উপন্যাসঃ”গোধূলিলগ্ন”
শান্তনা আক্তার
পর্বঃ৪২
দুপুরের দিকে রাত্রি তার নিজ ফ্ল্যাটে পা রাখতেই কাব্যর নামটি ফোনের স্ক্রিনে জ্বলজ্বল করে উঠল। দরজা লক করে দ্রত হাতে কল ধরে কানের কাছে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুনতে পেল,
‘আব্বু-আম্মুকে খাবার পৌঁছে দিয়ে এসেছেন তো? আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি দুঃখিত। এত এত অফিসের কাজ সামলান, বাড়িতে একা থাকেন, এর মধ্যে আমার বাবা-মায়ের জন্য রান্না! আসলে আব্বু-আম্মু বাহিরের খাবার খান না, খেতে পারেন না। নইলে বাহির থেকেই খাবার আনিয়ে দিতাম৷ ওয়ান্স এগেইন, আই অ্যাম এক্সট্রিমলি স্যরি রাত্রি।’
কাব্যর বিরতিহীন কথার পৃষ্ঠে রাত্রি চুপ করে রইল। ওপাশ থেকে কাব্য আবারও বলল,
‘আপনি টাইমলি খাবার দিয়ে এসেছেন তো? আসলে আব্বুর মেডিসিন নিতে হয়। আর সেটা টাইম টু টাইম। আপনি কথা বলছেন না যে? আচ্ছা আপনি এখন কোথায় বলুনতো আমায়?’
কাব্যর করা একের পর এক কথা ও প্রশ্নে রাত্রি এবার মহা বিরক্ত! ফোনের স্পিকার মুখের কাছে এনে উদ্র কন্ঠে সে বলল, ‘স্যার আপনি এভাবে বলে আমাকে অপমান করলেন। আমি মোটেও কষ্ট পাইনি আঙ্কেল-আন্টির জন্য রান্না করে। বরং আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি জানেন না আমি কত বছর পর কিচেনে ঢুকেছি। এখানে বুয়ার রান্নাই খাওয়া হয় আর বাড়িতে গেলে মায়ের রান্না। আমি পুরো কুকিং টাইমটা খুব এঞ্জয় করেছি আজ। আমার সত্যিই খুব ভালো লেগেছে তাদের জন্য রান্না করে। আমার তো মনে হয়েছিল, আমি আমার নিজের বাবা-মায়ের জন্য রান্না করছি। কিন্তু আপনি আমার মুডটাই খারাপ করে দিলেন।’
কাব্য হেসে ফেলল শব্দ করে। রাত্রির ঘোর লেগে গেল সেই হাসির শব্দ শ্রবণেন্দ্রিয় স্পর্শ করতেই। তার আফসোস, সে যদি কাব্যর ওই শব্দ করে হাসিটা নিজের চোখে দেখতে পেত! ঘোরগ্রস্ত রাত্রির সম্বিৎ ফেরে বেল বাজার বিকট শব্দে। রাত্রি তাগাদার সুরে বলল, ‘আমি খাবার দিয়ে এসে মাত্র ফ্ল্যাটে ঢুকলাম। কেউ বোধয় এসেছে, আমি একটু পর কথা বলছি স্যার।’
কাব্য বলল, ‘ওকে, তবে কেউ যেন না জানে এসব। আমার শত্রুর অভাব নেই। আপনাকে ভরসা করি বলে এত বড়ো দায়িত্ব দিতে পারলাম। আমার বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেন।’
রাত্রির চড়া গলা, ‘স্যার আবারও আমাকে অপমান করলেন কিন্তু!’
‘আচ্ছা স্যরি, আমি তাহলে রাখছি। আল্লাহ হাফেজ।’
কাব্য কল কেটে দিলে দরজা খুলল রাত্রি। সামনে দাঁড়ানো সাজিদের হাস্যজ্বল মুখটি চোখে ভেসে উঠলে রাত্রি কৌতূহলী কন্ঠে প্রশ্ন ছুড়ল, ‘তুমি হঠাৎ আমার ফ্ল্যাটে?’
‘আসা বারণ নাকি?’
‘না, তবে কখনো আসোনি। কি মনে করে?’
‘ভেতরে ঢুকতে দিলে একটু দরকারি কথা বলতাম বসে।’
‘কি এমন বলবে?’
সাজিদ মুখ কালো করে বলল, ‘আচ্ছা চলে যাচ্ছি, তুমি বোধয় অস্বস্তিবোধ করছো।’
সঙ্গে সঙ্গে রাত্রি বাধ সাধল, ‘আরে না, বোকা আমি কি কথাটা সেভাবে বলেছি নাকি! আসো ভেতরে।’
সাজিদ বাধ্য ছেলের মতো ভেতরে গেল। এবং বলল, ‘আমি দরজা লক করছি, তুমি গিয়ে দুকাপ কফি বানাও। তবে সমস্যা থাকলে বানাতে হবে না।’
রাত্রি হেসে বলল, ‘গর্দভ নাকি? তুমি না বললেও আমি এটাই করতাম এখন। আজকে বুয়াকে ছুটি দিয়েছি কারণ আজকে আমি নিজ হাতে আন….’ রাত্রি হঠাৎ থেমে গেল। তার কথার জের ধরে সাজিদের উৎকন্ঠা, ‘নিজ হাতে আন বলে থেমে গেলে যে! আন মানে কি?’
রাত্রির অনভ্যস্ত কন্ঠ, ‘আমি আজ নিজ হাতে রান্না করেছি। আনছি তোমার জন্য, সেটা বলতে নিয়ে আটকে গেলাম।’
‘ও, বুঝলাম। কিন্তু দরকার নেই। আমার কফি হলেই চলবে। কিছুক্ষণ আগেই তো খেয়ে আসলাম আমি।’ বলল সাজিদ।
________
মায়া ঘুমিয়েছে বেশ কিছু সময় হলো। মিতু সোফার এক পাশে বসে অঝোরে কাঁদছে। হাত কাঁপছে তার। মিতুকে কাঁদতে দেখে নাবিলা তার পাশ ঘেঁষে বসল।
‘কান্না করো না মিতু, সব ঠিক হয়ে যাবে। তুমি আমাকে এতসব কাহিনি আগে কেন বলোনি? তুমি কি জানো, তোমার আর তোমার মেয়ের উপর এতদিন জুলুম করা হচ্ছিলো! আরে, তুমি যখন বলতে তোমার মেয়ের সাথে কথা বলতে চাও, তখন আমি ভাবতাম হয়তো বাড়িতে আছে বলে কথা বলতে চাচ্ছো। কিন্তু তাকে আটকে রেখে যে তোমাকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে, সেটা আমি ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি। অবশ্য মেয়ের জন্য তুমি হয়তো বলার সাহস পাওনি। কিন্তু আর না। এভাবে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না। আমি আছি তোমার পাশে। দেখবো ওই নিকৃষ্ট বাদশা কি করতে পারে তোমার আর তোমার মেয়ের।’
মিতু নাবিলাকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কান্না করে দিল। নাবিলা মিতুর চুলে হাত বুলিয়ে দিতে-দিতে বলল, ‘আর কান্না নয়। তুমিতো ভীষণ সাহসী মেয়ে। গতকাল রাতে বেশ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছো। তবে তুমি কিভাবে বুঝলে আমার বাড়িতে আসলে তুমি সুরক্ষিত? আমিতো বাদশাকে বলে দিতে পারতাম তোমার কথা। কারণ তার মাধ্যমেই আমার রোজগার হয়৷ সেভাবে দেখলে, সে আমার মালিক।’
মিতু মাথা উঁচিয়ে নাবিলার মুখের দিকে তাকালো। ওইভাবেই কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল। নাবিলা তখন বলল, ‘ ভয় পেলে কি? ভয় পেতে হবে না। আমি কখনোই বলবো না। বিশ্বাস রাখো। সেতো কল দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল আমি তোমার সম্পর্কে কিছু জানি কিনা; বলে দিয়েছিলাম কি?’
মিতু দুদিকে মাথা নেড়ে ‘নাসূচক’ উত্তর দিল।
বলল, ‘আমি আপনাকে বিশ্বাস করি ম্যাম। আপনি ছেলেদের মতো চুল কাটলেও, মানুষটা ভীষণ ভালো। আর রাগীও।’
নাবিলা হেসে ফেলল। মিতু বলল,
‘আপনার মেয়েদের মতো চুল থাকলে, আরও ভালো দেখা যেত। কিন্তু আমার এখন একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।’
‘কিসের চিন্তা?’
‘আপনি যে আমার হয়ে ১২০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়েছিলেন, সেটা তো শোধ করতে হবে। আমার কাছে যে টাকা নেই, দেই কি করে?’
নাবিলা মিতুর কপালে টোকা মেরে বলে,
‘ভালো কথা মনে করালে। তুমি যখন দারোয়ানকে দিয়ে আমাকে নিচে নামার কথা বলেছিলে, তখন আমি ওইভাবেই নিচে নেমে গিয়েছিলাম৷ ক্যাশ নিয়ে নামিনি। লেট হচ্ছিলো বলে রিকশাচালক ভীষণ রেগে কথা বলছিলেন তোমার সাথে। তাই দারোয়ানের থেকে টাকাটা নিয়ে তাকে বিদায় করেছিলাম৷ আমি টাকাটা দিয়ে পাঠাচ্ছি কাউকে দিয়ে, তুমি বসো। আর হ্যাঁ, কান্নাটা থামাও এবার। আমি তোমাকে বাদশার কাছে আর যেতে দেব না। আর আমার ১২০ টাকার বদলে একটু হাসো। তাহলেই হবে।’
মিতু প্রসন্ন হলো। এতক্ষণের ভয় কাটিয়ে চঞ্চুদ্বয়ে হাসির রেশ টানল সে।
_______
কফির মগে চুমুক দিয়ে রাত্রিকে বলল সাজিদ, ‘স্যারের জন্য আমরা সকলেই গর্বিত। কত বুদ্ধি তার! মিতুকে নিয়ে এত চিন্তাভাবনার মধ্যেও কাজের প্রতি একটুও অনীহা প্রকাশ করেননি তিনি। স্যার আসলেই ইন্সপিরেশন আমাদের সকলের জন্য।’
নিঃশব্দে হেসে রাত্রি মাথা নাড়ল। সাজিদ আবারও বলল, ‘বুঝতেই পারি না স্যার এত বুদ্ধি কিভাবে খাটায়? সবই তার বাবা-মায়ের জন্য সম্ভব হয়েছে।’
রাত্রি বলল, ‘একদম। তারা অত্যন্ত ভালো, তাই তাদের ছেলেকেও সেরকমটাই বানিয়েছে।’
‘হুম, কিন্তু তারা এখন কোথায়? বাড়িতে তো নেই।’
রাত্রি কফিতে চুমুক দিতে গিয়ে থমকাল। বলল,
‘কে বলল? ওনারা তো বাড়িতেই আছেন। তাছাড়া যদি তারা নাও থেকে থাকে, সেটা তুমি কিভাবে জানলে?’
‘আরে স্যার বলল না তাদের সুরক্ষিত কোথাও রাখবেন।তোমাকেও তো বলেছিলেন।’
সাজিদ শ্যেন দৃষ্টি মেলে রেখেছে রাত্রির মুখপানে। রাত্রি নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে বলল, ‘এমন কিছুতো আমি শুনিনি। তোমাকে কি এমনটা বলেছিল?’
সাজিদ ফিক করে হেসে দিয়ে বলল, ‘মজা কেন করছো? তুমি তো সবই জানো।’
রাত্রির নিকট সাজিদের হাসিটা অদ্ভুত ঠেকলো যেন। রাত্রি এবার কুটিলভাবে বলল,
‘অচথা কথা-কাটাকাটি আমার পছন্দ না। আমি মোটেও জানি না এসব কিছু। তোমার দরকারি কথা থাকলে বলো, নইলে চলে যাও। আমি রেস্ট নেব।’
সহসাই হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে সুপ্ত ও তার দলবল। প্রথমে সুপ্ত সাজিদকে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘এতক্ষণ সময় লাগে তোর একটা মেয়ের পেট থেকে কথা বের করতে? তোকে দিয়ে আমার এতদিন কি লাভটা যে হয়েছে বুঝিনা আমি। এই মেয়ে, কাব্যর বাবা-মা কোথায় বল তাড়াতাড়ি!’
রাত্রির বিস্ময়াহত দৃষ্টি সাজিদকে কেন্দ্র করে রেখেছে। সাজিদ নতজানু হয়ে বসা। রাত্রি এবার সুপ্তর দিকে দৃষ্টি স্থীর করে আশ্চর্যান্বিত কন্ঠে বলল, ‘আপনি সাজিদের সাথে এভাবে কথা বললেন কেন? আর আপনাকে তো আমি বেশ কয়েকবার কাব্য স্যারের ক্যাবিনে দেখেছি। আপনি আমার বাড়িতে কি করছেন?’
সুপ্ত দাঁত কিড়মিড় করে জবাব দেয়, ‘কেন শুনিসনি একটু আগে তোকে কি প্রশ্ন করলাম? আচ্ছা আবার করি, কাব্যর বাবা-মা কোথায়?’
রাত্রির দ্বিধাহীন স্বীকারোক্তি, ‘আমি কি জানি তারা কোথায়? আমিতো বাসাতেই আছি আজকে।’
সাজিদ বলল, ‘একে দুই তিন ঘা না দিলে হবে না। একে প্রাণে মেরে দিন যদি স্বীকার না করে।’
রাত্রি সীমাহীন ক্রোধে সাজিদকে বলল, ‘তার মানে তুমি এনার হয়ে কথা আদান-প্রদান করো? বিশ্বাসঘাতক! তুমি আমাদের ঠকিয়েছো। মুখোশ পরে ছিলে এতদিন!’
সাজিদ রাত্রির দিকে এগিয়ে গিয়ে বলল,
‘সামনের দিকেও মুখোশ পরে থাকতে হবে।’
‘আমি স্যারকে এক্ষুনি বলে দেব তোমার এই আসল রুপ।’ রাত্রি ফোন হাতে নিলে সুপ্ত সাখাওত রাত্রির হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে আনে। পৈশাচিক হাসির সহিত সে বলে, ‘জানানোর সুযোগ দিলে তো জানাবি! আচ্ছা দেখি তো তোর কললিস্ট। প্যাটার্ন বল জলদি।’
রাত্রির কঠোর বাক্যবাণ, ‘বলবো না।’
এর মাঝে রাত্রির ফোন বেজে উঠল। স্ক্রিনে ‘স্যারের মা’ লিখা। সুপ্ত ‘স্যারের মা’ পড়ে ফোনটা রাত্রির দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘স্যারের মা কে রে?’
সাজিদ বলে উঠল, ‘এটাই কাব্যর মা হবে।’
রাত্রির হাত-পা তখন ঠান্ডা হয়ে আসল। বুক হাপড়ের ন্যায় ওঠানামা করতেই রাত্রি বলে উঠল, ‘আমার ওনাকে আমি স্যার বলি। তার মার নাম্বার এটা। কাব্য স্যারের মার নাম্বার নয়।’
সুপ্ত চারিপাশ কাঁপানো হাসি হেসে বলল,
‘আচ্ছা স্পিকারে দিয়ে কথা বল তাহলে। কন্ঠ শুনলেই তো সাজিদ চিনে ফেলবে। কি বলিস সাজিদ?’
সাজিদ বলল, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ একদম।’
সুপ্ত রাত্রির হাতে ফোন গুজে দিলে রাত্রি বলল,
‘আমার এখানে নেটওয়ার্কে ভীষণ সমস্যা হয়৷ যদি বারান্দায় যাই তাহলে স্পষ্ট শোনা যাবে।’
সুপ্ত বা সাজিদ কেউ রা না করে সম্মতি জ্ঞাপন করল। রাত্রি বারান্দায় যেতে যেতে কল কেটে যায়। রাত্রি খুশি মনে বলল, ‘কল তো কেটে গেল।’
‘তো? কেটে গেলে আউটগোইং হয়না বুঝি? কল দে তুই।’ সুপ্ত শেষ কথাটা ধমকে বলায় কেঁপে উঠল রাত্রি। কাঁপা হাতে সে ফোনের লক খুলল। তবে কললিস্টে না যেয়ে সে তার ফোন ৮ তলা থেকে নিচে ফেলে দিল। যেটা একটা চলতি বাসের উপরে গিয়ে পড়ে। রাত্রির এরূপ দুঃসাহসিক কান্ডে হতবাক উপস্থিত সবাই। সুপ্ত সঙ্গে সঙ্গে রাত্রির গালে চড় বসিয়ে ক্ষুব্ধ চোখে বলল, ‘কি করলি তুই এটা?’
রাত্রি ভয়কাতুরে কন্ঠে বলল, ‘হাত থেকে পড়ে গিয়েছে। ইচ্ছে করে,,,’
রাত্রি সম্পূর্ণ কথা শেষ করার আগেই সুপ্ত তার হাত ধরে ভেতরে নিয়ে গেল টানতে টানতে। এরপর খাবার টেবিলে ফলের ঝুড়িতে থাকা ছুরিটা নিয়ে পরপর ৩-৪ বার ছুরি বসিয়ে দিল রাত্রির পেটের মধ্যে। সুপ্ত, রাত্রিকে ওইভাবেই ফেলে চলে যাবার জন্য পা বাড়ালে, সাজিদ বলে উঠল, ‘ছুরিটা সাথে করে নিয়ে গেলে ভালো হবে। নইলে সিআইডি এটার মাধ্যমে আমাদের খুঁজে বের করে নিবে।’
‘কথা ঠিক। পরে এই মেয়ের জন্য আরেক দফা সমস্যা পোহাতে হবে।’ বলল সুপ্ত।
সাজিদ এক টানে রাত্রির পেট থেকে ছুরি নিয়ে আসে। রাত্রি তখনও গোঙ্গাচ্ছিল৷ চোখে তার মৃত্যুর আহবান। মেঝে রক্তের বন্যায় পরিণত হলো কিছু সময়ের ব্যবধানে৷ একটা সময় ছটফট করতে করতে চোখ দ্বারা রাত্রি তার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে চিরবিদায় জানায়।
চলবে ইনশাআল্লাহ…..