#তোকে আমার চাই
#ইসরাত জাহান তন্নি
পর্ব. ৪
কি অদ্ভুত পৃথিবী তাই না যে মানুষ টা সব সময় হাসি খুশিতে মেতে থাকতো সারাটি দিন আজ সে মানুষটা কেমন যেনো নিচুপ আদ মরা হয়ে আছে, শুভ্রব ভাইয়া মানুষ টাই রশিক টাইপের কাউকে কাঁদতে দেখলে মুহূর্তে তাকে হাসিই ছাড়বে অথচ, আর সে মানুষ টাই দিনের পর দিন মরে মরে বেচেঁ আছে। সেদিন হসপিটালে মায়া আপু আমার কোলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন উনার শেষ কথাটা ছিল,
মায়া আপু : তনু জানিস তোকে আমি আমার নিজের বোনের মতো ভালোবাসি,বিশ্বাস করি, আমি জানি তুই ইচ্ছে করে শুভ্রব কে বিয়ে করিস নি করতে চাস-নি,আচ্ছা ওইসব বাদ দেয়,যেটা তোকে বলবো শোন আমার শুভ্রব টা বড্ড পাগল রে আমায় বড্ড ভালোবাসে আমি জানি শুভ্রব তোকে মেনে নেয়ন না,একটু ধর্য ধর তোর সব ঠিক হয়ে যাবে শুভ্রব তোকে ভালোবাসবে তোরা সংসার করবি প্লিজ তুই আমাকে কথা দে তুই শুভ্রবের খেয়াল রাখবি ভালোবাসবি।
কথা গুলো বলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন মায়া আপু, নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে, শুভ্রব ভাইয়া যেনো পাগল হয়ে গেলেন, মায়া আপুর মৃত্যু টা তিনি মেনে নিতে পারেনি,
তার পর থেকে ওনি নিজেকে ব্যস্ততা মধ্যে রেখেছেন সব সময় কাজের চাপে পরে থাকতেন ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া ও করেনি চোখ মুখ কেমন শুখনো হয়ে গেছে, উনার সাথে আমার তেমন একটা কথা হতো না প্রয়োজন ছাড়া, আমরা দুজনে একটা ঘরে ঠিকই থাকি কিন্তু আমাদের মধ্যে কোমো Understand নাই আমিও নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি, মিরপুর একটা কলেজে ভর্তি হয়েছি,আজই আমার কলেজের প্রথম দিন ফুপি চেয়েছেন উনি যাতে আমার সাথে যান।কিন্তু এই কথা এখনো বলা হয়নি রাজা মুশাই কে উনি কি যাবে নাকি যাবে না,ধ্যাত আমি এতো ভাবছি কেন সে গেলেও আমার কি আর না গেলেও বা,আমার কি, উহু।
—এই তনু কি এতো ভাবছিস তুই যা রেডি হয়ে আয় কলেজে যেতে হবে তো,( ফুপি )
-!!কিছু না, হুম যাচ্ছি।
—” মা তুমি আমায় ডাকছিলে, ( নিচে নামতে নামতে উনি বললেন )
-শোন আজ তো তনুর কলেজের প্রথম দিন তুই ওকে দিয়ে আয়,আর প্রতিদিন তুই অফিসে যাওয়ার সময় তনুকে কলেজে ড্রপ করে দিছ,সময় পেলে আবার বাড়ি নিয়ে আসিস এই তো তনু এসে পড়েছে,যা তোরা,
বাড়ির সবাই কে বিদায় দিয়ে আমি আর উনি বেরিয়ে পড়লাম কলেজে এর উদ্দেশ্য, গাড়িতে বসে আছি আমি আর উনি ড্রাইভ করছেন, আমি উনার দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছি বিষয় টা উনি বুঝতে পারছেন কিন্তু কিছুই বলছেন না,আজ উনাকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে কালো পেন্ট সাদা শার্ট কালো ঘড়ি চুল গুলো এক পাশে পড়ে আছে, ইচ্ছে করছে চুল গুলো টেনে এলোমেলো করে দিতে কিন্তু, ইচ্ছে টা কে এই মুহূর্তে মাটি চাপা দিতে হচ্ছে,
—এই এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন, খেয়ে টেয়ে ফেলবি নাকি তোর মতলব টা কি বল তো পেত্নী
উনার কথা প্রচুন্ড রাগ হচ্ছে কি বলছেন টা কি উনি মনে হয়ে এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুন্দর উনি উনার থেকে বেশি সুন্দর আর এদেশে দ্বিতীয় টি নেই,হুহ ( মনে মনে )
—ক কই কিছু না তো আমি তো বাহিরের পরিবেশ দেখছি, কি সুন্দর পরিবেশ তাই না, ( একটু হেসে )
— সে বুঝলাম তুই যে মিথ্যে বলছিস আজ কাল দেখি মিথ্যে বলতে ও শিখে গেছিস না গাড়ি থেকে ( ধমকে )
— না আমি নামবো না কেন নামবো,
—তার মানে তুই আজ কলেজে যাবি না, নাম বলছি এই দেখ এসে পড়েছি।
চার পাশ টা তাকিয়ে দেখলাম হ্যাঁ সত্যি তো কলেজে এসে পড়েছে!
আমি আর উনি নামতে না নামতে কোথা থেকে এক দল ছেলে মেয়ে এসেছে তাদের মধ্যে এক ছেলে এসে বলতে লাগলো
–!! এই শুভ্রব তুই হটাৎ কোথায় গায়েব হয়ে গেলি বল তো শালা,ভুলেই গেলি এটা কে রে, ( উনার পিঠে থাপ্পড় দিয়ে আমাকে ইশারায় দেখিয়ে বললেন )
—ওর নাম তন্নি আমার মামা তো বোন এই কলেজে পড়বে আজ ওর কলেজ এর প্রথম, উনাকে মাঝ পদে থামিয়ে
বলতে লাগলো,
–!!আজ ওর কলেজের প্রথম দিন তাই তুই ওকে নিয়ে এসেছি, রাইট
ছেলেটা একটু থেমে আবার বলে উঠলো, হাই তন্নি আমি সিফাত, শুভ্রব এর পিচ্চি কালে বেস্ট ফ্রেন্ড, জানো তো শুভ্রব কে কতো বলতাম তোর একটা খালা তো মামা তো বোন এর ফোন নাম্বার দে কথা বলি, শালা যে কিপটে না,শোন তন্নি তোমার কলেজ এর দেড়ি হয়ে যাচ্ছে তো যাও,
–হ্যাঁ যাচ্ছি শুভ্রব ভাইয়া আসি, বায় অল গাইষ, উনাকে ভাইয়া বলাতে কেমন যেনে নাগরাজ এর মতে ফিসফিস করছেন ভালো হয়েছে, আমাকে বোন বলা না,!!
সবাই কে বিদায় দিনে ক্লাস রুমে এসে বৃষ্টি আর নিশাদ কে খুঁজে বেড়াচ্ছি কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস সারা কলেজ ঘুরেও ওদের ফেলাম না,কিছু খন পর পরেই মনে পড়লো আমি তো নতুন কলেজে এসেছি ওরা কোথায় ভর্তি হয়েছে কে জানে ধ্যাত ভালো লাগছে আমি এখন কি করবো কার সাথে বকবক করবো আমি তো কথা বলা ছাড়া থাকতে পারি না নতুন বান্ধুবী পাত্তে হবে যাই।
( এতো দিন গল্প না দেওয়ার জন্য এত্তো গুলা সরি এখন থেকে রেগুলা দেওয়ার চেষ্টা করবো,ভুল ক্রটি মাফ করবেন!)