জল ফোয়ারা পর্ব ৪

0
509

#জল_ফোয়ারা |৪|
#লেখনীতেঃ Liza Bhuiyan

৬.
হাসপাতালের বেঞ্চে বসে আছে মুগ্ধ, এদিক ওদিক তাকিয়ে মানুষের আনাগোনা দেখছে। কারো নতুন অতিথির আগমনে ঈদের দিনের খুশি, কারো স্বজন হারানোর আর্তনাদ। কেউ পরিবারের অসুস্থ মানুষটাকে নিয়ে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে সেবায় মশগুল, আবার কারো পরিবার হয়তো কেবিনে ফেলে রাখা মানুষটির খোঁজ নিতেও অনিচ্ছুক! মুগ্ধ দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিয়তির অদ্ভুত খেলা দেখছে।

কিছুক্ষণ পর ডাক্তারের পিছু পিছু নুরকে আসতে দেখে উঠে দাঁড়ালো, দুজনেই ডাক্তারের সাথে কেবিনে ঢুকলো। নুর শিশুসুলভ চাহনিতে এদিক ওদিক তাকালো, শেষে ডাক্তারের টেবিলে থাকা পেপারওয়েটের দিকে খুব মনোযোগ দিলো! ডাক্তার নিলা নুরকে কিছুক্ষণ দেখলো তারপর মুগ্ধর দিকে ব্যথিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো

“রিপোর্টে বিশেষ কোন পরিবর্তন দেখা যায়নি, ঔষুধগুলোও খুব একটা প্রভাব ফেলেনি বলে মনে হচ্ছে। আমি বলছিনা তোমার হাল ছেড়ে দেয়া উচিৎ, নুরের কেসটা আমার কাছেও বিরল ঘটনা। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি কিন্তু ও নিজে যদি না চায় ঠিক হতে তবে আমার হাতে কিছু করার নেই”

মুগ্ধ কথাগুলো শুনে অবাক হয়নি, সবকিছু কেমন দেজা ভু এত মতো লাগছে। যেনো ও উত্তর জেনেই প্রশ্ন করেছিলো। ডাক্তারকে বিদায় জানিয়ে নুরের হাত ধরে বেরুতে যাবে এমন সময় ডাক্তার নিলা পেছন থেকে ডেকে বললো

“গত ভিজিটের কথাগুলো মনে আছে তো? কাটা একমাত্র কাটা দিয়েই তুলা যায়। ওর যে মানুষটা থেকে সবচেয়ে বেশি দূরে থাকা প্রয়োজন, তাকেই ওর এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন”

মুগ্ধ তার সম্মতিসূচক মাথা নেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়লো, হসপিটালের গণ্ডি পেরুতেই প্রতিবারের নুর আবার প্রশ্ন করলো

“ভাইয়া আমরা এখানে কেনো এসেছি?

মুগ্ধ জোর করে মুখে হাসি টানার চেষ্টা করলো, নিম্নস্বরে সুধালো

“শরিরের সবকিছু ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য ডাক্তারের কাছে চেকাপ করা জরুরী, একথা শুনিস নি কখনো? যাইহোক কি খাবি তাই বল”

নুর ক্যাবলা হাসি দিয়ে বললো

“তোমাকে সকালে আইস্ক্রিম নিয়ে আসতে বললাম তখন তো আনো নি, এখন খাওয়াও”

মুগ্ধ হাল্কা হেসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো, আইস্ক্রিম খেতে খেতে নুর প্রশ্ন করলো

“ভাইয়া বাবা আসবে কবে, আজকে দুদিন হয়ে গেলো উনি বাসায় আসেনা। আমি খোঁজ নেয়ার জন্য ফোন দিলাম কিন্তু কেউ ধরলো না। আব্বুর সিমে কি সমস্যা হয়েছে”

নুরের কথা শুনে মুগ্ধর ভ্রু কুঁচকে এলো, প্রসঙ্গ পাল্টাতে বললো

“সকালে কোথায় গিয়েছিলি তুই?”

নুর আইস্ক্রিম খাওয়া রেখে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো, আমতা আমতা করে বললো

“ভাইয়া আমিতো রোহিণী আপুর সাথে ছিলাম তার বাড়ি, তুমি আপুকে জিজ্ঞেস করে দেখো।”

মুগ্ধ আর কথা বাড়ায়নি, পাশের বাসায় যে ব্যাগ নিয়ে যেতে হয়না তা হয়তো নুরের খেয়াল ছিলো না। দুজন বাসায় ফিরতেই দেখে তাদের মা চলে এসেছে, তাকে কিছুটা চিন্তিত দেখাচ্ছে। ওদের দেখেই দ্রুততার সাথে বললো

“মুগ্ধ তোর ফুফি আজকে একটা আবদার করে ফেলেছে, আমি ফেলতে পারিনি। তুই আমার কথাটা রাখবি বাবা?”

বসার ঘরের একটা চেয়ার টেনে বসলো মুগ্ধ, নুর তাদের দুজনকেই উৎসুক দৃষ্টিতে দেখতে লাগলো। রাজিয়া বেগম কিছুটা আশা নিয়েই শুরু করলেন

“তোর ফুফির মেয়ে সুমিকে তো চিনিস, দেখতে শুনতে মাশাআল্লাহ তারউপর পড়াশুনায়ও ভালো। এবার এইচএসসি দিলো। তোর সাথে খুব করে বিয়ে দিতে চায়, আমি যদিও হ্যাঁ বলে আসিনি। কথা বাকি রেখে এসেছি কিন্তু অসম্মতিও জানাইনি, তুই তো জানিস তারা আমাদের কতো সাহায্য করেছে তারউপর তারা তোকে ভালো একটা চাকরীরও সুযোগ দিবে হয়তো, আকার ইঙ্গিতে বুঝেছি। সংসার তো এমনিতেই টানা পোড়ার তার উপর তোর চাকরীই যা ভরসা, তুই হ্যাঁ করে দিলে–”

নুর কিছুটা অবাক হলো মায়ের কথা শুনে, বিরক্তি নিয়েই বললো

“মা, ভাইয়ার এখন চাকরী দিয়ে কি হবে?পড়াশুনা তো আগে শেষ করুক! তাছাড়া আব্বুর চাকরী তো আছেই, এসব কথাবার্তা এখন বলে কি লাভ? আব্বুর সাথে আগে ক-”

রাজিয়া হুট করেই রেখে গেলেন, মেয়েকে শাঁসিয়ে বললেন

“ওই লোকের নাম আমার সামনে নিবি না, তুই যা সামনে থেকে”

মুগ্ধ হুট করে উঠে নুরকে দ্রুত ওর কামরায় নিয়ে গেলো, নিম্ন গলায় বললো

“ফ্রেশ হয়ে ঘরে বসে থাক, আমি খাবার নিয়ে আসছি”

বলেই মুগ্ধ ঘর থেকে বেরিয়ে মাকে নিজের ঘরে নিয়ে গেলো তারপর শান্ত গলায় বললো

“তুমি ওর সাথে এমন করছো কেনো মা, সবটা জেনেও অবুঝের মতো আচরণ করা কি ঠিক? আমি জানি তুমি হয়তো সবকিছুতে হাপিয়ে উঠেছো, বড় মামার বাড়ি গিয়ে কিছুদিন ঘুরে আসো। আমি এদিকটা সামলে নিবো”

রাজিয়া বেগম কথাগুলো শুনে শান্ত হলেন, কিছুক্ষণ বাদে বললেন

“আমি কিন্তু মজা করিনি তখন মুগ্ধ, আপাকে কিন্তু আমি না করে আসিনি আর আমি কারণও দেখিনি। এই বিয়েটা তো তারাই চাইছে হোক, আমিতো আর আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে যায়নি। তুই প্লিজ না করিস না!”

মুগ্ধ প্রত্যুত্তরে কি বলবে তাই খুঁজে পেলো না, ও জানে তার পরিবারের সময় কেমন যাচ্ছে। এই মুহুর্তে আর্থিক সাহায্য কিছুটা প্রয়োজন কিন্তু তাই বলে টাকার বিনিময়ে একটা সম্পর্ক শুরু অত্যন্ত নিম্নমানসিকতার কাজ। তাছাড়া ওর পক্ষে অন্যকাউকে বিয়ে করা মানে তাকে ঠকানো, কিন্তু এটা তার মাকে বুঝানো সম্ভব নয়। তাই কিছুটা ভেবেই বললো

“আমি বিষয়টা ভেবে দেখবো মা, তুমি শান্ত হও আর কিছু খেয়ে নাও। এসব নিয়ে পরেও আলোচনা করা যাবে, আমার মাথাটা একটু ব্যথা করছে, এখন এসব থাক”

মাথা ব্যাথার কথা শুনতেই মুগ্ধর মা ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন, বিয়ের কথা একপ্রকার মাথা থেকে বেরিয়ে গেলো।মুগ্ধ যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো, সকল সমস্যার ফাঁকে বিয়ের চিন্তা নিতান্তই পান্তা ভাতে ঘি ঢালার মতো। এই সবকিছুর ফাঁকে কিছু মানুষকে ও বড্ড মিস করে, তারা থাকলে হয়তো ও ডোন্ট কেয়ার নিয়ে থাকতো অথচ আজ তাদের প্রতি ওর বড্ড আক্রোশ! কিছু মানুষ জীবনে না আসতে জীবনটা কতো সুন্দর হতো তাইনা?


পরদিন সকালে মুগ্ধ যখন গোডাউনের উদ্দ্যেশে হলো তখন বেলা সাড়ে সাটটা, রোজকার অভ্যেসের ন্যায় আজোও পাশের ছাঁদে তাকাতেই কাউকে দেখতে পেলো না। কপাল কুঁচকেই এদিক ওদিক খুঁজতে লাগলো, কাঙ্ক্ষিত মানুষটিকে না পেয়ে মন খারাপ হয়ে গেলো। প্রতিদিনের থেকে একটু বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে রইলো এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে, কারো আগমনের আভাস না পেয়ে মুগ্ধর মন খারাপ হলো। দিনের শুরুটায় যেনো শেষ হয়ে গেলো, ও ভ্রু কুঁচকে বাইকে উঠে গন্তব্যে ছুটলো!

মুগ্ধ দৃষ্টির অগোচরে যেতেই রোহিণী আড়াল থেকে বেরিয়ে এলো, মুগ্ধর বাইক যতো দূর দেখা গেলো ততোদূর তাকিয়ে রইলো। তারপর হুট করে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো, সে বলেছে তাদের মাঝে কোন প্রেম ছিলো, তারা কখনো সম্পর্কে জড়ায়নি তবে কেনো রোজ তার দৃষ্টি ওকে খুঁজে? রোজ ইচ্ছে করেই ও দৃষ্টি এড়িয়ে চলতো, কিন্তু ঠিকই তো তার অপেক্ষায় বসে থাকতো। আজোও তার অপেক্ষায় ছিলো তবে খুব আড়ালে আবডালে! করুণ হেসে বিড়বিড় করে বললো,,,

কিছু, কিছু রাগ থাকে অভিমানে ভরা
শক্ত হয় যেন স্বাভাবিক বৃষ্টি-খরা,
কিছু, কিছু দূরত্ব বাড়তে থাকে অবিরাম(সংগ্রহীত)

৭.
সৌহার্দ্য যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তখন হুলুস্থুর কান্ড, চারদিকে মানুষের আহাজারি আর শিশুদের কান্নার আওয়াজ। অসহায় মানুষের করুণ চাহনী, কেউবা নিজেদের ভিটেটুকু বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টায় লিপ্ত। ও পৌঁছানোর খবর ছড়তেই সবকিছু নিস্তব্ধ হয়ে গেলো, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্দি পরা একজন দৌঁড়ে এসে ওকে সালাম দিলো। কিছুটা ভীতসন্ত্রস্ত হয়েই বললো

“স্যার আপনি এখানে আসতে গেলেন কেনো, কি দরকার ছিলো আমাকে বললেই হতো। অফিসে চলে যেতাম”

উর্দির ট্যাগে নাম দেখে সৌহার্দ্য কিছুটা অথোরিটি নিয়ে বললো

“কার অনুমতিতে এই বসত ভিটা ভাঙ্গা হচ্ছে মকবুল? যতোদুর মনে পড়ে এই কাজ আমার অনুমতি ব্যতীত করা সম্ভব নয় কিন্তু এমন কোন অনুমতি আমার পক্ষ থেকে আসেনি”

মকবুল টিস্যু দিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে বললো

“স্যার বিষয়টা শান্তভাবে অন্যকোথাও আলোচনা করলে ভালো হতো না?”

সৌহার্দ্যর মেজাজ বিগড়ে গেলো, দাঁতে দাঁত চেপে বললো

“কেউ তার সারাজীবনের সম্বল হারিয়ে ফেলছে আর এখানে আমাকে শান্ত থাকার কথা বলছো?”

মকবুল মাথা নিচু করে বললো

“স্যার তারা তো সরকারী জায়গা দখল করে ছিলো, জায়গাটা নোংরা করে ফেলছে তাই ভাবলাম…”

সৌহার্দ্যর রাগ তখন আকাশচুম্বী, হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বললো

“তোমার ভাবলায় সরকার চলে? এই বস্তি ভাঙ্গার অনুমতি তো আমি দেইনি তারউপর তাদের জায়গা ছাড়ার আগে তিন মাসের আইনি নোটিশ দেয়া হয়, হুট করে এসে এসব করার সাহস কোথায় পেলে? তুমি জানো আমি তোমায় আইনের আওতাধীন করতে পারি এটার জন্য, তোমার সাজা তো হবেই সাথে জরিমানা টো আছেই, বিষয়টা বরখাস্ত পর্যন্ত গড়াতে পারে। তাই আমি আশা করবো এর সঠিক ব্যাখ্যা আছে তোমার কাছে”

মকবুল চাকরী খোয়ানোর ভয়ে সব আওড়ে দিলো, শহরের কোন এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি এখানে বড় মার্কেট দিতে চায় কিন্তু সরকারী জায়গা হওয়ায় কিনতে পারেনি। তাই এই পদক্ষেপ। সরকারের লোকদের টাকা খাইয়ে জায়গা খালি করা তারপর এখানে নিজের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে তাদের লভ্যাংশের কিছু দেয়া। সৌহার্দ্য সকল প্রমাণ জোগাড় উচ্চ পদের কর্মকতার নিকট পাঠালো, সবাইকে সাবধান করে দিলো যাতে সরকারী প্রকল্প ছাড়া এখানে কেউ হাত দিতে না আসে। আর মকবুলকে কতোক্ষন শাঁসিয়ে তার কিছু টাকা জরিমানা করলো, আর বস্তিতে যে সকল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সবকিছুও সে নিজেই বহন করবে!
সবকিছু শেষ করে সৌহার্দ্য গাড়িতে হেলান দিয়ে বসলো, পাশে থাকা এসিসট্যান্টকে নিম্নকন্ঠে বললো

“কোন চিঠি এসেছে আমার নামে আজ?”

যদিও সৌহার্দ্য তাকিয়ে নেই তবুও ওর এসিসট্যান্ট সম্মতি জানিয়ে বললো

“জি স্যার, আপনি ব্যস্ত ছিলেন তাই জানাইনি”

সৌহার্দ্য চিঠিটা হাতে নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললো, ভিতরের লিখাগুলো পড়ার জন্য ও প্রস্তুত নয় কিন্তু না চাইলেই কি আর সব করা যায়? ও চিঠিটা খুলে পড়তে শুরু করলো

‘প্রিয় তুষার,

তোমায় আদোও প্রিয় বলার অধিকার কি আর আছে আমার? ভাইয়া যখন বলেছিলো তুমি হঠাৎ চলে গিয়েছো আমি বিশ্বাস করতে চায়নি কিন্তু আজ দশ দিন পরও যখন তোমার পক্ষ থেকে শুধু নিশ্চুপতা পেয়েছি তখন…তুমি সত্যি আমাকে ছেড়ে গিয়েছো তাইনা? খুব ঘটা করে শেষদিন বলেছিলে তুমি দুঃখিত, যা হচ্ছে তা করতে বাধ্য ছিলে তুমি। তুমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, তুমি চাও আমি ভালো থাকি এবং এমন একজনকে পাই যার আমাকে রাখার সামর্থ্য আছে। কি সাবলীল বিদায় তোমার! তিনবছরের সম্পর্ক শেষ করার কারণটা জানার অধিকার তো অন্তত ছিলো আমার, তুমি চেয়েছো আমি মুভ অন করি অথচ আমাকে ক্লোজারই দিয়ে গেলে না। তোমার নাম্বারে কল দিয়েছি বহুবার, অন্য নাম্বার থেকেও চেষ্টা করেছি কিন্তু তোমার নাম্বার বন্ধ পেয়েছি। হয়তো আমার মতো নাম্বারটাকেও ছুড়ে ফেলে দিয়েছো। আমি মানতে পারছিনা জানো! এভাবে কোনকিছু ছাড়া, তুমি চলে গেলে? আমি যাকে ভালোবেসেছিলেন সে তো এতোটা নিষ্ঠুর পাষাণ ছিলো না! আমাকে আমার আগের তুষারকে ফিরিয়ে দেবে প্লিজ! শুধু একবার জড়িয়ে ধরবো তাকে, আমি জানি সে আমাকে ফেলে যাবে না কখনো। আমাদের সম্পর্ক এতো ঠুনকো ছিলো না”

ইতি,
শুভ্রি নামের মেয়েটি’

সৌহার্দ্য চিঠিটা পকেটে গুঁজে রাখলো, অদিতার জন্য কিনা চকলেটটা অপর পকেটে রেখে দিলো। সাবলিল বিদায়! যদি তাকে বলা যেতো সাবলীল বিদায় শব্দদুটির সাথে অনভ্যস্ত অপরিচিত! আট বছর পরেও ও শুধু এইটুকু জানে যে ও নিজের সব কিছু সেখানে ফেলে রেখে এসেছে, নিজের সুখ আনন্দ, বন্ধুত্ব-ভালোবাসা সবকিছু শুধুমাত্র পরিবারের বাধ্য সন্তান হবে বলে। ২১ বছর বয়সে যা অত্যাবশ্যকীয় কার্য মনে হয়েছিলো, আজ তা কেবল বাহানার নাম। অনিচ্ছাকৃত, অযাচিত, অসঙ্গত ওজর…

#চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here