বামনের ঘরে চাঁদ পর্ব ২

0
811

বামনের ঘরে চাঁদ

সাজিয়ানা মুনির

২.

( কার্টেসি ছাড়া কপি নিষেধ )

বসার ঘরে এক কোণায় জড়সড় হয়ে বসে আছে চাঁদ। ফ্যানের বাতাসে ভেজা শরীরটা শিরশির কাঁপছে। আপাতত সেদিকে ধ্যান জ্ঞান নেই তার। চিন্তায় তার মাথা ভার। হাত কচলাচ্ছে বারবার।
মালা নিখুঁত দৃষ্টিতে পরখ করছে চাঁদকে। মেয়েটির বয়স বড়জোর আঠারো- উনিশ হবে। এই বয়সটা আবেগের। ছেলেমেয়েদের কাছে প্রেম -ভালোবাসা কোন রূপকথা ফ্যান্টাসির মত। বছর ঘুরতে যখন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়, তখন মন বদলায়। সব ফিকে লাগে। অকালেই প্রেমের পদ্ম ঝরে যায়। কিন্তু চাঁদের চোখমুখে উড়তি বয়সের মেয়েদের মত তেমন কোন অভিপ্রায় দেখছেনা তিনি। মেয়েটার অনুভূতি চোখমুখে স্পষ্ট ভীষণ। মনের গভীরে থাকা অনুভূতি গুলো যেন আয়না হয়ে মুখশ্রীতে ফুটে। ভণিতা বিহীন নির্ভীক সোজাসাপ্টা তার জবাব। তাদের মধ্যবিত্ত টানাপোড়েনের সংসার দেখেও কোন খারাপ লাগা, নাক ছিটকানো নেই। এমন ভালোবাসা এ যুগে আদৌ হয়? কেউ ভালোবেসে রাজমহলের প্রাচুর্য ,বিলাসিতা ছেড়ে এমন ভাঙা ঘরে সংসার সাজাতে চায়! এই মেয়েকে কি উপাধি দিবে? মূর্খ! নাকি প্রেম সন্ন্যাসিনী!
মালা গলা ঝেরে নিলো। কন্ঠে গম্ভীরতা, কঠোরতা এঁটে বলল,
‘ তুমি যা চাইছ, আদৌ তা ভেবেচিন্তে বলছ তো? বুঝতে পারছ পরবর্তী জীবন কতটা কঠিন হবে। ধরো, আমি আমার ছেলেকে মানিয়ে নিলাম। কিন্তু বছর ঘুরতে যদি তোমার মন পাল্টায়। তখন?’
‘ উনাকে পেলে পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবতী মনে করব নিজেকে’
‘ ওর মধ্যে এমন কি পেলে? মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ একজন। অনার্স শেষ করে পড়াশোনাটাও তেমন আগায়নি আর। বাবার ফেলা যাওয়া ঋণে জর্জরীত ব্যবসা সামলাচ্ছে। কি দেখে পছন্দ করলে? শুধুই কি সুদর্শন বলে?’
বিমূঢ় সুরে উত্তর দিলো চাঁদ,
‘ না, তার চরিত্র, ব্যাক্তিত্ব আর দায়িত্ববোধ দেখে।’
চাঁদের জবাবে মুখবন্ধ হয়ে গেল মালার। কথার পিঠে কোন কথা খুঁজে পেল না। মেয়েটি খুব বেশি কথা বলেনা। কিন্তু যা বলে প্রত্যেকটা কথায় দৃঢ় আত্মবিশ্বাস জুড়ে।
এমন সময় বাহির থেকে গাড়ির আওয়াজ এলো। চাঁদ কেঁপে উঠলো। খপ করে মালা বেগমের হাত জড়িয়ে ধরলো। অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে কান্নাভেজা সুরে বলল,
‘ প্লিজ, আন্টি ওদের ফিরিয়ে দিন। আমি যাবো না। আজ গেলে আর কখনো আষাঢ় ভাইকে পাবোনা। আব্বা জোর করে আমার বিয়ে দিয়ে দিবে।’
বলতে বলতে কেঁদে ফেলল চাঁদ। মেয়েটির মলিন কান্নাভেজা মুখ দেখে প্রচন্ড মায়া হলো মালা বেগমের। মমতাবোধ জাগ্রত হলো। আলতো হাত মেলে চাঁদকে বুকে জড়িয়ে নিলো। আস্বস্ত স্বরে বলল,
‘ কিছু হবেনা। আমি আছি।’
চাঁদ যেন ভরসা পেল। মালা বেগমের সাথে চেপে বসে রইল। হুড়মুড় করে চাঁদের দুই ভাই রুবেল শাওন বাড়িতে ঢুকল। সাথে আর আট-দশ জন মানুষ। আঁচ পেয়ে নিজের ঘর থেকে আষাঢ় বেরিয়ে এলো। বন্ধুর চোখের দিক তাকাতে পারলো না। যদিও সে কিছু করেনি, তবুও নিজেকে ভীষণ অপরাধী লাগছে । তাদের এত বছরের বন্ধুত্ব। আষাঢ়ের হাতে বিশ্বাস করে বোনের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল।
আষাঢ়কে দেখে রুবেলের প্রচন্ড রাগ হলো। বন্ধু হয়ে এমন প্র/তারণা করল! বাড়ি থেকে চাঁদকে ভাগিয়ে আনলো। তাদের বাড়ির ইজ্জতে হাত দিলো। ইচ্ছে করছে এখনি খু/ন করতে। কিন্তু কোনরকম রাগ চেপে বসলো। বাড়ির মেয়ে চলে এসেছে মানসম্মানের প্রশ্ন। আপাতত লোক জানাজানির ঝা/মেলা চাইছেনা কোন। ভীষণ শান্ত স্বাভাবিক কন্ঠে বোনের উদ্দেশ্যে বলল,
‘ আমার জানামতে ছোট থেকে তোর কোন আবদার আমরা অপূর্ণ রাখিনি। বলার আগেই সব হাজির করেছি। মা নেই সেই অভাব কখনো বুঝতে দেইনি। তাহলে আমাদের সাথে এমন বিশ্বাসঘা/তকতা কেন?’
কন্ঠে ক্ষো/ভ ঢেলে চাঁদ উত্তর দিলো,
‘ অথচ আমার সবচেয়ে পছন্দের জিনিস আমার থেকে কেড়ে নিতে চাইছ ভাই। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তটা তোমাদের লাভের উদ্দেশ্যে চাপিয়ে দিচ্ছ। পার্টনারশিপ মজবুত করতে, ব্যবসায়িক সম্পর্কটা পারিবারিক করতে চাইছ। এটা অ/ন্যায়!’
‘ এতে অ/ন্যায়ের কি আছে? ওদের ধনী প্রভাবশালী পরিবার। অর্থসম্পদের কমতি নেই। রানির হালে থাকবি।’
‘ আমি রানি হতে চাইনি। সাদামাটা স্বাভাবিক জীবন চেয়েছি। যদি আজ আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে আগামীকাল বিয়ে না, আমার জানাজা হবে। আমি আষাঢ় ভাইকে ভালোবাসি।’
ক্রো/ধে রিরি করে উঠল রুবেল। শাওন বোনের দিক হাত তুলতে এগিয়ে এলো। পাশের মানুষজন এসে আটকালো। শাওন রাগে চেঁচিয়ে বলল,
‘ ফকিন্নি স্বভাব, চোখ সবসময় নিচের দিকে। আদর আহ্লাদ পেয়ে পেয়ে মাথায় উঠেছিস। এসব বেহা/য়াপনা! দিনদিন নি/লজ্জ হচ্ছিস।’
রুবেল ধমকে উঠল। শাওন চুপ করল। ক্ষা/ন্ত হলোনা। রাগে ফোঁসফোঁস করছে। এতক্ষণে মালা বেগম নীরবতা ভেঙ্গে শক্ত কন্ঠে বলল,
‘ ব্যাপারটা জানাজানির বাকি নেই আর। এখন এখান থেকে নিয়ে গেলে ঝামেলা আরও বাড়বে। বিষয়টা এখানে মিটমাট করে নিলেই ভালো। আমার ছেলের জন্য তোমাদের বোনের হাত চাই!’
এতক্ষণ যাবৎ আষাঢ় সবকিছু চুপচাপ শুনছিল। আচমকা মায়ের এমন কথায় বি/স্ফোরিত দৃষ্টি তুলে তাকালো। কিছু বলতে চাইল। মালা বেগম কথা কা/টলো গম্ভীর কন্ঠে বলল,
‘ আমি কথা বলছি আষাঢ়! আশাকরি তুমি আমার কথার উপর কথা বলবে না।’
ভদ্রতার খাতিরে চুপ রইল আষাঢ়। মাকে ভীষণ মান্য করে। মায়ের প্রত্যেক কথা তার কাছে আদেশ সমান। কিন্তু এই ব্যাপারটা মানতে পারছেনা। এই মেয়েটার অসঙ্গত, নিরর্থক জে/দকে কেন সমর্থন করছে। ধনীর দুলারি এই মধ্যবিত্ত সংসারে মানিয়ে নিতে পারবেনা। এই সহজ হিসাবটা মা কেন বুঝতে পারছেনা!
মালা বেগম খানিক চুপ থেকে আবার বলল,
‘ চাঁদ এডাল্ট, নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে জানে।’
রুবেল উঠে দাঁড়ালো ঘর থেকে বেরিয়ে বাবার নাম্বারে ফোন দিলো। বাহির থেকে কথা শেষ করে, ঘরে এসে পূর্বের জায়গায় বসলো। রাগ চেপে খানিকক্ষণ চাঁদের দিক কঠোর দৃষ্টিতে চেয়ে, গম্ভীর কন্ঠে আওড়াল,
‘ ওরা খবর পেয়ে, বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে। বাবা বলেছে, তোর বাড়ি ফেরার প্রয়োজন নেই আর। যে মেয়ে বাপ ভাইয়ের মান ইজ্জত রাখতে জানেনা, তার জন্য ওই বাড়িতে কোন জায়গা নেই। আজ থেকে তুই আমাদের কাছে মৃ/ত। আমাদের চাঁদ নামের কোন বোন ছিল, তা ভুলে যাবো। বাবা তোকে ত্যাজ্য করেছে।’
চাঁদের চোখ ঝাপসা হয়ে এলো। ভাইয়ের কথায় অবাক হলোনা। সে কোনদিনই বাবার আদরের কিংবা প্রিয় ছিলনা। মায়ের মৃ/ত্যু জন্য সবসময় তাকেই দায়ী মানত। দোষারোপ করত।
যেমন ঝড়ের গতিতে তারা এসেছিল তেমন ভাবেই চলে গেল। যাওয়ার আগে আষাঢ়ের উদ্দেশ্যে রুবেল বলল,
‘ এতবছর মানুষ চিনতে ভুল করেছি আমি। ছোটলোকদের স্বভাব সবসময় লোক ঠ/কানো। যাক এবার থেকে কথাটা মাথায় রাখবো।’
আষাঢ় কোনরকম মুষ্টিবদ্ধ করে ক্রো/ধ দমালো। রুবেলরা চলে যেতেই, আষাঢ় তার মায়ের সাথে আলাদা ঘরে যেয়ে কথা বলল। সেখানে দুজনের তুমুল কথা কা/টাকাটি চলল। মালা বেগম জেদ ধরলেন, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন,
‘ চাঁদ অসহায়। কোন কিছুর পরোয়া না করে। বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে। আমার কাছে আশ্রয় চেয়েছে মেয়েটি। তাকে ফিরিয়ে দিতে পারবোনা আমি। চাঁদ-ই তোমার বউ হবে। আর বিয়েটা আজ এখনি হবে।’
মাকে বোঝানোর চেষ্টা করল আষাঢ়, কিন্তু কোন কাজ হলোনা। শেষমেশ মায়ের কথা মানতে বাধ্য হলো।
মালা বেগম আরশি আর তার বরকে ফোনে সব বলল। তারা ততক্ষণাত রওনা হলো। বাদলা দিন। চারিদিকে গভীর রাত নামছে, দোকানপাট বন্ধ প্রায়। বিয়েতে নতুন বউকে কিছু দিতে হবে। আরকিছু নাহোক বিয়ের শাড়িটা অন্তত। তাই আসার পথে বাজারের দোকান থেকে চাঁদের জন্য সোনালী পাড়ের লাল শাড়ি আর কিছু জরুরী জিনিসপত্র কিনে আনলো। সেই রাতেই কাজী ঢাকা হলো। খুব সাদামাটা ভাবে বিয়েটা হয়ে গেল। আষাঢ় পুরো সময়টা এক প্রকার দম বন্ধ করে বসে রইল।

রাতের আড়াইটা বাজছে। বাহিরে এখনো টুপটাপ বৃষ্টি পড়ছে। চারিদিক অন্ধকারে ছেয়ে। বিদ্যুৎ নেই। ঝড়বৃষ্টির কারণে মোরের মাথায় বিদুৎ এর তার ছিঁড়েছে। আজ রাতে ফিরবেনা। ঘরের সামনে বারান্দার মত খোলা জায়গাটায় চেয়ার পেতে বসে আছে আষাঢ়। জীবনের এতবড় একটা ঘটনা হুট করে ঘটে গেল। বিষয়টা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। মনকে বুঝাতে সময় লাগছে।
আষাঢ়ের তেমন কোন বন্ধুমহল নেই। পড়াশোনা, চলাফেরার সুবাদে ওই হাতে গোনা কয়েকজন। রুবেলের সাথে অনেক বছরের বন্ধুত্ব। আজ চাঁদের জে/দের কারণে সেই বন্ধুত্ব শেষ হলো। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক ছিল যে, তখন ব্যাখ্যা করার মত সময়, সুযোগ ছিলনা। চাঁদকে বোঝাতে চেষ্টা করেছে, সে বুঝেনি। বিয়ে করেই ক্ষা/ন্ত হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে সবকিছু এলোমেলো। পুরাতন সম্পর্ক ভেঙ্গে। নতুন সম্পর্কে জুড়ল। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হলো। কাঁধে হাজারো দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব আদৌ ঠিকঠাক পালন করতে পারবে তো আষাঢ়। দ্বিধাবোধ কা/টাতে পারছেনা।
সে চাইলেই আজ চাঁদকে টে/নে হিঁ/চড়ে বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারতো। কিন্তু পারেনি। বুকের কোথাও মেয়েটির জন্য অদ্ভুত এক টান অনুভব করেছিল। যা বারবার তাকে বাঁধা দিচ্ছিল।

এলোমেলো ভাবনায় অনেকক্ষণ কা/টলো। একটা সময় পর ক্লান্ত হয়ে ঘরে গেল। আঁধারে ঢাকা ঘরটায় মোমবাতির টিমটিম আলো জ্বলছে। সাজসজ্জা বিহীন বিয়ের মতই সাদামাটা বাসর ঘর। অনুজ্জ্বলতায় চারিপাশ ছেয়ে। খাটের মাথায় হেলান দিয়ে বসে আছে চাঁদ। একবার চেয়ে, রাগে চোখ ফিরিয়ে নিলো আষাঢ়। গামছা হাতে হাতমুখ ধুতে বাথরুমে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখলো, চাঁদ আগের ভঙ্গিতে একই জায়গায় বসে। আষাঢ় থামলো। কপাল কুঁচকে বিচক্ষণ দৃষ্টিতে পরখ করল। চাঁদের হেলদোল নেই কোন। গোঙানির মৃদু আওয়াজ শোনা গেল। আষাঢ়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এই এক- দেড় বছর পড়িয়ে যতটুকু বুঝেছে। মেয়েটি ভীষণ নাজুক। অল্পতেই ঠান্ডা জ্বর বাঁধিয়ে ফেলে। আজ বৃষ্টিতে ভিজেছে। জ্বর হলোনা তো আবার? চিন্তিত হয়ে পড়ল। তড়িঘড়ি পায়ে বিছানায় উঠলো। চাঁদের কপালে হাত ছোঁয়াতে চমকে গেল। মেয়েটার শরীর প্রচন্ড গরম। জ্বরে পু/ড়ছে। অচেতন চাঁদকে বালিশে শুয়িয়ে, জল পট্টি দেওয়ার ব্যবস্থা করল ঝটপট।

চাঁদের মাথার কাছে বসে কপালে জলপট্টি দিচ্ছে আষাঢ়।মোমবাতির হলদেটে আলোটা চাঁদের মুখে পড়ছে। উজ্জ্বল, সুশ্রী মুখখানা ভেসে। ডাগরডাগর হরিণটানা চোখ। গাল জুড়ে র/ক্তিম আভা। শুষ্ক ঠোঁট। সোনালী পাড়ের লাল শাড়িতে ভীষণ মোহিত লাগছে। মাটির গড়া কোন রূপের দেবী যেন সে।
আষাঢ় যদি বলে, ‘ চাঁদকে তার পছন্দ না।’ তাহলে তা পৃথিবীর নিকৃষ্ট মিথ্যা গুলোর একটা হবে। এমন আগুন সুন্দরী, কোমল চরিত্রের মেয়েকে কে না পছন্দ করবে? পৃথিবীর কোন পুরুষ-ই এমন রূপবতী নারীর, রূপেরমোহে গড়াতে নিজেকে আটকাতে পারবেনা। আষাঢ়ও পারেনি। কিন্তু সামর্থ্যের বাহিরে যেয়ে, চাঁদের দিকে হাত বাড়ানোর সাহস হয়নি। অমন অমূল্য রতন, এমন অপ্রত্যাশিত ভাবে তার হয়ে যাবে! সে কল্পনাতেও ভাবেনি কোনদিন।
নিগূঢ় দৃষ্টিতে চাঁদের মুখপানে চেয়ে আছে আষাঢ়। নিমিষ, নিমগ্ন কন্ঠে শুধালো,
‘ এমন কোমল শরীর নিয়ে, এই কা/টা বিছানো পথে কি করে হাঁটবে চাঁদ? তুমি আমার হয়েও, সাধ্যের বাহিরে!’

চলবে……

( ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। অনেক দিন পর গল্প দিচ্ছি পেজের রিচ কম। গল্প পৌঁছালে রেসপন্স করবেন)

টাইপোগ্রাফি করেছে Afroja Akter jhuma বান্ধবী❤️🌺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here