পারিজাত পর্ব ৬

0
1214

#পারিজাত
#নুজহাত_আদিবা
পর্ব ৬

সন্ধ্যার পর থেকেই বাড়ির উঠোনে কীসের যেন তোড়জোড় চলছে। পারিজা অস্থির হয়ে সিঁড়ি থেকে নিচের দিকে উঁকি দিলো। তবুও,কিছু বুঝতে না পেরে বড় জা উমার কাছে গেল। গিয়ে বললো,
— নিচে কীসের এত আয়োজন চলছে গো উমা দিদি? এত খাবার দাবার। বড় দাদা, মেজো দাদাও দেখি আজ আগে আগে চলে এসেছেন। বাবাও তো এসে পরেছেন দেখছি। কী হবে আজকে?”

উমা মুখ কালো করে পারিজাকে বললো,
— কেন তুই জানিস না বুঝি? আজ যে রবিবার। ”

পারিজা বিষ্মিত হয়ে বললো,
— কেন কী হয় রবিবারে?”

উমা মুখটা আঁচলে ঢেকে বললো,
— কী হবে সেটা তুই নিজেই দেখিস। বারবার আমাকে বিরক্ত করিস না তো! যা এখন এখান থেকে। ”

পারিজা উদভ্রান্তের মতো দাঁড়িয়ে রইলো। কী এমন হয় রবিবারে? বড় দিদিও যে কিছু বললো না। ওভাবে আঁচলে মুখ ঢেকে চলে গেল কেন? হঠাৎই নিচ থেকে গান বাজনার আওয়াজ ভেসে এলো। পারিজা দৌড়ে ওপর থেকে নিচ তলার দিকে উঁকি দিলো। কয়েকটা মেয়ে পায়ে ঘুঙুর পরে নাচছে। সামনে আলী আকবর এবং তাঁর বন্ধুরা বসে হুক্কা খাচ্ছে। সঙ্গে বসে আছে ওনার তিন ছেলে। পারিজা একবার ঘুরে তাকালো। ওয়াহেদকে সেখানে বসে থাকতে দেখে সবচেয়ে কষ্ট পেল। রাগে, ক্রোধে পারিজার চোখে জল চলে এলো। নিচে যেসব মেয়েরা নাচছে তাঁদের বাইজি বলা হয়। সমাজের চোখে এসব মেয়েরা খারাপ। ওয়াহেদের চোখেও তাঁরা খারাপ। তাঁদের পেশাটা তাঁদের কাজটা খারাপ। তবে, ওয়াহেদ সেখানে বসে বাইজিদের নাচ দেখে মনোরঞ্জন করছে কেন? পারিজা দাঁত ঠোঁটের নিচে চেপে ধরলো। আজ ওয়াহেদও তাঁর রাগ থামাতে পারবে না। কেউ পারবে না! শক্ত মুখে নিজের ঘরের দিকে এগিয়ে গেল।

মনোরঞ্জন শেষে সবাই সবার ঘরে ফিরে গেল। পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক। পারিজাকে দেখেও ওয়াহেদের তাই মনে হয়েছিল। কিন্তু, ঝড় হওয়ার পূর্বে পরিবেশ সবসময়ই শান্তশিষ্ট থাকে। সেটা যেন ভুলে গিয়েছিল বাড়ির সবাই।ওয়াহেদ নিজেও মনে রাখেনি সেটা। তাই তো হাসিমুখেই পারিজার কাছে ফিরে গিয়েছিল। ভাবসাব এমনই ছিল যাতে কিছুই হয়নি। ওয়াহেদ ঘরে ঢোকা মাত্রই হেসে গিয়ে পারিজাকে জড়িয়ে ধরেছিল। পারিজা ওয়াহেদের বাহুডোর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো। শক্তমুখে বললো,
— এরপর থেকে এই সাহস আর করো না।আমাকে স্পর্শ করার মতো সাহস তুমি প্রতিদিন একটু একটু করে হারাচ্ছো। এর বেশি হলে হয়তোবা কখনও দেখতেও পাবে না।”

ওয়াহেদের মুখে বিষ্ময়ের রেখা দেখা দিলো। শান্ত গলায় বললো,
— মানে?”

পারিজা ওয়াহেদের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললো,
— পতিতা, বাইজিরা নেহাৎই তোমাদের কাছে নষ্টা। একজন শরীরের বিনিময়ে টাকা উপার্জন করে। আরেকজন পরপুরুষের সামনে নৃত্য প্রদর্শন করে। যেসব নারীরা ঘরে স্বামী থাকতেও অন্য পুরুষের নিকটে যায় তাঁদেরকে তোমাদের ভাষায় তোমরা বলো বে**। তবে, যেসব পুরুষরা নিজের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অন্য নারী সন্যিকটে যায়। তাঁদের কী বলা উচিত? না কি এই মূখ্য সমাজের মানুষদের মতো বাহবা দেওয়া উচিত? ”

ওয়াহেদ পারিজার কথার কোনো জবাব খুঁজে পেল না। পারিজা যে আজকের ঘটনা নিয়েই ক্ষেপেছে। সেটা বুঝতে আর বাকি রইলো না ওয়াহেদের। ওয়াহেদ পারিজার দিকে নিষ্পাপের মতো তাকালো। এরপর পারিজার দিকে একটু এগিয়ে যেতেই পারিজা বললো,
— ওভাবে তাকিয়ো না আমার দিকে। তোমার চোখগুলো মোটেও নিষ্পাপ লাগছে না। যে-ই দৃষ্টি দিয়ে তুমি এখন আমার দিকে তাকাচ্ছো। সেই দৃষ্টিটা কিছুক্ষন আগে কিছু পরনারীর নৃত্যের দিকে ছিল। ওই দৃষ্টিতে আমার দিকে আর তাকিও না। আমার ঘৃণা হয়।”

ওয়াহেদ পারিজার মুখ থেকে এসব কথা শুনে চুপ করে রইলো। জবাবে কিছু বলার মতো ক্ষমতা তাঁর নেই। ওয়াহেদের জায়গায় তাঁর মেজো ভাই কিংবা বড় ভাই যদি থাকতো। তবে, বউদের দু’ঘা মেরে বসতো। কিন্তু, ওয়াহেদের সেই উপায় নেই। ওয়াহেদের সেই ক্ষমতাটুকু নেই। যেটা দিয়ে সে পারিজাকে আঘাত করতে পারবে। পারিজার ওপরে দূর্বলতা কাজ করে তাঁর। পারিজাকে সে কখনো মারতে পারবে না। জমিদার বংশ সম্পর্কে সাফ ধারণা না থাকায় হয়তো পারিজা এসব বলেছে। কিন্তু, এসব নিয়ে এই পরিবারে কোনো বিধিনিষেধ নেই। ছেলে মানুষ যা ইচ্ছে করতে পারে।সেসব নিয়ে কথা বলতে কেউই আসে না।

ওয়াহেদকে চুপ থাকতে দেখে পারিজা আবার বললো,
— তোমাকে একটুও দেখতে ইচ্ছে করছে না আমার ওয়াহেদ। যতবার তোমার দিকে তাকাচ্ছি। ততবার, তখনকার কথা মনে পরছে। কত আমোদে মেতে ছিলে তুমি। মেয়েগুলোর থেকে তোমার চোখই সরছিল না। আমার মনে তোমার জন্য যতটুকু অনুভূতি, যতটুকু ভালোবাসা ছিল। সেই সবটুকু তুমি নিজ হাতে পুড়িয়ে দিলে। আমি আর আমার মনে তোমাকে খুঁজে পাচ্ছি না ওয়াহেদ। আমি একটুও খুঁজে পাচ্ছি না। তোমার পরিবার যেদিন জানতে পারলো আমার মা একজন পতিতা। সেদিন যদি তারা সেটা নিয়ে কথা না বলতো। আমার মাকে গালাগাল না করতো। তবে, আজকের ঘটনা আমার ওপরে এতটা প্রভাব ফেলতো না। আমি তো ভেবেই নিয়েছিলাম তোমরা ওই পেশাকে ঘৃনা করো। ওসব থেকে দূরে থাকো। কিন্তু, সত্য তো এটাই যে;তোমরা পুরুষরা সবই করতে পারো। ঘরে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অন্য নারীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারো৷ তাতে তোমাদের কিছুই যায় আসে না। ভেবো না আমি, ওই খারাপ পেশার পক্ষ পাতিত্য করছি। আমি আজ তোমার স্ত্রী হিসেবে কথাগুলো বলেছি।”

পারিজা আর একবারও ওয়াহেদের দিকে তাকালো না। বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলো। পাশ ফিরে একবার ওয়াহেদকে দেখলোও না। ওয়াহেদ অনুতাপের গহীনে অবস্থান করছে। পারিজাকে নিজের মুখে কিছু বলার অধিকারটুকুও হয়তোবা সে হারিয়েছে। সেই অধিকারটুকু কখনো ফিরে পাবে কিনা সেটাও সে জানে না।

ওয়াহেদ ঘুম থেকে উঠেই একবার পারিজার দিকে তাকায়। পারিজার স্নিগ্ধতা উপভোগ করে।কিন্তু, ঘুম থেকে উঠে দেখলো পারিজা ঘরে নেই। সবকিছু খাটের ওপরে গুছিয়ে রাখা। কিন্তু, ওয়াহেদের সবচেয়ে প্রিয় জিনিসটি সেখানে অনুপস্থিত। ওয়াহেদ হন্যে হয়ে ঘরের এদিক ওদিক খুঁজলো। পারিজার রেশটুকুও মিললো না। স্নান শেষে ভালো জামাকাপড় পরেই ওয়াহেদ নিচে নেমে এলো। নিচে নামতেই টপাকে সামনে দেখতে পেল। ওয়াহেদ টপাকে চুপিসারে জিজ্ঞেস করলো,
— তোর ছোট ভাবী কোথায় রে?”

টপা ঝাড়ু হাতে উত্তর দিলো,
— সকালে স্নান সেরে রান্নাঘরে ঢুকতে দেখেছিলাম। এরপরে আর জানি না।”

ওয়াহেদ হাফ ছেড়ে বাঁচলো। পারিজা যদি তাঁকে রেখে চলে যেতো? ওয়াহেদ রান্নাঘরের দিকে এগুতেই এহমাদ এসে হাজির হলো। ওয়াহেদকে দেখেই বললো,
— চল চল এবার বের হই। আজ যে বড্ড দেরি হয়ে গেল।”

ওয়াহেদ বড় ভাইয়ের কথার পিঠে কথা বলতে পারলো না। এহমাদ টেনেটুনে ওয়াহেদকে নিয়ে গেল। ব্যবসার কাজটুকু ওয়াহেদ আর সেই সামলায়। মাহমুদ তেমন একটা ব্যবসার কাজে হাত লাগায় না। বাবার সঙ্গে জমিদারি কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে।

কাজ শেষে দু’ভাই সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরলো। ওয়াহেদ আসার সময় ফুল গাছ থেকে এক ঝোপটা ফুল ছিঁড়ে এনেছে। এহমাদ অবশ্য ছোট ভাইয়ের কান্ড দেখে বিরক্ত হয়ে বলেছিল,
— এই সন্ধ্যা বেলায় ফুল গাছ নিয়ে টানাটানি করছিস কেন? ভূতে ধরবে যে; নাম এক্ষুনি গাছ থেকে। ”

ওয়াহেদ ফুল নিয়েই তবে ফিরেছে। এইফুলের ঘ্রানটা খুব সুন্দর। বুনোফুল তাই ওয়াহেদ নাম জানে না। ফেরার সময় পারিজার জন্য পাঁচমিশালী আচার নিয়ে এসেছে। পারিজা যে আজ বড্ড রাগ করেছে। একবারও দেখা দিল না।

ওয়াহেদ বাড়ি ফিরেই ঘরে এসে ঢুকলো। পারিজা সেখানেও নেই। দুঃখে ওয়াহেদের মন ভার হয়ে এলো। সুই সুতোর কৌটো থেকে সুই নিয়ে পারিজার জন্য বুনো ফুল দিয়ে দুটো মালা গাঁথলো। একটা মাথায় পরবে। আরেকটা পরবে গলায়। মালা দুটো হাতে নিয়ে বসেই রইলো। পারিজা একটিবার ওয়াহেদকে দেখতেও এলো না। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরলেই পারিজা ঘরে এসে ওয়াহেদকে দেখে যেতো। হাতে থাকতো লেবুর সরবত। লেবুর সরবতের কথা বারবার মনে পরছে ওয়াহেদের। পারিজা কেন একবারও এই মুখো হলো না? কেন সে ওয়াহেদকে লঘু পাপে গুরু দন্ড দিলো? ওই একটা ভুলই নাহয় সে করেছে। তাই বলে এমন শাস্তি?

পারিজা ওপর তলা থেকে দেখলো,আজও নিচে গতকালের মতো ভাসুরকর্তারা আর শশুড় বাবা হাট বসিয়েছেন। আজও হয়তোবা বাইজিরা তাঁদের নৃত্য দিয়ে সকলের মন মাতাবে। ওয়াহেদ আবারও সেই বাইজিদের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবে। তাঁদের নাচ দেখে হাততালি দেবে। ওয়াহেদের সেই তৃপ্ত মুখখানি পারিজার চোখে ভেসে উঠলো। পারিজার বুকটায় এক চিলতে ব্যাথার উপদ্রব হলো। পারিজা চোখ বন্ধ করে গতকালের কথা স্বরন করলো। ওয়াহেদের সেই তৃপ্ত মুখটার মনে পরতেই পারিজা নুয়ে পরলো। আঁচলে মুখচাঁপা দিয়ে আবার রান্নাঘরে গিয়ে বসলো। এসব এড়িয়ে থাকতে চায় সে। ওয়াহেদ ভুলে যাক তাঁকে। ভুলে যাক পারিজার মুখটাকে। চিরকালের জন্য ভুলে যাক।

ঘুঙুর আর হাততালির তীব্র শব্দে বাড়ির উঠোন যখন উচ্ছাসময়।পারিজা তখন মন খারাপের সাগরে গা ভাসাচ্ছে। একটু একটু করে এগিয়ে এসে পারিজা নিচের দিকে উঁকি দিলো। ওয়াহেদ আজ সেখানে নেই! পারিজা দৌড়ে গিয়ে ঘরে উঁকি দিলো। ওয়াহেদ বিছানার ওপরে কপালে হাত ঠেকিয়ে বসে আছে। হাতে দুটো ফুলের মালা। পারিজা ছোট ছোট পা ফেলে ঘরে প্রবেশ করলো। ওয়াহেদ আনমনে সেদিকে তাকাতেই চমকে উঠলো।এটাই তো সেই মুখটা! যাঁর অপেক্ষার প্রহর ওয়াহেদ সকাল থেকে গুনছে।ওয়াহেদ ততক্ষণাৎ বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালো। পারিজা লজ্জা পেয়ে উল্টো ঘরে চলে যেতে চাইলো। ওয়াহেদ পেছন থেকে শক্ত করে পারিজার একটা হাত চেপে ধরলো। ভারাক্রান্ত মনে বললো,
— কোথায় ছিলে সারাদিন? ”

পারিজা শক্ত গলায় বললো,
–জাহান্নামে।”

ওয়াহেদ অভিমান মাখা কন্ঠে বললো,
— বেশ তবে এরপর জাহান্নামে গেলে আমাকেও সঙ্গে করে নিয়ে যেও। দুজন একই সঙ্গে সেই আগুনে পুড়বো।”

পারিজা মুখে কিছু বললো না। নিঃশব্দে শুধু একবার হাসলো। ওয়াহেদ পারিজাকে নিজের দিকে ফেরালো। নিজের বুকের মাঝখানটায় পারিজার হাত রেখে বললো,
–এখানটায় কত ব্যাথা হয়েছে জানো?তুমি কী আমাকে একটুও বোঝো না?”

পারিজা ওয়াহেদের বুক থেকে হাত সরিয়ে নিয়ে বললো,
— কালো তো আমারও এখানটায় প্রচন্ড ব্যাথা হয়েছিল। তোমার চেয়েও বেশি। তুমি কী আমাকে বুঝে ছিলে? যে-ই ব্যাথা তুমি নিজেই সহ্য করতে পারো না। সেই ব্যাথা অন্যকে কেন দাও?”

পারিজা ঘর থেকে চলে যেতে নিলেই, ওয়াহেদ পেছন থেকে পারিজার হাত দুটো চেপে ধরে বললো,
— গাট হয়েছে আমার। এবার তো একটু আমার সঙ্গে থাকো। এভাবে চললে আমি তো মরে যাবো।”

পারিজা চুপচাপ উত্তর দিলো,
— আচ্ছা তাই হোক। তুমি মরে যাও।”

ওয়াহেদের খুব রাগ হলো।ধপ করে পারিজার সামনেই দরজাটা বন্ধ করে দিলো। পারিজা কিছু বলার পূর্বেই পারিজাকে কোলে তুলে বিছানায় ফেলে দিলো। কপালে একটা চুমু খেয়ে বললো,
— তুমি যা বলেছো তাই তো শুনেছি। এত কীসের রাগ তোমার? আমাদের জমিদার বাড়ি। জমিদার বাড়িতে এসব তো হয়ই। তোমার ভালো লাগে না। আমি আর ওখানে যাবো না। তবুও তোমার কত রাগ। রাগলে যে তোমাকে সুন্দর লাগে এমন কিন্ত না। তোমাকে রাগলে ফুলকো লুচির মতো লাগে। পেটের ভেতর কত রাগ পুষে রেখেছো কে জানে। এত রাগ পেটের ভেতর রেখো না। পরে ওই পেটে আমাদের ছোট্ট সদস্যদের জায়গা হবে না।”

পারিজা ওয়াহেদ ঠেলে বিছানা থেকে উঠে পরলো। বালিশটা ওয়াহেদের মুখে ছুঁড়ে দিয়ে বললো,
— তোমার মতো স্বামী আর কারো কপালে না জুটুক। ঠিকমতো বউয়ের রাগ ভাঙাতে পারো না। আবার, ছোট্ট সদস্যের চিন্তা করছো। তোমার চিন্তায় সেগুরে বালি। যেদিন আমার রাগ ভাঙানো শিখবে। সেদিনই ছোট্ট সদস্য আসবে। এর আগে না। গাধা কোথাকার!”

পারিজা আবার দূর থেকে উত্তর দিলো,
— তুমি সত্যিই একটা গাধা। তোমার নাম শুধু শুধু কষ্ট করেই রেখেছে। গাধায়েদ রাখলেই পারতো!”

পারিজা ধপ করে দরজা খুলে বাইরে চলে গেল। ওয়াহেদ গাধার মতো পারিজার চলে যাওয়া দেখলো। নির্বিশেষে বললো,
— যাহ বাবা! আমি আবার কী করলাম!”

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here