তারকারাজি সিজন 1 পর্ব-০৬

0
310

তারকারাজি- (০৬)
লেখনীতে- অহনা নুযহাত চৌধুরী

সেই মধ্যযুগীয় বঙ্গ ডাকের সাড়ায় চকিতেই এক জোড়া আশ্চর্যান্বিত চোখ ফিরে তাকাল নীলাশার দিকে। সুগভীর কৃষ্ণাভ মণির দ্ব্যর্থহীন চাহনিতে জমে থাকা প্রশ্নগুলো যেন দেখতে পাচ্ছে নীলাশা। মনেহয়, আরাভ এখন এবং এখানে উপস্থিত নীলাশাকে কোনোমতেই আশা করেনি। অবশ্য এমন আশা করার কোনো কথাও ছিল না। আরাভকে দেখা গেল হেসে পাল্টা প্রশ্ন করতে,

“ আমাকে ডাকছিলে না-কি? বাহ্, তোমার কণ্ঠে ইংলিশের পাশাপাশি ওপার বাংলার ডাকটা তো বেশ মানায়! আচ্ছা, তুমি রিশানদের বন্ধু নীলাশা না? ”

আরাভের দ্বিতীয় প্রশ্নেই মনঃক্ষুণ্ন হলো নীলাশা। আচ্ছা, তাকে বিষাদকন্যা ডাকা পুরুষটা কি এত সহজেই সেই বিষাদকন্যাকে ভুলে যেতে পারে? নীলাশা উত্তর না দিয়ে অন্যদিকে তাকাল। একটু আগে যে হাসির রেখাটা সব থেকে বেশি চোখে লাগছিল, সেই হাসিটা যেন নীলাশার ঠোঁটে অনুপস্থিত। সে কেন এখানে এলো? নিজের মনে প্রশ্নটা জাগতেই উত্তরহীনতায় ঝুঁকে পড়ল সে। সত্যি বলতে এখানে আসার কোনো কারণ-ই ছিল না। তবুও এখানে এসে সূক্ষ্মভাবে অপমানিত হওয়ার ক্ষতিপূরণ এখন কে মিটাবে? আরাভের সাথে কথা বলতে চাওয়া নীলাশার সেই বেহায়া ইচ্ছে কি এই ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিতে পারবে? পারবে না। নীলাশা লজ্জিত মনেই সুদূরে চোখ রাখল। তখনই অতি পরিচিত ভরাট কণ্ঠের পুরুষটি বলে উঠল,

“ নীলাশা, নীলাম্বরীতে কোনো নারীকেই বিষণ্ণ থাকা মানায় না। ”

নীলাশা ফিরে তাকাল৷ তখনই দেখা গেল, আরাভ একমনে নীলাকাশে কাদম্বিনীর খেলা দেখছে। সেই গভীর দৃষ্টির আনমনা ভাব নীলাশার মনে খুব করে আঁচড় কাটল। আচ্ছা, এই কবি-কবি ভাবওয়ালা পুরুষের প্রেমে পড়া যায় কি? নীলাশার প্রশ্নটা নভস্বানেই মিলিয়ে গেল। কিন্তু উত্তর ফিরে এলো না তার কাছে। যখন আরাভ চোখের ইশারায় নীলাশার বিষণ্ণ মুখের কারণ জানতে চাইল, তখন নীলাশার কী-যে হলো! আচমকাই ঠোঁটে হাসির ডালা উপুড় করে দিল সে। পরমুহূর্তেই শারদীয় কোমল হাওয়ায় তার উড়ন্ত চুলে শুষ্ক এক পাতার অহেতুক উপস্থিতি লক্ষ্য করল আরাভ। সে বলল,

“ নীলাশা, তোমার চুলে…। ”

বলেই মাথায় ইশারা করল আরাভ। নীলাশা বুঝেনি বিষয়টা। সে চুল হাতড়ে পাতাটি পেতেই আরাভ বলল,

“ দেখছো, তুমি বিষাদপ্রিয়া দেখেই যত বিষণ্নতা এসে তোমার কাছে আশ্রয় নেয়। নয়তো পাতা থাকবে সবুজ। ঘুরেফিরে বিষণ্ণ পাতাটাই তোমার কাছে আসতে হলো? ”

নীলাশা হাসে, “ গায়কবাবু, নিউটনের আপেল পড়ার মতো বিষণ্ণ পাতার সূত্র মিলাতে চাচ্ছেন না তো? ”

“ না, আমার এতো ধৈর্য্য নেই। তবে আমাদের জীবনের কিছু কিছু সূত্র মিলানো ভালো। ”

“ যেমন? ”

নীলাশার প্রশ্নের উত্তর দিল না আরাভ। কবজির উপর বাঁধা ঘড়িটায় চোখ বুলিয়ে হঠাৎই কোথাও যাবার প্রস্তুতি নিতে লাগল সে। নীলাশা ভাবল প্রশ্ন করবে আরাভকে৷ কিন্তু তার আগেই আরাভ বলে উঠল,

“ আমার পারফরম্যান্স আছে। যেতে হবে। ”

বলেই সে ত্রস্তব্যস্ত পায়ে হেঁটে চলল অন্যদিকে৷ নীলাশা সেই পানে তাকিয়ে দেখে তাকে এড়িয়ে চলা মানুষটির ব্যস্ততা। এটা সত্যিই নীলাশার অসময়ে আগমন ছিল? না-কি এটা আরাভের তাকে এড়িয়ে যাবার নিখুঁত কোনো কৌশল? পথের বাঁকে আরাভ হারিয়ে যায় ঠিকি। কিন্তু নীলাশা সেদিক থেকে চোখ সরাতে পারে না। এইযে হন্তদন্ত পুরুষটি গিটার কাঁধে ছুটল ওদিকে, সেদিকেই ছুটে গেল নীলাশার মন। যে পথের বাঁকে হারিয়ে গেল দিবাস্বপ্নের পুরুষ, সে পথের বাঁকেই হারিয়ে গেল দিবাস্বপ্ন দেখা যুবতীর প্রেমে পড়ার মতো সাধারণ কিছু অনুভূতি। আচ্ছা, সত্যিই কি সেগুলো সাধারণ কিছু অনুভূতি ছিল?

রাতের গভীরতাও নীলাশার অস্থিরতা দূর করতে পারল না। ওইযে পথ হারালো যুবতীর মন, সে মন আর ফিরে এলো না তার নীড়ে। মধ্যরাতে হঠাৎই নিদ্রাবিহীন নীলাশার খুব অভিমান হলো। স্বপ্ন নামক বিস্তৃত প্রাঙ্গণ জুড়ে শুধু আরাভের রাজত্বই উপলব্ধি করতে পারছে সে। নীলাশা ক্ষুব্ধ হলো। তখন আরাভের সাথে সেই কথোপকথন মনে হতেই লজ্জায় নিমজ্জিত নীলাশা অভিমানের বিশাল সমুদ্র তৈরি করে ফেলল। তখন আরাভ চলে গেলেও তার প্রমোদানুষ্ঠান শুরু হয়েছিল বেশ দেরিতে। নীলাশা খেয়াল করেছিল, আরাভ গান গাওয়ার আগে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মজেছিল। নীলাশা বেশ অপমানিত বোধ করেছিল তখন। সে তো অপরিচিত কোনো মানুষের সাথে কথা বলবার পাত্রী নয়! আর না প্রিয়তাহীন কারো সাথেও ভদ্রতার খাতিরে কথা বলার মতো মেয়ে সে। হুট করেই অন্তর্মুখী নীলাশা অর্ধপরিচিত মানুষটির জন্য আত্মমর্যাদা কোথায় হারিয়েছিল তখন? সে শুনেছে, বাঙালিদের প্রেমিক-প্রেমিকার কাছে না-কি আত্মমর্যাদা বা আত্মসম্মান রক্ষার প্রবণতা খুব কম-ই থাকে। নীলাশা তো আর পাঁচটা বাঙালিদের মতো নয়। তাহলে সে কেন এমন হ্যাংলামি করে বসল? না-কি এটা নিয়ম যে, প্রেমে পড়লে কিছুটা হ্যাংলামি করতেই হয়? উত্তর খোঁজে নীলাশা। খুঁজতে খুঁজতেই বিনিদ্র গোটা রাতটা কেটে যায় তার। ঘুম যেন আসে না এই দু’চোখে!

নিদ্রিত রাত্রির স্তব্ধকালে আজ মিশমিও নির্ঘুম চোখে চেয়ে আছে ঘূর্ণন পাখার দিকে। কেমন বিশ্রী ক্যাটকেটে শব্দ তার! মিশমি তমসাচ্ছন্ন ঘরটির এক দেয়ালে হাতড়ে সুইচবোর্ড খুঁজতে লাগে। অতঃপর গুনে-গুনে তিন নম্বর সুইচটি চেপে ঘূর্ণায়মান পাখাটিকেও স্তব্ধ করে দেয় সে। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছে সে, শরতকাল চৌকাঠে এসে দাঁড়ালেই ঝুমুর বেগম তাদের অহেতুক বৈদ্যুতিক পাখা না-ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে এসেছেন। খুব ছোট্ট মেয়ে মিশমি তখন প্রশ্ন করেছিল মাকে,

“ আম্মু, আমরা কি গরীব? ”

“ কেন বলো তো? ”

“ আগে তুমি বলো না, আমরা কি গরীব? ”

“ না। আমরা গরীবও না আবার ধনীও না৷ ”

“ তাহলে তুমি শীত না আসতেই কেন ফ্যান বন্ধ করে দাও? এগুলা তো গরীবরা করে। আমরা কেন গরীবদের মতো কাজ করব আম্মু? ”

“ ফ্যান অফ করে দিলে তোমার গরম করে, মিশমি? ”

“ না তো! ”

“ যখন ফ্যানগুলোই কেনা হয়েছে যাতে আমাদের গরম না-করে, তখন অযথা ফ্যান ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ নষ্ট করার কী লাভ? ”

তখন ঝুমুর বেগম আরও বলেছিলেন, “ আমাদের অবশ্যই আয়ের দিকে খেয়াল রেখে ব্যয় করা উচিত। সেইটা আমরা ধনী হই কি গরীব। হিসাব করে ব্যয় করাটা আমাদের মানবজাতির জন্য অত্যন্ত জরুরি। নয়তো আয়ের থেকে অতিরিক্ত ব্যয় করতে করতে একদিন গোটা মানবজাতিকেই গরীব হয়ে বাঁচতে হবে নিজেদের ভুলের জন্য। ”

“ কিন্তু সবাই তো ওই ভুলটাই করে, আম্মু৷ আমরা না-করে কী করব? সবাই গরীব হলে আমরাও না-হয় গরীব হবো ওদের সাথে! ”

“ আমরা এর জন্যই করব না যাতে তাদের ও আমাদের মাঝে পার্থক্যটা বহাল থাকে ভুলকে সঠিক করার মাধ্যমে। হতে পারে তারাও আমাদের মতো ভাববে! আর যদি তা না-ও ভাবে তো আমাদের ব্যয় না-করার মাধ্যমে বাঁচানো কিছু দিয়ে হলেও তো আমরা সেইসব অভাগীদের সাহায্য করতে পারব, মিশমি! যদি জেনে-বুঝে আমরাও ওদের মতো ভুল করে গরীব হয়ে যাই তো এতো-এতো শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের হবেটা কী বলো তো? ”

সেদিন মিশমি কতটা কী বুঝেছিল তা জানা না-থাকলেও আর বিনাকারণে বৈদ্যুতিক পাখাটা ঘুরায়নি সে। আজও অপ্রয়োজনে ঘুরতে থাকা ফ্যানকে একদম স্তব্ধ করে দিল সে, যেমনটা স্তব্ধ তার মন। এই স্তব্ধতার কারণটা যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সেই বার্তা পাঠানো মানবটি তা আর খুঁটিয়ে দেখতে হয়নি মিশমির৷ নিজের মনকে বোঝে সে! ছোটবেলা থেকেই প্রেমের প্রস্তাব পেলে মিশমির মাঝে একপ্রকার নারীসুলভ ভালোলাগা কাজ করে। মুখে-মুখে প্রেমে বহুত পড়েছে সে। কিন্তু প্রেমের প্রস্তাব পাওয়ার আনন্দটা আজও কৈশোরের মতোই তাজা রয়ে গেছে। অপরিচিত এই মানবটি যে খুব শীঘ্রই তাকে প্রেমের নয়, বরং ভালোবাসার প্রস্তাব দিতে চলেছে তা আর বুঝতে দেরি হয়নি মিশমির৷ একটু আগেই বার্তা এসেছে,

“ ধন্যবাদ। ”

ছোট্ট শব্দটির পাশে এক ভালোবাসাময় চিহ্নও ছিল৷ মিশমি উপলব্ধি করে যে, ছেলেটি অন্যরকম। তার মাঝে তথাকথিত প্রেমিকের মতো খামখেয়ালীপনা নেই। বরং সে নিজেকে আড়ালে রেখে মিশমিকে এক নজর দেখতে ব্যস্ত। এমন ধৈর্য্যশীল পুরুষকে আর যাইহোক প্রেমিক বলা যায় না। ভালোনাসার মানুষ বলা যায়। কিন্তু মিশমি মনে-মনে স্বীকার করে নিলেও মস্তিষ্ক মানতে চায় না কথাটা। মস্তিষ্ক বলে,

“ কাউকে ভালোবাসা সহজ। কিন্তু কারো প্রতি ভালোবাসাটা মৃত্যু পর্যন্ত দৃঢ় বন্ধনে বেঁধে রাখা বেশ কঠিন। ”

বুঝদার মিশমি এত সহজেই ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মেয়ে নয়। আর না প্রেমের বাঁধনে জড়িয়ে পড়ার মতো মেয়ে সে৷ তবে সে দেখতে চায়… জানতে চায় সেই মানুষটিকে, যে এখনো তাকে প্রেমের প্রস্তাব না দিয়ে নিজের বিশদ অনুভূতির যত্ন নিচ্ছে। মিশমি সত্যিই জানতে চায় তাকে!

বাঙালি আরামপ্রিয় মানুষ। তবে নিশান যেন মাত্রাতিরিক্ত আরামপ্রিয়! নিশান ও রিশানের জন্ম সময় দেড় মিনিটের পার্থক্য হলেও তাদের স্বভাব-বৈশিষ্ট্যের মাঝের পার্থক্যটা যে সুবিশাল রূপ ধারণ করবে, তা হয়তো নিশানদের মা মিলা রহমানও বুঝতে পারেন নি। নবীন বরণ অনুষ্ঠান থেকে ফিরেই একঘুম সেরে ফেলেছে নিশান। যখন রিশানের আকস্মিক কথায় অপ্রস্তুত হয়ে, হন্তদন্ত স্বভাবে উঠে বসল নিশান। তখন প্রায় মধ্যরাত। নিশান রগচটা, বেপরোয়া ধরণের ছেলে। যেকোনো কথায় হুড়মুড়িয়ে রেগে যাওয়াটা নিশানের ক্ষেত্রে নতুন নয়। কিন্তু এবার অন্যকিছুই ঘটল তার ক্ষেত্রে। আচমকা নিদ্রাভঙ্গ ঝিমঝিমে মাথায় রিশানের বলা কথাটা শুনে নিশানের স্নায়ুতন্ত্র যেন অকেজো হয়ে পড়ল। রিশান যখন বলল তাদের দুঃসম্পর্কের এক চাচা বলেছেন যে, তাদের বাবা এক্সিডেন্ট করেননি। বরং আত্মহত্যা করে ইহকালের জীবনের সমাপ্তি টেনেছেন৷ তখন আধঘুমন্ত নিশানের গায়ের ঝাঁকুনিটা রিশান স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিল। রিশান অল্পতে না-রাগলেও রাগটা কিন্তু তার কম নেই! তবে নিশানের চেয়ে রিশান খুবই ঠাণ্ডা মাথার মানুষ। পরিস্থিতি বুঝে নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কথা বলার দারুণ কৌশল নিয়েই যেন জন্ম হয়েছে তার! রিশানের বলা কথাটা শুনে যখন নিশান তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে হেসে উঠল। তখন রিশান বলল,

“ নিশান শোন, ব্যাটা কিন্তু অনেক জোর দিয়ে কথাটা বলছে। আমাকে চ্যালেঞ্জও করছে, জানিস? একবার খুঁটিয়ে দেখলে হয় না? ”

নিশান তখন ছোট ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে বলল,

“ দেখ ভাই, আমাদের বাবা যখন মারা গেছেন তখন আমরা অনেক ছোট। আর ঈশা তো তখন হয়-ই নাই। তাই আমাদের এতদূর আসা নিয়ে বাইরের মানুষের সমালোচনা করারও কোনো শেষ নাই। বাবা ছাড়া মা আমাদের তিন ভাই-বোনকে মানুষ করছে, এটা যেন ওদের কাছে সব থেকে খারাপ কোনো ব্যাপার হয়ে দাঁড়াইছে। এইসব নিয়ে মাথা ঘামাস না। মিছাই মানুষের কথায় নাচার প্রয়োজন কী? আমাদের পরিবারের মানুষরা পর্যন্ত জানে যে বাবা এক্সিডেন্ট করছে। সেখানে কোন চাচা না মামা এসে বলল একটা আর তা ধরে বসে থাকলে তো চলবে না, তাই না? এইসব ফালতু কথা বাদ দে। আর আমাদের বাবার লাইফে এমন কিছু কোনোদিনও কি ছিল যে আত্মহত্যা করবে? মানুষের কাম নাই খালি অন্যের নামে একটা বলে দেওয়া। ফাউল লোকজন! ”

নিশানের কথায় রিশানও বুঝে নিল ব্যাপারটা। এইযে তারা পনেরো বছর থেকে পিতৃহীন সংসারেও সুখে জীবন-যাপন করছে, তার পিছনে সব থেকে বেশি অবদানটা কিন্তু তাদের মায়ের-ই ছিল। মিলা রহমান যখন দ্বিতীয় বারের মতো দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখনই এক রোড এক্সিডেন্টে তাদের বাবার মৃত্যু হয়। ওনার মৃত্যুর পর নড়বড়ে সংসারের হাল ধরতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল মিলা রহমানের। তখন থেকেই বাহিরের মানুষের তিক্ত বাক্য কম শুনতে হইনি তাদের পরিবারের চারজনকে। তবুও একপ্রকার সংগ্রাম করেই তাদের বেঁচে থাকা। এইসব নিশানদের জানা কথা, বোঝা কথা। এর উপর আর কীই-বা জানার থাকতে পারে?

#চলবে ইন শা আল্লাহ!

(লিখেছিলাম অনেকটুকুই। কিন্তু শেষ করতে পারিনি বলে আমি দুঃখিত)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here