#তুমি_হাতটা_শুধু_ধরো
#পর্বঃ৩৬
#Jhorna_Islam
এইই চুপ করে আছেন কেনো? আমার বাড়িতে সবাই ঠিক আছে তো?
দায়ান কি করে সোহাকে বলবে বুঝে পায়না।এখন কিছুতেই বলা যাবে না।বললে মেয়েটা পাগলামো করা শুরু করবে।ঐখানে গিয়ে তারপর না হয় কিছু একটা বলা যাবে।এখন বললে৷ সামলানো মুশকিল হয়ে যাবে।
দায়ান তাই সোহার মুখটা দুই হাতের মধ্যে নিয়ে বলে,,,বাড়িতে সবাই ঠিক আছে। কারো কিছু হয়নি। এতো হাই’পার হতে হবে না ওকে?
আজ অফিসে কোনো কাজ নাই।তাই আমি আর রুশ ভাবলাম একটু ঘুরে আসি। মাইন্ড টা ফ্রেশ হবে। ভাবলাম তোমাকেও নিয়ে যাই। যাও রে’ডি হও।
সোহা যেনো এইবার একটু শান্ত হলো।ঠিক আছে।আমি দশ মিনিটে রেডি হয়ে আসছি।
ওকে।
দায়ান সোহার দিকে তাকিয়ে বলে,, “স’রি জান।”
আজ সকালে যখন দায়ান অফিসে কাজে ব্যস্ত তখনই দায়ানের ফোনটা বেজে উঠে।দায়ান ভেবে ছিলো সোহার কল।পরে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে সোহার বাবার।ঐদিনের পর আর কল করা হয়নি। ভুলেই গিয়েছিল। ধ্যাত কল করা দরকার ছিলো।ভাবতে ভাবতেই কল টা রিসিভ করে।
সোহার বাবা পরে সবকিছু খুলে বলে নোহার ব্যাপারে।কাল ভোর রাতে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন উনারা নোহাকে।পরিস্থিতি ভালো না।যে কোন সময় যে কিছু হয়ে যেতে পারে।সোহা কে নিয়ে যেনো দায়ান যায়।এসব ভাবনার মাঝেই সোহা জামা পাল্টে বেরিয়ে আসে। আয়নার সামনে গিয়ে একটু সাজতে নিবে তখনই দায়ান সোহাকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে এসে আটকে দেয়।
— কি হলো ছাড়েন। রেডি হবো না? লেট হয়ে যাবেতো না হলে।
—- রেডি হয়েছো।এতোটুকুতেই চলবে।এখন আর হতে হবে না।
— আরে কি বলেন এগুলো? এভাবে কেউ যায়।একটুতো সাজতে দিন।
— উহুু তুমি সাজলে আমি নিজেকে কনট্রোল করতে পারি না।তোমার ভাই কিন্তু সাথে যাবে।তুমি কি চাও তোমার ভাইয়ের সামনে রোমান্স শুরু করি? আমার কিন্তু কোনো সমস্যা নেই।
— “অ’স’ভ্য”
— চলো বলেই সোহার হাত ধরে হাঁটা দেয়।
— আরে জামা তো নিতে দেন।
কিছু লাগবে না চলো।বলেই বেরিয়ে পরে।
গাড়িতে পিছনে সোহা আর দায়ান বসে আছে।সামনের সিটে ড্রাইভারের পাশে বসেছে রুশ।তিন ঘন্টার মতো সময় লাগবে পৌঁছাতে।
সোহা রুশের সাথে নানান কথা বলে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
দায়ান খুব টেনশনে আছে।না জানি ঐদিকের পরিস্থিতি কি রকম।মনে মনে আশংকায় আছে।
দীর্ঘ তিন ঘন্টা জার্নি করার পর ওরা গ্রামের কাছাকাছি চলে আসে। আর বেশি রাস্তা বাকি নেই।
সোহাদের গ্রামে আর জেলা হাসপাতালে যাওয়ার পাশাপাশি দুইটা রাস্তা। ওদের গ্রামের রাস্তায় গাড়ি টা না ঢুকিয়েে ঐ রাস্তায় ঢুকায়।সোহা তা দেখে চিল্লিয়ে বলে,,,আরে আরে কি করছেন? ভুল রাস্তায় চলে যাচ্ছে তো।ঐ রাস্তা দিয়ে গ্রামে ঢুকে।
দায়ান সোহার হাত গুলো মুঠোর ভিতর নিয়ে বলে,,,গেলেই দেখতে পাবে।এখন চুপচাপ আমার কাঁধে মাথা রেখে রেস্ট নাও দেখি।
সোহার ভিতর ভয় ঢুকে যায়। কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠে,, আ-আপনারা হাসপাতালে যাচ্ছেন তাই না? কার কি হয়েছে বলেন আমায়।চিললিয়ে বলে কেনো বলছেন না কার কি হয়েছে। দায়ানের শার্ট ধরে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলে,,কি হলো বলুন। বলেই কাঁদতে থাকে। দায়ান কতো কিছু বলে সোহাকে বোঝাতে চায়,,কিন্তু সে শুনতে নারাজ।
রুশ ও বোঝাতে চায় কিন্তু সোহা কারো কথা শুনছে না।এক পর্যায়ে সোহা উত্তেজিত হওয়ায় সোহার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে যায়। জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে। আর কাদতেছে।
দায়ান সোহাকে আগলে ধরে,,,,, মনে মনে বলে,যে ভ’য় টা পাচ্ছিলাম তাই হলো।
এতো উত্তেজিত কেনো হচ্ছো জা’ন? গেলেই তো দেখতে পাবা।
আমায় এখনইইই বলে,,,, কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। আর বলতে পারে না।শ্বাস বে’গতিক হারে বেড়ে চলেছে। হাত পা কেমন নিস্তেজ হয়ে আসছে।
দায়ান তারাতাড়ি ইনহেলার টা বের করে।সোহার মুখের কাছে নিয়ে ধরে।সোহা হাত দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়।সে নিবে না।য-যতক্ষন নননা বলছেন কার কি হয়েছে আমি নিবো না।
এরকম পাগলামি করে না। তারাতাড়ি নাও।কষ্ট হচ্ছে তো।
হোক। মরে গেলেও নিবো না।আপনারা না বলা পর্যন্ত।
সোহার কথা শুনে দায়ান সোহাকে ছেড়ে দেয়।সোহার থেকে দূরে সরে আসে।
রুশ তখন বলে বোন তুই নে। তারপর আমি তোকে বলছি সব।
সত্যি তো?
হুম।
দায়ান দূরে সরার সময় ইনহেলার টা সিটের উপর৷ রেখে দিয়েছিলো।সোহা কাঁপা কাঁপা হাতে সেটা নিয়ে।শ্বাস নেয়।শ্বাস স্বাভাবিক হয়ে আসলেও শরীরটা দূর্বল হয়ে গেছে। আস্তে করে দায়ানের কাছে যায়।দায়ানের কাঁধে মাথা রাখে।দায়ান ঝটকা মেরে নিজের কাছ থেকে সোহাকে সরিয়ে দেয়।
রা’গে দাত পিষে বলে,,,এই একদম আমার কাছে আসার চেষ্টা করবিনা।দূরে থাক। আমার সাথে কথাও বলবি না।একদম কাছে আসবি না আমার।
রুশ বলে উঠে,, কি হচ্ছে টা কি দায়ান মেয়েটা দূর্বল হয়ে পরেছে।
দায়ান বলে,,দূর্বল মাই ফুট।কি করে বলল আমি এতো বলার পরও মরে গেলেও নিবে না।না জানা পর্যন্ত।
সোহা কাদু কাদু মুখ করে বলে ভুল হয়ে গেছে আর বলবো না।স’রি।
দায়ান কিছু বলবে,,,তখনই গাড়ি এসে জেলা হাসপাতালের সামনে এসে থামে।সোহা কিছু বলতে নিবে।তার আগেই সবাই গাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। দায়ান সোহার দিকে তাকিয়ে কিছু না বলে,সোহাকে রেখেই ভিতরে চলে যায়। সোহা বুঝতে পারছে রে’গে আছে লোকটা অনেক।
রুশ সোহাকে নিয়ে ভিতরে ঢুকে।
————————————————–
দায়ান এসেই দেখে সোহার বাবা আর মা ক্যাবিনের সামনে বসে আছে। সোহার বাবা নিচের দিকে মাথা দিয়ে চুপ করে আছে।সোহার মা আঁচলে মুখ ঢেকে কাঁদছে।
দায়ান সোহার বাবার পাশে গিয়ে বসে,,, কাঁধে হাত রাখে।উনি মুখ তুলে তাকায়।দায়ান কে দেখতে পেয়ে ধরা গলায়,,বলে ছো-ছোট আব্বা আমার বড় আম্মা টা আর কিছু বলতেই পারে না।এদিক ওদিক তাকিয়ে চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করে।
দায়ান সোহার বাবার কাধে হাত রেখে বলে,, চিন্তা করবেন না আমি দেখছি।কিছু হবে না।
সোহার বাবা যেনো ভরসা পায়।এবার নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে,, ওরা আমার মেয়েটাকে ক্যাবিনে নিয়ে একটা স্যালাইন দিয়ে শুইয়ে রাখছে শুধু শুধু অপারেশন করা লাগবে।কিছুই করছে না বাবা।এতোক্ষন রেখে দিলেতো আমার মেয়েটা বাঁচবেনা।
দায়ান শুনে বলে আমি এখনই দেখছি,,বলেই ডাক্তারের ক্যাবিনে যায়। ডাক্তার কে বলে,,,যত টাকা লাগুক অপারেশন শুরু করতে।নোহার যেনো কিছু না হয়।কিছু হলে একজনকে ও ছাড়বেনা।ডাক্তার বুঝতে পারলো দায়ান খুবই পাওয়ারফুল লোক,, আর এনারা সব কিছুই করতে পারে যদি ক্যারিয়ারটাই শেষ করে দেয়। তাই তারাতাড়ি সব ঠিক করতে লাগলো।
দায়ান মনেমনে তাচ্ছিল্যর হাসি দেয়। পৃথিবীটা টাকার গো/লাম।মানুষ ঠিকই বলে টাকা দিয়ে বাঘের চোখ ও কেনা যায়।অসুস্থ মেয়েটাকে সকাল থেকে ফেলে রাখছে।এখন কি সুন্দর টাকার কথা শুনে সব করছে।
ডাক্তারের ক্যাবিন থেকে দায়ান বেরিয়ে দেখে সোহা তার বাবার বুকে মাথা রেখে কাদছে।উনি যত্ন সহকারে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে। রুশ পাশেই দেয়ালে হে’লান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
দায়ান সোহার বাবার পাশে গিয়ে বলে,,,আংকেল টেনশন নিবেন না অপারেশন শুরু হচ্ছে কিছু সময়ের মধ্যেই।
আধা ঘণ্টার মধ্যেই অপারেশন শুরু করা হয়।সোহা এখনও বাবার বুকে মুখ লুকিয়ে ফুপিয়ে যাচেছ।আর বিরবির করছে,,আমার আপুর কিছু হলে আমি কাউকে ছাড়বো না কাউকে না।সব কটাকে আমি নিজের হাতে খু/ ন করবো।
রুশ আর দায়ান এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক কিছু সময় পরই একটা নার্স বেরিয়ে আসে। পেশেন্টের জন্য বি পজেটিভ র/ক্তের ব্যবস্থা করুন তিন ব্যাগ র/ক্ত লাগবে।অনেক র/ক্ত গেছে।ইমার্জেন্সি লাগবে এখন এক ব্যাগ।আর হ্যা বাচ্চাটা মি’স’ক্যা/রে’জ হয়ে গেছে। একটা মানুষ কি করে এরকম পা/ষ ন্ডর মতো মারতে পারে বুঝিনা।
সোহা কথাটা শুনে চোখটা বন্ধ করে ফেলে।ঐদিনের কথাগুলো কানে ভাসছে।কতোটা খুশি ছিলো আপু বেবিটা নিয়ে।আর আজ,,,,,।অনেক কষ্টে নিজেকে সামলায় সোহা।
তারপর বলে উঠে আমার আর আপুর গ্রুপ এক।আমার থেকে নিন।দায়ান সোহার দিকে তাকায়।
সোহার বাবা বলে উঠে না ছোটো আম্মা আপনি অসুস্থ। আপনাকে দিতে হবে না।আমি দিবো বলেই উঠে দাঁড়ায়। নার্স সোহার বাবাকে নিয়ে চলে যায়।
দায়ান রুশকে সোহা আর ওর মার পাশে থাকার জন্য বলে,,,র/ক্ত যোগার করতে বেরিয়ে যায়। রুশ ও দায়ানের সাথে যেতে চেয়েছিল। দায়ান নেয়নি এখানে দুজন একা।ওদের পাশে কারো থাকা দরকার।আর রুশকে ও পাঠাতে পারছেনা কারণ রুশ এই দিকের কিছুই চিনে না।তাই রুশ কে ওদের পাশে রেখে দায়ানই যায়। শুন তোর বোনের দিকে ন’জর রাখিস। যাওয়ার আগে সোহার দিকে তাকায় মেয়েটা বসে বসে একটা কথাই বলছে,,আমি ওদের কাউকে ছাড়বোনা।
———————————————
আধাঘন্টার মাঝেই দায়ান র/ক্ত নিয়ে ফিরে আসে। এতো ঝামেলা পোহাতে হয়নি।তারাতাড়িই পেয়ে গেছে।
এসে দেখে রুশ পায়চারি করছে।সোহার মা একই ভাবে আঁচলে মুখ ঢেকে কাঁদছে। সোহাকে কোথাও না দেখতে পেয়ে ব্রু কোচকায়।নার্স কে ডেকে র/ক্ত বুঝিয়ে দিয়ে আসে।রুশ কে জিজ্ঞেস করে সোহা কই।
— ওয়াশরুমে গেছে।
— কতোক্ষন আগে?
— তুই যাওয়ার কিছুসময় পরই।
— এতোসময় ধরে ও এখানে নাই আর তুই এখানে দাঁড়িয়ে আছিস?
—ওয়াশ রুমে গেছে ভাই।এতো টেনশন নেওয়ার কিছু নেই।
ওহ তাই নাকি যা গিয়ে দেখে আয়তো ওয়াশরুমে আছে কি না।
কিন্ত,,,?
যা আমি বলছি যা।
রুশ দায়ানের দিকে তাকিয়ে চেক করতে যায়।
কিছু সময়ের মাঝেই ফিরে এসে দায়ানের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ায় যে পায় নি।
দায়ান বলে পাবি ও না।তোর বোন হাসপাতালে থাকলে তো পাবি। আমি যা ভেবে ভ’য় পাচ্ছিলাম তাই করেছে তোর বোন।এজন্যই তোকে বলে ছিলাম ন’জর রাখতে।
সোহার মা মুখ খুলে এবার।বাবা আমার ছোটো মেয়েটা।
দায়ান নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে আন্টি আপনি চিন্তা করবেন না।আমি দেখছি।আংকেলের খেয়াল রাইখেন।সোহার মা মাথা নাড়ায়।
দায়ান রুশকে নিয়ে বেরিয়ে যায়।
রুশ শোন তুই পুলিশ স্টেশনে চলে যা।আমি একটা ঠিকানা মেসেজ করছি তোকে ঐখানে নিয়ে আয়।
আর আমি গেলাম,,তর দ’/জ্জা’ল বোন মনে হয় এতোক্ষনে অ্যা’কশন শুরু করে দিয়েছে।বলেই দায়ান চলে যায়।
রুশ মনে মনে বলে শা/লা সব সময় আমাকেই পুলিশের চ’ক্করে ফালায়।
——————————————
যে বাড়িতে সারাদিন একটার পর একটা ঝা’মেলা চিল্লা চিল্লি লেগেই থাকে।সে বাসাটা আজ কেমন পিন-প’তন নিরবতা। সব যেমন থেমে আছে।
নোহাকে যখন ওর বাবা মা নিয়ে যেতে এসেছিলো,,তখন ওমি ও সাথে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু ওনারা নেয় নি।বলে দিয়েছে বলাতো যায় না,,আবার না যতটুকু প্রান আছে ততটুকু ও শেষ করে দেয়।৷ ওমির নানি ও দেয় নি।
তমা আর ওমির মা শুধুই সবটা চেয়ে চেয়ে দেখেছে।কিছুই বলেনি।
নোহাকে নিয়ে যাওয়ার পর সেই যে ওমি ঘরে ঢুকেছে আর বের হয়নি।
ওমির বাবা বাড়িতে নেই।এসবের কিছুই জানে না।আরো দুই দিন উনি বাড়িতে আসবে না।
ওমির নানি নোহাকে নিয়ে যাওয়ার পর সেই যে জায়নামাজ এ বসেছে আর উঠেনি।এক মনে মেয়েটার জন্য প্রার্থনা করে চলেছে। যেনো বেঁচে যায়।
ওমির মা আর তমা দুইজন বসে আছে সোফায় এক সাথেই।
— ফুপি কি হবে বলো তো? আমার কিন্তু ভ’য় করছে।
—- আমারও করছে।
— যদি মেয়েটার কিছু হয়ে যায়? তখন তো ওমি ভাইকে ওরা পুলিশে দিবে।মরে গেলে তো ফাঁ/সি তে ঝুলাবে।
— চুপ কর।বাজে কথা একদম বলবিনা।দোয়া কর যেনো বেঁচে যায়।
— কে বলেছিলো ফুপি তোমাকে এখনই এসব করতে।পরে না হয় অন্য কোনো পরিকল্পনা করতে।
—- এখন তুই আমাকে দোষ দিচ্ছিস? কার জন্য এসব করেছি আমি? আমার জন্য?
— রাগ করোনা ফুপি।আমি ঐভাবে বলতে চাইনি।
— আমাদেরও তো কোনো দোষ নেই। আমরা এমনটা চেয়েছি নাকি? আমরা শুধু ওরে বাড়ি থেকে তাড়াতে চেয়েছি। আমার ছেলের ও কোনো দোষ নেই।ইচ্ছে করে দিয়েছে নাকি? ঐ মেয়ের ভাগ্যতে যা ছিলো তাই হয়েছে।
তার মধ্যেই কলিং বেল বেজে উঠে। ফুপু ভাইজি দুইজনই কেঁপে ওঠে।
তমা বুকে থুতু দিয়ে বলে,,,ফুপু কে এলো।পু-পুলিশ নয়তো।
চুপ থাক তমা এসব কথা বলবিনা।হয়তো অন্য কেউ এসেছে। যা দরজা খুলে দেখ।
আমার ভয় করছে ফুপি।তুমি যাও।
ওমির মা বলে চুপচাপ গিয়ে দরজা খুল।আর মুখ স্বাভাবিক করে যা।তর জন্য না সঠিক টা সামনে এসে পরে যা।
তমা নিজেকে স্বাভাবিক করে কাঁপা কাঁপা হাতে দরজা খুলে।দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকা লোকটার দিকে তাকিয়ে শুকনো ঢুক গিলে। ভিতরে কাঁপন সৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে।
#চলবে,,,,,,,