ধর্ষন করে বিয়ে পর্ব-৪

0
1077

ধর্ষন করে বিয়ে
Love_Factor
লেখকঃ সানভি আহমেদ সাকিব।
পর্ব ৪
# NOTE -Jader ay golpo niye problem ache tara pls ignore korben
Thanks
.
আনমনে ভাবতে থাকে রিহা।
হঠাৎ সানভির ডাকে ঘুম ভাঙে তার।
পেছনে তাকাতেই সানভি বলে উঠে,
– আমার গোসল শেষ গোসল করে নাও মা এসে ডেকে গেছে একবার।(সানভি)
– আচ্ছা।(রিহা)
.
এমন কড়া কথা শুনে রিহার মেজাজ খারাপ হয়ে যায় মনে মনে বলে যদি এখন বিয়ে না করতো তাহলে ওর মাথা ফাটিয়ে দিতাম আমি।
কিন্তু স্বামি তো তাই পারি না।
.
একটা কথা কিছুতেই বুঝতে পারেনা সে।
যে ছেলেকে দেখলেই তার গা জ্বলতো আজ তার একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য পাগল সে।
কেনো হলো এমন। খুব অদ্ভুদ কথা ঘুরতে থাকে তার মাথায়।
নিজেকেই ছোট মনে হয় নিজের কাছে।
.
ওদিকে সানভি পান্জাবি আর জিন্স পড়ে বসে বসে অপেক্ষা করছে রিহার জন্য।
রিহা কখন বেরুবে তারপর খেতে হবে।
অনেকক্ষণ হয়ে গেলো বেরুচ্ছেনা কেনো।
অধৈর্য হয়ে পড়ে সানভি।
দড়জার কাছে গিয়ে বলে,
– আর কতক্ষন লাগবে গোসল করতে এতো সময় লাগে নাকি?(সানভি)
– ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।(রিহা)
.
প্রায় দশ মিনিট হয়ে যায় রিহা বের হয়না।
সানভি বেশ রেগে যায়।
দরজার সামনে গিয়ে দাড়াতেই রিহা বের হয়।
আচমকা সানভি চলে আসায় রিহা বেশ ভয় পেয়ে যায়।
সানভির রাগ সব চলে গেছে সবুজ শাড়িতে রিহাকে দেখে।
চুলগুলো দিয়ে পানি পড়ছে এখনও।
.
একদম ফ্রেস রিহাকে আবারো দেখলো সানভি সেই প্রথম দিন যেমন দেখেছিলো আজ আবারো সেই রিহাকেই খুজে পেলো সানভি।
রিহাও বড় সড় ক্রাশ খাইছে নিল পান্জাবিতে সানভিকে দেখে।
.
পারফিউমের গ্রান পাগল করে দিচ্ছে তাকে।
সানভি নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,
– চলো।
– হুমমম।
.
এরপর দুজনে নিচে যায়।
সিড়ি দিয়ে নামার সময় রিহা হঠাৎ সানভির হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে।
সানভি ছাড়ানোর চেষ্টা করেনা।
কারন বাড়ির সবার নজর তাদের দিকেই।
সে কোনোভাবেই বুঝাতে চায়না যে সে তাকে মেনে নেয়নি।
.
সবাই যেনো থমকে গেছে তাদেরকে দেখে।
একটা পারফেক্ট জুটি তারা।
আর দুজনকেই বেশ ভালো মানিয়েছে।
নিচে নামতেই সানভির ছোট বোন রিহার হাত ধরে নিয়ে বসায় খাওয়ার টেবিলে।
.
সানভির মা বাবা রিহাকে নিয়ে ব্যাস্ত সবাই তার খোজ খবর নিচ্ছে খাওয়াচ্ছে আর সানভির প্লেট খালি।।
তার দিকে কারো নজর নেই,
সানভি বলে উঠে,
– বউয়ের দিকেই সবার নজর আর আমার প্রতি কারো খেয়ালই নাই।(সানভি)
– আরে তোর খেয়াল তো গত ২২ বছর ধরে নিয়েই আসছি এবার থেকে ওর নিবো বুঝসিস।(মা)
,
রিহা মুচকি হেসে উঠে। সানভি চুপচাপ খেতে থাকে।
বারবার ক্রাশ খাচ্ছে সে কিন্তু জেদটা আরো বেশি পরিমান চেপে গেছে তার।
.
খাওয়া শেষ করে বাইরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে যায় সানভি।
আর রিহা তার ননদ আর তার শাশুড়ি মার কাছ থেকে সানভির গল্প শুনতে থাকে,
সানভির মা বলে,
– ছেলেটা আমার খুব ভালো কিন্তু হঠাৎ করে কি যে হয়ে গেছে যানিনা আগে দেখতাম রোজ গালে হাত দিয়ে বাসায় ফিরতো। বুঝতাম না কোনো এমন করতো।
এভাবে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন সানভি কেমন কঠোর হয়ে যায় কারো সাথে ঠিকমতো মিশে না।
প্রয়োজন ছাড়া কোনো কথা বলেনা।
তুমি একটু ওকে দেখে রাখবা আর কখনো কষ্ট দিবানা ওকে কেমন।(মা)
– কখনো দিবো না মা।(রিহা)
.
রিহা তাকে আপন মায়ের মতোই মনে করে তার কোলে মাথা রেখে আরো হাজারো গল্প শুনতে থাকে।
কি করতে পছন্দ করে সানভি কি খেতে পছন্দ করে
ইত্যাদি।
ছোটবেলার কাহিনি শুনতে গিয়ে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যায় রিহার।
.
সানভি বন্ধুদেরর মাঝে যেতেই সবাই বলে উঠে,
– অভিনন্দন অবশেষে পাইলি তাকে।(বন্ধুরা)
– হুমম পেলাম তবে অনেক কিছুর পর।(সানভি)
– অনেক কিছুর পর মানে?(বন্ধুরা)
– আরে অনেক কিছুর পর মানে বুঝিস না পুরা ৬ বছর ধরে ঘুরতাছি আর আজ পেলাম তাকে।(সানভি)
– হুমম ঠিক বলেছিস মেয়েটা যা জেদি ৬ বছর কেও পেছনে ঘুরার পরও তাকে মেনে নেয়না।কিন্তু এখন কিভাবে মানলো..?
– আর বলিস না বিয়ের প্রস্তাব দিছিলাম বাসায় তাই আর মানা করেনি।(সানভি)
– হুম যা হইছে ভালো হইছে আজকে কিন্তু তোর পক্ষ থেকে ট্রিট চাই।
– কালকে তো পেট পুরে খাইছিস আবার আজকেও খাবি এখন আবার কিসের ট্রিট আমি ওসবের মধ্যে নাই।(সানভি)
– দোস্ত ট্রিট লাগবো না শালি আছে দুইটা একটা ভাও কইরা দিস।
– সালা লুইচ্চা।(সানভি)
.
তারপর আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরে সানভি।
রিহার বাসা থেকে লোকজন এসেছে।।
সবাইকে খাওয়ানো হচ্ছে।
সানভি তার রুমে চলে যায় গিয়ে দেখে রিহার বাবা মা বসে আছে রিহার পাশে।
আর মেয়েটা কাদতাছে।
সানভি গিয়ে সালাম করে তাদেরর কে।
.
নানান কথা শুনতে থাকে তাদের। রিহার প্রতি তার এতোটাইই জেদ চেপে গেছে যে তার ভালো কথা বললেও তার খারাপ লাগে।
কিন্তু মেয়েটা এতোটাই সুন্দর যে বারবার চোখ আটকে যায় তখন চাইলেও চোখ ফিরাতে পারেনা।
.
সারাদিন কেটে যায় ব্যাস্ততায় সন্ধার দিকে রওনা দেয় তারা।
রিহার বাসায় কালকের দিনটা থাকতে হবে তারপর রাতে আবার চলে আসবে।
সানভি আর রিহার জন্য আলাদা গাড়ি।
সানভি ড্রাইভ করতে যানে তাই সে নিজেই গাড়ি চালাচ্ছে পাশে বসে আছে রিহা।
.
রিহার খুব রাগ হয়। পাশের মানুষটা যেনো একটা রোবট কোনো কথা বলছে না।
কিছুদুর যেতেই সানভি হঠাৎ গাড়ি ব্রেক করে রিহার দিকে তাকায়।
বাইরের বাতাস এসে রিহার চুলগুলোকে এলোমেলো করে দিয়েছে।
সানভির ইচ্ছা হয় চুলাগুলা গুছিয়ে দিতে।
রিহা বুঝতে পারেনা হঠাৎ মাঝ রাস্তায় গাড়ি কেনো থামালো।
.
চলবে?
আশা করি লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে পাশে থাকবেন।

৩য় পর্বে আপনাদের তেমন Response পাই নি তাই দেরি করে পোস্টটা দিলাম, অাশা করি আপনাদের Response পাবো,
কেমন লাগছে লাইক, কমেন্ট করে জানাবেন প্লিজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here