বিবর্ণ_বসন্ত বাইশ পর্ব

0
808

#বিবর্ণ_বসন্ত
নুসরাত জাহান লিজা
বাইশ পর্ব

বত্রিশ.
আজ পহেলা বৈশাখ, অন্বেষার সেই কাঙ্ক্ষিত দিন, যে দিনের জন্য গেল দু’দিন তৃষিত হৃদয়ে প্রতীক্ষার প্রহর গুনেছে। শুনেছে প্রতীক্ষার প্রহর দীর্ঘ হয়, তাই বলে এত দীর্ঘ! সময় চক্র মনে হয় সহসা থমকে গিয়েছিল! এই দুদিনে আজকের দিন নিয়ে স্বপ্নের জগতে বিচরণ করেছে ও, স্বপ্নেই যেন পাড়ি দিয়েছে পুরো সৌরজগত! স্বপ্নের পাখাটা বড্ড বেশিই লম্বা আর নিরেট, এত উড়াউড়িতেও তার যেন কোন ক্লান্তি নেই!

লাল রঙের চমৎকার তাঁতের শাড়ি হাতে বসে আছে ও, এটাই পরবে বলে ঠিক করেছে। বাবা দিয়েছে এটা ওকে, নতুন বছরের উপহার। এর আগেও অসংখ্যবার শাড়ি পরেছে ও, কিন্তু ওর অনুভূতিকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়নি কখনো। তবে এবার ওর মধ্যে কিশোরীর চপলতা!

শাড়ি পরে যখন চোখ রাখল আয়নায় সহসা রাঙা হয়ে উঠল ওর মুখ, এটাও প্রথমবার! খুব করে সাজাল নিজেকে, সবশেষে টিপটা কপালে লাগিয়ে নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরখ করল, নাঃ! কোথাও কোন কমতি নেই, নিজের জন্যই মুগ্ধতা ফুটল চোখে! কিন্তু যার জন্য ওর এই সাজ, এত লাজ সেই বিষাদপুত্র কি চোখ তুলে ওর দিকে তাকাবে? খুব বেশি না হলেও একটুকরো মুগ্ধতা নিয়ে, নাকি…

আর ভাবতে পারে না, চোখ ঝাপসা হয়ে আসতে থাকে, প্রাণপনে সামলে নেয় নিজেকে, কাজল লেপ্টে যাওয়া চোখে বের হওয়া যাবে না তাই!

বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পরল অন্বেষা, বাবার বলা কথাটা ওর কানে ঘুরপাক খাচ্ছিলো,
“আমার রাজকন্যাকে আজ একেবারে সত্যিকারের আকাশ পরী মনে হচ্ছে, এই মুখের দিকে তাকিয়ে শুধু তোর বিষাদপুত্র কেন পৃথিবীর কেউই কষ্ট ধরে রাখত পারবে না! ভীষণ পবিত্র লাগছে তোকে। আমার দোয়া সবসময় তোর সাথে আছে, থাকবে! সাবধানে যা।”

বাবা ওকে খুশি করার জন্য বাড়িয়ে বলেছে, এটা ও জানে। কিন্তু কখনো সখনো মিছেমিছি প্রশংসা শুনতে দারুণ ভালো লাগে। বাবার দোয়া সঙ্গী করে যখন বেরিয়ে পরল অন্বেষা তখন ঘড়ি সাড়ে আটটা ছুঁই ছুঁই। রোদের তেজ ভালই মনে হচ্ছে। নানান এলোমেলো ভাবনা আর হৃদয় ভরা দ্বিধা, সংকোচ আর ঢিপঢিপানি নিয়ে আবিদের বাসায় পৌঁছে গেল!

তেত্রিশ.
মেইন গেইটটা পেরোতেই দেখল আবিদ এগিয়ে আসছে, অন্বেষার কল্পনাকেও হার মানিয়ে পাঞ্জাবি পরেছে আবিদ। দুজনের মধ্যে দূরত্ব যত কমে আসছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওর হৃদপিণ্ডের গতি, ধকধক শব্দ তুলে চলেছে অনবরত! সেই শব্দ যেন ছড়িয়ে পরছে চারপাশে। আবিদের কানে গেলে কেলেঙ্কারির একশেষ! আবিদ ওর সামনে দাঁড়াতেই অন্বেষা ডুবে গেল আবিদের চোখে। এত গভীর চোখেও বুঝি কারও হয়! এতটা অন্তর্ভেদী! অন্বেষার মনে হচ্ছে এই চোখের বিচরণ ওর হৃদয়ের একেবারে গোপন প্রকোষ্ঠ পর্যন্ত বিস্তৃত! চোখ দিয়েই পড়ে নিচ্ছে হয়তো ওর হৃদয়ে লুকোনো একান্ত গহীনের অনুভূতি! ওই দৃষ্টির তীব্রতায় টিকে থাকতে না পেরে চোখ নামিয়ে নিল অন্বেষা! কেমন কেঁপে কেঁপে উঠছিল ভেতরটা!

সোহান অন্বেষার দিকে বিষ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বেরিয়ে গেল। এই ছেলের সমস্যাটা কোথায় ও বুঝতে পারে না!
প্রথমে মুখ খুলল আবিদই,
“শুভ নববর্ষ, অণ্বেষা।”
“শুভ নববর্ষ।”
হেসে অভিবাদনের জবাব দিল ও।

“আজ কিন্তু আমি তোমার ভরসাতে বেরোলাম। আমার ক্রাউডি এরিয়াতে সাফোকেটিং লাগে! দেখি তুমি আমাকে কোন নিঝুম পুরীতে নিয়ে যাও!” উদ্ভাসিত হেসে বলল আবিদ।

“আমি ভরসার প্রতিদান দিতে পারি। চলুন বের হই, নইলে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যাবে।”

দুজন যেন পাখনা মেলে দিল অন্য দুনিয়ায়, একজন আছে নিজের হারিয়ে যাওয়া সত্তার সন্ধানে আর অপরজন নিজের মনে জেগে উঠা গভীর কোনো অনুভূতির ডাকে সাড়া দিতে।

গন্তব্যে নেমে চারপাশে চোখ বুলাল আবিদ, সত্যিই সুন্দর আর নির্জন জায়গাটা। আশেপাশে জনবসতি নেই খুব একটা। লোক সমাগম একেবারেই সীমিত বলা যায়! চারপাশটা যেন সবুজ ঘাসের দ্বীপ। গাছপালায় ছাওয়া ছায়া ছায়া নির্মল এক পরিবেশ, নিমিষেই মন ভালো করে দেয়। মাঝে মাঝে দুই একটা গাড়ি রাস্তায় চলে ওদের নিঝুম পুরীর নীরবতায় কিঞ্চিৎ বিঘ্ন ঘটাচ্ছে!

আবিদ মুগ্ধ দৃষ্টি মেলে বলল, “এই জায়গার খোঁজ কীভাবে পেলে? ”
“ফ্রেন্ডরা আসতাম মাঝে মাঝে দলবেঁধে। আনন্দের নানু বাড়ি এদিকটায়। ওই নিয়ে এসেছিল প্রথম। আমরা এসে এই জায়গার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম সবাই। এরপর সময় পেলেই চলে আসতাম।”

“আসলেই চমৎকার জায়গা! তোমাকে ধন্যবাদ।”

“আপনার কী মনে হয় আমি আপনার ধন্যবাদ পাওয়ার জন্য এখানে নিয়ে এসেছি?” কিছুটা রূঢ়ভাবে বলল সে।

“আরে রেগে যাচ্ছ কেন? কী এমন বললাম!” আবিদের গলায় বিস্ময়।

“আমরা তো বন্ধু এখন, তাইনা! তাহলে এত ফরমাল ওয়েতে কথা বলছেন কেন? নাকি এখনো বন্ধু ভেবে উঠতে পারেননি?” অভিমান মেশানো গলায় বলল ও।

আবিদ আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে সশব্দে হেসে উঠল, “এত ছেলেমানুষী কথাবার্তা কোত্থেকে পাও বলতো? এই যে আমি আমার গণ্ডি ভেঙে তোমার সাথে বন্ধুত্ব করলাম, এতদূর চলে এলাম, এসবেও তোমার মনে হলো না এই বন্ধুতা এখন একেবারে পাকা পোক্ত! শুধু ধন্যবাদ বলাতেই সব ধুয়ে মুছে গেল?”

এখনো হাসি লেগে আছে আবিদের মুখে আর অন্বেষার চোখে মুগ্ধতা। অস্ফুটস্বরে বলল, “আমি সেভাবে বলতে চাইনি। আসলে.. ”
“থাক কিছু বলতে হবে না। আমরা বরং আশেপাশে ঘুরেফিরে দেখি জায়গাটা।”
অন্বেষার কোনো হেলদোল না দেখে ওর দিকে তাকাল আবিদ, “কই, চলো!”
“হ্যাঁ, একমিনিট দাঁড়ান, আমি আসছি।”

গাড়ির দিকে হেঁটে গেল, পরক্ষণেই ফিরল হাতে ক্যামেরা নিয়ে। আসার সময় এটা সঙ্গে নিয়েছিল বিশেষ উদ্দেশ্যে। কারও স্বপ্ন তাকে ফিরিয়ে দিতে।
সবুজ ঘাসের দ্বীপ মাড়িয়ে এগুতে লাগল দু’জন। কিছুদূর এগুতেই অন্বেষা আচমকা দাঁড়িয়ে গেল, আবিদ পিছু ফিরে তাকাতেই ওর দিকে ক্যামেরাটা বাড়িয়ে দিল ওর দিকে।
অনুরোধের সুরে বলল,

“কয়েকটা ছবি তুলে দিন না! এত কষ্ট করে সেজেগুজে এলাম, আর এত সুন্দর জায়গা। কিছু ছবি না তুললে চলবে নাকি?”

আবিদ হাত বাড়িয়ে ক্যামেরা নিল, আর নিতেই থমকে গেল। বহুকাল পরে ক্যামেরা হাতে নিতেই ছবি তোলার জন্য হাত নিশপিশ করতে লাগল। কিন্তু এই ফটোগ্রাফির চক্করেই সব হারিয়ে নিঃস্ব একজন ও, তাই আর সাহস করে উঠতে পারে না। ক্যামেরা হাতে স্থানুবৎ দাঁড়িয়ে রইল, মুখে হাসির রেখা মুছে গিয়ে আঁধার ঘনিয়েছে।

অন্বেষা আবিদের এরূপ অভিব্যক্তিতে কিছুটা দ্বিধায় পড়ে গেল, তবে কী ও ভুল করল! অতসীর ডায়েরি পড়ে জেনেছে ফটোগ্রাফি আবিদের স্বপ্নের জায়গা। কতটা প্যাশনেট ছিল সে এটার প্রতি! তাই চেয়েছিল যদি আবার ওর প্যাশনের জায়গাটা ফিরে পায়, হয়তো আস্তে আস্তে অন্য সবও স্বাভাবিক হবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আবিদের পুরনো ক্ষতে আঘাত দিয়ে ফেলেছে জোরেশোরে!

তবুও যতটা সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য বলল, “কী হলো? তুলবেন না?”

“তুমি জেনেশুনেই এটা করেছ, তাই না?” আহত স্বরে বলল আবিদ।

“আপনি এখনো একটা বৃত্তেই নিজেকে বন্দী করে রেখেছেন। যেই বৃত্তের কেন্দ্র শুধুই দুঃখ, কষ্ট আর বিষাদ। হাসি, আনন্দ সব পরিধির ভেতরে, কেন্দ্র ওদেরকেও নিজের দলে টেনে নিয়ে যাচ্ছে অনবরত। একবার বলয় ভেঙে বাইরে আসুন না, দেখবেন আপনার ওই কষ্ট বৃত্তের বাইরেও আরও বিশাল বড় দুনিয়া আছে। যেখানে কোনোটাই চিরস্থায়ী হয় না। দুঃখ-সুখ, হাসি-আনন্দ সহাবস্থান করে, হাতে হাত ধরে পাশাপাশি চলে। একটা আরেকটাকে ছাপিয়ে যায় না! অতসীও চেয়েছে আপনি আপনার স্বপ্ন আঁকড়ে ধরুন। এভাবে সব মিথ্যে হয়ে যেতে দেবেন না, প্লিজ। দুঃখ বলয়টা এবার ভাঙুন আর সামনে পা বাড়ান। দেখবেন পৃথিবীটা এখনো অনেক সুন্দর! ভীষণ সুন্দর!”

অন্বেষার কথাগুলো আবিদকে কতটা প্রভাবিত করল অন্বেষা জানে না, তবে আবিদ ক্যামেরায় ওকে ফোকাস করে শাটার নামাতে লাগল। আরাধ্য প্রাপ্তি বুঝি এতটা তৃপ্তিদায়ক হয়! হৃদয় জুড়ে একটা শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়।

আর আবিদের হৃদয়ে যেন বহুকাল পরে এক অদ্ভুত সুখানুভূতি ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেল! যেই অনুভূতি হারিয়ে গিয়েছিল বিস্মৃতির অতলে!

ছবি তোলার সময় মুহূর্তেই ওর দৃষ্টি বদলে গেল, ওর সামনে তখন এতদিনের দেখা কোন আবেগপ্রবণ, একগুঁয়ে সাংবাদিক নেই, দাঁড়িয়ে আছে স্নিগ্ধ এক রমনী। যার চোখেমুখে যেন সকালের সূর্যের ঝিকিমিকি! দৃষ্টি সীমায় অতসী আর অন্বেষা মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে বারবার! চমকে উঠল আবিদ, ধ্বক করে উঠলো ভেতরটা! এরকম তো হবার কথা নয়, তবে কেন এমন গুলিয়ে যাচ্ছে সবটা, তোলপাড় হচ্ছে ভেতরটায়!

এটা কোনভাবেই হতে দেওয়া যায় না, নিজেকে সামলে নিল মুহূর্তেই, চোখমুখ খিঁচে কঠিন করে ফেলল। নতুন জন্মানো অনুভূতি গিলে ফেলল মুহূর্তেই! ছবি তোলায় মনোনিবেশ করল, ডুবে গেল ফটোগ্রাফিতে, যেটা ওর স্বপ্নের জগত! যেখানে চাইলেই বুঁদ হয়ে যেতে পারে নিমিষেই! কতদিন পরে ভুলে যাওয়া সব সুন্দর অনুভূতিগুলো ফিরে ফিরে আসছে নতুন করে নতুন রূপে!

স্বপ্নময় এক দিন কাটিয়ে ফিরে আসছিল দুজন, দুজনের মনেই সদ্য জন্মানো অনুভূতির দোলা। দুজনেই লুকিয়ে রাখছে তা প্রাণপণে! আবিদ গাড়ি চালাচ্ছিল, পাশে বসে আজকের দিনের ঘটনা রোমন্থন করছিল অন্বেষা, সুক্ষ্ম হাসির রেখা ফুটে আছে পুরো অবয়বে। ঘোর এখনো কাটেনি পুরোপুরি। মুঠোফোনের রিংটোন বাজতেই সম্বিৎ ফিরল ওর। ব্যাগ থেকে ফোন বের করে মায়ের নাম্বার দেখে বরাবরের মতোই তেতো হয়ে গেল মন, কল কেটে মুখ ভোঁতা করে রইল ও।

সকালের ঝরঝরে সূর্যের উঁকিঝুকি দেয়া অবয়বে সহসা কালো মেঘের ঘনঘটা দেখে বিচলিত হওয়া স্বাভাবিক, আবিদও বিচলিত বোধ করলো। অন্বেষাকে ইশারায় এর কারণ জিজ্ঞেস করতেই মাথা নাড়িয়ে কিছু না বোঝালো।

আবিদ অভিমান ঢেলে বলল, “আমি বন্ধুত্বপূর্ণ হলেও তুমি মনে হয় এখনো আমাকে বন্ধু ভাবতে পারনি।”

অন্বেষা ঘুরে তাকালো আবিদের দিকে, চোখ বন্ধ করে ওর বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ির গল্প বলল, বলল ওর একাকিত্বের গল্পও। আবিদকে স্পর্শ করল ভীষণভাবে। আজ পুরো অন্য এক অন্বেষা যেন রূপ বদলে, ভোল পাল্টে ধরা দিচ্ছে আবিদের চোখে। আর একটা ফিলোসোফি দাঁড় করায় নিজের মনে,

“প্রত্যেক মানুষই একা, কোনো না কোনোভাবে। শতভাগ পরিপূর্ণ মানুষ কখনো হয় না! কিছু অপ্রাপ্তি, কিছু হাহাকার আছে বলেই বুঝি প্রাপ্তি এত সুন্দর!”

দুদিন অতিবাহিত হলো সেদিনের সেই ঘোরেই, কিছু কিছু ঘোর কাটাতে ইচ্ছে হয় না, হোক না ঘোরেই বসবাস।
কিন্তু বিপত্তি বাঁধল ঠিক তিনদিন পরে। সকালে উঠেই দৈনিক পত্রিকায় চোখ বুলানো আবিদের বহু পুরনো অভ্যাস। তখনই ফ্রন্ট পেইজেই কিছুটা নিচের দিকে একটা হেডলাইনে চোখ আটকে গেল।

‘দেশের জনপ্রিয় লেখক আবিদ শাহরিয়ারের গোপন প্রণয়: শীঘ্রই ঘুচতে চলেছে বৈরাগ্য’

এমন চটকদার শিরোনামের নিচেই ওদের সেদিনের দুটো ছবি। একটায় আবিদ অন্বেষার ছবি তুলছিল, অন্যটায় দুজন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে, হাস্যোজ্জ্বল মুখে!
মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়া সয়লাব হয়ে গেছে সেই ছবিতে ছবিতে। ক্যাপশনে ক্যাপশনে সয়লাব হয়ে গেছে।

আবিদ দাঁতে দাঁত চেপে বসে রইল, যেই সুখানুভূতি ছুঁয়ে গিয়েছিল, তা মুহূর্তেই উবে গেল, সেখানে জন্ম নিল রাগ। রাগের পুরোটাই শেষমেশ গিয়ে পরল অন্বেষার উপরে।
………
বাকিটা পরের পর্বে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here