দেবী পর্ব ৩১

0
321

#দেবী
লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি (ছদ্মনাম)
কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ।
৩১ঃ

দুলাল সিরাজীর মাথায় পানি ঢালছে লতিফ। বিছানায় বসে মাথা নিচে করে রেখেছে। আর লতিফ বদনা দিয়ে পানি মাথার উপরিভাগে দিচ্ছে। তার পাশেই বসে আছে তার সহধর্মিণী। স্বামীর কাছে বসেই কাদছে।
দুলাল সিরাজী প্রচন্ড চিন্তায় আছে। কাল থেকে তার চোখে কেবল একটি জিনিস ই ভাসছে।সকলের পায়ে পায়ে হেলালের রক্ত লেগেছে। যা তার মস্তিষ্কে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। দুলাল সিরাজী তো জন্মগতভাবেই বংশের মান রক্ষার শিক্ষায় পরিপক্ক হয়েছে।অথচ তার বংশের মান এতটুকু। তার কাছে ব্যাপারটা অত্যন্ত হেয় পুণ্য।

দরজায় কারো করাঘাতে হুশে ফিরলেন দুলাল সিরাজী। তাকিয়ে দেখলেন রুহুল দরজায় দাড়িয়ে আছে। দুলাল সিরাজী বললেন, “ভিতরে আইসো।”

অনুমতি পেয়ে রুহুল কক্ষে গেলো।দুলাল সিরাজী লতিফ কে ইশারা করলেন চলে যেতে। তাই লতিফ ও বালতি আর বদনা নিয়ে চলে গেলো। দাদিমাও বুঝলেন তার স্বামী এখন জরুরি কথা বলবে তাই বেরিয়ে গেলো

দুলাল ঠিক হয়ে বসে বললো, “কিছু কইবা রুহুল”
–” জি দাদাজান, কিছু কথা ছিল। ”
–“কি কথা কইবা কও। ”
–“আপনার ও কি মনে হয় হেলাল কে আমি হত্যা করেছি বা এতে আমার কোনো হাত আছে।”

দুলাল সিরাজী মাথা মুছতে মুছতে বললেন,”তুমি কি মহীর কথা কইবার চাও। তাইলে শুইনা রাখো আমি মহী জামাল কাউ রেই বিশ্বাস করি না।”

–“হয়তো আপনি বিশ্বাস করেন না তবে অন্যরা তো করতে শুরু করেছে।”

–” অন্যরা করতাছে মানে।পুরা সিরাজপুর জানে তুমি কেমন পোলা।”

–“দাদাজান, একদল লোক সিরাজপুরের দক্ষিণ দিকে আমার নামে এই কথা রটিয়েছে যে এই হত্যায় আমার হাত আছে। আর এই কাজটি কে করছে জানেন?

–“কেডায় করতাছে? ”
–“আপনার নিজ সন্তান অর্থাৎ আমার চাচাজান নিজে। ”
–“এইডা তুমি কি কও রুহুল জামাল করবো কেন।”

–“কারন সে চায় না আমি এই বংশের কর্তা হই। আর একটা কথা সাজু কখনো মিথ্যে খবর দেয় না দাদাজান। এইটা আপনিও জানেন।”

–“জামালের কি সুবুদ্ধি হইবো না।নিজ বংশের মান নিজে হাতে শেষ করতাছে। ”

–“বাবার জন্য চাচা যেমন বংশের প্রধান হতে পারেন নি চাচার ধারণা আমার জন্য মহী হতে পারবে না। তাই উনি এমন করছেন।”

–“কর্তা হইলেই তো আর হইবো না। যোগ্যতা থাকুন লাগবো। হের কি আর ওই যোগ্যতা আছিল নাকি এই জন্যই বিলাল রে দায়িত্ব দিছিলাম”

–“সেটা আপনি ভালো জানেন দাদাজান আপনি কেন দিয়েছিলেন। লেখিকা স্রোতস্বীনি। আর চাচাজান কে নাকি কথা দিয়েছিলেন অথচ কথার খেলাপ করে আব্বা কে প্রধান করেছিলেন। সেই ক্ষোভ হয়তো এখনো পুষে রেখেছে চাচাজান। ”

–“সেইসব অতীত তোমার না ঘাটলেও হইবো।”
–” আর একটা কথা বলতে চাই ”
–“হ্যা কও কি কইবা।”

–“আমি সিরাজপুরের সিরাজী আব্বা হতে চাই না।আমি চাই না এই বংশের প্রধান হতে।তার চেয়ে বড় কথা এই ডাক শুনার জন্য নিজের পরিবারে দ্বন্দ চাই না আমি।”

–“কিহ তোমার মাথা খারাপ হইয়া গেছে নাকি। তুমি যদি না হও মহীবুল আর জামাল কি করতে পারে তুমি জানো না। ধংশ করবো আমার বংশ বাপ বেটা মিলা।”

–“দাদাজান স ই জানি আমি।তবে এই দায়িত্ব যদি আমি নেই সিরাজী মঞ্জিল আর একতা থাকবে না।”

–” মঞ্জিলে একতা থাকুক আর না থাকুক তোমাকে হতেই হইবো। আমার বংশ আমার কাছে সবার আগে।”

রুহুল মেকি হেসে বললো, “আপনি তো বরাবর আপনার বংশের মান সম্মান নিয়েই ভেবে গেলেন”

–“হ্যাঁ ভাবি তাই তুমি তোমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করো।”

–“মাফ করবেন আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল। ”

–” তাইলে তুমিও শুইনা রাখো যদি না হও তোমারে এই মঞ্জিলে জায়গা দেওয়া হইবো না।”

–“আমায় জায়গা না দিলে কিছু করার নেই। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে চলে যাবো এই মঞ্জিল থেকে। ”

রুহুল সিরাজী চিল্লিয়ে উঠলেন,”রুহুল”

–” আমি আপনার বংশের নিয়ম মানতে বাধ্য নই দাদাজান। আপনার বংশের নিয়ম আমার সব টুকু কেড়ে নিয়েছে। আমার মায়ের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে। আজ হেলালের এই মৃত্যু এই সব কিছু আপনার বংশের জন্য। আজ ছোট আম্মার বিলাপ কান্না সব কিছু এগুলাতে আমি শতভাগ নিশ্চিত আপনার এই অহংকার জড়িত। জীবনে তো কম পাপ করেন নি। লেখিকা স্রোতস্বীনি। এখন আমার হাত ও পাপের রঙে রাঙাতে চান। তাহলে শুনে রাখুন আমি আমার মায়ের সন্তান যে মা পবিত্র। তার শিক্ষায় আমি বড় হয়েছি। অন্যায় কারী কে শাস্তি দেবো আর নির্দোষ দের মুক্তি। ”

কথাটি বলেই রুহুল চলে গেলো।
দুলাল সিরাজী রুহুলের এমন আচরণে অবাক হলেন।
মনে মনে বললেন,” আমি বাঁইচা থাকতে আমার স্বপনে পানি ঢালতে পারুম না। এই জমিদারি, এই মঞ্জিল সব রক্ষা করার দায়িত্ব তোমারে নেওয়াই লাগবো রুহুল। আমার ফাদে পা দিতে তুমি বাধ্য হইবা। ”
___________________

সামিয়া নামাজ পড়ে দোয়া পড়ছে। বকুল সামিয়ার দিকে চেয়ে আছে। গতকাল কতই না হাসি খুশি ছিল। নিজের বিয়ে অথচ নিজের ভাই কে হারিয়ে কেমন মন মরা হয়ে আছে।
বকুল এগিয়ে যেয়ে সামিয়ার পাশে বসলো। বললো, “সামিয়া ”
সামিয়া কোনো উত্তর দিলো না। বকুল আবারো বললো, ” সামিয়া এভাবে উদাস হয়ে থেকো না।তোমায় এভাবে দেখে আমার ভালো লাগছে না। এভাবে চোখের জল না ফেললে কি হয় না। ”

সামিয়া কাদতে কাদতে বললো, “তাইলে কি হাসবো আমি বলেন।আমার আম্মা কানতাছে,আমার ভাইজান মইরা গেছে আর আপনে আমায় কেমনে কথা টা কইতাছেন। ”

–“আমি তোমার কষ্ট টা বুঝছি কিন্তু দেখো কাদতে কাদতে কেমন তোমার গলা বসে গেছে। আমার ভালো লাগছে না তোমার এমন মুখ।”

–” আমার জন্যই তো মইরা গেছে আমার ভাই। আমি কানমু না তো কে কানবো।”

–“তুমি নিজেকে কেন দোষী ভাবছো?”

–“তো কারে কমু কন। আমার যদি বিয়া না হইতো তাইলে কি আমার ভাই রে কেউ খুন কইরা যাইতে পারতো। কেউ পারতো না। ”

–“এটা ওনার ভাগ্যে ছিল। আল্লাহর ইচ্ছা সব ”

–” ভাগ্য? পচা ভাগ্য এইডা। আপনে কেন আইলেন আমার জীবনে। আপনি যদি না আসতেন তাইলে আমি আপনারে ভালোবাসতাম না।বিয়া ও হইতো না।আর না ভাইজান মরতো।আপনি ও দায়ী।”

–“আমাদের বিয়েকে এভাবে দোষ দিও না। সব দোষ হত্যাকারী দের।”

সামিয়া আবারো বিলাপ কান্না শুরু করে বললো, “আমার যদি বিয়া না হইতো ভাইজান মরতো না। আইজ ভাইজানের লাশ সিরাজী মঞ্জিল থিকা যাইতো না। আমার জন্য আইজ আমার ভাইজান রইলো না। আমার খুব কষ্ট লাগতাছে।”

বকুল সামিয়াকে শক্ত করে নিজের বুকে জড়িয়ে নিলো। সামিয়ার মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।মনে মনে বললো, “আজ ই কেদে নাও। আমি আর কখনো তোমায় কাদতে দেবো না।”
____________________

বকুল নামাজ পড়তে বের হবে। কক্ষ থেকে বেরিয়ে দেখলো রুহুল ও বের হচ্ছে। বকুক এগিয়ে গেলো রুহুলের দিকে। তারপর দুই বন্ধু মিলে হাটতে হাটতে মসজিদে গেল।

বকুল রুহুলকে বললো,” কাল বিয়েটা না হলেই বোধহয় ভালো হতো। ”

–” হুহ,, এগুলো বলে কি আদোও কি কোনো লাভ আছে। যে যাওয়ার সে তো চলেই গেছে। হেলাল কি আদোও ফিরে আসবে। ”

–“সামিয়া আমাকে বার বার বলছে বিয়ের জন্যই এগুল হয়েছে। নিজেকেও দোষ দিচ্ছে সাথে আমাকেও। ”

–“সে তো ছোটাম্মা আমাকে দেখেও বলছে। ওর মাথা ঠিক নেই। আমাদের দুই ভাই এর অনেক আদরের তো তাই এমন বলছে। ”

–” হেলাল কে এভাবে কেউ কেন মারলো। ছেলেটাকে যতটা দেখেছি ভালোই মনে হয়েছে। তোদের কি কারো সাথে শত্রুতা আছে রুহুল। ”

–” কে মেরেছে,কেন মেরেছে সেটা যদি জানতাম তাহলে হেলাল জীবিত থাকতো। কেননা তাকে অনেক আগেই আমি নিজ হাতে হত্যা করতাম।”

–“তোর কাউকে সন্দেহ হয় না।বা চোখে ও পড়ে নি কোনো কিছু। তোর মত বিচক্ষণ মানুষের চোখ ফাকি দেয় কিভাবে। ”

–” আমরা যা দেখতে চাই আমাদের চোখ সেটাই দেখায় আমাদের।চোখের সামনে এমন অনেক সত্য থাকে যা আমাদের কল্পনার বাইরে।হয়তো আমার সাথে ও তেমন ঘটছে। তবে খুব শীঘ্রই ধরবো। ”

–” তুই নিজেও সাবধানে থাকিস রুহুল। প্রথমে আব্বা, তারপর হেলাল। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে গভীর কোনো চক্রান্ত আছে। ”

–” কিভাবে সাবধানে থাকবো যেখানে নিজের লোক ই বড় শত্রু। আর আমি মৃত্যুর ভয় করি না। আগে মৃত্যুর কথা ভাবলে আম্মার মুখ ভেসে উঠতো আর এখন বিবিজানের কথাও মনে হয়। আমি মরে গেলে এই দুনিয়া তাদেরকেও বাচতে দেবে না। ”

–“কেউ না জানলেও তোর বেদনা আমি জানি। এই জন্যই বলছি তুই নিজে সতর্ক হ। ”

–“হুম, সতর্ক তো আমায় হতেই হবে। খুনিতে যে ধরতেই হবে আমার। নিস্তার নেই তাই। ”
__________________

রাতে কাকন নামাজ পড়ে সব কাজ করলো।বাড়িতে মেহমান অনেক সেই সুবাদে কাকনের উপর কাজের চাপ বেশি। সকলেই কান্না কাটি করছে কিন্তু সুভার আদেশ মতো মন খারাপ হলেও মেহমান দের খাওয়ার ত্রুটি রাখা যাবে না। সবাইকেই নিজ হাতে বেড়ে খাওয়াল কাকন। লেখিকা স্রোতস্বীনি। রানু এসে জানালো রুহুল খেতে চায় কাকন যেন নিজে নিয়ে যায় খাবার ভোজন কক্ষে। কাকন রানুর সাহায্যে সব খাবার ভোজন কক্ষে নিয়ে গেলো। তারপর রুহুল কে বেড়ে দিতে লাগলো।

রুহুল কাকন কে বললো, ” ছোট আম্মা, অতিথি আর বাড়ির সবাই খেয়েছে?
–“হুম অল্প করে সকলেই মুখে নিয়েছে শুধু।”
–“আর আপনি খেয়েছেন?”
–” আমি, আমি পরে খাবো। আপনি খেয়ে নিন
তারপর আম্মা কে নিয়ে খাবো।”
–“কেন আম্মা এখনো খায় নি? ”
–“আপনি না খেলে আম্মা খায় না।আর আমিও আপনার জন্য অপেক্ষায় থাকি তাই আম্মাও খায় না।”
–“আপনি আমার জন্য অপেক্ষা করবেন না।ক্ষুধা লাগলে দয়া করে খেয়ে নেবেন।”
–“না দাদিমার নিষেধ। স্বামীকে রেখে খেলে অমঙ্গল। ”
–“এগুলো উদ্ভট কথা।আপনি খেয়ে নেবেন।আর আম্মাকেও বলবেন যেন খেয়ে নেয়।”
–“আপনি খেলেই উনি খেতে বসেন।”
–” একটা কথা বলবেন বিবিজান? ”
–” জি বলুন”
–“আম্মা কি আপনাকে ভালোবাসে বা আপনাকে আপন করে নিয়েছে। ”
–” জি ভালো বাসবেন না কেন। উনি তো আমাকে অনেক ভালোবাসেন।আর আপন করেও নিয়েছে।”
–” সত্যি তো। ”
–“হ্যাঁ। আপনার কি এতে কোনো সন্দেহ আছে। আর ভালো বাসবেই না কেন বলুন।”
–” আমার স্ত্রী তো আপনি এই জন্য সন্দেহ হয় যে আদোও ভালোবাসে কি না আপনাকে। ”
–“আমি আপনার স্ত্রী এই জন্য ভালোবাসবে না, মানে?”

রুহুল কিছু বলবে তার আগেই মহীবুল আর জামাল ভোজনকক্ষে ঢুকলো।অজ্ঞতা রুহুল বললো,
–” কিছু নয়। আপনি রন্ধনশালায় যেয়ে খেয়ে নেন আম্মার সাথে। এখন আসুন। ”
কাকন ও রুহুলের কথা মত চলে গেলো।

মহীবুল আর জামাল চেয়ারে বসলো।মহীবুল নিজের মাকে ডাকলো।কিন্তু সাড়া পেলো না। জামাল আবারো ডাকবে তার আগেই রুহুল বললো, ” আজ নিজ হাতে বেড়ে খান চাচাজান। ”

মহীবুল বললো, “আব্বার হাত এখুনো ঠিক হয় নাই। ”
–“বেশ তাহলে আমি বেড়ে দিচ্ছি। ”
–“আমি আম্মারে ডাকছি হেতিই আসব দিতে।”

রুহুল জামাল আর মহীবুলের প্লেটে খাবার বেড়ে দিতে দিতে বললো, “চাচি আম্মা হয়তো অন্য কাজে ব্যস্ত। আর চাচিআম্মা ক আদোও খেয়েছে কিনা কোনো
দিন খোজ নিয়েছিস তুই। ”

–“ওইসব খোজ রাখার সময় নাই আমার ”
–“বাহ, নিজের মা এর খোজ নেওয়ার সময় নেই।অথচ ছোট আম্মাকে এত ভালোবাসিস যে হেলালের মৃত্যুতে আমার হাত আছে এটা বুঝাচ্ছিলি। ”

মহীবুল আমতা আমতা করে বললো, “আমি আপনের কথা কই নাই দাদাভাই। আমি শুধু কইছি আপনে আমাগো পছন্দ করেন নাই কোনোদিন। আর এইডা
কি মিছা কথা কইছি নাকি হ্যাঁ । ”

–“আমি তোদের কত টা পছন্দ করি এটা যদি তোরা বুঝতি এ কথা বলতে পারতি না। আর হ্যাঁ তোরা দক্ষিণে আমার নামে বাতাশা ছিটানো বন্ধ কর। ”

–” মা,,মানে কিসের বাতাশা। ”
–“তুই নিজেই ভেবে দেখ কি করছিস। ভুলে যাস না আমার চোখ ফাকি দেওয়ার সাধ্য তর এখনো হয় নি।”

জামাল সিরাজী বললেন, ” আহ রুহুল, বাপজান তুই এগুলা কইস না।ছোট ভাই বোঝে না তাই কইছে। আর কিসের বাতাশা বুতাশা কইতাছা”

–“চাচাজান মহী তোমার যোগ্য সন্তান। তবে বুঝাও তোমার ছেলেকে আমার বিরুদ্ধে যেন এগুলো না বলে।”

–” হয়তো অন্য কেউ করতাছে। আমাগো শত্রুর তো অভাব নাই। ”
–“হ্যাঁ আসলেই শত্রুর অভাব নেই। তবে তোমাদের বুদ্ধির বড় অভাব। এইজন্য নিজ ভাতিজা কে হত্যা করতে চাও। সময় থাকতে সুধরে যাও তা না হলে ভয়াবহ কিছু হয়ে যাবে।”

রুহুল প্লেটে হাত ধুয়ে চলে গেলো। আর মহীবুল নিজের প্লেট টি মেঝেতে ছুড়ে ফেললো। বললো, “এত কিছু কেমনে জানতে পারে ওই রুহুল।”

–“হেইডা তো আমার মাথায় খেলে না। ”

–“সা’লা ওর তেজ কমাইয়া ছাড়মু আমি।”

জামাল ছেলের দিকে পানি এগিয়ে দিয়ে বললো, “ঠান্ডা হ বাজান।আর তো কিছুদিন, ওরে শেষ করমুই।”

–“তার আগে আপনের বুইড়া বাপ রে খু’ন করেন।হের জন্যই এত কিছু সহ্য করা লাগে ।”

–“সাপের লেজে পা দিতে গেলেই ছোবল। আল্লাহ নিয়া গেলেই রাস্তা পরিষ্কার,ধৈর্য্য ধর। ”

–“একবার খালি বুইড়া মরুক। রুহুলরে তো শেষ করমুই। তয় ওরে শেষ করার আগে ওর বউ আর মা রে খুন করমু। ওর বউ আর মা এর শোকে ও যখন দিশেহারা হইবো তখন ওরে ও খুন করমু।”

জামাল বাকা হেসে বললো, “ওর ওই ফকিন্নি বউ রে আগে আমি খুন করমু। মা*র জন্য ওই রুহুল আমার হাত ভাংছে। ওর বউ এর চুল ধরছি দেইহা রুহুল জীবনের প্রথম আমার গায়ে হাত তুলছে। কিন্তু
কিচ্ছু কইতে পারি নাই তয় কিচ্ছু ভুলি নাই। ”

–“ওর বউ এর চুল ধরছেন দেইহা আপনের হাত ভাংছে তাই না আব্বা। ওর বউ রে খুন করার আগে দেইখেন কত কি ধরি। তখন দেখমু ওর তেজ কই থাকে।”

চলবে….
#দেবী
#Srotoswini_স্রোতস্বীনি

বিদ্রঃ দয়া করে কেউ কপি করবেন না। ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করে পাশে থাকবেন, ধন্যবাদ।

®️ Srotoswini-স্রোতস্বীনি ✍️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here