#টুয়েন্টি_মিনিটস (চ্যাপ্টার-০১)
পর্ব-০৪
লেখা: ShoheL Rana শামী
‘চুপ করে আছেন কেন? কে আপনি? ধুর, তোমাকে আমি আপনি আপনি করে বলছি কেন? এ কেমন পোশাক পরে আছো? পাগল মনে হচ্ছে। যাও, এখান থেকে চলে যাও।’ বয়স্ক লোকটা তাড়িয়ে দিতে চাইলেন রিহানকে।
রিহান ভাবতে পারে না তার পূর্বপুরুষদের মধ্যে এমন লোকও ছিল, যে অপরিচিতদের সাথে এমন ব্যবহার করে। রিহান জিজ্ঞেস করলো, ‘ইউসুফকে একটু দেখতে পারবো?’
‘কে ভাই তুমি বলো তো? তোমার আচরণ আমার সুবিধের মনে হচ্ছে না? ছেলে ধরার লোক না তো?’
‘ছি! ছি! কী বলেন! আমি অমন লোক না। আসলে গতকালকে দেখছিলাম, ইউসুফ কয়েকজনের সাথে ঝগড়া করছে। ওরা ইউসুফকে মারছিল, আমিই ওকে রক্ষা করেছিলাম।’ কথাটি বলেই পরক্ষণে রিহান আফসোস করলো, এমনটা বলা ঠিক হয়নি। যাক, বলেই তো ফেলেছে। মিথ্যা কিছু বলে হলেও যদি সে একটু তার দাদামশাইকে দেখতে পারে তবে মন্দ কী। কিন্তু পরের ঘটনা এতদূর গড়াবে সে ভাবতে পারেনি। বয়স্ক লোকটা ভেতরে গিয়ে ‘ইউসুফ ইউসুফ’ বলে কয়েকবার ডাকলেন। একটা ছোট্ট বাচ্চা ঘর থেকে দৌড়ে বের হলো। চোখে মুখে তার খুশি। হয়তো ভেবেছে বাহির থেকে ফেরার সময় দাদা তার জন্য কিছু নিয়ে এসেছে। বাচ্চাটার এই খুশি হয়তো কয়েক মুহূর্ত পর বিলীন হয়ে যাবে।
‘কী হয়ছে দাদা?’ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন করে বাচ্চাটা। রিহান ভালো করে তাকালো তার দিকে। ভাবতে অবাক লাগছে, এই বাচ্চাটা তার বাবারও বাবা, মানে তার দাদামশাই। ইউসুফও তাকালো রিহানের দিকে। বয়স্ক লোকটা এবার ইউসুফকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুই না-কি কাল পাড়ার ছেলে কতগুলোর সাথে ঝগড়া করেছিস?’
‘আমি ঝগড়া করিনাই, আমি ঝগড়া করিনাই। কে বলেছে এই কথা?’ উত্তেজিত দেখালো ইউসুফকে। তার চোখে মুখে ভয় দেখে বোঝা গেল, এই পরিবারে বাইরের কারও সাথে ঝগড়াঝাঁটি করা নিষেধ। এই পরিবারের একটা শৃঙ্খলা আছে, মান সম্মান আছে। সেই মুহূর্তে ভেতর থেকে একটা মহিলা এসে ইউসুফের হাত শক্ত করে ধরলো যাতে পালাতে না পারে। তারপর একটা মেহেদি গাছের চিকন ডাল ভাঙতে ভাঙতে বললো, ‘তোকে কতবার বলেছি পাড়ার খারাপ ছেলেদের সাথে মিশিস না। তুই তারপরও ওদের সাথে মিশিস? ঝগড়া করিস?’ বলেই সাঁই সাঁই করে কয়েকটা বাড়ি মারলো ইউসুফের গায়ে। সম্ভবত মহিলাটা ইউসুফের মা। ইউসুফ জোরে কেঁদে চললো মার খেয়ে। তখন বয়স্ক লোকটা এসে তাকে মারের হাত থেকে বাঁচিয়ে মহিলাটাকে বললেন, ‘আমি কথা বলছি তো ওর সাথে। যাও বউমা, তুমি ঘরে যাও, এখানে বাইরের লোক আছে।’
মহিলাটা এবার দেখলো রিহানকে। তারপর মাথার কাপড়টা টেনে দিয়ে ঘরের ভেতরে চলে গেল নীরবে। ইউসুফ তখনও কেঁদে চলেছে। মা ভেতরে চলে যাওয়ার পর, সে তার দাদাকে বললো, ‘দাদা, আমি ঝগড়া করিনাই।’
‘তাহলে ঐ লোকটা বললো যে…?’ রিহানের দিকে ইশারা করলেন বয়স্ক লোকটা। রিহান তখন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে বললো, ‘থাক না, বাচ্চা ছেলে, এ বয়সে একটু আধটু দুষ্টুমি করতেই পারে।’
ইউসুফ ক্রোধান্বিত দৃষ্টিতে ফোঁপাতে ফোঁপাতে তাকালো রিহানের দিকে। রিহান নাক কুঁচকালো। মনে মনে বললো, ‘ক্ষমা করে দাও দাদা, ভবিষ্যত থেকে এসে তোমাকে পিচ্চি বয়সে এভাবে মার খাওয়ালাম।’
বয়স্ক লোকটা এবার রিহানের দিকে এগিয়ে এলেন। রিহানের কাঁধে হাত চাপড়ে বললেন, ধন্যবাদ তোমাকে। নাম কী তোমার? কোথায় থাকো? এখানে তো কখনও দেখিনি।’
‘আমার নাম রিহান। একজন মুসাফির। থাকার জায়গা নেই। এখানে ওখানে দিন-রাত কাটে। একটা কাজের সন্ধান করছি।’
‘জমির কাজ করতে পারো? চাষাবাদ?’
রিহান চুপ করে রইলো। নিজের দিকে চোখ বুলালো সে। তাকে কি দেখে কৃষকের মতো লাগে? এসি অফিসে বসে সে কাজ করতো, অফিসে গেলে সবাই সালাম দিয়ে সম্মান করতো। আর এখানে তাকে কৃষিকাজের অফার করা হচ্ছে?
‘কী হলো? পারো না কৃষি জমির কাজ?’ আবারও জিজ্ঞেস করলেন উনি। রিহান বললো, ‘হিসাব-নিকাশের কাজ পারি। ওরকম কোনো কাজ থাকলে দিন।
‘ঠিক আছে, তুমি থাকো এইখানে। দেখি, কী কাজ দেয়া যায় তোমাকে।’
‘অসংখ্য ধন্যবাদ দাদামশাই।’ কথাটি বলেই সে ভাবলো, ‘দাদামশাই’ ডাকাটা কি ঠিক হলো? ইউসুফ যদি তার দাদা হয়, তাহলে ইউসুফের দাদা তার কী হবে? যাক, যা হবে হোক। এতকিছু না ভাবলেও চলবে। দাদার দাদা মানে তারও দাদা।
‘আপনার নামটা জানতে পারি দাদামশাই?’ হাঁটতে হাঁটতে জিজ্ঞেস করলো রিহান। তাকে থাকতে দেয়ার জন্য ঘর দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন বয়স্ক লোকটা। উনি জবাব দিলেন, ‘আমার নাম জাকারিয়া।’
‘জাকারিয়া।’ বিড়বিড় করলো রিহান। সে তার নিজের দাদার নাম জানে। এর আগের পূর্বপুরুষদের নাম তার জানা ছিল না। জাকারিয়া সাহেব রিহানকে একটা রুম দেখিয়ে দিলেন থাকার জন্য। রিহান তার ব্যাগটা রেখে আরামে বসলো খাটে। পরক্ষণে দেখলো এটা আসলে খাট না। মাটি দিয়ে খাটের মতো সাইজ করা হয়েছে। জাকারিয়া সাহেব রুমটা দেখিয়ে চলে যাচ্ছিলেন, তখন রিহান পেছন থেকে বললো, ‘দাদামশাই, আমার কাজের জন্য কোনো বেতন দিতে হবে না, শুধু খাবার দিলে হবে।’
‘আমি তো টাকা দিবো বলিনি। শুধু খাবার দিবো। তাও দুইবেলা পাবা। জমির কাজ করলে তিনবেলা খাবার পেতে।’ পেছনে ঘুরে কথাটি বললেন জাকারিয়া সাহেব। রিহান চুপ হয়ে গেল। অতীতে এভাবে না আসলে তার পূর্বপুরুষদের এমন আচরণ জানা হতো না তার। অথচ তার বাবা সবসময় পূর্বপুরুষদের সুনাম করতো। কিছু হলেই বলতো, আমার পূর্বপুরুষরা এমন ছিল, অমন ছিল। আরেকবার বাবার মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পেলে তারপর বুঝাবে।
আচ্ছা, দাদাকে তো দেখা হলো। ছোটোবেলায় দাদি দেখতে কেমন ছিল? রিহান শুনেছে, তার দাদা আপন চাচাতো বোনকে বিয়ে করেছিল। আর দাদি ছিল বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। তারমানে ইউসুফের চাচাতো বোনদের মাঝে খোঁজ করলেই দাদিকে পাওয়া যাবে। এরপর থেকে রিহান গোপনে দাদির খোঁজ চালালো। কাজটা তারপক্ষে সহজ হয়ে গেল। কারণ, ইউসুফের মাত্র একজন চাচা আছে। তারমানে ঐ চাচার মেয়েকেই ইউসুফ বিয়ে করবে। কিন্তু ইউসুফের সেই চাচার এখনও পর্যন্ত কোনো সন্তানই হয়নি। তারমানে রিহানের দাদির এখনও জন্মও হয়নি। পিচ্চি দাদিকে আর দেখা হলো না রিহানের।
ইতোমধ্যে ঐ বাড়ির সবার সাথে পরিচিত হয়েছে রিহান। বাড়ির সবাইকে মোটামুটি পছন্দ হলেও, একজনকে পছন্দ হয়নি তার। সেই ব্যক্তিটা হলেন ইউসুফের বাবা। সম্পর্কে রিহানের প্রপিতামহ। উনার নাম হলো ইউনুস। ইউনুসের সাথে ইতোমধ্যে রিহানের কয়েক দফা বাকবিতণ্ডা হয়ে গেছে। কারণ রিহান ইউনুসকে ‘ইউনুস চাচা’ বলে ডাকে। এজন্য ইউনুস রেগে যায় রিহানের উপর। রেগে গিয়ে বলে, ‘আরে ভাই, আমাকে চাচা ডাকো কেন? আমি তোমার চেয়ে বড়োজোর দুয়েক বছর বড়ো হবো। আমাকে ভাই ডাকবা। চাচা ডেকে বুড়ো বানাও কেন?’
রিহান এবার কীভাবে বুঝাবে যে সম্পর্কটাই এমন, ইউনুসকে ভাই ডাকা যাবে না, বড়োজোর চাচা ডাকা যাবে। বাকবিতণ্ডা চলার মাঝে একদিন জাকারিয়া সাহেব এসে সমাধান করে দিলেন। তিনি রিহানকে বললেন, ‘রিহান, তুমি আর ওকে চাচা ডাকবে না। নাম ধরেই ডাকবা।’
‘নাম ধরে কেমনে ডাকবো? উনি তো আমার প্রপিতামহ। দাদার বাবা।’ কথাটি বলতে গিয়েও বললো না রিহান। ঠিক আছে, নাম ধরেই ডাকবে সে। ইউসুফকে তো নাম ধরেই ডাকে।
বেশ কয়েকদিন কেটে গেল। এই বাড়িতে রিহানকে কাজ দেবে বললেও, রিহানের জন্য এখনও কাজ পাননি জাকারিয়া সাহেব। টুকটাক বাজার করে দেয় সে। বেশিরভাগ অলস সময় কাটে তার। একদিন ভাবলো জাফর মাস্টারদের ওদিকে যাবে সে। সুফিয়া মেয়েটাকে খুব দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে। তাই জাকারিয়া সাহেব থেকে তিন পয়সা নিয়ে সে রওনা দিলো চর আলগীর দিকে, জাফর মাস্টারদের গ্রামে। জাকারিয়া সাহেব কিন্তু সহজে পয়সা দিতে চাননি রিহানকে। অনেক অনুরোধের পর দিয়েছেন তিন পয়সা। পাঁচ পয়সা খুঁজেছিল রিহান।
চর আলগীতে এসে জাফর মাস্টারদের বাড়িটা খুঁজে বের করলো রিহান। ওখানে গিয়েই প্রথমে দেখা হয়ে গেল মাস্টার সাহেবের সাথে। উনি সেই সময় মসজিদ থেকে দুপুরের নামাজ পড়ে ফিরছিলেন। রিহানকে দেখে নিজেই এগিয়ে এসে বললেন, ‘আরে রিহান যে। ভেবেছিলাম আরও আগে আসবে। কিন্তু অনেকদিন পর এলে দেখা করতে। তারপর কী খবর বলো?’
‘খবর ভালো আংকেল। একটা বাসায় ওঠেছি, ওদের টুকটাক বাজার করে দিই। দুবেলা খেতে দেয় ওরা।’
‘দুবেলা? আরেক বেলা কী খাও?
‘কিছু খাই না।’ হাসলো রিহান।
‘তোমার নিজের বাড়ি নেই এখানে?’
‘ওটাই তো আমাদের বাড়ি, দাদাবাড়ি। কিন্তু ঐ যে বললাম, আমি ভবিষ্যত থেকে এসেছি।’
‘তো তুমি বলোনি ওদের, তুমি ভবিষ্যত থেকে এসেছো, তুমি ওদেরই বংশধর?’
‘আপনারা বিশ্বাস করেননি, উনারা কি বিশ্বাস করবেন? ভাববে আমি হয়তো কোনো উদ্দেশ্যে ওদের বাড়িতে ঢুকেছি।’
‘বাদ দাও, তুমি একদিন সময় নিয়ে এখানে এসো। আমি তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।’
রিহান চুপ করে চেয়ে রইলো জাফর মাস্টারের দিকে। মাস্টার সাহেব এখনও তাকে মানসিক বিকারগ্রস্ত ভাবছেন। তাই হয়তো দয়া দেখিয়ে কথা বলছেন। রিহানের কাঁধে হাত রেখে তিনি আবারও বললেন, ‘তোমার মন খারাপ হয়েছে জানি, তোমার ভালোর জন্যই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো বলছি। সকাল থেকে তো কিছু খাওনি মনে হয়। চলো, একসাথে খাবো।’ বলেই তিনি মেয়ের উদ্দেশ্যে ডাক দিলেন, ‘সুফিয়া… সুফিয়া…’
সুফিয়া বের হলো ভেতর থেকে। আজও সে শাড়ি পরে আছে। গোলাপি রংয়ের একটা শাড়ি। শাড়িতে অদ্ভুত সুন্দর দেখায় মেয়েটাকে। রিহানকে দেখে সুফিয়া বললো, ‘এটারে কোত্থেকে নিয়ে এলে আবার?’
রিহান মৃদু হেসে বললো, ‘হাই, চিনতে পারেননি আমাকে?’
‘আপনি এমন উদ্ভট পোশাক পরেন, চিনবো না কেন ফিউচার সাহেবকে।’
‘ফিউচার সাহেব!’
‘তাই-ই তো। আপনি ভবিষ্যত থেকে এসেছেন না?’
‘ব্যঙ্গ করছেন?’
‘তা করবো কেন?’
জাফর মাস্টার এবার মেয়েকে বললেন, ‘আহ মা, ছেলেটা এসেছে, একটু ভালো করে কথা বল। বেচারাকে প্রতিদিন নাকি দুবেলা খেতে দেয়। যা তো মা, আমাদের দুজনের জন্য খাবার নিয়ে আয়।’
বাধ্য মেয়ের মতো খাবার আনতে গেল সুফিয়া। খাসির মাংস রান্না করেছে সে। নিজহাতে খাবার বেড়ে দিলো সে দুজনকে। খেতে খেতে রিহানের মনে হচ্ছিল এমন রান্নার হাত সে কখনও পায়নি। তাই প্রশংসা করতেও ভুললো না, ‘আপনার রান্নার হাত কিন্তু চমৎকার। খুব ভালো রাঁধেন।’
‘হু…’ সুফিয়ার মাঝে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না। হয়তো প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে না সে। প্রসঙ্গ পালটিয়ে সে জিজ্ঞেস করলো, ‘আপনাকে ওরা খেতে দেয় না কেন? ওরা আপনার আপনজন না?’
‘আপনজন, কিন্তু চিনে না আমাকে। আমি ভবিষ্যত থেকে এসেছি তো।’
সুফিয়া রেগে গেল এবার। অগ্নিমূর্তি হয়ে সে বাবার উদ্দেশ্যে বলে, ‘বাবা, এই লোকটাকে আর নিয়ে আসবে না। কিছু জিজ্ঞেস করলেই বলে ভবিষ্যত থেকে এসেছি। উফ! লোকটা পাগল, আমাদেরও পাগল বানাবে।’ বলতে বলতে এঁটো থালাবাসনগুলো নিয়ে ভেতরে চলে গেল সে। রিহান উঠে দাঁড়ালো। জাফর মাস্টারের উদ্দেশ্যে বললো, ‘ঠিক আছে আংকেল, আপনাদের সাথে দেখা হলো, কথা হলো, খাবার খেলাম, এবার তাহলে আসি।’
‘পথ চিনে যেতে পারবা তো?’
‘জি পারবো আংকেল।’
‘আচ্ছা যাও। আবার এসো। আর আমার মেয়ের কথায় রাগ করো না। মা মরা মেয়ে তো। তাই একটু এমন।’
‘সমস্যা নেই। আমি কিছু মনে করিনি আংকেল।’ হেসে বের হয়ে এলো রিহান। চলে যাচ্ছিল, তখন পেছন থেকে দৌড়ে এসে সুফিয়া পথ আটকালো। তারপর বললো, ‘এই যে, দুবেলা খান কেন? আরেক বেলা মাটি খেতে পারেন না? যে বেলা খাবার পাবেন না, এখানে চলে আসবেন প্রতিদিন। বুঝছেন?’
রিহান অবাক হয়ে তাকালো সুফিয়ার দিকে। কে বলবে একটু আগেই এই মেয়েটা তাকে আসতে নিষেধ করেছিল। এখন আবার বলছে প্রতিদিন আসতে।
‘কী হলো এভাবে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে আছেন কেন? যাওয়া-আসার ভাড়া আছে তো? না-কি তাও নেই। ধরুন, পাঁচ পয়সা।’ বলেই রিহানের হাতে পাঁচ পয়সা ধরিয়ে দিলো সুফিয়া। রিহানের মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হলো না। সুফিয়া পুনরায় বললো, এই পয়সা দিয়ে এখন যাবেন, আবার কালকে আসবেন। ভাড়া না থাকলে চেয়ে নিবেন।’ রিহানকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই হনহন করে ভেতরে চলে গেল সুফিয়া। রিহান থমকে দাঁড়িয়ে থাকলো কিছুক্ষণ।
[[চলবে….]]
(পোস্টের রিচ তুলনামূলক কম। সবাই গল্পটা পড়ার পর, সুন্দর করে মন্তব্য করবেন, সাথে দুয়েকজন গল্পপ্রেমীকে মেনশন করে গল্পটা পড়তে দিবেন। তাহলে আমার উপকার হবে। লিখতেও ভালো লাগবে।)