বহুরূপী,
পর্ব- ০২
নাহিদ হাসান নিবিড়
অহনাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে আমি হাঁটতে শুরু করলাম। আমার সারা শরীর ঘেমে গেছে, প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা কাজ করছে। ইচ্ছা করছে এই মুহুর্তে অহনার বাবার ছুড়ে দেওয়া ইনভেলাপ খুলে ভেতরে কি আছে দেখি কিন্তু সাহস হচ্ছে না।
.
চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেছে। আমার পাশ দিয়ে বেল বাজাতে বাজাতে ছুটে যাচ্ছে একের পর এক রিকশা। হাঁটতে হাঁটতে আমি একটা চায়ের দোকানে গিয়ে বসলাম। আমি নিশ্চিত তানিয়া নামের মেয়েটা বড় ধরনের কোনো গণ্ডগোল পাকিয়েছে। চিঠিতে বিশ্রী প্রকৃতির ছবি অহনাদের বাসায় পাঠানোর ইঙ্গিত সে আমাকে দিয়েছিল, সেরকম কিছুই কী পাঠিয়েছে! কী চায় সে! কেন এরকম করছে! সে চাচ্ছে অহনার সাথে আমার বিয়েটা ভেঙে যাক, কিন্তু কেন! নিজেকে লুকিয়ে রাখার কী মানে!
.
ভেবেছিলাম এক কাপ চা খাবো, কিন্তু খেতে পারলাম না, ভীষণ অস্থির লাগছে, মাথার ভেতরটা টনটন করছে, সবকিছু এলোমেলো লাগছে। আমি দোকান থেকে বের হয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরলাম।
.
বাড়ির প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশের সময় বাবার সাথে দেখা হয়ে গেল। আমার দিকে তাকিয়ে বাবা জিজ্ঞাসা করলেন,
” কিরে কী হয়েছে? মুখটা এমন কালো করে রেখেছিস কেন?”
আমি স্বাভাবিক গলায় বললাম,
” বাবা ক্লান্ত লাগছে খুব। কিছু বলবেন?”
– বেয়াই সাহেব ফোন ধরছেন না কেন? কতবার ফোন করলাম, ফোন ধরছে না।
বাবার কথা শুনে আমার বুকের ভেতরটা ধড়ফড় করে উঠলো, একবার ইচ্ছা করলো বাবাকে সব খুলে বলি। এই ঝামেলা আর সহ্য হচ্ছে না কিন্তু সাহস হলো না। নিজেকে সামলে নিয়ে আমি বললাম,
” ব্যস্ত আছেন বোধহয়। পরে ফোন দিয়েন।”
.
মা এই কয়দিনে মোটামুটি স্বাভাবিক হয়েছে। তবে আমার ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছে না। আমি চুপচাপ আমার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে ইনভেলাপ খুললাম। ইনভেলাপ থেকে প্রথমেই কতগুলো ছবি বের হলো। ছবি দেখে আমার চোখদুটো কপালে উঠে যাবার উপক্রম হলো। প্রত্যেকটা ছবিতে আমি এবং আমার সাথে একটা মেয়ে। ছবিগুলো অশ্লীলতার চরম সীমা অতিক্রম করেছে। কারো গায়ে কোনো জামাকাপড় নেই। প্রত্যেকটা ছবিতে আমাকে স্পষ্টভাবে বোঝা গেলেও, মেয়েটার চেহারা ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছে না। তার মুখমণ্ডল ঘোলা করে দেওয়া হয়েছে, ফটোশপ অথবা অন্য কোনো সফটওয়্যার দিয়ে নিখুঁতভাবে কাজগুলো করা হয়েছে, দেখে বোঝার উপায় নেই এসব আসল ছবি নাকি নকল। আমি ছবি রেখে চিঠি বের করলাম। চিঠিতে লেখা,
প্রিয় অহনা,
আশা করছি ভাল আছো। কিছুদিনের মধ্যে মুনেমের সাথে তোমার বিয়ে। ভাবছো আমি কে? কেন তোমাকে এইসব ছবি পাঠালাম? সরাসরি বলছি,
মুনেমের সাথে আমার বিয়ে হয়েছিল ২০১৭ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী। আমাদের বিয়ের কোনো কাগজপত্র নেই, কোনো সাক্ষীও নেই। মৌখিকভাবে বিয়ে করেছিলাম আমরা। কথা ছিল পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হবে কিন্তু পরবর্তীতে দুজনের মধ্যে ঝামেলা বেঁধে গেল।
সুমনের সাথে দীর্ঘ একবছর প্রেম করে সুমনকে বাদ দিয়ে তুমি মুনেমকে বিয়ে করছো। কয়দিন পরই তোমাদের বিয়ে, এ-নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমার সমস্যা হচ্ছে, তোমার সাথে বিয়ে হবার আগে আমাকে অবশ্যই মুনেমের ডিভোর্স করতে হবে। তুমি নিশ্চয়ই ভাবছো, এসব মুনেমকে না বলে তোমাকে বলছি কেন? ওকে আমি বলেছি, ও কোনো স্টেপ নেয়নি। তোমাদের কাছে হয়তো এইসব কোনো ব্যাপার না, কিন্তু আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার।
ছবিগুলো পাঠানোর জন্য দুঃখিত। একান্ত বাধ্য হয়ে ছবিগুলো পাঠিয়েছি। আশা করছি মুনেমকে বিয়ের আগে আমাকে ডিভোর্স করে নিতে বলবে। তোমাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক।
.
চিঠি পড়া শেষ করে সাথে সাথে আমি অহনাকে ফোন করলাম। অহনা ফোন ধরল না, পরপর দুইবার লাইন কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখলো।
.
আমি বারান্দায় গিয়ে বসলাম। বাড়ির চারপাশে লাইটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বাতিগুলো জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। রং-বেরঙের ছোট ছোট বাতিগুলো জ্বলজ্বল করছে, একবার জ্বলছে একবার নিভছে। মনে হচ্ছে, যে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে সে শুধু আমারই পরিচিত নয় অহনারও পরিচিত। অহনার সাথে এই ব্যাপারে এক্ষুনি কথা বলা প্রয়োজন। আমি পরপর কয়েকবার অহনাকে ফোন করলাম কিন্তু এখনো ফোন বন্ধ। মাথা কাজ করছে না। আমি একটা সিগারেট ধরিয়ে চুপচাপ বারান্দাতেই বসে রইলাম।
.
বেশকিছুক্ষণ পর আমি বারান্দা থেকে উঠে বাড়ির নিচে চলে গেলাম। বাড়ির গেটের সামনে যেতেই ফিরোজ ভাই ফোন করলেন। আমি ফোন ধরলাম। ফিরোজ ভাই জিজ্ঞাসা করলেন,
– মুনেম ভাই কোথায় আছেন?
– বাসায় ভাই, কেন?
– আমি আপনাদের এলাকাতেই ছিলাম, সেজন্য ফোন করলাম, ফ্রী আছেন নাকি?
– জি ভাই ফ্রী। আপনি কোথায় আছেন?
– ধুপখোলা মাঠটা আছে না? মাঠে বসে আছি। আসবেন নাকি?
– আপনি একটু বসুন, আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসছি।
.
আমাদের বাসা থেকে ধুপখোলা মাঠ চার-পাঁচ মিনিটের পায়ে হাঁটা পথ। আমি ফোন রেখে হাঁটতে শুরু করলাম। এরমধ্যে বেশ কয়েকবার অহনাকে ফোন করলাম, অহনা এখনো ফোন বন্ধ করে রেখেছে।
.
ফিরোজ ভাই মাঠে ফুচকার দোকানে বসে আছেন। আমি গিয়ে ফিরোজ ভাইয়ের পাশে বসলাম। তিনি হাসিমুখে জিজ্ঞাসা করলেন,
” কি অবস্থা মুনেম ভাই? কেমন আছেন?”
আমি ভাবছি উদ্ভট এসব কর্মকান্ড সম্পর্কে ফিরোজ ভাইকে কিছু বলব কিনা। উনাকে বলা যায়, মানুষ হিসেবে উনাকে আমার কখনো খারাপ লাগেনি। তাছাড়া উনার সাথে আমার দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক।
ফিরোজ ভাই আবারও জিজ্ঞাসা করলেন,
– ভাই কী নিয়ে এত চিন্তা করছেন?
– নাহ ভাই তেমন কিছু না।
ফিরোজ ভাই হাসতে হাসতে বললেন,
“বিয়ের ব্যাপার, চিন্তা না হয়ে উপায় আছে! তা ভাই ফুচকা খান। আমি স্বার্থপরের মতো একা একা একপ্লেট খেয়ে ফেলেছি।
– ফুচকা খাবো না ভাই। চলুন চা খাই।
.
ফুচকার দোকান থেকে উঠে দুইকাপ চা খেয়ে আমরা মাঠের উত্তর দিকে গিয়ে বসলাম। চারিদিকে গুমোট অন্ধকার, এরমধ্যে কোথা থেকে যেন গাঁজার গন্ধ আসছে, বিশ্রী অবস্থা। ফিরোজ ভাই বিরক্ত গলায় বললেন,
” কোথাও বসে শান্তি নাই ভাই, কোন হালায় যেনো গাঁজা ফুঁকছে। বুঝতে পারছেন?”
– হ্যাঁ, এই মাঠের এটাই সমস্যা। চলুন দক্ষিণ দিকে গিয়ে বসি।
– তাই চলেন, এখানে বসা যাবে না।
.
হাঁটতে হাঁটতে ফিরোজ ভাই জিজ্ঞাসা করলেন,
” সব এরেঞ্জমেন্ট কমপ্লিট?”
– মোটামুটি।
মাঠের দক্ষিণ দিকে গিয়ে বসে ফিরোজ ভাই একটা সিগারেট ধরিয়ে সিগারেটের প্যাকেট আর লাইটার আমার দিকে এগিয়ে দিলেন। আমি একটা সিগারেট ধরিয়ে বললাম,
” ফিরোজ ভাই বড় ধরনের একটা সমস্যার মধ্যে পড়েছি।”
ফিরোজ ভাই চিন্তিতমুখে বললেন,
” কী সমস্যা?”
– ভাই কে যেন চাচ্ছে অহনার সাথে আমার বিয়েটা ভেঙে যাক। বিশ্রী ধরনের কর্মকাণ্ড করছে।
– কেমন?
– তানিয়া নামের একজন আমাকে চিঠি পাঠিয়েছে বাসার ঠিকানায়, চিঠিতে লিখেছে তার সাথে নাকি আমার বিয়ে হয়েছে, সেই ঘরে আমার আড়াই বছরের একটা ছেলেও আছে। ছেলের ছবি পর্যন্ত পাঠিয়েছে।
– কেউ ফাজলামি করছে।
– প্রথমে আমিও ভেবেছিলাম, বন্ধুদের মধ্যে কেউ ফাজলামি করছে কিন্তু ভাই এটা ফাজলামি না, সে অহনাদের বাসাতেও পার্সেল পাঠিয়েছে।
– বলেন কী?
– কী পাঠিয়েছে জানেন? আমার সাথে এক মেয়ের স্পর্শকাতর ছবি, সাথে চিঠি। ছবিগুলো এমনভাবে এডিট করেছে দেখে বুঝবার উপায় নেই যে এগুলো আসল ছবি না।
– সর্বনাশ!
– সে বলছে, তার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে, আমি যেন তাকে অহনাকে বিয়ে করার আগে ডিভোর্স করি, কিন্তু তার সাথে যোগাযোগ করার কোনো উপায় রাখেনি। সে যেই ফোন নম্বরটা দিয়েছে, সেটা বন্ধ। যেই ঠিকানা দিয়েছে, সেই ঠিকানাটাও ভুল।
– ফোন নম্বর আর ঠিকানাটা আমাকে দিন তো। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
আমি ফিরোজ ভাইকে ফোন নম্বর আর ঠিকানা লিখে দিয়ে বললাম,
– ভাই, বিয়ের মাত্র কয়েকদিন বাকি কিন্তু আজ বিকেলে অহনার বাবা তাদের বাসায় ডেকে আমাকে বলে দিয়েছেন বিয়ে ক্যান্সেল। ব্যাপারটা বুঝতে পারছেন?
ফিরোজ ভাই অবিশ্বাসের চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
” কী বলেন! এটা কী কোনো তামাশা!”
– কিছু বুঝতে পারছি না, কী করব বলুন তো?
– আপনি শ্বশুরবাড়িতে কথা বলুন, পুরো ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলুন।
– সেই চেষ্টাই করছিলাম, অহনা ফোন বন্ধ করে রেখেছে।
– দেখা করুন, দেখা করে বুঝিয়ে বলুন।
– সেই চেষ্টাই করছি।
.
ঘণ্টাখানেক পর ফিরোজ ভাই তানিয়াকে খুঁজে বের করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করে চলে গেলেন। আমি বাড়ি ফিরলাম রাত সাড়ে দশটায়।
.
অহনার সাথে কথা বলা খুব খুব প্রয়োজন কিন্তু সে ফোন বন্ধ করে রেখেছে। অহনার সব থেকে কাছের বান্ধবীর নাম দিপা। তার সাথে আমি ফেসবুকে যুক্ত আছি। বেশকিছুদিন আগে ম্যাসেঞ্জারে উনি উনার ফোন নম্বর দিয়ে আমাকে বলেছিল, প্রয়োজন হলে আমি যেন ফোন করি। আমি চ্যাটবক্স ঘেঁটে ঘেঁটে ফোন নম্বর বের করে দিপাকে ফোন করলাম। রিং বাজতেই দিপা ফোন ধরে জিজ্ঞাসা করল,
” কেমন আছেন ভাইয়া?”
আমি জিজ্ঞাসা করলাম,
” আমাকে কী চিনতে পেরেছেন?”
– ওমা চিনব না কেন! আপনি মুনেম ভাইয়া। কেমন আছেন?
– খুব একটা ভালো নেই। আপনাকে একটা সমস্যায় পড়ে ফোন করেছি। অহনার সাথে আমার কথা বলা খুব দরকার, কিন্তু সে ফোন বন্ধ করে রেখেছে। ছোটখাটো একটা ঝামেলা হয়েছে। একটু কষ্ট করে অহনাকে ফোনটা অন করতে বলবেন, প্লীজ!
– আচ্ছা এক্ষুনি বলছি। কী সমস্যা হয়েছে ভাইয়া? বলা যাবে?”
আমি দিপাকে পুরো ঘটনা খুলে বললাম। সবকিছু শুনে দিপা বলল,
” কে এমন করবে? আপনার কোনো বান্ধবী নয়তো? যে আপনাকে পছন্দ করে?”
– আমার কোনো মেয়ে বন্ধু নেই।
– তাহলে তো সমস্যা। আচ্ছা অহনাকে আমি এক্ষুনি বলছি আপনাকে ফোন করতে।
.
রাত সাড়ে এগারোটা বাজে। আমি ছাদে বসে আছি। মাথাটা এলোমেলো হয়ে আছে। এখনো হয়তো বাবার সাথে অহনার বাবার কথা হয়নি। বাবা-মা যদি ঘটনাটা জানতে পারে তাহলে কী অবস্থা হবে! আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না।
.
ছাদে বসে থাকতে থাকতে রাত বারোটা পেরিয়ে গেল। মনে হচ্ছে অহনা আর ফোন করবে না। আমি আরো কয়েকবার চেষ্টা করলাম কিন্তু ফোন বন্ধ।
.
বেশকিছুক্ষণ পর হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠল। আমি ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম অহনা ফোন করেছে। আমি ফোন ধরতেই অহনা গম্ভীর গলায় বলল,
” কি বলবেন, তাড়াতাড়ি বলুন।”
আমি বললাম,
– আপনার কী বিশ্বাস হয় আমার সাথে কারো এরকম সম্পর্ক ছিল?
অহনা চাপাগলায় বলল,
” বিশ্বাস না হওয়ার কী আছে?”
– ছবিগুলোর জন্য বলছেন?
– আপনাদের পুরুষদের দিয়ে হয় না, এমনকিছু পৃথিবীতে নেই।
– ছবিগুলো এডিট করা, বিশ্বাস করুন এরকম সম্পর্ক তো দূরের কথা, তানিয়া নামের কাউকে আমি চিনিও না।
– সম্পর্ক না থাকলে সে এরকম কথা বলবে কেন? কি বিশ্রী ছবি পাঠিয়েছে! ছি!
– চিঠিটা আপনি পড়েছেন?
– আমার এত দরকার নেই।
– দেখুন, যে এসব করছে সে কিন্তু আপনার সম্পর্কেও খুব ভালোভাবে জানে। চিঠিতে সে সুমনের কথা বলেছে। সে চাচ্ছে না, আমাদের বিয়েটা হোক।
– তো আমার কী করার আছে?
– সুমন কী কোনোভাবে এসবের সাথে জড়িত?
– সুমন কেন এসব করবে? বিয়ে করে দিব্যি সুখে সংসার করছে। আর ওর সাথে আমার কখনোই গা-ছাড়া সম্পর্ক ছিল না, সেটা আমি আপনাকে আগেই বলেছি। আমাদের মিউচুয়ালি ব্রেকাপ হয়েছে।
– আপনি কাল আমার সাথে একটু দেখা করবেন, প্লীজ।
– আমি পারব না।
– দেখুন, আমার আপনার সহযোগিতা প্রয়োজন, বিয়ে না হয় আমাকে আপনি নাই করলেন কিন্তু যেই কলঙ্কের দাগ আমার উপরে পড়েছে, তা থেকে আমাকে মুক্ত হতে দিন। নইলে বাকিটা জীবন মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারব না, প্লীজ।
– ঠিক আছে কাল দুপুরের দিকে আমি জিগাতলা যাব। আপনি বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ব্যাচেলর পয়েন্টে থাকবেন।
– অসংখ্য ধন্যবাদ।
.
অহনার সাথে কথা বলে চিন্তার ভার কিছুটা কমেছে। এত এত চিন্তার মধ্যেও আমি ভাবছি, আগামীকাল কী পরে যাব! নীল পাঞ্জাবীর সাথে অ্যাশ কালার জিন্স।! নাকি সাদা ফতুয়াটার সাথে কালো জিন্স!
.
আকাশে মেঘ জমেছে। বিষন্ন মেঘেরা গুড়ুম গুড়ুম শব্দে আর্তনাদ করছে, কিন্ত বৃষ্টি নামছে না।
রাত একটা পর্যন্ত ছাদে কাটিয়ে আমি ঘরে ফিরে এসে বাতি নিভিয়ে দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।
_____
#চলবে
লেখা:
নাহিদ হাসান নিবিড়