প্রিয়দর্শিনী পর্ব ৬

0
1499

#প্রিয়দর্শিনী🧡
#প্রজ্ঞা_জামান_তৃণ
#পর্ব_৬

”১৩ নাম্বার কেবিনে পেসেন্ট প্রিয়দর্শিনীর গার্ডিয়ান কি আপনি?”

মধ‍্যবয়স্ক একজন ডাক্তার উদগ্রীব হয়ে আবিদকে জিগ্যেস করল। আবিদের অস্থিরতা বেড়ে গেছে!টেনশনে জমে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রিয়দর্শিনীর চিন্তা অর্ধেক কাবু করে ফেলেছে তাকে। মনে মনে ভয় পাচ্ছে তার ‘দর্শিনী’ ঠিক আছে তো। সুস্থ স্বাভাবিক মেয়েটার হুট করে কি থেকে কি হয়ে গেল। আবিদ উত্তেজিত হয়ে জিগ্যেস করল,

‘জ্বী আমি’ই! কি হয়েছে?প্রিয়দর্শিনী ঠিক আছে?’

‘এর্লাজিক রিয়েকশন খুবই সেন্সিটিভ ইস‍্যু’স! স্ট্রবেরিতে উনার এর্লাজি আছে আগে জানতেন না? ভাগ‍্যিস দ্রুত হসপিটালে নিয়ে এসেছেন নাহলে শ্বাস রোধ হয়ে হার্ট ব্লক হওয়ার চান্সেস ছিল। উনাকে প্রতিষেধক ইন্জেক্ট করা হয়েছে। এখন একটু বিশ‍্রাম নিচ্ছে। একটা বিদেশী ঔষধ লাগবে জেল টাইপ ফার্মেসী থেকে কাউকে আনতে পাঠান। উনার শরীরে যে অংশটুকু লাল র‍্যাসেসে ফুলে ছিল ওই ঔষধ দিলে ঠিক হয়ে যাবে। ত্বকের অসস্থিকর প্রভাব কমে যাবে। দ্রুত ব‍্যবস্থা করুন !’

আবিদ একটু দুশ্চিন্তা মুক্ত হলো। মধ‍্যবয়স্ক ডাক্তারকে ছোট্ট করে ধন্যবাদ জানিয়ে হসপিটালের সাথে যে ফার্মেসী রয়েছে সেখানে গেলো। প্রিয়দর্শিনীর স্ট্রবেরিতে এর্লাজি অথচ কেনো খেয়ে নিলো? এই প্রশ্নের উত্তর খুজে পেলোনা। সবাই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ঔষধ নেওয়ার জন‍্য অপেক্ষা করছে। আবিদ এতবড় লাইন দেখে টাস্কি খেলো। আবিদের মনে হলো এতোবড় লাইনে অপেক্ষা করার প্রশ্নই আসেনা সময় স্বল্পতা রয়েছে। তবে এখানে তার পাওয়ার ইউজ করতে পারবে। এমনিতে বিপদে পরেছে। সে সাথে প্রিয়দর্শিনীকে নিয়ে প্রচন্ড দুশ্চিন্তায় আছে। আবিদ ধীর পায়ে সামনে এগিয়ে গেলো। ফার্মেসীর লোকটি তাকে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাড়াঁতে বলল। আবিদ ওয়ালেট থেকে আইডি কার্ড বের করে দেখালে লোকটি মৃদু ঢোক গিলে বলল,

‘আসসালামু আলাইকুম স‍্যার। জ্বী, কোন ঔষধ লাগবে প্রেসকিপশন দেখি?’

আবিদ প্রেসকিপশনে লেখা নামটা দেখিয়ে বলে,

‘এইটা।’

আবিদ বিল প‍েমেন্ট করে ঔষধ নিয়ে চলে আসে। আশেপাশের মানুষ হা করে তাকিয়ে দেখে। আবিদ কারো পরোয়া না করে চলে আসল। সবাই দেখল,চুপচাপ মেনে নিলো,কিন্তু কেউ কিছু বলার সাহস পেলনা।

প্রিয়দর্শিনীর ঘুম ভেঙ্গে গেছে অনেকক্ষণ, এখন মোটামুটি সুস্থ। কেবিনে শুয়ে থাকতে ভালো লাগছেনা তার। না জানি সবাই কতো টেনশন করছে। প্রিয়দর্শিনীর শরীরের লাল, লাল দাগ গুলো বিবর্ণ হতে শুরু করেছে। র‍্যাসেসের জন‍্য জ্বালাপোড়া, চুলকানি ভাব নেই। আবিদ কেবিনে আসতে’ই ইতস্তত হয়ে প্রিয়দর্শিনী চোখ টিপে বন্ধ করে নেয়। আবিদকে দেখা মাত্র’ই হঠাৎ বুকে ঢিপঢিপ শব্দ শুরু করেছে। সে এই মানুষটির দিকে কিভাবে তাকাবে? ভিষণ লজ্জা করছে তার। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যাবে প্রিয়দর্শিনী কল্পনা করতে পারেনি। আবিদ বুঝতে পারে প্রিয়দর্শিনী জেগে আছে। কিন্তু সেই ঘটনার জন‍্য আবিদের সামনে পরতে চাইছে না। আবিদ নিজেও অসস্থিতে রয়েছে।

আবিদ যখন লিফ্ট থেকে অর্ধচেতন প্রিয়দর্শিনীকে নামাচ্ছিল তখন তার প্রচন্ড শ্বাসরোধ হয়ে আসছিলো। আবিদ তখন হন্তদন্ত হয়ে দ্রুত দাড়োয়ানকে গাড়ি পার্ক করতে বলে। প্রিয়দর্শিনীকে গাড়িতে বসানোর পর ড্রাইভ করতে শুরু করে আবিদ। এদিকে প্রিয়দর্শিনী শ্বাসকষ্টে প্রচন্ড ছটফট করতে থাকে। আবিদ প্রিয়দর্শিনীর মুখের দিকে তাকিয়ে কি করবে বুঝতে পারেনা। হুট করে প্রিয়দর্শিনীর অসুস্থতায় সবকিছু উল্টাপাল্টা হয়ে গেছে। আবিদের কাছে একটা উপায় এসেছে কিন্তু প্রয়োগ করার সাহস পাচ্ছে না। ভয়ংকর রকম দুঃসাধ্য কাজটা করতে প্রিয়দর্শিনীর পারমিশন লাগবে। আবিদ অবচেতন মনকে শাসন করে।একপর্যায়ে প্রিয়দর্শিনী শ্বাস আটকে কাশতে থাকে। আবিদ চিন্তিত হয়ে গাড়ি থামিয়ে দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে উপায় না পেয়ে আবিদ আ’ত’ঙ্ক গ্রস্ত হয়ে বলে,

‘লিসেন দর্শিনী আমি একটা দুঃসাহস দেখাব। আমি জানিনা আপনি বিষয়টি কেমন ভাবে নিবেন বাট আম হেল্পলেস। আমি শুধু তোমার আম সরি আপনার সুস্থতা চাই।’

কথাটা আবিদ এতো দ্রুত বলল যে আপনি তুমি সব গুলিয়ে ফেলেছে। প্রিয়দর্শিনী আবিদের গমরঙা মুখে তার প্রতি অস্থিরতা লক্ষ‍‍্য করছে। আবিদ আর একদন্ড সময় নষ্ট করেনা। অসস্থি কাটিয়ে প্রিয়দর্শিনীর দিকে ঝুকে গিয়ে নরম কোমল গোলাপী ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে কৃত্রিমশ্বাস দিতে থাকে। প্রিয়দর্শিনী আ’ক’স্মি’ক চমকে চোখ বন্ধ করে নেয়। আবিদের দুঃসাহস দেখানোর মানে সে প্রথমে বুঝতে পারেনি। যখন বুঝলো দেরী হয়ে গেছে। প্রিয়দর্শিনী প্রচন্ড কাপঁতে থাকে তার জীবনের প্রথম চুমু, প্রথম স্পর্শ সেটাও স্বপ্ন পুরুষটির থেকে। যদিও এটা চুমু বলা যায় না। ‘ইট ওয়াজ আ এক্সিডেন্ট’। প্রিয়দর্শিনী স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিতেই আবিদ তাকে ছেড়ে দেয়। পুরো ঘটনাটি এক্সিডেন্টলি হয়েছে তবুও আবিদ বড্ড অশান্ত। আবিদের ভিতরের সত্তা অসস্থি দূর করতে বলে উঠে,

‘তুই বিপদে পড়া একটা মেয়েকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়েছিস। ‘ইট ওয়াজ আ এক্সিডেন্ট নাথিং এলস্’। এতো পাপ বোধ করার মানে হয় না। মেয়েটি তোর উডবি বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে নে।’

আবিদ গাড়ি স্টার্ট দিয়ে প্রিয়দর্শিনীর দিকে তাকায়। মেয়েটি লজ্জায় মাথা নুইয়ে রেখেছে। বেশকিছুক্ষণ সময় পার হবার পরও প্রিয়দর্শিনী মাথা নিচু করে আছে। এতে আবিদের অপরাধ বোধ হয়। কিন্তু আবিদ তো এমনটা চায়নি বড্ড হেল্পলেস ছিল সে। আবিদ কন্ঠে গম্ভীরতা বজায় রেখে বলে,

‘আপনি ঠিক আছেন দর্শিনী?’

প্রিয়দর্শিনী মৃদু কেপেঁ উঠে। যখনি আবিদ তাকে উষ্ণতার সঙ্গে ‘দর্শিনী’ বলে তার ভিতরে অনুভূতিরা জলচ্ছ্বাসের মত আছড়ে পড়ে। প্রিয়দর্শিনীর শ্বাস প্রশ্বাস এখনো স্বাভাবিক হয়নি কোনরকম মাথা নুইয়ে হ‍্যা বলে। হসপিটালে পৌঁছে প্রিয়দর্শিনীকে জুরুরি বিভাগে চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রাশিদা পারভীনের নিকট ট্রিটমেন্টের ব‍্যাবস্থা করা হয়। হসপিটালে অবস্থান রত প্রতিটা সময় আবিদ প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে ছিল। হসপিটালের বিল সহ, প্রতিটা প্রয়োজনে সুন্দর ভাবে দায়িত্ব পালন করেছে প্রিয়দর্শিনীর স্বপ্ন পুরুষটি।

আবিদ হসপিটালের করিডোরে মাইক্রোফোনে কথা বলছে। আশরাফ মুহতাসিমকে’ই সমস্ত ঘটনা খুলে বলছে।যেহেতু উনার পারমিশনে প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। কিন্তু মাঝখানে কতো বড় দূর্ঘটনা ঘটল। আশরাফ মুহতাসিম আবিদের মুখে ঘটনা শুনে চিন্তিত বি’স্মি’ত। আবিদ শুধু চিরকুটের বিষয়টি গোপন করল। এদিকে বাকি সব শুনে আশরাফ মুহতাসিম আবিদের দো’ষ খুঁজে পায়না। আবিদ তো জানত না প্রিয়দর্শিনীর এর্লাজির ব‍্যাপারে। ‘স্ট্রবেরি’ প্রিয়দর্শিনীর একদম চক্ষুশূল তবে কেনো খেতে গেলো? আশরাফ মুহতাসিম আবিদকে ধন্যবাদ জানায় প্রিয়দর্শিনীকে প্রটেক্ট করার জন‍্য। আবিদ সবাইকে হসপিটালে আসতে বলে ফোন কেটে দেয়। আবিদ হাতে থাকা ফোনটা পকেটে রেখে সামনে তাকিয়ে দেখল তার বিশস্ত দু’জন গার্ডস্ প্রিয়দর্শিনীর ফ‍েন্ড’সদের নিয়ে হাজির। আবিদ সু’ক্ষ্ম নজরে আহানাফ নামের ছেলেটিকে পরক্ষ করে নিলো। ছেলেটা লম্বায় তার কানের নিচ পযর্ন্ত হবে, উজ্জ্বল ফর্সা,গোলগাল সাস্থ‍্যবান ছেলে। আহানাফ তার দিকে তাকিয়ে রাগে ফুসঁছে। আবিদ হাসলো এই পুচকে ছেলে প্রিয়দর্শিনীকে নিয়ে জেলাস হয়ে এতো তেজ দেখাচ্ছে। ইশশ! টক্কর দেওয়ার মানুষ পায়নি শেষে কিনা আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরীকে?আবিদের আজ প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হয়েছিল আহানাফের উপর। কি সব উল্টাপাল্টা বলতে শুরু করেছিল সেইসময়। ছেলেটাকে গার্ডস দিয়ে আটকে রাখা ভালো পদক্ষেপ ছিল। প্রিয়দর্শিনীর বন্ধুদের আত’ঙ্কগ্র’স্থ অবস্থা দেখে আবিদের মায়া হয়। সে নিজে ওদের কাছে গিয়ে বলে,

‘প্রিয়দর্শিনীর স্ট্রবেরিতে এর্লাজি ছিলো তোমরা জানতে না? নিষেধ করোনি কেনো?’

আ’ক’স্মি’ক ম‍্যাজিস্ট্রেট আবিদ শাহরিয়ারকে দেখে আহানাফ বাদে হতভম্ব। আহানাফ ক্লাস সেভেন থেকে ক্লাসমেট হলেও এইচএসসি ক‍্যান্টোরমেন্ট কলেজ থেকে দিয়েছে। কারণ বাবা আর্মি হবার সুবাদে তাদের কলেজ চেন্জ করতে হয়। যদিও বোর্ড এক ছিল। এইজন্য’ই আহানাফের আবিদ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। তবে হৃদি, দিয়া আর নাদিমের চোখে বি’স্ম’য় অবস্থা বিরাজমান। এইতো সেই আবিদ শাহরিয়ার চৌধুরী যাকে নিয়ে কতো মজা করেছ সবাই, প্রিয়দর্শিনীদের সঙ্গে। হৃদি আবিদের কথায় আমতা আমতা করে বলে উঠে,

‘স‍্যার আমি ওকে নিষেধ করেছিলাম। প্রিয় বেশি খায়নি কিন্তু তারপরও এর্লাজিক রিয়েকশন হয়ে গেলো। ঘটনাটি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল স‍্যার।’

আবিদ নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে। তার চোখ এখনো আহানাফে সীমাবদ্ধ। আহানাফ অন‍্যভাবে আবিদের দিকে তাকিয়ে আছে। তার চোখে অনেক ক্রো’ধ ফুটে উঠেছে মনে হচ্ছে সুযোগ পেলে আবিদকে শিক্ষা দিতে পিছিয়ে যাবেনা। আবিদের একজন টিন-এজ ছেলের মনভাব বুঝতে সময় লাগল না। আবিদ ভ্রু’কুচকে ভাবলো ছেলেটি হয়তো তার সম্পর্কে জানেনা। নাকি ইচ্ছে করে এমন দুঃসাহস দেখাচ্ছে? আবিদ, আহানাফের বিষয়টি কারো চোখে না পরলেও হৃদির চোখে পরেছে। হৃদি ভাবতে থাকে আহানাফ তাহলে আবিদ শাহরিয়ারকে ভুল বুঝে উল্টাপাল্টা বলেছে আর সবাই কতো চিন্তিত ছিল বিষয়টি নিয়ে।আহানাফ একনম্বরের গাধা ছেলে! হৃদি আবিদের দিকে তাকিয়ে সৌজন্যে হেসে বলল,

‘স‍্যার ও হচ্ছে আহানাফ আমাদের বন্ধু। ও একদম ইনোসেন্ট। আপনাকে চেনেনা। আপনাকে অপমান করর বিন্দুমাত্র ইনটেনশন ছিলনা ওর।এখানে একটু মিস -আন্ডাসটানিং হয়ে গেছে আপনি প্লীজ ওর কথায় কিছু মনে করবেন না। প্রিয়কে ঐভাবে নিয়ে যেতে দেখে বেচারি ভয় পেয়ে গেছিল। আপনার গার্ডসরা আমাদের সত্যিটা বলেছে বলে দুশ্চিন্তা মুক্ত আছি। ধন্যবাদ আমার বান্ধুবীকে বাচাঁনোর জন‍্য।’

আবিদ নির্বিকার সৌজন্য মূলক হাসি দিয়ে চলে যায়। আহানাফ ছেলেটা তার রাগের পরিসীমা বাড়িয়ে দিচ্ছে। আহানাফের দুঃসাহস প্রচুর নাহলে ওর সম্পর্কে জেনেও কোন ভয়ডর নেই কেনো? এই পুচকে ছেলের সামনে থাকলে আবিদ নিজেকে কন্ট্রল করতে পারবেনা উল্টাো চ’ড় মে’রে দিবে এর চেয়ে ভালো এখান থেকে আপাতত যাওয়া যাক।

আবিদ গেটের কাছে যেতেই আশরাফ সাহেব স্ত্রী, কন‍্যা, জামাই সহ উপস্থিত। আবিদ তাদের পাশে গিয়ে সৌজন্য মূলক আচরণ করে। উজান আবিদের সঙ্গে হাত মেলায়। আশরাফ সাহেবকে কেবিনের নাম্বার বলে আবিদ গাড়িতে উঠতে নেয়। এমন সময় চোখে পরে
প্রজ্জ্বলিনীকে,

প্রজ্জ্বলিনী রাগে আ’ক্রো’শপূর্ণ ক্রু’দ্ধ দৃষ্টিতে আবিদের দিকে তাকিয়ে আছে। তার ধারণা আবিদ প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে সবকিছু ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছে। আবিদ মৃদু তাচ্ছিল্যের মতো হেসে গাড়িতে উঠে বসে। প্রজ্জ্বলিনীর দৃষ্টিতে আবিদের জন‍্য ছিল আ’ক্রো’শ। অন‍্যদিকে আবিদের প্রজ্জ্বলিনীকে নিয়ে ভাবার সময় নেই।

#চলবে

| প্রিয় পাঠক আপনাদের রেসপন্স কমে যাচ্ছে কেনো? প্রতিদিন গল্প দেই তবুও রেসপন্স কমে গেলে কষ্ট লাগে। রেসপন্স করার অনুরোধ করছি। অবিরাম ভালোবাসা রইল!🧡|

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here