#প্রেমপ্রেয়সী
#পর্ব_২২
#লেখিকা_N_K_Orni
— তুমিও তো রাহিয়াকে ভালোবাসো না। তাহলে ওকে বিয়ে করার জন্য ওইদিন এমনটা করলে কেন?
কথাটা শুনে রুদ্র কিছুটা ভয় পেয়ে গেল।
— আপনি এসব কীভাবে জানতে পারলেন?
রুদ্রের মুখের এমন অবস্থা দেখে তার সামনের লোকটা জোরে হেসে উঠল। তারপর হাসি থামিয়ে বলে উঠল,
— আমি আরও অনেক কিছুই জানি। আচ্ছা আমি তোমাকে প্রথম থেকে সবকিছু বলি। তাহলে তোমার সবকিছু বুঝতে সুবিধা হবে।
— কি বলবেন আপনি?
— আমি রাহিয়াকে ছোট থেকেই পছন্দ করি। কিন্তু তোমার সাথে ওর বন্ধুত্ব আমার একদমই পছন্দ ছিল না। পরে যখন জানতে পারলাম রাহিয়া তোমাকে পছন্দ করে তখন তো আমি তোমাকে মে*রেই ফেলাতাম। কিন্তু তুমি নিরাকে ভালোবাসো বলে ওকে রিজেক্ট করে দেও। তারপর তখন আর আমার তোমার উপর রাগ থাকে না। কারণ তোমার সাথে ওর আর সম্পর্ক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ও দেশে ফিরতেই তুমি আবার ওর সাথে আগের মতো হতে শুরু করলে। তাই আমি তোমাকে ওইদিন সাবধান করার জন্য হু*মকি দিয়েছিলাম।
— তার মানে ওই দিন আমার গলায় যেই লোকটা ছু*রি ধরেছিল সেটা আপনি ছিলেন?
— না। আমি ছিলাম না। কিন্তু যে ওটা করেছিল সে আমারই লোক ছিল। কিন্তু তুমি আবারও রাহিয়ার পেছনে পড়ে গেলে। এজন্যই তোমাকে খু*ন করতে আমি লোক পাঠিয়েছিলাম। ঠিক খু*ন করতে নয়, তুলে আনতে। কিন্তু ওই দিন তোমার ভাগ্য খুবই ভালো ছিল। ওই সময় তুমি যেসব কথা বলছিলে সেসব কথা আমি সব শুনে ছিলাম। আমি কি কি শুনে ছিলাম শুনবে?
— কি শুনে ছিলেন আপনি?
— এইযে তুমি এখনো নিরাকেই ভালোবাসো। ওর জায়গা তুমি কাউকেই দিতে চাও না। তুমি রাহিয়ার সাথে শুধু নাটক করছ। কারণ তুমি ওর থেকে প্র*তিশো*ধ নিতে চাও। তুমি মনে করো নিরার তোমাকে ছেড়ে যাওয়ার পেছনে রাহিয়া দায়ী।
কথাটা শুনে রুদ্রের মুখ বন্ধ হয়ে গেল। সে আর বলার কিছু পেল না।
— এজন্যই তো তোমাকে ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি ওকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে? এজন্যই তো ওইদিন তোমার ওই রকম অবস্থা করেছিলাম আর সাথে রাহিয়ার থেকে দূরে থাকার কথাও বলেছিলাম। কিন্তু তুমি আমার কথা না শুনে আবার ওর কাছে গেলে। এজন্যই আজ তুমি এখানে।
এটুকু বলেই লোকটা থেমে গেল। তারপর দাঁতে দাঁত চেপে বলে উঠল,
— ওইদিন যদি জানতাম তুমি আমার কথা শুনবে না তাহলে তোমাকে সেদিন আর ফিরতে দিতাম না, ওখানেই শে*ষ করে দিতাম। আমি তোমাকে হু*মকি দেওয়ার পরও তুমি আমার কথা না মেনে আবার ওর কাছে গেলে। এজন্য এখন তো তোমাকে শা*স্তি পেতেই হবে। ইশশ! আসল দোষ করল একজন আর শা*স্তি পাবে অন্য আরেকজন।
রুদ্র তার শেষের কথার মানে বুঝতে পারল না। তাই সে অবাক হয়ে বলে উঠল,
— মানে?
লোকটা এবার উঠে গিয়ে তার কানের কাছে মুখ নিয়ে কিছু কথা বলল। রুদ্র এবার চুপ হয়ে গেল। সে কিছুটা আ*তঙ্ক নিয়ে বলে উঠল,
— আমাকে প্লিজ ছেড়ে দিন স্যার। আমাকে এবারের মতো সুযোগ দিন। আমি আর কখনো রাহিয়ার দিকে তাকাবো না। আর আমি তো ওকে ভালোই বাসিনা। প্লিজ আমাকে মা*রবেন না স্যার।
— এই কথাগুলোই তো আমি শুনতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু তুমি অনেক দেরী করে ফেলেছ বেবী। এখন এসব বলে কিছুই করার নেই। কিন্তু তুমি চিন্তা করো না তোমাকে আমি এতো তাড়াতাড়ি মা*রব না। তোমাকে তো নির্দিষ্ট সময় মতো মা*রব। ততদিন পৃথিবীতে আনন্দ করো।
বলেই সে চলে যেতে নিল। হঠাৎ তার কিছুটা একটা মনে পড়তেই আবার রুদ্রের কাছে ফিরে এলো। তারপর আবার তার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে উঠল,
— তুমি সেই সময় যেন কি বলে ছিলে? রাহিয়ার বিয়ে হয়ে গেছে। তাই আমি আর তাকে পাবো না? তুমি বড্ড বোকা। তুমি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলে বলে তোমার ওই অবস্থা করেছিলাম। তাহলে অন্য কাউকে কীভাবে ওকে বিয়ে করা পর্যন্ত যেতে দিতাম? বিয়ে ঠিক হয়ে গেল, বিয়ের দিনও চলে এলো। কিন্তু আমি কিছু করে না করে চুপ করে বসে থাকব? এসব কেন হলো বুঝতে পারোনি? কারণ ওটা আমি ছিলাম। এজন্যই রাহিয়ার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরও আমি তাকে পেয়ে গেছি।
বলেই সে ওখান থেকে বেরিয়ে গেল। রাহিয়ার বিয়ে হয়েছে চারদিন হয়ে গেছে। আজকে রাহিয়া তার বাসায় যাবে। আজকে নিরাও আসবে। সে গতকালই ফিরে এসেছে। এজন্যই তার বাবা তাদের আজকে ডেকেছেন। দুই মেয়েকে তিনি একসাথে ডেকেছেন কারণ নিরা রাহিয়ার বিয়েতে ছিল না। সকালের দিকে তূর্য রাহিয়াকে নিয়ে তার বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ল। রাহিয়া তো খুব খুশি এতোদিন পর বাসায় যেতে পারছে ভেবে। যদিও সে চারদিন আগেই বাসা থেকে এসেছে। কিন্তু তার মনে হচ্ছে সে যেন অনেক দিন তার বাড়িতে যায় না। রাহিয়ার বাসায় পৌঁছেই রাহিয়া ওর বাবা মাকে জড়িয়ে ধরল। ওনাদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর ওরা রুমে চলে এলো। নিরা তখনো আসেনি। রাহিয়া ফ্রেশ হয়েই তার মায়ের কাছে চলে এলো।
— আম্মু ভাইয়া কোথায়? ওকে দেখছি না।
— ও একটু কাজে গেছে। চিন্তা করিস না দুপুরের আগেই চলে আসবে। আমরা নিরাকেও আসতে বলেছি। সে হয়তো একটু পরেই চলে আসবে।
— আচ্ছা আম্মু নিরা আমার বিয়েতে কেন আসেনি? ও কি সত্যিই ঘুরতে গেছিল? নাকি ওকে তোমরা বলোনি?
— না ওকে বলেছিলাম। কিন্তু ও ঘুরতে যাওয়ার জন্য আসতে পারেনি। এজন্যই তো আজকে আসতে বলেছি।
— ওহ।
এসব বলতে বলতেই বাসায় কলিং বেল বেজে উঠল। মিসেস নাদিয়া যেতে নিলে রাহিয়া ওনাকে আটকে নিজেই চলে গেল। সে জানে যে এখন নিরা এসেছে। সে গিয়ে দরজা খুলতেই নিরাকে সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। সে আজকে একাই এসেছে। তার স্বামীর অফিস থাকায় সে তাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে। নিরা ভেতরে আসতেই রাহিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে উঠল,
— বিয়ের এতো তাড়া যে আমাকে রেখেই করে ফেললি? আমার তোর বিয়েতে আসার অনেক ইচ্ছা ছিল। আমিও দেখতে চেয়েছিলাম যে তুই কীভাবে আমার ব্যবহৃত জিনিস নিস?
রাহিয়ার তার সব কথা বুঝলেও শেষের কথা বুঝতে পারল না। তাই সে অবাক হয়ে বলে উঠল,
— মানে?
— মানে এই যে তুমি আমার ব্যবহৃত জিনিস নিয়েছিস। ভুলে যাস না রুদ্র আমার বয়ফ্রেন্ড ছিল।
নিরা বিয়ের সময় না থাকায় জানত না যে রাহিয়ার বিয়ে অন্য কারো সাথে হয়েছে। যেহেতু রুদ্র তখন রাহিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম সে ভেবেছিল রাহিয়ার বিয়ে হয়তো রুদ্রের সাথে হচ্ছে।
— কিন্তু এখানে রুদ্রের কথা কীভাবে আসছে?
কথাটা শুনে নিরা কিছু বলতো তার আগেই ওখানে মিসেস নাদিয়া চলে এলেন। তিনি ওদের দিকে তাকিয়ে বলে উঠল,
— তোরা দুই বোন এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছিস কেন? ভেতরে চল আগে। পরে দুজনে কথা বলিস।
উনি চলে আসায় নিরা আর কিছু বলতে পারল না। এরপর ওরা দুজন ভেতরে চলে গেল। নিরা ভেতরে গিয়েই ওর বাবাকে দেখতে পেল। সে গিয়ে তার বাবার সামনে বসে কথা বলতে শুধু করল।
— বাবা তুমি কিন্তু এটা ঠিক করোনি। আমাকে রেখেই তুমি আপুর বিয়ে দিয়ে দিয়েছো। আর তুইও আমাকে রেখে বিয়ে করে ফেললি আপু?
— তুইও তো আমাকে রেখেই বিয়ে করতে চেয়েছিলি। এখন আমি করলে কি সমস্যা?
মিসেস নাদিয়া ওদের দুজনের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবতে লাগলেন,
— তোদের দুজনের সম্পর্কটা যদি সত্যিই এমন হতো তাহলে অনেক ভালো হতো।
— রাহিয়া তুমি যাও তূর্যকে ডেকে নিয়ে এসো। নিরার সাথে ওর পরিচয় করিয়ে দিতে হবে তো?
নিরার তার বাবার কথা শুনে ওনার দিকে তাকালো। সে কিছুটা অবাক হয়ে বলে উঠল,
— বাবা তূর্য কে?
— তুমি তো রাহিয়ার বিয়েতে ছিলে না। তাই ওকে চেনো না। সমস্যা নেই আমি এখন তোমার সাথে তূর্যর পরিচয় করিয়ে দিব। রাহিয়া যাও ওকে ডেকে নিয়ে এসো।
— আচ্ছা বাবা।
বলেই রাহিয়া ওখান থেকে উঠে তার রুমে চলে গেল। একটু পর সে তূর্যকে সাথে করে নিয়ে ওখানে এসো। তূর্যকে দেখতেই রায়ান সাহেব নিরাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন,
— নিরা এখন পরিচিত হয়ে নেও। এই যে তূর্য। ও তোমার আপুর হাসবেন্ড। ওর সাথেই তোমার আপুর বিয়ে হয়েছে। তুমি বিয়েতে ছিলে না তাই ওকে চেনো না।
কথাটা শুনে নিরা অবাক হয়ে তূর্যর দিকে তাকালো। তারপর তার বাবার দিকে তাকালো।
— তূর্য এটা হচ্ছে নিরা। নাম তো শুনেইছো। কিন্তু তুমি ওকে দেখোনি কখনো।
নিরার এসব কথা শুনে মনে মনে ভাবতে লাগল,
— ওহ তার মানে রাহিয়ার বিয়ে রুদ্রের সাথে না হয়নি। কিন্তু রুদ্রের তো রাহিয়াকে বিয়ে করার কথা ছিল। উফফ! এই ছেলেটা একটা কাজও ঠিক মতো করতে পারে না। ওর জন্য আমার সব প্লান নষ্ট হয়ে গেল।
রাহিয়া নিরাকে চিন্তা করতে দেখে মুচকি হেসে মনে মনে বলল,
— বোকা বোন আমার। তুই কি ভেবেছিলি আমি রুদ্রকে বিয়ে করব? আমার রুচি এতোটাও খারাপ না যে এতোকিছুর পরও ওকে বিয়ে করব।
— বাবা আমি এখন যাই। ফ্রেশ হয়ে একটু বিশ্রাম নিতে চাই। ভাইয়া আপনার সাথে নাহয় পরে কথা বলব।
বলেই নিরা উঠে গেল। তূর্য তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবল,
— বে*চারী নিশ্চয়ই আমার জায়গায় রুদ্রকে দেখবে ভাবছিল।
দুপুরের পর রাহিয়া নিরার রুমে গেল।
— ডেকেছিলি কেন আমাকে?
— তুই না রুদ্রকে পছন্দ করতি? তাহলে ওকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে কেন বিয়ে করলি?
— কিন্তু রুদ্র তো তোর বয়ফ্রেন্ড ছিল। তাহলে আমি কেন ওকে বিয়ে করব? তোর ব্যবহৃত জিনিসে আমার কোনো আগ্রহ নেই। এমনিতেও ওর কথা ভেবে কি লাভ? তুই তো ওর সাথে শুধু প্রেমের নাটকই করেছিস। এখন ওকে নিয়ে এতো চিন্তা কেন?
— আমি ভেবেছিলাম তুই ওকে বিয়ে করবি।
— হ্যাঁ আর তখন তুই আমাকে নিয়ে মজা করবি। এইসব চিন্তাভাবনা বন্ধ কর। আমি একটা কথা বুঝি না তুই কেন আমাকে অপছন্দ করিস? আমি তো তোর বোন তারপরও তুই আমার সাথে এসব করিস কেন?
— কারণ আমি আগেও বলেছি। আমার তোকে সহ্য হয় না। আমি তোকে হিংসা করি। কারণ সবাই আমাকে না তোকে ভালোবাসে। সবাই সবসময় তোকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
— কেন সবসময় এসব ভাবিস? এসব কিছুই না। সবাই তোকেও পছন্দ করে। আমরা তো এসব ভুলে গিয়ে ভালো ভাবেও থাকতে পারি।
— ভালো হওয়ার নাটক বন্ধ কর। তোকে সবাই পছন্দ করে বলে সবার সামনে নিজেকে মহান প্রমাণ করিস। যেই রুদ্র তোকে প্রত্যাখ্যান করেছিল সে আবার তোর পেছনে পড়েছিল বলে তোর খুব অহংকার হয়েছিল তাই না? রুদ্র আমাকে বাদ দিয়ে তোকে ভালোবাসছে দেখে খুব খুশি হয়েছিলি তাই না? আসলে এসব কিছুই না। রুদ্র তোর সাথে ওসব নাটক করেছে।
কথাটা শুনে রাহিয়ার ভ্রু কুচকে এলো।
— অবাক হচ্ছিস? আসলে এসব আমার প্লান ছিল। আমি রুদ্রের কাছে আমার ডায়রি দিয়েছিলাম। আর ওখানে এমন কিছু লিখেছি যাতে তার মনে হয় আমি তোর জন্য ওকে বিয়ে করছি না। তাই ও তোর থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নাটক করছিল। এইবার ওকে না বললে ও ঠিকই তোকে বিয়ে করে প্রতিশোধ নিত।
বলেই সে একটা পৈ*শাচিক হাসি দিল। আর রাহিয়া অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে রইল। তার দুই চোখে অজস্র অশ্রু এসে ভীড় করেছে। সে ভাবতেই পারছে না তার ছোট বোন তার সাথে এমনটা করতে পারে। সে তাকে এতো ঘৃণা করে? সে আর এসব সহ্য করতে না পেরে মলিন হেসে দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল। রুম থেকে বের হতেই একটু দূরত্বে সে তূর্যকে দেখতে পেল। তাকে দেখে সে থেমে গেল।
— আপনি সব শুনে ফেলেছেন তাই?
রাহিয়ার কথাটার উত্তরে সে কিছুই বলল না শুধু একটা মুচকি হাসি দিল। এতে রাহিয়ার আর বুঝতে বাকি রইল না যে তূর্য সব শুনে ফেলেছে।
— তার মানে আপনি শুনে ফেলেছেন সব। তাহলে এটাও নিশ্চয়ই শুনেছেন আমি আগে রুদ্রকে পছন্দ করতাম। আপনি…
তূর্য রাহিয়াকে আর কিছু বলতে দিল না। তার হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে গেল।
— যাও তৈরি হয়ে এসো। আমি আর তুমি এখন একটু ঘুরতে যাব। ঘুরতে গেলে তোমার মন ভালো হয়ে যাবে। যাও দ্রুত তৈরি হয়ে এসো।
কিছুক্ষণ পর রাহিয়া তৈরি হয়ে এলো। সে তূর্যর সামনে এসে বলে উঠল,
— আমি যে রুদ্রকে পছন্দ করতাম এটা শুনে আপনার খারাপ লাগছে না? আমি আপনাকে এই বিষয়ে আগেও বলতে চেয়েছি। আমার জীবনে ও ছাড়াও আরও একজন ছিল সে…।
তূর্য এবার তার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে দিল। এতে রাহিয়া চুপ হয়ে গেল। তারপর সে রাহিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,
— অতীত অতীতই হয় আর আমি এসব শুনতে চাই না। এখন চলো আমরা একটু বাইরে যাব। এসো।
বলেই সে রাহিয়ার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল। রাতে রাহিয়া তার রুমে বারান্দায় বসে ছিল। বেশ কয়েকদিন পর সে এখানে এসেছে তাই তার খুব ভালো লাগছিল। হঠাৎ তার ফোনে একটা কল এলো। সে ফোনে হাতে নিতেই স্ক্রিনে সাবার নাম ভেসে উঠল। স্কিনে সাবার নাম দেখতেই সে একটা ঢোক গিলল।
চলবে,,,
( ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। )