প্রেমময়নেশা ৭

0
622

#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-৭
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
অয়নঃ আমি অনেক খারাপ তাইনা রিমিপরী সাইকো আমি।আমার সাথে তোমার থাকতে ইচ্ছা করেনা ঠিক আছে চলে যাও তুমি পায়েলের মতো আমি আর বাঁধা দিবো নাহ!!আমি কিন্তু তোমাকে অনেক ভালোবাসি
আমি খানিক্টা নিচু হয়ে অয়নের কথা শুনার চেস্টা করছি জ্বরের ঘুরে কি যেন বিড়বিড় করে যাচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিনা কিন্তু শেষের কথাটা কানে বড্ড বাজছে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি!! বলা হয় মানুষ নাকি জ্বরের ঘরে সত্যি কথা বলে!! কীভাবে জ্বরের মধ্যেও আমাকে নিয়ে বিড়বিড় করছে অজান্তেই মুচকি হেঁসে দিলাম!!
কিন্তু জ্বরটাও অনেক বেড়েছে এদিকে ভালোমা ও ঘুমিয়ে পড়েছে এখন ভালোমা কে ডাকা ঠিক হবেনা অনেক্ষন তো জেগে ছিলো!! তাই ভাবলাম আমিই জলপট্টি দিয়ে দেই। যতই হোক উনি মানুষ এই অবস্হায় চলে যাওয়া ঠিক হবেনা। যেই ভাবা সেই কাজ কিচেনে গিয়ে ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে নিলাম সেই গুলো বাটিতে দিয়ে নিয়ে আসলাম বরফটা জ্বরের জন্য বেশ ভালো এতে তাড়াতাড়ি তাপমাত্রা খানিকটা স্বাভাবিক হবে!! সাদা কাপরের টুকরো দিয়ে উনার কপালে জলপট্টি দিতে শুরু করলাম.। খেয়াল করলাম উনি জ্বরের মধ্যে কেমন একটা কাঁপছে এম্নিতেই জানুয়ারি মাস বাইরে কিছুটা শীত পড়েছে আমি কম্বল টা উনার গাঁয়ে ভালো করে জড়িয়ে দিলাম। তাতেও যেন উনার কাঁপুনি কমছে না এখন কী করবো? এদিকে উনি কাঁপছেন জ্বরের মধ্যে আর কিছু না ভেবে উনাকে আমি শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম উনি আমাকে জ্বরের মধ্যে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছেন মনে হচ্ছে আমাকে একটু ছেড়ে দিলেই আমি পালিয়ে যাবো।আমার হার্টব্রিট অনেক দ্রুত বিট করছে উনার এতো কাছে আসাতেই কি আমার হার্টব্রিট ফাস্ট হচ্ছে? কি জানি উনার বুকে মাথা রেখে আমি যেনো উনারোও বুকের হার্টব্রিট বুঝতে পারছি যেনো উনার সব হার্টব্রিট বলে দিচ্ছে এইখানে শুধু রিমিপরীর বাস!! আমার কি হলো কে জানে? আমি আবেশে চোখজোড়া বন্ধ করে নিলাম হার্টব্রিট গুলো অনুভব করতে লাগলাম।।

হঠাৎ মিসেস কলি ঘুম থেকে উঠে পড়েন রিমি ও অয়নকে এই অবস্হায় দেখে তার চোখ কপালে পরস্পর পরস্পরকে জড়িয়ে আছে তারপর কলি খেয়াল করে টেবিল জলপট্টির বাটি রাখা কলির আর বুঝতে বাকি রইলো না কাজটা কার।
কলি ঃ তাহলে শুধু আমার ছেলেটাই না আমার রিমিটাও পাগলটাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে
আমার আর এখানে থাকার দরকার নেই!!( মনে মনে)
কলি মুঁচকি হেঁসে নিশব্দে বেড়িয়ে আসে
।।
।।
।।?
এদিকে,,
ফারহান আজ অনেক টায়ার্ড আজ তার সিলেট যাওয়া হলোই না কোনো একটা কারনে।। সে নিজের ফ্লাট এর চাবি দিয়ে দরজা খুলে দেখে তার বাবা এখনো উপন্যাস পড়ছেন!!

ফারহানঃ বাবা এতো রাত হলো এখনো তুমি ঘুমাওনি?

বাবাঃ নাহ রে আসলে ঘুম আসছিলো না

ফারহানঃ মা কোথায়?

বাবাঃ তোর মা ঘুমিয়ে পড়েছে আসলে জানতো না তুই আজ আসবি তাহলে একটু অপেক্ষা করতো

ফারহানঃ ভালোই হয়েছে এম্নিতেও মায়ের প্রেশার আছে রাত জাগা মায়ের জন্য ঠিক না!!

বাবাঃ হুম!!

ফারহানঃ এখন তুমিও ঘুমিয়ে পড়ো!!

বাবাঃ আরেক্টু পরে নেই!!

ফারহানঃ নাহ নাহ আর না এখন ঘুমাতে যাও

অগত্যা ফারহানের বাবার ঘুমাতে যেতে হলো!!

ফারহান ফ্রেশ হয়ে নিজের জন্য হাল্কা সেনেকক্স বানাতে লাগলো এতো রাতে ভারি খাবার খাওয়া ফারহান খেতে পছন্দ করেনা।

এদিকে,,
রিমির বাবা আনমনে খাচ্ছে
সবার মন আজকাল খারাপই থাকে!!

রিমির বাবাঃ এইভাবে আর কতদিন

সুমাইয়া ঃ বাবা আমরা তো পুলিশকে ইনফোর্ম করেছি কিন্তু লাভই হচ্ছেনা

রিমির বাবাঃ হবে কীভাবে আমাদের মেয়েই তো স্বীকার করেনা ওকে আটকানো হয়েছে বরং সে নাকি নিজের ইচ্ছায় সেখানে আছে এইটা বলছে

রিমির মাঃ আমার মনে হয় মনে হয় কি আমি সিউর অই ছেলেটাই কোনো একটা ভয় দেখিয়েছি

সুমাইয়া ঃ সেইটা তো আমরাও বুঝতে পারছি


।।
আমার কেন জানি উনার বুকে মাথা রেখে বেশ শান্তি লাগছে কেন লাগছে জানিনা কিন্তু অনেক লাগছে কীভাবে যেনো ঘুমিয়ে পড়ালাম,,

সকালে,
ভোরের আলো ঘরে প্রবেশ করতেই ঘুম ভেজ্ঞে যায় অয়নের!! বুকে ভারি কিছু অনুভব করতেই বিস্ময় নিয়ে তাঁকায় অয়ন।নিজের হাতে নিজেই চিপ্টি কাটে সে যা দেখছে সে সত্যি দেখছে তো??
তার রিমিপরী তাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে ভাবতেই শরীরে এক আলাদা শিহরন বয়ে যায় অয়নের!কিন্তু ঘুমন্ত রিমিকে দেখে তার চোখ অটোমেটিক আটকে যায় কি মায়াবী সেই চেহারা। এই চেহারাকে দেখেই সে হাজার হাজার বছর পার করে নিতে পারবে!!
তখনি মিসেস কলি আসে

কলিঃ ঘুম ভাজ্ঞলে তোর?

অয়নঃ মা আস্তে রিমিপরী ঘুমাচ্ছে

কলিঃ আচ্ছা(মুঁচকি হেঁসে)
এখন শরীর কেমন লাগছে

অয়নঃ মেডিসিন তো উনি(রিমিকে উদ্দেশ্য করে) দিয়েই রেখেছেন
এখন কীভাবে অসুস্হ থাকতে পারি?কিন্তু মা রিমিপরী এখানে কিভাবে?

কলিঃ আরে শুন আমি যখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তখন তো রিমিই তোকে জলপট্টি দিচ্ছিলো।আচ্চা তুই থাক আমি একটু আসছি
এই বলে মিসেস কলি চলে যায়

অয়ন অবাক হয়ে রিমির দিকে তাঁকিয়ে আছে এইভাবে সে রিমিকে এতো অত্যাচার করলো আর সেই রিমিই তাকে জলপট্টি দিচ্ছিলো তার মানে কি রিমিও তাকে এর উত্তর জানে না অয়ন

অনেক কথা কানে আসায় ঘুম ভেজ্ঞে যায় আমার চোখের সামনে অয়নকে দেখে ধরফরিয়ে উঠে পড়ি আমি।

রিমিঃ আপনি? এখানে কেন?

অয়নঃ আমি না আপনিই আমার রুমে আমার বিছানায় আমাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন(বাঁকা হেঁসে)

তখনি আমার রাতের কথা মনে পড়ে যায় ইসস কালকে রাতে অইভাবেই আমি ঘুমিয়ে ছিলাম!!

রিমিঃ আসলে হয়েছে কি( আমতা আমতা করে)

অয়নঃ কি হলো হট ছেলেকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারোনি বুঝি রিমিপরী(বাঁকা হেঁসে)




#প্রথম_অধ্যায়
।বাকিটা আগামী পর্বে
চলবে কি?
(আজ আমার মামাতো ভাইয়ের জন্মদিন তাই অনেক বিজি ছিলাম তাই একটু দেরি হয়েছে
আর অনেকে আমাকে বলেছে স্কুল বন্ধ ক্লাস কীভাবে করে আরে ভাই অনলাইন ক্লাস করি)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here