দেবী পর্ব ১৭

0
317

#দেবী
লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি (ছদ্মনাম)
কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ।
১৭ঃ

চারিদিকে ফজরের আজান শোনা যাচ্ছে। সুমধুর আজানের ধ্বনি। পৃথিবীতে বোধহয় আর কোনো কিছুর ধ্বনি এত মধুর নয়। পিটপিট করে চোখ খুললো কাকন।অন্ধকার এখনো চারিদিকে ছেয়ে আছে। খোলা আকাশের নিচে এভাবে শুয়ে ছিল তারা দুজন।গতরাতে চন্দ্রবিলাশ করেছে দুজন তারপর কখন ঘুমিয়েছে বুঝতেই পারে নি। রুহুলের বাম হাত এর উপর মাথা রাখা অবস্থায় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে কাকন। এত সুন্দর খোলা আকাশের নিচে প্রকৃতি অনুভব করা আগে হয় নি তার।আজ প্রথম এভাবে ঘোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন। লেখিকা স্রোতস্বিনী।ব্যাপারটা ভালো লেগেছে কাকনের। নিজের গা থেকে রুহুলের হাতটা সন্তপর্ণে সরিয়ে উঠে বসে চুল গুলো খোপা করে নিলো। তারপর নিজ কক্ষে এসে জানালা খুলে দিলো।শাড়ি পাল্টে ওযু করে নামাজ পড়লো। নামাজ শেষে আলমারির উপর থেকে কুরআন শরীফ নামালো।আল্লাহর নাম নিয়ে কাকনের সুমধুর কন্ঠে তা তিলাওয়াত করা শুরু করলো।
সূর্য এখনো পুরোপুরি উদয় হয় নি। তবে আলোর রেশ উপস্তিত হচ্ছে। কানে সুমধুর কন্ঠ ভেসে আসছে রুহুলের কানে। চোখ খুলে কালকের ন্যায় আজকে বিবিজানের মুখ টি দেখতে পেলো না। তবে এত সুন্দর তিলাওয়াত শুনে মন ভরে গেলো। উঠে গিয়ে কাকনের কাছে বসলো। মাথায় কাপড় দিয়ে এত সুন্দর কুরআন তেলাওয়াত করা কাকন কে দেখে রুহুলের মনে হলো জান্নাতের হুরপরী যেন তার কক্ষে এসেছে।

কাকন সুরা বাকারার ২য় রুকুতে থেমে কুরআন শরীফ বন্ধ করে নির্দিষ্ট স্থানে রাখলো। অগোছালো শাড়িটি গুছাতে লাগলো।
রুহুল পিছন থেকে কাকন কে জড়িয়ে বললো, “আমি নিশ্চিত জীবনে কোনো নেকির কাজ করেছিলাম এই জন্য আল্লাহ জান্নাতের হুরকে আমার বিবিজান হিসেবে পাঠিয়েছেন “।

কাকনের এখন মনে হলো আজকে এক রুকু কম পড়ে রন্ধনশালায় চলে গেলেই ভালো হতো। রুহুলের এমন কথায় ভারি লজ্জা লাগে তার।
–” ছাড়ুন আমাকে,, আমায় রান্না চড়াতে হবে”

–“উহু একটু পর। ”

–“আপনি নামাজ পড়েন না?

–“পড়ি তো। এখন থেকে আরো বেশি বেশি পড়বো। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে তো।এই যে এত সুন্দর বিবি দিয়েছেন আমাকে আল্লাহ তায়লা। ”

কাকন রুহুলের কথায় হাসলো। রুহুলের আচরণ এ কাকনের মনে হয় লোকটার মধ্যে কোনো ভেজাল নেই। এখনো বাচ্চাদের মতো বাচ্চামো করে আর কাকন কে লজ্জা দিবে। কাকন নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল, “বেশ আপনি নামাজ পড়ে নিন। আমার কাজ আছে ”

রুহুল সম্মতি জানালো। কাকন দরজা খুলে রান্না ঘরের উদ্দেশ্যে চললো। দেখলো তার শাশুড়ী, ছোট শাশুড়ী এবং চাচি শাশুড়ী রয়েছে। কাকন তাদের কাছে গিয়ে বলল, “আমাকে কি কি করতে হবে?”
কাকনের কথায় সকলের দৃষ্টি ওরদিকে। মালেকা কিছু বলবে তার আগেই সুভা মুচকি হেসে বললো, “কিছুই করতে হবে না। তুমি আমার কাছে বসো। ”

কাকন শাশুড়িমার কথা মতো বসলো। সুভা কে দেখলেই কাকন অবাক হয়। যেখানে সিরাজী মঞ্জিলের সকলেই পাথরের মতো সেখানে তার শাশুড়ী মা তুলার মতো নরম। অন্যরা ক্রুদ্ধদৃষ্টিতে তাকায় আর সুভা সেখানে কোমল দৃষ্টিতে চায়। হয়তো আম্মা এরকম বলেই রুহুল ও মায়ের মতোই কোমল মনের।

মালেকা ঝাজালো স্বরে বললো, “রুহুলের বউ যাও সবজি গুলান কাটো। বইসা থাকলে তো আর শশুড় বাড়ি ভাত জুটবো না, কাম করো। ”

সুভা কিছু বলবে তার আগেই কাকন শাশুড়ী কে চুপ থাকতে ইশারা করলো। বটি দিয়ে সবজি কাটতে শুরু করলো। সুভাও আর নতুন বউ এর সামনে কথা কাটাকাটি করতে চাইলো না।আর কাকন যেহেতু সেচ্ছায় সম্মতি জানালো থাক সে কাজে বাধা দেবে না।
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

মহীবুলের মা কাকন কে চেয়ে চেয়ে দেখছে।ফিরায় বসে রুটি বেলছে সে। সম্পর্কে ছোট বিধায় দুই জা এর উপর কথা বলার সাহস হয় না।নিরবে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করে। কাকন কে তার ভীষণ ভালো লাগে। কি সুন্দর মেয়েটি। মনে প্রাণে মহীবুলের জন্য এমন একটি বউ চাইল সে।

মহীবুলের মা রুটি বানানো শেষে মুচকি হেসে কাকনের কাজে হাতে হাতে সাহায্য করতে শুরু করলো।
কাকন কাজ করছে আর মহীবুলের মা’র সঙ্গে কথা বলছে। সমজি কাটা প্রায় শেষ এর দিকে। মালেকা এখন রান্না করবে। সুভা বিলালের জন্য দুধ গরম করলো। তাকে যে এখন দুধ খাইয়ে ওষুদ দিতে হবে। কাকন সুভা কে বললো, “আম্মা, যদি কিছু মনে না করেন আমি নিয়ে যাই দুধ”?

সুভাসহ সকলেই কাকনের মুখপানে চেয়ে রইলো। যেন কাকন কোনো ঘোর অন্যায় করে ফেলেছে। কাকনমুখ ছোট করে মাথা নিচু করে ফেললো। সুভা দুধ এর বাটি টা কাকনের দিকে এগিয়ে দিলো। বাটি দেখে কাকন মুখ তুলে চাইলো। মুচকি হেসে বাটি টা হাতে নিলো। তারপর সুভার সাথে বিলালের কাছে গেলো।

সুভার কাকন কে মনে ধরেছে। সুভা সবসময় এরকম সুন্দর সরল মনের বৌমা চেয়েছে। হয়তো আল্লাহ তায়ালা ওর দুয়া কবুল করেছেন। আর চার চেয়ে বেশি কাকন কে দেখএলি মনের হিয় কাকন যেন নিএজ্র কেউ। কাকন কে প্রথম দেখেই মনে হয়েছিল তার নিজের মা তার সামনে।জড়িয়ে নেওয়ার পর মায়ের মিতো গন্ধ পেয়েছিল। হয়তো কাকনের গায়ের রঙ টা আউভার মায়ের মতো তাই এমন লাগে।

সুভা কক্ষে যেয়ে বিলালের বালিশের উপর আরেকটা বালিশ দিয়ে উচু করে দিলো। চামচ দিয়ে দুধ খাওয়াবে এখন বিলাল কে। কাকন শাশুড়িমার দেখানো মতো চামচে দুধ নিয়ে খাইয়ে দিলো। ধীরে ধীরে তা গিললো বিলাল সিরাজী। লেখিকা স্রোতস্বীনি। যতক্ষণ দুধ দেওয়া হলো ততক্ষণ বিলাল সিরাজী অশ্রু ঝড়ালো। বিলাল সিরাজীর এমন কান্না দেখে কাকনের মায়া হচ্ছে খুব। সুভা এমন অবস্থা দেখে আবারো অবাক হলো। কারন বিলাল সিরাজী আবারো কাদছে। কাকন কে দেখলেই কেমন কাদে। কিছু বলার ও চেষ্টা করে কিন্তু বিলাল সিরাজী ব্যর্থ হয় সে।
কাকন বিলাল সিরাজীর চোখ মুছে দিয়ে বললো, “আব্বা আমি কাকন। আমাকে চিনেছেন। আমি আপনার বড় ছেলের বউ। আপনি কাদছেন কেন। বলুন না কোথায় কষ্ট হচ্ছে, কথা বলুন আব্বা?”

সুভা কাকনের কাধে হাত রেখে বললো,” রুহুলের আব্বা কথা বলতে পারবে না কোনোদিনো কাকন। আদোও সুস্থ হবে কি না তার ও নিশ্চয়তা নেই। তবে তোমাকে প্রথম দিন দেখার পর থেকেই কিছুটা উন্নতি হয়েছে।আজ দু দিন হলো সে কাদে আগে কাদতো না।তবে এটুকু বুঝেছি তোমাকে রুহুলের স্ত্রী হিসেবে পছন্দ করেছে সে।”

রুহুল বিলালের মুখ মুছে দিতে দিতে বললো,”জানেন আম্মা আমি ওনাকে প্রথম মহিলাশালায় দেখেছিলাম। আর সেদিন রক্তাক্ত অবস্থায়। অথচ আজ ওনার এই অবস্থা। উনি তো অনেক ভালো মানুষ ছিলেন তাহলে এমন হলো কেন? ”

সুভা স্বামীর দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে বললো, “ভালো ছিল আসলেই ভালো ছিল। সে বাদ দাও তুমি রুহুল এর কাছে যাও যেয়ে দেখো কিছু লাগবে কি না ”

–“জি আম্মা” বলেই কাকন শাশুড়ির কক্ষে থেকে বেরিয়ে নিজ কক্ষে যাবে তখনি মুখোমুখি হলো মহীবুল। মহীবুল এর চেহারা দেখে কেমন যেন লাগছে। পা থেকে মাথা অব্দি কাকন কে নজর দিলো মহীবুল । কাকনের বেশ অসস্থি লাগলো মহীবুলের এমন নজরে। কাকন পাশ কাটিয়ে যাবে ওমনি মহীবুল পথ আটকালো। কাকন ভয় পেয়ে গেলো। এভাবে এই লোক কেন পথ আটকাচ্ছে। মহিলাশালায় গেলে ও কাকন কে জ্বালাতো, শুধু কাকন কে না আরো মেয়েদের কেও বাজে নজর দিতো। কাকন মাথা নিচু করে বললো,
–“দেখুন আমার সঙ্গে সভ্য আচরণ করুন। আমি কিন্তু এখন আপনার বড় ভাবি হই ”

মহীবুল কাকনের মুখ এর দিকে চেয়ে বললো, “বেশ ভাবিজান যান কক্ষে যান”

কাকন যেন হাফ ছেড়ে বাচলো। দৌড়ে নিজ কক্ষে যেয়ে দরজা আটকে দিলো। রুহুল বিছানায় শুয়ে ছিল। কাকন কে এভাবে দোড়ে আসতে দেখে সন্দেহ লাগলো। কাকন এর নিকট যেয়ে বললো,
–“কি হয়েছে বিবিজান এভাবে দৌড়ে এলেন যে? ”

কাকন ভয়ে রুহুল কে জড়িয়ে ধরলো যেন রুহুল পালিয়ে যাবে। কাকন ফুপাতে ফুপাতে বললো, “আপনার চাচাতো ভাই আমার দিকে কেমন করে যেন তাকায়। আমার খুব ভয় করে ওনাকে দেখলে ”
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

কাকনের কথা শোনা মাত্রই রুহুলের যেন শিরা উপশিরায় রক্ত উত্তপ্ত হয়ে গেলো। বড় ভাই এর স্ত্রীর প্রতি কুদৃষ্টি স্বামী হয়ে রুহুল তা মেনে নেবে না। রুহুল কাকন কে বিছানায় বসিয়ে পানি দিলো। কাকন এক ঢোকে গিললো। রুহুল পাশে বসে কপালে চুমু দয়ে বলল, “ভয় পাবেন না বিবিজান। আপনার প্রতি মহীবুল আর বাজে নজরে তাকাবে না।আর আমার বিবিজানের প্রতি যারা কুদৃষ্টি দেবে তারা তাদের দৃষ্টি শক্তি হারাবে। ”

–“না দয়া করে এমন করবেন না। আমি সবে দু’দিন হলো এসেছি।আমি চাই না আমার জন্য কোনো অশান্তি হোক।দোহাই লাগে আপনি কাউকে কিছু বলবেন না।”

রুহুল কাকনের দুগালে হাত রেখে বললো, ” এতে আপনার কোনো দোষ নেই বিবিজান। তবে আমি বেচে থাকতে আপনার প্রতি কেউ কুদৃষ্টি দেবে সেটা আমি মেনে নেবো না।”
রুহুল কাকন শক্ত করে জড়িয়ে রাখলো নিজের সাথে। হঠাৎ ই বাহিরে লোকজনের চেচামেচির আওয়াজ শুনতে পেলো। রুহুল কাকন কে ছেড়ে উঠে দাড়ালো। কাকন ও নিজেকে ঠিক করে স্বামীর সাথে কক্ষ থেকে বেরোলো।
রুহুল অন্দরমহল থেকে বাইরে বেরিয়ে এলো। তার সাথেই দুলাল সিরাজী, জামাল, মহীবুল, হেলাল বের হলো।
কাকন দাদিমার সাথে অন্দরমহলেই দাড়িয়ে রইলো। সাথে বাকিরাও দাড়ালো ঘটনা জানার জন্য।

দুলাল সিরাজী সকলের উদ্দেশ্যে বললেন, “কি হইছে তোমরা সক্কলে এইখানে? ”

–“নদীর পানিতে হাবিবুল্লাহর লাশ ভাইসা উটছে সিরাজী আব্বা জলদি আহেন”

আৎকে উঠলো সকলেই। হাবিবুল্লাহর লাশ নদীতে ভেসে উঠছে কে ফেলে রেখেছে। জামালের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হলো। হেলাল, মহীবুল একে অপেরের দিকে চাইলো।দুজনের ই মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট। রুহুল সহ সকলেই চললো লাশ এর কাছে।

সিরাজী মঞ্জিলের সকল মহিলারাও আতঙ্কিত হলো। কে মেরে ফেলেছে হাবিবুল্লাহ কে। কাকন এর ও মন উদাস হয়ে গেলো মৃত্যুর খবর শোনার পর। না জানি পরিবারের মানুষজনের কত টা খারাপ লাগছে।

দাদিমা বসার ঘরে বসে মনমরা হয়ে বললো, “হবি আমাগো বাড়ি থিকাই বড় হইলো। আহারে পোলাডারে কেডায় যে মারলো। খুব ভালো আছিলো।আহারে ছুডো মাইয়া ডা।”

মহীবুলের মা আফসোসের সুরে বললো,” ঠিক ই কইছেন আম্মা। কত কবিরাজ দেহাইয়া মাইডা হইছে আহারে বাপের আদর আর পাইবো না। ”

কাকনের ছোট মেয়েটার কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো। মেয়েরা যে বাবার অতি আদরের হয়। অথচ মেয়েটা পিতৃহীন হয়ে গেলো।নিজের বাবার কথা মনে করে একফোটা চোখের জল ফেলল কাকন।
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
_______________________

সকালে নদীর পাশে দিয়ে যাওয়ার সময় কানু মুন্সি লাশ দেখতে পায়। নদীতে যে পিচাশ আছে সেটা সকলের ই জানা। লাশ দেখে ভয়ে চিৎকার করে ওঠে। লোকজন চিৎকার শুনে এসে দেখে কানুমুন্সি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তার পরেই চোখ যায় লাশে।ধীরে ধীরে আরো মানুষ জরো হয়ে যায়। কয়েকজন মিলে লাশ তুলে আনে। তারপর হবীবুল্লাহ কে দেখে সকলেই ভয় পায়। নৃশংস ভাবে হত্যা করে হয়েছে। তার পরিবার কে খবর দেওয়া হয়। সেই সাথে কিছু লোক যায় সিরাজী মঞ্জিলে।

লাশের পাশে বসে বিলাপ করছে হাবিবুল্লাহর স্ত্রী, মা। আর পাচ বছরের মেয়েটি নিরব হয়ে আছে। সে কি আদোও পিতা হারানোর বেদনা বোঝে,হয়তো না।

দুলাল সিরাজী সহ সকলেই লাশ এর কাছে গেলো।এতক্ষণে পুলিশ ও চলে এসেছে। পুলিশ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখলো মাথায় আঘাতের চিহ্ন। গায়ের অনেক জায়গায় কোপানো হয়েছে। রুহুল লাশ দেখে বুঝে উঠতে পারপছে না এভাবে কেন হাবিবুল্লাহ কে খুন করা হলো।রুহুল পুলিশ কে তদন্ত করার জন্য জোর দিলো। দুলাল সিরাজী হাবিবুল্লাহ কে দুয়া ইউনুস পড়ে ছোট শ্বাস ছাড়লেন। হাবিবুল্লাহ সিরাজী মঞ্জিলের বিশ্বস্ত চাকর ছিল। ছোট থেকেই সিরাজী মঞ্জিলে কাজ করেছে । অথচ আজ মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। জামাল লাশ দেখেই যেন কেপে উঠলো। এ কি ভয়ানক মৃত্যু। জামাল সিরাজীর বহু গোপন কাজ হাবিবুল্লাহ কে দিয়ে করিয়েছে। সেই সুবাদে অনেক কিছুই হাবিবুল্লাহ জানে। মা’রার আগে যদি কেউ জেনে যেয়ে থাকে তাহলে জামাল কে নাকানিচুবানি খেতে হবে তা নিশ্চিত । অন্যদিকে লাশ দেখেই হেলাল মহীবুলের হাত শক্ত করে ধরে ফেললো। গত দু’দিন পাগলের মতো সিরাজপুরে হাবিবুল্লাহ কে খুজেছে। অথচ আজ হাবিবুল্লাহর লাশ নদীতে ভেসে উঠেছে। তারা তো হাবিবুল্লাহ কে পাঠিয়েছিল নিজ স্বার্থ হাসিল করতে অথচ হবিবুল্লাহ লাশ হয়ে ফিরে এলো। সবকিছু ঠিক ঠাক ছিল তাহলে হাবিবুল্লাহ কে মারলো টা কে?”

চলবে…..
#দেবী
#Srotoswini_স্রোতস্বীনি

বিদ্রঃ দয়া করে কেউ কপি করবেন না। ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন। আর যারা আপনাদের মতো গল্প উপন্যাস পড়তে পছন্দ করে তাদের সাথে শেয়ার করবেন। মেনশন দেবেন যেন তারাও গল্প পড়তে পারে।আর ইচ্ছে করলে পেজটি ফলো করবেন।ধন্যবাদ

®️ Srotoswini-স্রোতস্বীনি ✍️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here