#প্রেম_আমার
#তানিয়া
পর্ব:৫
সংসার জীবনটা এখন খুব মজা লাগে তন্নির। এতদিন সে ভাই ভাবির সংসারে থেকে মানুষ হয়েছিল তারা কখনো তাকে খুঁটি পর্যন্ত নাড়তে দেয় নি।প্রিয়মের সাথেও বিয়ে হওয়ার পর এখনো অবধি কোনো কাজে হাত লাগায় নি।নিজের মতো ছিল।সার্ভেন্টরা কাজ করতো, তার কাছে জিজ্ঞেস করলে সে জানাতো এতদিন যেভাবে হয়েছে তেমনি হবে যাতে তাকে জিজ্ঞেস না করে?তখন তো সে এতটা মনোযোগী ছিল না।কিন্তু সেদিন প্রিয়মের সাথে গল্প করার পর কি জানি কি হলো,এখন আর আগের মতো তাকে খারাপ লাগেনা।তন্নি কখনো রান্না করে নি তবুও রান্নাঘরে গিয়ে এটা ওটা নিয়ে রান্নার চেষ্টা করে।আসলে বাপের বাড়িতে যতই রান্না করা হোক বা না হোক শ্বশুর বাড়িতে আলাদা করে নতুন হাড়ি পাতিলে নিজের মতো রান্নার আয়োজন করার মধ্যেও মজা আছে।তন্নির এই আনন্দ নিয়ে হঠাৎ সংসারে মন দেওয়াটা যেন তার ভাগ্যে ছিল না কারণ এরমধ্যে তন্নির ভাই সুমন তন্নিকে প্রিয়মের সাথে আলাদা করার প্ল্যান করে।সেই তন্নিকে জানায় যে, প্রিয়মের বিরুদ্ধে তারা নারী নির্যাতনের মামলা করবে।এ মামলাটা খুব শক্ত ধাঁচের হবে প্রিয়মকে শায়েস্তা করার।তন্নি ভাইয়ের কথা শুনে গুম হয়ে যায় সে মন থেকে এটা মেনে নিতে পারে না।কিন্তু সুমন যখন একে একে প্রিয়মের সব দোষ তুলে তখনি মনে করে যে, না আসলেই তার আলাদা হতে হবে।আর সেই সুযোগটা নিয়ে তারা প্রিয়মের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয়।পুরো ঘটনায় প্রিয়ম শকড হয়ে যায়। তবে অবিশ্বাস্য হলো এতকিছুর মধ্যে প্রিয়ম একটাও টু শব্দ করে নি।নীরবে নিঃশব্দে সে তন্নির দেওয়া সকল অপবাদ মেনে নেয়।একমাস সময় পায় তাদের ডিভোর্সের।আর সেই একমাসের জন্য তন্নি চলে যায় নিজের ভাই এর কাছে।
বাপের বাড়িতে গিয়ে তন্নি ভেবেছিল হয়তো সে একটা জালিম থেকে মুক্তি পেয়েছে।আশ্চর্যের ব্যাপার হলো প্রিয়ম থেকে দূরে যাওয়ার পর সে নিজেই একা ফিল করতে লাগলো।মনে করতে লাগলো প্রিয়মের ছোট ছোট আবদারের কথা।সেই সাথে তার প্রতি করা প্রতিটি কেয়ারিং এর কথা।তবুও নিজের মন থেকে সবকিছু তাড়াতে সে একটা বই নিয়ে বসে যেটা প্রিয়মের বাড়ি থেকে এনেছিল আর সেখানেই পায় সে একটি ভিজিটিং কার্ড।তারপর মনে পড়ে এ কার্ড সে প্রিয়মের ড্রয়ার থেকে পেয়েছিল যেটা একজন মনোবিজ্ঞানী বিশেষজ্ঞের।তখনি মনে পড়ে প্রিয়মের সেই স্বপ্নের মেয়েটার কথা।তন্নি কি মনে করে সেই ডাক্তারের কাছে এপোয়েনমেন্ট লাগায়।আর সিরিয়ালও পেয়ে যায়।
ডাক্তার রিপন, বেশ নাম ডাক করা সাইক্রিয়াটিস্ট।বর্তমানে দেশ ছাড়াও বাইরে তার বেশ সুনাম ছড়িয়েছে। আর তার সামনেই বসে আছে তন্নি। সে নিজের পরিচয় জানায় আর জানতে চায় প্রিয়মের মূল সমস্যা!
“আসলে প্রিয়ম একজন মারাত্মক ধরনের মানসিক রোগী।তাকে দেখতে যতটা সুস্থ মনে হয় সে তেমনটা না।আমাদের কাছে অনেক রোগী আসে যাদের দেখলে পুরো সুস্থ মনে হয় কিন্তু তারা একেক জন ভয়াবহ ধরনের রোগী।প্রিয়মও অনেকটা তাই। ওনার জীবনের অনেকগুলো ঘটনা শুনলাম যা থেকে বুঝলাম ছোট থাকতে ওনার অবুঝ মনে একটা বাচ্চা মেয়ে গেড়ে বসে যা তার জানা ছিল না।এবং সময় আর বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেই ছোট মেয়েটা আবারও তার স্বপ্নে ফিরে আসে।এরপর সে তাকে খুজে পায়।মূলত ছোট থেকে বাবা মার দূরত্ব, দাদুর মৃত্যু তারপর একাকিত্বে থাকতে থাকতে যেই মুহুর্তে একজন ভালো বন্ধু পেলো তখন সেই বন্ধুর থেকে দূরে চলে যাওয়া তার মনের ওপর প্রভাব ফেলে।আর সেই সমস্যা এমনভাবে তাকে ঘিরে ধরেছিল যে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়।খিটখিটে, রাগী হঠাৎ অসদাচরণ ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।তিনি প্রায় আমার কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন।তবে বর্তমানে তার বেশ উন্নতি হয়েছে আর এটাও হয়েছে আপনার জন্য। আপনার সঙ্গ পেয়ে তিনি এখন বেশ সুস্থ এবং স্বাভাবিক আচরণ করছেন।যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে ছোট বেলার সেই রোগটা খুব তাড়াতাড়ি সেড়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। ”
তন্নি এখন নিজের রুমে বসে আছে। এক ঘন্টা হলো মাথায় ব্যাথার ঔষধ মেখে দরজা জানলা বন্ধ করে বসে আছে। এ মুহুর্তে কানে কোনো শব্দই সে সহ্য করতে পারছেনা।তার চোখে বারবার ঘুরছে সেই ছবিটা যেখানে প্রিয়মের ছোট বেলার ছবিতে তন্নি আছে। তার মানে কি সেই ছোট মেয়েটা,সেই স্বপ্নে দেখা মেয়েটা আর প্রিয়মের খোঁজ করা মেয়েটা তন্নিই ছিল।এতবছর পরও প্রিয়ম তাকে মনে রেখে তাকে খুঁজতে দেশে এসেছিল অথচ তন্নির তো কিছুই মনে নেই। এসব কি তবে তন্নির কল্পনা নাকি সবটা সত্যি। সে ভাবতে পারছে না।একজন মানুষ ছোট থেকে অবহেলা,একাকি আর নিঃসঙ্গতায় ভুগেছে।আর এতবছর পর যখন মানুষটা সুখের সন্ধান হিসেবে তন্নিকে পেলো তখন তন্নি তাকে ছেড়ে চলে এলো?এতটা স্বার্থপর কি তন্নি সত্যি ছিল নাকি হয়ে গেছে কোনটা?
প্রিয়ম এখন আর ঘরে ফিরে না।বেশিরভাগ সময় সে অফিসে কাটায়।এতবছর পর নিজের প্রেম ভালোবাসা আর সেই ছোট্ট মেয়েটাকে পাওয়ার পর যখন তন্নি তাকে অপমান করে ছেড়ে গেলো তখন প্রিয়ম পুরোপুরির জন্য ভেঙে পড়েছে।এখন আর কিছুই তাকে আটকায় না।এখন সে আর তন্নিকে পাওয়ার জন্য পাগলামি করে না।তবুও মনের সেই রোগটা মাঝে মধ্যে নাড়া দেয় ছুটে যেতে চায় তন্নির দৌড়গড়ায় কিন্তু ফিরে আসে বারবার।সংযত রাখে নিজেকে।আবারও সেই বাচ্চা মেয়েটা স্বপ্নে আসে তবে দূরে থাকে।আগে স্বপ্ন ভাঙলে হাসতো এখন স্বপ্ন ভাঙার পর অনুভব করে চোখের কোণে জল। এটা তো আর স্বপ্ন নয়,সত্যিই তো সে একা বড় একা।
প্রিয়ম ঘুম ভাঙতে দেখে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে তন্নি। কোমড়ে শাড়ি গুঁজানো। প্রিয়ম ভাবে এটাও কল্পনা কারণ তন্নি তাকে ছেড়ে গেছে আর কিছু দিন পর আইনত ভাবে তাদের সম্পর্ক শেষ। তাহলে কেনো সে আসবে?
“কি হলো তুমি আবারও চোখ বন্ধ করলে কেনো, অফিসে যাবে না নাকি?”
প্রিয়ম লাফ মে*রে উঠে। এও কি কল্পনা?
“কি হলো দিবাস্বপ্ন দেখছো নাকি?সেই কখন নাস্তা করে রেখেছি খাবে কখন শুনি?”
“তুমি,তুমি কি সত্যিই আছো?”
“কেনো আমি কি ম*রে গেছিলাম যে থাকবো না?”
“না তা না। তুমি কি কল্পনা নাকি সত্যি।?”
“আরে বাবা সারাদিন স্বপ্ন দেখলে তো সব কল্পনায় ভাববা।যাই হোক।পরে কথা হবে আগে তৈরি হয়ে নাও যাও কাপড় রাখা আছে। ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো।”
তন্নি চলে যায়। প্রিয়ম ভাবনা নিয়ে ওয়াশরুমে যায়। তন্নি তোড়ঘোর করে তাকে অফিসে পাঠিয়ে দেয়।প্রিয়ম কিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগ পায় না।
প্রিয়ম ফোন দিলেই তন্নির এক কথা,
“ভুলেও অফিস টাইমের আগে আসবে না নাহলে ঢুকতে দিব না বাসায়।”
অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সে সময়ের প্রহর গুণে কখন অফিস সময় পার হবে।
বাসায় এসেই প্রিয়ম বিমূঢ় হয়ে যায়। পুরো বাড়িটা অসাধারণ ভাবে সাজানো।চারপাশে হাজাররকম আলো দিয়ে সজ্জিত।প্রিয়ম হাতে থাকা অফিস কেসটা নিয়ে এক পা এক পা করে সিড়ি পার করে আর সেই সাথে তার বুকের ধুকপুকানিও বাড়ছে।রুমের কাছে এসেই তার হার্টবিট বাড়তে থাকে না জানি ভেতরে কি অপেক্ষা করছে।অনেক কষ্টে দরজার হাতলে চাপ দিতে দরজাটা খুলে যায় আর দরজার ওপাশের মানুষটাকে দেখে তার সর্বাঙ্গ কেঁপে ওঠে। লালা শাড়ি যে কোনো মেয়ের রূপকে এভাবে আকড়ে ধরতে পারে সেটা হয়তো তন্নিকে না দেখলে বোঝা যেত না।প্রিয়মের চোখ জ্বলছে এ রূপ যেন প্রিয়মকে জ্বালিয়ে ফেলবে।প্রিয়ম চোখ সরিয়ে ফেলে তন্নির দিক থেকে। তন্নি কচ্ছপ পায়ে প্রিয়মের কাছে আসে।তারপর প্রিয়মের মুখটা তার দিকে করে তার চোখের দিকে তাকায়।
‘চোখ সরিয়ে নিলে যে,ভালো দেখাচ্ছে না?”
“তোমার এ রূপ আমার ভেতর ঝড় তুলে দিয়েছে। না পারছি চোখ দিয়ে সইতে না পারছি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে তাই সরিয়ে নিলাম। কারণ না পাওয়া বস্তুতে হাত বাড়ানো অন্যায়।”
অভিমানি কন্ঠে কথা বলে প্রিয়ম।তন্নির থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে দাঁড়ায় সে।তন্নি বুঝে প্রিয়মের অভিমান।তাই নিজেই দুই হাত দিয়ে প্রিয়মকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে।
“রাগ হয়েছে তাই না?রাগ তো হবেই। যখন সত্যিটা জানলাম তখন নিজের ওপর নিজেরই রাগ হয়েছে আর তোমার তো আরো বেশি হওয়ার কথা।কিন্তু কি বলো তো আমি তো তখন খুবই ছোট ছিলাম তাই এসব কথা মনে ছিল না।আর একটা চার পাঁচ বছরের মেয়ের ওসব কথা কি মনে থাকে?তার ওপর তোমার সাথে আমার প্রথম আলাপ এরপর যা যা ঘটেছে সবগুলোর মধ্যে তো একটুও ভালো কোনো বিষয় ছিল না তাই না?”
“আমি তো বলেইছি আমি তোমার সামনে নিজেকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছিলাম বলে তুমি ভুল বুঝেছো।কিন্তু বোঝার চেষ্টা তো একবারও করলে না। কি করলে,ভাইয়ের কথায় আমাকে রেখে চলে গেলে,ডিভোর্স দিবে আমি নাকি অত্যাচার করি?তো যাও আবার এলে কেনো,আমি তো যায় নি আনতে?”
তন্নি প্রিয়মের পিঠে মাথা রেখে প্রিয়মের অভিযোগ শুনে। তার হাসি পায় আবার কান্নাও।নিজের অবুঝ পানা কাজের জন্য এ মানুষটা কতটা কষ্ট পেলো,কতটা অপমানিত হলো।এসব ভেবে চোখ ভিজে যায় তন্নির। আর সেই জলে শার্ট ভিজে যায় প্রিয়মের।প্রিয়ম টের পায় তন্নির কান্না। তাড়াতাড়ি পেছন ফিরে তন্নির মুখটা তুলে।তন্নির ভেজা চোখ যেন প্রিয়মের হৃদয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে।সে তন্নিকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করে।আর মাফ চাই তার কথার জন্য। তন্নি মনে মনে হাসে, দোষ করলো তন্নি আবার তন্নির কান্নায় ভয় পায় প্রিয়ম।এ কেমন পাগলের ভালোবাসা!
“প্রিয়ম আমাকে মাফ করো।আমি তোমার ভালোবাসার গভীরতা বুঝতে পারিনি।তোমার কাছ থেকে যখন আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো তখন আমি নিজেকে মুক্ত মনে করেছিলাম কিন্তু তারপর থেকে আমি অনুভব করি মুক্তির মাঝেই আসলে আমার একাকিত্ব রয়েছে।আমি এক পক্ষ তোমাকে ছাড়া থাকতে পারিনি আর তুমি তো ১৫ বছর। আমি সত্যি বুঝতে পারিনি তোমার স্বপ্নের সেই মেয়েটা আমি।প্লিজ ক্ষমা করো আমায়।”
শক্ত করে জড়িয়ে ধরে একে অপরকে কাঁদতে থাকে দুজনে।মনে হচ্ছে অনেকদিনের বিচ্ছেদ শেষ হওয়ার পর এক হলো কপোত-কপোতী। দুজনের কান্নার সাথে মিশ্রণ ঘটে ভালোবাসার আর সেই ভালোবাসার অথৈ সাগরে নির্ভাবনায় ডুব দেয় একজোড়া নতুন প্রণয়ীপ্রণয়িনী!
গাড়ির কাছে এসে কখন থেকে তায়মুনাকে ডাকছে অথচ এখনে সে আসলো না।প্রিয়ম আবার ডাকতে যাবে তখনি তায়মুনা দৌড়ে আসে আর তায়মুনার সজ্জা দেখে পাথর হয়ে যায় প্রিয়ম।ঠিক বিশ বছর আগে ছোট্ট তন্নিকে সে এভাবে এ সাজে স্কুলে দেখেছিল যা আজো তার মনে শক্ত করে গেঁড়ে আছে। এতবছর পর নিজের মেয়েকে একিরূপে দেখে প্রিয়ম শকড হয়ে যায়। মনে হচ্ছে সে আবার সেই স্কুল জীবনের প্রিয়ম হয়ে গেলে হয়তো তন্নিকে এ রূপে আবারও দেখার সুযোগ পেত। তায়মুনার পেছনে তন্নিও আসে আর তার ঠোঁটে দুষ্টমির হাসি।প্রিয়ম বুঝে তন্নি ইচ্ছে করে এই কাজটা করেছে।তায়মুনা বাবার কোলে আসলে তন্নিও তার পাশে এসে দাঁড়ায়।
“কি জনাব,কেমন দিলাম?ছোট থাকতে আমিও ঠিক এ সাজে তোমার সামনে এসেছিলাম তাই না?”
“তুমি এটা ইচ্ছে করে করেছো তাই না?আমাকে না জ্বালালে তোমার হয় না কি বলো?”
“হয় না তো। তোমাকে জ্বালানোতেই যে আমার সুখ প্রিয়তম।কারণ তোমাতে আমি আসক্ত, তোমার প্রেমে আমি মত্ত,তোমার স্নেহে আমি দিওয়ানা তুমিই যে প্রেম আমার প্রিয়!”
তন্নির কথায় প্রিয়ম তন্নি দুজনে হাসে আর অবুঝ তায়মুনা না বুঝেই তাল মেলায় বাবা মার হাসির সাথে।
,
,
,
সমাপ্ত
(আসসালামু আলাইকুম। অনেকদিন পর পর্ব ভিত্তিক গল্প লিখলাম। গল্পটা কেমন হলো জানাবেন আর হ্যাঁ বেশি বেশি ইনভাইট করে পেজের সদস্য সংখ্যা এগিয়ে রাখুন।আর বিশেষ অতিথিরা আপনারা নিরবে এসে গল্প পড়ে চলে যান।গল্প তো শেষ। পেজে লাইক দিয়ে গল্প নিয়ে একটু মন্তব্য করুন।)