চাঁদের কলংক পর্ব ৪

0
1582

#চাঁদের_কলংক ( ৪)
#রেহানা_পুতুল
কিসের হেরে যাওয়া। কিসের পরাজয়। নিজেকে একটু সহজ করার চেষ্টা করো। এটা তুমি একটু চাইলেই পারো। হালকা ধমকে উঠে বলল শয়নের বাবা।

শাহিদা বেগম তরল গলায় ছেলেকে শান্তনা দিলেন।

” বাবা শোন,আমরা যখন চাঁদের দিকে তাকাই। একটা কালো দাগ স্পষ্টতই আমরা পৃথিবীর বুকে থেকে দেখতে পাই। এটাকে লোকে বলে চাঁদের কলংক। তবুও কি আমরা ওই রূপোলী চাঁদটাকে ঘৃণা করি? করিনা। কারণ এই চাঁদের বাকি সৌন্দর্যের কাছে এই কলংক বা দাগ ম্লান ও অতি ক্ষুদ্রকায়। চাঁদ যখন তার মায়াবী আলো সমগ্র ঔদার্যতায় ছড়িয়ে দেয় পৃথিবীর মাঝে। আমরা বিভোর হয়ে তা উপভোগ করি। ভুলে যাই তার ওই ক্ষুদ্র কলংকের কথা। তুমি মায়ের বিদ্বান পুত্র। আশাকরি আমার কথাটার মানে বুঝতে পেরেছ। ”

শয়ন মৌন পাহাড়ের মত ঝিম মেরে রইল। সারা মুখে বিষাদের নীল ছায়ার আবরণ। পিতার আদেশে উঠে দাঁড়ালো। বেসিনে গিয়ে চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিল। কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেল। নিজের রুমেও গেলনা।

” দেখলে গিন্নী। আমার সাহচর্যে তোমার কত জ্ঞান লাভ হয়েছে। কত সুন্দর করে যুক্তি দিয়ে কথা বলতে পার এখন। অথচ তোমার ত্যাড়া পিতা মহোদয় আমার কাছে তোমাকে বিবাহ দিতে ঘোর আপত্তি করেছেন। ”
দুষ্টমির ছলে স্ত্রীকে বললেন মির্জা। শাহিদা কপাল কুঁচকে ফেললেন।

পান খাওয়া ঠোঁট বাঁকিয়ে বললেন,

” তার মানে আমার মাথায় সব গোবর ছিল আগে?ঘুমান বলছি।ছেলের চিন্তায় এমনিতেই চোখে আঁধার দেখি।”

” গোবরই ছিল। উৎকৃষ্ট মানের সার হয়েছে বর্তমানে। যার গোটা কৃতিত্ব চেয়ারম্যান সাহেবের। ”

শাহিদা বেগম মুচকি হেসে,

” নিজের ঢোল নিজেই পেটাচ্ছেন। রাজনীতি করা লোকদের স্বভাবই এমন। বাইরে সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে আর ঘরের ভিতর নিজেই নিজের গুনগান গায়।”

______

দরজায় ঠকঠক আওয়াজ হতেই কল্পনার জাল ছিঁড়ে বের হলো তন্দ্রা।

“কেএএ?”

” ভাবি আমি। তোমার ননদিনী রাই। ”

তন্দ্রা গেট খুলেই বিমর্ষ নয়নে হেসে ফেলল।

” মন খারাপের সময় কারো সম্মুক্ষে ভান করা হাসি হাসতেও বিরক্ত লাগে। সো ভুলানো হাসি আমার জন্য না হাসলেও চলবে। আমি চাই তুমি মন খারাপ করেই বসে থাক। ”

” তোমরা সবাই এতো ভালো। আর উনি..”

” আসলে ভাইয়ার ও বা কি এমন দোষ। তোমার ও বা কি দোষ। এনিওয়ে সবাই লাঞ্চ করে ফেলল। কেবল তুমি আর আমি বাকি। আসো খাবে।”

তন্দ্রা শায়নার সাথে গিয়ে ডাইনিংয়ে বসে ভাত খেয়ে নিল অল্প করে।

বিকেলে তার বাবা,চাচা, ও বোন এলো তাকে দেখতে। সাথে ছিল অনেক ধরনের ফলমূল ও নানাপদের মিষ্টান্ন। তন্দ্রা তার বাবাকে দেখেই সালাম দিল। বাবা বোনকে বললনা তার হৃদয় ভাঙার গল্প। জানাল দিব্যি আছে সে। শয়নের মা বাবার অনুরোধে তারা নৈশভোজ সেরেই বাড়ি যেতে হলো।

শয়ন সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেছে। তাদের সাথে মার্জিত আচরণ করেছে৷ তারা বেশ সন্তুষ্ট হলো। এদিকে শয়ন বাসায় থাকলে তন্দ্রা চেপেচুপে থাকে বাসার এদিকসেদিকে। কোন কথাও বলেনা দুজন দুজনের সাথে। কষ্ট যেখানে গভীর ভাষা সেখানে অচল। তন্দ্রা যথাসম্ভব শয়নের দৃষ্টির অগোচরে থাকছে। কারণ সে দেখল শয়ন তাকে দেখলেই বেশি ক্ষেপে যায়। ভয়ংকর হয়ে উঠে। তাই রাতেও ঘুমায় শায়নার সাথেই।

দুইদিনের মধ্যেই মির্জা বাড়ির দোতলাবিশিষ্ট মির্জা ভবনটি পুরোপুরি খালি হয়ে গেল। কোন অতিথি নেই এখন। এমন মুহুর্তের প্রহর গুনেছে তন্দ্রা বিয়ের রাত হতেই। বিয়ের তৃতীয় রাত আজ। তন্দ্রা শশুর শ্বাশুড়ির রুমের সামনে গিয়ে দাঁড়াল।

অসহায় কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
” বাবা,মা আসতে পারি? একটু দরকার ছিল।”

শয়নের বাবা মা মাত্রই বিছানায় গা এলিয়ে দিলেন। হাস্যোজ্জ্বল মুখে বললেন,
” আসো মা। শয়ন ঘুমাচ্ছে? ”

” জানিনা মা। আমি উনি থাকলে রুমেই যাইনা। শায়নার সাথেই ঘুমাই। ”

” ওহ আচ্ছা।” বলে তারা স্বামী স্ত্রী দুজন দুজনের দৃষ্টি বিনিময় করে নিল।

তন্দ্রা বিচলিত কন্ঠে বলল,

” আমি সকালেই আমাদের বাড়ি চলে যাব মা। যেহেতু পাশাপাশি গ্রাম। একাই যেতে পারব। উনার এত অবজ্ঞা,উপেক্ষা নিয়ে এই বাসায় থাকা অসম্ভব। উনি দেশের বাইরে চলে গেলে তখন আসব। এই ভিতরে উনি একটু স্বাভাবিক হউক। আপনাদেরকে কেউ আমার কথা জিজ্ঞেস করলে বলবেন, আমার পরিক্ষা তাই আমাদের বাসায় আছি। আর এমনিতেই আমার অনার্স সেকেন্ড ইয়ারের ফাইনাল পরিক্ষা সামনে। ”

শয়নের বাবা বললেন,
” তোমার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই বৌমা।
জানি তোমার অন্তর ও আজ বিপন্ন। আমি বাবা হিসেবে তোমাকে কেবল একটাই উপদেশ দিব। নিজেকে সময়ের উপর ছেড়ে দাও। দেখবে সময় আর তোমার কর্ম সকল সমস্যার অবসান করে দিবে একদিন।”

শয়নের মা বলল,
” তোমার জন্যও খুব খারাপ লাগছে মা। কিন্তু আমাদের আর কিইবা করার আছে বল। নিজের যত্ন নিও। ”

” জ্বি মা। আপনাদের আদেশ আমার শিরোদার্য।”

প্রভাতের আগমন ঘটেছে। ঝিরিঝিরি নির্মল হাওয়া বইছে। ঝোপঝাড় হতে পাখিদের কলরব শোনা যাচ্ছে। পূর্বাকাশে দীপ্তিময় সূর্যটা উঁকি দিতে শুরু করল মাত্র। মায়াময় সবুজ উদার প্রকৃতিকে ভীষণ নিষ্ঠুর ঠেকল তন্দ্রার কাছে। কেন লাগছে সে বুঝেও যেন বুঝেনা। তন্দ্রা শশুর শাশুড়ীকে সালাম দিয়ে বোরকা পরে বের হয়ে চলে গেল। উঠান পার হতেই দেখল দূর হতে একটা হলদে পাখি উড়ে এসে বরই গাছের ডালে বসল। চেয়ে রইলো তন্দ্রার দিকে। পাখিটাকে তার একটু ছুঁয়ে দেখার সাধ হচ্ছে। কিন্তু ধরতে গেলেই পাখিটি ফুরুৎ করে উড়াল দিবে। চলে যাবে তন্দ্রার ধরাছোঁয়ার বাইরে।

” বুবু এত ভোরে আইলি? কোন সমস্যা? তোর মুখ এত শুকনো লাগছে কেন?”

গোল গোল চোখে জানতে চাইলো তন্দ্রার ছোট বোন তনু।

” হুম কঠিন সমস্যা৷ ” বিদীর্ণ কন্ঠে বলল তন্দ্রা।

ঘরে গিয়েই বাসর রাত না হওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু তন্দ্রা পরিবারের সবাইকে সব জানাল। কারণ শয়নদের বাড়িতে না গেলে এমনিতেই নানান প্রশ্ন উঠত। তারচেয়ে জানানোই উত্তম।

তন্দ্রার মা রাহেলা মাথায় হাত দিয়ে ঘরের দাওয়ায় বসে পড়লেন। উৎকন্ঠাজনিত স্বরে নিজে নিজেই বললেন,
জামাই যদি বড় কোন অঘটন ঘটায়। তখন কি হবে। না তন্দ্রার আর বিয়ে হবে। না তনুর বিয়ে দেওয়া যাবে।

তন্দ্রার বাবা তাহের উদ্দীন স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বললেন,
এত ঘাবড়ে যেওনা তুমি। আল্লাহ যা করেন বান্দার কল্যাণের জন্যই করেন। তিনিই কেবল সকল কিছুর ফয়সালাকারী। তিনিই উত্তম বিচারক।

শয়ন ঘুম থেকে উঠে অন্যদিনের মতই চলতে লাগল। তন্দ্রাকে না দেখেও কারো কাছে জানতে চাইলোনা তার কথা। অন্যরাও নিজ থেকে যেচে কিছুই বলেনি। সারাদিন গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো যখন। তখন শয়ন বুঝতে পারল বাসায় তন্দ্রা নেই। তাদের বাসায় চলে গিয়েছে। প্রতিরাতের মতো আজও বিগড়ানো মেজাজ নিয়ে রাতে ঘুমানোর চেষ্টা করল শয়ন। কিন্তু ঘুম আসছেনা কিছুতেই। ঝট করেই মনে আসল, একজন ধ’ র্ষি’ তা তার স্ত্রী। মাথায় পোকার মতো কিলবিল করা শুরু করল চ্যালেঞ্জে জয়ী হওয়া আদিলের বিষয়টা।

আদিল হলো তন্দ্রাদের পাশের বাড়ির ছেলে। স্বভাবে উগ্রমেজাজী ও পাতিমাস্তান টাইপের। আদিলের সাথে শয়নের পরিচয় ছিল আগে থেকেই। চেয়ারম্যানের একমাত্র পুত্র হওয়ায় শয়ন ছিল এলাকার পরিচিত মুখ। এবং সবার প্রিয়ভাজন। হঠাৎ করেই শয়ন এক দুপুরে দেখল, আদিল তন্দ্রাকে নিয়ে স্কুলের পাশের একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আইসক্রিম খাচ্ছে। তারপর আরও কয়েকদিন চোখে পড়ল আদিলের সাথে তন্দ্রার কথা বলা। একদিন সুযোগ পেয়েই শয়ন তন্দ্রাকে সাবধান করে দিল।

” তন্দ্রা তুমি এই ছেলের সাথে কথা বল কেন? ও অত ভালো ছেলে নয়। ”

তন্দ্রা রিনরিনিয়ে হেসে ফেলল।

” আদিল ভাই আমার চাচাতো ভাই হয়। খারাপের কি আবার। ”

” যে ভাই হোক তুমি তার সাথে কথা বলবেনা। এটা আমার ইচ্ছে।”

” আপনার ইচ্ছেকে আপনি কাঁথামুড়ি দিয়ে রাখেন। চাইলেই আদিল ভাইকে এড়িয়ে চলা যায়না। আমার আব্বার আমরা দুই মেয়ে। কোন ছেলে নেই। আব্বার অবর্তমানে আদিল ভাই আমাদের কোন প্রয়োজনে এগিয়ে আসে। চাল ডাল বাজার সদাই সব করে দেয়। ”
ঠোঁট উল্টিয়ে বলল তন্দ্রা।

” এসব যদি আমি করে দিই?”

” ওমা! আপনার থেকে কেন সুবিধা নিব আমরা। আপনি অন্য গ্রামের ছেলে। আর আদিল ভাই আমাদের পাশের বাড়ির। বলতে গেলে একই বাড়ির। আবার আব্বাও দায়িত্ব দিয়েছে আমাদের দেখাশুনা করার।”

” তুমি আমার কথা রাখবেনা তন্দ্রা?”
আকুতি নিয়ে বলল শয়ন।

” রাখার প্রয়োজন টা কি শুনি? ”

” কারণ আমি তোমাকে ভালোবাসি।”

” কিন্তু আমিতো আপনাকে ভালোবাসিনা শয়ন ভাইয়া।”

” একদিন তুমি আমাকে ভালোবাসতে বাধ্য হবে। দেখে নিও। কারণ আমার অনুভূতি ভোরের শিশিরের মতই নিখাদ তোমার জন্য। ”

” সেই একদিনটা যেদিন হবে। সেদিন বাসব।এখন যান।”

শয়ন চলে গেল নিজের বাড়ি। কেটে গেল আরো কিছুদিন। অপেক্ষা করে দেখল তন্দ্রা নিজ থেকে কথা বলে কিনা। দেখল তার আশায় গুড়ে বালি। এ ভিতরে তন্দ্রা এসএসসি পাশ করে কলেজে উঠে গেল। শয়ন নিজের ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিলো ভালোবাসা পাওয়ার জন্য। তন্দ্রার কলেজ ছুটির সময় দাঁড়িয়ে থাকে সময় পেলেই।

তন্দ্রা তাকে দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। অথচ মাঝে মাঝেই দেখে তন্দ্রা আদিলের সাথে রাস্তার পাড় ধরে হেসে হেসে গল্প করতে করতে যাচ্ছে। শয়ন ঠিক করে আদিলের সাথে কথা বলবে।

একদিন শয়ন আদিলকে ডেকে আনে বাজারে। দুই গ্রামের মাঝখানে অবস্থিত বড় বাজারটা। তাই দুই গ্রামের লোকজনের অবাধ বিচরণ এই বাজারেই।

চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে শয়ন আদিলকে বলে,
” তোর কাছে একটা হেল্প চাইব। করবি?”

দুজনের বয়স কাছাকাছি হওয়ায় তুই তোকারি সম্পর্ক তাদের। আদিল যেন শুকনো মাটিতে আছাড় খেল।

চোখ ভরা কৌতুহল নিয়ে হেসে বলল,

” তুই আমার কাছে হেল্প চাচ্ছিস। ভাবা যায় ব্রো। নিজেকে বিশাল কিছু মনে হচ্ছে এখন। বল কি করতে পারি চেয়ারম্যান পুত্রের জন্য।”

” শোন সরাসরি বলি। তোর সাথে তন্দ্রা নামের একটা মেয়েকে দেখেছি। সম্ভবত তোদের লাগোয়া বাড়ি। ”

” হুম। আমাদের পাশের বাড়ির। তাহের চাচার বড় মেয়ে। কি হয়েছে ওর? ”

” আমি এ মেয়েটাকে ভালোবাসি। তোর কাছে চাওয়া হলো একটু খেয়াল রাখবি ও যেন কারো সাথে কথা না বলে। ”

আদিল এমন কিছু আগেই আন্দাজ করেছে। কারণ তন্দ্রা একদিন পথ চলতে গিয়ে গল্পের ছলে আদিলকে বলেছে।

” তন্দ্রা আমার হবু বউ শয়ন। আমিও তন্দ্রাকে ভালোবাসি। সুতরাং আমি ছাড়া কারো সাথে কথা ও এমনিতেই বলবেনা। ”

শয়নের মাথা ভোঁ ভোঁ করে উঠল মুহুর্তেই। টেবিলের আড়ালে হাতের পাঁচ আঙ্গুলকে পাকিয়ে নিলো জোর করে।

” কিন্তু তোর কাছে কি তারা বিয়ে দিবে? ”

” একশোবার দিবে। মন খারাপ করিসনা। সবার সব ইচ্ছে পূর্ণ হয়না। কিছু ইচ্ছে অপূর্ণই রয়ে যায় শয়ন। ”

” তুই সিরিয়াসলি বলছিস আদিল? তন্দ্রা কি জানে বিষয়টা?”

” না তাকে এখনো ভালোবাসিই বলা হয়নি। বললে সংকোচবোধ করবে। এখনকার মতো আর মিশে চলবেনা ইজিভাবে।”

শয়ন উঠে চলে যায়। মাথার আধার কালো চুলগুলোকে পিছন থেকে মুষ্টিবদ্ধ করে খামচি দিয়ে ধরে। দুইদিন পরেই তন্দ্রার কলেজের মাঠে গিয়ে হাজির হয় শয়ন।

” বালিকা শোন প্লিইইজ। এদিকে এসে একটু দাঁড়াও।”

শয়নের মুখে বালিকা ডাকটা শুনেই তন্দ্রার ভালো লেগে গেল বরাবরের মতই। উদ্বেলিত নয়নে চাইল শয়নের পানে। হেঁটে গেল শয়নের পিছুপিছু সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত মাঠের একপাশে।

” তোমার কোন মোবাইল নেই?”

” না। আব্বা বলছে ভার্সিটিতে উঠলে কিনে দিবে।”

” তোমার সাথে মোবাইলে কথা বলার কোন ওয়ে আছে?”

” না নেই। ”

” তুমি কি আমাকে একটুও পছন্দ করনা? ভেবে উত্তর দাও।”

” একটু একটু করিই মনে হয়। ” লাজুক মুখে বলল তন্দ্রা।

” হেয়ালি নয় তন্দ্রা। তুমি এখন বড় হচ্ছো। পরিনত আনসার দাও প্লিজ। ”

” তাহলে আমাকে সময় দিন। ”

” কতদিন?”

” একমাস।”

” এতদিন? দম আটকে মরে যাব যে।”

” ইসসরে। মরণ এত সহজ। মরবেন না। আমি বাঁচিয়ে তুলব।”

শয়নের হৃদপিণ্ডটা যেন দিগুণ হয়ে গেল শুনেই। এই প্রথম তন্দ্রার কচি হাতখানা ধরে ফেলল। হাতের উল্টোপিঠে চুমু খেয়ে বসল। তন্দ্রা বিজলি চমকানোর মতো কেঁপে উঠল তড়িতেই। এক ছুট দিয়ে কলেজের ভিতরে চলে গেল। শয়ন মনে মনে বলল,
“তোর নামেই বাঁধি ঘর,করি একা বাস।
তুই আমার স্বর্গসুখ , বন্ধু তুই দীর্ঘস্বাস।”

চলবে ঃ ৪
( মন্তব্য ও শেয়ার করার আশাবাদী। 💓(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here