না_চাওয়া_পূর্ণতা পর্ব : ১৩

0
1848

#না_চাওয়া_পূর্ণতা ?
লেখক : সানজিতা আক্তার মীম
পর্ব : ১৩

In Morning,,,,,
তনু সারারাত ঘুমায় নি। সকালে নামাজ পড়ে নাস্তা বানাতে লাগলো। আজ তনুর মন অনেক ভালো। তনু নাস্তা বানিয়ে রুমে এসে দেখলো সায়ন আর অন্তু একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। তনু সায়ন এর পাশে বসে সায়ন এর কপালে একটা চুমু দিল। তনু ভেবেছে সায়ন ঘুমিয়ে আছে কিন্তু সায়ন আগেই উঠে গেছে।

তনু উঠে যেতে নিলে সায়ন তনুর হাত ধরে টান দেওয়াতে তনু টাল সামলাতে না পেরে সায়ন এর বুকে পরলো ৷ তনু মাথা নিচু করে ছুটাছুটি করছে ছুটার জন্য।

সায়ন : লুকিয়ে আদর করার মানে কি। নিজের জিনিস নিজেই চুরি করলে কি ভালো দেখায়, মেরি জান? ( with devil smile)
তনু : তু,,,তুমি বে,শি কথা বলছো । আমি আবার কি চুরি করলাম!! ( না জানার ভান করে)
সায়ন : ওহ ওয়েট আমি করে দেখাচ্ছি। বলে সায়ন তনুর ঠোটেঁর দিকে এগোতে লাগলো। তা দেখে তনু চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে সায়ন এর দিকে। সায়ন তনুর ফেস এক্সপ্রেশন দেখে হেসে ছেড়ে দিলো।
তনু যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল। তনু দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল৷ তারপর আবার উকি দিল তা দেখে সায়ন ভ্রু কুচকালো যার মানে হলো আবার কি?

তনু : মেয়েকে নিয়ে খেতে আসেন। ( বলে আবার চলে গেলো)
সায়ন : তুমি চাইলে বউকেও উঠাতে পারি প্রতিদিন ( চিৎকার করে বললো যেন তনু শুনতে পায়)

সায়ন হেসে অন্তুকে জাগাতে লাগলো। অন্তু উঠার পর বাবা মেয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো। সায়ন ডাইনিং এ এসে বসতেই কলিং বেল বেজে ওঠে। সায়ন উঠে দরজা খুলে দেখে বাইরে নুহাশ দাঁড়িয়ে,,,,

নুহাশ তো সায়নকে দেখে রেগে এক ঘুসি দিয়ে বসলো। আরেকটা দেওয়ার আসে তনু আটকালো।

নুহাশ : ছাড় আমাকে। আজ আমি ওকে মেরেই ফেলবো৷ ওর সাহস কি করে হয় এখানে আসার। আবার তোকে কষ্ট দিতে এসেছে। ওকে তো আমি,,, ( রেগে + চিল্লাতে চিল্লাতে)
তনু : ভাইয়া প্লিজ শান্ত হও। বসো তুৃমি। ( বলে নুহাশকে সোফায় বসালো।)

তনু দৌড়ে সায়ন এর কাছে এলো। সায়ন এখনো দাঁড়িয়ে আছে। সায়ন এর ঠোঁট কেটে রক্ত বের হচ্ছে তা দেখে তনু সায়ন এর হাত ধরে রুমে নিয়ে গেল।তারপর খাটে বসিয়ে ফার্স্ট এইড বক্স নিয়ে কাটা জায়গায় মলম লাগিয়ে দিলো। সায়নতো তনুকে দেখছে। তনুকে দেখে মনে হচ্ছে ব্যাথাটা যেনো ও ই পেয়েছে। তনু সায়নকে তাকিয়ে থাকতে দেখে অসহায়ভাবে বললো,,

তনু : সরি, আসলে ভাইয়া আপনার ওপর অনেক রাগ তাই এমন করে ফেলেছে।
সায়ন : মেরি জান, আমি জানি তাইতো কিছু বলি নি। মাথা ঠান্ডা হলে বুঝিয়ে বলবো।
তনু : হুম।

তনু সায়ন একসাথে রুম থেকে বের হলো। নুহাশ সেই লেভেল এর রেগে আছে। তাই তনু অন্তুকে ডেকে কানে কানে কিছু একটা বলে নুহাশ এর কাছে পাঠালো।

অন্তু : মামা তুমি এভাবে রেগে আছো কেন?
নুহাশ : কিছু না প্রিন্সেস, এমনিই।
অন্তু : মামা তুমি কি আমার বাবাই এর ওপর রেগে আছো?
নুহাশ : এইসব বাদ দাও।
অন্তু : জানো মামা আমাদের স্কুলে কি শিক্ষিয়েছে?
নুহাশ : কি? ( অন্তুকে কোলে নিয়ে)
অন্তু : কেউ কোনো ভুল করলে তাকে তার ভুল করার কারণ বলার সুযোগ দিতে হয় এবং সে যদি নিজের ভুল বুঝতে পারে তাহলে তাকে মাফ করে দিতে হয়।
নুহাশ : হুম ঠিকই তো বলেছে।
অন্তু : তাহলে তুমি কেন বাবাইকে কিছু বলার সুযোগ দিচ্ছো না। বাবাইকে বলতে দাও প্লিজ। আমার জন্য। ( কাঁদো কাঁদো হয়ে)
নুহাশ : ওকে মাই প্রিন্সেস। চলো আগে নাস্তা করি আমার পেটে ইদুর দৌড়াচ্ছে।
অন্তু : ওকে।

তনু জানতো অন্তুই পারবে নুহাশ এর রাগ কমাতে৷ আর ঠিক তা ই হলো। সবাই মিলে নাস্তা করে নিলো।

এদিকে তাহা অনেক বড় প্ল্যান করে বসে আছে। যা সম্পর্কে তনু আর সায়ন এর ধারণা নেই৷ আসলে মানুষ রাগের বশে কখনো ঠিক ডিসিশন নিতে পারে না। রাগে মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। তাহাও ঠিক এমনটাই করছে। যার পরিনতি ভালো না।

তাহা : যা আমার হবে না তাকে আমি কারো হতে দিব না। শেষ করে দিব সব। আর মাত্র একদিন। যা ফুর্তি করার করে নাও তনু। ( সয়তানি হাসি দিয়ে)

কি হবে একদিন পর। তাহা কি তাহলে আলাদা করে দিবে সায়ন তনুকে। ওদের ভালোবাসা কি পূর্ণতা পাবে না!!

নাস্তার পর নুহাশ সায়নকে বললো ওর সাথে বাইরে যেতে। তা শুনে তনু ঘাবরে গেলো। সায়ন ইশারা করে বললো টেনশন না করতে।
নুহাশ আর সায়ন বেরিয়ে গেলো।। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলো কিন্তু সায়ন আর নুহাশ এর কোনো খোঁজ নেই। তনু অনেকবার কল করেছে কিন্তু ফোন বন্ধ দুজনেরই। তনুর টেনশন হচ্ছে,,

তনু : কোথায় গেলো ওরা। ফোনও ওফ। আল্লাহ কোনো বিপদ দিও না। সব যেন ঠিক থাকে।

তনু এসব ভাবতে ভাবতে ওর ফোন বেজে ওঠে । ফোন নিয়ে দেখে আননোন নাম্বার। তনু কল রিসিভ করতে ওপাশ থেকে যা বললো তা শুনার জন্য তনু মোটেও প্রস্তুত ছিলো না।তনু শুধু বললো,,

তনু : আমি আসছি।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here