটার চেহারা এমনভাবে বসে আছে কেন কে জানে! আজ অফিসের মিটিংয়ে কতবার মনোযোগ সরেছে তার
শুধু সে-ই জানে। বাড়িতে এসে কোথায় দু-একটা প্রশংসার বাক্য শুনবে তা না মেয়েটার কাছ থেকে একপ্রকার মুখ ঝামটা খেয়ে বসে আছে!

রাতের খাওয়া ভালো হলো না ধ্রুব’র। মন-মেজাজ ঠিক নেই। অফিসের কাজগুলো শেষ না করেই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লো বিছানায়, তবে অদ্রির
জন্য যথেষ্ট স্পেস রাখলো। অদ্রিও বারোটার আগেই ঘরে এলো। আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়লো, তবে আজ
নিজের ইচ্ছেয় মেঝেতে বিছানা করেছে। বাইরে তখন নিশুতি পাখির আনাগোনা বেড়েছে। জানালার
ফাঁক দিয়ে মস্ত চাঁদের আলো সাদা পর্দা ভেদ করে ঘরে এসেছে। মায়ের কথা মনে করতে করতে একসময় ঘুমিয়ে পড়লো অদ্রি। আর ধ্রুব প্রচন্ড অভিমান নিয়ে
সবকিছু দেখলো। ও মনেপ্রাণে চাইছিলো মেয়েটা ওর পাশে ঘুমুক। কিন্তু অদ্রি আসেনি। গোলাকার চাঁদ। শান্ত বাতাস। বাগানের ফুলের মিষ্টি গন্ধ ভেসে আসছিলো ঘরে। আধো ঘুমন্ত চোখজোড়া দিয়ে একমনে দেখতে লাগলো মেঝেতে ঘুমিয়ে থাকা মেয়েটার দিকে।

পরদিন অদ্রি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায়ই খুব সকালে ধ্রুব না খেয়েই অফিসে চলে গেলো। উষ্কখুষ্ক চুল, ফোলা চোখ যেন সারারাত ঘুমায়নি। কোনোমতে অফিসের পোশাকটা গায়ে চাপানো। অন্যদিনের মতো স্যুটেড-বুটেড হয়ে যায় নি। শায়লা হাসান বুঝতে পারলেন না ছেলের মনোভাব। হয়তো জরুরি
কাজ পড়েছে তা-ই বেরিয়ে গেছে ভেবে তিনি নাস্তা বানানোর কাজে মন দিলেন। এদিকে ঘুম থেকে ওঠে ধ্রুবকে না দেখতে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো
অদ্রি। একেবারে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এলো। ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসেই জানতে পারলো ধ্রুব’র এরকম বিধস্ত অবস্থায় বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা। আশফাক সাহেব জানালেন তিনি জানেন না
আসলেই কোনো জরুরি কাজ পড়েছে কি-না।
অদ্রির মনের ভেতর কেমন করে ওঠলো! ধ্রুব কি কালকের ওটুকু কথার জন্যেই এরকম করেছে নাকি অন্য কোনো কারণে বুঝতে পারলো না। ও খাওয়ায়
মন দিলো। এভাবেই সারাটাদিন কোনোরকমে কেটে গেলো অদ্রির। বই পড়লো, জরিনাকে সঙ্গে নিয়ে
বাগান পরিষ্কার করলো, ফুলগাছে পানি দিলো।
তবে একবারের জন্যও ধ্রুব’র ঘরে এলো না। যেহেতু ধ্রুব অফিসে ছিলো সারাদিন, তাই ওর অনুপস্থিতিতে ঘরে ঢোকা অদ্রির পছন্দ হলো না। কারণ লোকটা হয়তো এসে ওকে বলবে তুমি
আমার ঘরে পারমিশন ছাড়া ঢুকেছো কেন? আমার জিনিসে হাত দিয়েছো, এই করেছো, সেই
করেছো কেন? তাই অহেতুক ঝামেলা এড়ানোর
জন্যই অদ্রির আর ঘরেই আসে নি।
সন্ধ্যায় সবার জন্য চা বানালো। ডিনারেও সবাই
বেশ মজা করে খেলো। শায়লার হাতের আলুর ভর্তা অদ্রির পছন্দের খাবারের তালিকায় যোগ হলো।
রাত বারোটায় ধ্রুব বাড়ি ফিরলো। শায়লা অনেক
জোর করলেন খাওয়ার জন্য কিন্তু ধ্রুব বললো সে খেয়ে এসেছে। এরপর গুড নাইট জানিয়ে ঘরে চলে গেলো। অদ্রি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলো। পা টিপে টিপে ধ্রুব’র ঘরে এলো সে। দরজার ফাঁক দিয়ে দেখলো ধ্রুব ঘরেই আছে। কিন্তু কি আর করার? ওকে তো এখানেই থাকতে হবে। চুপচাপ ঘরে ঢুকেপড়লেও শুতে গিয়ে অদ্রি বেশ ঝামেলায় পড়লো৷ ধ্রুব পুরো মেঝে-বিছানা জুড়ে নিজের কাগজপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কাজ করছে। অদ্রির রাগ হলো। তবুও জিজ্ঞেস করলো,
— আমি কোথায় শুবো?
ধ্রুব কলম হাতে নিয়ে ভ্রু উঁচিয়ে তাকালো। বলল,
— সেটা আমি কি করে বলবো?
অদ্রি রাগান্বিত স্বরে বলল,
— মানে?
— কিছু না। যেখানে ইচ্ছে সেখানে শুতে পারো, কিন্তু আমার কাজে যাতে ডিস্টার্ব না হয়। আশেপাশে কিছু থাকলে আমি মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারি না।
— কিছু মানে? আমাকে আপনার মানুষ মনে হয় না?
ধ্রুব বলল,
— আমি তো সেটা বলিনি।
অদ্রি দৃঢ় স্বরে বলল,
— ইনডিরেক্টলি তো তাই বুঝিয়েছেন।
ধ্রুব বিরক্তি নিয়ে বলল,
— তুমি একটু বেশিই বুঝো। আমার ঘরে থাকছো
যেহেতু আমাকে রেসপেক্ট দিয়ে কথা বলবে।

অদ্রি দম নিলো। লোকটার সবকিছুতে এত প্রবলেম আর নেওয়া যাচ্ছে না। সেদিন সকালের ঘুমন্ত
ধ্রুবকে যতটা সরল দেখাচ্ছিলো, বাস্তবে তার একফোঁটাও নয়। অদ্রি কঠোর গলায় বলল,
— আপনি তো আমাকে রেসপেক্ট দেন নি। যাইহোক, এ বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। ওকে ফাইন। এই ঘর যেহেতু আপনার সাথে শেয়ার করে থাকতে হবে তাই জানিয়ে রাখছি, কাল আমার ব্যবহারের কিছু জিনিস রাখবো এখানে। বিনিময়ে আমি না হয় মাসে মাসে ঘরভাড়াও পরিশোধ করে দেব। এতে আশা করি আপনার কোনো সমস্যা হবে না। আর হলেও আমার কিছু করার নেই। গুড নাইট।

তারপর কাগজগুলো সরিয়ে নিজের মতো শুয়ে পড়লো। এদিকে ধ্রুব হতবিহ্বল, অদ্রি ওকে টাকা দেখাচ্ছে? এই ধ্রুবকে! দু’হাত ভর্তি টাকা খরচ করা যার এতদিনের অভ্যাস তাকে অদ্রি টাকা দেখাচ্ছে? মেজাজ বিগড়ে গেলো ওর। ল্যাপটপটা বিছানায় ছুঁড়ে ফেলে ঘর থেকে বের হয়ে গেলো। ওদিকে ধ্রুব’র চেহারা দেখে অদ্রির খুব হাসি পাচ্ছে, স্বস্তি পাচ্ছে। ধ্রুব যদি নিজের জিনিসও ব্যবহার করতে দিতো তাহলেও হয়তো অদ্রি তা নিতো না। মা মারা যাওয়ার পর থেকে অদ্রি সবসময় নিজের সামর্থ্যের ভেতর চলাফেরা করার চেষ্টা করে। জামিউল সাহেব তার নামে ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছেন। তবে অদ্রি বাবার টাকা নেবে না। ওর মা রুবিনাও মেয়ের নামে ব্যাংকে বিশাল একটা এমাউন্ট রেখে গেছেন। কোনোকিছু না করেও অদ্রি খেয়েপড়ে বেশ ভালোই চলতে পারবে। অন্যের জিনিসপত্র ব্যবহার করার ওর কোনো প্রয়োজন হবেই না! তবে ও ঠিক করেছে এবার চাকুরি খুঁজবে, নিজের একান্ত একটা পরিচয় ওর খুব প্রয়োজন!

রাত একটা। ধ্রুব’র মাথা গরম হয়ে আছে। ও ভাবতে পারছেনা কিছু। ড্রইংরুমে পায়চারি করতে করতে বলল,
— আমাকে কি ওর বাড়ির মালিক মনে হয় যে
ওর থেকে ঘরভাড়া নেবো? কাল থেকে যা খুশি তাই করছে। আমার জীবনের শান্তি শেষ। রিডিকুলাস!
অদ্রির গলা শোনা গেলো সিঁড়ির ওপর থেকে,
— আমি আছি এজন্য কি আপনি ঘর থেকে বের হয়ে এসেছেন? সবাইকে কি এখন জানাতে চান আপনার
বউ আপনাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে? এই
মিথ্যে অপবাদটা অন্তত আমি মেনে নিতে পারবো না।
ধ্রুব থমকে গেলো,
— তুমি এখানে কি করছো?
— আপনি তখন রেগে বের হয়ে এলেন। তাই খোঁজ নিতে এলাম যে আপনি কোথায় বসে মনে মনে আমাকে উদ্ধার করছেন। আসুন, এবার ঘরে আসুন। কাল থেকে আবার এই রাগারাগীর কার্যক্রম শুরু করবেন। কেমন? কাল
রাতেও হয়তো ঠিকমতো ঘুমাননি। প্রতি রাত জাগা
স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো না। তাছাড়া আজ সারাদিন ব্যস্তও ছিলেন খুব।
অদ্রি বললো ভাবলেশহীনভাবে। কিন্তু ধ্রুব’র মন মুহূর্তেই ভালো হয়ে গেলো। মেয়েটা ওর ঘুম-স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবছে! ও চুপচাপ সিঁড়ি বেয়ে ওঠে এলো। দু’জনেই ঘরের দিকে পা বাড়ালো। ধ্রুব শুধু রুক্ষ স্বরে বলল,
— থ্যাংকস।
— আমি মানবতার খাতিরেই বলেছি। অন্যকিছু ভাবার বেশি প্রয়োজন নেই।
ধ্রুব আচমকা মাথা চুলকে অদ্রিকে জিজ্ঞেস করলো,
— তোমার নামটা যেন কি?
অদ্রি থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো। একরাশ বিস্ময় নিয়ে সে প্রশ্ন করলো,
— আপনি আমার নাম জানেন না?

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here