জোনাকিরা ভীড় করেছে part 12

0
454

#জোনাকিরা ভীড় করেছে
#পর্ব-১২

প্রকৃতি তার শীতল বাতাস বিলিয়ে দিয়ে পরিবেশকে ঠান্ডা রাখতে চাইছে।ভরা জোছনা তৈরী করছে এক মোহনীয়তা।অথচ আদিবের মাথা প্রচন্ড গরম হয়ে আছে।ভেতরে যেন আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত হচ্ছে। কিছুতেই নিজেকে ঠান্ডা রাখতে পারছে না বা তার দুহাতের বন্ধনে আবদ্ধ থাকা মেঘলাকে দেখে ভালবাসার মোহনীয়তায় ডুবে যেতে পারছে না। শুধু রাগে তার হাতের বন্ধন দৃঢ় হচ্ছে। মেঘলা চোখ বন্ধ করে রেখেছে ভয়ে।সে সাহস পাচ্ছে না চোখ খোলার।ভয়ে কেঁপে উঠছে থেকে থেকে।সেই সাথে কান্নার বেগ বেড়ে যাচ্ছে। কান্নাগুলো যখন দলা পাকিয়ে শব্দে পরিনত হলো তখন আদিবের রাগটা আরও বেড়ে গেল।

সে ঝটকা দিয়ে মেঘলাকে সরিয়ে দিয়ে হুংকার ছাড়লো,তোমার ফালতু মার্কা চোখের পানি আমার সামনে যদি আর একটা ফোঁটাও পড়ে তো আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।

আদিবের হুংকারে মেঘলার কান্না বন্ধ হলো না।শুধু ফোঁপানোটা কমে গেল,চোখ দিয়ে নিরবে পানি ঝরতেই থাকলো।

আদিব নিজেকে ঠিক রাখতে পারছে না।রাগটা তার নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।চেষ্টা করেও পারছে না শান্ত থাকতে।

আদিব মেঘলাকে নিয়ে এসেছে মেঘলাদের বাসার পেছনের খোলা জায়গাটায়।সন্ধ্যা শেষে রাত নেমেছে।

আদিব মেঘলার কান্না থামার কোনো লক্ষণ না দেখে মেঘলাকে আবার কাছে টেনে নিলো।হিসহিসিয়ে বললো,আমার সমানে নাটক না করলে চলছে না তোমার?আর কিছু বাকি রেখেছ?আসলে আমি ভুল,তোমায় চিনতেই পারি নি।চেয়েছিলা তোমায় তোমার মতো করে ভালবাসতে,ভালো রাখতে।কিন্তু তুমি সেটা ডিজার্ভই করো না।তুমি আমার কাছে ঠিক জোনাকির মতো, যাকে হাতের মুঠোয় বন্দী করে ক্ষনিকের আনন্দ পেতে চাই না। আমি প্রকৃতির বুকে সন্ধ্যা হয়ে থাকতে চেয়েছি, যাতে জেনাকারিরা ভীড় জমাতে পারে, নিজস্ব আলোয় আলোকিত করতে পারে! সবসময় তোমার পরিবারের দোহাই দিয়েছো।আমি দায়িত্ব নিতে চেয়েছি সেটাও তোমার পছন্দ হয়নি। এখন বিয়ে করে নিচ্ছো, এখন তোমার পরিবারের কিছু হবে না, তাই না?এখন কে দেখবে তাদের?নাকি আমার বেলাতেই এইসব অযুহাত ছিলো।বলো, আমার কোথার জবাব দাও মেঘলা?আদিব গর্জে উঠলো।

মেঘলা কাঁপা গলায় বললো,আমি নাটক করেছি আপনার মনে হয়?

তাছাড়া আর কি?এক সপ্তাহের মধ্যে তোমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে মেঘলা!

বেশ তো,তাহলে নাটকবাজ একটা মেয়েকে ভালোবাসতে গেলেন কেন?

এই আবার তোমার ত্যাড়া কথা?মেঘলা সত্যি বলছি আমার মাথা কাজ করছে না,তোমায় এক আছাড় মেরে ভর্তা বানিয়ে ফেলবো বলে দিলাম!

মেরেই ফেলুন আমায়,তাহলেই যদি সব সমস্যার সমাধান হয়।

তাই না কি?এতো সহজে তো তোমায় মরতে দেব না।চার বছর ধরে আমায় কষ্ট দিয়ে যাচ্ছো তার শোধ গুলো তুলবো না?

দেখুন আমি সত্যি বলছি,বিয়ের এসব ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না।আমি তো পড়াশোনা নিয়ে ছিলাম এতোদিন।আম্মা আমাকে না জানিয়ে এতবড় একটা সিদ্ধান্ত নিবে তা কি কখনো ভেবেছি।আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি,বিয়ে আমি করতে চাই না,সেটা আপনাকেও না, ফয়সালকেও না।

তোমার এতবড় সাহস তুমি ফয়সালের সাথে আমার তুলনা করো?

মেঘলা ফাঁকা ঢোক গিললো।কই নাতো, আমি তো তুলনা করিনি,আপনি বুঝতে ভুল করেছেন।

হ্যাঁ সব ভুল আমি করি, তুমি তো কিছুই করো না।যাই হোক ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নাও এই বিয়ে আজ রাতের মধ্যেই ভেঙে দেবে তা না হলে আমি কি করে ফেলবো তা দেখতেই পাবে?

মেঘলার পাগল পাগল লাগছে নিজেকে।মায়ের সাথে কথা বলতে পারছে না।হঠাৎ আম্মা এমন হয়ে গেল কেন ভেবে পাচ্ছে না?

ফয়সাল রাতে বেশ কয়েকবার ফোন করলো মেঘলাকে।কিন্তু মেঘলা রিসিভ করলো না।মেঘলা আগে তার আম্মার সাথে কথা বলতে চায়।এরপর ফয়সালের সাথে সে কথা বলবে।ফয়সাল যে তাকে বিয়ে করতে চাইবে তা তার কল্পনাতেও ছিলো না।ফয়সাল কি ভেবেছে, মেঘলা খুব সহজ সরল একটা মেয়ে,তাকে দয়া দেখিয়ে বিয়ে করবে,অসম্ভব? তবে মেঘলা মনের জোর পাচ্ছে না। কারণ একটাই,আম্মা!
মেঘলা বিছানায় শুয়ে ছটফট করছে। চোখ বন্ধ করলেই আদিবের মুখটা ভেসে উঠছে। আদিবকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে হবে কথা ভাবতেই কেমন কেঁপে উঠলো সে।চোখ দিয়ে নোনাপানি ঝরলো তার।এতো যন্ত্রণা কেন হচ্ছে তার?

২৭.
আনোয়ার সাহেব কয়েকদিন ধরে বেশ গম্ভীর হয়ে আছেন আদিবের চিন্তায়।আদিব কিছু বুঝতে দিচ্ছে না কিন্তু বাবা হয়ে তিনি বোঝেন ছেলেটার মনের অবস্থা। মেঘলার বিয়ে হয়ে গেলে আদিবের কি অবস্থা হবে তা ভেবে পান না।আদিব বাইরে যতটা শান্ত ভাব দেখাচ্ছে ওর ভেতরটা ততোটাই অশান্ত হয়ে আছে।দিলারা বেগম ভেবেছিলেন মেঘলা আদিবকে ভালোবাসে, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তিনি ভুল ভেবেছেন।
মেঘলা সরাসরি অন্য ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেছে।এতটাও তিনি আশা করেননি।আদিব শুধু শুধু মেঘলার পেছনে পড়ে থেকে জীবনটা ধ্বংস করছে।কিন্তু আদিবকে এসব বলা যায় না।এমনিতেই ছেলেটার মনের অবস্থা খারাপ।ভুল মানুষকে ভালোবাসলে যে কতটা আঘাত পেতে হয় তা বোধহয় আদিবের জানা ছিলো না।মেঘলা হয়ত তার কপালেই নেই।অথচ,আদিব তা মানতে নারাজ।

আমরিন মায়ের সাথে ফোনে কথা বলার পর অস্থির হয়ে উঠেছে।এ কয়দিনে এতকিছু ঘটে গেছে অথচ সে কিছু জানতে পারেনি।ভাইয়া বা মেঘলা আপু কেউ তাকে কিছু বলেনি।আমরিনের ভিষণ কান্না পাচ্ছে। ছটফট করছে সে, মেঘলা আপুর বিয়ে হয়ে গেলে আদিব ভাইয়ার কি হবে?
ভাইয়া যে খুব ভালোবাসে মেঘলা আপুকে।

আনাফ ঘরে ঢুকে আমরিনকে এমন অবস্থায় দেখে অবাক হয়ে গেল।কাছে গিয়ে বললো,কি হয়েছে রে তোর এমন করছিস কেন?

আমরিন কথা না বলে আনাফকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো।

আনাফ হঠাৎ এমন কান্ডে হতবাক হয়ে গেল।আমরিনের কান্না দেখে কিছুই বলতে পারলো না।খুব আলতো ভাবে আমরিনের মাথায় হাত রাখলো।

আমরিন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বললো,আমায় বাড়িতে নিয়ে চলো আনাফ ভাই,আমি ভাইয়ার কাছে যাবো।মেঘলার আপুর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে! ভাইয়া অনেক কষ্ট পাচ্ছে।

আনাফ কিছুই বুঝতে পারলো না।আমরিনকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বিছানায় বসালো।এরপর বললো,আগে কান্না থামা তো,বাচ্চাদের মতো কাঁদবি না।আদিবের কি হয়েছে রে?

আমরিন কিছুক্ষণ ফুঁপিয়েই গেল।একটু পর সব খুলে বললো। আনাফ সব শুনে অবাক হয়ে গেল।আদিব তলে তলে এতকিছু করে বসে আছে অথচ সে কিছুই জানে মা।আদিব তাকে মেঘলার ব্যাপারে কিছুই বলেনি!শালা,প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে!

আচ্ছা চল,তোকে নিয়ে যাচ্ছি, আমিও কথা বলবো আদিবের সাথে। কিন্তু কথা হচ্ছে মেঘলার বিয়ে হচ্ছে কার সাথে?

জানি না তো,নাক টেনে বললো আমরিন।

আনাফ চেঁচিয়ে উঠলো, এ্যাই একদম এভাবে নাকের টানবি না,আমার কেমন গা ঘিনঘিন করে।ইয়াক,ছি!

আমরিন ঠোঁট ওলটালো।ইচ্ছে করছিলো আনাফের শার্টে তার নাকের সমস্ত সর্দি গুলো মেখে দিতে কিন্তু সেটা করা যাবে না।এখন তাকে দ্রুত বাড়িতে যেতে হবে।

ফয়সালের মনে আনন্দের শেষ নেই।অবশেষে তার স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। এতদিন যাকে মনের ভেতর ধারণ করে এসেছে তার সাথেই বিয়ে হচ্ছে। একটু ভয় ছিলো তার মালিহা বেগমকে নিয়ে, যদি মালিহা বেগম শেষে বিগড়ে যায়।এত দ্রুত বিয়ে না দিতে,কিন্তু শেষে তা আর হয়নি।আজ বিকেলে মেঘলাকে নিয়ে বিয়ের শপিংয়ে যাবে সে।তাই সকাল থেকেই বেশ ফুরফুরে মনে আছে সে।সে পছন্দ করে দেবে শাড়ি,তার পছন্দের শাড়িতে মেঘলা বউ সাজবে।আহা!ভাবতেই কত ভালো লাগছে।মালিহা বেগমকে ফোন করে জানিয়ে দিলো বিকেলে বের হওয়ার কথাটা।এরপর মায়ের ঘরের দিকে পা বাড়ালো।

মালিহা বেগম ফোন রেখে মেঘলার দিকে তাকালেন।দুদিন ধরে ঠিকমতো কথা হচ্ছে না মা মেয়ের।মেঘলার সাথে একচোট হয়ে গেছিলো তার।মেঘলা যে মন থেকে রাজি হয়নি তা তিনি জানেন।আজ না হলেও বিয়ের পর এমনি মন বসে যাবে।বিয়ে এমন একটা ব্যাপার যা কেউ চাইলেও উপেক্ষা করতে পারে না।তিনি ভেবে পান না মেঘলা বাস্তবতা সবটা বুঝেও এমন কেন করছে।বিয়ে,সংসার সব আলাদা জিনিস।কোন একটা ছেলে তাকে চার বছর ধরে ভালোবাসে,রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে হিরো গিরি করে তাতেই জীবনের ভাবনা সহজ হয়ো যায়।ফয়সাল কর্মঠ ছেলে,টাকা পয়সা যথেষ্ট আছে।সংসারে মা ছাড়া কেউ নেই।সবটাই তো নিজের মতো গুছিয়ে নিতে পারবে মেঘলা।আদিবের পরিবারের সাথে তাদের মেলে না।উঁচু বংশ,রুচিশীল পরিবারে মেঘলার মতো মেয়ে বেমানান। আজ মুখে যতই ভালবাসার কথা বলুক না কেন,জীবনে চলার পথে এই ভালোবাসা কখনো থাকবে না এটাই নির্মম বাস্তবতা। মেয়েটা আজ হয়ত তাকে ভুল ভাবছে,সময় গড়ালে ঠিক বুঝতে পারবে।দীর্ঘশ্বাস গোপন করে বললেন,বিকেলে তৈরী থাকিস,ফয়সাল তোকে নিতে আসবে বিয়ের কেনাকাটা করার জন্য।

মেঘলা ভাবশালীন হয়ে বসে রইলো। তবে ভেতরে চমকে উঠলো। ফয়সালের বাড়িতে আসার কি দরকার?আদিবের চোখে পরলে কি যে হবে তাই ভেবেই ভয়ে অস্থির হয়ে।গেল।

মাকে বললো,ওনাকে আসতো হবে কেন?তুমি জায়গাটা জেনে নাও আমি নিজেই যেতে পারবো।

আসতে চায় আসুক।মানা করাটা ঠিক হবে না,দুদিন বাদে সে জামাই হবে তাকে কি করে মানা করি।তাছাড়া তোরা দুজনে মিলে দেখে শুনে সব করিস,এতে ভালই হবে।

মেঘলা মায়ের কথার পিঠে কিছু বলতে পারলো না।শুধু তার ভেতরটা ফাঁকা হয়ে গেল।মনটা বিষিয়ে গেল।ফয়সালের নাম শুনলেই তার দমবন্ধ লাগে, অথচ সেই মানুষটার সাথেই তাকে সারাজীবন কাটাতে হবে!কিন্তু এখন তার মোটেও ইচ্ছে করছে না ফয়সালের সাথে বিয়ের শপিংয়ে যেতে।মন সায় দেয় না তার,দেবেই বা কি করে আদিব যে গেড়ে বসেছে তার মনে!কিছু একটা উপায় বের করতে হবে তাকে,আজ যাওয়াটা আটকানোর জন্য। কিন্তু কি করবে সে?

২৮.
আনাফ ঘর কাঁপিয়ে হেসে যাচ্ছে। সে ভেবেছিলো,আদিব প্রেম করছে কিন্তু এখন দেখছে পুরোটাই অন্য কাহিনি। যে সম্পর্কের কোনো নাম নেই সেই সম্পর্কের জন্য বেচারা আদিব দেবদাস হতে চলেছে।

আদিব বালিশ দিয়ে দুমদাম মারলো আনাফকে।

আরে, আরে মারছিস ক্যান আমারে?তোর যা সব কান্ড তাতে হাসি পাবেই।

আমার শালা জান যায় অবস্থা আর তুই বেয়াদবের মতো মজা নিচ্ছিস?

তো কি করবো ব্রো? মেঘলার সম্মতি থাকলেও একটা কথা ছিলো।দরকার হলে ওরে পালিয়ে নিয়ে যেতি কিন্তু এখানে তো কেস পুরা উল্টা। তোর মেঘলাই তো এক পায়ে রাজি বিয়েতে তাহলে এখানে করার কি আছে?

দূর, বলতেছি তো ও মন থেকে রাজি নয়।ওর মায়ের কারণেই রাজি হয়েছে।আমি ওর প্রতিটি নিশ্বাস চিনি,মেঘলার মনে শুধু আমি আমি আছি।

ধুর রাখ তোর মনে মনে পিরিত।মুখে না বললে কি করবি তুই?

কিছু তো আমি করবোই।দরকার হলে ওই ফয়সালের বাচ্চাকে খুন করে জেলে যাবো তবু এই বিয়ে আমি হতে দেব না, হু।

কেয়াবাত! তা কি দিয়ে খুন করবি একটু শুনি?

আদিব আবার মারলো আনাফকে।আমি কিন্তু সিরিয়াস, আনাফ!

ওকে,তুই আগে বলতো এই ফয়সালটা কে,এ ব্যাটায় করে কি?

কেন, তা শুনে তুই কি করবি?

আরে বলনা, কি করি সেটা পরে দেখিস।

আদিব হতাস ভঙ্গিতে বিছানায় বসলো।ফয়সাল সম্পর্কে যা যা জানে।সবটাই বললো আনাফকে।

পুরোটা বলা শেষ না হতেই আমরিন দৌড়ে এসে বললো,ভাইয়া দ্রুত আসো,আমাদের বাসার সামনে মাহিম পড়ে আছে, মনে হয় জ্ঞান হারিয়েছে!

আদিব চমকে উঠলো। দৌড়ে গেল সে গেটের কাছে।
দেখলো মাহিম শুয়ে আছে কাত হয়ে,জ্ঞান নেই।আদিব কোলে তুলে নিয়ে আমরিনকে চেচিয়ে বললো,তাড়াতাড়ি মেঘলা ডেকে আন।সে মাহিমকে দ্রুত নিজের বিছানায় শুইয়ে ডাক্তারকে ফোন করলো।আনাফ ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি এনে মাহিমের মুখে ছিটালো।কিন্তু মাহিমের জ্ঞান ফিরছে না।আদিব ভয় পেয়ে গেল।মাহিমের কিছু হয়ে গেল নাতো?তাছাড়া মাহিম তাদের বাসায় নিচে আসলোই বা কি করে? মেঘলা কোথায় ছিলো?নানান ভাবনায় অস্থির হয়ে গেল সে।জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলো, একপ্রকার দৌড়ে আসছে মেঘলা,পেছনে আমরিন আর মারুফকে ফেলে।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here