তোমাতেই অস্তিত্ব আমার পর্ব-২৩

0
1556

#তোমাতেই_অস্তিত্ব_আমার
লেখনীতে:মিথিলা মাশরেকা

২৩.

-এই হাতেই তুমি আমার কলার ধরলে,একবার আমাকে চড়ও মেরেছিলে তাইনা?

আবার ওই প্রসঙ্গ?ইয়া আল্লাহ!আজকের ঘটনা কি যথেষ্ট ছিলো না?আবার সেইদিনের কাহিনী কেনো বলছেন উনি?আমার হাতটা ধরে ঠোটের কোনে বাকা হাসি ঝুলিয়ে আরমানের বলা কথাটা মোটেও সুবিধার লাগছে না।রোদ কিছুটা পরেছে।নদীর পাশে হওয়াতে জায়গাটাতে মৃদ্যু বাতাস বইছে,কেনো জানি না,একবিন্দু গায়ে লাগছে না আমার।কপাল বেয়ে ঘাম গরিয়ে পরছে।চুলগুলো গামে ভিজে গালের পাশে লেপ্টে গেছে।ভয়ের তাড়নায় ইচ্ছা করছে ছুটে পৃথিবীর বাইরেই বেরিয়ে যেতে।

-কিছু বলো?

-কি হলো?এটাই তো সেই হাত।অ্যাম আই রাইট?

আরমানের একটার পর একটা শান্ত কথায় ভয়ে কুকড়ে যাচ্ছি আমি।কপালটাই খারাপ আমার আজ।সুহানার ছবি দেখে ভুল বুঝলাম,সিয়ামকে নিয়ে আরমানকে রাগালাম,ওনার কলার ধরলাম!একটার পর একটা কীর্তি চালু আজ আমার।কি বলে কতোটুকো ম্যানেজ করা সম্ভব?কাপা কাপা গলায় বললাম,

-স্ সরি?

উনি কিছুটা ঝুকে ভ্রুকুচকে বললেন,

-হুম?শুধু সরি?এতোবড় কাজের জন্য শুধু সরি বললে কি চলে ম্যাডাম?

-ত্ তো আর কি ক্ করবো?ভ্ ভুল হয়ে গেছে আমার।

-তো ভুলের শাস্তি পাবে।

বিস্ফোরিত চোখে তাকালাম ওনার দিকে।শাস্তি!কি করবেন উনি?কি শাস্তি দেবেন আমাকে?আরেকহাত মুঠো করে নিজেকে শক্ত করার চেষ্টা করলাম।নিষ্ফল চেষ্টা!ভয়টা আরো বাড়ছে। আমাকে ভয় পেতে দেখে আচমকাই আরমান জোরে হেসে দিলেন।তার হাসি দেখে দমকা ঠান্ডা গায়ে লাগলো আমার।শরীরে প্রশান্তি অনুভব করলাম।অনাকাক্ষিত সে হাসি দেখতে ভালোলাগছিলো।কিছুটা থেমে উনি বললেন,

-ভয়ে পেলে দারুন লাগে তোমাকে!

বিস্ময় নিয়ে ভ্রুকুচকে তাকালাম ওনার দিকে।এভাবে হেসে দিলেন কেনো?আমাকে কেমন লাগে এটাও বলছেন?এমনটা একদমই এক্সপেক্ট করিনি আমি।

-ইয়াহ্!রিয়েলি!ভয় পেলে চুপসানো চেহারাটা খুব মানায় তোমাকে।বাট ডোন্ট ওয়ারি।ও দুটো কারনে এখনো অবদি কিছু করিনি তো!

আসলেই তো!অ্যাকশনের পরপরই রিয়্যাকশন হলো না কেনো?আমার তো এতোক্ষনে বারোটা বাজানোর কথা।হাতটাও তো ছাড়ে নি এখনো।আমাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললেন,

-ওভাবে তাকাচ্ছো কেনো?এই হাতের দোষ আছে অন্য আরেকটা।

আবার কি করলাম আমি?এই অলুক্ষনে হাত আবার কাকে কি করেছে?কার জন্য আমার কপাল পুড়তে চলেছে?আবারো কানের পাশ দিয়ে ঘাম বেয়ে পরলো আমার।উনি হাতটা একটু ঝাকিয়ে একটু গম্ভীরভাবে বললেন,

-এই হাতে সিয়ামকে স্পর্শ করেছিলে তুমি তাই না?

কি হলো এটা?ওনাকে মেরেছি,কলার ধরেছি সেগুলো কিছুই না?সিয়ামকে স্পর্শ করা নিয়ে কথা শোনাচ্ছেন?এমনটা কেনো?ও! উনি হয়তো আরো বেশি কজ দেখাচ্ছেন আমাকে শায়েস্তা করার।নাকি সিয়ামকে স্পর্শ করেছি বলে সত্যিই রাগ করেছেন?কিন্তু কেনো?আমি সিয়ামকে ছুলে তার কি?কিসের জোর এতো ওনার আমার উপর?নাহ্!এতো গোলক ধাধায় থাকতে পারবো না আমি।বাজিয়ে দেখতে হচ্ছে বিষয়টা।একটু সাহস নিয়ে বললাম,

-ত্ তো,তাতে কি?সিয়াম কেনো এসবে?আপনি আপনার কজ দেখান না।

আরমান আমার হাতটা ওনার বুকের বা পাশে চেপে ধরলেন।সারা শরীরে একটা শিহরন বয়ে গেলো যেনো।এক অন্যরকম অনুভুতি!আমি ওনার দিকে তাকিয়ে,উনিও নিস্পলক দৃষ্টিতে দেখে চলেছেন আমাকে।ওনার প্রশস্ত বুকের হৃদস্পন্দনটা যেনো বলে দিচ্ছে সবটা তোমার জন্য,সবটা জুরেই তুমি।ওনার হার্টবিটের সাথে আমার হাতও ওঠানামা করছে।ঠোটটা টিপে একটু হেসে আরমান বললেন,

-ফিল করছো?আমার কজ?

ধ্যান ভেঙে গেলো আমার।চোখ নামিয়ে হাত সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বললাম,

-না।

আমার হাত আরো জোরে চেপে ধরলেন উনি।রাগ হচ্ছিলো আমার।যদি আমাকে নিয়ে ওনার মনে কিছু থেকেই থাকে,কেনো বলছেন না উনি?আচ্ছা,আমি কি চাই আমার জন্য ওনার কোনো স্পেশাল ফিলিংস্ থাকুক?থাকলে কি খুশি হবো আমি?নাহ!আমার শুধু ক্লিয়ারেন্স চাই।শুধু জানতে চাই ওনার এসব ব্যবহারের কারন। কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বিরবির করে বললাম,

-আপনি শুধুশুধু সিয়ামকে এসবের মধ্যে আনছেন।নিজেরটাই বলুন না।

আরমান আমার হাত ছেড়ে দিলেন।কেনো জানি না আরো রাগ হলো আমার।যেনো এমনটা চাই নি আমি।আচমকা আমার কোমড় জরিয়ে একদম কাছে টেনে নিলেন উনি।ধরফরিয়ে উঠলাম আমি।মাথা তুলতে গিয়েই কপালে তার ঠোটের পরশ অনুভব করলাম।চোখ খিচে বন্ধ করে নিলাম।বুকের ভেতরটাতে যেনো কেউ হাতুড়ি পিটাচ্ছে।রক্তশুন্য হয়ে শরীর যেনো ভর ছেড়ে দিচ্ছে।মৃদ্যু কাপছি।উনি আমার গালে লেপ্টে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে কপালে কপাল ঠেকিয়ে বললেন,

-আমারটা বলবো?হ্যাঁ,শুধু আমারটাই বলবো মিথি।তোমার সব প্রশ্নের জবাব সহযোগে শুধু আমারটাই বলবো।কেউ থাকবে না তোমার আমার কথার মাঝে।কেনো আমার কাজে,কথায়,স্পর্শে রাগ হয় না তোমার!কেনো আর সব ছেলেদের মতো আমাকে দুরে সরাতে পারো না তুমি!কেনো ক্ষনে ক্ষনে আমাকে খুজে পাও তুমি!তোমার এই অচেনা অনুভুতির নাম কি!তোমার অতীতের কতোটুকো জুরে আমি!সব বলবো তোমাকে।তোমাকেই তো বলবো।তোমাতেই যে আমার অস্তিত্ব।একটু সময় দাও আমাকে।আমিও তো পারছি না তোমাকে না বলে থাকতে।আমার মনের সব কথা তোমাকে বলবো আমি।সবটা ঠিক করে দেবো আমি।সবটা।

চোখ বন্ধ করে চুপচাপ শুনছিলাম আরমানের কথা।এ কথাগুলোতে হারিয়ে যাচ্ছি আমি।সত্যিই তো,ওনার স্পর্শে মনে হয় সময়টা থেমে যাক।কাছে আসাতে মনে হয় কখনো দুরুত্ব সহ্য হবে না আমার,এভাবেই থাকি আজীবন।কারো সাথে সহ্য করতে পারি না ওনাকে।কেনো হয় এমন?উনিও কেনো এভাবে কাছে আসে ন আমার?আমার এতোটা কেয়ার করেন কেনো?সিয়ামকে নিয়ে এতোটা ইন্সিকিওর কেনো উনি?কি বলবেন আমাকে?ওনার অনুভুতি?সেটা কি ভালোবাসা?ভালোবাসা!উনি ভালোবাসেন আমাকে?এখন কেনো বলছেন না?কিসের বাধা?আমিই বা কেনো এভাবে জরিয়ে যাচ্ছি? আরমান আমার কোমড় ছেড়ে দিয়ে সরে দাড়ালেন।হুশে ফিরলাম আমি।কিছু বলে ওঠার আগেই উনি হাত দিয়ে আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললেন,

-এখন কোনো প্রশ্ন করো না মিথি।আমি নিজেই দুর্বল হয়ে পরবো এতে।সময় হোক,সবটা জানতে পারবে।

-কিন্তু…

-প্লিজ!

আমি আর কথা বাড়ালাম না।এই মানুষটাকে বুঝি না আমি।বড্ড অদ্ভুত উনি।কেনো,কি,কখন,কিভাবে করেন সবটার শেষে প্রশ্ন থেকেই যায়।উনি হাত দিয়ে গাড়ির দিকে ইশারা করলে চুপচাপ উঠে বসলাম গাড়িতে।রাস্তায় আর কোনো কথা হয়নি আমাদের।শুধু একপলক তাকিয়েছিলাম ওনার দিকে আমিই।সামনে দৃষ্টি দিয়ে শক্তভাবে বসে মনোযোগ দিয়ে ড্রাইভ করছেন উনি।
গাড়ির খোলা জানালা দিয়ে আসা একফালি রোদে কপালের ঘামের কনাগুলো চিকচিক করছিলো,কপালের পরে থাকা চুল বাতাসে দুলছিলো,গালের চাপ দাড়িগুলো মোহনীয়তা ধরে রেখেছিলো সম্পুর্নভাবে।চেহারাটায় তাকিয়ে মোহে না পরে যাই তাই তাড়াতাড়ি দৃষ্টি জানালা দিয়ে বাইরে নিক্ষেপ করলাম।

দু ঘন্টা হলো আরিশা,রায়হান,মালিহা,উর্বির সাথে গোল করে বসে আছে সুহানা।আরমান ওকে ভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে আরিশার সাথে থাকতে বলেছে।আরো বলেছে ওর জন্য ওয়েট করতে।এটা নাকি ওর জন্য পরীক্ষা,কতোক্ষন ওয়েট করতে পারে ও আরমানের জন্য।বলেই বেরিয়ে গেলো।বেশ খুশিমনেই সুহানা থাকতে রাজি হয়ে যায়।আরিশাকে মিথির কথা বললে ও বলে মিথি ওয়াশরুমে।প্রথমদিকে ভালোই লাগছিলো ওর।শপিংমলে যখন আরমান ওকে জামা চুজ করে দিলো, চেন্জ করে ওইটাই পরতে বললো,চারমাস আগের পোস্টের স্ক্রিনশট আরিশাকে সেন্ড করতে বললো,ওকে ভার্সিটিতে ওয়েট করতে বললো,সুহানা ভেবেছিলো এবার হয়তো আরমানের মতান্তর ঘটবে।মিথিকে নিয়ে আগেরদিন বলা কথাগুলো হয়তো কাজে দিয়েছে।কিন্তু ওখানে বসে থেকে বুঝতে পারলো মিথি ওয়াশরুমে যায় নি,নাই বা ও ভার্সিটিতে আছে।সুহানা জানে,মিথি নেই,আরমানও নেই।তারমানে আরমান ওকে নিয়েই বেরিয়েছে।কিন্তু কেনো?
আরমান গাড়িটা ভার্সিটির ব্যাকসাইডেই থামালেন।আর তাকায়নি ওনার দিকে আমি।নামার সময় কড়া গলায় বলতে শুনলাম,

-সিয়ামের থেকে দুরে থাকবে।

আমি নামতে গিয়েও নামলাম না।তার দিকে তাকিয়ে রাগ নিয়ে বললাম,

-কেনো?আপনার কি?
আরমান স্টেয়ারিংএ মাথা ঠেকিয়ে ছিলেন।মাথা তুলে কান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন,

-তোমার দিকে হাত বাড়িয়েছিলো বলে ছেলেগুলোকে কিভাবে মেরেছিলাম মনে আছে?নাকি আবারো সিয়ামকে দিয়ে ব্লাক এন্ড হোয়াইট ফ্লাশব্যাক চালু করবো?

-ম্ মানে?

-সিয়ামেরও ওই দশা হবে।আর তুমি নিজে থেকে আরেকবার এগোলে আবার আজকের মতো তুলে নিয়ে যাবো তোমাকে।

কি সাংঘাতিক লোক!একে তো ভেবেছিলাম ভালো হয়ে গেছে,এ তো উল্টো আরো বেশি ভয়ানক রুপ দেখাচ্ছে আমাকে।নাহ্!ভয় পেলে ভয় বাড়ে।আরো বেশি ভয় দেখাবেন উনি আমাকে।জোরে শ্বাস নিয়ে বললাম,

-মাই লাইফ,মাই মর্জি।আপনি একদম নাক গলাবেন না।

-নাক গলানো?আরে আমার নাকসহ সবটাই তুমি।গলাতে গিয়ে কষ্ট কেনো দিবো তোমাকে?

-মানে কি?

-ফুলফর্ম কিছুদিন পরে বলবো।ট্রেইলর দেখে বোঝো,তোমার উপর শুধু আমার রাইট।

-কিহ্?কিসের রাইট?

-বলতে পারো যে অধিকারটা সবচেয়ে আপন মানুষের হয়।

-কোনো আপনমানুষ নন আপনি আমার!

তেড়ে আমার মুখের দিকে হাত বারিয়েও থেমে গেলেন আরমান ।দুহাতে কপালের চুলগুলো শক্ত করে উল্টে ধরে বললেন,

-কোনো কোনো সময় সহ্যের সীমা পার করে দাও তুমি।কন্ট্রোল করতে পারি না নিজেকে।

-আপনি…

উনি মাথাটা ওভাবে ধরে রেখেই বললেন,

-বাড়াবাড়ি করিও না।সোজা কথা,দুরে থাকো সিয়ামের থেকে।ওর বড়সড় ক্ষতি হয়ে যাবে নইলে।এমনিতেও ওকে…

-হুহ!কি করবেন আপনি? উনি একজন পুলিশ।

আরমান সিটবেল্ট খুলতে খুলতে বললেন,

-ওর পুলিশগিরি আমি ছুটিয়ে দেবো।তুমি তোমারটা ভাবো।কথা না শুনলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।

-কেনো?কেনো শুনবো আপনার কথা?
এমন করছেন কেনো আপনি আমার সাথে?

আরমান একটানে সিটবেল্ট খুলে আমার সিটের দুপাশে হাত দিয়ে একদম কাছে চলে আসলেন আমার।চোখ বন্ধ করে শ্বাস আটকে রয়েছি।উনার রাগী গলার আওয়াজ পেলাম,

-ভেবেছিলাম ভালোভাবে থাকলে তুমিও ভালোভাবে থাকবে।কিন্তু না!বলেছি তো তোমাকে,সব প্রশ্নের জবাব আমি দেবো।তারপর এতো কথা?আমি বাধ্য?ইশতিয়াক আরমান বাধ্য তোমার কথা শুনতে?যা বলেছি,তাই করবে।দ্যাটস্ ইট!আরেকটা কথা বললে জবরদস্তি করবো তোমার উপর মিথি।আর তুমিও জানো,তুমি আটকাতে পারো না আমাকে।

ধীরে ধীরে চোখ খুললাম একটু পর।আরমান তার সিটে বসে মোবাইল স্ক্রল করছেন।যেনো কিছুই হয় নি।ফোনের দিকে তাকিয়েই বললেন,

-যাও নামো গাড়ি থেকে।আজকের মতো ক্লাস এটুকোই।

কিছুক্ষন তীক্ষ্মদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে নেমে এলাম গাড়ি থেকে।বিরক্ত লাগছে আমার।অসহ্যকর পরিস্থিতি এ জীবনে শুধু।আব্বুর কথা ভেবে সিয়াম নামক জ্বালাটা সহ্য করতে হয়।এখন এসে জুটেছে বান্ধবীর ভাইয়ের থ্রেট!যেনো আমি ওনার সম্পত্তি।আচার ব্যবহারে স্পষ্ট বুঝতে পারছি,আমাকে পছন্দ করেন উনি।আমার সাথে তার এরকম ব্যবহারের ওই একটাই মানে।কিন্তু বলছেন না।মুখ ফুটে বলবে না কেনো?আমারো দোষ আছে,কিছু শুনাতেও পারি না ওনাকে।কেনো পারি না?আমিও কি তবে দুর্বল ওনার প্রতি?
আমি কেনো এতোসব ভাবছি?আমার অনুভুতির নামগুলো কি তবে ভালোবাসা?ভালোবাসি আমি আরমানকে?কিভাবে বুঝবো?ধুউউর!না লোকটা এখনো মুখফুটে বললো ওনার মনের কথা,না আমি পারছি নিজের মনের কথা বুঝতে!তবে মিস্টার,আপনার মনের কথা বুঝেছি আমি।তবুও ভালোলাগা আছে হয়তো কোথাও।হাসি ফুটলো আমার ঠোটের কোনে।এরকম নানা কথা ভাবতে ভাবতেই মাথা নিচু করে এগোচ্ছিলাম।কেউ একজন দৌড়ে এসে সামনে দাড়ালো।মাথা তুলে যা দেখলাম তাতে মুখটা আপনাআপনি হা হয়ে গেলো আমার।এটা কি ছিলো?কেনো ছিলো?

#চলবে…

®

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here