তোকে চাই❤part:19/20

0
10785

#তোকে চাই❤part:19
#writer:নৌশিন আহমেদ রোদেলা❤



রাস্তায় চুপচাপ বসে আছি,,, ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও তা নয়,,,আসলে আমি উঠে দাঁড়াতে পারছি না হয়তো পায়ের কোনো একটা জায়গায় প্রচন্ড আঘাতে এমনটা হয়েছে,,,,কিন্তু আঘাতটা ঠিক কোথায় সেটাও বুঝে উঠতে পারছি না।।আর পারার কথাও না হাতের কিছু অংশ,এতোটাই জ্বলছে যে অন্য ব্যাথাগুলোর ফিলটাই আসছে না।।বৃদ্ধ রিকশা চালক আমার দিকে অপরাধী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন,,সেই দৃষ্টিতে হয়তো হালকা ভয়ও জড়িয়ে আছে।।।দিন শেষে কষ্টে উপার্জিত এই টাকাগুলো দিয়েই হয়তো একমুঠো খাবার নিয়ে ঘরে ফেরার আশা ছিলো তার,,কিন্তু ভাগ্যটা সহায় হলো না,,মাঝ রাস্তায় এমন একটা দূর্ঘটনা ঘটলো যে,বুকের আশাটুকু এখন ভয়ে রীতিমতো আড়ষ্ট,,, মনে একটাই চিন্তা,,হয়তো নিজের প্রাপ্য ভাড়াটাও পাবে না সে,,,সাথে মিলবে একগাদা অসম্মান ভরা গালি।।।লোকটির মুখটা একদম শুকিয়ে আছে,,,,,

চাচা??এদিকে আসবেন একটু,,,

আমার মুখে “চাচা” ডাকটা শুনে হয়তো একটু ভরসা পেলেন,,, ভয়ে ভয়ে এগিয়ে এলেন আমার কাছে,,বলে উঠলেন,,,

মায়ে,,আমি ইচ্ছা করে এমনডা করি নাই।।আফনের ভাড়া দেওন লাগতো না,,,বুড়া মানুষ তো সামলাইতে পারি নাই।।আজকে ভাড়াও মারি নাই,,টেহা নাই,,আপনার ঔষধের টেহা দিবার পাইতাম না,,মাফ কইরা দেন।।

আমি উনাকে থামিয়ে দিয়ে ব্যাগ থেকে টাকা বের করে উনার দিকে এগিয়ে দিলাম,,,উনি বেশ অবাক হলেন বলেই মনে হলো।।তবে মুখ দেখে অবাকের পরিমানটা বুঝতে পারছি না,,,গরীবদের অবাক হওয়ার ক্ষমতাও হয়তো দারিদ্রতার সাথে ঝুঝতে ঝুঝতে একসময় হালকা হয়ে যায়,,,

যে লাগতো না টেহা।।আমার জন্যে আফনি দুক্কি পাইলেন,,

চাচা??কি আপনি আপনি করছেন,,আমি আপনার মেয়ের চেয়েও ছোট হবো।।আপনি আপনি না করে,, টাকাটা নিয়ে আমাকে টেনে তুলুন তো,,দাঁড়াতে পারছি না,,(ঠোঁট উল্টিয়ে,একটু হেসে)

লোকটার চোখে মুখে চরম বিস্ময় আর কৃতজ্ঞতা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম,,,টাকার জন্য না ওনাকে দেওয়া সম্মানটার জন্য,,,কারো চোখে বিস্ময় ফুটিয়ে তুলতে পারাতেও অন্যরকম মজা আছে।।উনি আমাকে ধরতে যাবেন ঠিক তখনই,,শুভ্র শক্ত হাতে আমার ডান হাতটা চেপে ধরলেন,,মনে তো হচ্ছিলো কেউ আমার জানটাই বুঝি নিয়ে নিলো,,,ছিলে যাওয়া জায়গাটায় খুব শক্ত করে চেপে ধরেছেন উনি,,আমি ব্যাথায় কুঁকিয়ে উঠলাম কিন্তু উনার লাল হয়ে যাওয়া রাগী চোখে হয়তো আমার কষ্টটা ধরাই পড়লো না।।

আমার কথা না শুনলে এমনটাই হবে??কি দরকার ছিলো ওভাবে বেরিয়ে আসার??

উনার কথায় মাথায় রক্ত উঠে গেলো,,,ফাজলামো নাকি??হাতটা ঝারি দিয়ে ছাড়িয়ে উনার কলার চেপে ধরে নিজের রাগের ঝাঁজ টা উনার উপরই ঢেলে দিলাম,,

ডোন্ট টাচ মি,,,,ক্যান ইউ হেয়ার মি??আই সেইড,,ডোন্ট টাচ মি।।।আপনাকে আমি আগেই বলে দিয়েছিলাম আমাকে টাচ করার চেষ্টাও করবেন না,,বুঝতে পারেন না আপনি??আর কি চান,,হ্যা?? আমার থেকে এক্চুয়েলি কি চান আপনি,,বলবেন প্লিজ??নীলি!! নীলি!!!নীলি!!করে সারাদিন না চেঁচালেও আমি জানি আপনি নীলিকে ভালোবাসেন,,,,তো বাসেন নীলিকে ভালো,,আমি তো আপনাকে ধরে রাখি নি।।।বিয়ে আপনি যেমন চাপে পড়ে করেছেন আমিও ঠিক সেভাবেই বিয়েটা করতে বাধ্য হয়েছি।।।তবু আপনার কাছে আমি অপরাধী,,,, কেনো??কেনো বলুন তো??আরে অপরাধী তো আপনারা,,,,আপনারা সবাই।।।(চিৎকার করে)বার বার যে পিচ্চি পিচ্চি করেন,,,,একবারও মনে হয় না??যে পিচ্চিটার মনেও কিছু স্বপ্ন থাকতে পারে,,,কাউকে ভালোবাসার ইচ্ছা থাকতে পারে।।।কিন্তু আপনারা,??,,,,,আপনারা তো আমার থেকে ভালোবাসার অধিকারটাও কেড়ে নিয়েছেন।।একটা মিথ্যা সম্পর্কে বেঁধে রেখে,,আপনাদের ইচ্ছার পুতুলে পরিনত করেছেন।।

কথা বলতে বলতে কখন যে কাঁদতে শুরু করেছি খেয়ালই করি নি।।এখন তো রীতিমতো হেঁচকি উঠে গেছে,,,বারবার কথাগুলো জড়িয়ে যাচ্ছে তবু বলে উঠলাম,,,

চুপ করে আছেন কেন??কথা শেষ??আপনার কাছে যাওয়ার অধিকার আমার আছে??নেই,,,,আপনার সম্পর্কে কিছু বলার অধিকার আমার আছে??নেই,,আপনাকে স্বামী হিসেবে পরিচয় দেওয়ার অধিকার আমার আছে?? নেই,,আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে কোনো ছেলের সাথে কথা বলার অধিকারও আমার নেই,,কারন আমি অন্যের বউ,,কিন্তু সেই বউয়ের অধিকারটাও আমার নেই,,,,বাহ,,,অসাধারণ।।আরো একটা মজার ব্যাপার কি জানেন??আমার ভাগে নেই,,নেই উত্তরটা বারবার আসলেও,,, আপনি কিন্তু ঠিকই আমার উপর সব অধিকার খাটিয়ে চলেছেন,,,এটা কেমন একতরফা অধিকারবোধ??চুপ করে থাকবেন না বলুন,,(চিৎকার করে)

উনি চুপচাপ শুনে যাচ্ছেন,,,কোনো কথা বলছেন না,,,আমি কাঁদতে কাদঁতে উনার বুকেই মাথা রাখলাম।।শরীরটা বড্ড ক্লান্ত লাগছে,,,উনার বুকে মাথা রেখেই বললাম,,,”কি হলো উত্তর দিন”,,উনি কিছু না বলে আমাকে কোলে তুলে হাঁটতে লাগলেন,,,যাওয়ার সময় রিকশাওয়ালার হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে বলে উঠলেন,,,

সরি চাচা,,বউ রাগ করছে তো রাগ ভাঙাতে গিয়ে আপনার ক্ষতি হয়ে গেল,,সামনের চাকাটা ঠিক করে নিয়েন।।

আমি অবাক দৃষ্টিতে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।।মানুষটাকে আমি কখনোই বুঝতে পারি না,,,উনি ঠিক কি চান,,,তা হয়তো তিনি নিজেও জানেন না।।।


বিছানায় হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে আছি।।একটু আগে ডাক্তার আংকেল এসে মেডিসিন দিয়ে গেছেন,,,এখন অনেকটাই সুস্থ,, শুয়ে শুয়ে উনার কথায় ভাবছিলাম,,,এত্তোগুলো কথা শুনালাম আজ,, তবু কোনো উত্তর দিলেন না এমন কি রাগও করলেন না,,,আজিব তো,,,উনার মাঝে মাঝে পাল্টে যাওয়াটা আমাকে খুব ভাবায়।। আমার ভাবনার জগৎকে উল্টেপাল্টে দিয়ে,,,কোথা থেকে উনি এসে হাজির হলেন,,আর এসেই এক ঝটকায় টেনে বসিয়ে দিলেন আমাকে,,আমি কিছুই বুঝতে পারছি না,,শুধু হাবলার মতো তাকিয়ে আছি উনার দিকে,,,আবার কি চলছে উনার মাথায়?

#চলবে,,,

(গল্প দেওয়ার কথা ছিলো না,,তবু দিলাম,,পার্টটা ছোট হয়েছে জানি,,বাট কিছু করার নেই)

#তোকে চাই❤
#writer: নৌশিন আহমেদ রোদেলা❤
#part:20


উনি আমাকে বসিয়ে আমার কোলে খুব যত্নসহকারে একটা বালিশ রাখলেন,,,তারউপর বই রেখে বললেন,,”পড়ো”।।আমি তো পুরাই “হা”,, এমনিই আমি অসুস্থ আর উনি কি না বলছেন পড়ো,,এটা কোন ধরনের টর্চার??

কি হলো পড়া শুরু করো,,,কিছু জায়গা আমি মার্কস করে দিসি,,ওগুলো কমপ্লিট করে দেন ঘুমাবে,,,স্টার্ট।।

আমি উনার দিকে করুন চোখে তাকিয়ে আছি,,কিন্তু তাতে তার কোনো ভাবান্তর হলো বলে মনে হচ্ছে না।।।আরেকটা ধমক দিয়ে সোফায় লেপটপ নিয়ে বসে পড়লেন।।বুইড়া জামাই হলে এই এক সমস্যা,,,আর কিছু খুঁজে না পেলে বই-খাতা নিয়ে টর্চার করতে চলে আসে।।।ছোকরা টাইপ কাউকে বিয়ে করলে নিশ্চয় রোমান্টিক টর্চার করতো,,,ওটাই ভালো হতো,,,এই সুযোগে এটলিস্ট রোমান্সটা তো হতো।।।কিন্তু এখানে তো,,,

কি হলো???তোমার পড়া আমার কান পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না কেন??(ধমক দিয়ে)

শালা খাটাস,, পড়লে তো পৌঁছাবে,,বা পড়লে কেমনে পৌঁছাবে??হুহ(বিরবির করে)

কিছু বললে??(ভ্রু কুঁচকে)

নাহ,,পড়,,ছি,,পড়ছি(শুকনো হাসি দিয়ে)

ওহ,,,,আচ্ছা পড়ো।।

উনি আবার লেপটপের মধ্যে ডুবে গেলেন আর আমি বিরক্তিকর বই-খাতায়।।পড়তে পড়তে কখন যে চোখ লেগে গিয়েছিলো বুঝতেই পারি নি,,,হঠাৎ কারো ধাক্কায় চোখ মেলে তাকালাম,,,শুভ্র দাঁড়িয়ে আছে,,,তার ঠোঁট ক্রমাগত নড়ছে,,,বুঝতে পারছি উনি কিছু একটা বলছেন কিন্তু হঠাৎ ঘুম ভাঙায় মাথা যেনো হ্যাং মরেছে যার কারনে আমার কান পর্যন্ত কিছু পৌঁছাচ্ছেই না।।।চোখটা আবার বন্ধ করে মাথায় হালকা একটা চাটি দিয়ে,, চোখ খুলতেই দেখলাম শুভ্র আমার দিকে একটা কাপ এগিয়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন,,,কাপ থেকে ধোয়া উড়ছে ক্রমাগত,,,

এই যে মিসেস,,,কফিটা খাও,,ঘুম কেটে যাবে,,এন্ড আবার স্টার্ট করো।।।

আজ ঘুমিয়ে পড়ি,,কাল থেকে পড়বো(মুখ কালো করে)

জি না,,,আজ কমপ্লিট করেই ঘুমাবা,,নয়তো ঘুম নাই।।।

মুখ গোমরা করে কফি কাপে চুমুক দিলাম,,বাহ,,বেশ টেস্টি তো।।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি সাড়ে বারোটা বাজে,,,এতো রাতে কফি কে বানালো?আরিফ চাচা তো ঘুমিয়ে পড়ার কথা।।।

আচ্ছা?এতো রাতে কফি কে বানালো??(কৌতুহল নিয়ে)সবাই তো ঘুমিয়ে পড়েছে,,

কে বানিয়েছে সেটা ইম্পর্টেন্ট নাকি খাওয়াটা ইম্পর্টেন্ট??(ভ্রু কুঁচকে)

দুটোই ইম্পর্টেন্ট,,বলুন না প্লিজজ,,কে বানালো কফি??

আমি,,

হোয়য়য়াটটট?(চিৎকার করে)

কেনো কি হয়েছে??চেঁচালে কেন??(অবাক হয়ে)

আপনি এত্তো ভালো কফি বানান??(অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে)কিভাবে??

নীলিকে বানিয়ে খাওয়াতে খাওয়াতে শিখে গেছি,,,ও কফি খুব বেশি পছন্দ করতো।।আমাকে তো রীতিমতো শর্ত দিয়েছিলো,,,যদি ওর জন্য স্পেশাল কফি বানানো শিখতে পারি তবেই ও আমার প্রোপোজাল একসেপ্ট করবে,,নয়তো টাটা বাই বাই,,,এই জন্য পুরো একমাস রান্না ঘরে মাকে কতই না বিরক্ত করেছি আর আম্মুর চামিচের দাগ পিঠে নিয়ে নিজেকে কতোবার যে ধন্য করেছি তার ইয়াত্তায় নাই,,,

বলেই উনি ঘর কাঁপিয়ে হুহু করে হেসে উঠলেন,,আমিও হেসে দিলাম।।উনি হাসলে খুব প্রানবন্ত লাগে,,,কি সুন্দর একটা হাসি,,, হঠাৎই উনি হাসি থামিয়ে দিয়ে আমাকে পড়তে বলেই বারান্দায় চলে গেলেন।।।হয়তো বুকের কষ্টটা আবারও চাড়া দিয়ে উঠেছে।।।আর কিছু না ভেবে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পড়তে শুরু করলাম।।


কোচিং -এর সামনে দাঁড়িয়ে আছি,,,মাত্রই ছুটি হলো।।।কালকের এক্সিডেন্টের পর মামুর কঠিন নির্দেশ শুভ্রর সাথেই আসা-যাওয়ার ব্যাপারটা সম্পন্ন করতে হবে।।।আর আমি তো বরাবরই বাধ্য মেয়ে,,,তাই ঘাড় দুলিয়ে মেনেও নিয়েছি।।ডানের রাস্তার দিকেই আমার নজর,,,ওইদিক থেকেই শুভ্র আসবে,,,চোখদুটো অপেক্ষার প্রহর গুনছে,,এই অপেক্ষা জিনিসটা কিন্তু খুবই বাজে,,,হঠাৎই কারো ডাকে পাশ ফিরে তাকালাম,,,

হেই,,রোদ??

জি,,আপনি??

হুমম,,আজও রিকশার জন্য ওয়েট করছো??(মুচকি হেসে)

না ভাইয়া,,আজ আপনার বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছি।।(শুকনো হাসি দিয়ে)

আচ্ছা,,কাল শুভ্র ওভাবে রেগে গিয়েছিলো কেনো??মনে হলো রাগের কারনটা আমিই,,,

আমি একটা হালকা হাসি দিলাম,,কিছুই বললাম না,,,কিছু বলারও নেই,,,

তোমার হাসিটা খুব সুন্দর।।আচ্ছা,,শুভ্রর সাথে,,

উনার আর কিছু বলার সুযোগ হয়ে উঠলো না।।তার আগেই শুভ্র গাড়ি নিয়ে এসে সামনে দাঁড়ালেন,,,সাহেল ভাইয়াকে দেখে যে উনি রেগে গেছেন তা উনার চেহারায় স্পষ্ট।।।তবু ঠোঁটে একটা বাঁকা হাসি ঝুলিয়ে বলে উঠলেন,,

কি রে,,,সাহেল??তুই এখানে??

ওহ,,রাহুল ভাইয়ের,সাথে দেখা করতে আসছিলাম৷।। রোদকে দেখে থেমে গেলাম।।।বেচারী একা দাঁড়িয়ে ছিলো,,,তাই ভাবলাম একটু কোম্পানি দেই,,

খুব ভালো ভাবনা,,তবে ওকে নিয়ে কম ভাবলেও চলবে,,,রোদ উঠে আসো।।ভালো থাকিস সাহেল,,,

সাহেল ভাইয়া উনার কথাটা হয়তো ঠিক ধরতে পারলেন না।।।আমাদের দিকে “হা” করে তাকিয়ে থাকলেন বেশ কিছুক্ষন।।।গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে,,,উনাকে দেখে খুব মনমরা লাগছে,,, কিছু জিজ্ঞেস করার সাহসও হয়ে উঠছে না।।।গাড়িতে উঠার পর থেকে এই পর্যন্ত শুধু এটাই বলেছেন,,,”সাহেল থেকে দূরে থেকো,,আই থিংক হি লাইকস ইউ,,,বাট ইউ আর নট ফর হিম।।”ব্যস তারপর থেকে চুপপ।।।গাড়িটা একটা পার্কের সামনে এসে থামলো।।আমাকে নামতে বলেই উনি হাঁটা দিলেন,,,শত শত প্রেমীযুগলদের প্রেমলীলাকে না দেখা করে পার্কের এক কোনায় এসে দাঁড়ালাম,,,ভাবছিলাম এখানে আসার কারন কি হতে পারে??তখনই একটা মেয়ে বিদ্যুৎ বেগে ছুটে এসে উনাকে জড়িয়ে ধরলেন,,মেয়েটা কাঁদছে,,দেখে মনে হচ্ছে জামাই মরে গেছে,, হুহ যত্তোসব আজাইরা,, ,আমি রীতিমতো বরফ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি।।এসব কি??আমার জামাই আরেকজনের সাথে প্রেম করার জন্য আমাকে সাথে এনেছে???কি অদ্ভুত ব্যাপার।।

#চলবে,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here