প্রেমময়নেশা ৯

0
656

#প্রেমময়নেশা(The Story of a psycho lover)
#পর্ব-৯
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
অয়ন আমার কোমড় চেপে ধরে আমাকে আরো কাছে নিয়ে আসে এতে যেনো আমি একেবারে জমে পাথর হয়ে গিয়েছে আমার হাত-পা কাঁপছে। আমার এইরকম হাত-পা কাঁপা দেখে অয়ন বাঁকা হেঁসে বলে–
আরে বেবস তুমি এতো কাঁপছো কেন? আমি তো কিছু করিও নি

রিমিঃ দেখুন আমাকে ছেড়ে দিন এইভাবে আমাদের কেউ দেখলে খারাপ ভাব্বে

অয়নঃ আমার বাড়ি আমার সব কে কি খারাপ বলবে( রাগান্বিত সুরে) তাছাড়া কালকে আমরা একি ঘরে থেকেছি তখন যেহুতু কেউ খারাপ বলেনি আজও বলবে নাহ

রিমিঃ এখন কি এইভাবেই সারাদিন আমরা ফ্লোরে শুয়ে থাকবো নাকি??(অবাক কন্ঠে)

অয়নঃ পরী!!তুমি চাইলে সারাদিন এইভাবে থাকতে পারি আমার কোনো অসুবিধা নেই!!(চোখ টিপ দিয়ে)

রিমিঃ ছিহ অসভ্য! লোক একটা ছাড়ুন বলছি আমাকে

অয়নঃকিহ আমি অসভ্য লোক কি অসভ্যতা করেছে আমি?
(রেগে)

রিমিঃ সকাল থেকেই তো করেই যাচ্ছেন!! প্লিয ছাড়ুন!!

অয়নঃ এখন তো আরো ছাড়বো নাহ!! আমি তো অসভ্য এখন অসভ্যতাই দেখাবো।

রিমিঃ দেখুন ভালো হচ্ছেনা কিন্তু আমাকে ছেড়ে দিন বলছি

অয়নঃ পারলে আমার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে দেখো(হেঁসে)

আমি নিজের সর্বচচ চেস্টা দিয়ে অসভ্য সাইকোটার থেকে নিজেকে ছাড়ানোর প্রয়াশ করতে লাগ্লাম বাট আমি ব্যার্থ।

জীম করা বডির সাথে কি আর আমার মতো পুঁচকি পারবে??!!
এদিকে উনি হাঁসতে হাঁসতে শেষ।

অয়নঃ কি তোমার দম শেষ? আচ্ছা আমি কি তোমাকপ খেতে দেইনা এক্টুও শক্তি নেই শরীরে (হাঁসতে হাঁসতে)

আমি কিচ্ছু বললাম নাহ মুগ্ধ হয়ে লোকটার হাঁসি দেখতে লাগলাম হাঁসলে উনাকে অনেক সুন্দর লাগে! এই হাঁসি দিয়ে যেনো যে কারো মন উনি চুরি করতে পারেন আচ্ছা উনি তো সবসময় হাঁসতে পারেন নাকি কেন শুধু শুধু গম্ভির থাকে? হাঁসি যে উনার চেহারায় বড্ড মানায় তা কি উনি জানেন? উহু জানেন না। নাহলে এইভাবে সবসময় রাগি রাগি ভাব করে থাকেন কেন উত্তর জানা নেই আমার কিন্তু বড্ড জানতে ইচ্ছা আমার!! আমাকে এইভাবে তাঁকিয়ে থাকতে দেখে উনি ভ্রু কুচকে তাঁকিয়ে বলে–

এইভাবে তাঁকিয়োও না রিমিপরী
প্রেমে পড়ে যাবে ❤️

।।
।।
।।
সুমাইয়াঃ এইসব কি হচ্ছে??

ফারহানঃ চুপচাপ গাড়িতে উঠো

সুমাইয়া ঃ কেন উঠবো?(রেগে)

ফারহানঃ তুমি উঠবে নাকি সবার সামনে তুলে নিয়ে যাবো???

সুমাইয়া এবার ভয় পেলো কেননা সে জানে এই ছেলেকে দিয়ে কোনো বিশ্বাস নেই!!

সুমাইয়া আর কিছু না ভেবে
অগত্যা গাড়িতে উঠে পড়লো!!

ফারহান ড্রাইভ করছে আর আরচোখে সুমাইকে দেখে যাচ্ছে
সুমাইয়া কে যেনো সিম্পলো বেশ সুন্দর লাগে!!

ফারহান অফুস্টস্বরে বলে উঠলো–

এইভাবে আর কতদিন আমাকে দূরে দূরে রাখবে তুমি বলতে পারো??

সুমাইয়া ঃ কাছেই বা কখন এসেছেন??

ফারহানঃ আসতে চাই

সুমাইয়া ঃ আমি চাইনা

ফারহানঃ এতো অভিমান?

সুমাইয়া ঃ অভিমান সে তো আপনজন এর সাথেই হয়

ফারহানঃ আমি আপন নয়??

সুমাইয়াঃ ছিলেন কবে

ফারহান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল
সে জানে সে অন্যায় করেছে সুমাইয়ার সাথে কিন্তু সে ফিরে যেতে চায় কিন্তু সুমাইয়া কি তাকে আর এক্সপেক্ট করবে?অবশ্যই করবে কেন করবে না??সে। মানুষ মাত্র -ই তো ভুল!!

।।।।
।।।।
।।।?

এদিকে আমি কোনোরকম সাইকোটার হাত থেকে ছাড়া পেলাম হুহ কি বলে আমি তাও অই সাইকোটার প্রেমে পড়বো ইম্পসিবল।।

কিন্তু তাও যেনো মনের এক কোনে সুপ্ত এক অনুভুতি জাগ্রত হচ্ছে যার উত্তর জানা নেই আমার।

চায়ের কাপে এক বড় চুমুক বসিয়ে দেয় মিসেস কলি। চা খেয়ে তিনি বেশ তৃপ্তি পেয়েছেন তা উনার চেহারায় বেশ পরিলক্ষিত।।

মিসেস কলিঃ তুই এতো ভালো চা বানাতে পারিস তা তো আগে জানতাম নাহ??

রিমিঃ কীভাবে জানবে?তুমি তো আমাকে কাজ ই করতে দাও না(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)

কলিঃ ইসস আমার এইটুকু একটা মেয়েকে আমি কাজ করতে দিবো মাথা খারাপ? বাড়িতে এতো সার্ভেন্ট থাকতে আর যদি আমার অয়ন শুনে সে তো বাড়িতে হানগামা লাগিয়ে দিবে

আমি কিছু বললাম নাহ চুপ করে রইলাম।

ভালোমা আবারও বলে উঠলো–

দেখমা আমি জানি আমার ছেলেটার ভালোবাসা প্রকাশ এর মাধ্যম অন্যরকম যা একেবারেই ঠিকনা কিন্তু বিশ্বাস কর ও তোকে অনেক ভালোবাসে।।

ভালোমা আর কিছু না বলে চায়ে আবারো চুমুক দিতে লাগলেন,,

ভালোমার কথায় যেনো অনেক ভালোলাগলো ?উনি আমাকে ভালোবাসেন

।।।।??
সোফায় বসে বসে বই পড়ছি সাইকোটার জন্য তো ভার্সিটি ভর্তি হতে পারছিনা নিজে নিজেই পড়তে হচ্ছে কি এক জ্বালা।। কিন্তু বায়োলজির একটা অধ্যায় কিছুতেই মাথায় ঢুকছেনা ঢুকবে কীভাবে? ক্লাস নাইনেই আমার সব থেকে বিরক্ত লাগলো এই বায়োলজির চ্যাপ্টার। কি সব জীব দের কাহিনি বাবারে বাবা মাথা নস্ট করার মতো কান্ড যা আমার বরাবরই বেশ বিরক্ত লাগে।।

অয়ন বাসায় ঢুকার সাথে সাথেই খেয়াল করলো রিমি মনোযোগ দিয়ে কি যেন একটা দেখছে
সম্ভবত বায়োলজির বই!!

অয়ন রিমির কাছে গিয়ে বলল–

কোনো প্রব্লেম!!

এম্নেই মাথা গরম তার মধ্যে এই লোকটা!!

রিমিঃ আপনি আমাকে এইভাবে বন্ধী করে রেখেছেন এতে আমার পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে এইভাবে আর কতদিন?

উনি যেনো আমার কথা শুনলেন না এমন একটা ভাব নিয়ে বললেন!!

কোন চ্যাপ্টার টা বুঝতে পারছোনা দাও বুঝিয়ে দিচ্ছি

এই বলে উনি বই টা নিয়ে নিলেন–

আমি কিছু বলবো তার আগেই আবারোও উনি বলে উঠেন–

দেখো বেশি কথা না বলে পড়া শুরু করো!!

আমি আর কি এই সাইকোটার সাথে পারবো??

তাই নিজের প্রব্লেমটা দেখালাম উনিও সুন্দর করে একেবারে সহজ করে আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন আর আমিও যেনো সহজে বুঝতে পারছি।
উনাকে একেবারে টিচার টিচার লাগছে আমি মুগ্ধ হয়ে উনাকে দেখছি।।




।।।


#প্রথম_অধ্যায়
বাকিটা আগামী পর্বে!!
চলবে কি?
কালকে ছোট্ট একটা ধামাকা দিবো?
অনেক সুমাইয়া ও ফারহান এর ব্যাপার ক্লিয়ার না তাদের আস্তে আস্তে বুঝিয়ে দিবো
আর অয়নের অতীতও ক্লিয়ার করবো।।
(কেমন হয়েছে জানাবেন কিন্তু)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here