প্রেমময়নেশা ২৪+২৫

0
327

#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-২৪
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
(প্রথমে কিছু কথা বলে নেই।আপ্নারা সবাই নিয়মিত পাঠক পাঠিকা তাই আপ্নারা সবাই জানেন একজন লেখিকা যখন গল্প লেখে তখন সব কিছু আগে থেকে ভেবে তারপর একটি গল্প লেখে। পর্ব ২৩ পড়ার পর থেকে আমাকে নানানজন নানান কথা বলছেন কেউ বলছে বিয়ে দেওয়ার পরে করতেন।পায়েলকে কেন গল্পে আনলেন?আবার অয়নের কিছু হলে গল্পই পড়বো নাহ। আপনাদের কমেন্টে আমি অনেক হতাশ হয়েছি আপনাদের কাছ থেকে এইটা আশা করিনি। আপনাদের কথা অনুযায়ী আমি যদি আমার প্লট চেঞ্জ করি আমার গল্প তো ছন্নছাড়া হয়ে যাবে। আর এখুনি আপনার এতো হতাশ হচ্ছেন কেন? গল্পের কিছুই শুরু হয়নি এখনো মাত্র প্রথম অধ্যায় চলছে এখনো দ্বিতীয় অধ্যায় বাকি আছে। তাই আশা করি সবাই গল্পটির শেষ পর্যন্ত থাকবেন। গল্পেতে কিছু টা হলেও ভিন্নতা পাবেন)
রিমি অয়নের পথ পানে চেয়ে আছে এখনো। রিমির মা রিমির কাছে এসে বলে উঠে- তোর উচিৎ ছিলো ছেলেটাকে আটকানো। আমি মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলাম- একজন মানুষের থেকে বিয়ে আগেনা
মা বলে উঠলো- আরো অনেক ডক্টর আছে তো।
আমি বলে উঠলাম- উনি তো বললেন অনেক ক্রিটিকাল পেশেন্ট। উনি ছাড়া ওটি টা কেউ পারবেনা। মা বলে উঠলো-বুঝিনা তোদের ব্যাপার বাপু। মিসেস কলিকে সবটায় ফোনে বলছে সানা। মিসেস কলি বলে উঠেন- তোরা ওকে আটকাবি নাহ। সানা বলে উঠলো- বাবা। আশরাফ আংকেল সবাই যেতে মানা করেছিলো ভাইয়াই চলে গেলো।
মিসেস কলি ঃ রিমি কি করছে? সানা বলে উঠলো- জুনিয়ার ভাবির কথা আর নাই বা বললাম। ভাবিই উল্টো আটকানোর বদলে ভাইয়াকে যেতে বলেছে। মিসেস কলি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন সত্যি যেমন ছেলে তেমন ছেলের বউ। মিসেস কলি বলে উঠলো- আচ্ছা আমি অয়নকে ফোন করে নিচ্ছি দেখি কোথায় আছে। এইভাবে বিয়ের আসর থেকে যাওয়ার কোনো মানেই হয়না। সানা তাড়াতাড়ি ফোনটা রেখে চলল স্টেজ এর দিকে।
সুমুর বসে ছিলো ফারহান এসে বলে উঠলো-
চিন্তা করোনা অয়ন ঠিক চলে আসবে। ফারহানকে দেখে সুমু নরেচরে উঠলো।
ফারহান সুমাইয়া হাত শক্ত করে ধরে বলে উঠলো-
কালকে রাতে আমি তোমাকে ফোন করেছিলাম তুমি জানতে না।
সুমাইয়া চুপ হয়ে রইলো।
ফারহানঃ নিরবতা সম্মতির লক্ষন।
তাহলে না কেটে ধরে রেখেছিলো।
সুমাইয়া ঃ জানিনা
প্রতিউত্তরে ফারহান হেঁসে দিলো।
ফারহানঃ আমাকে কি প্লিয একবার সুযোগ দাওনা
ফারহান আবারও বলে উঠলো-
যেদিন আমি থাকবো নাহ সেদিন আফসোস করবে।
সুমাইয়া ছলছলে চোখে ফারহান এর দিকে তাঁকিয়ে আছে।
ফারহান চলে যায়।

অয়ন কোনোরকম ফাস্ট ড্রাইভ করে হসপিটালের গেটে পৌছায়। হসপিটাল এর দাড়োয়ান অয়নকে বিয়ের সাজে দেখে বেশ অবাক হয়। তার ধারণামতে অয়নের এখন বিয়ের আসরে থাকা কথা। অয়নকে আসতে দেখে তিনি তাড়াতাড়ি অয়নের কাছে ছুটে যান। তিনি বলে উঠেন-
অয়ন স্যার আপনি এখানে এমন সময়ে?

অয়ন বলে উঠে-
হসপিটালে নাকি অনেক ক্রিটিকাল পেশেন্ট এডমিট হয়েছে তাই

দাড়োয়ান অবাকের সুরে বলে উঠে-
পেশেন্ট ভর্তি হয়েছে মানে কি?
আজ তো তেমন কোনো পেশেন্ট ভর্তি হয়নি

অয়নঃ ওয়াট(চিল্লিয়ে) কিসব যাতা বলছেন?
অয়ন তাড়াতাড়ি হসপিটালের গেটে ঢুকে সব নার্স ডক্টরদের ডাকতে থাকে।

সবাই অয়নকে এই অবস্হায় দেখে অনেক টায় অবাক হয়ে যায়
তারা অয়নের কাছে এসে বলে উঠে-ডক্টর অয়ন আপনি এই অবস্হায় কেন?

অয়ন বলে উঠে- আমাকে হসপিটাল থেকে ইনফোর্ম করা হয়েছে। একজন ক্রিটিকাল পেশেন্ট এডমিট হয়েছেন।

সবাই অয়নের কথা বেশ অবাক হয়েছে তা তাদের মুখেই স্পস্ট।

ডক্টর সৈকত বলে উঠে-
এইরকম কোনো পেশেন্ট আসেনি ডক্টর অয়ন।

অয়নঃ মানে কি এইসব এর আমাকে এই হসপিটাল থেকেই ইনফোরমেশন দেওয়া হয়েছে।

সৈকতঃ আচ্ছা তুমি নাম্বার টায় আরেকবার কল করে দেখো।
আমাদের মধ্যে তো এমন কেউ ই করে নাই।

অয়ন তাই করলো। ফোন হাতে নিয়ে নাম্বার টায় কল করে দেখলো এখন তা বন্ধ।

অয়ন ঃ নাম্বার টা তো অফ।

সৈকতঃ এইগুলো কেউ মজা করে করেনি তো?

ডক্টর ইসান বলে উঠে-
আজকে অয়নের বিয়ে তার বিয়ের দিনে এইরকম বাজে মজা কে করবে?

অয়ন হাত-মুসঠিবদ্ধ করে বলে উঠে-
আমি তো তাকে খুজেই বের করবো। আপতত আমার যাওয়ার দরকার।

ডক্টর সৈকতঃ আজকে তোমার বিয়ের দিন আসা ঠিক হয়নি অয়ন।

অয়নঃ আমারো তাই মনে হয়

ডক্টর ইসানঃ বেস্ট অফ লাক মাই বয়। তুমি এখন তাড়াতাড়ি যাও।
অয়নঃ ধন্যবাদ!

অয়ন তাড়াতাড়ি বেড়িয়া যায়।
অয়ন বেড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই আড়ালে একজন ছেলে ডক্টর কাউকে কল করে!

—-হ্যালো স্যার!
——-+++
—–জ্বী স্যার আপনার কথা মতো অয়ন চৌধুরীকে আনিয়েছি।
——-++++
হ্যা স্যার এখন অয়ন চৌধুরী গাড়িতে উঠবে
——–++++
—///আপনার প্ল্যান মাফিক সব হচ্ছে। এখন আমার টাকা টা
——-
—আমি আজই বাংলাদেশ এর বাইরে চলে যাচ্ছি নাহলে আমি পরে ধরা পড়ে যেতে পারি। আমার ডক্টরের লাইসেন্স ও চলে যেতে পারে।

——++++

—-ঠিক আছে। আমি আজই বেড়িয়ে পড়বো।

এই বলে সে ফোনটি কেটে দেয়।

এদিকে। আমি পাইচারি করে যাচ্ছি।চারদিকে
রুশান আংকেল আমার কাছে এসে বলে উঠে-
অয়ন মনে হয় আর কিচ্ছুক্ষন এর মধ্যেই চলে আসবে।

আমি বলে উঠলাম- আমারো তাই মনে হয়।

মুখে আমি যাই বলিনা কেন আমারোও এখন প্রচন্ড টেনশন হচ্ছে। কেমন যেনো ঠিক লাগছেনা। উনি কখন আসবেন।।

তখনি বাবা বলে উঠে- কাজি সাহেব চলে এসেছেন।
অয়ন কোথায়?

রুশানঃ আমি ফোন দিচ্ছি আমার মনে হয় এখুনি চলে আসবে।

এই বলে অয়নকে রুশান ফোন দিতে থাকে।

কাজি সাহেব এসে বলে উঠেন-
বিয়ের কণে কোথায়?

মা আমাকে নিয়ে স্টেজে বসিয়ে দেয়।

কাজি সাহেবঃ মেয়ে তো এসেছে কিন্তু বর কোথায়?
সবাই কি উত্তর দিবে বুঝতে পারছেনা

রুশান বলে উঠে-
বর হসপিটলের একটি ওটি টে আছে।
কিছুক্ষন এর মধ্যেই চলে আসবে।

কাজি সাহেবঃ আরে তাড়াতাড়ি করুন আমার আরো জায়গায় বিয়ে পড়াতে যেতে হবে।

আশরাফ সাহেবঃ জ্বী আমরা দেখছি।

এদিকে,,
একজন গাড়ি হাই স্প্রিডে চালিয়ে যাচ্ছে। তখনি সে খেয়াল করে তার গাড়ির ব্রেক ফেল হয়েছে আউট অফ কন্ট্রোল। বাংলাদেশে এসে এইরকম পরিস্হিতি তে পড়তে হবে সে ভাবেনি। খালামনির সাথে আজ দেখা করতে এসেছে সে কিন্তু একি এইটা কি হচ্ছে।।

সে যথাসম্ভব নিজেকে কন্ট্রেোল করার চেস্টা করছে।
কিন্তু পারছেনা

——
রুশান এসে বলে উঠে-
আমি ফোন করে যাচ্ছি কিন্তু অয়নকে ফোনে পাচ্ছিনা। আমি বসা থেকে উঠে দাঁড়াই।

আমি বলে উঠলাম- পাচ্ছেন না মানে কি?

রুশানঃ অনেক বার ট্রাই করলাম কিন্তু পাইনি আমি।

আশরাফ সাহেবঃ আমার মনে হয় হসপিটালে একবার খোঁজ নেওয়া দরকার আমি বরং ফোন দিয়ে দেখি

আশরাফ সাহেব ফোন দিতে যাবে তাএ আগেই রুশান বলে উঠে-
আমি দিচ্ছি। আপনার দেওয়ার লাগবেনা

আশরাফ সাহেবঃ ঠিক আছে।

সুমু এসে আমার পাশে দাঁড়ায়। সবার মুখেই চিন্তার ভাজ।

ফারহানঃ অয়নের ফোন অফ অয়ন তো এইরকম করার ছেলেনা

আমার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো।
সুমুঃ এইরে তুই কা্ঁদছিস কেন ভাইয়া ঠিক ফিরবে।

এদিকে অয়ন ও নিজের গাড়ির প্রতি কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছে।

অয়নঃ আমার গাড়ির ব্রেক ফেইল হয়েছে ওহ মা গড!
নাহ আজকে আমাদের বিয়ে আমার রিমিপরী আমার পথ চেয়ে বসে আছে আমাকে গাড়ি থেকে বের হতেই হবে।

অয়ন নিজের সবোর্চ্চ চেস্টা করছে কিন্তু সে ব্যর্থ।
হঠাৎ অয়নের গাড়ির সামনে একটি গাড়ি চলে আসে। অয়ন তার চোখ বন্ধ করে ফেলে তখনি রিমির মুখ ভেসে উঠে অজান্তেই অয়নের চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।

অয়ন অফুস্টস্বরে বলে উঠে-
অনেক অনেক ভালোবাসি আমার রিমিপরী!
তোমার সাইকো তোমাকে বড্ড ভালোবাসে। ভালো থেকো! তোমাকে দেওয়া কথা বোধহয় রাখতে পারলাম নাহ।

#প্রথম_অধ্যায়

চলবে।।।
(আশা করি সবাই আমার অবস্হা বুঝতে পারবেন)

#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-২৫(প্রথম_অধ্যায়ের অন্তিম)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)
(এইটা একটা সাইকো স্টোরি তাই এই গল্পের মেইন চরিত্র কে সেইটা হয়তো বলে দিতে হবেনা)
একজন নিজের গাড়ির কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলছে তখনি তার সামনে অয়নের গাড়ি চলে আসে। সে নিজেকে বের করার চেস্টা করছে কিন্তু এখন সে বুঝে গিয়েছে তার বাঁচার উপায় নেই। তখনি তার ফোনে একটা ফোন আসে সে দেখে ইশা নামটি। তার চোখ টলমল হয়ে উঠে সে বুঝে গিয়েছে আর হয়তো তার ইশা কে দেখতে পারবেনা। সে বলে উঠে-
ইশা সুইটহার্ট টেক কেয়ার ডেয়ার!
তখনি একটা বড় সংঘর্ষ হয় দুটো গাড়ির। তার পাশেই ছিলো খাঁদ। এতো বড় সংঘর্ষে একটি গাড়ি খাদের পড়ে যায়। রাস্তার মানুষ হতবাক। এইভাবে কয়েক সেকেন্ডে যে এতো বড় ঘটনা ঘটে যাবে তারা ভাবেনি। তখনি একটা গাড়ি থামে সেখানে সে কাউকে কল করে কল করার সাথে সাথে কিছু লোকজন গাড়ির সামনে চলে আসে। তাদের কথা অনুযায়ী তারা ঘটনা গ্রস্ত গাড়ির দিকে যায় যেখানে একটি গাড়ি আছে যেটা খাদে এখনো পড়ে যায়নি। তারা গাড়িতে ঢুকতে গেলে মানুষেরা এসে বলে উঠে- আপ্নারা কার?
–আমরা হসপিটালের মানুষ ভিক্টিমকে নিতে এসেছি এই লাশটির পরিবার আমাদের ইনফোর্ম করেছেন। আরেকটি গাড়িতো খাদে পড়ে গিয়েছে সেইটা পুলিশ বের করবে। সেই ভিক্টিম এতক্ষনে মনে হয় মারা গিয়েছে।

লোকজন আর কিচ্ছু বলতে পারলো না
। তারা লোকটা কে তাদের এম্বুলেন্স এ নিয়ে যায়। তারা এমনভাবে নিয়ে গিয়েছে যে লোকজন লোকটার চেহারা ও দেখতে পারলো নাহ। আদোও সে মৃত্য কিনা জীবিত তাও তাদেএ ধারণার বাইরে।
লোকজন তাড়াতাড়ি পুলিশ দের ফোন করে ব্যাপার টা জানায়। তখনি পাশের গাড়ির লোকটাকে কাউকে কল করে-
হ্যালো ম্যাম! আপনার কথামতো আমাদের লোক কাজ করে ফেলেছে।কিন্তু এখানকার লোকেরা পুলিশ কে ইনফোর্ম করছে কী করবো?
ঠিক আছে ম্যাম। আপনি কোনো চিন্তা করবেন না সব হয়ে যাবে। আরে ম্যাম আপনার নুন খেয়েছি আপনার থালায় ছিদ্র করবো নাহ। আর বাকিটার জনয় স্যার তো আছেনই।
লোকটা ফোন টা রেখে গাড়ি নিয়ে চলে যায়।

এদিকে আমার কিচ্ছু ভালে লাগছে নাহ। অয়নের ফোন এখনো অফ। রুশান আংকেল বলে উঠে-
হসপিটাল থেকে নাকি অয়ন অনেই আগেই বেড়িয়ে গিয়েছে।

সবাই অবাক!

আমি বলে উঠলাম- কিহ

ফারহানঃ তাহলে এখন অয়ন কোথায়?

আশরাফ সাহেবঃ ওটি কখন শেষ হয়েছে?

রুশানঃ অনেক আগেই নাকি ওটি শেষ করে অয়ন বেড়িয়ে পড়েছে এইটাই তে বললো ওরা।

আমি কেঁদে বলে উঠলাম- তাহলে উনি কোথায়?

রুশানঃ সেটাই তো বুঝতে পারছিনা।

একদিকে উনি নাকি অনেক আগেই হসপিটাল থেকে বেড়িয়ে গেছেন তার মধ্যে ফোন টা তো অফ।
উনি কোথায়?

সুমু আর মা মিলে আমাকে সামলাচ্ছে।।

মাঃ কাঁদেনা মা দেখবি অয়ন বাবা ঠিক চলে আসবে।

রিমিঃ কিন্তু কখন আসবে? এতোক্ষনে তো চলে আসার কথা
।।

সবাই টেনশনে শেষ যে অয়ন কোথায়?

তখনি হন্তদন্ত হয়ে মিসেস কলি ও রুশনি আসে।

ভালো মা কে দেখে আমি তার কাছে ছুটে যায় এবং তাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেই।

ভালোমাঃ কাঁদেনা আমার মা। আমি চলে এসেছি তো।

কাঁদার ফলে আমার গলা থেকে যেনো আওয়াজ ও যেনো বের হচ্ছেনা তাও বলে উঠলাম-
উনাকে ফোনে পাচ্ছিনা

ভালোমাঃ হ্যা! আমি সব শুনেছি ফোনে তাই তো ছুটে চলে এসেছি।। গার্ডসদের পাঠিয়ে দিয়েছে অয়ন এর খবর পেয়ে যাবে তারা।

আমি তাও কেঁদে যাচ্ছি

রুশনি বলে উঠে-
এখন ন্যাকা কেঁদে কি হবে? আগে স্বামীকে আটকাতে পারলেনা তা না করে আরো যেতে দিলে। যত্তসব ঢং।

মিসেস কলি ধমক দিয়ে বলে উঠে-।তুই চুপ করবি।?

রুশানঃ আমি যথাসম্ভব চেস্টা করছি। খবর পেয়ে যাবো।।

।।।।।।।
এদিকে,,,,
অচেনা কেউ বলে উঠে-
এইটাকেই বলে এক তীরে দুই পাখি মারা।।
চৌধুরী দের কাছ থেকে অনেক হিসাব বাকি ছিলো।
আজ তা শোধ হয়ে যাবে। এদিকে আমাদের পথের কাটা ও থাকলো নাহ বাহ। আমিও কি সেই সুন্দর প্লেন করি।

আরেকজন বলে উঠে-
সত্যি তোমার তারিফ না করে পারা যায়না। আমাদের রাস্তা ক্লিয়ার হয়ে যাচ্ছে।

অয়ন চৌধুরী অয়ন চৌধুরী এই নাম টা শুনলেই আমার রাগে মাথা ধপ করে জ্বলে উঠে ওর জন্য আমি সব কিছু হারিয়েছি আজ ওর কাছ থেকে ওর জান রিমিপরীকে আমি কেড়ে নিলাম।

আরেকজন বলে উঠে- সহমত। বাকিটা উনিই করে নিবেন।
আমরা এমনভাবে সবটা সাজিয়েছি কেউ আমাদের ধরতেই পারবেনা হা হা হা।

আরেকজন বলে উঠে-
অয়ন চৌধুরী কিন্তু হেরে যাওয়ার ছেলে নাহ।

সে বলে উঠে-
কিন্তু আমাদের কাছে অয়ন চৌধুরী হারতে বাধ্য হা হা হা।( শয়তানি হাঁসি দিয়ে)

(লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌসি রিমি)
।।।।।।
এদিকে,,,
আমরা সবাই টেনশনে বসে আছি। কাজি সাহেব অপেক্ষা করে চলে গিয়েছেন। আমি এখনো বিয়ের সাজে স্টেজে বসে আছি।
ফারহান ভাইয়াকে আসতে দেখে আমি ছুটে যাই তার কাছে।

আমি বলে উঠলাম-
ভাইয়া উনার খবর পেয়েছেন কি?

ফারহান ভাইয়া চুপ।

ফারহান ভাইয়া কে চুপ থাকতে দেখে আমি অনেক টায় অবাক!

রিমিঃ কি হলো ভাইয়া চুপ করে আছেন কেন?

আশরাফঃ অয়ন এর খবর পেয়েছো কি?

ভালোমাঃ কোথায় আমার ছেলে কোথায়?

হঠাৎ ফারহান ভাইয়া কেঁদে উঠলেন। ভাইয়া এইভানে কেঁদে উঠায় আমাদের মনে একপ্রকার ভয় ঢুকে গেলো।
আমি বলে উঠলাম-
কি হলো আপনি কাঁদছেন কেন?

রুশান আংকেলও চুপ।

আমি ফারহান ভাইয়ার কলার চেপে ধরে বলে উঠি-
আপনি শুনছেন না আমার কথা? বুঝতে পারছেন না???
আমার অয়ন কোথায়?
ফারহান ভাইয়া কেঁদেই যাচ্ছেন।
সুমুঃ কি করছিস কি ছেড়ে দে
সানাঃ জুনিয়ার ভাবি শান্ত হও।
সুমু আমাকে বারবার ছুটানোর চেস্টা করছে কিন্তু আমি বলেই যাচ্ছি–কি হলো বলুন আপনার বন্ধু কোথায়??
ফারহান ভাইয়া হাত জোড় করে বলে উঠে-।আমি বলতে পারবো নাহ আমার বলার ক্ষমতা নেই।
মিসেস কলি রুশান এর কাছে গিয়ে বলে উঠে-
আমার ছেলে কোথায়???

রুশান ও কেঁদে উঠে-

আশরাফ সাহেব ও উনার স্ত্রী অনেক কস্টে রিমিকে আটকায়।

তখনি কিছু পুলিশ ঢুকে তাদের দেখে আশরাফ সাহেব বলে উঠে- অফিসার আপ্নারা এখন এখানে?

অফিসার ঃ আসলে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে।

আমি বলে উঠলাম- কিসের ঘটনা?

রুশনিঃ হ্যা কি হয়েছে?

মিসেস কলি ঃ আমার ছেলে ঠিক আছে তো?

রুশানঃ মায়ের মন তো ছেলের জন্য ছটফট করেছে।

অফিসারঃ আসলে আজকে দুপুরের দিকে দুটো গাড়ির সংঘর্ষে বিরাট বড় এক্সিডেন্ট হয় খাদের কাছে। একটি গাড়ি খাদে পড়ে যায়।
এবং আমাদের ইনফোর্মেশন অনুযায়ী খাদে যে গাড়িটি পড়েছে সে গাড়িটি অয়ন চৌধুরীর। এবং আমাদের মতে অয়ন চৌধুরী ইজ ডেইড

সবাই স্তব্ধ হয়ে যায়।
আমি দুপা পিছিয়ে যাই।।
নাহ এইটা হতে পারেনা। মিসেস কলি অজ্ঞান হয়ে যায়। সানা আর রুশনি মিলে মিসেস কলিকে ধরে তারাও কেঁদে দেয় কেউ এইটা আশা করেনি।
আমি পাথর হয়ে রয়েছি।
আশরাফ সাহেব ও তার স্ত্রীও এমনটা মোটেও আশা করেননি।

আমি বলে উঠলাম- নাহ এই উনার কিচ্ছু হয়নি কিচ্ছুনা

আশেপাশের সবাই বলাবলি করছে
আহারে আজকে মেয়েটার বিয়ে ছিলো কতই স্বপ্ন ছিলো নতুন জীবন নিয়ে মেয়েটা সহ্য করতে পারবে তো?

—হুম দেখ এখনো বিয়ের সাজ রয়ে গেছে এখনো

আমি চিৎকার করে বলে উঠলাম- বললাম নাহ আমার অয়নের কিচ্ছু হয়নি।

ফারহান কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলো-
আজ বন্ধুর বিয়ের দিনে এসে তার মৃত্য দিন দেখতে হবে তা কোনোদিন ভাবেনি।

আমি বলে উঠলাম- এই আপনার এইসব কি বলছেন? আজকে আমাদের বিয়ে ছিলো
উনি বলেছেন রিমিপরী তোমাকে আমার মিস্টি বউ করে নিয়ে যাবো। উনি উনার কথা রাখবেন না? আমাদের তো একসাথে সংসার করার কথা ছিলো।

রিমির মা রিমির কথা শুনে চোখের জল ফেলছেন
আশরাফ সাহেব ও একেবারে ভেজ্ঞে পড়েছেন।
নিজের আদরের ছোট মেয়ের বিয়ের দিন তার স্বপ্ন একেবারে ভেজ্ঞে যাবে তা তিনি কল্পনা করেননি।

আমি আবারও বলে উঠলাম-
এই দেখো আমাকে সুন্দর লাগছেনা?? লাগারি তো কথা। উনির পছন্দ মতো আজ আমি সেজেছি। বিয়ের বেনারশীতে। উনি তো আমাকে ভালো করে দেখলেন ও নাহ

সবার চোখে জল চলে আসলো রিমির কথা শুনে। একটা মেয়ের কত স্বপ্ন ই না থাকে এই বিয়ে নিয়ে।

প্রেস-মিডিয়া জোড়ো হয়ে যায়। ডক্টর অয়ন চৌধুরীর মৃত্যুর খবর পেয়েছে তাই। ফ্রন্ট পেজে আসবে।

রিমি কাউকে কিছু না বলে বেড়িয়ে গেলো।
রিমিকে বেড়োতে দেখে রিমির বাবা-মা ফারহান ও সুমু ও ছুটলো।
রিমির সেই হাল্কা গোলাপী বেনারশী আগোছালো সাজে পায়ে আলতা। একটি লাইন খুব মনে পড়ছে,,

লাল শাড়ি পড়িয়া কন্যা,,
রক্ত আলতা পায়ে ??

রিমি রাস্তার মাঝবরাবর চলে আসে
সবাই তাকে সড়ে যেতে বলছে কিন্তু সে নড়বার পাত্রি নয়।
রাস্তার লোকজন জোড়ো হয়ে যায়।
আমি কোনোরকম কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলে উঠি-
আজ সারা রাস্তায় সকলের সামনে আমি রিমি বলছি আমার সাইকো ফিরবে। আমার সাইকো যদি আমাকে ভালোবেসে থাকে আমাদের ভালোবাসা যদি সত্যি হয়ে থাকে এক আল্লাহ ছাড়া পৃথিবীর কোনো শক্তি অয়ন চৌধুরীকে আটকাতে পারবেনা। সে ঠিক ফিরবে তার রিমিপরীর কাছে।
সবাই রিমির দিকে চেয়ে থাকে।
।আমি ধপ করে বসে পড়ি চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়েই পড়ছে


।।।
।চলবে।
(পর্ব-২৬ থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় অধ্যায়)
(আমি আপনাদের প্যাচের রানি আপু আমার গল্পে প্যাচ থাকবেনা তা কি করে হয়?)
।।।।।।।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here