চন্দ্রাণী ২২

0
61

#চন্দ্রাণী (২২)
নির্ঝরের সামনে কয়েকটা কাগজ ছড়িয়ে রাখা।গভীর মনোযোগ দিয়ে নির্ঝর দেখছে।নিয়াজের ফোনে একটা নাম্বার থেকেই কল এসেছে সবসময়।
কিছুক্ষণ ভাবলো নির্ঝর। এরপর নিয়াজের আগের নাম্বারের কল লিস্ট নিয়ে বসলো। ওখানেও এই নাম্বারটা আছে।কিন্তু কল ডিউরেশন খুবই কম বলে নির্ঝর এই নাম্বার তখন স্কিপ করে গেছে।
নির্ঝর নাম্বারটায় কল দিলো।রিং হলো কিন্তু রিসিভ করলো না কেউ।

কিছুক্ষণ ভেবে নির্ঝর সেই নাম্বারের ডিটেইলস আনার জন্য বললো।

মিছেমিছি এক সময় টগরকে সন্দেহ করেছে সে।নীলির মৃ/ত্যুর কোনো সমাধান ও করতে পারলো না।নির্ঝরের নিজের উপর নিজের রাগ হচ্ছে। কেনো কোনো ক্লু পাচ্ছে না সে?

তার উপর নীলির মৃত্যুর আগের রাতে যেই খু/ন হলো তার ও সমাধান হয় নি।নিজেকে কেমন লুজার মনে হচ্ছে নির্ঝরের।
চোখে যখন আঁধার দেখছে নির্ঝর সেই সময় থানায় ফোন এলো নদীতে এক জেলের জালে একটা লাশ উঠেছে। আর লাশটা নিয়াজের।নির্ঝর ভয়ানকভাবে চমকালো।নিয়াজের লাশ মানে!
এক মুহূর্ত দেরি না করে নির্ঝর বের হয়ে গেলো।যেতে যেতে চন্দ্রকে কল দিয়ে সবটা জানালো।

শর্মী তখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। শুভ্রর ভেজা কাপড় শুকাতে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইন্সপেক্টরের কল এসেছে শুনে শর্মী আর ভেতরে এলো না।মন কেমন করছে।কে জানে নিয়াজ হয়তো সবাইকে সব দেখিয়েছে সেটাই বলছে ইন্সপেক্টর।
শর্মী বাহিরের দিকে তাকিয়ে রইলো। মা উঠানে বসে ইলিশ মাছ কা/টছে।দাদী বসে বসে মরিচের বোঁটা ছাড়াচ্ছে।মনার মা উঠান ঝাড়ু দিচ্ছে। কতো ব্যস্ত সবাই সবার কাজে অথচ কেউ জানে না তাদের মধ্যে থেকেও একটা মেয়ের বুকের ভেতরে বিষাদের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
নিজেকে বড় অসহায় লাগছে।
মানুষ এরকম ছলনা কিভাবে করতে পারে? ভালোবাসা নামক অভিনয় করে কিভাবে?

বাবুল দাশ এসে শর্মীকে ডেকে বললো, “জননী, এক কাপ কড়া লিকারের চা দিতে পারো?”

শর্মী বাবুল দাশের দিকে তাকালো।বাবুল দাশ শর্মীর শুকনো মুখের দিকে তাকিয়ে বারান্দার দিকে এগিয়ে গেলো। তারপর নরম স্বরে বললো, “আইচ্ছা থাক লাগবে না।”

শর্মী মলিন হেসে বললো, “কেনো কাকু?আপনি একটু বসেন আমি চা করে দিচ্ছি। ”

বাবুল দাশ নরম স্বরে বললো, “আমার জননীর কি মনটা খারাপ, এরকম মুখ কালো করে তো থাকে না আমার মা।”

শর্মীর কেমন মায়া হলো।না সব মানুষ এক রকম হয় না,কেউ কেউ সত্যি সত্যি ভালোবাসে।এই যে বাবুল কাকা,বুঝ জ্ঞান হওয়ার পর থেকে বাবার সাথে আছেন।বাপ মা নেই,বিয়ে থা করে নি।সেই কোন কালে শাহজাহান তালুকদার তার মা’য়ের চিকিৎসার সময় সাহায্য করেছেন,তারপর মা মরে যাওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যানের কাছে পড়ে আছে।
ওই যে জমিলা আজ কতো বছর ধরে পড়ে আছে এই বাড়িতে।কোনো প্রতিদান চায় না এখন আর।প্রতিদিন নিজে থেকেই শর্মীর চুলে তেল লাগিয়ে দেয়।
এরাও তো ভালোবাসে।

এদের ভালোবাসা কি সুন্দর, কোনো ছলনা নেই,অভিনয় নেই।
ভাবতে ভাবতে শর্মী বের হলো। ভেতরে তখনও চন্দ্র ফোনে কথা বলছে।শর্মী বের হয়ে এলো। বাহিরে এসে দাঁড়াতেই চন্দ্রর চিৎকার শুনতে পেলো।আব্বা আব্বা করে চন্দ্র চিৎকার করতে করতে বের হলো ঘর থেকে। বাবুল দাশ বললো, “স্যার তো কাচারি ঘরে গো মা।কি হইছে?”

হাঁপাতে হাঁপাতে চন্দ্র বললো, “কাকু,নিয়াজ আছে না,ওর নাকি খুন হইছে। ওর লাশ আজ সকালে পাইছে পুলিশ। ”

শর্মীর হাত থেকে চায়ের পাতিল পড়ে গেলো মাটিতে। বাবুল দাশ তার জায়গায় দাঁড়িয়ে রইলো। সবাই সবার জায়গায় স্থির শুধু হতভম্ব হয়ে গেলো শর্মী।
চন্দ্র দাঁড়ালো না আর,ফোন হাতে নিয়ে এক ছুটে গেলো বাবা কে খবর দিতে।
শাহজাহান তালুকদার কিছু কাগজপত্র দেখছে বসে বসে। চন্দ্র হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বললো, “আব্বা,নিয়াজের মা///র্ডার হয়েছে। ”

শাহজাহান তালুকদার চমকে গেলেন।নিয়াজ!
নিয়াজ নেই মানে!শাহজাহান তালুকদার কাশতে লাগলো। চন্দ্র ছুটে গিয়ে বাবার জন্য পানি আনে।
চন্দ্র পানি আনতে গিয়ে চন্দ্র এক মুহূর্ত থমকে দাঁড়ায়।
তারপর পানি এনে দেয় বাবাকে। শাহজাহান তালুকদার নিজের সামনে রাখা কাগজপত্র সব কিছু তাড়াহুড়ো করে গুছিয়ে রাখতে গিয়ে একটা ছবি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে চন্দ্রর সামনে পড়ে যায়।
পাসপোর্ট সাইজের একটা ছবি।
চন্দ্র ছবিতে চোখ বুলায়।ছোট্ট একটা মুখ দেখা যাচ্ছে।

হেসে উঠে চন্দ্র,এটা তার ছবি।চন্দ্র বললো, “আমি গুছিয়ে রাখতেছি,আপনি বসেন আব্বা।”

শাহজাহান তালুকদার উঠে দাঁড়িয়ে বললো, “না লাগবে,তুই যা বাড়িতে। আমি সব রাখতেছি।আর বাবুলরে বল আসতে।খাঁনের সাথে দেখা করতে যাবো।”

চন্দ্র অবাক হয়ে বললো, “খানের সাথে! ”

শাহজাহান তালুকদার হেসে বলে, “তার এতো বড় শোকের দিন এখন,যতই শত্রুতা থাকুক তবুও মানুষ তো আমরা! তুই ও আয় না আমার সাথে। বাবা মেয়ের একটু ঘুরাঘুরি ও হয়ে যাবে।”

চন্দ্র এক মুহূর্ত ভাবতে লাগলো। মন বলছে যাওয়া উচিত, একটা রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে সে।কিন্তু শর্মীর কাছে ও থাকা উচিত এখন।শর্মীকে রেখে যেতেও ইচ্ছে করছে না।

পরমুহূর্তে মনে হলো বাড়িতে সবাই আছে এখন,শর্মীকে একটা কাজে ব্যস্ত রাখলেই হবে।চন্দ্র জানালো সে ও যাবে।
চন্দ্র চলে গেলো বাড়ির দিকে। শাহজাহান তালুকদার সব ব্যাগে ঢুকিয়ে রেখে গায়ের পাঞ্জাবি বদলে নিলেন।
বাবুল দাশ ২ মিনিটের মধ্যে ফিরে এলো। তার মনটা খারাপ। শর্মীকে কেমন বিষণ্ণ হয়ে বসে থাকতে দেখেছেন।এই মেয়ে দুটো তার বড় আদরের। একজনকে ঘাড়ে আর একজনকে কোলে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়াতেন।এদের জন্য ঘোড়া হতেন।দুজনকে সাঁতার ও শিখিয়েছেন তিনি।লম্বাচওড়া এই বাবুল দাশ এই দুইটা পরীর ছানার সামনে এলে একটুখানি হয়ে যেতেন নুয়ে। তার কাছে এরাই তার প্রতিমা। তিনি হিন্দু ওরা মুসলমান হতে পারে কিন্তু তার প্রতি মেয়ে দুটোর অথবা মেয়েদের জন্য তার ভালোবাসার বিন্দুমাত্র কমতি নেই।

শাহজাহান তালুকদার জিজ্ঞেস করলেন,”মন খারাপ কেনো তোর?”

বাবুল দাশ হেসে বললো, “কিছু না, এমনেই।চলেন।”

চন্দ্র ও তৈরি হয়ে এলো। এক ছুটে গিয়ে একটা থ্রিপিস পরে এসেছে গায়ের টপস পালটে।
কেমন একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে চন্দ্রর।

বাবার হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে কাদের খানের বাড়িতে হাজির হলো। এই বাড়িতে কখনো আসা হয় নি চন্দ্রর।সবসময় বাহিরে থেকে দেখেছে।কখনো ইচ্ছে হয় নি ভেতরে এসে দেখার।বুঝদার হওয়ার পর থেকেই দেখছে বাবার সাথে লড়াই এদের সাথে।

ড্রয়িং রুমে সোফায় হেলান দিয়ে বসে আছে কাদের খাঁন।কাদের খাঁনের এই বাড়িটি বাহির থেকে বুঝা যায় না কতটা জৌলুশপূর্ণ। ভেতরে এসে চন্দ্রর চক্ষু কপালে। পুরো বাড়ি ইইন্টেরিয়র দিয়ে ডিজাইন করা।
বিশাল বড় এই বাড়িটিতে নানান রকম শোপিস,লাইটিং দিয়ে সাজানো।
দেখেই মনে হয় ভীষণ রুচিশীল মানুষ। চন্দ্রর কেমন ভালো লাগতে শুরু করলো। শাহজাহান তালুকদারকে দেখেই কাদের খাঁন উঠে দাঁড়ালো। দুজন হ্যান্ড শেক করে কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো। কারো মুখে কোনো কথা নেই।নিরবতা ভেঙে কাদের খাঁন বললো, “বস তালুকদার।”

শাহজাহান তালুকদার সোফায় বসতে বসতে বললো, “কিভাবে এসব হলো?”

কাদের খাঁন বিমর্ষ সুরে বললো, “এ তো হওয়ারই ছিলো, আমি ছেলেকে মানুষ করতে পারি নি তালুকদার। অমানুষ হয়ে গেছে আমার ছেলে।শাস্তি পেয়েছে। তালুকদার, তবুও কেনো আমার বুকটা এরকম খাঁখাঁ করছে বল তো?বেঁচে থাকতে আমি কখনো ওকে প্রশ্রয় দিই নি,কখনো কোনো সাহায্য করি নি।কখনো ভালো করে কথা বলি নি অথচ আজ ইচ্ছে করছে ছেলেটার সাথে একটু কথা বলি।
আমাকে গতকাল খবর পাঠিয়েছে টগরকে দিয়ে একজন ভালো ল’ইয়্যার দেখার জন্য। আমি সোজা নিষেধ করে দিয়েছি।যেই ছেলে অসৎসঙ্গে পড়ে খারাপ কাজে যুক্ত হয় সেই ছেলের জন্য আমি একটা কাজ ও করতে রাজি না।এতো দিন তো মন দুর্বল হয় নি আজ কেনো এমন লাগছে বলো তো?মনে হচ্ছে আমি যদি এতটা কঠোর না হতাম ছেলেটা বেঁচে থাকতো।
আবার বিবেক বলছে যা হয়েছে ঠিক হয়েছে, পাপের শাস্তি পেতেই হয় এভাবে।একটা অপরাধী কমেছে সমাজ থেকে এটাও তো আনন্দের ব্যাপার। ”

চন্দ্র অবাক হলো নিয়াজের বাবার কথা শুনে। এই মানুষটাকে সে সবসময় খারাপ জেনে এসেছে। অথচ তার চিন্তা ভাবনা কতো উন্নত। এরকম একটা মানুষের ছেলে হয়ে নিয়াজ এতটা বখে গেলো!

শাহজাহান তালুকদার বললো, “তুমি সেই আগের মতোই আছো নীতিবান।”

কাদের খাঁন মৃদু হেসে বললো, “নীতিবান হয়ে লাভ কি হলো তালুকদার, ছেলেকে তো মানুষ করতে পারলাম না।”

চন্দ্রর হঠাৎ করে মনে হলো তার বাবা আর কাদের খাঁন একে অন্যকে যেনো খুব ভালো করে চেনে।কিন্তু কিভাবে?যদি ভালো করে চিনেই থাকে তবে এতো শত্রুতা কেনো?

চন্দ্র এসব ভাবছে সেই মুহূর্তে টগর এসে চন্দ্রর পিছনে দাঁড়িয়ে বললো, “কি ভাবছেন?”

চমকে উঠে চন্দ্র তাকিয়ে দেখে টগর দাঁড়িয়ে আছে পেছনে। টগরকে দেখতেই বুকের ভেতরে কেমন একটা কাঁপুনি শুরু হলো চন্দ্রর।কেমন লজ্জা এসে ভর করলো তার মধ্যে। আশ্চর্য তো,চন্দ্র বুঝতে পারছে না এরকম বুকের ভেতরে ধুকপুক করছে কেনো।

টগর চন্দ্রর খুব কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। টগরের বডি স্প্রের মৃদু ঘ্রাণ পাচ্ছে চন্দ্র।কেমন জানি লাগছে চন্দ্রর।

নিজেকে নিজে ধমক দিলো চন্দ্র।সে তো টিনএজ মেয়ে না,তবুও কেনো এমন হচ্ছে তার।

টগর হেসে বললো, “কথা বলবেন না বলে ঠিক করেছেন নাকি?”

চন্দ্র মুচকি হেসে বললো, “না তা না,আপনি এখানে?কখন এলেন?”

টগর হেসে বললো, “আপনি এসেছেন, আমি আসবো না তা কি হয়?”

চন্দ্র ভ্রুকুটি করতেই হেসে বললো, “আচ্ছা রাগবেন না প্লিজ, আমি অনেক আগেই এসেছি। গেইট দিয়ে আপনি ঢুকার সময় এক নজর দেখে ছুটে এলাম আপনার সাথে দেখা করতে। ”

চন্দ্রর নিজেকে কেমন লাজুকলতা মনে হচ্ছে। এরকম তো সে ছিলো না। টগর তার সাথে দেখা করতে এসেছে শুনে এমন লজ্জায় লাল হওয়ার কি আছে!

টগর হেসে বললো, “আপনার দুই গাল পাকা টমেটোর মতো হয়ে গেলো যে হঠাৎ করে, কোনো কারণে কি আপনি লজ্জা পাচ্ছেন?”

চন্দ্র নিজেকে সামলে বললো, “না ওসব কিছু না,রোদের মধ্যে হেটে এসেছি তাই আরকি।”

টগর হেসে বললো, “আপনাকে একেবারে লজ্জাবতী লতার মতো লাগছে।ভীষণ সুন্দর। ”

চন্দ্র হেসে সরে গেলো সেখান থেকে। সে খেয়াল করেছে আব্বা তিন চারবার তার দিকে তাকিয়েছে। বাবুল কাকা আব্বার পেছনে দাঁড়িয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। এর আগে কারো সাথে চন্দ্রকে কথা বলতে দেখে নি, তাই দুজনেই অবাক হচ্ছে।
দুজনেই কি মনে করবে ভেবে চন্দ্র সরে গেলো ভেতরের দিকে।শাহজাহান তালুকদার বিরক্তি নিয়ে টগরকে দেখছে।টগর হাসিমুখে তাকিয়ে আছে তার দিকে।সে শাহজাহান তালুকদারের সাথে তাকিয়ে থাকার এই খেলাটা খেলতে চায়।কতক্ষণ তিনি তাকিয়ে থাকতে পারে তার দিকে।

শাহজাহান তালুকদার চমকে গেলেন কিছুক্ষণ পর।একটু আগে এই ছেলেটার চোখে যেই সারল্য ছিলো মুহুর্তেই সেই চোখে রাজ্যের কঠোরতা ফুটে উঠলো কিভাবে!
এ যেনো অন্য মানুষ!
এই মাতালের সাথে চন্দ্রর এরকম হাসিমুখে কিসের কথা,কিভাবে চেনে সে চন্দ্রকে?
টগরের সাথে কথা বলতে গিয়ে লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়া শাহজাহান তালুকদার, বাবুল দাশ কারোর নজর এড়ায় নি।

শর্মীকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে ছোট মাছ কাটতে।বুকের ভেতর ক্ষণে ক্ষণে ঝড় উঠছে শর্মীর।নিয়াজ নেই,নিয়াজ আর কোনো দিন ফিরে আসবে না।কি আশ্চর্য, শর্মীর তো খুশি হওয়ার কথা।তবুও কেনো বুকটা এমন কেঁপে উঠছে।যেই মানুষ তার ভালোবাসাকে অপমান করেছে, তাকে সবার চোখে খারাপ বানাতে চেয়েছে তার জন্য মনের ভেতর কোথায় এখনো কিছুটা ভালোবাসা লুকোনো ছিলো?
কোথায় ছিলো?
কেনো ছিলো?
কেনো শর্মীর এতো কষ্ট হচ্ছে?
একটা মিথ্যে বিয়ে বিয়ে খেলা খেলেছে নিয়াজ তার সাথে। অথচ শর্মী কি অবলীলায় তাকে স্বামী বলে জেনেছে।

সেই প্রতারককে কেনো মনে পড়ছে!
কেনো চোখে জল আসতে চাইছে?ভালোবাসা এতো অদ্ভুত কেনো?

চলবে……

রাজিয়া রহমান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here