ধর্ষন করে বিয়ে
Love_Factor
পর্ব ৫+৬
লেখকঃ সানভি আহমেদ সাকিব।
.
কিছুদুর যেতেই সানভি হঠাৎ গাড়ি ব্রেক করে রিহার দিকে তাকায়।
বাইরের বাতাস এসে রিহার চুলগুলোকে এলোমেলো করে দিয়েছে।
সানভির ইচ্ছা হয় চুলাগুলা গুছিয়ে দিতে।
রিহা বুঝতে পারেনা হঠাৎ মাঝ রাস্তায় গাড়ি কেনো থামালো।
.
সানভি কেমন একটা দৃষ্টি নিয়ে রিহার দিকে তাকায়।
রিহা ভয় পেয়ে যায়। এমন করে তাকাচ্ছে কেনো ছেলেটা।
না জানি আবার কি করে বসে।
সানভি প্রায় দুমিনিট রিহার ভয়ে চুপসে যাওয়া মুখটা দেখতে থাকে।
,
Riha সানভি বেরিয়ে যায় গাড়ি থেকে।
রিহাকে গাড়িতে রেখেই পাশের টং এ গিয়ে চা খেতে থাকে সানভি।
.
Riha মনে মনে বলে,
এইটা কি হলো আমাকে রেখেই চা খেতে চলে গেলো দাড়াও দেখাচ্ছি মজা আজকে।রিহা গাড়ি থেকে বেরিয়ে সানভির দিকে আগায়।
,
কেনো যানি খুব ভয় করছে তার। তবুও এগুচ্ছে।
রিহা গিয়ে সানভির পাশে বসে।
সানভি একটু সরে বসে।
রিহা মনে মনে বলে ভাব নিতাছে দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
রিহা সবার সামনেই সানভির গালে একটা কিস করে বসে।
সবার সামনে বলতে দোকানের মামা ছিলো শুধু।
সানভি স্তব্ধ হয়ে যায়।
,
কি করলো ও এটা সবার সামনে।
বুঝতে পারছে না এতো সাহস পেলো কোথা থেকে ও।
রাগে গা জ্বলছে সানভির।
কিন্তু কিছু বলছেনা।
,
কি বলবে সবার সামনে দুদিন ও হয়নি বিয়ে হইছে এখন সবার সামনে কিভাবে মারবে বা বকবে।
সে ও তো মানুষ।
সানভি শুধু রিহার লাজুক হাসিটা দেখে।
– চলো।(সানভি)
সানভি হাত ধরে টেনে নিয়ে গাড়িতে বসায় রিহাকে।
.
তারপর গাড়ি চালাতে থাকে।
আজ কিছু বললো না সানভি কিন্তু এরপরর কিছু করলে খারাপ হয়ে যাবে।
.
সানভি গাড়িটা রিহার বাসার সামনে এসে দাড় করায়।
তারপর গেট খুলে দিতেই বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়।
দুজনে দুই দিক দিয়ে বেরোয়।
রিহা গিয়ে সানভির হাত ধরে।
সানভি সামনে তাকিয়ে হাসে।কি করবে এতো মানুষের সামনে। বরং একটু অভিনয় করলেই বেটার হবে।
,
বাসায় ডুকতেই শালিগুলা ঘিরে ধরে সানভিকে।
রিহা কোনোমতে ভিড় ঠেলে বেরিয়ে যায়।
সানভি একা হয়ো যায়।
শালিগুলা সেই লেভেলের বজ্জাত কেও চিমটি কাটে তো কেও পায়ের ওপর এসে দাড়ায়।
এক এক জনের পায় ইয়া লম্বা লম্বা হিল।
দুই তিনহাত করে তো হবেই।
,
সবার মাঝে অসহায় হয়ে গেছি। প্রায় বিশ মিনিট পর সবকিছু শান্ত হলো ভিতরে ডুকলাম।
রিহা আমাদের রুমে নিয়ে গেলো।
আমি গিয়ে বসলাম।
রাত তখন আটটা প্রায়।
ফ্রেস হয়ে আসলাম। শাশুড়ি মা খাওয়ার জন্য ডেকে গেলো।
প্রায় বিশ মিনিট পর দুজনে একসাথে খেতে গেলাম।
,
রিহা সবসময় আমার হাত চেপে ধরে। ওদের বাসায় তাই কিছু বলতেও পারিনা।
খেতে যায় দুজনে। সামনা সামনি বসে তারা নিলিমা এপাশে আর সানভি ওপাশে।
,
খাওয়ার মাঝখানে হঠাৎ সানভি খেয়াল করে ওর পায়ে কিছুর ছোয়া লাগছে।
সামনে তাকিয়ে দেখে রিহা হাসতাছে।
সানভি মনে মনে বলে,
সব শোধ তুলবো শুধু একটা রাতেরই তো ব্যাপার কালকে বিকেল এ তো আবার চলেই যাবো।
.
রিহা মনে মনে বলে,
এই একদিন জ্বালিয়ে মারবো তোমাকে।আমাকে তো চিনো না তুমি। মগের মুল্লুক নাকি বিয়ে করবা আবার বউ হিসেবে মানবা না। আমি আমার অধিকার আদায় করে নিবো।
,
বেশ বিরক্তির সাথেই খাওয়া শেষ করে সানভি।
তারপর নিজের রুমে চলে যায়।অনেক ক্লান্ত লাগছে ঘুমানো দরকার।
সেই সময় ওর বন্ধুরা রুমে আসলো,
.
– কিরে তোরা এখানে কেনো?(সানভি)
.
– তো কই যাবো ঘুমানোর যায়গা নাই।(সিয়াম)
.
– কেনো কি হইছে?(সানভি)
.
– তোর শালিকা গুলা বের করে দিছে রুম থেকে বলছে টাকা লাগবে ৫০০০ নইলে আজকে ঘুমাতেও দিবেনা আর খেতেও দিবেনা।কেমনডা লাগে বলতো?(রনি)
.
– দোস্ত ভালোই তো হইছে সারারাত আড্ডা দে যা আরে ভাই একটারাত না ঘুমালে কিছুই হবেনা।(সানভি)
.
– আর খাওয়া??(নিলয়)
.
– ওদের আমার রুমে পাঠিয়ে দে আমি বলে দিচ্ছি।(সানভি)
– ওকে গেলাম।(সিয়াম)
,
প্রায় পাচ মিনিট পর শালিকা আসলো,
সাথে শরবতের গ্লাস।সানভিকে দেখে বললো,
.
– ডাকছেন কেনো বলেন আমাদের আজকে সারারাত জাগতে হবে আপনার বন্ধুরা তো না খেয়ে আছে।(নিহা)
.
– হুমমম আচ্ছা কি চাও বলো?(সানভি)
.
– টাকা দেন পাচ হাজার।(নিহা)
.
আমি দু হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললাম,
.
– রাতে ঘুমানোর দরকার নাই শুধু খাবার দিবেন ঝাল বেশি দিয়ে।আর শরবতে যেনো মরিচের গুরা থাকে।(সানভি)
.
– সেকি দুলাভাই আপনি বাচানোর বদলে আরো মেরে ফেলার প্লান করছেন? চিন্তার বিষয়।(নিহা)
.
– তোমাকে যা বলছি তাই করো।(সানভি)
.
– আচ্ছা ধরেন এইটা খেয়ে নেন।(নিহা)
,
বলেই শরবতের গ্লাসটা আমার দিকে এগিয়ে দিলো।
আমি গ্লাস টা শেষ করে রাখতে যাবো দেখি কেও নাই। মানে পালাইছে কিন্তু কেনো??
.
হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার মুখের ভিতরে আগুন জ্বলতাছে।
মানে শরবতে মরিচের গুরা দেওয়া ছিলো।
পানি পাচ্ছি না কোথাও আমার মুখ দিয়ে মনে হচ্ছে ধোয়া বেরুবে।এমন সময় সামনে দেখি রিহা।
.
চলবে
ধর্ষন করে বিয়ে
Love_Factor
পর্ব ৬
লেখকঃ সানভি আহমেদ সাকিব।
.
হঠাৎ খেয়াল করলাম আমার মুখের ভিতরে আগুন জ্বলতাছে।
মানে শরবতে মরিচের গুরা দেওয়া ছিলো।
পানি পাচ্ছি না কোথাও আমার মুখ দিয়ে মনে হচ্ছে ধোয়া বেরুবে।এমন সময় সামনে দেখি রিহা।
তার লাল ঠোটের দিকে চোখ পড়তেই মনে হলো মিষ্টি জাতিয় কিছু হবে হয়তো।
,
তখন আসলে কোনো কিছু হুশ ছিলো না আমি আসলে ঝাল কম খায় তার ওপর এই অবস্থা।
নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে সে।
,
সানভি আকৃষ্ট হয়ে পড়লাম তার লাল ঠোটের প্রতি।
হঠাৎ করেই কিস করে বসে।
প্রায় দুমিনিট পর রিহা নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো।
আহ ঝালটা কমে গেছে।
কিন্তু সানভি সামনে তাকিয়ে দেখে রিহা কেমন যানি করছে।
মনে হয় ঝাল লেগেছে।
,
ঝালযুক্ত কিস হাহাহা।
রিহা কেমন একটা রাগি ভাব নিয়ে তাকালো আমার দিকে।
তাতে কি সানভির কি আসে যায়।
,
সানভির খুব জানতে ইচ্ছে হচ্ছে ওই বজ্জাত বন্ধুগুলার কি খবর। আর আপনাদের বলে রাখি ওদেরকে যে দুই হাজার টাকা দিছে তা নকল টাকা হিহিহি।
কার্ডের মতো তবে অন্ধকারে টাকা মনে হয়।
মেয়ে মানুষ তো বোকা বানানো খুব সহজ হিহিহি।
,
এইসব কিছু ভাবতাছে সানভি হঠাৎ রিহা তাকে জড়িয়ে ধরলো। মেয়েটা কাদতাছে খেয়াল করলো সানভি। কি করবে সে বুঝতে পারেনা।নিজেকে ছাড়িয়েও নিতে পারেনা আর না পারে জড়িয়ে ধরতে।
তবে সে এটা অনুভব করতেছে তার ভিতরটা কেমন যানি জুড়িয়ে যাচ্ছে।
.
যেই জিনিসটা একদিন সানভির একটা স্বপ্ন ছিলো মাত্র সেটা আজ বাস্তব।
সানভি ওভাবেই দাড়িয়ে থাকে।
,
রিহা বলে,
– একটু ছাদে নিয়ে যাবা?(রিহা)
– ছাদে কেনো যাবো এতোরাতে।(সানভি)
– চলোনা সানভি।প্লিজ।(রিহা)
– এতো রাতে ছাদে কেনো যাবো।(সানভি)
– চাদ দেখবো।(রিহা)
.
সানভি মনে মনে বলে চাদ তো আমার সামনেই দাড়িয়ে আছে।আর ছাদে যাওয়ার কি দরকার।তবে তার মনে জেদ চেপেছে কিছুতেই সে আর প্রকাশ করবে না সে ভালোবাসে তাকে।
.
সানভি ছাদের দিকে পা বাড়ায়।
রিহা বলে,
একটু কোলে করে নাও না হাটতে ইচ্ছে করছেনা।
সানভি চুপচাপ কোলে তুলে নেয় রিহাকে।
রিহা কোলে থাকা অবস্থায় সানভির গালে একটা চুমু দেয়।
.
সানভি শুধু দেখছে কি কি করতে পারে রিহা বাধা দিবেনা এই একটা দিন।
.
ছাদে গিয়ে নামিয়ে দেয় রিহাকে।
সানভি ছাদের এক কোনে গিয়ে একটা সিগারেট ধরায়।
দুটো টান দিতেই রিহা সিগারেটটা ফেলে দেয়।
সানভি শুধু অবাক হয়ে দেখে,
একটা দিনই তো তারপর সব ঠিক।
রিহা বলে উঠে,
– আমি ওই পুরে যাওয়া ঠোটে কিস করতে পারবো না।(রিহা)
– তো আমি কি করবো?(সানভি)
– কি করবা মানে সিগারেট খাবে না আর।(রিহা)
.
– ১০০ বার খাবো আমার ইচ্ছা।(সানভি)
– কেনো খাবা তুমি তুমিতো ভালো ছেলে।(রিহা)
– একজন ধর্ষক কখনো ভালো লোক হতে পারেনা।( সানভি)
.
– তুমি ধর্ষক না তুমি আমার স্বামি এখন।(রিহা)
,
– হিহিহি তুমি তো বাধ্য হয়ে বিয়েটা করছো আমি যদি ওইটা না করতাম তুমি জিবনেও আমাকে বিয়ে করতে না।(সানভি)
.
রিহা চুপ করে যায়।কি বলবে সব সত্য যে।
সানভিকে সে দেখতেই পারতো না কেনো যানি কিন্তু ছেলেটার মাঝে খারাপ কোনো দোষ ছিলোনা।
আর সানভি প্রায় ভিতর থেকে মরে যাচ্ছে।
অনুতাপের আগুনে পুরছে সে প্রতিনিয়ত।
,
ধর্ষন করেছে সে এটা না করলেও পারতো বিয়ে না করলে করতাম না বিয়ে হাজারো লোক আছে যারা বিয়ে করছে না তাদের মতো আমিও না হয় থাকতাম।কিন্তু কেনো করলাম কাজটা আমি কিভাবে করলাম।
মনে মনে ভাবে সানভি।
,
মনে পড়ে যায়,
সে ভেবেছিলো রাত হলে প্রতিদিনন রাতে তারা গুনবে সানভি রিহার কোলে মাথা রাখবে।
তারর কপালে ভালোবাসার পরশ একে দিবে।
ভালোবাসার চাদরে জড়িয়ে নিবে একে অপরকে।
,
এক প্লেট এ খাবার খেতো।
কিন্তু বিয়েটা বাস্তব হলেও বাকি সবকিছু অপুর্নই থেকে যাবে।
কারন সে ধর্ষক।,
সানভির চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে আসে।
অন্ধকারে কেও দেখেনা সে পানি।
.
হঠাৎ পেছনে কারো ডাকে ঘোর কাটে সানভির।
শালিগুলা আবারো এসেছে।
ঝটপট চোখটা মুছে ফেলে সে।
রিহাও এতক্ষন অন্যমনস্ক ছিলো এবার বাস্তবে ফিরলো।
সানভি তাকিয়ে দেখি তার বন্ধুগুলা নিচে দৌড়াদৌড়ি করতাছে।
,
কি হইছে ওদের? ভাবতেই মনে পড়ে ওদের তো ঝাল বেশি করে দিয়ে খাওয়ানোর কথা ছিলো।
.
.
#লাইক_কমেন্ট করে পাশে থাকবেন
আর গল্পটি কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন প্লিজ প্লিজ প্লিজ।