তবুও_বর্ষণের_অপেক্ষা ১

0
5309

গরমে জীবন টা ত্যানাত্যানা হয়ে যাচ্ছে দিয়ার।এই মারাত্মক গরমে আধাঘন্টা ট্রাফিক জ্যাম ভীষণ অসহ্যকর বিরক্তির।এই ভীষণ বিরক্তির মাঝে খেয়াল করে বাইকে বসে ভয়ানক অগ্নিদৃষ্টি নিয়ে তীব্র বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে আছে বিহান।দিয়া ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে দেখে বিহান সত্যি তার দিকেই তাকিয়ে আছে। অদ্ভুত বিহান ভাই এখানে কেনো?দিয়ার হাতে পানির বোতল ছিলো পানি না খেয়েই পাশের ছেলেটার হাতে ধরিয়ে দিলো।ইজি বাইকে বসে ছিলো দিয়া তার সাইডে একটি ছেলে ও বসে ছিলো।গরমে দিয়া অসুস্থ হয়ে পড়ছিলো প্রায় সেজন্য ছেলেটা তার পানির বোতল টা দিয়া কে দিয়েছিলো।। পাশের ছেলেটা বলে কি হলো ম্যাম পানি টা ফিরিয়ে দিলেন যে,আপনার এই মুহুর্তে পানির প্রয়োজন।দিয়া ছেলেটার দিকে আর একবার ও তাকালো না কোনো উত্তর ও দিলো না। দিয়ার ইজি বাইক ঘেষেই দাঁড়িয়ে আছে বিহানের বাইক।বিহানেই বাইকের পেছনে আরেকটা ছেলে বসে আছে।ছেলেটা বিহান কে বলে বিহান তোর বোন না এইটা।।বাইকে তিনজনে যাওয়া যাবে একটু কষ্ট হলেও।দেখ গরমে ও কষ্ট পাচ্ছে।অসুস্থ লাগছে দেখতে।

বিহান হালকা ঘাড় ঘুরিয়ে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বলে,,তোকে আমি কোনদিন বলেছি ও আমার বোন হয়।Answer me please! আমি তো চিনি ই না মেয়েটাকে।আর ইজি বাইকে কোনো মেয়ে আছে সেটা আমি খেয়াল ই করিনি।ছেলেটা বিহানের পাশের এলাকার।ছেলেটা বলে একদম ই মিথ্যা বলবি না আমি দেখেছি তুই এতক্ষণ ওর দিকেই তাকিয়ে ছিলি,আবার বলছিস তুই তাকাস নি।বিহান বলে, শোন তোকে লিফট দিয়েছি শুকরিয়া আদায় কর। বাপের টাকা দিয়ে বাইক কিনেছি কি রাস্তা থেকে মেয়েদের তুলতে।।।

দিয়ার ধৈর্যর বাধ ভেঙে গেলো।মুখ খুলতেই হলো তাকে।

“এই যে শুনুন বিহান কাকু আপনার মতো অসহ্য বিরক্তির জঘন্য মানুষের বাইকে চড়ার শখ নেই।কি ভাবেন কি হ্যাঁ নিজেকে একটা বাইক কিনে নিজেকে কি বাইকের প্রাইম মিনিষ্টার ভাবছেন।আপনি ভাবলেন কিভাবে আমি আপনার মতো লেডিস ড্রাইভারের বাইকে চড়বো।বাইক কিনে এই নিয়ে ক’বার এক্সিডেন্ট করেছেন হিসাব আছে।আপনার ওই কার্ডিওলজিস্ট নিয়ে না পড়ে অর্থোবিভাগের ডাক্তার হওয়া উচিত ছিলো।রোজ এক্সিডেন্ট করবেন আর নিজের চিকিৎসা নিজেই করবেন।অন্তত ডাক্তারের ফিস এর টাকা টা বেঁচে যেতো।”

বিহান দিয়ার এমন সাহস দেখে সন্দিহান দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে।বিহানের রাগের মাত্রা ভয়ানক গতিতে বেড়ে গিয়েছে দিয়ার মুখে আঙ্কেল ডাক শুনে।

“How dare you? তুই কি বললি আমি তোর কাকু দাঁতে দাঁত চেপে বললো বিহান।”

“আপনি নিজেই তো বললেন আমি আপনার বোন না তাহলে কি আঙ্কলে লাগেন আমার।”

“হ্যাঁ ঠিক ই বলেছি তোর মতো অদ্ভুত প্রাণী আমার বোন হতে পারে না।যার মাঝে ভদ্রতা, সভ্যতা বলে কিছুই নেই।”

“আপনি আমার মাঝে কি অসভ্য তা দেখেছেন।”

“ইজি বাইকে বসে যা করছিস।আজ বাড়ি যা তোর খবর আছে।”

গ্রে কালারের শার্ট পরা বিহানের হাতা টা গোটানো,অফ হোয়াইট জিন্স পরা, হাতে হেলমেট নিয়ে বাইকের উপোর বসে আছে। বিহান এবার মেডিকেল ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র।অসম্ভব ট্যালেন্ট একটা ছেলে। জীবনে লেখাপড়া ছাড়া কোনো কিছুতে পাত্তা নেই তার।কার্ডিওলজিস্ট নিয়ে লেখাপড়া করছে বিহান।প্রতিটা সেমিস্টারে ভার্সিটি টপার বিহান।ছয় ফিট হাইটের বিহানের স্লিম ফিগার গায়ের রং ফর্সা।রুপে,গুনে বিহান কে হার মানানো কারো পক্ষেই সম্ভব নয়।

টেনশন এ দিয়া আরো ঘেমে যাচ্ছে।এতক্ষণে সে বুঝে গেছে পাশে বসে থাকা ছেলেটার জন্য বিহান এত বেশী রিয়্যাক্ট করেছে।দিয়ার কাজিন বিহান।ছোট বেলা থেকে সকল কাজিন গুষ্টি কে বিহান শাষন করছে।বিহানের ভয়ে কেউ প্রেম ভালবাসার দিকে আগাইতে পারে নি।বিহান এর কড়া শাষনে বড় হচ্ছে সবাই।

দিয়ার এখন চিন্তা বাসায় গেলে আম্মু আজ কেটে কুচি কুচি করে ফেলবে কারণ আম্মু বিহান ভাই যা বলবে তাই ই বিলিভ করবে।আম্মু একবার ও ভাববে না যে পাব্লিক বাসে,ইজি বাইকে যে কেউ বসতে পারে পাশে। আম্মু বিলিভ করবে তার আদরের ভাতিজার কথা।বাসায় আমি সবার ছোট বলে যে যেভাবে পারে সেভাবেই হাত চালিয়ে দেই।

হাইরে তোহা আপু তোর ভাগ্য এই জুটলো।প্রেম করবি না করবি এই বিহান নামক পৃথিবীর বাইরের ভিন্ন প্রাণী অভিশপ্ত প্রাণী বিহান কে বেছে নিলি রে আপু।বোন হয়ে নিজের বোনের এমন দূর্দশা কিভাবে সহ্য করি আমি।

তোহা দিয়ার বড় কাকার মেয়ে।বিহান কে মারাত্মক আকারে পছন্দ করে।ওদের মাঝে একটা অন্য রকম রিলেশন আছে।এইদিকে তোহার মামাতো ভাই আলিফ তোহাদের বাড়িতে থেকেই লেখাপড়া করছে।ছেলেটা তোহা আর, আবিরের সাথেই লেখা পড়া করে।দিয়া আর আবির দুই ভাই বোন।

দিয়া ভয়ে ইজি বাইক থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেছে।দিয়া জানে বিহান তিল থেকে তাল শুরু করবে।গরমে এতটা রাস্তা সে কিভাবে হেঁটে যাবে।বিহান নাম টাই দিয়ার জীবনে অভিশপ্ত।এই নিয়ে কতবার আম্মুর কাছে বকা শুনিয়েছে তার ঠিক নেই।হাঁটতে হাঁটতে বড্ড ক্লান্ত হয়ে পড়েছে দিয়া।পিংক কালারের গাউন পরে হাঁটছে দিয়া। দিয়া দেখতে খুব ই পিচ্চি একটা মেয়ে এবার ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে,গায়ের রং উজ্জ্বল শ্যামলা।জোর পূর্বক সাইন্স নিতে হয়েছে তাকে এটা বিহানের হুকুম।

হঠাত দিয়ার পাশে বাইকে হর্ণ দিচ্ছে কেউ।দিয়া পাত্তা না দিয়ে হেঁটেই যাচ্ছে।বাইক থামিয়ে হেলমেট খুলে বিহান বলে এই তুই কি দিনে দিনে কানে কম শুনতেছিস দিয়া।দিয়া একবার তাকিয়ে চমকে যায় একি আবার বিহান ভাই এই ফাঁকা জায়গা টার্গেট করে বাইক থামালো ক্যানো? কি তার উদ্দেশ্য।। এই প্রথম বার পাব্লিক প্লেসে বিহান ভাই কে অপমান করেছি উনি কি তার ই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য এই জায়গা টার্গেট করেছে।জীবনে উনি যত মেরেছে আমাকে আমার মা বাবা ও অত টা মারেনি।কি বলবে উনি এখন কি বলবে এখানে কি থাপ্পড় মারবে নাকি একশ বার কান ধরে উঠবস করাবে কিছুই বুঝছি না।

“বিহান ভাই কি হয়েছে।”

“বাইকে ওঠ।তুই কি পাগল হয়ে গেছিস দিয়া।এই গরমে কেউ হাঁটে নাকি।”

“না আমি রাস্তার মেয়ে আপনার মতো হ্যান্ডসাম ছেলের বাইকে কিভাবে উঠি আরো বাপের টাকার বাইক আপনার।”

“তুই হচ্ছিস একজন ম্যাম মানুষ। মানুষ তোকে কত রেসপেক্ট করে দেখছিস দিয়া।রাস্তাঘাটে কত সম্মান পাচ্ছিস।এইদিকে মানুষ গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেও তোর মতো একজন ম্যাম হতে পারছেনা।শত শত এপ্লিকেশন পড়ে আছে। চেষ্টা করেও ম্যাম হওয়ার চান্স পাচ্ছে না।আচ্ছা দিয়া ম্য্যাম আজ থেকে কি তোকে আপনি বলে সম্মোধন করবো।”

দিয়া বুঝতে পারছে ইজি বাইকের ওই ছেলেটার জন্য বিহান তাকে ভদ্র ভাষায় অপমান করছে।কিন্তু কিচ্ছু করার নেই।আম্মুর হাতের মাইর থেকে বাঁচার জন্য বিহান কে এখন তার সহ্য করতেই হবে।

“স্পিড এর মুখ খুলে দিয়ার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো এটা খেয়ে নে সারাদিন স্টূডেন্ট দের লেখাপড়া করিয়েছিস অনেক ক্লান্ত তুই।”

“দিয়া ফ্যাল ফ্যাল করে কেঁদো দিলো।”

“কিরে কাঁদছিস কেনো দিয়া।”

“বিহান ভাই প্লিজ আম্মুকে এটা বলবেন না।আম্মু আমাকে মেরেই ফেলবে।সেদিন আপনি নালিশ দিছেন আম্মু আমার ফোন কেড়ে নিয়ে গেছিলো।আপনি জানেন তো আম্মু কেমন রাগি।প্লিজ বিহান ভাই আম্মুকে বলবেন না কিছু।”

“বিহান ফোন থেকে একটা ভিডিও প্লে করে বলে দেখ,তোর ইজি বাইকের পুরা হিস্ট্রি আমার ফোনে ভিডিও করা কিভাবে হাসছিলি আর কথা বলছিলি এটা কি দেখাবো ফুফি কে।”

“না বিহান ভাই।।।প্লিজ না।”

“ওকে আমি যা বলবো তাই শুনবি তাহলে।”

“ওকে শুনবো।”

“তাহলে স্পিড টা খেয়ে আমার বাইকে ওঠ আগে।”

চুপচাপ স্পিড টা খেয়ে বিহানের বাইকে উঠলো।

“একি বিহান ভাই এভাবে বাইক চালাচ্ছেন ক্যানো?পড়ে যাবো তো।”

“তুই নিজেই তো বললি আমি ভালো ড্রাইভ পারি না।কষ্ট করে যাতে আর মিথ্যা বলতে না হয় তাই এভাবেই চালিয়ে দেখাচ্ছি।”

“সরি আর ভুল হবে না।”

“আর মিথ্যা বলবি জীবনে ”

“না বলবো না।”

“আমার কিন্তু মারাত্মক রাগ হচ্ছে দিয়া।”

“ক্যানো ”

“এভাবে গায়ের উপোর পড়ছিস ক্যানো?আমি কিন্তু নামিয়ে দিবো।”

তোর বাইকে কি আমি উঠতে চাইছি।সেধে সেধে উঠিয়ে যথেষ্ট অপমান করে আবার বলছে নামিয়ে দিবো।তোর বাপের টাকার বাইকে কি আমি উঠতে চাইছি বেয়াদপ মনে মনে বিড় বিড় করেই যাচ্ছে দিয়া।তুই যদি এখন পড়ে গিয়ে ঠ্যাং ভেঙে হসপিটালে যেতিস তাহলে আমি খুব খুশি হতাম। এটা দিয়ার মনে মনে বলা কথা। সামনে বলতে সাহস হলো না।

অবশেষে বাড়িতে পৌছালো দিয়া আর বিহান।

বিহান বাড়িতে প্রবেশ করাতেই তোহা আপু বলে, এই তুমি এসছো আমাকে আগে বলবে না।

ফুপ্পি বাড়ি আসতেছি এতে বলার কি আছে।

তবুও বললে না ক্যানো?

বললে কি হতো।

তোমার জন্য আমি স্পেশাল ভাবে সাজুগুজু করতাম।

সে তো তুমি এমনিতেই স্পেশাল আমার কাছে।বলেই তোহার নাক ধরে একটু নাড়াচাড়া দেই বিহান ভাই।

তোহা আপু একটু লাজুকতা নিয়ে বলে লাভ ইউ বিহান।বিহান লাভ ইউ ঠু বলে একটা রোজ হাতে দেই তোহা আপুর।তোহা আপু তো বিশাল খুশি।বুঝতে শেখার পর থেকে তাদের এই প্রেম কাহানী আমি দেখে আসছি।আমার মামাতো ভাই আমার চাচাতো বোনের সাথে রিলেশন করে সেখানে আমাকে একটু হাতে রাখবে তা না আমার সাথে ভিলেন গিরি।একদিন না একদিন আমাকেই লাগবেই।

তোহা অসম্ভব সুন্দরী। যে কোনো ছেলের ই নজর কাড়বে।সেখানে বিহান এর ও ভালবাসা টা স্বাবাবিক।

আম্মু এসে ভাতিজা কে বলে আজ রাতে কিন্তু তোর থেকেই যেতে হবে বিহান।ফুপ্পি আজ আমার থাকা হবে না।এ বাড়িতে কেউ একজন চাই না যে আমি থেকে যায় ফুপ্পি।কিভাবে থাকি বলো।তোহা বলে এই কে তোমাকে কি বলেছে বলোতো তুমি থাকবে কে কি বলে আমি দেখবো।আম্মু বলছে এটা তুই কি বললি বাবা।আবির তো তুই ছাড়া থাকতেই পারে না।আম্মু রুমে এসেই আমাকে বলে, বিহান কে কিছু বলেছিস।ও আমাদের বাড়ি থাকতে চাইছে না ক্যানো।যা গিয়ে সরি বল তোর বিহান ভাই কে।

আম্মু তোমার ভাতিজা তুমি সাধাসাধি করো এর মাঝে আবার আমি ক্যানো?

আম্মু বলে, তোমাদের কথায় কথায় এত রাগ কি দেখে আসে শুনি।

বিকালে, বিহান ভাই,আবির ভাইয়া, আর আলিফ ভাইয়া বাইকে সারা বিকাল টো টো করে বাড়িতে এসছে।আমি জানি বিহান ভাই এসছে এক্ষুণি আমাকে বিরক্তি কর কিছু বলবে সন্ধ্যা বেলা রুমের লাইট অফ করে কাথা মুড়ি দিয়ে সুয়ে রইলাম।ক্যানো জানিনা বিহান ভাই নিজের প্রেমিকা কে রেখে ঘুরে ঘুরে আমাকে খুঁজে আর ঝামেলায় আমাকে ফেলে।সন্ধ্যা হলে ছাদে আড্ডা দিবেই সবাই মাস্ট এটার কোনো ভুল নেই।আমি বাদে সবাই আছে।বিছানায় বাইরে থেকে একটা পাথরে মোড়ানো চিরকুট ফেললো কেউ।

বিহান ভাই রুমে ঢুকেই চিরকুট টা হাত থেকে নিয়ে এমন বিশ্রি ভাবে পড়া শুরু করলেন সেটা বাংলা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

“কিরে প্রেম করছিস। ”

“না ভাইয়া।”

“তাইলে এটা কি।”

এটা যে তোহা আপুর কাজিন দিয়েছে সেটা আমি শতভাগ নিশ্চিত।ইজি বাইকে একটা ছেলের পানির পট নিয়ে বিপদে আছি আবার ধরা খেলাম এই চিরকুট নিয়ে।

“কান ধর তুই।কান ধরে ২০০ বার উঠবস কর”

“কোনো কথা না বলে কান ধরে উঠবস শুরু করলাম”

এর ই মাঝে তোহা আপু এসে বলে এটা কি করছো বিহান।ও ছোট মানুষ দেখছো না কাঁদছে।

তোর বোনের কথায় আজ মাফ করে দিলাম দিয়া।এই নে ধর তোর চিরকুট আর ছাদে আয়।বলেই তোহা আপু কে নিয়ে ছাদে চলে গেলো বিহান ভাই।

চিরকুট টা পড়া শুরু করলাম।

“গায়ে কখনো ভিজিয়েছ
তোমার চুল!
ভিজে শরীরে মেপেছো কখনো ওই
তোমার আবেগ!
রোমান্টিক কুয়াশায় দেখেছ কখনো
অজানা প্রেমিক!
পাহাড়ি ঢালে ধরেছ কখনো একটা
বিশ্বাসী হাত!
বৃষ্টিতে কোনোদিন খুঁজেছ কখনো
তোমার চোখ!
ভাঙনের পাড়ে দাঁড়িয়ে কখনো একা
বুঝেছ নদী!
রাতের আকাশে লিখেছ কোনোদিন
হারানো গল্প!
গল্পের মানুষ শুনিয়েছে ছাদে বসে
গল্প মনের!
ধুলো সরিয়ে আয়নায় দেখেছ কবে
তোমার মুখ!
সময়ের আগুনে শুধু তো পুড়িয়েছ
তোমার ভুল!
ভুল সরিয়ে আজ একবার এসো তুমি
খোলা বারান্দায়!
ভুল মাপতে মাপতে হঠাৎ কখন যে
আমরাই পুড়ে যাই!

ইতি তোমার ভূত”

দুঃখি দুঃখি মন নিয়ে ছাদে গেলাম কারেন্ট ও নেই।হুট করে কে আমার গালে চুমু দিয়ে দিলো অন্ধকারে বুঝতে পারলাম না।আমি জানি আলিফ ভাইয়া এ কাজ করেছে।কারেন্ট এলেই দেখি আলিফ ভাইয়া ছাদে নেই।আমি তোহা আপু কে বললাম আলিফ ভাইয়া কোথায়।তোহা আপু বললো আম্মু ওকে বাজারে পাঠিয়েছে আধা ঘন্টা আগে।

আমি আকাশ থেকে পড়লাম আপুর কথা শুনে।সত্যি কি ভূতে চুমু দিলো।

চলবে,,,

তবুও_বর্ষণের_অপেক্ষা

#WriterঃMousumi_akter

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here