তুমি হাতটা শুধু ধরো পর্ব ৩৫

0
2011

#তুমি_হাতটা_শুধু_ধরো
#পর্বঃ৩৫
#Jhorna_Islam

দায়ানকে আমতা আমতা করতে দেখে সোহা জিজ্ঞেস করলো কি হলো বলছেন না কেনো বলুনতো।বলেন বলেন।

হয়েছে কি পা’গলি শুননা এসব কথা পরে হবে ঠিক আছে। এখন এসব কথা না হয় থাক।আমরা পরিবেশটা ইনজয় করি ওকে?

— না না পরে ইনজয় করবো।আগে যা জানতে চাইছি তা বলুন।
—- না বললে হয় না?
—- সোহা কপট রাগ দেখিয়ে বলে,,আপনি বলবেন? আমার কিন্তু রাগ উঠতেছে বলে দিলাম।

— দায়ান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,,,ঠিক আছে বলছি।

আসলে তিশা কিছুটা পা’গলাটে সাইকো টাইপের ছিলো। এই মেয়েকে কোনো ভাবে মানানো যেতো না।যে সময় যা লাগতো,,বা করতে মন চাইতো সেটা ঐসময় ই করতে হবে।কোনো কিছুর পরোয়া করতো না।কিছু বুঝতে চেষ্টা করতো না। প্রথমে এমন অবশ্য ছিলো না।খুব ভালোই ছিলো।রিলেশনে যাওয়ার পর আস্তে আস্তে কি রকম হয়ে যেতে শুরু করলো।তাও বেশি কিছু বলতাম না।

তো এমনই একদিন বা’য়না ধরলো,, ওর সাথে এ’ন’গে’জ’মে’ন্ট করে রাখতে হবে।তাও আবার আমার সকল ফ্রেন্ডদের সাথে নিয়ে।ওর পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত থাকবে না।পরিবার কে ও জানানো যাবে না।আমাদের বিষয় টা গো’পন রাখতে হবে।তো আমি প্রথমে রাজি হইনি।নানান বাহানা দিয়ে চলে গেছি।কারণ তখন রিলেশনের প্রথমদিকে ওর প্রতি কোনো ফিলিংস ই ছিলোনা।

প্রায় এক সপ্তাহ নিয়ে এমন পা’গলামো করতে লাগলো এ’ন’গে’জ’মে’ন্ট করে রাখার জন্য। আমিও রাজি হতে চাচ্ছিলাম না, কারণ এমনিতেই বাবা-মা কে না জানিয়ে রিলেশনে গেছি।মা অবশ্য কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছিলো।আমি জানি মুখে না বললেও মনে মনে খুব কষ্ট পেয়েছিলো।মায়ের কাছে কোনোদিন কিছু লুকোয়নি আমি।আর এতো বড় একটা কথা লুকিয়ে গেছি।

তিশাকে অনেক বুঝিয়েছি যে পরিবার কে বলে,,পরিবারের উপস্থিতিতে সব রিচুয়াল গুলো মেনে ওকে ঘরে তুলতে চাই। সে মানতে নারা’জ।একদিন খবর পেলাম তিশা নাকি সু’ই’সা’ইড করার চেষ্টা করেছে হাতের শি’রা কেটে।দৌড়ে ঐদিন হসপিটাল গিয়েছিলাম।তিশার জে’দের কাছে হার মেনে ঐদিন ই,,,,,,,, আমি ওকে৷ আংটি পরাই রুশ আর আমার অন্য দুইটা ফ্রেন্ডদের সামনে।

বলেই সোহার দিকে তাকায়। সোহা চুপচাপ বসে দায়ানের কথা শুনছে।
।তারপরে সব কিছু শে’ষ হয়ে যাওয়ার পর জানতে পারলাম সবই তার নাটক ছিলো।টাকা লোভী ছিলো।আমার টাকা দেখে আমার সাথে রিলেশনে গেছে। আমার থেকে মাঝে মাঝেই টাকা নিতো।সকলের আড়ালে এনগেজমেন্ট করে রাখা একটা নাটক ছিলো। আসলে ও ওর ফ্রেন্ডদের সাথে একটা ফরেন ট্যুর দিতে চেয়েছিলো।ওর বাবা সেই টাকা দিতে পারতো না।আর আমার কাছেও এতোগুলো টাকা চাইতে পারতেছিলো না।তাই এসব নাটক সাজিয়েছিলো।যেনো রিংটা বিক্রি করে টাকা পায়।আর আমায় ভালো ও বাসেনি আমার টাকা দেখে নাটক করেছিলো ভালোবাসার।

যখন দেখলো বাবা-মা কেউ নেই তখন ভেবেছে আমার আর টাকা পয়সা থাকবে না।আমি বিজনেস সামলাতে পারবো না।সো আমার কাছে কোনো টাকা ও থাকবে না।তাই ওর বাবার দোহাই দিয়ে চলে গেছে।বলেই দায়ান থামে।

সোহা এখনও চুপচাপ বসে আছে কোনো কথা বলছে না।

— দায়ান সোহার কোমড় জড়িয়ে আরেকটু মিশিয়ে নিয়ে বলে,,কি হলো চুপ হয়ে গেলে যে।সব কিছু বলে দিলাম।আর কিছুই নেই তোমার অজানা।

— আপনি ওর হাতে আংটি পরিয়েছেন? বলেই ছলছল চোখে তাকায় দায়ানের দিকে।

— দায়ান অসহায়ের মতো বলে,,,রা’গ করে না জান।সবই পরিস্থিতি আর তিশা করতে বাধ্য করিয়েছে।

— সোহা দায়ানের কোল থেকে উঠে দাঁড়ায়। তারপর দায়ানের দিকে আঙ্গুল তাক করে বলে,,,আপনার সাহস তো কমনা।একেইতো বিয়ের আগে এসব হা’রা’ম সম্পর্ক করেছেন।তার উপর আংটি ও পরিয়েছেন।

তারপর দায়ানের হাত দেখিয়ে বলে,,, এই হাত দিয়ে তিশাকে ছুঁয়ে আংটি পরিয়েছিলেন না।এই হাত দিয়ে আমাকে ছুবেন না বলে দিলাম। একদম ছুবেন না।ছুতে আসলে আপনার হাত কেটে দিবো।

কি বলো এগুলা।আমিতো পরিস্থিতির স্বীকার ছিলাম জা’ন।

হুহ ঢং করতে আসছে এখন। নিজের বউকে এখনো পর্যন্ত একটা আংটি কি শুতোও পরালো না।প্রেমিকা কে ঠিকই পরিয়েছে।

রাগ করে না বউ।আসো বলেই ধরতে যায়।সোহা রাগ দেখানোর ভা’ন করে বলে উঠে,, এইই হাত সরান।নয়তো আপনার হাত কেটে দিবো।

বলেই সোহা বাড়ির দিকে চলে যেতে থাকে।
দায়ান ও সোহার পিছু পিছু যেতে যেতে বলে,,এই জান ঠিক আছে,কাছে আসো আর হাত দিয়ে ছুবো না।

হাটা থামিয়ে সোহা দায়ানের দিকে তাকায়।

দায়ান মুচকি হেসে বলে,,, হাত দিয়ে ছুবোনা।তবে ঠোঁট দিয়ে ছুয়ে দিবো। বলেই ঠোঁট চোখা করে চুমু দেখায়।

সোহা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বলে,,”অ’স’ভ্য”
হুম তবে শুধু আমার এই পা’গলির জন্য।।।

————————————————-

নোহা ঠিক করে রেখেছে ওমিকে আজ রাতের মাঝেই সব জানাবে।

আচ্ছা ওমি যখন জানবে ও বাবা হতে চলেছে।তখন ওর রিয়েকশন কেমন হবে?
খুশি হবে না রে’গে যাবে।পরোক্ষনে ভাবে ওমি এই বাচ্চা টা চাইবে তো? নাকি শ্বাশুড়ি মায়ের মতো ওমিও খুশি হবে না।

সে যাই হোক ওমি খুশি না হলে নাই।এতেতো নোহার কোনো দোষ নেই।নিজের বাচ্চার কোনো ক্ষতি হতে সে দিবে না। একজন আদর্শ মা হবে।সব সময় আগলে রাখবে।কোনো কষ্ট পেতে দিবেনা।কথা গুলো নিজের পেটে হাত রেখে বিছানায় বসে মনে মনে বলতে ছিলো নোহা।

তখনই দরজায় কেউ ন’ক করে।তাকিয়ে দেখে শ্বাশুড়ি।

বউমা আসবো?
এমন ডাকে নোহা কিছুটা অবাক হয়।তাও নিজেকে সামলে বলে,,জ্বি মা আসুন।

শ্বাশুড়ি মুচকি হেসে ভিতরে এসে নোহার পাশে বসে।

নোহার মাথায় হাত রেখে বলে,,বউমা শোনো, তুমিতো ওমি কে মনে হয় আজই সুখবর টা দিতে চাও তাইনা?

নোহা মাথা নাড়ায়।

আমি বলছিলাম কি বউমা।আজ কিছু বলো না।

নোহা কপালে ভাজ ফেলে শ্বাশুড়ির দিকে তাকায়।

না মানে বলছিলাম কি।আর মাত্র তিন মাস রয়েছে তোমার শ্বশুরের ইলেকশনের। দেখো ওরা এখন কতো ব্যস্ত। এখনই এতো ব্যস্ত কতোদিন পর আরো হবে।তুমি মা হতে যাবে জানলে আমার ওমি তো কাজে মন দিতে পারবেনা।ধরো ইলেশনে তোমার শ্বশুর হেরে গেলো তার জন্য তখন? তখন কিন্তু সবাই এই বাচ্চাটাকেই দোষবে।তুমি কি চাও সবাই ওকে অ–লক্ষী বলুক?

ভোটের দিন জানাবা দুই সু সংবাদ এক সাথে পেলে ভাবো কতোটা খুশি হবে।
নোহা অনেক ভেবে বলল ঠিক আছে মা।আপনি যা চাইছেন তাই হবে।আমি এখন ওনাকে কিছু বলবো না।

মহিলা খুশি হয়ে নোহার মাথায় হাত বুলিয়ে চলে যায়।

নোহা গভীর ভাবনায় ডুব দেয় যার কোনো কূল কিনারা নাই।

—————————————
অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে দিন চলে যায়। ঐদিনের পর নোহাকে নিয়ে নানি শ্বাশুড়ি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল। ডাক্তার পরীক্ষা করে জানায় বেবির বয়স দুই মাস চলছে।

দেখতে দেখতেই আরো দুই মাস কেটে গেলো। এখন নোহার বেবির চার মাস। এখনো ওমিকে বলা হয় নি। যদিও নোহার পেট দেখে বোঝা যায় না ভালোভাবে খেয়াল না করলে।আর ওমির ঐদিকে এতো খেয়াল কই বোঝার।

রাতে কি রান্না করবে তা জানার জন্য শ্বাশুড়ি মায়ের রুমের দিকে যাচ্ছিলো নোহা।দরজার পাশে থেকে শ্বাশুড়ি মা ও তমার কথা শুনে স্ত’ব্ধ হয়ে দাড়িয়ে যায় নোহা।হাত পা গুলো মৃদু কাপছে।
— ফুপু ওমি ভাইরে কবে আমার করে পাবো বলোতো? আমার যে আর তর সইছে না।
— ধৈর্য ধরে থাক কিছুদিন ঠিক সময়ে পেয়ে যাবি।

—- আর পারছি না ফুপু।কিভাবে পারবো বলো? নিজের ভালোবাসার মানুষকে কি অন্যের পাশে সহ্য করা যায়? তার উপর আবার এই মেয়েটা মা হবে।তুমি ভাবতে পারছো ফুপু আমার কষ্ট টা?

— চিন্তা করিস না মা।তুই ই আমার ছেলের বউ হবি। ঐ মেয়ের এমন ব্যবস্থা করবো না।যে ওমি নিজ থেকে বাড়ি থেকে বের করে দিবে।সব ওমির বাবার জন্য হয়েছে। লোকটা নিজের রা’জনীতি ছাড়া কিছুই বুঝে না।নিজের নাম বাড়ানোর জন্য যেনো আরো সম্মান পায়।এজন্য ঐ মেয়েরে ছেলের গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছে।এই মেয়ের বাবাকে গ্রামের মানুষ অনেক সম্মান করে।আর তাই নিজের লাভের জন্য লোকটা এমন করলো।আমার কতো শখ ছিলো আমার তমাটারে আমার ছেলের বউ করবো।সে শখ আমি কিছুতেই অপূর্ণ রাখবো না দেখিস।একটু ধৈর্য ধরে থাক মা।

নোহা এসব কথা শুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না।দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে যায়। চোখ দিয়ে পানির স্রোত ধারা বয়ে চলেছে ।

এইজন্য আমাকে আপনার এতো অপছন্দ তাই না মা? আর আমি এতোদিন ধরে কারণ খুঁজে মরছি কেনো আপনার আমাকে এতো অপছন্দ। আজ এখানে না আসলেতো জানতেই পারতাম না।আমাকে আগেই বলে দিতেন আপনি। তাহলে আমি বিনা বাক্যে চলে যেতাম।এমন নোংরা খেলা না খেললে ও পারতেন।

নিজে একটা মেয়ে হয়ে অন্য মেয়ের সংসার ভাংতে কি সুন্দর পরিকল্পনা সাজাতে ছিলেন। বাহ আপনার প্রশংসা না করে পারলাম না।
নোহার শাশুড়ী তেতে উঠে বলে,,মুখ সামলে কথা বলবা।এতোদিন অনেক সহ্য করেছি তোমার চ্যা”টাং চ্যা”টাং কথা।আর সহ্য করবো না।।

আমিও তো অনেক সহ্য করেছি আর না।

ঠিক তখনই নোহার শাশুড়ীর চোখ যায়,, নোহার পিছনে ড্রয়িং রুমে,,,, উনার দরজা বরাবরই ড্রয়িং রুম।ঐখান দিয়ে ওমি ঢুকে এই দিকেই এগিয়ে আসছে।মুখের অবস্থা দেখে বোঝা যায় খুবই রে’গে আছে।

আসলেই ওমি রে’গে আছে। ইলেকশনের ঝামেলা নিয়ে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আজও বি’রোধী দলের সঙ্গে এক চো’ট ঝামেলা,মারামারি হয়েছে।এখন জরুরি কিছু কাগজ নিতে এসেছে বাড়িতে।কাগজ গুলো বাবার রুমে আলমারিতে রাখা আছে। তাই নিতে যাচ্ছে।

ওমির মা ওমিকে রুমে আসতে দেখে,,তমাকে চোখের ইশারায় কিছু বোঝায়।তমাও ইশারা বুঝে শ’য়তানি হাসি দেয়।

ওমি রুমের কাছে এগিয়ে আসতেই ওমির মা নোহার দুই হাত নিজের মাথায় নিয়ে চুল গুলো এলোমেলো করে৷ ফেলে। হঠাৎ এমন কাজে নোহা হকচকায়।তমাও নোহার হাত ধরে দুইজন এমন ভাব ধরে যেনো নোহা উনার চুল টেনে ধরেছে।আর বলতে থাকে,,,,,

বউমা কি করছো ছেড়ে দাও আমায়।আমার ভুল হয়ে গেছে মা আর এমন হবে না।বয়স হয়েছে তো তাই সব কাজ ঠিক মতো করে উঠা হয়না।ছেড়ে দাও মা।আমার চুলে অনেক ব্যাথা পাচ্ছি। আর টেনো না।

তমা ও ন্যাকা’মী করে বলে,,ভাবি ছেড়ে দেন ফুপি কে।ফুপির কাজ আমি করে দিচ্ছি। তাও ফুপিকে ছাড়ুন।উনি ব্যাথা পাচ্ছে। বলেই কাদার অভিনয় করতে লাগলো।

দুইজনের মাঝে নোহা না কিছু বুঝে উঠতে পারতেছিলো।আর না কিছু বলতে পারতেছিলো।

এতোসময় দরজার পাশে দাঁড়িয়ে এসব শুনে মাথায় র/ক্ত উঠে যায়।তার মায়ের গায়ে হাত তুলেছে? এতো বড় সাহস!!

নোহা বলেই চিল্লিয়ে উঠে,,, নোহা ভয় পেয়ে পিছনে তাকায়।
ততক্ষণে ওমি নোহার চুলের মুঠি শক্ত করে ধরে ফেলেছে। তোর এতো বড় সাহস তুই আমার মার গায়ে হাত দিস?গায়ে হাত তোলা কাকে বলে তোকে আমি আজ ভালো করে বোঝাবো।বলেই ধাক্কা দিয়ে নোহাকে নিচে ফেলে দেয়।

কোমড় থেকে বেল্ট খুলে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে নোহার পিঠে।

নোহা চিল্লিয়ে কাঁদছে আর বলছে ওমি আমার কথাটা একবার শুনুন।আহ্ লাগছে আমার ওমি।কে শোনে কার কথা।আজ সব রা’গ নোহার উপর মেটাতে ব্যস্ত ওমি।কোনো কথাই কানে ঢুকছে না।

এক পর্যায়ে মারতে মারতে ক্লান্ত হয়ে ওমি থেমে যায়।

শেষ পর্যায়ে গিয়ে নোহার তল পেটে জোড়ে লা’থি মেরে দেয়।

নোহা আল্লাহ গোওও।বলে পেটে ধরে চিল্লিয়ে উঠে। কোমড়ের নিচ অংশ অবশ বানিয়ে ফেলেছে।র/ক্তে মেঝেতে থাকা সাদা টাইলস লাল বর্ণ ধারণ করেছে।ওমি এখনো নিচের দিকে তাকায় না।তাকালে দেখতে পেতো।

নোহা আর নিজের চোখ খুলে রাখতে পারছেনা।আস্তে আস্তে চোখ বন্ধ করে ফেলে।

ওমির দাদি এতো চিৎকার চেচামেচি শুনে নিজে অর্ধেক নামাজ শেষ করে দেখতে এসেছিলো কি হয়েছে। এসে নোহাকে এই অবস্থা দেখে। তারপর ওমিকে পাশে দাঁড়িয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে রা’গে ফুসতে দেখে ওনার আর বুঝতে বাকি নেই কি হয়েছে।

আল্লাহ মেয়েটারে মে’রে ফেল্লি সবাই মিলে? ওমি তুই কি মানুষ? জা/নো/য়ারের বা’চ্চা নিজের সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই শেষ করে দিলি?

ওমি অবাক হয়ে নানির দিকে তাকায়।ওও প্রে’গ’ন্যান্ট ছিলো?

ওমির নানি ততক্ষণে নোহার পাশে বসে নোহাকে ডাকতে লাগে।

ওমি নিচের দিকে তাকিয়ে আঁতকে উঠে। ফ্লোর র’ক্তে মাখামাখি।নিজের বাচ্চা কথাটা বারবার কানে বারি খাচ্ছে। নোহার পাশে বসে নোহাকে ধরতে যায়।

কিন্ত নানি দেয় না।খবরদার ওরে তুই ছুবি না।খু/নি তুই।

বলেই ওমির নানি কাদতে কাদতে নোহার বাবা মাকে কল লাগায়।ঐদিন নোহা নাম্বার দিয়েছিলো।কাঁদতে কাঁদতে সব খুলে বলে।উনারা খুব শিঘ্রই আসছে জানিয়েছে।উনি নোহার মাথাটা কোলে নিয়ে বিলাপ করতে লাগলো।

ওমি পাশে হাটু গেরে বসে এক ধ্যানে নোহার মুখের দিকে তাকিয়ে রয়।মুখটা কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।

ওমির মা আর তমা এতোসময় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।এখন একে অপরের দিকে তাকায়,,, এমনটা চায় নি তারা।তারাতো চেয়েছিলো যেনো ওমি নোহাকে তাড়িয়ে দেয়। এখন কি হবে? ম’রে ট’রে গেলো নাতো মেয়েটা।

—————————————-

সোহা উল্টো শুয়ে বই মেলে,গুনগুন করে গান গাইতেছিলো। আজ ভার্সিটিতে যায় নি।
দায়ান সকালের খাবার খেয়ে অফিসে চলে গেছে আরো অনেক আগেই।

বার বার ফোনের দিকে তাকাচ্ছে এখনো ফোন কেনো দিচ্ছে না লোকটা? একটু পরপর কথা না বললে ভালোই লাগে না।এসব ভাবনার মাঝেই দায়ান রুমে ঢুকে আসে।

সোহা দায়ানকে দেখে ভূ’ত দেখার মতো চমকে উঠে।আরে আপনি? এসে পরলেন যে? আমাকে ছাড়া ভালো লাগছিলো না তাই না? বলেই মুচকি হাসে।

দায়ান বিছানায় বসে,,সোহাকে শক্ত করে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে। সোহা ও চোখ বন্ধ হয় উপভোগ করে।সোহাকে জড়িয়ে রাখা অবস্থাতেই এক হাতে ড্রয়ার টা খুলে সোহার ইনহেলার টা নিজের পকেটে ঢুকায়।

তারপর সোহার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,,,জা’ন চলো তুমি না বাড়ি যেতে চেয়েছিলে? আজ যাবো।

এখন! পা’গল হয়ে গেছেন নাকি?

“পরোক্ষনেই বলে উঠে এইই আমার বাড়িতে সবাই ঠিক আছে তো?”

#চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here