#দৃষ্টিনন্দনে_তুমি
কলমে: লাবন্য ইয়াসমিন
পর্ব:৩৩
গভীর রজনী মুষলধারে বৃষ্টির পরে আকাশ পরিস্কার হয়ে গেছে। দক্ষিণা বাতাস বইছে।আকাশে থালার মতো পূর্ণীমার চাঁদ উঠেছে। ধরাধাঁমে চাঁদের জোছনা ঠিকরে পড়ছে। দূর থেকে মাঝেমাঝে গাড়ির শব্দ ভেসে আসছে। অরিনের প্রচণ্ড শীত শীত করছে। চেঞ্জ করার পরে চয়নিকা ওর খাবার দিয়ে গিয়েছিল। এই বাড়ির উপযুক্ত বড় বউ সে। সর্বদা সকলের উপরে শীতল দৃষ্টি তাঁর। অরিন শুধু অবাক হয়ে দেখে বড় জায়ের কর্মকাণ্ড। এমনও মানুষ হয়? মন্ত্রীর প্রাণপ্রিয় স্ত্রী তবুও চেহারা বা পোশাকে অতি সাধারণত একজন গৃহকর্ত্রী। যে স্বামী আর তাঁর পুরো পরিবারকে নিজের ভেবে আগলে রাখতে পটু। অরিন এই অতি সাধারণ গৃহবধুর ন্যায় স্বামী সংসার নিয়ে বাকী জীবন পার করতে চাই। দরকার নেই বিখ্যাত হওয়ার জন্য লড়াই করার। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে ওর চোখ ভার হয়ে আসলো। ঘুম নেমে আসলো নেত্রজোড়াই।আরাফাত চেঞ্জ করে বেলকনিতে গিয়ে চেয়ারে বসে আছে।একবারের জন্যও অরিনের সঙ্গে কথা বলেনি। অরিন সাহস পাইনি কথা বলার। লোকটা রেগে আছে। অরিনের ভয় লাগে লোকটার রাগী চোখদুটোকে। কখন রেগে যায় আবার কখন হাঁসে বলা মুশকিল। আরাফাতের চোখে ঘুম নেই। ঘন্টা তিনেক থমথমে মুখ নিয়ে বসে আছে। হৃদয় পুড়ছে,জ্বলছে সেই যন্ত্রণা চোখ থেকে অশ্রু হয়ে ঝরছে। মনের সঙ্গে নিরব যুদ্ধ হয়েছে,সেখানে ও হেরেছে। মাঝেমাঝে হেরে গিয়েও সুখ পাওয়া যায়। আরাফাত হুট করে উঠে গেলো। রুমে জিরো পাওয়ারের লাল সবুজ বাল্ব জ্বলছে। অরিন কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। ঘন নিশ্বাসের শব্দ জানান দিচ্ছে মেয়েটা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। দৃশ্যটা আরাফাতের সহ্য হলো না। একজন ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সুখের রাজ্যে ভেসে যাবে আরেকজন সারারাত জেগে তাঁকে নিয়ে চিন্তা করবে এটাতো হতে দেওয়া যায় না। আরাফাত সময় নষ্ট করলো না হুড়মুড় করে অরিনের কম্বলের নিচে ঢুকে পড়লো। অরিনকে ঝাপটে ধরে ওর গলাই মুখ ডুবালো।রুমে এসি চলছে। হঠাৎ আক্রান্তে অরিন চমকে উঠেছে। ওর শরীর কাঁপছে। ভেবেছিল চিৎকার করবে কিন্তু আরাফাত ফিসফিস করে বলল,
> চিৎকার করো না। বাড়িতে লোকজন আছে।
অরিণের চোখ বড়বড় হয়ে গেছে। ঘুমের মধ্যে দেখা কোনো স্বপ্ন ভেবে নড়াচড়া করে উঠতে গেলো কিন্তু পারলো না। আরাফাতকে সারানো ওর সাধ্যের বাইরে। অরিন চুপ করে গেলো। কোনো তরল বস্তু ওর কাধে ফোঁটাই ফোঁটাই পড়ছে। ভাবলো লোকটা কি কাঁদছে?। অরিন দেখার জন্য উতল হলো। হাত বের করতে চাইলো আরাফাত ও হাতটা নিজের হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরে বলল,
> নড়াচড়া করলে কিন্তু খুন করবো। চুপচাপ থাকতে পারছো না? দূরে গেলে কষ্ট পাও আবার কাছে এলে অস্বস্তিতে গুড়িয়ে যাও। কি চাও তুমি নিজেও জানো না।
আরাফাতের কথা শুনে অরিনের তীব্র প্রতিবাদ,
> আমি জানি আমি কি চাই। আপনি ধমক ছাড়া কথা বলতে পারেন না? আমি চমকে যায়।
> তোমার কি মনে হয় আরাফাত বউয়ের পিছে পিছে ঘুরবে আর সিনেমার বস্তাপচা ডাইলগ ঝাড়বে? ওসব হবে না। আমার সঙ্গে থাকার অভ্যাস করে ফেলো।
আরাফাত ফিসফিস করে কথা বলছে। ওর নিশ্বাস অরিনের কাধের সঙ্গে বাড়ি খাচ্ছে। অরিনের লোমকূপ শিহরিত হচ্ছে। এভাবে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না। অরিন বিনীতভাবে বলল,
> শুনছেন আমি উঠবো।অনেকক্ষণ এভাবে আছি তো কেমন ব্যাথা করছে পিঠে।
আরাফাতের ওষ্ঠে হাসি। কিছু বুঝতে পেরে বলল,
> একদিন ব্যাথা হলে কিছু হবে না। আমি আছি তো ঠিক করে দিব। চুপচাপ ঘুমাও কথা বলবে না।
অরিন কথা বলতে পারলো না। চোখ বন্ধ করলো । মন মস্তিষ্কে নানারকম চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। অরিন ভাবতে ভাবতে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়তো তবে আরাফাত পারলো না। অরিনের মুখের দিকে তাকিয়ে সারারাত না ঘুমিয়ে কেটে গেলো।
☆☆☆☆☆☆☆☆
কিছুক্ষণ আগে বিদেশি মেয়েটার সঙ্গে রোহানের বিয়ে হয়ের ব্যবস্থা হয়ে গেল। সব কিছু আবির নিজ দ্বায়ীত্বে পালন করেছে। শরীর মোটামুটি দুর্বল তবে জ্বর নেই। রোহানের মুখটা দেখার মতো হয়েছে। প্রথমে রাজী ছিল না। মেয়েটা ওদের অন্তরঙ্গ মূহুর্ত্তের কিছু ভিডিও আর ছবি আবেদা বেগমকে দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে উনি রোহানের গালে স্বজোরে কয়েকা থাপ্পড় দিয়ে উকিল আর কাজী ডেকেছেন। বিয়ে দিয়ে এই পাপ উনি মোচন করতে চান। বিয়ের আগে প্রেম হারাম তারপর আবার এসব আজেবাজে কাজকর্ম। উনি ভালো রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে। ছেলেমেয়েদের অঘাত স্বাধীনতা দিয়ে ভুল করেছেন বুঝতে পারছেন। কিন্তু সেই ভূলটা উনি আর করবেন না।মেয়েদের বলে দিলেন পছন্দ থাকলে বলে দিতে উন নিজ দায়িত্বে প্রস্তাব পাঠাবেন। তোড়জোড় করে রোহানের গার্লফ্রেন্ডের পরিবারকে খবর দেওয়া হলো। মেয়েটার মা বাবা আলাদা থাকে। এক কথায় ডিভোর্সী। মেয়ের মায়ের কোনো আপত্তি নেই। তাই উনি ঘরোয়া ভাবেই বিয়ে দিবেন। রোহান চুপচাপ বসে আছে। আবেদা মিজা ভয়ানক চটে আছেন। উনি ছেলেকে বলেছেন যদি এই বিয়েটা না করে তবে এই বাড়ির রাস্তা ওর জন্য চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। উনি সুইসাইড করবেন । রোহান দুষ্ট হলেও মাকে ও খুব ভালোবাসে। শেষপর্যন্ত থমথমে মুখে বিয়ের জন্য রাজি হতে হলো। তিনবোন মিলে সুন্দর করে শাড়ি পরেছে। টকটকে লাল শাড়ি। আবির সুন্দর করে বাসরঘর সাজিয়ে রোহানের কানে ফিসফিস করে বলল,
> শালাবাবু বাসর সাজানোর জন্য কোনো টাকা দিতে হবে না। দুলাভাইয়ের পক্ষ থেকে তোমার জন্য উপহার।
রোহান কটমট দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,
> সব কিছু আপনার জন্য হয়েছে।। ভিলেনের মতো আমার জীবনটাকে তছনছ করে দিলেন। ওই ফালতু মেয়েটাকে আপনি নিয়ে এসেছেন তাইনা? ও আমার বাড়ির ঠিকানা কিভাবে পেলো সব আপনি দিয়েছেন।।
> আরে রাগ কেনো করছো? গুছিয়ে সংসার করো। আড়ালে আবড়ালে লুকিয়ে চুমু টুমু খেতে হবে না। লাইসেন্স করে দিলাম। বিন্দাস থাকবা। আমাদের মতো।
আবির দুষ্ট করে হেসে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো। রোহানের মনে হলো গায়ে আগুন লেগে গেছে। বিয়ের জন্য পাঞ্জাবী পরেছিল। সোজা বাথরুমে গিয়ে সাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে পড়লো। এক ঘন্টা পরে বের হলো লাল লাল চোখ নিয়ে। আবেদা মির্জার রেগে ছিলেন কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না। উনার মাথায় আন্যরকম চিন্তা ঘুরছে। হৈমন্তীর বিয়ের সময় উনি থাকতে পারেননি তাই এই সুযোগে আবির আর হৈমন্তীর দ্বিতীয়বার বিয়ে পড়িয়ে দিবেন ভাবছেন। বাড়ির সবাই নেচে উঠলো। কিন্তু হৈমন্তী একবারে না বলে দিলো। আবিরের বেশ পছন্দ হয়েছে প্রস্তাবটা। বউ কতদিন দূরে ছিল পরপর ফিলিং হচ্ছে আবার যদি বিয়েটা হয় তাহলে আর তেমন কিছু হবে না। ও আনন্দে এখানকার কয়েকজন বন্ধুে ডেকে নিলো। আবেদা মির্জা বাড়িতে ফোন দিয়ে বললেন। কথা হলো বিয়ে পড়ানোর সময় ভিডিও কলে সবটা দেখানো হবে। হৈমন্তী রেগেমেগে রুমে গিয়ে বসে থাকলো এদের পাগলামি দেখে। আবেদা মির্জা মুখ ভার করে আবিরের কাছে এসে বললেন,
> ও আমার কতটা প্রিয় তুমি তো জানো? বিয়েটা চোখে দেখতে পারিনি। এই সুযোগে দেখবো ভাবলাম।
> ফুফি আম্মা চিন্তা করবেন না। আমি রাজি করিয়ে ফেলবো।
আবির কথাটা বলে চুপচাপ রুমে এসে হাজির হলো। হৈমন্তী সোফায় পা তুলে বসে ছিল আবির হুড়মুড় করে ওর কোলের উপরে গিয়ে শুয়ে পড়লো। হৈমন্তীর হাতটা টেনে নিজের মাথার উপরে রেখে বলল,
> তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও না?
হৈমন্তী ভ্রু কুচকে বলল,
> আমি আপনার বউ আবার কেনো বিয়ে করবো? লোকে শুনলে কি বলবে?
আবির হৈমন্তীর মুখে হাত রেখে বলল,
> সামান্য লোকের কথায় তুমি আমাদের খুশীটাকে নষ্ট করবে? লোকে তো কতকিছু বলে সব কি আমাদের ভালোর জন্য বলে? ফুপি খুব আশা করে আছেন। তাছাড়া এবার প্রমিজ করছি বাসর থেকে পালাবো না। আমার আফসোসটা থেকে যাবে হৈমী একটা সুযোগ দাও না প্লিজ। আহারে আমার বউ,আমার ঘর সব ছেড়ে পালাতে হলো। সেই শোকে আমি এখনো মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে যায়। দেখছো জ্বর ঠিক হচ্ছে না। আমার মনে হচ্ছে ওটার জন্যই।
আবির একদমে কথাগুলো বলে থামলো। হৈমন্তীর কপালে ভাজ পড়লো। আবিরের চুল টেনে নিয়ে বলল,
> আজেবাজে কথাবার্তা বলার জন্য আপনাকে নোবেল দেওয়া উচিৎ। ফুপিকে বলুন আমি রাজি।
হৈমন্তীর বলতে দেরি হলো কিন্তু দরজার ওপাশ থেকে জুলি আর নায়রার প্রবেশ করতে দেরী হলো না। আবির দ্রুত উঠে বসলো। ওরা দ্রুত এসে হৈমন্তীর হাত ধরে তুলে নিয়ে বলল,
> কাজী আসতে এক ঘন্টা লেট। লামিমাকে সাজানো শেষ এবার হৈমন্তীর পালা।
হৈমন্তীর হতভম্ব হয়ে বলল,
> শাড়িতো পরেছি আবার কি? আমাকে দেখতে কি খারাপ লাগছে?
>কোনো কথা হবে না। শুনছি না।
ওরা জোরকরে নিয়ে গেলো হৈমন্তীকে। যাওয়ার আগে আবিরের জন্য পাঞ্জাবী রেখে গেলো। আবির ভাবতেও পারেনি এমনটা হতে পারে। সেবার বিয়ে করেছিল একপ্রকার বাধ্য হয়ে। আনন্দের থেকে কষ্ট ছিল বেশি কিন্তু এবার মনের মধ্যে লাড্ডু ফুঁটছে। কখন না জানি খুশীটা উপচে পড়ে তখন লজ্জায় পড়তে হবে। এক ঘন্টা পরে,রোহানের বিয়ের পর আবির আর হৈমন্তীর বিয়ে হয়ে গেলো। কেমন অদ্ভুত অনুভূতি। হৈমন্তীর জন্য হঠাৎ বেনারসি কেনা যায়নি তাই আবেদা মির্জার বিয়ের শাড়ি ছিল যদিও সেটা অনেক আগের কিন্তু একদম নতুন। লাল টুকটুকে বেনারসি। হৈমন্তীকে একদম নতুন বউয়ের মতোই হাজানো হয়েছে। নায়রা কোনো কমতি রাখতে চাইনা। আবিরের বন্ধুরা মিলে বাসর ঘর সাজিয়ে ফেলল। হৈমন্তী লজ্জায় মাথা নিচু করেই আছে। আবির ঘনঘন উঁকি ঝুঁকি কাঁটছে বউকে দেখার জন্য। ভিডিও কলে আরাফাত রাজীব চয়নিকা ওরা সবাই বিয়েটা দেখলো। সবাই খুশী। আবির মায়ের কাছে বিয়ের অনুমতিও নিয়েছে। একদম প্রথমবারের মতো। কষ্টের পরে সত্যিই সুখ আসে। ধৈর্য্য ধরলে ফল পাওয়া যায়। দুদিন আগেও ভেবেছিল দুজন কতটা দুরে।
☆☆☆☆☆☆
রোহানকে রুমে যেতে কেউ বাধা না দিলেও আবিরকে ঠিকই বাঁধা দেওয়া হলো। ওর উৎসাহ বেশি ছিল। সকলেই বুঝতে পারলো ওর বেশ কিছু টাকা থেকে পাওয়া যাবে। সেই হিসেবে ওর থেকে বিশ হাজার টাকা চাওয়া হলো কিন্তু আবির পঞ্চাশ হাজার টাকা বন্ধুদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল,
> টাকার চাইতে আমার কাছে সময়ের দাম বেশি। ভেতরে আমার বউটা একা একা বসে আছে কষ্ট পাচ্ছে। তোরা আছিস টাকা নিয়ে? আমি আজ ভীষণ খুশি। এর চাইতে বেশি চাইলেও দিতে পারতাম।
জুলি ঠোঁট উল্টে ফেলল। বন্ধুরা খুব করে আফসোস করলো ততক্ষণে আবির ভেতরে গিয়ে ধপাস করে দরজা বন্ধ করে দিলো। ফুলের সৌরভ চারদিক ছড়িয়ে পড়েছে। দারুণ করে সাজানো হয়েছে। কিন্তু পালঙ্কে হৈমন্তী নেই। বর আসলে বউ বিছানা থেকে নেমে এসে সালাম করবে তানা ঘরে বউ নেই? আবির বাথরুম বেলকনি সব জায়গাই খোঁজ করলো কোথাও নেই। মনে মনে ভাবলো ওরা হৈমন্তীকে আটকে রেখে আবার মজা নিচ্ছে না তো? আবির রাগ করে বের হতে গিয়ে হঠাৎ পালঙ্কের নিচের দিকে নজর গেলো। শাড়ির আচল দেখা যাচ্ছে। বুঝতে ওর সময় লাগলো না। দ্রুত হামু হয়ে খাটের নিচে যেতেই হৈমন্তীর মুখোমুখি পড়ে গেলো। আবির ওষ্ঠে হাসি এনে বলল,
> বাহ বউ, নোবেল তো এবার তোমাকে দেওয়া উচিত। বাসর ঘরে বরের ভয়ে খাটের নিচে লুকিয়ে আছো। বের হও এখুনি।
হৈমন্তী দাঁত বের করে সালাম দিয়ে বলল,
> নায়রা আপু শিখিয়ে দিয়েছে। আমার কোনো দোষ নেই। তাছাড়া কিসের ভয়? আমি আপনাকে ভয় পাচ্ছি না।
> তাহলে বের হও। অন্ধকার লাগছে বউটাকে ভালো দেখতে পাচ্ছি না। গম্ভীর আবির এহসানের মাথা আউলে গেছে বউয়ের চিন্তাই। বের হও।
হৈমন্তীর হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসতেই আবির ওর কোলের উপরে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো।ওর মাথায় যন্ত্রণা করছে। সারাদিন প্রচুর ঝামেলা হয়েছে। হৈমন্তী বাস্ত হয়ে বলল,
> বিছানায় চলুন। ফ্লোরে ঠাণ্ডা প্রচুর।
> তো এতক্ষণ ছিলে কেনো? তিন মিনিট নষ্ট করেছো এর জন্য তোমার কি শাস্তি হওয়া উচিত বলো?
> মজা করেছি। শাস্তি কিসের? পালিয়ে তো যায়নি।
আবিরের মন খারাপ হলো হৈমন্তীর কথা শুনে। মুখ ভার করে বলল,
> ফুপাকে পাচ্ছে না। উনাকে না পেলে টেনশন যাচ্ছে না। উনি স্থানীয় ছোটখাট সন্ত্রাস ছিলেন। এখান লেভেলধারী হয়েছেন। হাতে বেশ ক্ষমতা আছে। কি হবে বুঝতে পারছি না। হঠাৎ এটাক করে বসবে। আরাফাত ভাইকে নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।
হৈমন্তীর বুকটা কেঁপে উঠলো। হৈমন্তী ভয় পাচ্ছে দেখে আবির দ্রুত উঠে বসলো। ওকে কোলে নিয়ে বিছানায় চলে আসলো।
চলবে
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।