বিকেলের মৃত্যু পর্ব ১

0
1204

আমি আঁতকে উঠে প্রশ্নটা আবার করলাম- “১১ বছর ধরে বাবার বাড়ি যান না?”

লিয়া তার স্বভাবসুলভ মিষ্টি হাসিটা চেপে গিয়ে বলল- “হুম, ১১ বছর।”

আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছি। ঝুপ করেই আমার মনে অনেক প্রশ্ন উঠে এল। এই মানুষটার সাথে আমার খুব বেশি দিনের পরিচয় নয়। কিন্তু এই অল্প দিনেই সে আমার মনে ভালো লাগার মানুষ হিসেবে শক্ত জায়গা দখল করে নিয়েছে। অল্পদিনের পরিচয় আর ব্যক্তিগত প্রশ্ন বলে আমি আমার মনের প্রশ্নগুলো মনেই চেপে রাখলাম। শুধু জানতে চাইলাম- “আপনার বাবার বাড়ি কোথায়?”

-এই তো কাছেই… ২০ টাকা রিকশা ভাড়া লাগে।

-আমি আবার চমকালাম। কিন্তু ৩য় কোন প্রশ্ন করবার সাহস পেলাম না। শুধু বললাম- বাবার বাড়ির প্রতি এত অভিমান আপনার?

-সে একবার চোখ তুলে তাকিয়ে বলল, “হুম… অনেক অভিমান আমার।”

“অনেক অভিমান আমার” কথাটা বলবার সময় তার গলার কাঁপুনিটা আমার দৃষ্টি এড়াতে পারেনি। আমি আর কিছুই বললাম না তাকে। লিয়াকে কখনো নেগেটিভ, অহংকারী বা বদরাগী মানুষ বলে মনে হয়নি আমার, বরং বেশ শান্ত, কেয়ারিং, ভালো, আর গোছানো বলেই মনে হয়েছে। প্রতিটা মানুষের ভেতরেই আসলে নিজস্ব কিছু গল্প থাকে, জীবন সংগ্রামের গল্প। লিয়ারও আছে হয়ত। লিয়ার গল্পটা হয়ত অনেক বেশি অন্যরকম, অনেক বেশি আবেগের। নয়ত একটা মেয়ে এত কাছে থেকেও এত দীর্ঘ সময় বাবার বাড়ি না গিয়ে কী করে থাকতে পারে?

এর অনেক দিন পর আমার লিখালিখির প্রতি আগ্রহ আর ভালোলাগা থেকে কথায় কথায় লিয়া বলল- আপনি আমার গল্পটা শুনবেন? লিখতে পারবেন?

বললাম- লিখতে পারব কীনা জানি না তবে জীবনের গল্প শুনতে কার না ইচ্ছে করে? তাই সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত বললাম “অবশ্যই শুনতে চাই”। তারপর কাজের ফাঁকে নিড়িবিলি বসে লিয়া তার গল্পটা বলতে শুরু করল… যে গল্পের জন্ম হয়েছে তার দাদার বিয়ে থেকে। তার বলা গল্পটাই আমি আমার কলমে তুলে ধরলাম।

***
৭ পুত্র আর এক কন্যার জনক আকবর সাহেব হুট করে এক বিকেলে নতুন বউ নিয়ে বাড়ি উপস্থিত হলেন। মুহূর্তেই বাড়ির পরিস্থিতি পাল্টে গেল। যাকে তিনি বউ করে এনেছেন সেই মহিলা তাদেরই বাড়িতে কাজ করতেন সময়ে অসময়ে যখনই প্রয়োজন পড়ত! নববধূর মুখ দেখে যেখানে চারপাশ ঝলমল করে ওঠাটা নিয়ম সেখানে আকবর সাহেবের ২য় বিয়ের কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই বিকেলের মায়াময় আলোটুকু ঝুপ করেই অন্ধকারে ছেয়ে গেল পুরো বাড়িময়।

এখন প্রশ্ন হল- এই বয়সে এসে সদ্য পুত্র সন্তান জন্মদেয়া ৮সন্তানের জননী তার প্রিয়তমা স্ত্রী, সন্তান আর সমাজকে উপেক্ষা করে আকবর সাহেব কেন এই সঙ্গতিহীন কাজটি করলেন?

সব ঘটনার পেছনে আরও একটি ঘটনা থাকে। আকবর সাহেবের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। আকবর সাহেবের স্ত্রী জোবেদা শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। মানসিকভাবেও কিছুটা এলোমেলো ছিলেন তিনি। মাঝে মাঝেই তিনি তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতেন। তাই এতগুলো সন্তান নিয়ে বাড়ির সব কাজ তিনি সামলে উঠতে পারতেন না। তার উপর যখন বাড়িতে নতুন ফসল উঠত তখন কাজের চাপ বেড়ে যেত অনেক বেশি। তাই সাহায্যকারী হিসেবে মমতাকে ডাকা হত কাজের জন্য। আর্থিক দৈন্যতায় থাকা মমতা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে বাড়ির কাজ করে দিতেন সাথে বাচ্চাদেরও দেখাশোনা করতেন। যথেষ্ট রূপবতী না হলেও মমতার প্রতি আকবর সাহেবের আলাদাভাবে নজর পড়ে যায়। তারই ফল স্বরুপ তিনি তাকে বিয়ে করে বাড়ি তোলেন।

এভাবে হুট করে বিয়ে করার কারণে প্রায় সকলেই আকবর সাহেবকে চরিত্রহীন বলে আখ্যায়িত করলেন। আকবর সাহেবের জায়গা থেকে ভাববার ফুরসত কোথায় কারো? লোকের তো শুধু গালগল্পের বিষয় চাই।

স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে ঘরে নতুন বউ তোলা, নতুন করে আয়েসি আনন্দময় জীবন যাপন করা জাতীয় উদ্দেশ্য আকবর সাহেবের ছিল না। তার উদ্দেশ্য ছিল স্ত্রী আর এতগুলো সন্তানকে আগলে রাখার জন্য একজন পরিচিত ও স্থায়ী মানুষের ব্যবস্থা করা। কারণ তার স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার খুব দ্রুতই অবনতি হচ্ছিল। এ অবস্থায় তার সন্তানদের সঠিক দেখাশোনা কে করবে? যেখানে একজন নবজাতক পুত্রও আছে। আত্মীয় বা প্রতিবেশী যারা আছে তারা হয়ত কিছুদিন আহা উহু করে শান্তনা দিতে পারবে কিন্তু মায়ের ছায়া ছাড়া তার এই সন্তানগুলোর যত্ন কী করে হবে? মমতা যেহেতু তাদের বাড়িতে কাজ করত সেহেতু এই পরিবারের সবার সাথেই তার মোটামুটি একটা ভালো সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। ছেলেমেয়ে গুলোর যত্ন সে ভালো করেই নিতে পারত। তাই আকবর সাহেব অনেক ভেবে চিন্তে স্ত্রী, সন্তানের জন্য সব কিছুকে উপেক্ষা করে এই বয়সে এসে এমন একটা সাহসী সিদ্ধান্তে আসেন।

আর দশটা স্ত্রীর মত আকবর সাহেবের স্ত্রীও স্বামীর এভাবে ২য় বিয়ে করাটা মেনে নিতে পারলেন না। তিনি কান্নায় ভেঙে পড়লেন। এতগুলো সন্তান রেখে যে পিতা এমন কুৎসিত কাজ করতে পারে তাকে কী বলা উচিত সেটাও তিনি বুঝে উঠতে পারলেন না। তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন এখানে আর এক মুহূর্ত নয়। তিনি আকবর সাহেবের সাথে সরাসরি কথা বললেন। তাকে বললেন-

-আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি আমার সন্তানদের নিয়ে এখানে আর থাকব না। আমরা আলাদা বাড়িতে উঠব।

-আলাদা বাড়িতে মানে?

জোবেদা ঝাঁজালো গলায় বলল- মানে না বোঝার কিছু তো নেই! তুমি তোমার নতুন বিবি নিয়ে যাতে আরাম, আয়েস আর আনন্দে থাকতে পারো সেই ব্যবস্থা করে দিতে চাচ্ছি। আমি বা আমার ছেলেমেয়েরা কেউ তোমাকে কখনো বিরক্ত করবে না।

আকবর সাহেব আহত গলায় বললেন- আমি তো এই বিয়েটা তোমাদের সবার কথা ভেবেই করলাম! আমার অপরাধটা কোথায় যে, এত বড় শাস্তি দিতে চাও?

-আমাদের জন্য করেছ? এইসব ছেলে ভুলানো কথা আমাকে বলে কোন লাভ নাই। জোবেদা তার অসুস্থ শরীরেও যতটা পারল মমতাকে জড়িয়ে স্বামীকে অতি তিক্ত কিছু কথা শোনালেন।

আকবর সাহেবের কাছে কথাগুলো খুবই নোংরা মনে হল। তবে তিনি এটাও বুঝলেন পরিস্থিতি অনুযায়ী জোবেদা তার জায়গা থেকে যা কিছু বলছে তা তাকে মেনে নিতে হবে। তবে তার এটা ভেবেও কষ্ট হল, এত বছরের সংসার জীবনে জোবেদা তাকে বুঝতে পারল না! আকবর সাহেব কিছু প্রতি উত্তর করতে চাইলে তার স্ত্রী তাকে বললেন-

-কোন কিছু বলে আমার জন্য তোমাকে আর কোন কথা খরচ করতে হবে না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। আমার যেটুকু শ্বাস এখনো বেঁচে থাকার জন্য বাকি আছে এবাড়িতে থেকে সেটা আমি দ্রুত শেষ করে ফেলতে চাই না। এবাড়ির বাতাস আমার আর আমার সন্তানের জন্য বিষাক্ত হয়ে গেছে। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে অন্য বাড়িতে উঠে যাচ্ছি।

আকবর সাহেব আর কিছু বলার সুযোগ পেলেন না।

জোবেদা তার আত্মসম্মান আর সন্তানদের নিয়ে আকবর সাহেবের বাড়ি ছেড়ে আলাদা বাড়িতে উঠলেন। স্বামীর সাথে সব রকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলেন।

স্বামীর এমন কর্মকান্ড আর সন্তানদের ভবিষ্যত সব মিলিয়ে জোবেদার মানসিক ও শারীরিক অবস্থার খুব দ্রুতই অবনতি হয়ে গেল। তার কনিষ্ঠ পুত্রের ৩ মাস বয়সেই তিনি এই বিভীষিকাময় পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে পাড়ি জমান! মা মারা যাবার পর আকবর সাহেবের বড় পুত্র আবিদ তার সকল ভাইবোনকে নিয়ে যশোর চলে যান তার মামাবাড়ি। তার মামাই তাদের সবার দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়ে নেন। আবিদের একমাত্র বোনটা তখন অনেক ছোট তার উপর ৩ মাস বয়েসী ছোট ভাই। তারপরও এদের দেখাশোনায় তাদের মামা মামী কোন রকম ত্রুটি রাখার জায়গা রাখতেন না। ছোট ভাইটা ৬মাস বয়সে মারা যায়। বোনটাকে মামী কোলেপিঠে করে খুব আদরে যত্নে বড় করতে লাগলেন।

সময়টা তখন ১৯৭১। দেশের অবস্থা ভালো না। স্বাধীনতার ডাকে ঘরে ঘরে বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা। আবিদের নিজের বয়সও তখন খুব বেশি নয়। সবে ১০ম শ্রেণির ছাত্র সে। সেই বয়সেই সে যুদ্ধের ডাকে সাড়া দেন। যশোরের বিভিন্ন যায়গায় তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তার এই বীরত্বের কারণে মাশুল গুনতে হয়েছে তার পরিবারকে। আবিদকে না পেয়ে রাজাকারের সাথে হাত মিলিয়ে দুই দুইবার তাদের বাড়িতে সর্বগ্রাসী আগুন জ্বালিয়ে দেন হানাদার বাহিনী! কিন্তু আল্লাহ সহায় ছিল বলে কারো কোন ক্ষতি হয়নি। একাত্তরের সেই ভয়াল সময়টাও একদিন তারা উতরে যায়। তখন আবিদের জীবনে শুরু হয় নতুন করে যুদ্ধ। ছোট ভাই-বোনগুলোকে মানুষ করার যুদ্ধ। যে সন্তান দেশের জন্য জীবন বাজি রাখতে জানে সে তার ছোট ভাই-বোনগুলোর দায়িত্ব এড়িয়ে যাবার মত ছোট ছিল না। তাই সে পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটখাটো একটা কাজ জুটিয়ে নিয়ে সারাদিন টিউশনি করতে শুরু করল।

জীবনের বাঁকে বাঁকে মানুষকে দীর্ঘ বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়। যা কিছুই ঘটে যাক জীবন কখনো থেমে থাকে না। সে বয়ে চলে আপন গতিতে… কখনো নিজের কিছু স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে, কখনো বুকের ভেতর চাপা দিয়ে আবার কখনো অন্যের স্বপ্নকে ধারণ করে…। আবিদের কাছে কখনো কখনো একাত্তরের চেয়ে নিজের জীবনটাকেই বেশি ভয়ংকর মনেহয়!

আবিদ তার পড়াশোনা শেষ করা মাত্রই সৌভাগ্যক্রমে যশোরেই জনতা ব্যাংকে চাকরি পেয়ে যায়। তারপর তার দিন অনেকটাই ঘুরে যায়। যশোরে কিছুদিন থাকার পর তার চট্টগ্রামে ট্রান্সফার হয়ে যায়। সেখানে শুরু হয় তার নতুন জীবন, নতুন সংগ্রাম। চাকরির ব্যস্ততা আর ভাইবোন নিয়ে তার জীবন চলে যাচ্ছিল বহমান নদীর মতই। কিন্তু কে জানত তার বিবর্ণ হয়ে যাওয়া শান্ত জীবনে সূচনা হতে যাচ্ছে জটিল এক অধ্যায়ের, উঠে আসতে চাচ্ছে প্রলয়ঙ্কারী এক ঝড়!

ব্যাংকে প্রতিদিন কতশত কাজ নিয়ে কতশত লোকের আনাগোনা হয়। তারই সূত্রে মিনু নামের ১০ম শ্রেণিতে পড়া এক কিশোরী বাবার পেনশনের টাকা সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে ব্যাংকে আসত। মেয়েটার বাবা মারা গিয়েছে। মারা গিয়েছে বলে টাকাটা তুলতে তাকে সরকারি কিছু অফিসিয়াল জটিল প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছিল। সে কারণে তাকে মাঝে মাঝেই ব্যাংকে আসতে হত। সেই সূত্রে আবিদের সাথে মিনুর আলাপ হয়। মেয়েটার বয়স কম, বাবা নেই তাই আবিদ সহানুভূতি ও দায়িত্বশীলতা থেকে মেয়েটাকে সাহায্য করতে লাগল। মিনুকে যেহেতু মাঝে মাঝেই আসতে হচ্ছিল তাই আবিদের সাথে তার সম্পর্কটা এক পর্যায়ে বন্ধুসুলভ হয়ে যায়। আর কথায় আছে “একটা ছেলে কখনো একটা মেয়ের বন্ধু হতে পারে না। তারা একটা সময় গিয়ে প্রেমে পড়বেই।” সেকারণেই হয়ত আবিদ আর মিনুর সম্পর্কটা চেনা-জানা আর বন্ধুত্বর সীমা ছাড়িয়ে আরও অনেকটাই ডালপালা মেলে এগিয়ে গেল।

আবিদের একাকী আর সংগ্রামী জীবনে খুব সহজেই মিনু একটা রঙিন ঘুড়ি হয়ে উড়তে থাকল। তার ধুসর হয়ে যাওয়া জীবনে মিনু মুঠো ভরে রঙ ছড়িয়ে দিয়েছিল বলেই হয়ত আবিদ মিনু সম্পর্কে জেনেও না জানার ভান করেছিল। আর আবিদের মত একজন দায়িত্বশীল, ভালো মানুষ পেয়ে মিনুও ভুলে গিয়েছিল নিজের অস্তিত্বকে। জগত সংসারকে উপেক্ষা করার মত দুঃসাহস করে বসে সে অনায়াসে। তবে বুকের ভেতর একটা ঝড় তার ঠিকই ভাঙ্গনের সংকেত দিয়ে যেত অবিরাম! তবু মিনু কেবল আবিদকে ঘিরে সুখ সময়টা উপভোগ করতে লাগল। অফিস করে মিনুকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, পার্কে বসে বাদাম খাওয়া, রেশমি চুড়ি কিনে দেওয়া সবই নিয়ম করে চলতে লাগল। এভাবে প্রায় ৩/৪ মাস চলে যাবার পর তারা সিদ্ধান্ত নিল সম্পর্কটাকে পরিণতি দিতে। তারই সূত্র ধরে আবিদ মিনুদের বাড়ি গিয়ে কথা বলতে চাইল তার মায়ের সাথে। আবিদের কথায় মিনুর বুকের ভেতর চেপে রাখা ঝড়টা তখন ফুসে ওঠার সর্বোচ্চ সংকেত দিতে লাগল… আবিদ কী পারবে এ মহাপ্রলয় সামাল দিতে?

আবিদের মা নেই, আর বাবার সাথে তার কোন যোগাযোগ বা সম্পর্কের ছিটেফোঁটা সে আর রক্ষা করেনি। এতগুলো ভাইবোনের মাঝে সে নিজেই সবার বড়। নিজের অভিভাবক সে নিজেই। তাই তার বিয়ের ব্যাপারে কথা এগিয়ে নেবার জন্য মিনুদের বাড়িতে তাকেই যেতে হল।

একটি সুন্দর ছুটির দিন দেখে বিকেলবেলা আবিদ পরিপাটি হয়ে মিনুদের বাড়িতে উপস্থিত হল বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে। যদিও সে মনে মনে নিজেকে প্রস্তুত করে নিয়ে এসেছে তারপরও এখানে আসার পর তার ভীষণ অস্বস্তি হতে লাগল এটা ভেবে যে, তার উপস্থিতির কারণ এবাড়িতে মহাপ্রলয় ঘটাতে যাচ্ছে, আল্লাহ তার সহায় হবেন তো?

#বিকেলের_মৃত্যু (পর্ব – ১)
লেখক: শামীমা জামান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here