তোমার নামে আমাকে ডাকো পর্ব ১৪

0
281

#তোমার_নামে_আমাকে_ডাকো
#লেখিকাঃ সারজীন ইসলাম

|পর্ব-১৪|
প্রকৃতির জোর কদমে তোড়জোড় করছে বসন্তের আগমনের। কৃষ্ণচূড়া গাছ জুড়ে ছেয়ে আছে কৃষ্ণচূড়া ফুল। আরো নাম-না-জানা হরেক রকম ফুল। হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি বসন্তের। প্রকৃতির এমন সৌন্দর্যের লীলার মাঝে হেঁটে চলেছে নিলাংশ আর তাজ। ঘন্টা খানেক আগের কথা, রনক আর রবিন বেরিয়েছে জমিদার বাড়ির আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখার জন্য। রনক আর রবিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সে খবর জানতে পারে তাজ। ব্যাস, সেই থেকে দক্ষ যজ্ঞ শুরু করেছে। তাকে নিয়ে এক্ষুনি ঘুরতে যেতে হবে। অগত্যা বলির পাঠা হিসেবে ধার্য করা হয়েছে নিলাংশ কে। বেরিয়ে পড়েছে বিচ্ছু তাজের হাত ধরে। নিলাংশের মতে এই এলাকাকে শহর বলা যায় না আবার গ্ৰাম ও বলা যায় না। এক কথায় মফস্বল বলা যায়। আধুনিক জনপদ গাড়ি ঘোড়ার ব্যবস্থা আছে। দেশের একটা নামকরা ভার্সিটি আছে এই অঞ্চলে। অত্যাধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। অন্যদিকে কৃষকরা ধান শাক-সবজি চাষ করে। জেলেরা মাছ ধরে। এই অঞ্চলের শেষ সীমানায় একটা কুমারপাড়া ও অাছে। এসব কিছু গতকাল রাতে নিলাংশ ইন্টারনেট থেকে জানতে পেরেছে।হাঁটতে হাঁটতে দুজনে নদীর পারে চলে এসেছে। শীতোষ্ণ আবহাওয়ার মাঝে হিম বাতাস শরীর এবং মনকে ফুরফুরে করে দিচ্ছে।

নদীর পাড়ে বেশ কিছুক্ষণ বসে নিলাংশ আর তাজ মজা করছিলো। তাজ এক একটা উদ্ভট কথা বলে নিলাংশ কে হাসিয়ে যাচ্ছিল। ওদের আড্ডার থামে অজ্ঞাত কিছু কিশোরীর হাসাহাসি শুনে। তাজ উৎসুক হয়ে তাকায় চারপাশে। তাদের থেকে বারো চৌদ্দ হাত দূরে বসে কিছু কিশোরী হাসাহাসি করছে। নিলাংশ তাজের দৃষ্টি অনুসরণ করে তাকালো। পরিচিত মুখ দেখে ঠোঁটে হাসি ফোটে নিলাংশের। তাজ কে সঙ্গে নিয়ে কিশোরী মেয়েদের দিকে হাঁটতে শুরু করে। নিশাংশ আর তাজ কিশোরীদের সামনে যাওয়া মাত্র সবাই হকচকিয়ে উঠে। আচমকা চোখের সামনে বিদেশি দেখে চমকে উঠে। নিলাংশ ঠোঁটে হাসি নিয়ে একটা মেয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,

‘ তুমি অন্তর না? সকালে জমিদার বাড়িতে গিয়েছিলে তোমার বান্ধবীর খোঁজে?’

পর পর আবারো চমকে উঠে সকলে। বিদেশি ছেলের মুখে বাংলা কথা শুনে চোখ বড় বড় হয়ে যায়। অন্তর বিষ্ময় নিয়ে তাকায় নিলাংশের দিকে। আগে কখনো এই ছেলেটাকে দেখেছে বলে মনে পড়ে না অন্তরের। অন্তর যখন নয়-ছয় হিসাব মেলাতে ব্যস্ত তখন নিলাংশ আবার বলল,

‘ হ্যালো, কোথায় হারিয়ে গেলে তুমি?’

অন্তর নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,

‘ জি আপনি ঠিকই অনুমান করেছেন আমি অন্তর। কিন্তু আপনাকে তো ঠিক চিনলাম না?’

নিলাংশ ভ্রু নাচিয়ে বলল,

‘ সে কি কথা শালি সাহেবা আপনি আমাকে চিনতে পারছেন না? দিস ইজ নট ফেয়ার!’

অন্তর চোখ বড় বড় করে নিলাংশের দিকে তাকালো। নিলাংশের কথার মানে কিছু বুঝতে না পেরে অন্তর আকাশ সমান ভাবনায় তলিয়ে যায়।

——————-

ঘড়ির কাঁটা জানান দিচ্ছে বেলা বারো টার বেশি বাজে। রাজুর চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে দিয়ে। তাকে ধরে তাঁর তিন বন্ধুর নিয়ে এসেছে কেবিনে। ইধা মাস্কের আড়ালে সবার গতিবিধি লক্ষ্য করছে। দিঘী একটু অভিনয়ের মতো করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলল,

‘ প্রাণপ্রিয় আমার বন্ধু এবং বান্ধবী গন। আজকে আমাদের পাঁচ জনের জীবনে একটা বিশেষ দিন। এই বিশেষ দিনে বিশেষ কিছু না হলে কি আর চলে? উহু একদমই না। বিশেষ কিছু না হলে তাহলে বিষয়টা কেমন পানসে পানসে হয়ে যাবে। তরুণ প্রজন্মের কাছে পানসে বিষয়ে প্রচুর এলার্জি। সে যাই হোক আমার প্রাণ প্রিয় বন্ধু এবং বান্ধবী গন তৈরি আমার সারপ্রাইজ এর জন্য?’

কেয়া বিরক্ত নিয়ে দিঘীর দিকে তাকিয়ে বলল,

‘ এই ড্রামা কুইন এইবার ড্রামা বন্ধ কর। এমনিতেই শীতের মধ্যে ওই টাকলু স্যারের জন্য ঘেমে নেয়ে অবস্থা খারাপ আমাদের। তার মধ্যে তোর এই বস্তা পচা মার্কা ড্রামা!’

চোখ বাধা অবস্থায় রাজু বলল,

‘ এই তোরা কি শুরু করেছিস? সেই কখন থেকে আমার চোখ বেঁধে রেখেছি তোরা। বলেছিলি কি সারপ্রাইজ আছে। আমার সারপ্রাইজ এর দরকার নেই আমি চোখ খুললাম।’

দিঘী চিৎকার করে বলল,

‘ এই না, না! না এখন একদম চোখ খুলবি না। আমি যখন চোখ খুলে বলবো তখন খুলবি। না হলে তোর একদিন কি আমার একদিন।’

দিঘী ইশারা করলো ইধা কে। ইধা মাথা দুলিয়ে ধীরে সুস্থে উঠে এসে রাজুর থেকে চার কদম সামনে দাঁড়ায়। দিঘী উত্তেজিত গলায় বলল,

‘ রেডি ওয়ান, টু, থ্রি। নে এইবার চোখ খোল।’

রাজুর একরাশ কৌতূহল আর বিরক্তি নিয়ে চোখের বাঁধন খুলে। ঘোর আঁধার লাগা চোখে সামনে তাকায়। অনেকক্ষণ চোখ বেঁধে রাখায় সামনের সবকিছুই ধোঁয়াশা লাগছে রাজুর কাছে। তবে এইটুকু বুঝতে পারছে সামনে একজন অপরিচিত মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। খোলা চুলে মুখে মাস্ক পড়ে দাঁড়িয়ে আছে।

ইধা ধীরে তার মুখের মাস্ক খুলে। বা হাত দিয়ে চুল গুলো ঠিক করে রাজুর দিকে তাকায়। কিঞ্চিৎ মুহুর্তের মধ্যে রাজুর চোখ গুলো বড় বড় হয়েছে যায়। হাতের তালু দিয়ে চোখ গুলো বারবার ঘোষে ইধার দিকে তাকাচ্ছে। হয়তো ভাবছে চোখের সামনে যা দেখছি তা সত্যি কিনা? ইধা চোখের পলক ফেলে দিঘীর অন্য বন্ধু-বান্ধবীদের দিকে তাকালো। তাদের অবস্থা যে আরও করুণ। বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে আছে ইধার দিকে। ঠোঁটগুলি আপনা আপনি ফাঁকা হয়ে গিয়ে হা আকার ধারণ করেছে। ইধা ঠোঁটে কিঞ্চিৎ হাসি নিয়ে বলল,

‘ হ্যাপি বার্থডে রাজু। মেনি মেনি হ্যাপি রিটার্নস অফ দা ডে।’

রানা মৃদু চিৎকার করে বলল,

‘ তানভীর ভাই আমার, আমাকে ধর। আমি যা দেখছি তুইও কি তাই দেখছিস? নাকি আমার চোখের মারাত্মক কোনো ব্যাধি হয়েছে? আমি মনে হয় এখনই জ্ঞান হারাবো। বাই চান্স মরেও যেতে পারি।’

কেয়া হিতাহিতগ্যাঁন হারিয়ে তালগোল পাকিয়ে বলল,

‘ দিঘী! দিঘী রে আমি কী ঠিক দেখছি? এই রানা বল না আমি ঠিক দেখছি? আমার সমানে কী সত্যি ইধা চৌধুরী দাঁড়িয়ে আছে? হাউ ইজ দিস পসিবল?’

দিঘী ওর বন্ধু-বান্ধবীদের চোখে মুখের অবস্থা দেখে মুখ টিপে হাসে। ইধা তার ঠোঁটের সূক্ষ্মকোণে ফুটিয়ে তোলে দারুন সুন্দর হাসি।

চলবে….

#তোমার_নামে_আমাকে_ডাকো
#লেখিকাঃ সারজীন ইসলাম

|পর্ব-১৪| সংযোজিত অংশ
সূর্যের চতুর্দিকে ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর বার্ষিক পরিক্রমণ ঋতু পরিবর্তনের সাথে জড়িত। জীববৈচিত্র্য ও প্রকৃতির ক্ষেত্রে ঋতু ব্যাপক ভূমিকা ও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। বাংলায় সাধারণত ছয়টি ঋতুর প্রাধান্য দেখা যায়। যথা- গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। প্রবল শৈত্যের পৌষ-মাঘের পরে আসে বাংলার শেষ দুই মাস ফাল্গুন ও চৈত্র। এই দুই মাস মিলে বসন্ত যাপন করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সকল মানুষ বিশেষত বাঙালীরা। কারণ অধিকাংশ বাঙালী মনের খুব কাছের ঋতু বসন্তকাল। প্রকৃতি যখন তার দখিন-দুয়ার খুলে দেয়, বইতে শুরু করে ফাগুন হাওয়া, মধুর অমৃত বাণী শোনা যায় কোকিলের কণ্ঠে, রঙের উচ্ছ্বাস জাগে অশোক-পলাশ-শিমুলে, বেরিয়ে আসে শীতের খোলসে ঢুকে থাকা কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গম, আর এসব ফুলে ফুলে ভ্রমর করে খেলা; তখনই যেন প্রবল বিক্রমে আগমন ঘটে রাজাধিরাজের, ঋতুরাজ বসন্তের। পহেলা ফাল্গুন দিনটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে মর্ত্যলোকে অভিষেক ঘটে ঋতুরাজের, আর তাকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি নেয় এক বর্ণিল সাজ। গাছে গাছে জাগে নতুন পাতা, নতুন ফুলের সমারোহ। সবাই যেন মত্ত শীতের শুষ্কতাকে প্রাণপণে আড়াল করার চেষ্টায়। অবশ্য ফুল যদি না-ও ফোটে, বসন্তের আগমন ধ্বনিকে কোনো ভাবেই চাপা দেয়া যায় না। কারণ কবি যে বলেই দিয়েছেন, ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত। নিলাংশ চোখ বন্ধ করে প্রকৃতির এই দারুন সৌন্দর্য উপভোগ করছে। বসন্ত আগমন ঘটতে আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। কিন্তু প্রকৃতির উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে বসন্তের আগমন ঘটে গেছে। নিলাংশ সে বরাবর প্রকৃতি প্রেমী। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে ভালোবাসো। সুযোগ পেলেই কাউকে কিছু না বলে প্রকৃতির মাঝে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ আগে ঘোরাঘুরির সময় রনক আর রবিনের সাথে দেখা হয়ে যায় তাই তাজ কে রনক আর রবিনের সাথে পাঠিয়ে দিয়েছে বাড়ির দিকে। অন্তর সাথে কথা বলার সময় একটা বাচ্চা এসে অন্তর কে ডেকে নিয়ে যায় প্রেক্ষিতে আর কথা বলা হয়ে ওঠেনি অন্তরের সঙ্গে। জানানো হয়নি শালি সাহেবা বলার কারণ! ঘটনা আজকে সকাল বেলার, নিলাংশ রেডি হচ্ছিল একটু আশপাশটা ঘুরে দেখবে তার জন্য রেডি হয়ে ওর আম্মুর কাছে বলে বেরোনোর সময় ড্রইংরুমের দেখতে পায় অন্তরকে। তখন অন্তর অবশ্য দেখতে পায়নি নিলাংশ কে। নিলাংশ অন্তরের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের টুকটাক কথাবার্তা কানে আসে নিলাংশের। তখন জানতে পারে অন্তর নামের মেয়েটি নীরার বন্ধু। নীরা বাড়িতে এসেছে শুনে তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। কিন্তু তখন নীরা বাড়িতে নেই। অগত্যা একরাশ মন খারাপই নিয়ে ফিরে যেতে হয়েছে অন্তত নামের মেয়েটিকে। ‘নীরা’ হয়তো অন্য সবার কাছে এটা নামমাত্র কিন্তু নিলাংশের কাছে? এক নিদারুন লালিত আসক্তি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিলাংশ উপলব্ধি করে নীরা নামের মেয়েটার প্রতি না দেখে প্রণয়াসক্ত হওয়া শুরু করেছে। নিলাংশের এখনো মনে আছে, বাবা মায়ের হাত ধরে শ্রাবন সন্ধ্যায় যখন হসপিটালে গিয়েছিল তখন ফুপি তোয়ালে মোড়ানো ফুটফুটে পুতুল তুলে দিয়েছিল তার কোলে। কী দুঃসহ সেই অনুভূতি। যা কখনো ভোলার নয়।

—————

আশা খান চৌধুরী আর ইশা চৌধুরী আজ রান্না ঘর দখল করেছে। ইশার আর আশা খান চৌধুরীর ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ইধা অভিমান ভাঙ্গানোর। দেখা যাক সেই প্রচেষ্টা সফল হয় কিনা?

—————-

চোখের সামনে অপ্রত্যাশিত কিছু দেখে সবাই হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। দিঘী বন্ধু বান্ধবরা উদ্ভট আচরণ করতে শুরু করে। ইধা হাসে তাদের কান্ড কারখানা দেখে। দিঘী এদেরকে একসঙ্গে সামলাতে না পেরে রাম ধমক দিয়ে সবাইকে চুপ করায়। তাতে কি আর কাজ হয়? নিজেদের মধ্যে ফিসফিসিয়ে কথা বলছে আর আড়চোখে সেলিব্রিটি কে দেখছে। এরমধ্যে ওয়েটার এসে কেক আর অন্যান্য খাবার পরিবেশন করে দিয়ে যায়। ইধা রাজুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল,

‘ অনেক নিজেদের মধ্যে কথা বলেছো, এখন এসো কেক কাটবে।’

বিস্ফোরিত চোখে তাকায় সবাই ইধার দিকে। একে পর এক চমক হজম করতে পারছে না তারা। একে তো তাদের সমানে নায়িকা ইধা চৌধুরী। তার উপরে তিনি বাংলা বলছে? এ যেনো অবিশ্বাস্য ঘটনা। ইধা সবার অবস্থা বুঝতে পেরে মৃদু হেসে বলল,

‘ আগে বসো, তারপর তোমাদের কৌতুহলের ঝুড়ি খুলে বসবে।’

ইধার কথা মত সবাই বলে পড়ে সোফায়। দিঘী ইধার পাশে বসে সবার দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বলল,

‘ তোদের চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছে তোদের মনে বেশ কৌতূহল জাগছে এই বিষয়টা নিয়ে তাই না? আর তোদের টেনশন দিবো না। আমি সব কিছু ক্লিয়ারলি বলছি। তোরা জানো আমার আর ইরা আপুর বড় একজন আপু আছে। অভিমান করে আপু বাড়ি থেকে চলে গেছিলো। আমাদের আপু আর কেউ না তোদের সামনে যে বসে আছে সেই ইধা চৌধুরী হলো আমাদের আপু। রাজুর জন্মদিনের সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য আপুকে অনুরোধ করি এখানে আসার জন্য। এবার বুঝতে পেরেছিস ব্যাপারটা!সব কিছু ক্লিয়ার হয়েছে? নাকি আরো কিছু জানার বাকি আছে তাদের?’

রাজু অবাক গলায় বলল,

‘ শুধুমাত্র আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য এত কিছু?’

দিঘী ভাব নিয়ে বলল,

‘ আমাদের বন্ধুর জন্মদিন, আর তা কি না সাদা মাটা ভাবে পালন করা হবে কখনো না। তু বি একদিন ইয়াদ করেগা হামারা দোস্তি।’

দিঘীর কথা বলার ধরন দেখে সবাই ফিক করে হেসে দেয়। ইধা ওদের থামিয়ে দিয়ে বলল,

‘ অনেক কথাবার্তা হয়েছে। এবার কেক কাটো রাজু। খাবারগুলো না হলে ঠান্ডা হয়ে যাবে।’

ইধার কথার সম্মতি জানিয়ে রাজু ওর বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে কেক কাটে। একে একে কেক খাইয়ে দেয় একে অপরকে। মেতে ওঠে সকলে হাসিঠাট্টায় মাঝে।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here