তুমি হাতটা শুধু ধরো পর্ব ৪৪

0
1269

#তুমি_হাতটা_শুধু_ধরো
#পর্বঃ৪৪
#Jhorna_Islam

দায়ান বাবা হবে শুনে তার সেকি আনন্দ। হাসপাতাল থেকে সোহাকে বাসায় নিয়ে আসে ঐদিনই।

বাড়িতে এসে দেখে নোহা এসে পরেছে।তারপর নোহাকে সব খুলে বলে।নোহা তো বোনের জন্য কি খুশি।বোনকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেছে।কি খাবে না খাবে কি করতে হবে।সব বলে বলে দিচ্ছে।

দায়ান রুশকে সোহার বাবা মাকে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছে।পরের দিন সকাল বেলাই মিষ্টির ভান্ডার এনে বাড়িতে হা’জির করে।অর্ধেক পুরো পাড়া প্রতিবেশীদের দেয়।আর অর্ধেক সোহার গ্রামে ও দায়ানের চাচার বাড়িতে পাঠায়। ড্রাইভারকে সাথে করে পাঠায় যেনো সোহার বাবা মাকে সাথে করে নিয়ে আসতে পারে।

দায়ানের সেকি পা’গ’লামি সোহা কে নিয়ে,এখন থেকেই অফিসে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছে।নিজের হাতে সোহাকে খাইয়ে দিবে।গোসল করিয়ে দিবে।নোহা তো সোহাকে রান্না ঘরের ধারে কাছে ও ঘেষতে দেয় না।সোহা শুধু নিজের বোনের আর স্বামীর পাগ’লামো দেখে বসে বসে।নিচে বাগানেও যেতে দেয়না দায়ান এখন।সোহার কান্না পায় এভাবে ঘরে বসে থাকতে থাকতে।মুক্ত পাখি হঠাৎ খাঁচায় বন্দী হলে যেমন ছটফট করে,তেমনি ছটফট করে সোহা ভিতরে ভিতরে।সোহার মা-বাবা এসেও দেখে গেছে সোহাকে।বাচ্চাকে ঘিরে সবার কি আনন্দ। তাই সোহা এূের অতিরিক্ত কেয়ারে কিছু বলতেও পারে না।যদি মনে কষ্ট পায়।

এর মধ্যে দেখতে দেখতে আরো আট মাস চলে গেছে। সোহার এখন নয় মাস চলে।ডাক্তার বলেছে আর বেশিদিন নেই।সোহার চেহারার এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে।আগের থেকে মোটা হয়েছে।এখন গুলোমুলো লাগে।দায়ানের কেয়ার গুলো দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।এখন সপ্তাহে একদিন অফিসে যায়।সব কাজ বাড়িতে বসেই করে।সারাক্ষণ সোহার পাশে বসে থাকে।সোহা যখন যা বলে,,খেতে চায় সব মুখ বুঁজে করে।মাঝে মাঝে সোহা দায়ান কে ইচ্ছে করেই অনেক জ্বালায়। এসব ও হাসি মুখে মেনে নেয়।

————————————-
এরই মধ্যে একদিন হাসপাতালে তিশার মায়ের সাথে দেখা হয়ে যায়। দায়ান পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইলে তিশার মা বলে একটু শুনো বাবা।সোহা ও সায় জানায় কথা শোনার জন্য।

শুনো বাবা আমি আমার মেয়ের তোমার প্রতি অন্যায়ের সব কথাই শুনেছি।আমি এই ব্যাপারে খুবই লজ্জিত। ওর হয়ে আমি মাফ চাইছি তোমার কাছে।তোমার প্রতি যা অন্যায় করেছিলো আজ তা ও নিজেই ফিরে পাচ্ছে। কথায় আছেনা কাউকে কষ্ট দিয়ে কেউ ভালো থাকতে পারে না।আজ তিশা ও ভালো নেই।
যার জন্য তোমাকে ছেড়েছে,আজ সেই অন্য কারো জন্য তিশাকে ছেড়েছে।নিজের দুই বছরের মেয়েটার কথাও ভাবেনি।
নিজের সংসার ভেঙে যাওয়ায় আজ ডিপ্রেশনে ভুগছে দুই দুই বার সুই’সা’ইড করতে চেয়েছিলো।সবই পাপের ফল তুমি পারলে ক্ষমা করে দিও।

দায়ান সব কথা শুনে চুপ ছিলো কিছু বলে নি।

————————————-
গত আট মাস ধরে নোহা রুশকে বুঝিয়ে চলেছে। কিন্তু রুশ কি বোঝার পাত্র একদম না।রুশ কে বোঝাতে বোঝাতে নোহা এখন হা’লই ছেড়ে দিয়েছে।যে বুঝতে চায় না তাকে কি করে বোঝাবে?

এই আট মাস রুশ নোহা কে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।হুটহাট বাড়িতে চলে আসে। এরপর নানান বায়না।এটা রান্না করে খাওয়াও ওটা রান্না করে খাওয়াও। নোহা পরেছে মা’ই’নকা চি’পায় কিছু বলতে পারে না।চুপচাপ সব সহ্য করে নিতে হয়।কারণ তার বোন তো ভাই অন্ত প্রান। যদিও বা ইনিয়ে বিনিয়ে নোহা না করে যে সে রান্না করে খাওয়াতে পারবেনা।তখন তার বোন বা’য়না ধরে ঐ খাবার গুলো খাওয়ার।

দুই মাস ট্রেনিং নেওয়ার পর নোহা ঐ এনজিও সংস্থা তেই কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। তাই এখন ওখানেই কাজ করে।

প্রতিদিন এনজিও তে যাওয়ার সময় রুশ এসে হা’জির হয়। আবার বাড়িতে ফেরার সময় ও লোকটা হা’জির। গাড়ি তে উঠার জন্য বললে নোহা সহজে উঠতে চায় না।তখন আবার নতুন নাটক শুরু করে। হয় রাস্তাতেই ধমকাবে।নয়তো রিকশা চালকদের টাকা দিয়ে নোহাকে নিতে মানা করবে।লোকগুলোও টাকা পেয়ে সুন্দর নোহাকে আর নেয় না।

তখন অগত্যা রুশের গাড়িতেই উঠতে হয়।তাছাড়া উপায় কি? এতো পথতো আর হেটে যাওয়া যায় না। গাড়িতে উঠলে আরেক কান্ড করে বসে রুশ।গাড়ি সোজা নিয়ে যায় রেস্টুরেন্টে।

রুশ কতো চেষ্টা করে নোহার মন জয় করার।আর নোহা সব এড়িয়ে যায়। তবুও হা’ল ছাড়েনা।বিশ্বাস নোহা একদিন ওর ভালোবাসা বুঝবে।শুধু সময়ের অপেক্ষা।

সবকিছু সামলাতে রুশের কি যে নাজেহাল অবস্থা। অফিস,বাড়ি আবার নোহা।মাঝে মাঝে তো রুশের বসে বসে কাঁদতে ইচ্ছে করে। এই দায়ানটা বাবা হবে শোনার পর থেকেই অফিসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।পনেরো দিনে দু-একবার যায়। আর সব রুশকেই সামলাতে হয়। নয়তো নোহাকে আরেকটু বিরক্ত করতে পারতো।তাহলে হয়তো মেয়েটা রুশের প্রতি আরেকটু সদয় হতো।

———————————-

এরই মধ্যে একদিন সকালে নোহা জমেলা খালার সাথে মিলে রান্না বান্না শেষ করে। খেয়ে এনজিও তে চলে যায়। এনজিওতে জরুরি একটা মিটিং আছে এজন্য।

দায়ান সোহাকে হাত মুখ ধুইয়ে ফ্রেশ করিয়ে দেয়। তারপর হাত ধরে আস্তে আস্তে করে ড্রয়িং রুমের সোফায় নিয়ে বসায়।

— তুমি বসো। আমি তোমার খাবার নিয়ে আসছি।

— সোহা মাথা নাড়িয়ে, টিভি ছেড়ে কার্টুন দেখায় মন দেয়।

দায়ান খাবার নিয়ে এসে সোহার পাশে বসে। তারপর সোহাকে খাইয়ে দিতে থাকে। সোহা খাচ্ছে আর টিভি দেখছে।

এরই মধ্যে হন্ত দন্ত হয়ে রুশ প্রবেশ করে। হয়তো নোহা ডোরটা লাগিয়ে যেতে ভুলে গেছে। তাই রুশের ঢুকে পরতে প্রবলেম হয় নি। এসেই ধপাস করে সোফায় বসে।দায়ান কপাল কুঁচকে রুশের দিকে তাকায়। সোহাও টিভি দেখা বাদ দিয়ে রুশের দিকে তাকিয়ে রয়।

রুশের সেকি অবস্থা,, মনে হয় মাত্র ঘুম থেকে উঠে দৌড়ে এখানে এসে পড়েছে। ফ্রেশ ও হয়নি।পরনে কোঁচকানো টি-শার্ট আর টাউজার।দেখে পা’গল মনে হচ্ছে।

দায়ান এবার জিজ্ঞেস করে,, কিরে কি হয়েছে তোর? তুই এই অবস্থায় এখানে।সব ঠিক আছে?

— না দোস্ত না কিছু ঠিক নেই।তুই আর বোন কিছু একটা কর।নয়তো আমি শেষ। প্লিজ ইয়ার কিছু কর নয়তো আমি সু’ই’সাইড করবো বলেই ছলছল চোখে তাকায়।

— কি হয়েছে বলবিতো।

— বাড়িতে মেয়ে দেখেছে বিয়ে করার জন্য। আংটি পড়ার জন্য তারিখ ও দিয়ে দিয়েছে নাকি।আমাকে না জানিয়ে।

— তো এটাতো ভালো খবরই বিয়েটা এবার করে নে অনেকতো হলো।

— তুই পা’গল হয়ে গেছিস? আমি অন্য কোথাও বিয়ে করবোনা।তরাতো অন্তত আমায় বোঝ ইয়ার।আমি নোহাকে ভালোবাসি। ওকেই আমার লাইফে চাই।তরা কিছু কর ভাই।

দায়ান রুশের কথা শুনে মিটমিটিয়ে হাসে। রুশ এতোদিন কিছু না বললেও রুশ যে নোহাকে ভালোবাসে এসবই সে জানে।

সোহাতো রুশের কথা শুনে হা করে রুশের দিকে তাকিয়ে রয়।তারপর চোখ জোরা খুশিতে চকচক করে উঠে।তার রুশ ভাইয়া আপুকে ভালোবাসে বিয়ে করতে চায় শুনে।

আমি সত্যি শুনছিতো রুশ ভাইয়া? তুমি আপুকে ভালোবাসো?

হুম।

তারপর রুশের দিকে তাকিয়ে বলে,, রুশ ভাইয়া তুমি চিন্তা করো না।আপুকে রাজি করানোর দায়িত্ব আমার।তুমি নিশ্চিন্তে থাকো।এখন বাড়ি যাও গিয়ে আংকেল আন্টি কে নিয়ে আসো।আমি বাবা মাকে আসতে বলছি।রুশ সোহার কথা শুনে স্বস্তির নিশ্বাস নেয়।

বিকেলের দিকে নোহা বাড়িতে আসলে সোহা নোহার পিছনে লাগে।আপু তোকে আমার এই কথা রাখতেই হবে।নোহা মানা করে।কিন্তু সোহা কোনোভাবেই শুনতে নারাজ।যে করেই হোক বোনকে রাজি করাতে হবে।বোনের লাইফটা গুছিয়ে দিতে হবে । এর মধ্যে সোহার বাবা মা ও এসে পরে।ওনারা সব শুনে তেমন কিছু বলেনি।সব নোহার উপর ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ একবার জোর করে মেয়েটার জীবন উলট পালট করে দিয়েছিল।তাই তারা বলে দিয়েছে নোহা যা বলে তাই হবে।

দায়ান ও কিছু বলছেনা।সোহার বাবা মা আর দায়ান চুপচাপ সোফায় বসে আছে। আর সোহা বোনকে বুঝাচেছ।আপু তুই আমার কথাটা রাখবিনা।আরেকটাবার সুযোগ দে লাইফটাকে।অনেক বলেও যখন রাজি করাতে পারছিলনা তখন সোহা বলে,,,, ভেবে নে এটা আমার লাস্ট আ’বদার আপু।যদি বাবু হওয়ার সময় আমার কিছু হয়ে যায়? তখন কিন্তু কাদলেও লাভ হবে না।যে বোনের শেষ চাওয়াটা পূরণ করতে পারিস নি।আমার শেষ চাওয়াটা কি তুই পূরণ করবিনা? ঠিক তখনই কাচ ভাঙার শব্দ শুনে সবাই আঁতকে উঠে। পাশে তাকিয়ে দেখে দায়ান গ্লাস ছুড়ে মেরেছে দেয়ালে।সোহার দিকে রা’গী চোখে তাকিয়ে আছে। সোহা দায়ানের দিকে করুণ চোখে তাকায় ও তো বোনকে রাজি করানোর জন্য বলতেছিলো।লোকটা সিরিয়াসলি নিয়ে নিলো।

এরই মধ্যে রুশ তার বাবা মা কে নিয়ে হা’জির হয়। সকলেই কথা বার্তা বলছে।রুশের বাবা মা নোহাকে দেখে সে কি পছন্দ।

নোহা সবার দিকে একবার তাকিয়ে বলে,,,আমি রুশ সাহেবের সাথে একা একটু কথা বলতে চাই।সবাই মত জানায় কথা বলার জন্য। কিন্তু রুশতো ভিতরে ভিতরে চিন্তায় শেষ।কি না কি বলে নোহা।সে কি সত্যি বিয়ে করবে না তাকে?

———————-
তারপর দু’জন কেই আলাদা কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়।

লাস্ট বারের মতো নোহা রুশকে বোঝানোর ট্রাই করে।কিন্তু রুশের সেই এক কথা।

নোহা একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ে।তারপর বলে,,আমি আপনাকে বিয়ে করবো বাট,,,,,

বাট?

আমার উপর কোনো অধিকার ফলাতে পারবেন না আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে। আপনাকে মন থেকে মেনে নেওয়ার জন্য সময় দিতে হবে। ততোদিন আপনি আমায় কোনো জোর করতে পারবেন না। সময় দিতে হবে পরে আমিই আপনাকে কাছে টেনে নিবো।তার আগে না।

রুশ নোহার কথা শুনে কি যে খুশি হয়েছে।বিয়ে করতে রাজি হয়েছে এই অনেক।এক সাথে থাকতে থাকতে ভালোবাসা এমনিতেই হয়ে যাবে।লাফালাফি শুরু করে দিয়েছে আনন্দে রুশ।নোহা রুশের দিকেই তাকিয়ে আছে। রুশ খুশি মনেই বলে আমি তোমার সব শর্তে রাজি।তারপর তারা আবার ড্রয়িং রুমে ফিরে যায়।

ওরা দু’জন যেতে সবাই উৎসাহ নিয়ে ওদের মতামত জানতে ওদের দিকেই তাকিয়ে আছে।

নোহা ঢুক গিলে বলে,, আমি এই বিয়েতে রাজি।

তারপর সবাই তারিখ ঠিক করতে চায়।রুশ তাতে বাঁধা দেয়।সে এখনই নোহাকে বিয়ে করবে জানায়।অনেক কষ্টে রাজি করিয়েছে আবার যদি মত বদলে ফেলে? না বাবা সেই রিক্স রুশ কিছুতেই নিবে না।সে এখনই নোহাকে বিয়ে করবে।কোনো অনুষ্ঠানের দরকার নেই।

তারপর আর কারো কি করা থাকে? অগত্যা সবার রুশের কথায় সায় জানাতে হয়। কাজি ডেকে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ঘরোয়া ভাবেই নোহার আর রুশের চার হাত এক করে দেয়।

এই বিয়েতে সব চাইতে বেশি খুশি হয়েছে সোহা আর রুশ দুইজন খুশিতে কেঁদেই দিয়েছে।শালি-দুলাভাইয়ের কান্না দেখে নোহা আর দায়ান ড্যাপ ড্যাপ করে তাকিয়ে রয়।রুশ যে এভাবে নোহাকে বিয়ে করতে পেরেছে বলে,খুশিতে কান্না করে দিবে কারো ভাবনাতেই ছিলো না।সবাই বুঝতে পেরেছে রুশ নোহাকে কতোটা চায়।

——————————-
রুশ আর তার পরিবার রাতের খাবার খেয়েই চলে গেছে। নোহাকে আগামীকাল নিয়ে যাবে।রাতে সবাই খাবার খেয়ে যে যার রুমে চলে যায়।

দায়ান সোহাকে বিছানায় শুয়ায়।।তারপর নিজেও পাশে শুয়ে পরে। সোহার মাথাটা আলগোছে নিজের বুকে নেয়।সোহা মাথা কাত করে দায়ানের দিকে তাকায়। দায়ান সোহার কপালে চুমু খায়।

তুমি ঘুমাও আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি। সোহা দায়ানকে বলে,,,,, আজ না আপনাকে মন ভরে দেখতে ইচ্ছে করতেছে। আপনাকে আমি আজ না ঘুৃমিয়ে দেখি?

আমাকে কি নতুন দেখছো পা’গলি? চুপচাপ ঘুমাও নয়তো শরীর খারাপ করবেতো।এখন তোমায় ঠিকঠাক মতো ঘুমাতে হবে।

দেখি না একটু এমন করেন কেন? যদি আর দেখার সুযোগ না পাই।বলেই ঠোঁট উল্টায়।

সোহার কথা শুনে দায়ানের বুকটা ধ’ক করে উঠে।নিজের সাথে আরেটু মিশিয়ে নিয়ে বলে,,আরেকবার যদি এসব কথা বলেছো না তাহলে খবর আছে। তোমার কিছু হলে আমার কি হবে পা’গলি? এসব কথা মাথায় ও আনবানা।আরো কিছু সময় দুজনেই নানান কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে যায়।

মাঝ রাতে গোঙানির শব্দে দায়ানের ঘুম ভেঙে যায়। তারাতাড়ি উঠে বসে দেখে সোহা পেট ধরে বসে কাঁদছে।

এইই কি হয়েছে তোমার সোহা?

ব্যা-ব্যাথা করছে।সহ্য করার মতো না।আমি আর পারছি না।প্লিজ কিছু একটা করুন।বলেই জোরে কেঁদে দেয়।

দায়ানের ঘাম ছুটে গেছে সোহার অবস্থা দেখে। বুঝতে আর বাকি নেই লি”ভা’র পেইন উঠে গেছে।সবাইকে তারাতাড়ি ডেকে আনে।ভাজ্ঞিস সবাই ছিলো দায়ান নয়তো একা কি করতো? তারপর দায়ান সোহাকে কোলে নিয়ে গাড়িতে বসায়।নোহা আর নোহার মা পিছনে সোহার সাথে,আর সোহার বাবা দায়ানের সাথে সামনে বসেছে।
দায়ান খুব দ্রুত ড্রাইভ করতে থাকে।মাঝে মাঝে সোহার দিকেও তাকাচ্ছে। সোহার প্রতিটা বেদনা দা’য়ক চিৎকার দায়ানকে ভিতর থেকে দূর্বল করে দিচ্ছে। গলা শুকিয়ে আসছে। কানে সোহার বলা কথাগুলো বারি খাচ্ছে,,,

“আপনাকে মন ভরে দেখতে ইচ্ছে করতেছে। আমি আজ না ঘুমিয়ে আপনাকে দেখি?” যদি আর দেখার সুযোগ না পাই।

দায়ান মনে মনে আল্লাহ কে ডেকে চলেছে,সোহা আর বেবিটার যেনো কিছু না হয়।

#চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here