বাবার ভালোবাসা পর্ব-১০

0
1222

#বাবার_ভালোবাসা

পর্বঃ১০।

লেখাঃ #রাইসার_আব্বু।

– মৌ বান্ধবীর বাসায় গিয়ে শুনতে পারে, বিয়ে হবে না। তাই রাতেই ব্যাক করে। বাসার সামনে এসে দেখে ‘রাত এগারোটা ছুঁই ছুঁই! মৌ মনে মনে ভাবল সাইফকে চমক দেবে। তাই দরজায় নর্ক না করে তার কাছে থাকা ডপ্লিকেট চাবি দিয়ে বাসায় ঢুকতেই দেখে তাদের রুমে বাতি জ্বলছে। মৌ এক দৌঁড়ে উপরে চলে যায়। এদিকে রুমের ভেতরে মেয়েলি কন্ঠের আওয়াজ শুনে মৌ চমকে যায়। জানালার পর্দা সরিয়ে দেখে সাইফ সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় তারই অফিসের কলিগ ‘ নাসরিনের সাথে মিথস্ক্রিয়ার ব্যস্ত! দু-জন দুজনকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে।
– মৌ কি করবে ভাবতে পারছে না। যে সাইফকে, এতটা বিশ্বাস করতো সে সাইফ আজ এরকম নোংরা খেলায় লিপ্ত! বুকের ভেতরটা বারবার দুমড়ে-মুচড়ে চাচ্ছে! কলিজা ফেটে যাচ্ছে। সাইফ কেন এমন করল? সাইফ, তো এমন ছিল না।
– আর সহ্য করতে না পেয়ে। দরজা ধাক্কা দিতেই সাইফ চমকে গেল! নগ্ন অবস্থায় দু’জন দু’জনের ওপরে শুইয়ে আছে।
– সাইফ তাড়াহুড়ো করে শরীরে কাপড় জড়িয়ে নিল! নাসরিন চাদর প্যাঁচিয়ে বিছানায় এক কোণে গুটিসুটি মেরে বসে রইল!
– মৌ এর চোখ দিয়ে অশ্রুর ফোরায়া নামতে শুরু করল।

– মৌ সরি। আমার ভুল হয়ে গেছে।
– ঠাস তোর লজ্জা করে না? সরি কাকে বলিস?তুই এতবড় চিট! সরি বললাম তো।
– তোর কোন ক্ষমা নেই!
-এদিকে নাসরিন তার কাপড় পরে রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছে।
– এই ছোটলোকের বাচ্চা কই যাস? তোর লজ্জা করে না আমার স্বামীর সাথে কুকর্ম করতে?
-সরি আপু আমার ভুল হয়ে গেছে। ক্ষমা করে দিয়ো আমায়। কোনদিন করবো না।
– তুই ক্ষমা চাচ্ছিস আমার কাছে? কাছে আয়।
– নাসরিন কাছে আসতেই মৌ নাসরিনের গালে চড় বসিয়ে দিয়ে বলে ‘ এই নে তোর ক্ষমা বেশ্যা মেয়ে!

– ঠাস! তোর লজ্জা করে না? বেশ্যা বলতে আমাকে। আরে আমি যা করেছি তুই তো তার চেয়ে বেশি করেছিস। তুই তোর ফেরেশতার মতো বাচ্চাকে রেখে সাইফের সাথে কি করেছিস? আরে তোর হাজবেন্ডের অসুস্থতার সুযোগে নিজেকে সাইফের কাছে সর্পে দিয়েছিস।

– তুই এ মুহূর্তে এ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবি।
– আমার বাড়ি থেকে তাড়ানোর তুই কে?
– তোর বাড়ি কিভাবে? তোর তো কোন কিছুই নেই?
– কে বলছে কোন কিছুই নেই?
– আমার স্বামীর বাড়ি এটা। তুই এ মুহূর্তে এ বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবি। নইলে তোকে ফুটবলের মতো লাথি দিতে দিতে বের করবো।
‘ ছোটলোকের বাচ্চা তোর কিভাবে সাহস হয়’ এই বলে আবার যখন মৌ নাসরিনকে চড় দিতে যায়। তখন কে যেন পিছন থেকে হাতটা ধরে ফেলে। মৌ পিছনে তাকিয়ে দেখে সাইফ।
– সাইফ তুমি?
– মৌ এর গালে চড় বসিয়ে দিয়ে বলল ‘ হ্যাঁ আমি। ‘আর তোর কিভাবে সাহস হয় আমার স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার?
– তোমার স্ত্রী?
– হ্যাঁ নাসরিন আমার স্ত্রী। নাসরিনের কপালে চুমু এঁকে দেয়।
– তাহলে আমি কে?
– তুই আমার রক্ষিতা ছিলে। যতদিন তোর সম্পদ ছিলো ততদিন তুই রক্ষিতা হিসেবে ছিলে। আচ্ছা কিভাবে ভাবলে তুর মতো এক বাচ্চার মা’কে আমি বিয়ে করবো? যে কিনা তার স্বামীকে রেখে আমার সাথে রং তামাশায় ব্যস্ত। জানিস তোর হাসবেন্ডের কান্না এখনো আমার চোখে ভাসে। তুই তোর হাসবেন্ডের অসুস্থতার সময় তাকে ছাড়তে পারলে আমাকেও ছাড়তে পারবি। আর শোন নাসরিন আমার বিবাহিত স্ত্রী। নাসরিনকে মৌ এর সামনে বুকে টেনে নিল। নাসরিন শক্ত করে সাইফকে জড়িয়ে ধরল!শুধু তোর জন্য ওকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম। তবুও আমার ভালোবাসার মানুষ আমার স্ত্রীকর নিজের কর্মচারী বানিয়ে নিজের চোখের সামনে রেখেছিলাম। তোকে শুধু বিয়ে করেছিলাম তোর সম্পত্তিগুলে কারায়ত্ত করতে। ভেবেছিলাম কয়েকদিন পর তোকে সব বলবো। কিন্তু না সেটা হলো না। তার আগেই সারপ্রাইজ দিয়ে দিলি। কি হলো কাঁদছিস কেন? তোর ছোট্ট মেয়েও বিয়ের আসরে কেঁদেছিল। সেদিন বুঝেছি তুই মেয়ে নামে কলঙ্ক। কিন্তু নাসরিন এর কথা মতো তোকে বিয়ে করি। আর, মুহূর্তে আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবি। ড্রয়ার থেকে ডির্ভোস পেপারটা নিয়ে এসে বললো’এই নে একটা সাইন করে দিস। ‘

– মৌ এর চোখদিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। মনে হচ্ছে বুকের উপর কেউ পাথর তুলে দিয়েছে।
– কি হলো এখনো দাঁড়িয়ে রইলি যে? নাকি আমাদের স্বামী স্ত্রীর রোমাঞ্চ দেখার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন?
‘ আচ্ছা দাঁড়াও ‘ এই বলে নাসরিনের ঠোঁটের সাথে সাইফ নিজের ঠোঁটটা মিলিয়ে দিল!

– মৌ এক দৌড়ে বাসা থেকে নেমে পড়ল। আজ তার কিছুই নেই। নিজের শরীরটার দিকে নিজেরি তাকাতে বড্ড ঘৃণা লাগছে। এই মুখ নিয়ে রাজের সামনেও যেতে পারবে না । পারবে না না মেয়ের মুখে মা ডাক শুনতে। মাঝ রাস্তা দিয়ে হাটঁছে।

– এদিকে কথা, তার বান্ধবীর বিয়ে শেষ করে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। মাঝরাস্তায় কাউকে দেখা যাচ্ছে। হুইসেল দিচ্ছে দূর থেকে তবুও সরছে না। কথা তাই গাড়ি ব্রেক করে। গাড়ি থেকে নেমে, মেয়েটাকে ডাক দেয় ‘ এই মেয়ে মাঝরাস্তায় হাঁটছো কেন?’

– মৌ পিছন দিকে তাকাতেই কথা চিনে ফেলে এটা মৌ! আপনি এতোরাতে? মাতালের মতো হাঁটছেন কেন?
– মৌ কথাকে দেখে কান্না করে দেয়।
– কি হলো ছোট্ট বাচ্চার মতো কাঁদছেন কেন?
– আপু আমার সব শেষ! আমার বাবার সব সম্পদ লিখে নিয়ে এখন, আমাকে সাইফ ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। আমার যাওয়ার মতো কোন জায়গা নেই। তাই ভাবছি সুসাইড করবো। আমি আর বাঁচতে চাই না। এই মুখ আমি কাকে দেখাবো? যে আমাকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতো। তাকে ছোট লোক ছাড়া কোন কথায় বলিনি। প্রতিটি পদে পদে তাকে অপমান করেছি। তারকাছে ক্ষমা চাওয়ারো যোগ্যতা নেই আমার।
– আচ্ছা আপু যায় কেউ নাই তার আল্লাহ আছে। আর সুসাইড করার কথা বলো না এতে আল্লাহ নারাজ হয়। আর কিছু মনে না করলে আমার বাড়িতে চলো। পরে কোন ব্যবস্থা হলে চলে যেয়ো।
-মৌ কিছু না বলে কথার সাথে গাড়িতে উঠে পড়ে। বাসায় এসে কথা তার বাবাকে সব বলে। কথার বাবা মৌকে তাদের অফিসে জয়েন করতে বলে।
– মৌ কোনকিছু না ভেবেই হ্যাঁ বলে দেয়।

– পরের দিন সকালে রাইসা আমার কপালে চুমু দিয়ে বলল’ বাবাই উঠবে না? আমার স্কুলের সময় হলো যে।
– আমি ঘুম থেকে ওঠে রাইসার কপালে চুমু দিয়ে বললাম’উঠতে হবেই তো, আমার মা যে স্কুলে যাবে। রাইসাকে রেডি করে বাড়ির বাহিরে বের হতেই দেখি কে যেন গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একটু কাছে যেতেই বুঝতে পারলাম এটা সাথি। বুঝতেছি না মেয়েটা কেন যে এতো পাগলামি করে।
-আমি একটা রিক্সা ডাক দিতেই। সাথি বললো’ আমি ওদিকেই যাচ্ছি। চলো তোমাদের লিফট দেয়।
– লাগবে না। ধন্যবাদ।
– রাইসা আমাকে নিচু হতে বলল।
-আমি নিচু হলেই। রাইসা কানে কানে বলল ‘ বাবাই একটা কথা বলি রাগ করবে না তো?’
-হুম বলো মামনি।
– জানো বাবাই এই আন্টিটা প্রতিদিন আমাকে মম ডাকতে বলে। অনেক চকলেট কিনে দেয় আমায়। আমি নেয়নি বাবাই। বলেছি, আমার বাবাই আমাকে অনেক চকলেট কিনে দেয়!
– রাগ করলে বাবাই?
– রাইসার কপালে চুমু দিয়ে বললাম’ নারে মামনি। রাগ করবো কেন?
– কি হলো উঠবে না?
– না উঠবো না। দরকার হলে হেঁটে যাবো।হেঁটেই রওয়ানা দিলাম।
– এমন সময় সাথি দৌঁড়ে এসে সামনে দাঁড়ালো।
– কি হলো সামনে দাঁড়ালে কেন? তুমি যদি গাড়িতে না উঠে তাহলে আমি সবাইকে ডেকে বলবো তুমি পঁচা কথা বলেছো।
– এ্যাঁ বললেই হলো। আমার বাবাই কাউকে পঁচা কথা বলতে পারে না।
– প্লিজ গাড়িতে উঠো। সাথি এক প্রকার জোর করেই গাড়িতে করে রাইসাকে স্কুলে পৌঁছে দিল।
– রাইসাকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে। সাথি একটানে একটা পার্কে নিয়ে এসে পড়ে।
– পার্কে নিয়ে আসলেন কেন? অফিসে যেতে হবে।
– ধ্যাত কিছুই বুঝো না কেন তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি?
– কেন নিয়ে এসেছো?
– আমি তোমাকে ভালোবাসি রাজ। আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। তোমার মেয়ে আছে কোন প্রবলেম নেই। আজ থেকে রাইসা আমারো মেয়ে। আমার কোন সন্তান লাগবে না। জানো রাজ বার্থডে পার্টিতে যখন তোমায় কন্ঠে প্রথম গান শুনি তখনি তোমার প্রেমে পড়ে যায়। তারপর যত বারই তুমি আমার সামনে এসেছো ততই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি আমি। নিজের অজান্তেই আমার এ মনটা তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছে। তোমাকে ছাড়া আমি কিছুই ভাবতে পারি না। প্লিজ তুমি আমাকে ভুল বুঝো না। এই বলে সাথি আমাকে জড়িয়ে ধরে।
– আমি সাথিকে সড়াতে পারছি না। পারছি না সাথির পাগলামীগুলো নিতে। সাথিকে ছাড়িয়ে কষে একটা থাপ্পর তার গালে বসিয়ে দেয়।
-কি হলো একটা মারলে কেন? আরো, মার।সত্যিই কি, কাউকে মনে-প্রাণে ভালোবাসা অন্যায়? তুমি মারতে মারতে আমাকে মেরে ফেললেও বলবো তোমাকে ভালোবাসি। জানো ইচ্ছা করলে শহরের নামকরা ধনীর ছেলেকে বিয়ে করতে পারি। কিন্তু ভালোবাসতে পারি না। আমি শুধু তোমাকে চাই রাজ। তোমার মেয়ের মা হতে চাই।
– আমি পার্ক থেকে সোজা বের হয়ে এসে পড়লাম। পিছু ফিরে তাকালাম না। জানি পিছু ফিরে তাকালে অজানা মায়ার আবদ্ধ হয়ে যাবো ।
– পার্কে থেকে একটা গাড়ি করে অফিসে এসে বসতেই পিয়ন বলে গেল ম্যাডাম আমাকে ডাকছে।
– পিয়নের কথা শুনে ম্যাডামের রুমে গিয়ে দাঁড়াতে ম্যাডাম বসতে বলল।
– কেমন আছো?
– জ্বি ভালো।
– পায়ের কি অবস্থা?
– আলহামদুলিল্লাহ পুরোপুরি সুস্থ।
– আচ্ছা রাজ নীল শাড়িতে আমাকে কেমন লাগছে?
– আমি নিচের দিকে তাকিয়ে বললাম। ভালো ।
– শুধু ভালো? আচ্ছা চলো।
– কোথায় ম্যাডাম?
– বলছি চলো।
– ম্যাম আমাকে নিয়ে শপিংমলে ঢুকল। কয়েকটা শাড়ি কিনল। রাইসার জন্য কয়েকটা ড্রেস সাথে আমার জন্য নীল রঙের একটা পাঞ্জাবী। জোর করেই হাতে ধরিয়ে দিল।
-আচ্ছা রাজজ কাল এটা পরে আসবে কেমন?
– যদি না পরে আসি?
– হয় খুন হবো না হলে খুন করবো বলে কথা হেসে দিল।
-পরের দিন যথারীতি, অফিসে যাওয়ার জন্য যখন রেডি হচ্ছিলাম তখন তিনটা কার্র এসে বাড়ির নিচে এসে দাঁড়ালো।
– একটা বয়স্ক লোকের সাথে সাথিকেও দেখলাম।
– আমি রেডি হয়ে যখনি রাইসাকে নিয়ে বের হবো তখনি ‘ সাথি রুমে এসে হাজির। ‘
-সাথির সাথে আরো কয়েকজন চাচার বয়সী লোক।

– রাজ আমার বাবা।
– আমি সালাম দিয়ে বসতে বললাম।
– বাবা বসতে আসিনি। তোমাকে একটা কথা বলতে চাই।
– জ্বি আঙ্কেল বলেন?
– জানি না কথাটা তুমি কিভাবে নিবে। আমার একমাত্র মেয়ে সাথি। ছোটবেলায় ও মা মারা যায় সড়ক দুর্ঘটনায়। ওর জন্য আমি আর বিয়ে করিনি। তোমাকে নাকি ভালোবাসে। কাল সে জন্য ওর গায়ে প্রথম হাত তুলেছি। কিন্তু মেয়ের জেদের কাছে হার মেনেছি। আমার মেয়ে তোমাকে ছাড়া বাঁচবে না বাবা। তুমি আমার মেয়েটাকে বিয়ে করো। যা চাও তাই দিবো। তবু পাগলামীটাকে বিয়ে করো।
– আঙ্কেল ক্ষমা করবেন। আপনি যেমন আপনার মেয়ের কথা চিন্তা করে বিয়ে করেননি। তেমনি,আমিও পারব না। কারণ আমার কলিজার টুকরা রাইসার সৎ মা আনতে পারবো না ক্ষমা করবেন। আঙ্কেল আর কিছু বললো না। সাথিকে নিয়ে চলে গেল।

-আমি রাইসাকে স্কুলে রেখে। অফিসে পা রাখতেই বুকের ভেতরটা কেমন করে ছ্যাঁত করে ওঠলো। কথা ম্যাডাম সবার সাথে মৌকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।
– এই যে রাজ, এতোক্ষণ লাগল তোমার। যাইহোক তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে।
– শোন রাজ এই হচ্ছে মৌ। আমাদের কোম্পানিতে আজ থেকে কাজ করবে। আর তোমার কলিগ এটা!
– মৌ সকলের সাথে পরিচয় হয়ে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিতেই আমি সালাম দিয়ে কেটে পড়লাম। যে হাতটা ছেড়ে দিয়েছি সে হাতটা আর কিভাবে ধরব। কথা আমার হাত ধরে টানতে টানতে তার ডেস্কে নিয়ে মৌ এর বিষয়ে সব বলল। তার হাসবেন্ড চিট করেছে!
– আমি কিছু বললাম না। ডেস্কে এসে কাজ করছি। কোন কাজেই মন বসছে না। হঠাৎ ফোনটা বেজে ওঠল’।
-ফোনটা রিসিভ করতেই।
– হ্যালো রাজ, আমি সাথির বাবা বলছি। সাথি বাসায় এসে ঘুমের পিল নিয়েছে অনেকগুলো। এখন হসপিটালে আছে। প্লিজ বাবা ””’

চলবে””””’

বিঃদ্রঃভুলক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here