নির্মোচন পর্ব ২

0
1133

#নির্মোচন . ❤
#পর্বসংখ্যা_০২ .
#ফাবিয়াহ্_মমো .

ফিহা প্রচণ্ড চিন্তায় ডুবে আছে। এখানে আসাটা ঠিক হয়নি। এখন কী করা যায়? কীভাবে ভয়াবহ মানুষটার কাছ থেকে সাত সমুদ্দুর তেরো নদীর মতো দূরত্ব রাখা যায়? পানির বোতলে ছোটো-ছোটো চুমুক দিতেই রাগী-ক্ষিপ্ত-গম্ভীর মেজাজের মুখটা মনে পরল। যার ভয়াবহ রাগ উঠলে থরথর করে নিচের ঠোঁটটাই সবার আগে কাঁপতো। চোখের দৃষ্টি একেবারে স্থির হয়ে কালো মনির চারপাশে রক্তবর্ণ ধারণ করতো। কপালের দুই পাশে নীল-নীল শিরাগুলো এমনভাবে ফুলে উঠতো, যেন এক্ষুণি চামড়া ফেটে বেরিয়ে আসবে। গালের উজ্জ্বল ফর্সা চামড়া কীরূপ লাল হয়ে উঠতো, সেটা বলার অপেক্ষা রাখছে না। ছোটো থেকে এই একটি মাত্র ব্যক্তিকে বাঘের মতো ভয় পায় ওরা। শুধু ওরা না, প্রায় সকলের যেন একই অবস্থা। ছাদের রেলিং ধরে শূন্য দৃষ্টিতে এগুলো ভাবছে ও। খোলা চুলগুলো বাতাসের ঝাপটায় খুব উড়ছে এখন। আকাশি রঙের ওভার সাইজ কামিজ, নীচে সাদা রঙের ঢোলা পাজামা, সাদা-নীলের মিশেলে সুতির ওড়নাটা গলায় এক পাক প্যাঁচিয়ে বুকের দু’পাশে ঝুলিয়ে রেখেছে। প্রায় চার বছর পর নিয়তি আজ এখানে এনে দাঁড় করিয়েছে। নানাভাইয়ের মৃlত্যুর পর আর কখনো মুখোমুখি হয়নি তার। ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ স্বল্প দূরত্বের হলেও অদ্ভুতকাণ্ডের মতোই ব্যস্ততা বেড়ে গিয়ে সাক্ষাৎ হয়নি মানুষটার সাথে। ডুপ্লেক্স বাড়িটি এতো সুন্দর করে তোলা হয়েছে যে কোথাও এক রত্নি ভুল নেই। পুরো বাড়িটায় এক চক্কর দিয়ে যথেষ্ট মুগ্ধ হয়েছে সে। বাড়ির চর্তুদিকে আট ফুট উঁচু পাঁচিলে ঘেরা দুর্ভেদ্য বেষ্টনী আছে, সাথে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার জন্য পাঁচিলের মাথায় শত শত তারকাটা বীর সেনার মতো দাঁড়িয়ে আছে যেন। ভুলেও কোনো চোর তাতে হাত রেখে টপকাতে চাইলে হাতের তালু ফুঁটো হয়ে এফোঁড়-ওফোঁড় করে বিঁধে যাবে। এছাড়া দারোয়ানদের কড়া পাহারার পাশাপাশি আফসানার বিশ্বস্ত ও বহুদিনের পুরোনো কাজের লোক সুফিয়া খানম আছেন, যিনি ‘ একাই একশো ‘ কথাটার জন্য খাপে খাপ প্রযোজ্য।

– এখানে দাঁড়িয়ে কী করছিস?

হিড়িকের মতো প্রশ্ন শুনে পিছু তাকাল ও। ফিমা ছাদের দরজা দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে প্রশ্নটা করেছে। ফিহা মুখ ঘুরিয়ে আবারও আকাশে চেয়ে বলল,

– কিছু না। এমনি দাঁড়িয়ে আছি।

চোখ খাটো করল ফিমা। কথাটা মিথ্যা বলেছে ও। বুকে হাত ভাঁজ করে ফিহার ডানপাশে দাঁড়িয়ে বলল,

– তুই সাঈদ ভাইয়ের কথা ভাবছিস।

তড়াক করে ডানে তাকাল ফিহা। মিথ্যা ধরার মতো আশ্চর্য গুণ যে ফিমার আছে, সেটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল ও। ফিহা মুখ ফিরিয়ে বোতলের ছিপিটা লাগাতে লাগাতে বলল,

– মানুষটা বদলায়নি। আগের মতোই আছে। মন বার বার বলেছে ওই রুমটা এড়িয়ে চলতে। কিন্তু পাশাপাশি রুম কী এড়ানো যায়? খালামনি কেন কাজটা করল? আমার রুমটা মাঝখানে, তোমার রুমটা বামে আর শুরুর রুমটাই তাকে দিলো।

ফিমা মাঝখানে ভুল শুধরে দিলো,

– তাকে কোনো রুম দেওয়া হয়নি। ওই রুমটা শুরু থেকে তার ছিল। শুধু আমাদের রুমদুটো ঝেড়ে মুছে দু’জনের মধ্যে ঠিক করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কথা বাড়াতে ইচ্ছে হচ্ছে না ফিহার। জানে ও দুটো গেস্টরুম ছিল। আর দোতলায় স্রেফ ওই মানুষটার আধিপত্য চলে। নিচতলায় সুফিয়া খালা, খালামনি ও খালুর রুম রয়েছে। চুপচাপ আরো কিছুক্ষণ সময় ব্যয় করতেই ফিমা ছাদের চারপাশে সময় কাটিয়ে চলে গেল। এদিকে ফিহার মনে একদমই স্বস্তি নেই, শান্তি নেই, কোনোপ্রকার দুশ্চিন্তা কাটাতে সে পারছে না।

.

রাতে খাওয়ার জন্য ডাক পরল ফিহার। নিচ থেকে খালামনির দূত হিসেবে হাজির হয়েছে সুফিয়া খালা। দরজায় ভদ্রতাসূচক নক দিয়ে ফিহার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলল,

– আপায় খাইতে ডাকে। আইয়ো।

আলমারিতে কাপড়গুলো তুলতে তুলতে ফিহা ব্যস্ত সুরে বলল,

– আপনি যান খালা। ব্যাগের কাপড়গুলো গুছিয়ে আমি এক্ষুণি আসছি।

সুফিয়া এক কথার মানুষ। তাকে যেটা আদেশ করা হবে সেটা মর্মে মর্মে পালন করেই ছাড়বে। দরজা থেকে সরে গিয়ে ফিহার হাত থেকে কাপড়গুলো নিয়ে নিজেই একটার পর একটা আলমারিতে তুলে দিতে লাগল। অবাক হয়ে ফিহা সুফিয়ার দিকে তাকালে সুফিয়া দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে বলল,

– নীচে যাও। আমি এইহানে দেখতাছি। এহন খাওনের সময়। খাওন বাদ দিয়া কাম করোন লাগব না।

চল্লিশোর্ধ্ব বয়স, গায়ে অসীম জোর। পড়নে আটপৌরে সাদা রঙের শাড়ি, যার সোনালি পাড়টা বিবর্ণ হয়ে ফিকে দেখাচ্ছে। দেহের টানটান জেল্লাযুক্ত চামড়া দেখলে বুঝা যায় ভদ্রমহিলা কাঠখোট্টা ধাঁচের মানুষ। চুলে এখনো পাক ধরেনি, তবে কানের কাছে দু’একটা সাদা চুল উঁকি দিয়ে আছে। এ বাড়িতে সে কাজের মহিলা হলেও কোনোদিন সেটা প্রকাশ পায়নি। খালামনি তাকে পরিবারের একজন মূল্যবান সদস্যের মতো ভাবে দেখে অনেকেই এ নিয়ে ভিড়মি খায়, আবার অনেকে নাক ছিটকায়। কিন্তু তাতে এক বিন্দু পরোয়া করে না খালামনি। সুফিয়ার কথা শিরধার্য হিসেবে মেনে নিচে গেল সে। ডাইনিং টেবিলের কাছে আসতেই বুকটা আবার সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। চার বছর পর এমন একটা ব্যক্তির সামনে যাচ্ছে যে কি না ওকে দুই চোখে সহ্য করতে পারে না। কেন পারে না তা জানে না ও। জানার চেষ্টা ও করেছে কিন্তু ব্যর্থ হয়েই ফিরে আসতে হয়েছে ওর। যার জিহবার ধার খুব, তার একেকটা বাক্য যেন জলন্ত অঙ্গারের মতো জ্বালিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু না, ডাইনিং টেবিলে সে আসেনি। খালামনি ও ফিমা আপু বাদে টেবিলের অংশীদার আর কেউ হয়নি। ফিহা চুপচাপ খালামনির বাঁ-দিকের চেয়ারটায় বসে পড়ল। খালামনি সবসময়ের মতো আয়তাকার টেবিলের প্রশস্ত অংশের চেয়ারে বসে আছে। প্লেটে খাবার বেড়ে দিতেই প্রশ্ন করলো সে,

– তোদের বাবার সাথে একটু আগে কথা বলেছি। আমার বাড়িতে এক মাস থাকবি এটাই ফাইনাল। সামনে দীপের বিয়ে আসতেছে। সেখানে যেহেতু এমনিতেই যাওয়া পরবে, তাই আমি চাচ্ছি না ডাবল জার্নি করে ঝামেলা বাড়ানোর দরকার আছে। আমার সঙ্গেই তোরা দু’জন এখান থেকে রওনা দিবি।

ফিমা সবে প্রথম লোকমা মুখে নিয়েছে। খালামনির কথা শুনে মুখটা এমন ভাবে বির্বণ হয়ে গেল, যেটা খেয়াল করেনি কেউ। ফিহা তখন খালামনির দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো,

– আমার কলেজ যে মিস যাবে খালামনি। আমি কী তাহলে কলেজে যাব না? ইউনিফর্ম তো আনিনি।

আফসানা সেটারও যোগ্য জবাব দিয়ে বলল,

– অবশ্যই যাবি। যাবি না কেন? বাসা থেকে কলেজের যাবতীয় জিনিসপত্র আনার জন্য মকবুলকে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া পড়নের জামা-কাপড় লাগলে সেটা আমি কিনে দেব। ওসব নিয়ে তোদের ভাবতে হবে না এখন।

ফিহা বিসমিল্লাহ্ বলে খাওয়া শুরু করলেও তার চোখ বার বার শূন্য চেয়ারটার দিকে ঘুরপাক খাচ্ছিল। ছোটোবেলায় দেখত, টেবিলের একেবারে শেষপ্রান্তে সবার কাছ থেকে আলাদা হয়ে একদম শান্ত মুখে খাবার খেত সে। খাওয়ার সময় টুঁ শব্দ করাটাও সহ্য করতে পারতো না। এরকম রহস্যজনক আচরণের জন্য প্রায়ই প্রশ্নের ঝুলি এসে ফিহার ছোট্ট মস্তিষ্কে কিলবিল করে ঘুরতো, অথচ সেই প্রশ্নগুলোর জবাব আজও খুঁজে পায়নি ও। অন্যদিকে ফিমার মধ্যে ভীতিকর অবস্থা সন্ঞ্চার হচ্ছে। এক মাস? এখানে এক মাস থাকার কথা শুনে মনটা কোনোভাবেই শান্ত হচ্ছে না। এখানে থাকলে যদি কেউ ব্যাপারটা বুঝে যায় তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম মহড়া ওর উপর দিয়ে যাবে। আফসানা সকলের সামনে খুব তৃপ্তি নিয়ে খেলেও তার অন্তর্দৃষ্টি এখন ফিমার প্রতি নজরদারি করছে। ছোটো বোন নাজনীনের মেয়েদুটো ঠিক দুই মেরুর দুই প্রতিচ্ছবি। সবচাইতে বেশি চিন্তিত হয়ে আছে ফিমার প্রতি। ফিমার চালচলন কটু ও আধুনিকা, কথাবার্তা উগ্র ও অকোমল, আচরণে একটা অদ্ভুত চিত্তের প্রকাশ পায়। ব্যবসায়ি মহলে অসংখ্য মানুষের সাথে মেলামেশা হয়েছে বলে আফসানা এখন চেহারা দেখলেই ভেতরের অবস্থা আঁচ করতে পারে।

– ফিমা কাল কলেজ আছে?

আফসানা ইচ্ছে করে বাজিয়ে দেখার জন্য ওকে প্রশ্নটা করেছে। কিন্তু ফিমার মন সুদূর রাজ্যে ডুবে থাকার জন্য শুনতে পায়নি। ফিহা টেবিলে দুটো চাপড় মেরে শব্দ করলে মৃদু কেঁপে ধ্যান ভাঙল ফিমার, সাথে সাথে খালামনির দিকে উজবুক দৃষ্টি বুলিয়ে ফিহার দিকে বলল,

– কিছু হয়েছে?

– হ্যাঁ, খালামনি জিজ্ঞেস করছে কাল কী তোমার কলেজ আছে?

কথাটা বলল ফিহা। আফসানা পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে আগের মতোই স্বাভাবিক রূপে খেয়ে যাচ্ছে। ফিমার মধ্যে যে গুরুতর কোনো ঘাপলা আছে সেটা ওর অন্যমনষ্ক ভঙ্গিমা দেখে শতভাগ বুঝে গেছে সে। ওদের দু’জনকে কথা বলা বাদ দিয়ে খাওয়ার জন্য তাগাদা দিতেই সিঁড়ি দিয়ে সুফিয়া নামতে নামতে বলল,

– আপা? বাবারে একটা ফোন কইরা জিগামু কই আছে? রাইত দশটা বিশ বাইজা গেছে এহনো তো আইলো না।

‘ বাবা ‘ দিয়ে কাকে বুঝানো হয়েছে সেটা বুঝতে বাকি নেই ফিহার। মানুষটা বাড়ি নেই বলে এখনো সামনে পরেনি তার। আফসানা কিছুক্ষণ ভেবেচিন্তে যেই গম্ভীরভাবে বলতে উদ্যত হবে ঠিক তখনই পাখির কিচিরমিচির হল্লা শুরু হয়ে গেল। সকলের দৃষ্টি যখন সদর দরজার দিকে, বাইরে আগন্তুকের পানে, তখনই ভেতরটা ধক করে ফিহার! লোকমাটা মুখে নিয়ে স্তম্ভিতের মতো থমকে গেলে সুফিয়ার হাস্যোজ্জ্বল কণ্ঠের কথা শুনতে পেল,

– এতো দেরি করছ ক্যা? তোমার মায় তো এহনই কল দিয়া ফালাইছিল। এতো রাইত কইরা আইলে চলব? টেনশনে লাগে না?

ফিহা জড়বুদ্ধির মতো কুঁকড়ে গিয়ে চোখটা প্লেটের দিকে ঝুঁকিয়ে রাখল। পারছে না এক্ষুণি ‘ ছু মন্তর ছু ‘ বলে অদৃশ্য ম্যাজিকের মতো এখানে থেকে উধাও হতে। ভুলেও বাঁদিকে তাকিয়ে আগত মানুষটার দিকে একটুও দেখার চেষ্টা করল না ও। বুকের খাঁচায় আবদ্ধ মাংশল যন্ত্রটা পাগলের মতো দাপাদাপি শুরু করেছে এখন, প্রচণ্ড অস্থির হয়ে ভেতরটা শুকিয়ে যাচ্ছে যেন। হঠাৎ সুধীর শানিত শক্ত কণ্ঠে পুরুষালী গলাটা জবাব দিলো,

– আমার জন্য কারোর টেনশন করতে হবে না।

কথাটা যার উদ্দেশ্য বলা সেই ব্যক্তি সেটা বুঝতে পেরে নীরব রইল। শুনেও আফসানা স্বাভাবিক ভঙ্গিতে খাওয়ার প্রতি এমন মনোযোগ দিলো যেন পৃথিবীর অন্যতম প্রধান কাজ শুধু খাওয়া। ফিহা না চাইতেও নিষিদ্ধ কর্মের প্রতি আকর্ষিত হয়ে বাঁ-চোখের কোণা দিয়ে দেখল, সুবলিষ্ঠ কঠোর পোক্ত দেহটা সাদা ইস্ত্রিযুক্ত শার্টে ঢেকে আছে, সঙ্গে ফর্মাল কালো ফুলপ্যান্ট, ফ্লোরে হাঁটু ভেঙে একটু ঝুঁকে জুতার ফিতা খুলছে সে। মাথার রেশমতুল্য চুলগুলো অতিমাত্রায় পাতলা, সুন্দর ও এনার্জী বাল্বের আলোয় ঝলমল করছে খুব। দু’হাতের কনুই অংশে সাদা স্লিভদুটো সুন্দর করে গুটানো। বাঁ হাতের কবজিতে রোল্যাক্স ড্যাটোনার কালো ঘড়ি। ঝুঁকে থাকা মাথাটা যেই উপরে তুলতে নিলো, তাড়াতাড়ি ফিহা প্লেটের দিকে বজায় রেখে চিবোনো শুরু করল। বুঝতেও দিলো না এই ফাঁকে অল্পক্ষণের জন্য খ্যাঁlকশেয়াlলটাকে দেখে নিয়েছে ও। অন্যদিকে ফিমা গ্লাসে চুমুক দিয়ে একদৃষ্টিতে দেখতেই কখন যে ঠোঁট থেকে গ্লাসটা সরে ঝর্ণার মতো পানিটা সরাসরি ভাতের প্লেটের উপর পরছে খেয়াল করেনি ও। আফসানা সেটা দেখতে পেয়ে আহাম্মকের মতো একবার ফিমার দিকে, আরেকবার প্লেটের বন্যার দিকে তাকাল। পুরোদস্তুর ধমক দিয়ে খ্যাপাটে সুরে বলল,

– প্লেটে এগুলো কী করছিস?

আচমকা এমন হুংকার দিয়ে উঠলে মারাত্মক শিউরে উঠে ফিমা। হাতটা কাত হয়ে গ্লাসের সবটুকু পানি টেবিলে পরে গেলে নির্বাক হয়ে যায় সে। দ্রুত অপরাধী মুখ করে আমতা আমতা করে বলে,

– আ-আ-আমি স্যরি খালামনি। আসলে…মানে…দাঁড়াও ঠিক করে দিচ্ছি। ওয়েট করো।

ফিমা নিজের চোরামি ঢাকার জন্য ত্রস্তভঙ্গিতে ছোটো ন্যাপকিন নিয়ে মুছতে লাগল। এখন থেকে খালামনির সামনে খুব সাবধান থাকতে হবে। একটুখানি ভুল মানে সর্বনাশ! সবাই কিছুক্ষণের ভেতর নিজ নিজ কাজে বেখেয়ালি হলে এখানে সতর্ক হলো আরেকজন মানুষ। ঠিক আফসানার বাঁ-দিকে বসা ব্যক্তিটির দিকে একপলক চোরাদৃষ্টি দিয়ে চলে গেল আগন্তুক। ফিহা বুঝতেও পারল না, সে-ও কারো দৃষ্টিকোণে আবদ্ধ হয়েছে।

#FABIYAH_MOMO .

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here